রানা প্লাজা দুর্ঘটনার অল্প ক'দিন পরের কথা, তখন আমি উত্তরা ক্রাইম ডিভিশনে কর্মরত। শুক্রবারে সাধারণত আমি অফিস করিনা,তবুও ওদিন গিয়েছিলাম আলিয়স ফ্রসেসে।ফ্রেঞ্চ স্পিকিং দেশগুলোতে ইউ এন মিশন করতে গেলে ফ্রেঞ্চ জানা বাধ্যতামূলক- এটা শুনে খোঁজ খবর করতেই যাওয়া। ফেরার পথে হঠাৎ শুনি আমার মোবাইল ফোনে কে জানি বার বার চেষ্টা করছে। কিঞ্চিৎ বিরক্ত হয়ে কয়েকবার রিসিভ করলাম, কথা ঠিকমত শোনা যাচ্ছিলনা। তবুও খানিকটা সন্দেহ হওয়ায় যা শুনলাম তাতে আত্মারাম খাঁচাছাড়া হয়ে যাবার দশা!
"স্যার, আমি উত্তরার লেক রোড থেকে বলছি। আমরা আটজন লিফটে উঠেছিলাম, লিফট ছিঁড়ে আমরা সবাই এখন আটকা পড়েছি।বাসায় কেউ নেই,মোবাইল ফোনে আপনার নাম্বার ছিলো- এখন প্লিজ স্যার আমাদেরকে বাঁচান"।
দ্রুত ওয়্যারলেস হ্যান্ডসেটে নিকটস্থ মোবাইল প্যাট্রোল টিমকে ঘটনাস্থলে যেতে বললাম। সেবার স্রষ্টার অপরিসীম দয়ায় আটজনকেই অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করতে পেরেছিলাম।
লিফটের ওই ভদ্রলোক দুদিন পরে আমার অফিসে এসেছিলেন বড়সড় একটা ফুলের তোড়া নিয়ে। অল্প কিছুদিন আগে উত্তরার ছয়টি থানা কভার করে এরকম একটি এ্যান্ড্রয়েড এ্যাপ রিলিজ করা হয়েছিলো উত্তরা ক্রাইম ডিভিশনের পক্ষ থেকে। ওই চরম বিপদের মুহূর্তে ওটা ব্যবহার করেই তিনি আমার সাথে যোগাযোগ করতে পেরেছিলেন, যার ফলে রক্ষা পেয়েছিল আটটি অমূল্য প্রাণ।
এই এ্যাপটি আমাদেরকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে তৈরি করে দিয়েছিলো বুয়েটের কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার তারিক ও তন্ময়। ক্যাডেট কলেজের ছোটভাই হিসেবেই ওদের সাথে আমার পরিচয়, আর দেশের জন্যে কিছু করার তাগিদ থেকেই ওদের এই "ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো"-র ব্যবস্থা।
উত্তরার সাফল্ল্যে উজ্জীবিত হয়ে আমরা ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার সবকটি পুলিশ স্টেশনকে এধরণের একটি এ্যাপের অধীনে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিই, যেটি অনুমোদন করেন ডিএমপি কমিশনার জনাব বেনজীর আহমেদ। মাসখানেকের প্রচেষ্টায় সমগ্র ঢাকার জন্যে একটি এ্যান্ড্রয়েড এ্যাপ দাঁড়ায়, যেটি এবছরের শুরুর দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। বর্তমানে প্রায় ৫০,০০০ ব্যক্তি এটি ব্যবহার করছেন। সচলের পাঠকদের জন্যে এই এ্যাপটির বিশেষ বিশেষ ফিচারগুলোর বর্ণনা দিচ্ছিঃ
১) ঢাকার সকল থানার ওসি এবং ডিউটি অফিসারের নম্বর সহ এতে রয়েছে প্রতিটি থানার ঠিকানা এবং ম্যাপ। এই অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করে ঢাকার যে কোন স্থান থেকে আপনি আপনার সবচেয়ে কাছের থানাটি সহজেই খুঁজে বের করতে পারবেন; সেই সাথে গুগল ম্যাপে আপনাকে সেই থানায় যাওয়ার পথও দেখিয়ে দেবে এটি। ওসি এবং ডিউটি অফিসার যেন আপনার ডাকে সাড়া দেন সেজন্যে সব ওসিদের ডেকে স্বয়ং কমিশনার অফিস থেকে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
২) ডিএমপির ফেসবুক পেইজে সহজেই যে কোন পোস্ট বা মেসেজ দেয়ার জন্যে এতে রয়েছে একটি ‘ফেসবুক বাটন’ যা আপনাকে সরাসরি ডিএমপির সর্বশেষ তথ্য ও সেবা সম্পর্কে জানতে সাহায্য করবে।
উপরের ছবিতে ইংরেজি "এ" লেখা বাটনটি ল্যঙ্গুয়েজ বাটন, এর মাধ্যমে বাংলা বা ইংরেজি যে কোন ভাষায় পুরো এ্যাপটি দেখা যাবে। এর নীচেই ফেসবুক বাটন, তারপর ম্যাপ বাটন, যেটি আপনার অবস্থান থেকে নিকটস্থ থানার ম্যাপ দেখিয়ে দেবে।
৩) ডিএমপির একটি নিজস্ব ব্লাড ব্যাঙ্ক রয়েছে, যেটির সাহায্যে পুলিশ সদস্যরা সাধারণ মানুষের প্রয়োজনে রক্তদান করে থাকেন।জরুরী প্রয়োজনে ডিএমপির ব্লাড ব্যাংক থেকে রক্ত সংগ্রহ এবং এ সম্পর্কিতে অন্যান্য তথ্য জানার জন্যে এতে সংযোজন করা হয়েছে একটা ‘ব্লাড বাটন’।
৪) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি বিশেষায়িত ইউনিটের নাম উইমেন সাপোর্ট এ্যান্ড ইনভেস্টিগশন ডিভিশন। এই ইউনিটটিতে কন্সটেবল থেকে ডেপুটি কমিশনার পর্যন্ত সবাই নারী, এবং এদের মূল উদ্দেশ্য নারী ভিকটিমদের সহায়তা দেয়া। এদের ২৪ ঘন্টা হেল্পলাইন রয়েছে। কোন নারী ভিকটিম এই ইউনিটের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে ব্যবহার করতে পারেন নারী বাটন।
৫) ডিএমপি-ম্যাপ থেকে খুব সহজেই আপনি যে কোন থানার অবস্থান ছবি তুলে পাঠাতে পারবেন আপনার কোন বন্ধু বা নিকটজনকে। জরুরী প্রয়োজনে এই অ্যাপ্লিকেশনে থাকা যে কোন ফোন নম্বর আপনার কোন বন্ধুকে এসএমএস করতে পারবেন মাত্র এক ক্লিকেই।
৬) হঠাৎ রাস্তায় ঘটা কোন দুর্ঘটনায় ডিএমপির হটলাইনে জানানোর জন্যে এতে রয়েছে একটি ‘কুইক কনটাক্ট বাটন’ যা ব্যবহার করে সহজেই ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে যে কোন তথ্য দেয়া যাবে সরাসরি ফোনে বা ইমেইলে। কোন অপরাধী সম্পর্কে পুলিশকে কোন তথ্য দেয়া বা ছবি পাঠানো কিংবা আপনার এলাকার কোন অপরাধ পুলিশকে জানাতে এখন আর কষ্ট করে থানায় আসতে হবে না, মাত্র একটি ক্লিকই যথেষ্ট।
৭) ট্রাফিক সম্পর্কিত তথ্য ও সহায়তার জন্যে রয়েছে ট্রাফিক বাটন, যেটির মাধ্যমে ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত অফিসারদের সাথে সরসরি কথা বলতে পারবেন এবং ট্রাফিক আপডেট জানতে পারবেন। নীচের ছবিতে আরো কয়েকটি বাটন আছে, যেমনঃ বিদেশী নাগরিকদের সহায়তার জন্যা "চ্যান্সেরি বাটন", সবগুলো থানার ঠিকানা, ম্যাপে অবস্থান ও ফোন নম্বর নিয়ে বিল্ডিং-আকৃতি বাটন ইত্যাদি।
৮) এছাড়াও এই অ্যাপ্লিকেশনটিতে ডিএমপির বিভিন্ন সেবা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেয়া হয়েছে।
৯) ঢাকাবাসীর ব্যবহারের জন্যে এই মোবাইল ফোন অ্যাপ্লিকেশনটি আনুষ্ঠানিকভাবে গত ১৩ জানুয়ারি উদ্বোধন করেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার বেনজির আহমেদ। এর পরেই গুগল প্লো স্টোরে সর্বসাধারণের জন্যে উন্মুক্ত করে দেয়া হয় এটি। যে কেউ সম্পূর্ণ বিনামূল্যে নিচের ঠিকানা থেকে এটি ডাউনলোড করতে পারবেন।
ডাউনলোড লিংক: http://goo.gl/UkdJoZ
গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে "ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ" লিখলেও পেয়ে এটি সহজেই পেয়ে যাবেন।
অ্যাপ্লিকেশনটি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে ফেসবুকের এই পেইজ থেকে এবং আগ্রহীরা এখানে সরাসরি নির্মাতাদের সাথে কথা বলার এবং বিভিন্ন মতামত শেয়ার করারও সুযোগ পাবেন:
https://www.facebook.com/mobileappofdmp
এবার একটি মজার তথ্য দিই, এই এ্যাপটি তৈরি করতে তারিক আর তন্ময় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছ থেকে মজুরী হিসেবে নিয়েছে মাত্র ৫০০ টাকা।তাদের বক্তব্যঃ
ছয় বছর ক্যাডেট কলেজ আর ৪ বছর বুয়েট- দেশের টাকাতেই আমাদের এতদূর আসা।তাই দেশমাতৃকার প্রতি আমাদের এই ক্ষুদ্র নিবেদন। আমরা চাই আমাদের মত আরো অনেক মানুষ নিজেদের জায়গা থেকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে কিছু একটা করুক।
তারিক আর তন্ময় আমার ক্যাডেট কলেজের ছোটভাই- এই গর্বে আজকাল আমি মাটির তিন হাত উপর দিয়ে হাঁটি। ওদের এই বক্তব্যের পরে আমাকে কি খুব একটা দোষ দেয়া যাবে?
পরিশিষ্টঃ
ক) উত্তরার এ্যাপটি বাংলাদেশ সরকারের যে কোন প্রতিষ্ঠানের প্রথম এ্যাণ্ড্রয়েড এ্যাপ, আর ডিএমপি এ্যাপটি দ্বিতীয়।ডিএমপি এ্যাপটির মূল কাজ পুলিশ ও জনগণের মধ্যে দ্রুত যোগাযোগ ঘটানো এবং তথ্য দিয়ে পুলিশি সেবা সরাসরি নাগরিকদের হাতের মুঠোয় পৌঁছে দেয়া। আমরা জানি, পুলিশের পক্ষ থেকে নানারকম সমস্যা হতে পারে, হয়ত কেউ কেউ ফোন করেও আশানুরূপ সেবা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হতে পারেন। সেক্ষেত্রে অভিযোগ করার ব্যবস্থা রয়েছে।এসব সমস্যা নিয়েও আমরা আশাবাদী, কারণ অন্ততঃ শুরু তো হল!
খ) এই এ্যাপটির অন্যান্য প্ল্যাটফর্মের ( আই ফোন, উইন্ডোজ ইত্যাদি ) কাজ শেষের পথে, মাসখানেকের মধ্যে রিলিজ দেয়া হবে। এছাড়াও, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সারা দেশের সবগুলো থানা, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন এবং হাসপাতাল একত্রিত করে একটি এ্যাপের কাজ শুরু হয়েছে, যেটি এবছরের মাধ্যমে রিলিজ দেয়া হবে।
গ) জানি, হাজারটা সীমাবদ্ধতা আছে। তাই বলে কি আমরা থেমে থাকব? বাংলাদেশ পুলিশের মত "ভাঙ্গাচুরা" (??!!) বিভাগ যদি এ্যাপ বের করে ফেলতে পারে, বাকিদের পক্ষে কি কি করা সম্ভব সেটা চিন্তা করলে ইচ্ছে করে আকাশে উড়ে বেড়াই।
আমাদের দেশটাকে আমরা স্বপ্নের দেশ হিসেবে দেখতে চাই, এবং সেটা খুব তাড়াতাড়ি।
চলুন, হাত লাগাই!
মাসরুফ হোসেন
সহকারী পুলিশ কমিশনার
(ক্যান্টনমেন্ট জোন)
গুলশান অপরাধ বিভাগ
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ
০১৭১৩৩৯৮৩৪২
মন্তব্য
তারিক আর তন্ময়ের জন্য আসলেই গর্ব লাগছে।
ছবি দেখতে পারছি না কেন?
লেখা চলুক-
facebook
আমি তো দেখতে পাচ্ছি! সমস্যাটা ধরতে পারলাম না ভাই
মাসরুফ ভাই,
আপনাকে স্যালুট। এই দেশটাকে বদলানোর জন্য যে রিসোর্স / মেধা দরকার, আমাদের সেটা আছে। শুধু একটা প্লাটফর্ম দরকার সেটাকে কাজে লাগানোর জন্য।
প্লাটফর্ম তৈরী করে দেবার সুযোগটা আপনার আছে। খুব খুশি হবো যদি আপনি সেটাকে কাজে লাগান।
অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য। অপেক্ষায় রইলাম। আপনি আরো নতুন নতুন আইডিয়া দিয়ে চমকে দেবেন আমাদের। বদলে দেবেন দেশটাকে।
---এবিএম।
মেধা আর মননে আমাদের দেশ পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ দেশগুলোর একটি। আমার আইডিয়াগুলো আসলে আমার নিজের না, শুধুমাত্র ফেসবুকে পুলিশিং ছাড়া। এ্যাপ, সেইফ জোন- এগুলো সবই এদেশের নাগরিকদের দেয়া আইডিয়া। আমি শুধুমাত্র বাস্তবায়ন করেছি মাত্র।আপনার কোন নতুন আইডিয়া থাকলে জানাবেন প্লিজ!
জানিনা কেন, আপনার লেখাটা পড়ে আনন্দে চোখ ভিজে উঠল।
তারিক, তন্ময়ের মত মানুষগুলো আছে জন্যই বিশ্বাস করি একদিন সব সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে আমরা সামনে এগিয়ে যাব।ওদের জন্য শুভকামনা।
আর আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনার লেখার জন্য।
আমাদের দেশে পুলিশদের ব্যপারে বেশিরভাগ মানুষের কেমন একটা নেতিবাচক ধারণা আছে ।আপনার লেখাগুলো পড়ে মানুষের ধারণা কিছুটা হলেও পরিবর্তন হবে আশাকরি।
জনসাধারণের জন্য আপনাদের করা কাজগুলো নিয়ে আরও লিখুন প্লিজ।
ভালো থাকবেন সবসময়।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
২০০ বছরের পাপমোচন একদিনে হবেনা, একজনেও হবেনা। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি, আমাদের সাথে থাকুন প্লিজ!
এরকম ভালো কাজ আরো অসংখ্য ভালো কাজের সূচনা করবে বলে বিশ্বাস করি। সরকারে অন্যান্য ক্ষেত্রও প্রযুক্তির আলোয় আলোকিত হোক।
এই উদ্যোগের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের সবার জন্য ভালোবাসা। আপনাকে আর আলাদা করে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট না করি।
গোঁসাইবাবু
আপনার প্রতিও অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা
এই পোষ্টটি ইংরেজিতেও অনুবাদ করা দরকার।
একটু সময় পেলে করে ফেলব, আপনারা কেউ করলে আরো কৃতজ্ঞ থাকব। এই এ্যাপ-এর পুরোটাই কিন্তু ল্যাঙ্গুয়েজ বাটন দিয়ে ইংরেজিতে দেখা যায়( ২ নং পয়েন্ট দেখুন )।
তারিক আর তন্ময়ের জন্যে।
পুলিশের এই আন্তরিকতা আর শুভ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই, সমস্যা থাকবেই। কিন্তু সত্যিটা হলো শুরুতে হয়েছে, দশজনকে ফোন করে যদি দুই কিংবা তিনজন ও সহযোগিতা পায় সেটাই বা কম কিসে? মান বাড়বে ধীরে ধীরে, সেই প্রত্যাশায় থাকলাম মাসরুফ ভাই। আপনাকে শুভেচ্ছা ও
মাসুদ সজীব
আপনার বাবা পুলিশ ছিলেন, সেই হিসেবে আপনি পুলিশ পরিবারের লোক- আপনাকে আর নতুন করে কৃতজ্ঞতা জানালাম না!
দেশটা সত্যি সত্যি এগিয়ে যাচ্ছে, ভাবতে ভালই লাগে।
ভাঙাচোরা পুলিশ ডিপার্টমেন্ট ছাড়া অন্যান্য ডিপার্টমেন্টে যে সব মাসরুফ ভাইয়েরা আছেন, এবার তাদের পালা। আর ঘুমিয়ে থাকবেন না প্লীজ!
অন্যান্য ডিপার্টমেন্ট, এবং পুলিশ- দু জায়গাতেই আমার চাইতে অনেক যোগ্য ও মেধাবী কর্মকর্তা আছেন, তাঁরা সচলে লেখেন না বলে হয়ত আপনার সাথে পরিচয় হয়নি। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করছি ভাই, আমাদের সঙ্গে থাকুন।
লেখকের লেখাগুলো একটা একাউন্টে থাকাটা জরুরী মনে হচ্ছে। মডুদের কাছে একান্ত অনুরোধ রইল তাঁকে নিদেনপক্ষে 'হাচল' করে নেবার জন্য। আর যদ্দিন তা না হচ্ছে সে পর্যন্ত, লেখকের কাছে অনুরোধ, তিনি যেন "মাসরুফ হোসেন" ট্যাগটা তাঁর লেখায় যোগ করে নেন।
আর লেখাগুলো নিয়মিত পড়ছি। শুধু একটুখানি কাঁটা, আরেকজন জিজ্ঞেস করেছিলেন কোন একটা লেখায়, সে জিজ্ঞাসা আমারও "প্রজাতন্ত্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাঁর 'প্রতিষ্ঠান' নিয়ে লিখতে পারেন কি না, এর আইনগত বৈধতা আছে কি ণা?" যদি থেকে থাকে, তাহলে অনয় পেশাজীবীরাও এর আওতায় আসেন কি না? আর না হলে, বৈধ করার জন্য কী কী উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে বলে মনে করেন বা ইতোমধ্যেই সেসব উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে কি না!
আপনার সচল যাত্রা অব্যাহত থাকুক
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
সরকারী কর্মকর্তা হিসেবে সরকারের সমালোচনা করার অধিকার আমার নেই। তবে গঠনমূলক ও পজেটিভ কিছু প্রকাশে বাধা নেই।
আপনার শুভকামনার জন্যে অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা।
আমি শুরু থেকেই আপনার সাথে আছি, আর থাকবোও!
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
অত্যন্ত কৃতজ্ঞচিত্তে আপনার সংগ গ্রহণ করছি, ভাই!
'চোখ ভিজিয়ে' ফেলার আনন্দ হলো আপনার লেখা পড়ে।
অনেক ভালো লাগলো আপনার স্বপ্নের সাথে উড়ে, মাটি থেকে উঁচুতে হেঁটে বেড়াতে।।
মানুষের প্রতি আপনার অনেক ভালোবাসা মাসরুফ ভাই, টের পাই।
একটা প্রশ্নঃ আপনিই কি উত্তরার বেশ কিছু জায়গাকে সিসিটিভির আওতায় নিয়ে আসার নেপথ্য মানুষটা?
অনেক ভালো থাকবেন।
আপনার জন্য অনেক শুভকামনা।
----------------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ
জ্বি ভাই, উত্তরায় ডিজিটাল সেইফ জোন তৈরি করতে এই অধমের সামান্য কিছু ভূমিকা রয়েছে। তবে এই আইডিয়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুজন বাংলাদেশি রিসার্চারের, রিসোর্স জোগাড় করেছেন উত্তরার ডিসি নিশারুল আরিফ স্যার। আমি এই দুই পক্ষের ভেতরে মেলবন্ধন এবং খানিকটা তদারকি করেছি মাত্র।
অন্যান্য পাবিলক সার্ভিসও যদি আপনাদের মত সিদ্ধান্ত নিতে পারতো। ডেভলপার দু'জনকে স্যালুট। ধন্যবাদ আপনাদেরকেও নাগরিক সুবিধাপ্রদানে আধুনিকমন্সক সিদ্ধান্ত নেবার জন্য। বিশেষত নারীদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এই এপ্লিকেশন খুবই কার্যকরী ভুমিকা রাখবে আশা করা যায়।
----ইমরান ওয়াহিদ
আমরাও এমনটি আশা করি। ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।
সঙ্গে আছি মাসরুফ ভাই । অনেক শুভকামনা তারিক আর তন্ময়ের জন্য।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”
অলীক জানালা _________
সঙ্গে থাকুন, ভাই!
মাসরুফ হোসেনকে স্যালুট
আমি এই স্যালুট আমার গোটা দলকে পৌঁছে দেব
বাংলাদেশ পুলিশকে অভিনন্দন এই মহতী কাজ করার জন্যে। আমরা জাতিগত ভাবে যে কোন পরিবর্তনের ঘোর বিরোধী হয়ে থাকি। সরকারি অফিসগুলোর অবস্থা খুব নাজুক থাকে পরিবর্তন মেনে নিতে। সকল সরকারি কর্মকর্তা বিশেষত যারা নবীন ওরা অনেক স্বপ্ন নিয়ে সিভিল সার্ভিসে আসে। আস্তে আস্তে সবাই কনভিন্সড হয়ে যায় যে সিস্টেম বদল করা সম্ভব নয়। স্বপ্নের পরিসমাপ্তি ঘটে। আপনার উদ্যোগ সফল হোক।
ঢাকার ট্রাফিক এর আপডেট নিয়ে যদি কোন আয়প্স ( কসরত করেও সঠিক লিখতে পারলাম না) ললিখতে) করা যেত যেখানে ঢু মারলে ঢাকার ট্রাফিক সম্পর্কে বিশেষত জ্যাম এর আপডেট সম্পর্কে জানা যাবে। ফোন করে খোজ নিলে হয়ত সঠিক সেবাটা পাওয়া যাবে তবে যেহেতু ডিএমপির কোন ডেডিকেটেড কল সেন্টার নেই এই সেবা পাওয়া হয়ত ডিপার্টমেন্টের কাজ বাড়বে। ধন্যবাদ আপনাকে আবারো।
মাজহার ঝুমন
ঢাকার ট্রাফিক সম্পর্কে এই এ্যাপেই ট্রাফিক ডিভিশনের সবগুলো ফিল্ড অফিসারের ফোন নম্বর দেয়া আছে, এটাই ব্যবহার করতে পারেন। আপনাকেও ধন্যবাদ।
বাংলা সিনেমার মতো বলছি , ধন্যবাদ দিয়ে আপনাকে ছোট করতে চাচ্ছি না।
অফ টপিক, এটা ওপেন সিক্রেট যে ভূমি-অফিসগুলো দুর্নীতির কারখানা। আপনি ওই বিভাগের নন, কিন্তু আপনি উচ্চ-পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা তাই বলছি, নামজারি বা রেজিস্ট্রির মতো বিষয়গুলো সদিচ্ছা থাকলে সহজেই ডিজিটাইজ করা যায়। যাতে ঘুস-দুর্নীতি কমে যেতে বাধ্য। বিশাল একটা জনগোষ্ঠী অনেক সমস্যা থেকে বেঁচে যেতো। আপনার আইডিয়াগুলি ওদিকে ছড়িয়ে দেয়া যায় না?
রাজর্ষি
ধীরে ধীরে ছড়িয়ে যাবে আশা করি, ভাই! আর এই আইডিয়াগুলো আমার না- যেমন এ্যাপের আইডিয়া তারিক আর তন্ময়ের। পুরোটুকুই ওরা করেছে, আমি শুধুমাত্র পুলিশ বিভাগে এটা ইমপ্লিমেন্ট করতে হাল্কা ছুটোছুটি করেছি মাত্র। পুরো প্রজেক্টে ওদের আর আমার অবদানের রেশিও ১০০ তে ৯৫ বনাম ৫ ভাগ।
চমৎকার! আজই ইনস্টল করবো।
আপনার পেশাগত জীবনের বিভিন্ন বিষয়-অভিজ্ঞতা নিয়ে নিয়মিত লেখা আশা করছি
নিজে ইন্সটল করুন ও অন্যদের উৎসাহিত করুন। আমার কাঁচা হাতে যেটুকু পারি শেয়ার করার ইচ্ছে আছে ভাই!
অনেক কিছুই জানা ছিল না যেমন, ব্লাড ব্যাংক, নারীদের জন্য আলাদা ইউনিট- আজ জানলাম।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা
আপনার প্রতিও কৃতজ্ঞতা রইলো
কী অসাধারণ! আগামী কালই ইন্সটল করে নিবো!!
আপনার মতন মানুষদের অনেক দরকার। যারা পরিবর্তন করার ইচ্ছা রাখে তাদের সুযোগ থাকে না, আর যাদের সুযোগ থাকে তাদের ইচ্ছা থাকে না। আপনার দুটোই আছে। বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে যাক এই কামনা করি।
ভালো থাকুন, আরো ভালো ভালো কাজ করে যান।
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইলো
- চমৎকার!
- বাংলাদেশে ৯১১ বা এরকম সার্ভিস কি ফোনে সিমে টাকা না থাকলেও চলে?
- এই এ্যাপের তথ্যগুলো নিয়মিত আপডেট করার বিষয়ে কী পরিকল্পনা?
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
- ধন্যবাদ!
- বাংলাদেশে ৯৯৯ নামে ডিএমপি কন্ট্রোল রূম সার্ভিস আছে, সেটি মোবাইলে টাকা না থাকলে সম্ভবতঃ চলে না। আমি উত্তরাতে সীমিত পরিসরে এরকম ৯৯৯ সার্ভিস চালু করতে চেয়েছিলাম, তার আগেই বদলী হয়ে গেলাম। ইউএনডিপি এর সহায়তার আশ্বাস পেয়েছি, দেখি পারি কিনা!
- এই এ্যাপের তথ্যগুলো মোটামুটি পার্মানেন্ট, টুকিটাকি যেসব ভুল/পরিবর্তন তা ব্যবহারকারী সরাসরি এ্যাপ প্রস্তুতকারকের সাথে যোগাযোগ করে সারিয়ে নিতে পারেন। এ্যাপের ভেতরেই যোগাযোগের উপায় দেয়া রয়েছে।
তারিক আর তন্ময়ের জন্য অনেক অনেক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। সেই সঙ্গে আপনাকেও অনেক অনেক শুভেচ্ছা, শুধু ইচ্ছে থাকলেই যে একটা প্রতিষ্ঠানে অনেক পরিবর্তন আনা যায়, আপনি সেটা প্রমান করে দিচ্ছেন নিয়মিত। আমি প্রবাসী বাংলাদেশী, তারপরও অ্যাপটা ডাউনলোড করে নেব।
ছবিতে দেখলাম ওসি সাহেবের মোবাইল নম্বর আছে - এইগুলো কি ব্যক্তিগত নম্বর? আপনারা কি এইসব তথ্য পেছনের ডেটাবেসে নিয়মিত হালনাগাদ করেন?
অ্যাপ লেখার কাজের পাশাপাশি সেটার মেইনটেনেন্স, টেস্টিং, আপডেট ইত্যাদি অত্যন্ত জরুরী কাজ। অতি সহজেই পরিচর্চার অভাবে ভালো প্রোডাক্ট অনাথ হয়ে যেতে পারে। পুলিশের একটি নিয়মিত আইটি ডিভিশন থাকা উচিত, যারা এই পরিচর্চা নিয়মিত করতে পারে। ভবিষ্যতে এইসব অ্যাপ এবং অন্যান্য তথ্যসেবা প্রযুক্তির জন্য আর বাইরের সাহায্য দরকার হবে না।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তাসনীম ভাই, এগুলো সরকারী নম্বর হবার কথা (সম্ভবত)। আর ওসি বদলে গেলেও, নাম্বার একই রয়ে যাবার কথা। (আন্দাজে বললাম)
তবে, হালানাগাদ না থাকলে পুরোটাই বৃথা হয়ে যাবে কালে কালে।
@ তারিক আর তন্ময়: জানি না আপনারা এই লেখা পড়ছেন কি না। তবে, এমন এখটা কাজ টোকেন পারিশ্রমিকে করে দেবার কারণে আপনাদের প্রতি সবার কাছ থেকে যে ভালবাসা/শ্রদ্ধা দেখলেন এটা কিন্তু অমূল্য।
শুভেচ্ছা
তাসনীম ভাই,
১)এই এ্যাপের প্রতিটি নম্বর সরকারী এবং স্থায়ী।তবে ছোটখাটো একটি দুটি ভুল থাকলে সেটি কেউ অভিযোগ করলে সাথে সাথে চেক করে ঠিক করে ফেলা হয়।
২) আমাদের একটি পূর্ণাংগ আইটি ডিভিশন আছে, তবে এটিকে আরো এগিয়ে নেবার প্রচুর সুযোগ রয়েছে।
৩) আমি অবশ্য আমার দেশের নাগরিকদের পরামর্শ/ সহায়তা নিতে রীতিমত গর্ববোধ করি। উত্তরাতে যে ছয়টি ডিজিটাল সেইফ জোন করা হয়েছে এটাও এরকম সুনাগরিকদের পরামর্শে। আমার ধারণা ছিল মানুষ পুলিশকে এতটাই অপছন্দ করে যে সাহায্য চাইলে কাউকেই পাওয়া যাবেনা। অবাক বিস্ময়ে লক্ষ্য করেছি আমার ধারণা কতটা ভুল, আমি এক হাত বাড়ালে এই দেশের মানুষ দুই হাত বাড়িয়ে দেয়। এই কারণেই আমি এত আশাবাদী। আমি/আমাদের মেধা কম হতে পারে কিন্তু আমাদের সাহায্য করছেন এই দেশের মেধাবী সন্তানেরা, সম্পূর্ণ নিঃস্বার্থে।
আমাদের সঙ্গে থাকুন!
দারুণ লাগলো এই উদ্যোগের কথা জেনে! তারিক আর তন্ময়ের জন্য রইল অনেক কৃতজ্ঞতা,শুভকামনা।
আপনার প্রতিও। খুব জলদিই সারা দেশজুড়ে এই উদ্যোগটা সম্প্রসারিত হতে যাচ্ছে জেনে আনন্দের ভাগটা বেড়ে গেলো আরো!
আচ্ছা আপনাদের এই উদ্যোগের কথা দেশের আনাচে কানাচে থাকা মানুষগুলো জানেন তো?
সাহায্যের জন্য তাদের কোথায় বা কার দ্বারস্হ হতে হবে জানা না থাকলে এই উদ্যোগের পুরোপুরি ফলটা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবে হয়ত বা। এই উদ্যোগের জোর প্রচারণা প্রয়োজন বলে মনে করছি। সংবাদ পত্র, টেলিভিশন, রেডিও সবগুলো প্রচার মাধ্যেমকেই কাজে লাগানো দরকার। সম্ভব না এটা ভাইয়া? দেশের স্কুলগুলোতে ধর্ষণের মত জঘন্য অপরাধ দমনে ছাত্রদের সচেতন করবার ব্যাপারে কোন চিন্তাভাবনা আছে কী আপনাদের? রাজবাড়ির স্কুলের ঘটনাটি জানা আছে নিশ্চয়ই? একদিনই সব অন্যায় অপরাধ লোপাট হয়ে যাবে ভাবিনা। তারপরও শুরুটা 'শুরু' হয়ে গেছে দেখে সবকিছুই নষ্টদের অধিকারে যায়নি ভাবতে সত্যিই আনন্দ হচ্ছে। আপনার/দের প্রতি আন্তরিক শুভকামনা থাকলো এই বোনের। শুভহোক। মঙ্গল হোক।
আপনাদের জন্য ভালবাসা।
আপনার কয়জন যে কাজটা করছেন সেটা যদি সারা বাংলাদেশের পুলিশে ছড়িয়ে দেয়া যেতো!! মানুষবান্ধব এবং প্রযুক্তিবান্ধব পুলিশবাহিনী আমাদের সবচেয়ে বেশী দরকার। বাংলাদেশের পুলিশের জন্য বর্তমানে বাজেটে যে অংকটি রাখা হয় সেটা কমপক্ষে তিনগুন করা উচিত। প্রয়োজনে আমাদের অন্যন্য ব্যয় কমিয়ে হলেও। নিরাপত্তা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হওয়া দরকার। সেটা করার জন্য পুলিশকে মানুষবান্ধব ও প্রযুক্তিবান্ধব না করে কোন উপায় নেই।
তারিক আর তন্ময়ের জন্য গর্বে শুধু আপনার না, আমারও দুই ইঞ্চি ফুলে গেল। খুবই দরকারী একটা অ্যাপস তৈরী করেছে ওরা। অনেক অনেক অভিনন্দন দুজনকেই।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
ভালো উদ্যোগ।
আচ্ছা আপনি কি "বইপড়ুয়া" গ্রুপে আছেন?
এই পোস্ট, তাতে মন্তব্য, আর তারপর সেই মন্তব্যে আপনার উত্তর বা অন্য সহসচলের মন্তব্য - পড়তে পড়তে চোখে জল চলে আসে, আনন্দে। মাঝে মাঝেই মনটা বিষণ্ণতায় ছেয়ে যায় - সত্যিই কি স্বপ্নের দেশটার সব কিছু নষ্টদেরই অধিকার-এ চলে যাবে! আপনার পোস্ট এই কষ্টের সময়গুলো কাটিয়ে উঠতে অনেক ভরসা যোগায়। আপনাদের সকলের জন্য অভিনন্দন, ভালোবাসা, অশেষ শুভেচ্ছা।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে/ কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে।।
তেমন ছেলেরা দেশেই আছে, শুধু দরকার একটু সুযোগ।
____________________________
দারুণ দারুণ দারুণ কাজ! শুরু তো হলো! আমি চাইবো সবাই যাতে অ্যাপটি ইউজ করে, তাতে সেবাদাতা আর সেবাগ্রহীতা উভয় পক্ষেরই অংশগ্রহণে অ্যাপটির গুরুত্ব বাড়বে, আশানুরূপ সেবা আসতে দেরী হবে না। আপনারা তাক লাগিয়ে দিচ্ছেন সত্যি সত্যি। আপনার পোস্টগুলি পড়লে অনেক আশা ভরসা পাই। ডিএমপি'র সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করি।
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
দারুণ অ্যাপ। একটা সাজেশনঃ এই অ্যাপের হোমপেজে একটা প্যানিক বাটন/৯১১/ইমার্জেন্সি কল বাটন থাকা দরকার। অনেক সময় ইমার্জেন্সিতে এত কিছু খুঁজে দেখার সময় পাওয়া যাবে না।
আরেকটা বিষয় হচ্ছে, মোটামুটি সব ফোনেই ইমার্জেন্সি কলের অপশন থাকে। অ্যামেরিকাতে যেমন সেটা ৯১১ এ চলে যায়। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও এই ইমার্জেন্সি কলটা নিকটস্থ থানা/ইমার্জেন্সিপুলিশ সেবা কেন্দ্রে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে পারলে দারুণ হয়।
সংযুক্তিঃ ভাবলাম চাইছি যখন পুরা নির্লজ্জ হয়েই চাই। এই অ্যাপের একটা ফ্লোটিং বাবল থাকতে পারে, ফেইসবুক ম্যাসেঞ্জারের মত। বাবলে প্রেস করা মাত্র নিকটস্থ থানায় কল চলে যাবে। একই সাথে/অথবা ব্যাকগ্রাউন্ড সার্ভিস থাকতে পারে যেন একটা প্যাটার্নে বাটন প্রেস করলে ইমার্জেন্সি কল চলে যায়।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ধন্যবাদ, চমৎকার একটা কাজ করার জন্য।
গুম ঠেকানোর কোন অ্যাপ আছে ভাই? বা যারা গুম হইছে তাদের ফেরত আনার?
কী অসাধারণ একটা কাজ যে করেছেন আপনারা।
অনেক অনেক শুভকামনা রইলো
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
অসাধারণ! সারা দেশেই এরূপ সুবিধা বাস্তবায়ন দরকার বলে মনে করি। অ্যাপ্লিকেশনের ডিজাইন ভাল, সহজবোধ্য এবং ফিচারসমূহ ইউজার ফ্রেন্ডলি বলেই ধারণা করছি। -রাকেশ শর্মা শাওন
খুবই ভালো লাগলো পোস্টটা পড়ে।আশা করছি এতে পুলিশের সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে সময় আর মান দুটোরই উন্নতি হবে।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ একটি তথ্যবহুল পোস্টের জন্য।
নতুন মন্তব্য করুন