• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function 'theme_imagefield_image' not found or invalid function name in theme() (line 669 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/theme.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function 'theme_imagefield_image' not found or invalid function name in theme() (line 669 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/theme.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function 'theme_imagefield_image' not found or invalid function name in theme() (line 669 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/theme.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

'সাফসুতরো অভিযান ০০১'

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ১৮/০৫/২০১৪ - ৯:৫৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

একদল নতুন বাচ্চাকাচ্চার সাথে একটা নতুন কাজ শুরু করলাম। ওদের অনেকে গেল বছর ভার্সিটিতে ভর্তি হয়ে ফার্স্ট ইয়ারে পড়ছে। আবার কেউ কেউ ক্লাস শুরুর অপেক্ষায় অলস সময় কাটাচ্ছে! বন্ধে ঘরে বসে থাকতে থাকতে ওদের অলস মাথা অবশ্য এখনও শয়তানের কারখানা হয়ে যায়নি বলেই মনে হল!! বরং আইডিয়ার কারখানা হয়ে গেছে বলা যায়! এমনই একটা আইডিয়া ছিল বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানগুলোতে পরিচ্ছন্নতা নিয়ে ক্যাম্পেইন করা। শুরুটা হল গতকাল, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে।

প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা একটু শেয়ার করি সবার সাথে। দুপুরের পরপর গিয়ে যেমন দেখলাম তাতে শহীদ মিনারের বেদী মোটামুটি পরিষ্কার বলেই মনে হল। অবশ্য দুপুরের আগ দিয়ে একবার ঝাড় দিয়েছিল বলেই পরিষ্কার লাগছিল কিনা কে জানে! এমনি সময় দূর থেকে দেখলে তো বেশ ময়লা চোখে পড়ে। চারপাশের ঘাস লাগানো জায়গাগুলোই তুলনামূলকভাবে বেশ ময়লা পেলাম। পরিষ্কার করতে গিয়ে বুঝলাম সিগারেটের ফিল্টার সবচেয়ে কমন আইটেম। আরেকটা জিনিস হল প্লাস্টিকের চায়ের কাপ। সাথে আছে হরেক রঙের আইসক্রিমের প্যাকেট। বাদামের খোসার কথা আর না বলি! আরো অনেক ধরণের ময়লাও ছিল। এক কোনায় দেখি কে যেন এক বস্তাভর্তি পঁচে যাওয়া আম ফেলে গেছে, মাছি ভনভন করছে। ৩০ জনের মতো ছেলেমেয়ে ঘণ্টাখানেক মতো সময় লাগিয়ে ছড়িয়ে থাকা দৃশ্যমান ময়লাগুলো একসাথে করে। একইসাথে ঝাড়ু, বেলচা এইসব দিয়ে আরেকদফা পরিষ্কার অভিযান চলে। বেলাশেষে দেখা গেল মোটামুটি ৪ফিট*৩ফিট*৩ফিট এর একটা ময়লার ঠেলাগাড়ি ভর্তি ময়লা জমে গেছে!!

বেশ কয়টা টিমে ভাগ হয়ে ময়লা পরিষ্কারের পাশাপাশি আমাদের ছেলেমেয়েরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসে থাকা মানুষজন, দোকানদারদের সাথে কথা বলে একটু ধারণা পাওয়ার চেষ্টা করেছে কেন, কিভাবে জায়গাগুলো ময়লা হচ্ছে। চেষ্টা করেছে তাদেরকে যেখানে সেখানে ময়লা না ফেলার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে। তবে মোটামুটি চারপাশটা ঘোরাঘুরি করেও আমরা নিজেরাই ময়লা ফেলার তেমন নির্দিষ্ট কোন জায়গা দেখলাম না। বরং পেছনে এক জায়গায় খুবই বিশ্রী ধরণের একটা ময়লার স্তুপ পাওয়া গেল। প্রতিদিনের ময়লাগুলো মনে হয় ওখানেই জমা করে। শহীদ মিনারের প্ল্যানে ময়লা কোথায় ফেলা হবে, কিভাবে ফেলা হবে এইসবের কী সমাধান দেয়া ছিল জানতে পারলে ভালো হতো।

এখন কথা হচ্ছে যে একদিন শহীদ মিনার পরিষ্কার করে কী লাভ হল?

হ্যাঁ, এটা নিয়ে আমরাও চিন্তা করছিলাম। আমাদের উত্তরটা বেশ সহজ। তেমন কোন লাভই হলো না। তবে একটা দিন, একটা বেলার জন্য হলেও প্রাঙ্গণটা ঝকঝক করছিল, দেখে আমাদের সবার মন ভাল হয়ে গেছে। আরেকটা ব্যাপার হয়েছে, বেশ কয়জন মানুষ আমাদের কাজ দেখে নিজেরাই হাত লাগিয়েছে ময়লা তোলায়। তাঁরা হয়তো সামনের দিন শহীদ মিনারে আড্ডা দিতে বসলে একটা ময়লা ফেলার আগে একটু হলেও দ্বিধাবোধ করবে। আরো একটা কাজ হয়েছে, আমাদের ৩০-৩২টা ছেলেমেয়ে যেখানে সেখানে ময়লা না ফেলার জন্য অনুপ্রাণিত হল। তারপর ধরেন সোশ্যাল নেটওয়ার্ককে কাজে লাগিয়ে আমরা এখন লেখা, ছবির এসবের মাধ্যমে আরো একটু সচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টা করব। এর মাধ্যমেও কিছু লাভ হবে মনে হয়। এই তো!

ইচ্ছা আছে সামনে আরো কিছু সাফসুতরো অভিযান চালানোর। আহসান মঞ্জিল কিংবা রমন পার্ক, লালবাগ কেল্লা কিংবা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। সাথে অনলাইন ক্যাম্পেইনও চলুক। সচেতনতা বাড়বে বলেই মনে হয়।

দেখা যাক! :)

- তানভীর আরাফাত ধ্রুব

(লেখা ব্যক্তিগত ফেসবুকে প্রকাশিত!)


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

শহীদ মিনারে যদি নিয়মিত অনেকে বসে আড্ডা মারে, এবং সেই আড্ডার উপজাত হিসেবে সিগারেটের পুটু, কলার খোসা, বাদামের ছিলকা, ইত্যাদি যোগ হয়, তাহলে সেগুলোকে মাঝেমধ্যে অনেকে মিলে সাফ করে দীর্ঘমেয়াদে দূর করা যাবে না। হয়তো কেউ ইচ্ছা করে শহীদ মিনার এলাকা ময়লা করতে চায় না, কিন্তু আড্ডা ছেড়ে উঠে ময়লা ফেলতে যাওয়ার কষ্ট করতে তারা নারাজ। সেক্ষেত্রে যেটা করা যেতে পারে, শহীদ মিনার এলাকায় কিছু বড় কাগজের ঠোঙার ডিসপেনসার আর দুটো বড় ময়লার মটকা বসাতে হবে। ঠোঙার ডিসপেনসার থেকে ঠোঙা নিয়ে লোকে আড্ডা মারতে বসবে, তারপর ওটার ভেতরেই বাদামের খোসা, সিগারেটের পুটু ইত্যাদি ময়লা ফেলবে, শহীদ মিনার এলাকা ছেড়ে যাওয়ার আগে ঠোঙাটাকে ময়লার মটকায় ফেলে দিয়ে যাবে। সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা নির্দিষ্ট বিরতিতে এরপর মটকা সাফ করলেই চলবে।

কাগজের ঠোঙার ডিসপেনসার বসানোর সুযোগ সিটি কর্পোরেশন নিজেই নিতে পারে, কিংবা কোনো প্রতিষ্ঠানও এগিয়ে আসতে পারে। খরচ খুবই কম।

শিশিরকণা এর ছবি

আড্ডা ছেড়ে উঠার কি দরকার, আড্ডা ভেঙ্গে যখন উঠবে তখন একবারে ময়লা গুলো তুলে নিয়ে ডাস্টবিনে ফেলে দিয়ে বাড়ির পথ ধরলেই হয়। উঠে গিয়ে খাবার কিনে আনতে কষ্ট লাগে না, কিন্তু ময়লা ফেলতে কষ্ট লাগে। মানসিকতাটাই যে তৈরি হয়নি!!!
ঢাকা শহরে আসলে ময়লা ফেলার জায়গাই নেই পর্যাপ্ত পরিমাণে। একবার সীমান্ত স্কয়ার থেকে আইস্ক্রীম কিনে খেয়ে তার প্যাকেট ফেলবার জন্য সায়েন্স ল্যাব হয়ে ধানমন্ডি ৬ নাম্বার অবধি হেটে হেটে এসেও একটা ডাস্টবিন পাই নি। শেষে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ময়লা নেয় এমন এক গাড়ি কাছে পেয়ে সেখানে ফেলতে হয়েছে।
কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান গুলো বিশাল ডাস্টবিন বসিয়ে সেগুলোকে বিজ্ঞাপনের বিলবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করতে পারে।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখাটা ভালো লাগল। মনে হচ্ছে দিন বদলাতে শুরু করেছে। দেখা যাক! :)

ফাহিমা দিলশাদ

অতিথি লেখক এর ছবি

ভালো লাগলো। বন্ধুরা মিলে ঢাকার বাইরে কোথাও গেলে সেখানকার পরিবেশ "সাফসুতরো" রাখার (এবং করারো) চেষ্টা করি। একবার বিছানাকান্দিতে গিয়ে অজস্র জুসের বোতল, চিপসের প্যাকেট কুড়িয়ে সিলেট শহর পর্যন্ত নিয়ে এসেছিলাম, আর একবার লাউয়াছড়াতেও একই কাজ করেছিলাম। তবে ঢাকার মাঝে এই রকম উদ্যোগ কখনও নেয়া হয়নি। (Y)

মেঘলা মানুষ এর ছবি

ভালো লাগলো আচনাদের উদ‌্যোগের কথা জানতে পেরে। ছোটবেলা থেকে একটা সাধারণ জিনিস শিখিয়ে দিলেই কিন্তু হয় যে ময়লা ফেলার জায়গা না পাওয়া পর্যন্ত সেটা হাতে রাখা ( অথবা ছেলেদের প্যন্টের পকেটে রাখা। কলার ছোলা রাখা যাবে না, তবে চিপসের প্যাকেট, বাদামের খোসার প্যাকেট এসব রাখা যায়)।

সিগারেটের গোঁড়ার বিষয়ে আমার একটা পরামর্শ আছে:
ধুমপায়ীরা সিগারেটের গোঁড়া (ফিল্টার)টা রাখার জন্য ছোট একটা বাক্স রাখতে পারেন সাথে। সিগারেটের প্যাকেট নিয়ে ঘোরা সম্ভব হলে, ব্যবহৃত ফিল্টারের প্যাকেট রাখতে কি সমস্যা? ছোট টং দোকান থেকে একটা একটা করে কিনে যারা খান, তারাও একটা কিছুতে মুড়ে পকেটে ফিল্টার রেখে দিতে পারেন।

শুভেচ্ছা সবাইকে :)

অতিথি লেখক এর ছবি

উদ্দোগটা খুবই ভাল! কিন্তু শহীদ মিনারকে একদিন কিংবা একবেলা পরিষ্কার রাকলে চলবে না। শহীদ মিনারের দায়িত্বে যারা আছে তাদেরকেই উদ্দোগ নিতে হবে শহীদ মিনারকে পরিষ্কার রাখার জন্য। দায়িত্বের অবহেলা করলে চলবে না। পাশাপাশি আমরা যারা সাধারন মানুষ আছি তাদেরও সচেতন হতে হবে। শুধু মাত্র নিজেদের শিক্ষিত হিসেবে দাবি করলে চলবে না। আমরা কতটুকু শিক্ষিত তারও প্রমান দিতে হবে, আমার মনে হয় সেই সময় এসেছে।
-এ এস এম আশিকুর রহমান অমিত

নীড় সন্ধানী এর ছবি

হাতের ময়লা যেখানে খুশী ছুঁড়ে ফেলা যে দেশে গণতান্ত্রিক অধিকার বলে মনে করা হয়, সেদেশে এরকম পরিচ্ছন্নতা অভিযান সাময়িক কাজ দিলেও দীর্ঘমেয়াদে কিছু হবে না। তবে দর্শনীয় স্থানসমূহে বর্জ্য ফেলার জিনিসপাতির অভাবটাও সত্য বটে। আপনাদের উদ্যোগটাকে সাধুবাদ। ছড়িয়ে যাক এই উদ্যোগের ডালপালা। (Y)

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

বন্দনা এর ছবি

উদ্যোগটা বেশ ভালো লাগলো। আমার একটা জিনিস মনে হয়, কোন জায়গা যদি এম্নিতে পরিষ্কার রাখা যায়, লোকে ময়লা ফেলতে একবার অন্তত ভেবে দেখবে।এই ধরনের কাজ দেখলে আশেপাশের মানুষের মাঝে পরিবর্তন আসা অস্বাভাবিক কিছু হবেনা হয়তো। আর একবার অভ্যেস হয়ে গেলে লোকে আর যেখানে সেখানে ময়লা ফেল্বেনা।আমি নিজে এখন দেশে গেলে, খাবার প্যাকেট হাতে নিয়ে হাটতে থাকি, ফেলতে পারিনা অভ্যেসের কারণে।

অতিথি লেখক এর ছবি

অনুপ্রাণিত হলাম।
শহর তো বটেই, আমাদের আশেপাশে কয়েকটি অভ্যারণ্য আছে, সেখানে পর্যটক আসেন প্রচুর। আর তার সাথে আসে চিপ্স-সিগারেট-ঠান্ডা পাণীয়র খালি বোতল আরো নানাবিধ উপকরণ। আর ফলাফলটা সহজেই অনুমেয়।
এ লেখা পড়ে একটা বদল আসুক, আশপাশটা আরেকটু দৃষ্টিনন্দন হোক এই স্বপ্নটা অন্তত দেখাই যায়, তাইনা?
-দীপালোক

দীনহিন এর ছবি

(Y)

.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল

অতিথি লেখক এর ছবি

(Y)

-আনন্দময়ী মজুমদার

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।