“শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড”---এরকম ভাবসম্প্রসারণই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ানো হয় আমাদের স্কুল-কলেজগুলোতে। আমি নিজেও পড়েছি, শিখেছি এবং পরীক্ষার খাতায় লিখে ভালো নাম্বারও পেয়েছি। আফসোসের বিষয় হলো আমাদের যাবতীয় পড়াশোনা শুধু পরীক্ষা পাশের জন্যই করা হয়। আমরা যা পড়ি তা কখনই অন্তরে ধারণ বা বিশ্বাস করি না। তাইতো আজও আমরা শিক্ষাকে জাতির মেরুদন্ডতো বানাতেই পারিনি বরং একে মেরুদন্ড ভাঙার হাতিয়ার হিসেবে তৈরি করেছি।
শিক্ষা ব্যবস্থা যেভাবে মেধাকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে---
• বাংলাদেশে বর্তমানে শিক্ষার বাজারীকরণ করা হয়েছে। সরকারি ব্যবস্থাপনার পরিবর্তে ব্যয়বহুল কিন্ডার গার্টেন স্কুল, বেসরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে অতিমাত্রায় উৎসাহী হওয়ার কারণে শিক্ষা বাজারের পণ্যে পরিণত হয়েছে। গত বেশ কয়েক বছরে এটি ভয়াবহরূপ ধারণ করেছে। রাস্তায় বের হলেই বিলবোর্ড আর ব্যানার গুলোতে চোখে পড়ে বেসরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর লোভনীয় অফার সম্বলিত বিজ্ঞাপন। ল্যাপটপ, সকল শিক্ষা উপকরণ ফ্রি ইত্যাদির মাধ্যমে ছাত্র আকর্ষণের অভিনব প্রয়াস। শিক্ষার মূল বিষয়টা দাঁড়িয়ে গেছে শোরুমে সাজিয়ে রাখা কোন পণ্যের মত। বিভিন্ন অফার ও ছাড়ের মাধ্যমে সেটা বিক্রির অসুস্থ প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেছে শিক্ষা ব্যবসায়ীরা।
• আমাদের অভিবাবক শ্রেণিও এই প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে নেই। ইদানীং প্রায় স্কুল-কলেজগুলোর সামনে সন্তানের জন্য অপেক্ষমান অভিবাবকদের দেখা যায়। আমার ছোট বোন স্কুলপড়ুয়া বলে মাঝেমাঝে এসব সমাবেশ খুব কাছ থেকে দেখার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। এই সমাবেশের মূল আলোচ্য বিষয় হলো কে কার বাচ্চাকে কয়টা প্রাইভেট টিউটর রেখে পড়াচ্ছে। কার বাচ্চা কোন কোচিং এ পড়ছে ইত্যাদি। কারো যদি বাসায় প্রাইভেট টিউটরের সংখ্যা কম থাকে বা তাঁর বাচ্চা যদি কোন কোচিং-এ না পড়ে তাহলে সেটা একটা স্ট্যাটাস ইস্যু হয়ে দাঁড়ায়।
• সকালে স্কুল, বিকেলে কোচিং, সন্ধ্যায় প্রাইভেট টিউটর, রাতে সবার পড়া তৈরি এভাবে আমরা আমাদের সন্তানদের শৈশবকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। শুধু তাই নয় এটা তার প্রকৃত মেধা ও সৃষ্টিশীলতার বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করছে। (এই প্রসঙ্গে একটা গল্প বলি—আমার খালাত বোনের ছেলে ক্লাস টুতে পড়ে। আমার আপু একদিন আমাকে ফোন দিয়ে তার ছেলের জন্য দুইজন প্রাইভেট টিউটর ঠিক করে দিতে বলে। একজন সব বিষয় পড়াবে অন্য জন ড্রয়িং শিখবে। আমি বললাম একটা বাচ্চার জন্য ড্রয়িং এর টিচার দেওয়ার কি দরকার, এটাতো সে খেলতে খেলতেই শিখে যাবে। আমার আপু এটা মানতে নারাজ কারন তার যুক্তি হচ্ছে তার ছেলে ড্রয়িং ভালো না তাই সে পিছিয়ে যাচ্ছে। আমি উত্তরে জানতে চাইলাম পিছিয়ে যাচ্ছে মানে, সে বলল প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উঠার সময় সে দ্বিতীয় হয়ে যায় ড্রয়িং-এ কম নাম্বার পাওয়ার কারনে!!!! আমরা আমাদের সন্তানদের শিক্ষাচ্ছি কিভাবে ক্লাসে প্রথম হওয়া যায়। একবার ও কি আমরা তাদের শিক্ষাচ্ছি কিভাবে প্রথম শ্রেনির মানুষ হওয়া যায়।)
এই অসুস্থ প্রতিযোগিতার ফলাফলই হলো আজকের অস্থির, উদ্দেশ্যহীন এবং মানবিক বোধশুন্য তরুণ প্রজন্ম। যারা প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য সবকিছু করতে এমনকি মানুষ মেরে ফেলতেও প্রস্তুত।
• এখন আবার শুরু হয়েছে প্রশ্নপত্র ফাঁসের বাণিজ্য। বিএনপি জোট সরকারের শিক্ষামন্ত্রী আহসানুল হোক মিলনের তৎপরতায় আমাদের মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে নকলের যে মহোৎসব ছিল তা বন্ধ হয়ে যায়। এই জন্য তিনি সাধুবাদের দাবীদার (জন্মলগ্ন থেকে সম্ভবত শিক্ষাক্ষেত্রে এই একটা ভালো কাজ বিএনপি সরকার করতে পেরেছিলো)। নকল বন্ধ হয়েছে ঠিকই কিন্তু ডিজিটাল বাংলাদেশে যেহেতু সবকিছুই ডিজিটাল তাই নকলের প্রক্রিয়াও ডিজিটাল রূপ লাভ করেছে। একটি অসাধু চক্র ফেসবুক-মোবাইল ইত্যাদির মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস করছে। অত্যন্ত দুঃখের বিষয় আমাদের অভিবাবকরাও চড়া দামে এসব কিনছে। কারণ যেকোন মুল্যে তার সন্তানকে এ প্লাস পেতে হবে। নইলে সে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়বে। কিন্তু আমরা একবারও ভাবছি না এতে তার প্রকৃত জ্ঞানলাভ কী হচ্ছে? নাকি জীবন গড়ার এই সময়টা তাকে শিখাচ্ছে কিভাবে অন্যায়ের আশ্রয় নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়া যায়।
• একটি দৈনিক পত্রিকার প্রতিবেদন থেকে জানতে পারি জাপানের স্কুলগুলোতে ৪র্থ শ্রেণি পর্যন্ত কোন ধরণের পরীক্ষা নেওয়া হয়না। এই সময় তাদের মুল্যবোধ, নৈতিকতা, মানবিক গুণাবলীর বিকাশ ইত্যাদি বিষয়ে শিক্ষা প্রদান করা হয়। আর আমাদের স্কুলে ভর্তির সুযোগ খুঁজতে হয় এক বিরাট কঠিন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় উক্তীর্ণ হওয়ার মাধ্যমে। শৈশবের অপমৃত্যু হয় অনেক ভারী স্কুল ব্যাগের কাছে।
• এর সাথে যুক্ত হয়েছে ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে উঠা কোচিং সেন্টারের রমরমা ব্যবসা। মজার ব্যাপার হলো এই কোচিং সেন্টার গুলো স্থাপন করা হয় এমন জায়গায় যেখানে রেস্টুরেন্ট আর শপিংমল খুব সহজলভ্য। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে কোচিং এ পড়ার নাম করে তারা ঘর থেকে বের হচ্ছে ঠিকই কিন্তু সময়টা কাটাচ্ছে রেস্টুরেন্টে বন্ধুবান্ধবের সাথে আড্ডা দিয়ে নয়তো শপিং মলে ঘোরাঘুরি করে।
• আমাদের শিক্ষক সমাজও এই বাজারীকরণ ব্যবস্থায় পিছিয়ে নেই। আমি একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তাই শিক্ষক সমাজের প্রতি পুর্ণ আস্থা, সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধ রেখেই অত্যন্ত দুঃখের সাথেই এই কথাগুলো লিখতে হচ্ছে।
আমি চট্টগ্রাম কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণিতে পড়াকালীন সময়ে দেখেছি বিজ্ঞান বিভাগে কোন ক্লাস হতো না। আমার যেসকল বন্ধু চট্টগ্রাম বা হাজী মোহাম্মদ মহসিন কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ছিলো তারা দুই বছরে হাতে গোনা কয়দিন কলেজে গিয়েছিলো তাও আবার প্রিটেস্ট বা টেস্ট পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য। তারা কেন কলেজে যায় না এই প্রশ্নের উত্তরে আমার এক বন্ধু বলেছিল কলেজে গিয়ে কি করবো?? ওখানেতো ক্লাস হয় না!!!!! স্যাররা বাসায় প্রাইভেট পড়ান। তাদের পড়া শুরু হতো সকাল ৭টার ব্যাচ থেকে আবার শেষও হতো সন্ধ্যা ৭ টার ব্যাচে। তারপর বাসায় ফিরে নিজে পড়ার জন্য আর কোন শারীরিক শক্তি বা মানসিক সামর্থ্য থাকতো না। পরদিন আবার একই রুটিন। শিক্ষালাভের কী অদ্ভুত ব্যবস্থা!!!!!!! শিক্ষকরা যে সময়ে শ্রেণিতে পাঠদান করবেন ঐসময় তারা ব্যস্ত ব্যাচের পর ব্যাচ পড়ানো নিয়ে। আর যেসব শিক্ষার্থীর একসাথে ৫-৬টা শিক্ষকের কাছে ব্যাচে পড়ার আর্থিক সামর্থ্য ছিলো না তারা নিজেরা কোন রকমে নিজ চেষ্ঠায় পড়ে পাশ করল। হয়তো মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও কম জিপিএর কারণে প্রতিযোগিতার দৌঁড়ে আরেকবার পিছিয়ে পড়ল। কারণ জিপিএই যে আমার দেশে মেধামুল্যায়নের মাপকাঠি!!!!!
• এখন আবার চলছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ট্রেণ্ড। বাবা-মায়েরাও সন্তানদের এসব প্রতিষ্ঠানে পড়াতে আগ্রহী। যুক্তি হিসিবে দাঁড় করানো হয়--- এখানে সেশনজট নেই, রাজনৈতিক সন্ত্রাস, মারামারি নেই তাই যথাসময়ে কোর্স শেষ করে পাশ করে বের হওয়া যায়। অথচ দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো প্রকৃত মেধার বিকাশ ও চর্চা কেন্দ্র। কিন্তু দুঃখের বিষয় প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক সরকারই এই মেধাবীদের ব্যবহার করেছে তাদের হীন রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে। মেধার পরাজয় হয়েছে অশুভ শক্তির কাছে। আর যারা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ বহন করার মত আর্থিক সামর্থ্যের আধিকারী নয় তারা ধুঁকে ধুঁকে চলা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে জীবনের অমুল্য ৬-৭ বছর বিসর্জন দিয়ে হতাশায় ভুগে আবার চাকরির পাওয়ার মহা প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হচ্ছে।
• বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার সুবাদে এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা কার্যক্রম খুব কাছ থেকে দেখার সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্য আমার হয়েছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকানা হয় বড় কোন শিল্পপতির হাতে নয়তো ব্যবসায়ীর হাতে। যাদের কাছে বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞান অর্জনের পীঠস্থানতো নয়ই বরং মুনাফা তৈরির সবচেয়ে সহজ কারখানা। কারণ এর চেয়ে ঝুঁকিহীন আর কোন ব্যবসাতো হতেই পারে না। এখানে ভর্তির সময় শিক্ষার্থীদের মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয় যেভাবে হোক বেশি জিপিএ পেতে হবে না হয় চাকরি পাওয়া যাবে না। আর বেশি নাম্বার দেওয়ার জন্য শিক্ষকদের উপর তৈরি করা হয় চাপ। আর মালিকপক্ষের কাছে শিক্ষার্থীরা হলো কাস্টমার, তাই তাদের নাম্বার দিতে হবে কারণ তাদের টাকাইতো আমার বেতন হচ্ছে!!! তাই হয় নাম্বার দাও নয়তো চাকরি বাঁচাও। এই বিষয়ে আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা পাঠকদের জানানোর প্রয়াস চালাবো অন্য কোন লেখায়।
আশারবাণী
এতসব হতাশার মাঝেও কিছু আশারবাণী আছে।
• একক ও যুগোপোযোগী শিক্ষানীতি প্রণয়ন। যদিও এর বাস্তবায়ন হয়েছে খুব কম।
• সৃজনশীল শিক্ষা পদ্ধতির প্রবর্তন। যদিও এই ব্যবস্থা কোচিং বা গাইড বই বানিজ্য বন্ধ করতে পারে নি।
• উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে Information and Communication Technology (ICT) এর অন্তর্ভুক্তি। এর সফলতা অনেকখানি নির্ভর করছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অবকাঠামোগত সুবিধা বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তি পন্যের আরো বেশি সহজলভ্যতার উপর।
• উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তির প্রক্রিয়ার প্রযুক্তিকীকরণ।
• সবচেয়ে বড় খুশির কারণ হলো বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর বেশ কিছু সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী উচ্চ শিক্ষা নিতে উন্নত দেশগুলোতে পাড়ি জমাচ্ছে। বিশ্বব্যাপী মেধার পরীক্ষায়(GRE, IELTS, GMAT, SAT, TOEFL) ইত্যাদি সাফল্যের স্বাক্ষর রাখার পাশাপাশি আন্তুর্জাতিক বৃত্তি নিয়ে পড়তে যাচ্ছে। তাই আমাদের উচিত এসব মেধাবীদের পড়া শেষে তাদের ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নেওয়া এবং তাদের জন্য উপযুক্ত কর্মপরিবেশ তৈরি করা। এই সকল মেধাবীদের মেধার যথাযত মুল্যায়নের মাধ্যমেই আমরা প্রকৃত উন্নয়ন ঘটাতে পারবো।
আমাদের উচিত এখন থেকেই শিক্ষাক্ষেত্রে প্রথম হওয়ার ইঁদুর দৌড় ভিত্তিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে যথাযথ, সময়োচিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা। শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রকৃত মেধার লালন ও বিকাশ ঘটানো যা শুধু নুতন প্রজন্মকে ক্লাসে প্রথম হওয়ার দৌঁড়ে এগিয়ে রাখবে না তাকে একজন ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবে।
দীপাবলি
মন্তব্য
দীপাবলি, অত্যন্ত সময়োপযগী একটা লেখা। গোছানো এবং বিস্তারিত। কিছুদিনের জন্যে ছেলেকে নিয়ে দেশের স্কুলের সাথে তাল মিলাতে গিয়ে আমরা দু'জনেই হিমশিম খেয়েছি। খুব হতাশা নিয়ে উপলদ্ধি করেছি যে বাইরের দেশে একই কারিকুলামে পড়া ছেলেমেয়েরা যে জিনিসগুলো শেখে হেসেখেলে, আমাদের দেশে ছেলেমেয়েরা সেই একই জিনিস শিখছে প্রচন্ড মানসিক চাপ নিয়ে। পড়া মুখস্ত, প্রাইভেট টিউটর, কোচিং, স্কুলব্যাগের বোঝা যে একটি শিশুর শৈশব, মনন, সৃজনশীলতা ধ্বংস করে দিচ্ছে এটা আমাদের দেশের নীতি নির্ধারক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আর আভিভাবকদের কি আদৌ বোঝানো সম্ভব? আমি খুব করে আপনার লেখাটার সাথে একমত! শিশুর প্রকৃত মেধা, সহজাত শেখার প্রবণতাকে উৎসাহিত করা হোক!
"আমরা আমাদের সন্তানদের শিখাচ্ছি কিভাবে ক্লাসে প্রথম হওয়া যায়। একবারও কি আমরা তাদের শিখাচ্ছি কিভাবে প্রথম শ্রেণীর মানুষ হওয়া যায়।" - একদম মনের কথাগুলো বলেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ!
এই কথাগুলি নিয়ে নিশ্চয়ই চর্চা হওয়া দরকার।
একটা মুস্কিল। একেবারে সকলের জন্য সমানভাবে ত কোন বিকাশই হয়নি এখন পর্যন্ত। আর তার ফলে যে কোন বিকাশ অগ্রসর-এর সাথে পিছিয়ে পড়ার একটা বৈষম্য তৈরী করেই। সেই ভাবেই যে শিক্ষা মেধাবিকাশের হাতিয়ার সেটা ত বৈষম্য সৃষ্টির কারখানাও বানাবে, তাই না?
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
নতুন মন্তব্য করুন