আজ ফেসবুকে ঢুকে দেখলাম আমার অনেক বন্ধুদের মধ্যে একটি খবর শেয়ার করা আর কমেন্ট করা নিয়ে রীতিমত ঝড় চলছে। খবরটা হল ব্রিটিশ ধর্ম ও সমাজ বিষয়ক মন্ত্রি (Minister of Faith and Communities) এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রি (Senior Minister of State at the Foreign & Commonwealth Office) বারনেস সায়িদা ওয়ার্সি ক্যাবিনেট থেকে পদত্যাগ করেছেন। তার কারন ব্রিটিশ সরকারের গাজায় ইজরাইলি হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয় ভুমিকা। দেখলাম অনেকেই বারনেস ওয়ার্সির প্রশংসায় পঞ্চমুখ, তার বুকের পাটার তারিফে সবাই পোস্ট দিতে বেস্ত।
আমি পারলাম না তাদের সাথে সুর মিলাতে। কারন বারনেস ওয়ার্সির নাম শুনলেই আমার মনে পড়ে যায় বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনাল নিয়ে তার নিয়মিত সমালোচক বিবৃতিগুলো। বারনেস ওয়ার্সি একবার দুবার নয়, বারেবার রাজাকারদের বিচার ও ফাঁসির বিষয়ে ট্রাইবুনাল এবং সরকারের সমালোচনা করে এসেছেন। সেগুলোর কথা যারা আজ ওয়ার্সিকে হিরো বানাতে উঠেপড়ে লেগেছেন তারা কি জানেন, না ভুলে গেছেন, বা জেনে মনে রেখেও এখন লম্ফঝম্ফ করছেন সেটা আমার জানা নেই। কিন্তু যদি ভুলে যেয়ে থাকেন, তাদের মনে করিয়ে দেবার জন্য কয়েকটা লিঙ্ক দিলাম নিচেঃ
৯ অক্টবর ২০১২, ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বারনেস ওয়ার্সির বক্তব্যের অংশবিশেশঃ
"More recently, and perhaps more worryingly, when Sheikh Hasina was being feted in the UK during the Olympics, she had ordered the arrest of Mir Quasem Ali, a leading member of the Islamist party Jamaat-e-Islami, who is well known both as a politician and through his ability to reach people through the Jamaat newspaper and media group. It appears that his real crime has been to criticise the war crimes tribunal set up by Hasina, which seems to take a very retributional approach rather than the justice and reconciliation examples set in South Africa and, more recently, Northern Ireland. I hope that Bangladesh might turn to look at that model."
http://www.publications.parliament.uk/pa/ld201213/ldhansrd/text/121009-gc0002.htm
২১ জানুয়ারি ২০১৩, আবুল কালাম আজাদ (বাচ্চু রাজাকার) এর ফাঁসির রায়ের প্রতিক্রিয়ায় দেয়া বিবৃতিঃ
"The British Government notes the verdict by the International Crimes Tribunal in the case of Abul Kalam Azad. The British Government supports the efforts of Bangladesh to bring to justice those responsible for committing atrocities during the 1971 War, although we remain strongly opposed to the application of the death penalty in all circumstances. The British Government is aware of concerns expressed by some human rights NGOs and legal professionals about proceedings at the International Crimes Tribunal. We hope that the International Crimes Tribunal addresses such concerns promptly and thoroughly to ensure the continued integrity, independence and reputation of the legal process in Bangladesh."
১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩, কাদের মোল্লার ফাঁসির রায়ের প্রতিক্রিয়ায় দেয়া বিবৃতিঃ
"I am deeply concerned at the decision by the Bangladesh Supreme Court to pass the death penalty on Jamaat-e-Islami Assistant Secretary General, Abdul Qader Mollah, for the crimes committed during the war preceding the independence of Bangladesh in 1971."
কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকর করার সময় বারনেস ওয়ার্সি ঢাকায় এসেছিলেন। তখনও প্রধানমন্ত্রি শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাতকারের সময় তিনি এই রায় বাস্তবয়ান না করার ব্যাপারে চাপ দিয়েছিলেনঃ
"She stressed that recent violence was damaging not only to Bangladesh’s reputation but also its economy and livelihoods of its people. The minister also met with Foreign Minister Mahmud Ali to discuss bilateral and international issues, as well as concerns raised by many in the international community at the imminent execution of Abdul Qader Mollah. She said “the UK and the EU opposes the use of the death penalty in all circumstances in all countries”."
https://www.gov.uk/government/news/baroness-warsi-meets-bangladesh-political-leaders-in-dhaka
যেই মহিলা রাজাকারদের বিচারের বেলায় 'রিকন্সিলিয়েশন' তত্ত্ব ফলান, তার এখন গাজার নিহতদের জন্য আচমকা জেগে ওঠা মানবতাবোধকে আমি আর সবার মত বাহবা দিতে পারলাম না, দুঃখিত। টাইমিংটাও কিছুটা সন্দেহজনক, কারন সামনের বছরের মে মাসেই ব্রিটিশ পার্লামেন্ট নির্বাচন। এই নাটকীয় পদত্যাগ ব্রিটিশ মুসলমানরা (বিশেষ করে পাকিস্তানী এবং ছাগু প্রকৃতির বাংলাদেশীরা) ভালই খাবে এবং তাতে বারনেস ওয়ার্সির ভোট ব্যাংক ভারি হবার সম্ভাবনা প্রবল।
আরেকটি সম্পুরক খবরে আমার চোখ আটকে ছিল আজ। ইজ্রায়েলি এক প্রাক্তন সার্জেন্ট গ্রেফতার হয়েছেন কারন তিনি ইজ্রায়েলি ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ) এর ২০ শে জুলাইতে গাজার শুজাই-ইয়া তে চালানো হত্যাযজ্ঞের নেপথ্যের কাহিনী ফাঁস করেছিলেন ফেসবুকে। এরান এফ্রাতি নামের এই সেনাসদস্যের সেই পোস্টের অংশবিশেষঃ
"I was told that the unofficial reason was to enable the soldiers to take out their frustrations and pain at losing their fellow soldiers (something that for years the IDF has not faced during its operations in Gaza and the West Bank), out on the Palestinian refugees in the neighborhood. Under the pretext of the so-called “security threat” soldiers were directed to carry out a pre-planned attack of revenge on Palestinian civilians."
এই পোস্টের পর সার্জেন্ট এফ্রাতির ফেসবুক ও ইমেইল দুটিই ব্লক করা হয়, এবং ফেসবুক অ্যাক্সেস ফিরত পাবার পর আগস্টের ১ তারিখে তিনি লিখেনঃ
"In recent days I was arrested by authorities and questioned about my research regarding the use of illegal weapons in Gaza, my mail and Facebook accounts were blocked, And I received strong hints that my life is at risk and I need to be silent and keep low. But I'm not going anywhere. They may close my communication channels again,but that does not mean I'm not here, I'll find a way to get the information out to you,and I trust you will echo it on, go down with it to the streets ,And demand your representatives, your government to stop funding the slaughter in your name,to boycott Israel and to stop the bloodshed in Gaza. The whole world is watching now, history is being made. I'm counting on you."
বারনেস ওয়ার্সির পদত্যাগ নিয়ে রীতিমত তুলকালাম কান্ড হয়ে গেল। মানুষ খুব সহজেই ভুলে গেল যে আমাদের নিজেদের দেশে ১৯৭১ সালে চালানো হত্যাযজ্ঞ এবং এখনও হিন্দু এবং অন্যান্য সংখালঘুদের উপর অত্যাচারের সময় তার দেখা মিলে নাই, দেখা মিলেছিল বাচ্চু রাজাকার/কাদের মোল্লাদের ফাঁসির রায়ের প্রতিবাদ জানাতে। কিন্তু এক সো-কল্ড 'ইহুদী নাসারা' (বাংলাদেশের অনেক 'ধর্মপ্রাণ' মুসলমানদের মতে ইহুদী মানেই সব জালিম কিনা) এভাবে ঝুকি নিয়ে ইজ্রায়েলে বসেই তার সরকারকৃত গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে যাচ্ছে, ফাঁস করে যাচ্ছে অনেক না জানা তথ্য, তার খবর কয়জন রাখছে?
বারনেস ওয়ার্সি, নাভি পিল্লাই, স্টিফেন রাপ, এদের মত সিলেক্টিভ মানবতাবোধকারিদের কোন কথা বা কাজেই আমি উতলা হইনা। কিন্তু এক অখ্যাত প্রাক্তন আইডিএফ সার্জেন্ট যখন নিজের সরকারের সন্ত্রাসের বিরদ্ধে রুখে দাঁড়ান, তখন আমার তাকে হাজার সালাম ঠুকতে ইচ্ছা করে। কারন প্রকৃত মানবতা জাত/ধর্ম/বর্ণ এসবের ভেদাভেদ করে না। স্যালুট, এরান এফ্রাতি। You will always be a bigger hero to me than Baroness Warsi.
মন্তব্য
খুনাখুনির পুরোটা সময় খামোশ থাকার পর যখন ইসরায়েল তার ট্যাঙ্কটুঙ্ক নিয়ে গাজা ছেড়ে বেরিয়ে গেছে, তখন ব্যারনেস ওয়ার্সি গর্ত থেকে বের হয়ে এসে চাপাবাজি করে কেন? আরে বেটি, যখন দফায় দফায় বিমানহামলা হচ্ছিলো, তুই তখন কই ছিলি কী করছিলি?
যা বললাম হিমু ভাইঃ ভোটের টানে, মানবতা বাড়ে।
- ইয়ামেন।
খুব সহজ সমীকরণ (ধরে নিচ্ছি গাজার মানুষের জন্য এ মহিলার আসলেই সহানুভূতি আছে):
গাজা=মুসলিম
জামাত=মুসলিম
ইসরাইল=ইহুদি=কাফির
মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ=কাফির
গাজায় বিধর্মী কেউ মারা গেলে উনার কিছু আসত যাইত না।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
লং টার্ম রেপুটেশান আর ভোটের বেপার সেপার আছে
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
কিন্তু তার রেপুটেশন তো এমনিতেই খুব একটা সুবিধার না বলেই শুনেছি ইংলান্ডে। দেখা যাক তার ফিরে পাওয়া 'মানবতাবোধ' তার রেপুটেশনকে কতটুক হালাল করে।
- ইয়ামেন
সাঈদা বানু কাফেরের দেশে থাকে দেখেই মন্ত্রী হতে পেরেছে। পাকিস্তানে থাকলে রুটি ভাইজা কূল পাইতো না।
আমাদের আলু পত্রিকার বুদ্ধিজীবিরা
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
গুয়েবাড়া মনে হয় ঘ্যাম উর্দু জানে। নাইলে সাঈদা খালার সঙ্গে এতো তর্ক করলো ক্যাম্নে?
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
মোলাকাত করতে করতে কী তর্ক করা যায় ভাবতেছি
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আর আমি 'দৃঢ়তা' নিয়ে চিন্তায় পড়লাম
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
দ্বিমত পোষণ করলাম। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল নিয়ে তার ধারণা ভুল, কিন্তু তাতে করে তার একটা সঠিক এবং দৃশ্যত সাহসী কাজের গুরুত্ব কমে না। এই মহিলা বাংলাদেশীও না, ব্রিটিশ। তার পদত্যাগটা ইজরায়েলের বর্বরতার বিরুদ্ধেও না, খেয়াল কৈরা, বরং , তার ভাষ্যমতে, তার দেশের সরকারের মধ্যপ্রাচ্য এবং গাজা বিষয়ক পলিসি নিয়া তার মোরাল অবজেকশনের ফলাফল। ইজরায়েল নিয়ে আমেরিকার আর তার কিছু বন্ধু দেশের স্ট্যান্ড নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই, সেটার প্রতিবাদে যদি এইসব দেশের কোনো মন্ত্রী নড়েচড়ে বসে, সেইটা যতই পলিটিক্যাল হোক, সেটার গুরুত্ব অবশ্যই বড়।
--দিফিও
সমস্যাটা "মোরাল" অবজেকশন নিয়েই। মোরালিটি সিলেক্টিভ হলে মোরাল স্ফিয়ারে তার মূল্য কি আদৌ থাকে?
সিলেক্টিভ মরালিটি এবং নির্বাচনের দিকে এক চোখ রেখে সময় বুঝে মরালিটি ফলানোকে আমি কোনরকম ক্রেডিট হিসেবে দেখতে অপরাগটা প্রকাশ করলাম।
- ইয়ামেন
কথাটা মনে হয় অপারগতা হবে।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
ঠিক ভাই, ক্যামনে কি হয়ে গেল লেখার সময় লক্ষ করিনি... sometimes Avro Keyboard works in mysterious ways
- ইয়ামেন
লিবিয়াতে বোমা মেরে ছারখার করে দেয়ার সময় উনার এই মানবতা কোথায় ছিল?
=======
দস্যু ঘচাং ফু
এই সব সিজনাল এবং মুসলমানবতার ধারক ও বাহকদের লজ্জা জিনিসটা নাই। ডাবল স্ট্যান্ডর্ড তাদের শিরায় শিরায়। কয়েকদিন আগেই এক বাংলাদেশি ছেলে বলছিল, "ভাই, পাকিস্তানের রক্ত কয়েক জেনারেশন ধরে ব্রিটিশ হলেও পাকিস্তানের রক্ত।" কথাটা খুব সত্য। বারবার প্রমাণিত হয় এইসব ওয়ার্সিদের দেখলে।
দুপুরে খবরটা পড়ার পর মনে হয়েছে টিপিকাল পলিটিকাল চাল, তাও তৃতীয় শ্রেণীর। ত্রিশ লক্ষ্য বাঙালি মরলে তাদের কিছু যায় আসে না বরং যারা মারে তাদের পক্ষে সাফাই গাইতে আসে, কিন্তু গাজা বিষয়ে নির্বাচনের ঠিক আগে আগে সহানুভূতি পাবার জন্য পদত্যাগ করে। এমন কি সিরিয়াতে এর চেয়ে অনেক বেশি মানুষ মারা গেলেও তাদের কিছু যায় আসে না, ইরাকে খোদ ব্রিটেন সামরিক আক্রমণ চালালেও কিছু যায় আসে না। কিন্তু গাজার জন্য দরদ যেন উথলে পড়ে। কারণটা আসলে খুব সিম্পল। গাজা এখন বাজারে খুব বিক্রি হচ্ছে। তাই আগামী নির্বাচনে কিছু অতিরিক্ত ভোট পাবার কৌশল হিসেবেই এই পদত্যাগ।
পোস্টটা ভালো লাগলো। পাঁচ তারা দাগালাম।
টুইটার
ধন্যবাদ ভাই।
- ইয়ামেন
ওয়ার্সি বেগম বাঁশেরকেল্লার পুরাতন জানেমান।
..................................................................
#Banshibir.
মন বলে তাকে নিয়ে বাঁশের কেল্লায় অচিরেই আবার প্রেমপত্র লেখা শুরু হবে এই খবরের প্রতিক্রিয়াস্বরূপ।
- ইয়ামেন
পোষ্টে
ধর্ম আর ধর্মীয় ভন্ডামি উন্নত আর উন্নয়শীল সব দেশেই এখনো এক নাম্বার মসল্লা ভোটের রাজনীতিতে। আর মুসলমান সংখ্যা গরিষ্ঠ রাষ্ট্র হলে তো কথাই নেই! আমাদের দেশে ভোটের সময় প্রচার শুরু করে দুই দল শাহাজালাল-শাহপরাণ মাজার থেকে, ভোট আসলে মাথায় পট্রি বাঁধা হয়ে যায়, বছর বছর বেগানা পুরুষের সাথে ওমরাও করেন নেত্রী। এরশাদ কাগু হেফাজতকে তরমুজ আর পানি খাইয়ে সন্তুষ্টি অর্জন করে প্রমাণ করে তিনি একজন খাঁটি ঈমানদার মুসলমান । শামীম ওসমান ও হেফাজতের সাথে একাত্ন ঘোষনা করে সহায়তার হাত বাঁড়িয়ে দেয় । সবাই ভীষন ধার্মিক হয়ে ধর্মের ভোটগুলো সংগ্রহের কি নির্লজ্জ চেষ্টা দেখি বছরের পর বছর। বারনেস ওয়ার্সির এই পদত্যাগও উচ্চমানের একটি ভন্ডামি ছাড়া কিছু নয়। যারা ধর্মের বড়ি গুলে খায় তারাই তার পদত্যাগে মুগ্ধ হয়ে বাহবা দিতে পারে।
মাসুদ সজীব
অবশ্যই ৫ তারা।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
কনফিউজ ছিলাম কাল থেকে। হঠাত করে এই "মানবিকতা" টা আসলে "মুসলমানবিকতা" সেটা জানলাম এখন।
------------------------
আশফাক(অধম)
পাকিস্তানী বংশোদ্ভূত ওয়ার্সী বেগম তো কাদের মোল্লার ফাঁসির আগে-পরে যথেষ্ট পরিষ্কার ভাবেই নিজের জাত চিনিয়েছেন! দীর্ঘ আলোচনার সুযোগ রাখেননি।
ওনাকে নিয়ে "কনফিউজড" হবার কোনও সুযোগ দেখি না, অন্তত বাংলাদেশে।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
বাংলাদেশে এখন একটা নতুন শ্রেণির উদ্ভব ঘটেছে (চউদার ভাষায় বলদ) । এরা সব কিছুতেই শুধু কনফিউজড হয়। কিছুদিন পর এরা যে মানুষ এটাতেও কনফিউজড হয়ে যাবে।
সাইদ
এরা সবাই জেএমটিটি - জাতে মাতাল তালে ঠিক।
____________________________
সাইদা ম্যাডাম হুঁশের মানবতাবাদী। হাজার হলেও বৃটিশ পার্লামেন্টে বসতে হবে তো। ইজরায়েলি মৃদু বোমা চার্জের টাইমে বেশী ট্যাঁ ফুঁ করলে ম্যাডামের ভবিষ্যতে সমিস্যা হতে পারে। কেননা বৃটিশ আর ইজরায়েল পরস্পরের সাথে এক শতকের ঋনে আবদ্ধ। counter punch নামে একটা সাইটে এই ব্যাপারে চমৎকার লিখেছে-
"Britain’s role in this conflict, however, does go a lot further than the mealy-mouthed phrases of ‘concern’.
Aside from being the authors of this catastrophe via the Balfour Declaration in 1917, in which the UK initiated the theft of Palestine from the Palestinians.
Today, Britain currently sells £7.9bn worth of arms to Israel, the very arms that are being used to crush the Palestinians, as well as exchanging instruments of oppression for money with Saudi Arabia, a brutal dictatorship.
Such ethical transactions.
Britain is also a customer of Israel’s.
Heavily involved in the £700 million pound Watchkeeper drone scheme, in which Britain buys drones from Israel.
সুতরাং ম্যাডামের বীরত্বসূচক পদক্ষেপের জন্য একটা ইন্টারভ্যালের দরকার ছিল। গোলাগুলির সময় শান্তির বাণী কে শুনিতে চায় হে?
এরান এফ্রাতির নামে যে ফেসবুক পেজটা চালু আছে যেখানে Jesse Colyer নামে একজনের উপলব্ধিটা সব ইহুদির থাকা উচিত- Real jews stand against zionism, apartheid and colonialism. Real jews know the difference between Judaism and Zionism
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
একটা ব্যাপারে কিছুটা কনফিউজড, উনি ব্যরনেস হলেন কি প্রকারে?
বারনেস টাইটেলটি আসলে ইউকেতে পারিবারিক সূত্রে আসে না। উনি মন্ত্রী হবার সুবাদে বারনেস পদবী পান। ওনার পর ওনার ছেলেমেয়েরা কিন্তু বারনেস পদবী পাবেন না।
এখানেও একটা হিপক্রিসি আছে। উনি 'পদত্যাগ' করেছেন, কিন্তু বারনেস পদবী কিন্তু এখনও ধরে রেখেছেন। এমনকি একজন বারনেস হবার যা সুযোগসুবিধা পাবার, তাও কিন্তু ভোগ করে যাচ্ছেন। যদি রবি ঠাকুরের জালিয়ানওয়ালাবাগ গণহত্যার প্রতিবাদে 'সার' পদবী নিতে অস্বীকার করার মত কোন কিছু বেগম ওয়ার্সি করতেন, তাহলেও বুঝতাম।
- ইয়ামেন
"উনি মন্ত্রী হবার সুবাদে বারনেস পদবী পান"---এই কথাটা ভুল, উনি ব্যারনেস হন ২০০৭ সালে, দপ্তরহীন মন্ত্রী হন ২০১০ সালে, ফরেন অফিসে মন্ত্রী হন ২০১২ সালে।
আর ব্যারনেস পদবী বা লাইফ পিয়ারদের টাইটেল ত্যাগ করার বিধানও সম্ভবত নেই।
---দিফিও
কিছুটা ক্লেরিফিকেশনের দরকার আছে।
ওয়িকিপিডিয়া থেকেঃ 'On 2 July 2007, Warsi was appointed Shadow Minister for Community Cohesion. To take up the post, she was created a life peer as Baroness Warsi, of Dewsbury in the County of West Yorkshire, on 11 October 2007 and was introduced in the House of Lords on 15 October 2007.'
আমি সেটার কথা বলছিলাম। ছায়ামন্ত্রী বা হাউস অফ লর্ডস এর মেম্বার হবার জন্যও কিন্তু লাইফ পিয়ার হওয়া লাগে, এবং এ জন্যই তাকে ব্যারনেস পদবী দেয়া হয়ঃ 'Nowadays life peerages, always of the rank of baron, are created under the Life Peerages Act 1958 and entitle the holders to seats in the House of Lords, presuming they meet qualifications such as age and citizenship.'
- ইয়ামেন
গাজায় নামকাওয়াস্তে যুদ্ধবিরতি ভেঙে দিয়ে আবারও আক্রমণ চলছে কয়েকদিন ধরে। ওয়ার্সির টুইটার অ্যাকাউন্টে তার নিজের পদত্যাগ নিয়ে কে কী বললো না বললো, সেটা ছাড়া এই পুনরাক্রমণ এবং নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি হত্যাযজ্ঞের পুনরাবৃত্তি নিয়ে কোনো কথা নেই। এতেই বোঝা যায়, ওয়ার্সির দরদের কিবলা কোন দিকে।
হাহাহাহা
......
প্রশ্ন
লিখা
ওয়ার্সি আফা
অভিমন্যু .
________________________
সেই চক্রবুহ্যে আজও বন্দী হয়ে আছি
নতুন মন্তব্য করুন