স্কুলে যখন পড়তাম তখন প্রায়ই দেখতাম রাস্তায় অপরিচিত এক লোক হাতে কোন লিফলেট ধরিয়ে দিচ্ছে। একবার তো বাসায় নিজের নামে খামে পোষ্ট আকারেই পেলাম। তো কি থাকত এই লিফলেটে? অধিকাংশেই থাকত কোন অলৌকিক কোন ঘটনার কথা , সাথে লিখা থাকত এই কাহীনি যে বিশ্বাস করে তা ছাপিয়ে ৫০/৭০ জনের কাছে পৌঁছে দিবে তার অনেক উপকার হবে। কি কি উপকার তার বিবরণও দেয়া থাকত। যেমন ব্যবসায়ে উন্নতি, মেয়ের বিয়ে, দীর্ঘদিন ভোগা কোন রোগ থেকে মুক্তি ইত্যাদি। লিফলেটে এটাও বলা থাকতো যে, ঐ ঘটনা অবিশ্বাস করবে এবং প্রচার করবে না তার অনেক ক্ষতি হবে। যেমন রোগে বা দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া অথবা পঙ্গু হওয়া, ব্যবসায়ে ক্ষতি ইত্যাদি। এই ব্যাপারে খোঁজ নিলে জানা যেতো যে এসব ফটোকপি’র বা ছাপাখানাওয়ালাদের কাজ। মানে আর কিছুই না — নিজেদের ব্যবসায়ে কিছু বাড়তি আয়ের একটা পন্থা মাত্র।
দিন এগিয়ে যাচ্ছে তাই মাধ্যমও পরিবর্তন হয়েছে এবার মোবাইলে এসএমএসে বা ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আল্লাহ’র ৯৯ নাম বা ঐ ধরনের পুরানো কাসুন্দি — পাঠাতে হবে ১০/২০ জনকে; পাঠালে উপকার আর না পাঠালে ক্ষতির হুমকি। এখানে টার্গেটে পুরানো মুরগিরা তো আছেই সাথে যোগ হয়েছে কিছু শিক্ষিত বেকুব।
প্রায়ই আমাদের ফেসবুকের ওয়ালে বিভিন্নজনকে যেসব পোস্ট শেয়ার করতে দেখা যায়ঃ
১। বৃদ্ধ কোন রিক্সাচালক / মুটে / ফুটপাথের হকারের ছবি তার নিচে লেখা থাকে ‘চোখে জল এসে যাচ্ছে’ বা সামাজিক ন্যায়বিচারের অভাবের কথা অথবা ‘উনার জন্য কত লাইক হবে’।
২। কোন ধর্মীয় পবিত্র স্থানের ছবি বা গ্রন্থ বা নবী/সাহাবীদের ব্যবহার্য বিভিন্ন জিনিসের ছবি, সাথে লেখা ‘শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন’ বা ‘কত লাইক হবে’।
৩। হিজাব পরা কোন মেয়ের ছবি সাথে ক্যাপশন ‘পর্দাই নারীর প্রকৃত সৌন্দর্য’ বা ‘পর্দাই সব অশ্লীলতা রোধ করতে পারে’।
প্রকৃতপক্ষে এ’ধরনের বেশিরভাগ পোষ্ট নৈতিকতাহীন, বিকৃত মানসিকতার কিছু মানুষের বানানো অশ্লীল / চটি / কথিত মজার / হাবিজাবি মাথামুণ্ডুহীন সাইট বা ফ্যান পেইজ থেকে নেয়া। যারা এই পোস্টগুলি দিয়ে থাকে তাদের লক্ষ্য থাকে তাদের পেইজের প্রচার বা লাইক বাড়ানো।
দুরাচার আগে ছিল, এখন আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে; কিন্তু কথা হচ্ছে আমরাও কি আগের মতো বেকুবই থেকে যাবো? যারা সহজ-সরল বা শিক্ষা হতে বঞ্চিত তারা না হয় আগের অবস্থানে থেকে গেলেন কিন্তু যারা শিক্ষা’র সুযোগ পেয়েছেন তারাও কেন ঐ সব সরল অশিক্ষিত বা কুসংস্কারাচ্ছন্ন লোকদের মতো আচরণ করছেন? আমরা নিজেদের কখনো ধার্মিক, কখনো সচেতন বা কখনো মানবিক হিসেবে দেখাতে গিয়ে না দেখে / পড়ে অন্ধের মতো এইসব পোস্ট শেয়ার করি এবং প্রায় কখনোই এর মুল পোস্টদাতা কে তা খোঁজ করার কোন চেষ্টাও করি না।
এইসব ভন্ড ও ঠগদের কর্মকাণ্ড বুঝতে যে পণ্ডিত হতে হয় না সেটা উপরোল্লেখিত ফেসবুক পোষ্ট তিনটা একটু সাবধানে বিশ্লেষণ করলে বোঝা যাবে।
প্রথম পোস্টঃ
কেউ বৃদ্ধ বয়সে কাজ করছেন এর মানে হয় তার পরিবারে উপার্জনক্ষম কেউ নেই অথবা অল্পবয়স্করা তাকে ছেড়ে চলে গেছেন বা মারা গেছেন। এখানে সমাজের দায়টা কোথায়? এখানে রাষ্ট্র হয়তো বৃদ্ধাশ্রমে রেখে বা বয়স্ক ভাতার মাধ্যমে তাদের দায়িত্ব নিতে পারে, কিন্তু এই জনবহুল দরিদ্র দেশে সেটা কতটুকু সম্ভব সে প্রশ্নটাও কিন্তু থেকে যায়। এখন, যারা এইসব পোষ্ট দিচ্ছেন তারা কি ব্যক্তিগত উদ্যোগে অমন একজনেরও অবস্থা পরিবর্তনের চেষ্টা করেছেন? সামান্য দুই-একজন ব্যতিক্রম বাদে বেশির ভাগ জনের ক্ষেত্রে উত্তর হচ্ছে, না। তাহলে এই ধরনের পোষ্ট দিয়ে ঐ সব নিম্ন আয়ের বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষদের দুরবস্থা নিয়ে পরিহাস করার অধিকার আপনাকে কে দিল?
দ্বিতীয় পোস্টঃ
হাজার বছর ধরে প্রচলিত ধর্মের বিধিবিধান কি এইসব তুচ্ছ শেয়ার বা লাইকে প্রসার লাভ করে বা জনপ্রিয় হয়? এতে কি বড় একটা বিষয়কে খাটো করা হয় না! ধর্মীয় বিধিবিধান সঠিকভাবে ও নিয়মিত নিজে পালন, অন্যকে তার চর্চায় উৎসাহিত করণের মাধ্যমে প্রচার ও প্রসার লাভ করে। ফেসবুকে পোস্ট শেয়ার করার মাধ্যমে যারা এটা সারতে চান তাদের কতোজন নিজের ধর্মীয় বিধান ঠিকমত পালন করেন? তাহলে আগে নিজে ধার্মিক না হয়ে অন্যকে ধার্মিক বানানোর চেষ্টাটা কি ভণ্ডামি হয়ে গেলো না?
তৃতীয় পোস্টঃ
একজন নারী পর্দা করলেই কি ভাল বা সুন্দর হয়ে যায় বা এতে কি অশ্লীলতা হ্রাস পায়? যদি তাই হতো, তাহলে মধ্যপ্রাচ্যের সবাই ভালো, সুন্দর ও মহান মানুষ হয়ে যেতো। অথচ মধ্যপ্রাচ্যের মানুষদের নারীর প্রতি বর্বরতার কথা সারা দুনিয়া জানে। এর মানে এই না যে আমি ধর্মীয় পর্দাপ্রথার বিরুদ্ধে কিছু বলছি। ধর্মীয় বিধিবিধান পালন করা একটি ব্যক্তিগত বিষয়। সুতরাং ধর্মীয় পর্দাপ্রথা পালন করা সংশ্লিষ্ট ধর্মে বিশ্বাসীর ব্যক্তিগত বিষয়। এখন কেউ যদি পর্দাসংক্রান্ত ধর্মীয় বিধান নিজে পালন না করেন তাহলে তিনি কি অন্যকে এই ব্যাপারে সবক দেবার অধিকারী হন?
একজন যদি পর্দা করে কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে অনৈতিক কার্যকলাপ করে তাকে কি ভাল বা সুন্দর বলা যাবে? অথবা পর্দা পালনকারিণী নারী বা একজন শিশুও কেন হরহামেশা ধর্ষিতা হয় সেই প্রশ্নগুলো এখানে আর তুললাম না।
প্রায়ই আমরা নিজেদের শিক্ষিত, জ্ঞানী, সচেতন ও চালাক বলে ভাবি। আবার কেউ কেউ তা জোর গলায় দাবিও করি। সেই দাবিকে প্রতিষ্ঠা করার জন্যে অন্যকে হেয় করার প্রাণপণ চেষ্টা করতে গিয়ে কখনো তা অশ্লীল প্রতিযোগিতায় রূপ নেয়। একবারও কি ভেবে দেখেছি, আমাদের এহেন বালসুলভ আচরণ আমাদের প্রত্যেকের অবস্থানকে কোথায় নিয়ে দাড় করায়? এতসব বলার কারন নিজেকে স্মার্ট হিসেবে প্রতীয়মান করতে গিয়ে কখন যে নিজেই ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চা হয়ে যাই সে খেয়াল কি আমাদের আছে?
অভিমন্যু
________________________
সেই চক্রবুহ্যে আজও বন্দী হয়ে আছি
মন্তব্য
গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ের অবতারণা করা হয়েছে, অথচ শানিত যুক্তির অভাবে কিছু প্রশ্নেরও জন্ম দিয়েছে; যেমনঃ
'সমাজের দায়' নেই? আসলে 'সমাজের দায়' বলতে ঠিক কি বোঝায়?
ফেবু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। তাছাড়া, দেখুন, নচিকেতা বৃদ্ধাশ্রম নিয়ে গান লিখলে কেউ জিজ্ঞেস করে না, নচিকেতা তার নিজের মা-বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়েছে কিনা!
আপনি যদি এইটুকু মেনে থাকেন, তাহলে একজন ধার্মিক ধর্মীয় ঐতিহ্য প্রদর্শন করে স্বীয় ধর্মের প্রচার ও প্রসার চাইতে পারে, তা কেন মানছেন না? আচ্ছা, ধর্ম বিষয়ক পোস্ট যিনি দেন, তিনি নিজেও যদি ধার্মিক হন ও ধর্মীয় বিধিবিধান পালন করেন নিয়মিত, তাহলে বোধহয় আপনার আর আপত্তি থাকবে না, তাই না?
আপনি একদিকে ধর্মীয় পর্দাপ্রথার বিরুদ্ধে কিছু বলছেন না, অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্যে নারী বর্বরতার চিত্র তুলে ধরছেন! সুতরাং, আপনি আসলে কি বলতে চাইছেন, তা পরিষ্কার নয়! কেউ যদি নিজে পর্দা মানে, বা নিজ পরিবারে পর্দা প্রতিষ্ঠা করে কোন বর্বরতার চিহ্ন ছাড়াই, সেক্ষেত্রে সে কি পর্দা বিষয়ক পোস্টের অধিকার লভে?
আচ্ছা, একটি স্পেসিফিক প্রশ্ন করি। মধ্যপ্রাচ্যের মানুষদের নারীর প্রতি বর্বরতার যে কথা সারা দুনিয়া জানে, তা কেন হয় বলে আপনার মনে হয়?
.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল
প্রথমে অসংখ্য ধন্যবাদ দীনহিন, আপনি কষ্ট করে লিখাটি পড়ে আপনার সুচিন্তিত মতামত দেয়ার জন্যে। হ্যাঁ আসলেই আমি শক্তপোক্ত যুক্তি স্থাপন করতে পারিনি তবে তা নতুন ও অপটু বলেই হয়ত,আশাকরি আপনাদের সমালোচনা ও পরামর্শ বা উপদেশে কালক্রমে ভবিষ্যতে এসকল দুর্বলতা কাটিয়ে উঠবো।
১। সামাজিক দায় বলতে কি বোঝায় তা এই প্রশ্ন উত্থাপনকারীরা ভালো বলতে পারবেন, আমিতো তাই বলতে চাই যেহেতু ফেসবুক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তাই সেখানে তাদের উল্লেখিত দায়ের দায়বদ্ধতা থেকে কিছু করার প্রচেষ্টা থাকা উচিত ছিল যা নেই বলেই আমার জানতে চাওয়া, অকারণে এসকল প্রশ্ন তোলার কি হেতু?
২। আপনি নিজে কি বিশ্বাস করেন কোন নবী বা সাহাবী’র ব্যবহৃত সামগ্রী প্রদর্শনে আদৌ ধর্মের প্রসার হয়? হ্যাঁ কেউ যদি উক্ত ধর্মের মর্ম বানী প্রচার করেন তা হয়ত ফলপ্রসূ হতে পারে। একজন ধার্মিকের সে নৈতিক অধিকার আছে।
৩।যারা পর্দাকে সকল অশ্লীলতা বা ব্যভিচার ইত্যাদি সামাজিক সমস্যা থেকে পরিত্রাণের একমাত্র মাধ্যম ভাবেন,মধ্যপ্রাচ্যের উদাহরণটা তাদের উদ্দেশ্যেই দেয়া। আমি যা বলতে চেয়েছি তা কি খুব অস্পষ্ট?!! সমস্যাটা মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির, যারা নারীকে শুধুই ভোগ্যপণ্য বলে ভাবেন পর্দা কি তাদের সে ভাবনাকে আদৌ কি প্রভাবিত করতে পারে? আমি কিন্তু বলেছি এটা সংশ্লিষ্টের একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়, যিনি নিজে মানেন বা তাঁর পরিবারে তা চাপ প্রয়োগ ব্যতিরেকে পালন করতে পারে সেখানে আমি কেন কারো কি বা বলার থাকতে পারে? আমার প্রশ্ন ছিল যারা মানেননা অথচ বলেন তাদেরকে নিয়ে।
সবশেষে মধ্যপ্রাচ্যের নারীদের প্রতি বর্বরতার কারন আপনি নিজেই জানেন আর যদি আসলেই না যেনে থাকেন!!!? তবে এতক্ষণে আমি হয়ত তা কিঞ্চিৎ বোঝাতে পেরেছি।
অভিমন্যু .
________________________
সেই চক্রবুহ্যে আজও বন্দী হয়ে আছি
আমার মনে হয় আপনি ভুল জায়গায় ভুল যুক্তি দিচ্ছেন। আর পোষ্টটি ধর্ম কিংবা ধার্মিক বিষয়ে আপনার ধারণা যে অস্বচ্ছ সেটি অনেকটাই পরিষ্কার। তারপরও কিছু অঙ্গতির বিষয়ে বলে গেলাম
১। প্রথম পোষ্টে আপনি বলছেন
সমাজের দায় অবশ্যই আছে, আর যদি দায় না থাকে তাহলে তো সমাজ কিংবা রাষ্ট্রের উন্নয়নের কোন সুযোগ থাকে না। সরকারের অন্য সকল দায়িত্বে মাঝে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হচ্ছে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্যে কাজ করা, সমাজে বৈষম্য তথা দারিদ্রতা দূর করা। তাই সমাজ কিংবা রাষ্ট্র দায় এড়াতে পারে না। তবে কত লাইক হবে এই বিষয়টা নিন্দনীয়।
২।
আপনি যেটাকে তুচ্ছ বলছেন সেটি কি ধার্মিকের কাছে তুচ্ছ? কখনো না, আর জনপ্রিয় হয় না কে বললো আমি তো দেখি এটা ভীষন জনপ্রিয় হচ্ছে। দিন দিনে এইসব শেয়ার বাড়ছেই। আসলে মূল বিষয় হচ্ছে ধার্মিকের কাছে যুক্তি টেকে না। বেশিভাগ ধার্মিক জ্ঞানের কোন না কোন শাখায় অন্ধ। তাই সে মেঘের মাঝে/গরুর মাঝে/গাছের মাঝে/আলুর মাঝে/মাছের শরীরে সৃষ্টিকর্তার নাম খুঁজে পায়। সব ধর্মের আস্তিক ই এটাকে সৃষ্টিকর্তার কুদরত কিংবা ভেলকি বলে বিশ্বাস করে। যারা আকাশে বাতাসে পশু পাখির শরীরে সৃষ্টিকর্তার নাম হতে পারে বিশ্বাস করে তাদের কাছে যুক্তি দেওয়া আর অন্ধর কাছে জ্যোৎস্নার গল্প করা সমান কথা।
৩। এখানেও সেই উপরের কথাই প্রযোজ্য।
মাসুদ সজীব
সুপ্রিয় মাসুদ সজিব আপনাকেও ধন্যবাদ লিখাটি পড়া ও মন্তব্য করার জন্যে।
দীনহিন’কে দেয়া উত্তরে আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন আশাকরি। তবে আপনি নিজেই কিন্তু সবচেয়ে ভাল বলেছেন,
বেশিভাগ ধার্মিক জ্ঞানের কোন না কোন শাখায় অন্ধ। তাই সে মেঘের মাঝে/গরুর মাঝে/গাছের মাঝে/আলুর মাঝে/মাছের শরীরে সৃষ্টিকর্তার নাম খুঁজে পায়। সব ধর্মের আস্তিক ই এটাকে সৃষ্টিকর্তার কুদরত কিংবা ভেলকি বলে বিশ্বাস করে। যারা আকাশে বাতাসে পশু পাখির শরীরে সৃষ্টিকর্তার নাম হতে পারে বিশ্বাস করে তাদের কাছে যুক্তি দেওয়া আর অন্ধর কাছে জ্যোৎস্নার গল্প করা সমান কথা
অভিমন্যু .
________________________
সেই চক্রবুহ্যে আজও বন্দী হয়ে আছি
প্রথম পয়েন্টে যেটা বললেন সেটাকেই ইংরেজীতে বলা হয় স্ল্যাক্টিভিসম। লাইক আর শেয়ার দিয়ে তাদের মনে একটা ভালো কাজ করা অনুভূতি আসে, আবার সেটার জন্য কোন কষ্টও করতে হয় না, পয়সাও লাগেনা। বিভিন্ন মানববন্ধন টাইপ ইভেন্ট খুললে দেখা যায় প্রচুর লোক বলছে "আসতে পারছি না কিন্তু আমার মন-প্রাণ সব আপনাদের সাথে আছে", আর যারা বলে 'আসতেসি' তাদের হয়তো মাত্র ২০% সত্যিই আসে, এটাও স্ল্যাক্টিভিসম।
অভিমন্যু .
________________________
সেই চক্রবুহ্যে আজও বন্দী হয়ে আছি
স্ল্যাক্টিভিসম শব্দটা আগেও শুনেছি। আমরা স্ল্যাক্টিভিজমে আরামসে আক্রান্ত হতে পারি। মজার কয়েকটা উদাহরণ:
আর্জেন্টিনার সাপোর্টার = লাইক
ব্রাজিলের সাপোর্টার = কমেন্ট
অভিমন্যু .
________________________
সেই চক্রবুহ্যে আজও বন্দী হয়ে আছি
নতুন মন্তব্য করুন