আমি এক রকম বিপাকে পরেই শেষ পর্যন্ত এখানে লিখতে আসলাম। জানি না আর কয়টা দিন টিকে থাকতে পারবো, মাথার উপরে যেভাবে করে একটু একটু করে আকাশ ভেঙ্গে পরার অবস্থা হচ্ছে বুঝতে পারছি আর বেশি দিন আয়ু নেই।
আমার দাদা ৯০ বছর বয়সে আবার বিয়ে করার পাঁয়তারা করছেন।
জানি অনেকেই হাসবেন, নাক সিটকাবেন- এ আবার কি, Write to Mita টাইপের জিনিস এখানে আসল কিভাবে? কিন্তু আমি বিশ্বাস করি জানার দরকার আছে, শেষ পর্যন্ত কিছুই কেউ জানবে না আর এক গাদা বদ নাম নিয়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে হবে এটা আমি মানতে পারি না, এই ইন্টারনেট এর যুগে এটা সম্ভব না।
আমি আবার বলছি, আমার দাদা ৯০ বছর বয়সে আবার বিয়ে করার পাঁয়তারা করছেন। বাংলাদেশের মত দেশে এটা আসলে কোন বলার মত ব্যাপার কিনা আমি জানি না, মনে হয় না। ধর্মীয় অনুভূতি জানি না, ইসলামে চারটা পর্যন্ত বিয়ে করা যায়, পুরুষলোকের এই অনুমতি আছে, সে হিসাবে এটা আসলেই ব্যাপার না।
একটু পিছানো যাক, ২০০০ সালে আমার দাদী মারা যান। তাঁর শেষ ইচ্ছা ছিল ঢাকাতেই কবর হবার, মহিলার কথা আর কে রাখে, দাদার দেশের বাড়িতে (কোথায় ঠিক নাই বললাম এই মুহূর্তে, ধরে নিন "ক পাড়া") তাঁর শেষ ঠিকানা হল। দাদী মারা যাবার সপ্তাহখানেকের মধ্যে আমার ফুপিকে তিনি বলে বসলেন, "এত দিনে একটু শান্তিতে ঘুমাতে পারবো।"
আমার দাদী শেষ মাস চারেক গরমের মধ্যে প্রায় নরক যন্ত্রণা ভোগ করেছিলেন, আমার বাবা একটা রিচারজেবল ফ্যান কিনে দিতে চেয়েছিল, দাদা সরাসরি বলে দিয়েছিলেন কাজের লোকের আরামের ব্যবস্থা করা ছাড়া আর কিছু করা হবে না ওইটা দিয়ে।
আর এখন নতুন বউটার জন্য উনি এসি লাগিয়েছেন, আমি জানতে চাই আল্লাহ বলে যে থাকার কথা সে কি কিছুই দেখে না?
গাজা, বিশ্ব, বিমান দুর্ঘটনা সব কিছুর মধ্যে বোধহয় এটা ফাঁক গলে বের হয়ে গিয়েছে।
(চলবে)
-কণীনিকা
মন্তব্য
সত্যিই যদি এই বিশ্ব-জগত দেখার কেউ থাকতো তাহলে চারিদিকে এত অনাচার, অত্যাচার সে কি মুখ বুজে সইতো?
ইন্টারেস্টিং!
মন্তব্য চলুক, লেখাও।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
বিয়ে করায় সমস্যাতো নাই। তবে ৯০ বছর বয়সে বিয়ে করায় দাদা কে একটা মেডেল দেয়া হোক।
...........................
Every Picture Tells a Story
আপত্তিটার মূল মনে হয় দাদার দ্বিতীয় বিয়ে নয়, বরং দাদীর শেষ সময়েও দাদার ব্যবহার।
ব্যক্তিগতভাবে দাদা একাকী বোধ করলে বিয়ে করতে চাইতেই পারেন। দুজন জেনেবুঝে বিয়ে করলে তাতে তৃতীয় কারো বাগড়া দেওয়ারও কিছু নেই।
কিন্তু দাদার চরিত্রে তার দীর্ঘজীবনের সঙ্গীর প্রতি একটু ভালোবাসা দেখানোর মত মানবিকতা আপনজনেরা আশা করতেই পারেন।
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
আপনার দাদারে বিয়ের আগে থেকেই প্রতিদিন দুধের সাথে ২ টা করে ভায়েগ্রা মিশিয়ে খাওয়ান। সোজা হয়ে যাবে আশা করি।
আপনার দাদীর জন্য খারাপ লাগল। আপনার দাদীর সাথে যেটা হয়েছে সেটা অন্যায়, কারণ আপনার দাদা নতুন দাদীর আরামের ব্যবস্থা করছেন, অথচ আগের স্ত্রী কে উনি কষ্টে রেখেছিলেন।
দুঃখের সাথে বলছি, লেখাটা মানসম্মত বলে মনে হয়নি (ব্যক্তিগত মতামত)।
-এখানে একগাদা বদ নাম নিয়ে নিশ্চিহ্ণ হবার কথাই বা আসছে কেন?
'নিশ্চিহ্ণ হয়ে যাবে' -বললে বুঝতাম দাদার কথা বলছেন।
'নিশ্চিহ্ণ হয়ে যেতে হবে' -বললেন তাই বোঝা যাচ্ছে না।
নাম/নিক প্রকাশে অনিচ্ছুক
"কনীনিকা" নিকটি ইতিমধ্যে একজন অতিথি সচল ব্যবহার করেন। আপনি সচলায়তনে লিখতে বা মন্তব্য করতে চাইলে অনুগ্রহ করে অন্য কোনো নিক বেছে নিন। ধন্যবাদ।
বাসায় কি বাঁশ আছে? না থাকলে একখানা কিনে আনেন বাজার হতে। অতঃপর সেই বাঁশখানির সর্বোচ্চ ব্যবহার করেন। একেবারে ঠিক হয়ে যাবে।
আমার এক বন্ধুর মামার এই রোগ হইছিলো। উনাকে বাঁশ ট্রিটিমেন্ট দেওয়া হইছিলো। সেইক্ষেত্রে অবশ্য ঐ মানের বাচ্চাকাচ্চা থাকা লাগবে
----------------
আশফাক(অধম)
****************************************
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
বাঁশের বদলে ফ্রিজ ট্রিটমেন্ট দিলে কেমন হয় ভাবছি
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
আপনার দাদীর প্রতি দুর্ব্যবহার এবং এখন বিবাহের ইচ্ছা সম্পূর্ণ আলাদা ব্যাপার। আপানর দাদী শেষ সময়ে নরক যন্ত্রণা ভোগ করেছেন বলছেন, তখন আপনারা কোথায় ছিলেন? আপনারা কেন তাঁর যত্ন আত্তি করেন নি? পুত্র হিসেবে আপনার বাবার দায়িত্ব ছিল মায়ের উপযুক্ত সেবা করার, সেটা কি তিনি করেছেন?
এখন আপনার দাদা ঠিক কি কারনে বিয়ে করতে চাচ্ছেন, সেটা তাঁর বয়ানে শুনলে হয়তো অন্যরকম মনে হবে। ধরেই নেয়া যায় তিনি যৌন চাহিদার কারনে বিয়ে করতে চাচ্ছেন না, নিঃসঙ্গতা কাটাতে এবং স্বস্তিদায়ক জীবন যাপনই বোধ হয় তাঁর উদ্দেশ্য, যেটা হয়তো আপনারা পূরন করতে পারছেন না।
আপনার দাদা যাকে বিয়ে করবেন তিনি তার বৌ; কিন্তু আপনাদের কেউ না; তাই তিনি তার বন্দোবস্ত করছেন
কিন্তু যিনি মারা গেছেন তিনি তো আপনার দাদী; আপনার বাপ-চাচা-ফুপুর মা ছিলেন। সেইক্ষেত্রে এইখানে প্যানপ্যানানি করা ছাড়া আপনার তার জন্য কী করেছেন?
০২
দাদার বৌ মারা গেছেনে; বয়স নব্বই হোক আর নয়শো হোক... তার মুরোদ আছে বলেই তিনি বিয়ে করছেন। আপনার সমস্যা কী সেইটা একটু বুঝায়ে কন
দাদাকে বদলানোর আগে নিজেকে / নিজেদের মন-মানসিকতা বদলান।
"এইজিস্ম" বর্ণবাদের মতই আরেকটা কূৎসিত, অশ্লীল, অমানবিক রোগ। এই রোগ থেকে নিজেকে ও অন্যান্য নিকটজনদের মুক্ত রাখুন। ধর্ম, বর্ণ, জাতি এবং বয়স নির্বিশেষে মানুষকে "পুরো মানুষ" হিসেবে বিবেচনা করতে শিখুন এবং তাদের ব্যক্তিস্বাধীনতা ও অধিকারকে আন্তরিকভাবে সম্মান করতে শিখুন। সবশেষে দয়ামায়া, উদারতা, মানবিকতা, সহমর্মিতা এবং একটু এম্প্যাথি নিজেদের মনে চর্চা ও লালন করার চেষ্টা করুন - যার থেকে দয়া করে কোন ভ্রান্ত মূল্যবোধের বশবর্তী হয়ে বুড়ো মানুষদের বঞ্চিত করবেন না। এইটুকু পারলে দেখবেন কোন 'বিপাক' বা 'বদনাম'-ই আপনাকে স্পর্শ করবে না। আর না পারলে, 'বিপাক' আর 'বদনাম'-এর মধ্যেই হাবুডুবু খাবেন।
তাই বলছি, দাদাকে বদলানোর আগে নিজেকে বদলান। দেখবেন সবকিছুই ঠিক আছে হয়তো।
****************************************
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
যেটা বলতে চাইছিলাম, লেখার উপস্থাপনাটা ভালো লাগেনি, বাক্যগুলো তাড়াহুড়া করে লেখা মনে হয়েছে। দাদা বিয়ে করছেন, আপনার বেশি দিন আয়ু নেই, মাথার উপর আকাশ ভেঙে পড়ছে -এগুলো খুব বেশি বিচ্ছিন্ন বাক্য।[ /b] শুরু করলেন এভাবে যেন, বিশাল কিছু বিপর্যয়কর ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে।
আপনার বাবা বেচে আছেন -মাস চারেক আগেও তিনি দাদীকে ফ্যান কিনে দিতে চেয়েছিলেন। কাজেই, দাদা আপনার খরচ বহন করতেন সেটা মনে হয়না।
[b]আপনার দাদা দ্বিতীয় বিয়ে করলে আপনার ব্যক্তিগত জীবনে বিশাল কোন বিপর্যয় ঘটার সম্ভাবনা থাকার কথা না। যেটা ঘটতে পারে সেটা হল, আপনারা (প্রথেম পক্ষের সন্তান ও তাদের সন্তান) যে পরিমাণ সম্পত্তি উত্তরাধিকার সূত্রে পাবার কথা সেটার অংশ কমে যাওয়া।
আপনি স্বার্থে আঘাত পেয়ে এরকম লেখা লিখেছেন -এটা বিশ্বাস করতে চাই না। কিন্তু, আপনার শুরুর দিকের কিছু বাক্য সেটা বিশ্বাস না করাটা কঠিন করে দিয়েছে।
আপনার লেখায় যদি দাদীর প্রতি দুর্ব্যবহার আর নতুন দাদীর প্রতি দাদার অতিরিক্ত দরদ নিয়ে কথা থাকত সেটা এক জিনিস। দাদার দ্বিতীয় বিয়েতে "মাথায় আকাশ ভেঙে পড়া, আয়ু কমে যাওয়া', "জানি না আর কয়টা দিন টিকে থাকতে পারবো " -এই জাতীয় কথাবার্তা শুনেছি এমন সব লোকদের মুখে যারা অন্য কোন স্বার্থহানি হবার কারণে ক্ষুব্ধ। আশা করছি আপনি তাদের দলে নন।
নাম/নিক প্রকাশে অনিচ্ছুক
ধরি, আমার ভাগ্নে 'শিমুল' -কে স্কুলে শিক্ষক বেত দিয়ে মেরেছে। শিমুলের গায়ে বেতের দাগ পরেছে, আমার মেজাজও খারাপ হয়েছে। এখন, আমি এসে "শিমুলকে স্কুলের স্যার মেরেছে, গায়ে দাগ বসে গিয়েছে। আমার মেজাজ চরমে উঠেছে, ইচ্ছে করছে ওই স্যারকে গিয়ে বেত মেরে আসি" - ব্লগে এটুকু লিখে চলে যেতে পারি। অথবা, এই ঘটনার সাথে সাথে কিছু কথা যেমন, স্কুলে ছাত্রদের মারা উচিত কিনা, কেন মারা হবে বা হবে না, অন্য শাস্তি কি হতে পারে -এরকম কিছু কথা আসা উচিত।
আপনি লেখাটার পরিপূর্নতা দিতে পারতেন কিছু জিনিস যোগ করেই।
আপনার দাদার দেখাশোনা কে করছেন?
দাদী মারা যাবার পর তার মানসিক অবস্থার কোন পরিবর্তন হয়েছে?
কোন অনুশোচনা করেছেন অতীতে ভুল করার জন্য? আপনার দাদার সঙ্গে কে থাকবেন?
৯০ বছরের একজন মানুষকে যে সময় দেয়া প্রয়োজন সেটা কি আর কেউ দিচ্ছেন?
তার মাথায় বিয়ে করার চিন্তাই বা কেন আসল?
সত্যি বলতে, এই রকম লেখা সচলে দেখে অভ্যাস নাই। অফেন্ড করতে চাই নাই -পুরাটাই ব্যক্তিগত মতামত।
অন্যদের মতামত ভিন্ন হতেই পারে।
লেখাটা মডারেশন পেরিয়েছে কারণ যথেষ্ঠ আলোচনার সুযোগ আছে ব্যাপারটাতে। আমার কাছে লেখার চুম্বক অংশ প্রথম লাইন
দেখলে মনে হয় মুমূর্ষ কারো আবেদন, কিন্তু তার বদলে পাওয়া গেল একটা অসম্পূর্ণ কাহিনী যেখানে লেখিকা দাদার নতুন বিয়ের অভিপ্রায় বা দাদির হতভাগ্য অবস্হাকে গাজার গণহত্যা আর ২৯৮ জন মানুষের অকাল মৃত্যুর সাথে তুলনা করে ফেললেন।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
নতুন মন্তব্য করুন