তোমারই ইঙ্গিত খুঁজি আমি নারীদের ভীড়ে,
আন্দোলিত রমণীর দুরন্ত প্রবাহ, চুলের খোঁপায়,
আধবোঁজা পলক, ফেনীল ঢেউয়ে ভেসে যাওয়া
হালকা পায়ের ভেতর।
হঠাৎ যেন খুঁজে পাই তোমার আয়তাকার নখ,
টুকটুকে চেরির মত, গতিময়
তোমারই মত এলোমেলো মোহনীয় চুল
সমুদ্রের জলে জ্বলতে থাকা তোমার গনগনে অবয়ব
অথচ সেখানে তো নেই তোমার শিল্পিত স্পন্দন,
তোমার আভা, বনভূমি থেকে আনা তোমার কুচকুচে
কালো কাদা, নেই সেই মায়াময় কান।
তোমার মধ্যে বেবাক পূর্ণতা পায় সব, তুমি এক
নির্ভুল অখণ্ডতা। তোমার মিসিসিপির আকাশচুম্বী ঢেউ
আমাকে তামাম ভাসায় নারীত্বের বিপুল মোহনায়।
I hunt for a sign of you in all the others,
in the rapid undulant river of women,
braids, shyly sinking eyes,
light step that slides, sailing through the foam.
Suddenly I think I can make out your nails-
oblong, quick, nieces of a cherry-:
then it's your hair that passes by, and I think
I see your image, a bonfire, burning in the water.
I searched, but no one else had your rhythms,
your light, the shady clay you brought from the forest;
nobody had your tiny ears.
You are whole-exact-and
everything you are is one,
and so I go along, with you I float along, loving
a wide Mississippi toward a feminine sea.
-- Translated by Stephen Tapscott
Un signo tuyo busco en todas las otras,
en el brusco, ondulante río de las mujeres,
trenzas, ojos apenas sumergidos,
pies claros que resbalan navegando en la espuma.
De pronto me parece que diviso tus uñas
oblongas, fugitivas, sobrinas de un cerezo,
y otra vez es tu pelo que pasa y me parece
ver arder en el agua tu retrato de hoguera.
Miré, pero ninguna llevaba tu latido,
tu luz, la greda oscura que trajiste del bosque,
ninguna tuvo tus diminutas orejas.
Tú eres total y breve, de todas eres una,
y así contigo voy recorriendo y amando
un ancho Mississippi de estuario femenino.
---- Pablo Neruda
Cien sonetos de amor, Soneto XLIII
মন্তব্য
'বেবাক' শব্দটি আমাদের দেশে আঞ্চলিক ভাষার শব্দ হিসেবেই ব্যবহৃত হয়, তাই একটু বাঁধাগ্রস্ত হলাম।
চলুক, আনন্দদি!
.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল
-আনন্দময়ী মজুমদার
-আনন্দময়ী মজুমদার
আরো একবার?
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
বুঝলাম না তো -- কোনটা? পুরোটা?
কি বলি, কি বলি, বলেই ফেলি। হ্যাঁ, পুরোটাই।
আসলে এই কবিতাটিতে ভালই জটীলতা আছে। দূরে রেখে আসা প্রিয়তমাকে ঘিরে নেরুদার অনুভূতি সার্বজনীন। কিন্তু নেরুদা যেভাবে সে অনুভূতিকে প্রকাশ করেছেন, আমরা ঠিক সেভাবে করি না। তাই এ কবিতার সাথে একাত্ম হতে গেলে একটা দূরত্ব এসে পড়ে। আপনি সেটাকে অতিক্রম করে একটা মাঝামাঝি জায়গায় গিয়ে দাঁড়ানোর প্রচেষ্টা নিয়েছেন। পাঠক হিসেবে সে চেষ্টাটা নজরে এসেছে, ভাল লেগেছে। কিন্তু প্রচেষ্টাটার ফলেএকটা খাপছাড়া ভাবের সৃষ্টি হয়েছে। সম্ভবতঃ সেটা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু সেটা কমানোর জায়গা এখনো খানিকটা আছে বলে মনে হচ্ছে আমার।
আমার যেটা মনে হয়েছে, অনুবাদ এখনো খসড়ার পর্যায়ে আছে। আরো কয়েকটা ভাঙ্গচুরের মধ্য দিয়ে গেলে ঠিক রূপটি বের হয়ে আসবে।
যা যা আমায় অস্বস্তিতে রেখেছে, ধরার চেষ্টা করি ঃ
"আন্দোলিত রমণীর দুরন্ত প্রবাহ"
"ফেনীল ঢেউয়ে ভেসে যাওয়া
হালকা পায়ের ভেতর।"
" ...
নাঃ এভাবে হবে না। পুরোটাই ধরা দরকার মনে হচ্ছে। খারাপ লাগছে এভাবে বলতে।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
আমি কবিতা তেমন বুঝি না। আমার কাছে মাঝে মধ্যে মনে হয় কবিরা আজাইরা এমন কিছু কথা কবিতার ভেতর ঢুকিয়ে দেন যে তাঁরা নিজেরাও জানেন না আসলে তাঁরা কি বোঝাতে চাইছেন।
ছন্দ, আলো, আর কানের সাথে বন থেকে নিয়ে আসা কাদা কেমনে মেলে খোদা মালুম। এই জিনিশ বুঝতে হইলে আমার মনে হয় এক্সট্রা আরেক খান ব্রেইন আমার অন্য কারও কাছ থেকে ধার করে আনতে হবে
সোহেল লেহস
নতুন মন্তব্য করুন