[আইজ্যাক আসিমভ আমার অন্যতম প্রিয় লেখক। তার 'হাঊ ডিড উই ফাইন্ড আউট' সিরিজের 'যেভাবে আমরা জানলাম পৃথিবী গোলাকার' বইটি অনুবাদের একটি প্রচেষ্টা নিলাম। আজ শেষ পর্ব]
যেভাবে আমরা জানলাম পৃথিবী গোলাকার- আইজ্যাক আসিমভ (দ্বিতীয় পর্ব)
যেভাবে আমরা জানলাম পৃথিবী গোলাকার- আইজ্যাক আসিমভ (প্রথম পর্ব)
আমাদের পৃথিবী কতটা বড় ?
অ্যারিস্টটলের পর থেকে সবাই মেনে নিয়েছিল পৃথিবী গোলাকার। কিন্তু সেই গোলকটা কত বড়?
পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে হাঁটা শুরু করে আবার শুরুর বিন্দুতে আসলে কতটা পথ হাঁটা হল সেটা যদি হিসেব করা হয় সেটা হবে পৃথিবীর পরিধি। এটা একটা উপায় হতে পারে।
তবে তা বাস্তবসম্মত নয়। কেউ হাঁটা শুরু করলে একসময় সে সমুদ্রের পাড়ে চলে আসবে। এবং তখন তাকে হাজার হাজার মাইল সমুদ্রে পাড়ি দিতে হত। গ্রিকরা সেই সময় হাজার মাইল পাড়ি দেয়ার মত জাহাজ তৈরি করা শিখেনি।
তবে অন্য কোন পদ্ধতি কি নেই পৃথিবীর ব্যাসার্ধ পরিমাপের? এরাটোসথেনিস নামের একজন বিজ্ঞানী খ্রিষ্টপূর্ব ২৪০ সালে একটি পদ্ধতি আবিষ্কার করেছিলেন।
তার যুক্তিটি ছিল এরকম, যদি পৃথিবী গোলাকার হয়ে থাকে তবে সূর্যের আলো পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে বিভিন্ন কোণ তৈরি করে আপতিত হবে। ধরুন আপনি এমন এক জায়গায় আছেন যেখানে সূর্য একেবারে আপনার মাথার উপর, ফলে তা আপনার উপর লম্বভাবে আলো দিচ্ছে। কিন্তু কয়েকশ’ মাইল দূরে সূর্যের আলো সামান্য কোণ করে মাটিতে পড়বে। আপনার অবস্থান থেকে যতদূরে থাকবে দ্বিতীয় বিন্দুটি, আলোর রশ্মি তত বাঁকা হয়ে মাটিতে পড়বে, কোণের মান তত বড় হবে। যেহেতু পৃথিবী গোল, এমনটিই হওয়া উচিত। সেই কোণের মান ছায়ার দৈর্ঘ্য মেপে পরিমাপ করা যায়। ধরুন, একটা কাঠের দন্ড নিলেন সেটিকে মাটিতে দাঁড় করালেন। সেটি যদি কোণ ছায়া না দেয়, মানে সূর্য আপনার মাথার উপরে। যদি সূর্য মাথার উপরে না থাকে, তবে ছায়া পড়বে। সূর্য আপনার সাথে যত কোণ করে থাকবে, তত বড় ছায়া সৃষ্টি হবে।
সেক্ষেত্রে, ধরুন, দুটো একই দৈর্ঘ্যের কাঠের দন্ড দুটি আলাদা জায়গায় রাখা আছে। একটা কাঠি থেকে আরেকটা দণ্ড দূরত্ব ৫০০ মাইল। প্রথম দণ্ডটির ওপর আলো পড়ে লম্বভাবে, ফলে কোন ছায়া তৈরি হয় না। কিন্তু দ্বিতীয় দণ্ডটির ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র একটা ছায়ার সৃষ্টি হবে, কারণ সূর্যের আলো সেটির ওপর সামান্য বাঁকা হয়ে পড়ে।
যদি পৃথিবী বিশাল আকারের একটা গোলক হয়, তবে ৫০০ মাইল দূরত্বের জন্য পৃথিবীর পৃষ্ঠ খুব একটা বাঁকবে না- সামান্য একটু বাঁকবে। কিন্তু পৃথিবীর ব্যাসার্ধ যদি বেশ ছোট হয়, তবে পৃথিবীর পৃষ্ঠ ৫০০ মাইলে বেশ খানিকটা বেঁকে যাবে। এর ফলে দ্বিতীয় দণ্ডটির ছায়াও বড় হবে।
জ্যামিতির প্রাথমিক ধারণাগুলো ব্যবহার করে ছায়ার দৈর্ঘ্যের এই পার্থক্য পরিমাপ করে খুব সহজেই পৃথিবীর আকার সম্বন্ধে ধারণা করা যায় ।
এরাটোসথেনিস জানতেন জুনের ২১ তারিখে, বছরের সবচেয়ে বড় দিনে সিয়েন (SYENE) শহরে (মিসরের একটি শহর) যদি একটি কাঠের দণ্ড বসানো হয়, সেটি কোন ছায়া তৈরি করে না। এরাটোথেনিস আলেকজান্দ্রিয়া শহরে কাজ করতেন, যেটি ছিল মিসরের উত্তরে। তিনি জানতেন তার শহরে সেদিন একটা কাঠের দণ্ড অবশ্যই ছায়া তৈরি করবে। একইসাথে তিনি জানতেন সিয়েন থেকে আলেকজান্দ্রিয়ার দূরত্ব ৫০০ মাইল।
এই তথ্যগুলো ব্যবহার করে তিনি পৃথিবীর পরিধি নির্ণয় করলেন ২৫০০০ মাইল, আর ব্যাস মোটামুটি ৮০০০ মাইল।
তবে সবাই এরাটোথেনিসের সাথে একমত হননি। অনেকেই মনে করেছিলেন তার হিসাবে ভুল আছে। কয়েকজন নতুন করে হিসাব করলেন। নতুন হিসাব মতে পৃথিবীর পরিধি ১৮০০০ মাইলের চেয়ে বেশি হওয়া সম্ভবই না।
১৫০ খ্রিষ্টাব্দে, গ্রিক জ্যোতির্বিজ্ঞানী টলেমি ভূবিজ্ঞান সংক্রান্ত একটি বই লিখেন যেখানে তিনিও ১৮০০০ মাইলকেই পৃথিবীর ব্যাস বলে স্বীকার করে নেন। পরবর্তী ১০০০ বছর পর্যন্ত “ভূবিজ্ঞানের বাইবেল” হিসেবে গণ্য করা হয়েছে বইটিকে।
১৪০০ সালের দিকে পৃথিবীর আকার আবারও গুরুত্ত্বপূর্ণ ব্যাপার হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়। পশ্চিম ইউরোপের লোকেরা পূর্বের সাথে বাণিজ্য যোগাযোগ স্থাপনের জন্য ব্যাপক উৎসাহী ছিল। তারা ভারত, চীন আর দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দ্বীপগুলোর সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপনের চিন্তা করছিল। একত্রে এই পুরো এলাকার নাম দেয়া হয়েছিল “ইন্ডিজ”
বিভিন্ন রকম মসলা, রেশমসহ নানা জিনিসের বিশাল সম্ভারের কারণে ইউরোপীয় বণিকরা ইন্ডিজের প্রতি আগ্রহী ছিল। কিন্তু সেই দেশে পৌঁছানোর সহজ রাস্তা কেউ জানত না। হাজার হাজার মাইল ভূখন্ড পাড়ি দিয়ে হয়ত ভারতবর্ষে পৌঁছানো সম্ভব ছিল। তবে হাজার হাজার মাইল পাড়ি দেয়া একটা ঝক্কি, তার ওপর এমন অনেক দেশ মাঝে পাড়ি দিতে হত, যাদের সাথে ইউরোপীয়দের সম্পর্ক ভালো ছিল না।
সেই তুলনায় সমুদ্র পাড়ি দিয়ে “ইন্ডিজে” বা ভারতবর্ষে পৌঁছানো হয়ত সহজ, কিন্তু কেউ জানত না তা কীভাবে সম্ভব। একটা সম্ভাব্য পথ ছিল আফ্রিকা ঘুরে যাওয়ার। কিন্তু সেই সময়ে কেউ আফ্রিকার আকার আয়তনও ঠিকমত জানত না। ১৪১৮ সাল থেকে পর্তুগিজরা আফ্রিকার উপকূল আবিষ্কারের জন্য জাহাজ পাঠানো শুরু করে। অবশেষে ১৪৮৭ সালে আফ্রিকার দক্ষিণ প্রান্তে পৌঁছানো সম্ভব হয়।
এই সময় ইতালির ক্রিস্টোফার কলম্বাস চিন্তা করতে থাকেন আদৌ আফ্রিকা হয়ে ভারতবর্ষে যাওয়া জরুরী ছিল কিনা। বিশাল এক দূরত্ব পাড়ি দিয়ে প্রথমে আফ্রিকার দক্ষিণ উপকূলে পৌঁছানো, তারপর আবার ভারতবর্ষের উদ্দেশ্যে যাত্রা করা- এর চেয়ে সহজ রাস্তা নিশ্চয়ই আছে, কলম্বাস ভাবলেন।
ইউরোপের পশ্চিম প্রান্ত থেকে এশিয়ার পূর্ব প্রান্তের দুরত্ব কয়েক হাজার মাইল। সেই হাজার মাইলের দূরত্ব পৃথিবীর গোল পৃষ্ঠের কারণে বাঁকানো। হয়ত এই বিশাল দুরত্ব পৃথিবীর পরিধির প্রায় সমান। পৃথিবী যেহেতু গোল, পূর্ব দিকে রওনা হয়ে এত বিশাল দুরত্ব পাড়ি না দিয়ে সরাসরি পশ্চিম দিকে রওনা হলেও তো সেই বিন্দুতে পৌঁছানো সম্ভব।
যদি পৃথিবীর পরিধি হয় ২৫০০০ মাইল (এরাটোসথেনিস যা ভেবেছিলেন), আর ইউরোপ পূর্ব দিকে ভারতবর্ষের দূরত্ব যদি হয় ১২০০০ মাইল হয়, তবে কলম্বাসকে পশ্চিমে ১৩০০০ মাইল পথ পাড়ি দিয়ে ভারতে পৌঁছাতে হবে। সেই সময়ে এই রকম জাহাজ ছিল না যাতে এই দুরত্ব অতিক্রম করা সম্ভব ছিল।
কিন্তু পৃথিবীর পরিধি যদি মাত্র ১৮০০০ মাইল হয়ে থাকে (টলেমি যা বলেছিলেন), আর ইউরোপ থেকে ভারত যদি পূর্ব দিকে হয়ে থাকে ১২০০০ মাইল, তবে মাত্র ৬০০০ মাইল সমুদ্র পাড়ি দিয়ে কলম্বাস ভারতে পৌঁছাতে পারতেন। আর সবাই জানত এশিয়ার পূর্বে আর ইউরোপের পশ্চিমে বহু দ্বীপ আছে। সেই হিসাব করলে হয়ত মাত্র ৩০০০ মাইল সমুদ্রপথ অতিক্রম করলেই ভারতের পূর্বপ্রান্তে দ্বীপগুলোতে পৌঁছনো সম্ভব; পূর্ব দিকে ১২০০০ মাইল অতিক্রম না করে শর্টকাট ব্যবহার করলে।
কলম্বাস স্পেনের রাণীকে তার ৩০০০ মাইলের হিসাব বোঝালেন, তিনি রাজি হলেন কলম্বাসকে সহায়তা করতে। ১৪৯২ সালের আগস্টে কলম্বাস পশ্চিমে রওনা হলেন।
দেখা গেল কলম্বাসের হিসাব ভুল। আসলে ভারতবর্ষ ইউরোপ থেকে বহু বহু মাইল দূরে ছিল। তবে তিনি জানতেন না ইউরোপ আর এশিয়ার মাঝে বিশাল এক ভূখণ্ডের অস্তিত্বের কথা।
১৪৯২ এর অক্টোবরের ১২ তারিখে কলম্বাস সেখানকার ছোট একটা দ্বীপে পৌঁছালেন। তিনি ভেবেছিলেন তিনি হয়ত ভারতবর্ষের প্রায় কাছাকাছি এসে পড়েছেন। তিনি চলতে থাকলেন, সামনে পেলেন আরও বড় কিছু দ্বীপ। কলম্বাসের ভুলের কারণে সেই দ্বীপগুলোকে আজ আমরা জানি “ওয়েস্ট ইন্ডিজ” নামে (কলম্বাস ভেবেছিলেন তিনি ভারতের পশ্চিম প্রান্তে চলে এসেছেন, সেই দ্বীপ গুলো তাই ওয়েস্ট ইন্ডিজ নাম দিয়েছিলেন তিনি)।
কলম্বাস সেই দ্বীপের অধিবাসীদের ইন্ডিয়ান বলতেন এবং আমরা তাদের আজও সেই নামে চিনি।
১৫০৬ সালে কলম্বাসের মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি নিশ্চিত ছিলেন যে তিনি ভারত আবিষ্কার করেছেন, তবে অন্যরা এই ব্যাপারে সন্দিহান ছিল। যারা স্থলভাগ অতিক্রম করে চীন পর্যন্ত গিয়েছিল, তাদের বিবরণের সাথে কলম্বাসের বিবরণের আকাশ পাতাল ফারাক।
অনেকে ভেবেছিল কলম্বাস যে ভূমি আবিষ্কার করেছেন, সেটি নতুন এক মহাদেশ। সেই অনেকের মধ্যে ছিলেন ইতালির নাবিক আমেরিকাস ভেসপুচি। জার্মান ভুতত্ত্ববিদ মারটিল্ট ভাল্ডসিমুলার বললেন ভেসপুচিই সঠিক, কলম্বাস নতুন এক মহাদেশ আবিষ্কার করেছেন। নতুন মহাদেশের নাম রাখা হল আমেরিকা- আমেরিকাস ভেসপুচির সম্মানে।
এসব ঘটনার সময়েই পর্তুগাল ভারতবর্ষে পৌঁছে গিয়েছিল। স্পেন নতুন মহাদেশ ছাড়া কিছুই আবিষ্কার করতে পারেনি, আর এই নতুন মহাদেশটা আবার ভারতের মত উন্নত বা ধনী- কিছুই ছিল না।
সেই সময়ে পর্তুগীজ এক নাবিক, ফারদিনান্দ ম্যাগেলান নিজের সরকারের উপর বিরক্ত হয়ে স্পেনে পাড়ি জমান। তার ধারণা ছিল পর্তুগীজ সরকার তার বিশ্বস্ততার কোন মূল্য না দিয়ে তাকে বরং উপেক্ষা করেছেন। তিনি স্পেনের রাজাকে বললেন ভারতবর্ষে তিনি পৌঁছাতে পারবেন আফ্রিকা না হয়েই। তবে পর্তুগীজদের সাথে এজন্য লড়াই করতে হতে পারে। যা করতে হবে তা কলম্বাসের মতই- পশ্চিম বরাবর রওনা হতে হবে। তবে আমেরিকা পাড়ি দিয়ে আরও যেতে হবে।
১৫১৯ সালে পাঁচটা জাহাজ নিয়ে ম্যাগেলান রওনা হলেন। তিনি দক্ষিণ আমেরিকা পৌঁছালেন আর তা পার করার জন্য উপায় খুঁজতে লাগলেন। অবশেষে তিনি একেবারে দক্ষিণ প্রান্তে পৌঁছাতে সক্ষম হলেন একটা সরু পথ বরাবর যাকে আজও বলা হয় “স্ট্রেইটস অফ ম্যাগেলান” বা “ম্যাগেলানের পথ”
তারপর তিনি নতুন মহাসাগরে এসে পৌঁছালেন। সপ্তাহের পর সপ্তাহ শান্ত সমুদ্রে ভেসে বেড়ালেন। শান্ত এই সমুদ্রের নাম তিনি দিলেন প্রশান্ত মহাসাগর (প্যাসিফিক ওশেন), তবে প্রশান্ত মহাসাগরেও কিন্তু ঝড় হয় অন্যান্য মহাসাগরের মতই, ম্যাগেলানের ভাগ্য ভালো তিনি ঝড়ের কবলে পড়েননি।
ম্যাগেলান দেখলেন এই বিশাল এই মহাসাগরের আশেপাশে কোন ভূখণ্ডের চিহ্নমাত্র নেই। যখন তারা গুয়ামে পৌঁছালেন, জাহাজের মানুষরা খাবারের অভাবে প্রায় মারা যাওয়ার জোগাড় হয়েছিল।
জাহাজ এরপর রওনা করল ফিলিপিন দ্বীপে যেখানে ম্যাগেলান দ্বীপবাসীর সাথে যুদ্ধে নিহত হলেন।
তবে অভিযাত্রা থেমে থাকেনি। অবশেষে ১৫২২ সালে, তিন বছরের অভিযান শেষে ম্যাগেলানের জাহাজ স্পেনে ফেরত আসল। পাঁচটা জাহাজের একটিই ফেরত এসেছিল, সেই জাহাজে ছিল মাত্র ১৮ জন মানুষ!
ম্যাগেলানের অভিযান ছিল পুরো পৃথিবী ঘুরে আসার প্রথম কোন সফল উদ্যোগ। এই অভিযানের লিপিকৃত রেকর্ড থেকেই শেষ প্রমাণ পাওয়া যায় পৃথিবীর বিশালতা সম্পর্কে। দেখা গেল ১৮০০ বছর আগের এরাটোথেনিসের হিসাবই সঠিক ছিল। তিনি ছায়ার আকৃতি দেখে ঠিকভাবেই পৃথিবীর আকার নির্ধারণ করেছিলেন।
পৃথিবীর আকার মোটামুটি ২৫০০০ মাইলের মতই, পরিধিতে। টলেমি ও তার অনুসারীরা, যারা ভাবতেন পৃথিবীর পরিধি ১৮০০০ মাইল, তারা ভুল ছিলেন।
তারপরও যদি টলেমি এই ভুল না করতেন, কলম্বাস হয়ত তার দুঃসাহসিক অভিযানে নামতেন না। তখন কলম্বাস জানতেন এত বিশাল দূরত্ব পাড়ি দেয়া কখনোই সম্ভব না। আর কলম্বাস যদি রওনা না হতেন, আমেরিকা হয়ত আরও বহু বছর অনাবিষ্কৃতই থেকে যেত। ভুলও কখনো কখনো সঠিক হওয়ার চেয়ে বেশি কার্যকরী।
তবে ম্যাগেলানের এই অভিযানই পৃথিবীর আকার সম্পর্কে শেষ প্রমাণ নয়।
১৯৬১ সালের শুরু থেকেই নভোচারীদের মহাশূন্যে পাঠানো শুরু হয়েছিল পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করার জন্য। শেষে ১৯৬৯ সালে মানুষ চাঁদে পৌঁছাল। মহাশূন্য থেকে মানুষ পৃথিবীকে দেখতে পেল ঠিক তেমনি যেমনি আকাশে আমরা দেখি সূর্য, চাঁদ কিংবা তারাকে।
নভোচারীরা দেখলেন গোলাকার পৃথিবীকে, যখন তারা সেই ছবি ক্যামেরাবন্দী করে নিয়ে এলেন আমাদের জন্য, আমাদেরও সৌভাগ্য হল সেই ছবি দেখার।
২৫০০ বছর আগে গ্রিক দার্শনিকরা আকাশের তারা, চন্দ্রগ্রহণ আর সমুদ্রে জাহাজের অদৃশ্য হওয়ার ঘটনা থেকে যে ধারণা করেছিলেন, সেটি সঠিক ছিল- পৃথিবী গোলাকার; সমতল নয়।
আহাদুল ইসলাম ফেসবুক
মন্তব্য
ভাল লাগল।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
চমৎকার অনুবাদ । এক বসায় পুরো সিরিজটাই পড়ে ফেললাম ।
পরিশ্রম করে পুরো সিরিজটা শেষ করার জন্য আপনাকে বাহবা দিতেই হবে।
আপনার লেখার ভঙ্গিটা সহজ ও সুপাঠ্য। সত্যি বলতে, 'পড়ার আনন্দ' নিয়েই লেখাগুলো পড়ে ফেলেছি।
আরও লেখার প্রত্যাশা থাকলো।
ভালো থাকুন, শুভেচ্ছা
নতুন মন্তব্য করুন