কে যেন বলেছিলো বৃষ্টির দিনে নাকি গাঢ় নীল রঙের জামা পড়তে হয়। কে বলেছিলো এতদিন পর আর মনে পড়ে না। তবুও কথাটা সত্যি মনে করে আজ বেশ খুশি খুশি লাগছে! কারণ, কাকতালীয় ভাবে আমার এখন গাঢ় নীল রঙের শার্ট।
আমি অবশ্য দুপুরের কটকটে রোদ দেখেই বের হয়েছিলাম বাসা থেকে। সে দুপুর যাত্রাবাড়ী যেতে যেতেই কেমন মেঘলা হয়ে আসলো। যাত্রাবাড়ীতে তো এখন একশটা রাস্তা। একটা উড়াল দিয়ে উপরে চলে গেছে, একটা ডানে , একটা বামে, একটা আবার উড়াল সেতুর নিচ দিয়েও আছে। ঢাকায় নতুনদের মতো সহজ ভাষায় 'হাউড়া' হয়ে যেতে হয় এখানে এসে! কোনদিক যাবো কি করবো বুঝে উঠা মুশকিল। এদিক ওদিক খুঁজে শেষে বিকল্প বাসে এ উঠে বসলাম। পলাশি যাবো।
বাস ছাড়তেই ড্রাইভার সাহেব আনমনে বলে উঠলো, "অখন একটা কঠিন বৃষ্টি আইতো!" ,মনে মনে হাসলাম। এ দেশে সবাই একই সাথে একই ভাবে একই চিন্তা করার ঘটনা খুব বেশি না। মেঘের এই রং তামাশা বেশ কয়েকদিন ধরেই চলছে। ছটফটে বাচ্চার মতো একটুতেই মুখ কালো করে রাখে, আবার সূর্যের একটু আদরেই ঝলমল করে হেসে ওঠে! মধ্যিখানে শুধু একটা স্নিগ্ধ বাতাস থেকে যায়। বৃষ্টির আর আসে না।
বাস ড্রাইভারের কথাতেই কি না কে জানে, যাত্রাবাড়ীর মেঘলা দুপুর গুলিস্তান আসতে আসতেই 'কঠিন বৃষ্টি' হয়ে একেবারে সদলবলে ঝাঁপিয়ে পড়লো। ঝুম ঝুম ঝুম বৃষ্টি! আহ! কতোটা তৃষ্ণার্ত ছিলো ঢাকা? যতক্ষন না তিয়াস মিটলো, কালো পিচের মধ্যে পড়ে ম্যাজিক এর মতো উধাও হয়ে যাচ্ছে বৃষ্টির ফোঁটা গুলো।
আজকে কেউ দৌড়ে পালাচ্ছে না বৃষ্টি দেখে, বাস এর জানালা টেনে দেবার অতো তাড়াও নেই কারো।
"এখন সারাদিন নাম বাপ! কোনো সমস্যা নাই", বাস ড্রাইভারের গলায় খুশির আভাস।
জানালায় আমার শার্টের হাতা টা ভিজতে থাকলো। আমার লেখা, বাস ড্রাইভার স্বগোতক্তি , বিশ বছরের তরুনীর ফেসবুক স্ট্যাটাস- সবার মনের কথা আজ এক।
"এসো নীপ বনে? এসো ছায়া বিথী তলে এসো? করো স্নান নব ধারা জলে?"
আকাশ অন্ধকার করে মেঘলা বাতাসের ঝাপটাটা লাগা মাত্রই , কথা বলার, কাছে পাবার আকুলতাটা কে আমাদের জিনে ঢুকিয়ে দিয়েছে? প্রচ্চন্ড অভিমান, অপমান, হৃদয় এর এক অংশ অবশ করে রাখা যে অবসাদ, হঠাৎ করেই যেন সব অর্থহীন মনে হয়। মনে হয়, আরেকবার কথা বলি?
মোবাইলটা হাতড়ে নাম্বারটা খুঁজে পাই না। একটা সময় মুখস্ত ছিলো! নতুন মোবাইল। আগেরটা হারিয়ে যাওয়ার পর আর নাম্বারটা সেইভ করে রাখা হয় নি। হয়তো ফোন করলেও ধরতো না। না ধরতো। আমি তো খুঁজেছিলাম, ভেবেছিলাম! এটুকু জানা থাকুক? একরাশ কদমফুল দিয়ে যার সাথে বিচ্ছেদ করার কথা থাকে আমার!
জানানো হয় না।
বৃষ্টি একটু ধরে এসেছিলো। তবু পলাশিতে নেমে একটা রিকশা খুঁজতে খুঁজতেই কাকভেজা হয়ে গেলাম। বুয়েট কোয়ার্টার যাবো। ছোট খালার বাসায়। পা'য়ের স্যান্ডালটা ছেড়া আর ময়লা ছিলো। বৃষ্টিতে ভিজে আজ কেমন নতুন নতুন লাগছে। ভালোই হয়েছে! খালার আবার এইসব ব্যাপারে অনেক খুঁতখুঁত আছে!
দরজা খোলাই ছিলো। খালা মনে হয় ভেতরের ঘরে! দরজা খোলা পেয়ে, ডানে বামে না তাকিয়ে সোজা নাহিদের ঘরে ঢুকে অত্যন্ত কাজের ভাণ করে কম্পিউটারের সামনে বসে পড়লাম। প্রথমেই খালা'র মুখোমুখি হতে চাচ্ছিলাম না।
আমার ছোটখালার একটাই উদ্দেশ্য আমাকে নিয়ে। পাগলের ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবে। ব্যাপারটা প্রথমবার যেদিন বলেছিলো, মনে হয়েছিলো, হুমম ইন্টারেস্টিং! ক্ষতি কি!! আমার সাথে দেখা হলেই
"কি রে কতদিন থেকে বলছি, কবে যাবি পাগলের ডাক্তারের কাছে?"
পরক্ষনেই নিজের শব্দচয়নের ভুল বুঝতে পেরে আমতা আমতা করে বলে,
"পাগলের না..মানসিক ডাক্তার...কাউন্সেলিং..আর কিছু না!"
পাছে পাগলের কথায় আমি কষ্ট পাই!
আমি মনে মনে হা হা করে হেসে ফেলি। জোরে হাসলে সমস্যা! ঘাবড়ে যেতে পারেন! খালাকে ঘাবড়ে দেওয়ার কোনো ইচ্ছাই আমার নেই। বলি ,
"যাব যাব, সমস্যা নাই"।
এভাবে তিন মাস কেটে গেছে। আমার এই অলস, আপাত অব্যবহৃত, অকর্মন্য সময় গুলো থেকে পাগলের ডাক্তারের কাছে যাবার সময় বের করতে হবে ভাবলেই আজকাল বিরক্ত লাগে। তাই পালিয়ে পালিয়ে বেরাচ্ছিলাম।
পিসি'র সামনে বসা মাত্রই এই ঝিরিঝিরি বৃষ্টির মধ্যে সম্পূর্ণ বেমানান ভাবে বিকট শব্দে একটা বজ্রপাতের শব্দে কেঁপে উঠলাম । কাছে পিঠেই কোথাও পড়েছে। ভাগ্য ভালো কম্পিউটারটা জ্বলে যায় নি।
সাথে সাথেই ধরে আসা বৃষ্টির বেগ আবার বেড়ে গেলো। আক্ষরিক অর্থেই যেন মেঘ ফেঁটে বৃষ্টি হতে শুরু করেছে। জানালার পাশে দাড়িয়ে সামনে বুয়েটের ছাত্রীহলের গাঢ় সবুজ গাছগুলোকে আত্মসমর্পিত হয়ে নির্বিকার ভেজা হতে দেখতে লাগলাম।
খালার বাসা থেকে যখন বের হয়েছি তখন সন্ধ্যা হয়ে গেছে। বৃষ্টি নেই। তবে শীতল বৃষ্টি -বাতাস আছে। আবার বাসায় ফিরবার ফিরতি বাসে উঠে পড়েছি।
আমার পাশের সিটে যে মেয়েটা বসে আছে তার গা'য়েও দেখা যাচ্ছে নীল জামা! নীলে নীলে মিল! আচ্ছা নীল না , বেগুনী! নাকি পার্পল! আমার কালার জ্ঞান খুব ভালো না। ভালো মতো বুঝতে হলে খেয়াল করে দেখতে হবে। সেটা মনে হয় খুব একটা শোভন হবে না। এমনিতেই বাসে মেয়েদের পাশে বসতে হলে 'ম্যান অফ স্টিল' হয়ে বসতে হয়। গা'য়ে গা লেগে গেলে মেয়েগুলি অস্বস্তি পরে যায়। হয়তো ভেবে বসবে ইচ্ছে করেই করছি! খুবই অকওয়ার্ড অবস্হায় বসে থাকতে হয়। এমনিতে বেশ হাত পা চ্যাগায়ে বসা যায়! মেয়ে পাশে বলে আনন্দিত হবার কিছু নেই।
বিব্রত অবস্থা কাটাতে (কিংবা খানিকটা ভাব দেখাতে!) ত্রৈলোক্যনাথ এর মোটা উপন্যাস সমগ্রটা খুলে বসলাম। লেখকের নাম শুনে যতোটা ঘাবড়েছিলাম, তার লেখা ততোটাই সাবলীল! ভালোই লাগছে।
হঠাৎ মোবাইলের শব্দে মনোযোগ কেটে গেল। আচ্ছা, আমার কল আসে নি। পাশের মেয়েটার এসেছে। চোখের কোণা দিয়ে দেখতে পেলাম
Mami is calling...
- আসতেছি তো!
- রাস্তায় অনেক জ্যাম।
- আমি কি করবো বলো?
- উড়ে উড়ে আসবো? মেয়েটার গলা ডেসপারেট শোনালো!
সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে। বাসায় নিশ্চই চিন্তা করছে।
কে চিন্তা করছে?
মামি?
নাকি মা.. ?
মা থেকে মাম্মি , তা থেকে মামি?
কে জানে!
বাসের জানালায় হু হু বাতাসের কাছে উত্তর নেই।
অনেক কাছের কাউকে কখনো ভালবাসি বলা হয় না। কখনো "আম্মু আমি তোমাকে ভালবাসি বলা হয় নাই।" হয়তো কখনো বলার দরকার পরে না। কিন্তু হঠাৎ যখন চোখের সামনে পাঁচটা বছর কেটে যায় কিছু বুঝে ওঠার আগেই। একবার ফোন করে খুব বলতে ইচ্ছে হয়, "আম্মু বাসায় আসতেছি আমি"। বাতাসের শীতলতা চোখে পানি আনিয়ে দেয় বোধহয়। রিকশায় ঘোলা চোখে অন্ধকার রাতের ঢাকা দেখতে দেখতে হঠাৎ করে বুঝতে পারি, এই শহরটাকে আসলে আমি প্রচ্চন্ড ভালবাসি। মা'এর মতোই কখনো বলতে হয় নি। নিজের শহর, স্মৃতির শহর। ভালবাসি তোমাকে।
-অপ্রকৃতিস্থ
মন্তব্য
আপনার বর্ননার মধ্যে কী যেন আছে। যখন বৃষ্টির কথা বলছিলেন তখন আমিও কনুইয়ে শার্টের হাতায় বৃষ্টির ছাঁট অনুভব করছিলাম।
আগাগোড়া আনন্দের সাথে পড়লেও শেষভাগে এসে মন খারাপ হয়ে গেল। তবু, গল্পই তো, তাই না? আপনার লেখার হাত বেশ ভালো, আরো লিখুন।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
অসংখ্য ধন্যবাদ নীড় সন্ধানী, এতো চমৎকার একটা মন্তব্য করবার জন্য। কি যে ভালো লাগলো! আমার মূল চাওয়াটাই ছিলো বৃষ্টির অনুভবটা লেখায় প্রকাশ করা। এই জন্যই এতো খুশি।
ভালো থাকবেন।
- অপ্রকৃতিস্থ
-------------------------------------------
আগে ছিলো যা-ই, এখন শুধুই ছাই-ই!
ভালো লাগল। লেখালেখি চলুক।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
ধন্যবাদ এক লহমা!
- অপ্রকৃতিস্থ
-------------------------------------------
আগে ছিলো যা-ই, এখন শুধুই ছাই-ই!
আপনার বর্ণনা সাবলীল, সুন্দর আর স্বচ্ছন্দ। ছোট্ট ছোট্ট সাধারণ ঘটনা কে নিজের মত করে অসাধারণ ভাবে বর্ণনা করার ক্ষমতা আছে আপনার। বাসে ওঠার পরের ডিটেইলিং গুলা আনকমন। তবে এরকম একটা লেখার মাঝে, এরকম কাব্যিক বিবরণের মাঝে হঠাত করে 'চ্যাগায়ে'র মত শব্দ শুধু খারাপ বা অশোভন না; ক্ষেত্র বিশেষে অশ্লীল শোনায়। আরো লেখেন, ভাল লাগল। নিশাচর জীব।
অসংখ্য ধন্যবাদ নিশাচর জীব। এতো সুন্দর করে মন্তব্য করাবার জন্য। আপনাদের এরকম মন্তব্যগুলোই লেখার স্পৃহাকে আরো শক্তিশালি করে!
আসলে দেখুন, আমি কিন্তু এরকম 'হাউড়া' শব্দটাও ব্যবহার করেছি। যেটা আমার কাছে মনে হয়েছে প্রকৃতই দিকভ্রান্ত হয়ে দিশেহারা হয়ে যাবার প্রকাশ! একইভাবে 'চ্যাগায়ে' শব্দটা আমার কাছে মনে হয়েছে নিজের মতো করে হাত পা ছড়িয়ে স্বাধীন ভাবে বসবার যে মানসিক প্রশান্তি তার এক শব্দে প্রকাশ! অশ্লীলতা নয়! ইচ্ছাকৃত!
আমার শব্দচয়নের ব্যাপারে আপনার আপত্তি- অপচ্ছন্দের কথা জানাতে যে কার্পন্য করেন নি এতে আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ।
- অপ্রকৃতিস্থ
-------------------------------------------------------
আগে ছিলো যা-ই, এখন শুধু ছাই-ই!
'চ্যাগায়ে', 'হাউড়া'--- কোনটাই পড়তে ভাল লাগেনি।
আমি/ আমরা কিছু ব্লগীয় স্ল্যাঙ/বানান ব্যবহার করি ঠিকই (চ্রম, খ্রাপ, ঠিকাসে, উড়াধুরা, জট্টিল, কেনু, বেতা-- এ জাতীয়), তাও চোখে লাগল।
লেখা ভাল লেগেছে।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ধন্যবাদ তিথীডোর
পরবর্তীতে শুধরে ওঠার চেষ্টা থাকবে
- অপ্রকৃতিস্থ
-------------------------------------------------------
আগে ছিলো যা-ই, এখন শুধু ছাই-ই!
অসাধারণ,,,,,,,,
আর কিছু এখন মাথায় আসছে না? মাথায় বোধহয় গোলমাল লেগেছে।
আশা করি আরো হৃদয়স্পর্শী লেখা পড়তে পারবো। চালিয়ে যান রিয়েল ভাই।
-কাব্যহীন কবি
অনেক অনেক ধন্যবাদ কাব্যহীন কবি! এত সুন্দর করে বলবার জন্য!
অ:ট: আপনি দেখি আমার নাম ও জানেন! নিশ্চই চিনি আপনাকে! কে বলবেন তো!
- অপ্রকৃতিস্থ
-------------------------------------------------------
আগে ছিলো যা-ই, এখন শুধু ছাই-ই!
আপনার লেখা পড়ে মুগ্ধ, শব্দের ব্যাবহার এবং বর্ণনা দু-ই অনেক ভালো লাগলো।
বৃষ্টি এলেই যাবতীয় দুঃখবোধ এসে আমার জানালায় ভীর করে, বিশেষ করে এই বিভূঁইয়ে। এখানে বৃষ্টি বেশ ঠান্ডা, ভিজতে ইচ্ছে করেনা একটুও। দেশেরস সেই উষ্ণ-আর্দ্র বৃষ্টির সাথে দেখা হয়না কতদিন!
আপনার বর্ণনায় অনেক দিন পড় দেশী বৃষ্টির ছোঁয়া পেলাম, আরো লিখুন।
রীতু
সেইটাই ! বৃষ্টি এলেই এলেই এই দুঃখবোধ টা যে কোত্থেকে আসে! বিদেশ বিভুঁইয়ের নিশ্চই সে টা আরো বেশি!
অনেক ধন্যবাদ রীতু। ভালো থাকুন।
- অপ্রকৃতিস্থ
-------------------------------------------------------
আগে ছিলো যা-ই, এখন শুধু ছাই-ই!
আপনার লেখার ধরণ খুবই সুন্দর। কেমন যেন একটা ভাল লাগা ছুয়ে গেল পুরোটা সময় জুড়ে। আরও লিখবেন।
এ এস এম আশিকুর রহমান অমিত।
অনেক অনেক ধন্যবাদ এ এস এম আশিকুর রহমান অমিত! দুপুরের ঘুম ভেঙেই আপনার মন্তব্য পেলাম। আমাকেও ভালো লাগা ছুয়ে গেলো আপনার মন্তব্য পড়ে।
- অপ্রকৃতিস্থ
-------------------------------------------------------
আগে ছিলো যা-ই, এখন শুধু ছাই-ই!
ভালো থাকবেন।
আহ! মনে মনে আপনাকেই খুঁজছিলাম প্রোফেসর হিজিবিজবিজ!! আশা করছিলাম আপনার চোখে পড়বে হয়তো। অনেক ধন্যবাদ! শব্দচয়ন সম্পর্কিত 'শিক্ষা'টা প্রথম থেকেই মন্তব্যে পেয়ে আসছিলাম! খুব সাবধান থাকবো!
এমন উৎসাহ দিলে তো উড়তে থাকবো! লেখা হবে না!
ভালো থাকুন।
- অপ্রকৃতিস্থ
-------------------------------------------------------
আগে ছিলো যা-ই, এখন শুধু ছাই-ই!
এই তো, এই রকম লেখাই তো চাই!!! এবারের লেখায় আপনাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। তবে লেখার ধরনের সাথে শব্দচয়নের একটা গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আছে। আপনার এই সাবলীল ছন্দময় বর্ণনার সাথে চ্যাগায়া শব্দ উড়ে এসে জুড়ে বসলে হাউড়া হয়ে যেতে হয়।
লিখতে থাকুন হাত পা খুলে----
____________________________
ভালো লাগলো।
আরো লিখুন।
ভালো থাকুন অপ্রকৃতিস্থ।
অনেক শুভকামনা।।
-----------------------
কামরুজ্জামান পলাশ
কি বিষণ্ণ! আপনার নতুন লেখার নিচের লিংক ধরে পড়তে এলাম। মন্তব্য চোখে পড়বে কী না জানা নেই, তবে সবার কথার প্রতিধ্বনি করে যাই: আরও লিখুন, আমরা পড়তে চাই আরও!
শুভেচ্ছা
অসংখ্য ধন্যবাদ মেঘলা মানুষ। এত দিন পড়েও এই লেখাটায় লিখে যাবার জন্য। আমার প্রিয় লেখা, প্রায়ই চোখ বুলাই। ধন্যবাদ নতুন করে আরেকবার উৎসাহের জন্য
আপনাকেও শুভেচ্ছা
-অপ্রকৃতিস্থ
নতুন মন্তব্য করুন