একটি মধ্যবিত্ত এলেবেলে

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ২১/০৫/২০১৪ - ৩:২৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

।। ১।। মা'র জন্মদিনে তাকে নিয়ে জিয়া উদ্যান ঘুরতে গিয়েছিলাম পড়ন্ত দুপুরে, দেখলাম, ১২-১৩ বছরের কতক নগ্ন, অর্ধনগ্ন কিশোর দুপুরের গরমের মাঝে জিয়া উদ্যানের পানিতে সাঁতরে বেড়াচ্ছে, আমাকে ঈর্ষান্বিত এবং বাকরুদ্ধ করে দিয়ে তাদের কয়জন জিয়া উদ্যানের প্রায় আড়াইতলা উঁচু ব্রিজটার ঠিক উপর থেকে ডাইভ দিয়ে পানিতে পড়তে লাগল! আর আমি ডি ইউর সুইমিংপুলে তিন মাস সাঁতার কাটলাম, অথচ সাহস করে ৩ মিটার উঁচু ডাইভিং বোর্ড থেকেও ডাইভ দিতে পারি নাই!!

।। ২।। আমার সব সময়ই মনে হত, রিকশাওলার জীবন অত্যন্ত আনন্দের। তার ইচ্ছা হলে সে রিকশা চালায়, না হলে চালায় না! খুব তাড়ার মাঝে আশে পাশে আর কোন বাহন না পাওয়ার পরেও কোন রিকশাওলার আলসেমির কারণে তার রিকশায় যখন উঠতে অসমর্থ হয়েছি তখন আমি সব সময়ই সেই আলস্যবিলাসী রিকশাওলাকে ঈর্ষা করে এসেছি, আর আমার খাঁচায় আটকানো জীবনকে অভিসম্পাত করেছি, কখনোই সেই রিকশাওলার উপর বিরক্ত হতে পারি নাই কেন জানি!

আর যখনই কোন আপন মানুষের সাথে গল্প করতে করতে রিকশা দিয়ে যাই, তখন প্রায়ই ভাবি, রিকশাওলা লোকটা ত আমার গল্পগুলি শুনে ফেললে রে! তখনো বিরক্ত হবার চাইতে, ঈর্ষাটাই কাজ করে। কত মানুষের কত না গল্প না জানি লোকটা জানে। আমি মনে হয় এরকম একটা কাজের জন্যে প্রাণপাত করে ফেলতে পারব, যেখানে আমার ইচ্ছা না হলে আমি পাব্লিকলি আলসেমি করব আর কোন কথা না বলে মানুষের জীবনের ঠেকঠোক্করের গপ্পো শুনতে শুনতে কাজ করে যেতে পারব।

।। ৩।। আমাদের বাসায় আমার বুঝের বয়স হবার পর থেকে একটা মানুষ মার কাজে সাহায্য করার জন্য দেখে আসছি, সে হল সিলেটের সালুটিকর চাবাগানের অধিবাসী সায়ারুন বুয়া, যার কাছে আমার সিলেটি ভাষার মুখেখড়ি! তার সাথে গল্প করতে বসলে আমি সবসময়ই দেখেছি তার জীবনের গল্প আমার জানা সেবা প্রকাশনীর তিন গোয়েন্দা আর কিশোর ক্লাসিকের রোমহর্ষক এডভেঞ্চার গুলোকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে। সে একসময় ভারতে মাল পাচারকারী দের দলে ছিল, জেল খেটেছে সাকুল্যে দুই বছর, সে সময় সাত খুন মাফের জামাই মেরে আসা মেয়েটার মত কোন একটা মেয়ে তার জেলের রুমমেট ছিল!!

।। ৪ এবং সর্বশেষ।। দিনশেষে ক্লান্ত আমি বাড়ি ফিরছিলাম, গুলশান-১ এর মোড়ে রিকশা থেকে নামলাম। চক্কর ক্রস করব বলে ট্রাফিক থামার অপেক্ষায়। রাস্তার পাশে ফুটপাতে ল্যাম্পপোস্টের পেছন থেকে পা’জামা ঢাকা একটা পা চোখে পড়ল, পা’জামার আরেকটা পা ফুটপাতের ধুলায় গড়াচ্ছে, পা বিহীন। ল্যাম্পপোস্টের গায়ে দাঁড় করানো একটা ঘুনে ধরা ময়লা ক্রাচ। ল্যাম্পপোস্টের পেছনটা দেখতে পাচ্ছিলাম না, কলকল হাসির শব্দ ভেসে আসছিল ব্যস্ত রাস্তার গাড়ির শব্দ ছাপিয়ে। ইতিউতি চাইলাম। একটা মেয়ে, হয়তবা আমার সমান বয়সই হবে কীনা, কোলে একটা পুতুলের মত শিশু দাঁড়িয়ে। সে খেলার ছলে বার বার মা’র গলার কাছে এসে পড়ছে আর অবিরাম হাসছে, আর মা তার সন্তানের আদিখ্যেতায় হাসি থামাতে পারছে না।

ব্যস্ত রাস্তার ব্যস্ততা আর গাড়ির হর্নের আওয়াজ মিউট হয়ে এল আমার কানে। একটা শব্দ মনে পড়ল, complete.
মেয়েটার একটা পা নেই, মাথার উপরে ছাদ ও হয়তবা নেই, হয়তবা দিনের খাবারটাও জোটাতে বেগ পেতে হয়, হয়তবা স্বামী নামের তথাকথিত প্রভু প্রভুত্ব স্বীকার করতে অস্বীকার করেছে তার, হয়তবা... জানিনা।

তবুও সমস্ত প্রতিকূলতার ঊর্ধ্বে, complete.

সিগনাল পড়ে। খেপা ঘোড়ার মত গাড়িগুলো থামে।
আমি রাস্তা পার করি। ঘুরে তাকাই। মেয়েটাও আমার দিকে তাকায়, হাসে সে।
হয়তবা ব্যঙ্গ করে এই আমাকে, আমার এই জীবনকে।

ছোটবেলা থেকে মধ্যবিত্ত জীবনের নানারকম সামাজিক আর প্যারেন্টাল চাহিদার খাঁচায় বড় হওয়া এই আমি, কেন যেন ছোটবেলা থেকেই চাহিদাগুলোকে আমার নিজের স্বপ্ন হিসেবে ভাবতে পারিনি কখনো, সেগুলো ছিল আমার জন্য শুধুই আমার স্বাধীনতা অর্জনের হাতিয়ার। স্বাধীনতা নামের বহু আরাধ্য শব্দটা আমার জীবনে নামিয়ে এনে নিজের ইচ্ছে গুলো পূর্ণ করার স্বপ্ন দেখতাম। সেই ছোট্টবেলা থেকে এটা করো না, ওখানে যেও নার প্যারেন্টাল নিষেধাজ্ঞা থেকে শুরু করে ভালো রেজাল্ট, ভালো বিষয়ে (ভালো বিষয় একটা কন্ট্রোভার্সিয়াল শব্দ, যে বিষয়ে পড়লে ভালো চাকুরি পাওয়া যায় সে বিষয় বোঝাচ্ছি, এগেইন ভালো চাকুরিও একখানা কন্ট্রোভার্সিয়াল শব্দ, সেই আলোচনা থাক) পড়াশুনা সব চাহিদা পূরণ করার পরেও দেখি এই পৃথিবীর মানুষের তৈরী করা লৌকিক চাহিদার শেষ নেই এখনো। সবচে’ বড় কথা, সেই চাওয়া গুলো পূর্ণ করতে করতে যে অদৃশ্য খাঁচায় নিজেকে আটকে ফেলেছি এতদিনে, তার থেকে এখন নিজেই নিজেকে বের করে আনতে পারি না প্রায়ই, নিজের ইচ্ছেগুলোকেও এখন শ্রদ্ধা করতে পারিনা সময় সময়। নিজেকে আবিষ্কারের এই লম্বা ভ্রমণে আমার নিজের সীমা তৈরি করে দিয়েছে এই সমাজ। ঠিক যেজন্য, একটা ১২-১৩ বছরের বাংলাদেশি কিশোরের তিনতলা থেকে ডাইভ দিবার মত ছোট্ট একটা কাজও আমার কাছে অসম্ভব দুঃসাহসিক হয়ে ধরা দেয়, ভরদুপুরের আলস্য উপভোগ করা রিকশাওলাকে আমার অসম্ভব ঈর্ষা হয়, খোঁড়া একটা চালচুলোহীন মেয়েকে তার সন্তান কোলে পথের ধারে খেলা করতে দেখে আমি পূর্ণতার সংজ্ঞা নতুন করে ভাবতে বসি। কিন্তু আমি যে খাঁচায় আটকা, ছোট্ট ছেলেটার মত পানিতে এক ঝাঁপ দিতে ইচ্ছে হলেও আমার মধ্যবিত্ত রুচিতে আটকায়, ঐ মেয়েটার মত ফুটপাতের ধারে ইচ্ছেখুশিমত বসতেও, ছিঃ কী বলবে মানুষ?!

আমার জীবনের সংজ্ঞা এখন দিনের দুটো সময়ে আটকে গেছে।
৯টা, আর সাড়ে পাঁচটা।

আলসেবুড়ি বিকেল আর টিমটিমে সন্ধ্যাগুলো ধোঁয়া ওঠা চায়ের কাপ হাতে, নিজের ভাবনা আর কাছের মানুষগুলোর ভাবনার সাথে কাটানো হয়না চাইলেও। এই পৃথিবীর কাছে নিজের মূল্য প্রমাণ করার লৌকিক চাহিদা মেটাবার চেষ্টায়, কেটে যাচ্ছে একেকটা দিন। আমি কী আসলেই তা প্রমাণ করতে চাই না? যদি না ই চাই, তাহলে কী চাই আমি?

সবচে’ বিচিত্র হচ্ছে, এইসব অদ্ভুতুড়ে প্রশ্ন করার পরেও, আমিই হয়ত হাতে কাজ না থাকলে বলব, সবাই কাজ করছে, আমার হাতে কাজ নেই কেন? সবাই চাকুরে আমি বেকার কেন? সবাই উচ্চতর ডিগ্রির পেছনে ছুটছে আমি ছুটছি না কেন? সমাজের চাওয়া গুলোকে প্রশ্ন করার পরেও এই আমিই নিজেকে আটকে রাখব সমাজ নামক খাঁচায়।

অদ্ভূত আমরা আর আমাদের মধ্যবিত্ত জীবন!
খাঁচায় থাকলে বেরোতে চাই, বাইরে থাকলে খাঁচায় এসে ভিড়তে চাই।
শেষ নেই বোধহয় এই টানাপোড়েনের।

জিয়া উদ্যানের সেই কিশোর, পড়ন্ত দুপুরের অলস রিকশাওলা, আমার বাড়ির জেল খাটা সায়ারুন বুয়া আর পথের ধারে সন্তান কোলে অবিরাম হাসতে থাকা ঐ বাঁধনহারা ছন্নছাড়া মানুষদেরকে ঈর্ষা করেই কী কেটে যাবে আমার এই লৌকিক চাহিদায় structured জীবন??

আলসেবুড়ি


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি যতক্ষণ লেখাটি পড়ছিলাম ততক্ষণ একধরনের ঘোরের মধ্যেই ছিলাম। চমৎকার একটি লেখা। যা যেকোন কারও মধ্যবিত্ত হৃদয়কে নাড়া দিয়ে যাবে। সত্যিই তো মধ্যবিত্ত শ্রেণী টা আসলেই যেন কেমন! ধন্যবাদ সুন্দর একটি লেখা উপহার দেওয়ার জন্য। --সাখাওয়াৎ।

অতিথি লেখক এর ছবি

যা পেয়েছি আমি তা চাই না
যা চেয়েছি কেন তা পাই না

হয়ত আমরা এমনই চিন্তিত

ফাহিমা দিলশাদ

অতিথি লেখক এর ছবি

সচল কমবেশি পড়ি আজ অনেক অনেক দিন, এত বাঘা বাঘা মানুষের মাঝে লেখা দিতেও কেমন যেন দুরু দুরু ঠেকছিল। দেব কী দেব না করে দিয়ে দিলাম।

@সাখাওয়াৎ, ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। আমার এরকম সাদামাটা লেখাতে আপনার ঘোর লেগেছে জেনে সত্যিই অনেক ভালো লাগল।

@ফাহিমা দিলশাদ, মুক্তির জায়গা খুঁজে মরি নিয়ত। আবার নিয়ত ভাবি মুক্তিটা কী আসলেই চাই?? আবার অন্য দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে, আমি যে এভাবে ভাবতে পারছি, সেটাও তো একধরণের মুক্তি। নিজের অস্থির চিন্তাভাবনার জন্য হয়তবা সেটাই সান্তনা।

______________________
আলসেবুড়ি

দীনহিন এর ছবি

লেখা ভাল লেগেছে, ভাবনাগুলো ভাবিয়েছে!

আমি সবসময়ই দেখেছি তার জীবনের গল্প আমার জানা সেবা প্রকাশনীর তিন গোয়েন্দা আর কিশোর ক্লাসিকের রোমহর্ষক এডভেঞ্চার গুলোকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে।

গল্পগুলো কিন্তু আমাদেরও শোনাতে পারেন!

এই পৃথিবীর কাছে নিজের মূল্য প্রমাণ করার লৌকিক চাহিদা মেটাবার চেষ্টায়, কেটে যাচ্ছে একেকটা দিন। আমি কী আসলেই তা প্রমাণ করতে চাই না? যদি না ই চাই, তাহলে কী চাই আমি?

কঠিন আত্মজিজ্ঞাসা!

.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল

গৃহবাসী বাউল এর ছবি

সচল কমবেশি পড়ি আজ অনেক অনেক দিন, এত বাঘা বাঘা মানুষের মাঝে লেখা দিতেও কেমন যেন দুরু দুরু ঠেকছিল। দেব কী দেব না করে দিয়ে দিলাম।

আফনের এত্তগুলা বিনয় ক্যারে?

লেখা চলুক। ভাল হয়েছে। আপনার মাঝে একজন বাঘা লেখকের ছায়া দেখতে পাচ্ছি।

-----------------------------------------------------------
আঁখি মেলে তোমার আলো, প্রথম আমার চোখ জুড়ালো
ঐ আলোতে নয়ন রেখে মুদবো নয়ন শেষে
-----------------------------------------------------------

মেঘলা মানুষ এর ছবি

লেখা ভালো লেগেছে, ঝরঝরে (এবং ঈর্ষণীয়!)
আরও লেখা আসুক। তবে, ইংরেজির ব্যবহার বেশি লেগেছে কিছু কিছু জায়গায়।
এগেইন ভালো চাকুরিও =আবার, ভালো চাকুরিও -এরকম।

ভালো থাকুন, শুভেচ্ছা হাসি

এক লহমা এর ছবি

আলসেমি কাটিয়ে উঠে লেখা দেবার জন্য ধন্যবাদ। সচলে লেখালেখিতে স্বাগতম। আরো এরকম লেখা দিতে থাকুন, আমরা পড়তে থাকি। হাসি

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবান দীনহিন, সে মানুষটির জীবনের গল্প যদি আলসেবুড়ি তার আলসেমি কাটিয়ে লিখে উঠতে পারে তবে অবশ্যই শুনবেন। আর লিখে উঠতে পারলে এরকম আত্মজিজ্ঞাসা দিয়ে আপনাদেরকে ভাবিয়েই তুলব। ভাবনার গতি করা কেন জানি একদমই হয়ে উঠে না আমার। ইয়ে, মানে...

সচলে মাদুর পেতে বসে থাকা এক লহমা আমার পরের লেখা পড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন, লৌকিক চাহিদার একেকটা দিন এরকম একেকটা ঘটনায় কালে ভদ্রে আনন্দ দেয় বলেই বোধ হয় বেঁচে থাকাটা এর মাঝেও অর্থ পায়। অবশ্যই পড়বেন, কিন্তু ঐ যে, আবার আলসেমি কাটিয়ে গা ঝাড়া দিয়ে উঠলেই! আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

____________________________
আলসেবুড়ি

অতিথি লেখক এর ছবি

আমরা মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন সবাই মনে হয় প্রায় একই রকম। কি চাই আর কি চাই না তা নিজেরাই জানি না। কেউ যেন আমাদের ইচ্ছেগুলোকে নিয়োণত্রন করে। এক কন্ফিউজ জীবণ-যাপন!
-এ এস এম আশিকুর রহমান অমিত

অতিথি লেখক এর ছবি

গৃহবাসী বাউল ভাই, আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- ছায়া না কী জানি দেখলেন শুনে ভালো যেমুন লাগল, ইট্টু ভয়ও লাগল, কারণ এক্সপেকটেশন ভয় পাই।
অফটপিক, আপনার দেশের বাড়ি কী কুমিল্লা? দ্রষ্টব্যঃ আফনের এত্তগুলা বিনয় "ক্যারে"? খাইছে

মেঘলা মানুষ, আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- নেন। অল্প সল্প লিখি তো, একটা ইংরেজি শব্দ যদি বাই ডিফল্ট চলে আসে তাহলে আমি আর বদলাই না যদি সেটা দিয়েই যা বলতে চাচ্ছি তা আমার দিক থেকে ভালভাবে কমিউনিকেট করা যায়। এই যে শেষ বাক্যটাতেও ব্যপারটা ঘটল। তবে হ্যাঁ, কমাতে পারলে ভাল সে ব্যাপারে সহমত। খেয়াল করব পরের লেখায়।
ভাল থাকুন, শুভেচ্ছা আপনাকেও।

@অমিত, নিয়ন্ত্রন টা নিজের কাছে একবার নিয়ে দেখুন, নিজের ইচ্ছেগুলোকে কিছুদিন শ্রদ্ধা করে দেখুনই না কী হয়!
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

____________________________
আলসেবুড়ি

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

আলসেবুড়ি,

আমি যখন ছোট ছিলাম তখন ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হতে চাইনি, হতে চেয়েছিলাম ট্রাক ড্রাইভার। ঘুরে বেড়ানোর প্রচন্ড নেশা ছিল। তখন ভাবতাম আহারে ট্রাক ড্রাইভাররা কত জায়গায়ই না ঘুরে বেড়ায়! আমার এই বাসনার কথা কাওকে বলতে পারিনি। জানতাম বাবা-মা শুনলে প্যাদানির ভয় আছে।

এরকম আরো কত ইচ্ছাই না ছিল। আপনার লেখাটা পরে উদাস হয়ে গেলাম। যাহোক লেখা ভাল লেগেছে। আরো লিখুন।

সোহেল লেহস

হাসিব এর ছবি

৯টা, আর সাড়ে পাঁচটা।

সাড়ে ৫টার সময় যারা অফিস থেকে বের হতে পারে তারা কিন্তু ঢাকা শহরে এক অর্থে ভাগ্যবান হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ, আনোয়ার সাদাত শিমুল।

সোহেল লেহস, ছোট বেলার কথা বলছেন তো? আমার এখনকার ইচ্ছে হচ্ছে বান্দরবানের কোন গ্রামে একটা উপজাতি শিশুদের স্কুলে বাংলা পড়াই, আর সেখানেই মাচা বাঁধা একটা বাড়িতে থাকি। আমি এই অদ্ভুতুড়ে ইচ্ছেগুলো আছে বলেই বেঁচে থাকি, নাহলে এই ভোগবাদী পৃথিবীর কাছে নিজেকে প্রমাণ করার চেষ্টায় কবেই ক্লান্ত হয়ে ক্ষ্যান্ত দিতাম।

ভাই হাসিব, শুধু ঐ এক অর্থে কেন, অনেক অর্থেই আমি/আমরা ভাগ্যবান। এক অর্থে আমার কথাগুলো বিলাসিতা। অন্য অর্থে নির্মম সত্য। যেভাবে আপনি দেখেন। অনেক ভালো লাগল কমেন্টবক্সে আপনার সাড়া পেয়ে। ভালো থাকুন।

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখাটা পড়ে অনেক ভাল লেগেছে। বলার ধরনটাও অনেক ভাল ছিল। ঠিক যেন নিজের কথাগুলো অন্যের জবানবন্দীতে। লেখা চলতে থাকুক। নিরন্তর শুভ কামনা।

রায়হান শামীম

মরুদ্যান এর ছবি

চলুক

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।