কাজের মহিলাটা সবসময় দেরী করে আসে। ফিরোজা বেগম ভাবল আজ কাজের মহিলাটা আসলে আচ্ছা করে ধমক লাগাতে হবে। কিছু না বলতে বলতে অনেক লাই পেয়ে গেছে। ফিরোজা বেগম যখন একথা ভাবছিলেন তখনি কলিং বেলের শব্দ হল। দরজা খুলে দেখলেন কাজের মহিলা হাস্না তার চার বছর বয়সী ছোট মেয়েকে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। হাস্নাকে বাইরে দাড় করিয়ে রেখেই ফিরোজা বেগম বলতে লাগলেন, ‘তোমার কি আক্কেল বলতো? কালকে এতো করে বলে দিলাম আগে আগে চলে এসো, তাও আজকে দেরী করে এলে।’
হাস্না মাথা নিচু করে লজ্জিত হয়ে বলল, ‘খালাম্মা কি করমু কন। অনেক দূরে বাসা। হাইটা আসতে আসতে অনেক সময় লাগে। তারপর আবার বাচ্চাটা রাস্তায় আইসক্রিম দেইখা খাইতে চাইলো। তাই দেরী হইয়া গেছে। ’
ফিরোজা বেগম চোখমুখ উল্টে বললেন, ‘তোমার সবদিনই কিছু না কিছু বাহানা থাকে। ইস আইস্ক্রিম! ভাত খেতে ভাত পায় না, আবার আইস্ক্রিম।’
বাচ্চাটার হাতে তখনো আধ খাওয়া আইস্ক্রিম। সস্তা আইস্ক্রিমের স্যাকারিনের রঙে জিহ্বা, ঠোঁট লাল হয়ে আছে। মেয়েটি কিছু বুঝল না। মাকে বকা দিচ্ছে দেখে করুন মুখে একবার মার দিকে তাকাচ্ছে আবার মহিলার মুখের দিকে তাকাচ্ছে।
‘আচ্ছা ঠিক আছে যাও। এই শেষবারের মতো বললাম। কিচেনে সকালের নাস্তার থালা বাসন গুলো পড়ে আছে। ওই গুলো আগে পরিষ্কার কর। তারপর ঘর মুছবে।’
‘ঠিক আছে খালাম্মা।’এই বলে হাস্না মাথা নিচু করে মেয়ের হাত ধরে ঘরে ঢুকে।
ঢুকার সময় মহিলা আবার কর্কশ গলায় বলে উঠলো, ‘আচ্ছা তুমি পেয়েছ কি, প্রতিদিন তোমার মেয়েকে সাথে করে নিয়ে আসো কেন?’
‘বাসায় তো কেউ নাই খালাম্মা। কার কাছে রাইখ্যা আসমু।’
মহিলা রক্ত লাল চোখে কিছু একটা বলতে যাচ্ছিল। ঠিক এই সময়ে কিচেন থেকে খুট করে কিছু একটা পড়ার শব্দ হল। কালো বিড়ালটা বুঝি আবার কিছু একটা ভাঙল। মহিলা আর কিছু বললেন না। হাস্নাও দ্রুত কিচেনের দিকে চলে গেল।
হাস্নার বাসা আসলেই অনেক দূরে। প্রতিদিন হেঁটে আসতে আসতে অনেক সময় লেগে যায়। তারপর ছোট মেয়ের আবার কত ধরনের খেয়ালী। মা আচার খামু। মা আইস্ক্রিম খামু। মা বেলুন কিইন্যা দেও। আরো কত কি। এইতো সেদিন পার্কের সামনে দিয়ে হেঁটে আসার সময় দেখা গেল ছোট্ট একটা বাচ্চার হাতে দামি এক চকলেটের প্যাকেট। বাচ্চার সাথে ওর বাবা-মা। ওই চকলেট দেখে হাস্নার মেয়ে বলতে লাগলো, মা চকলেট কিইন্যা দেও, চকলেট খামু। হাস্না চরম বিরক্ত হয়ে মেয়ের গালে ঠাস করে এক চড় মেরে বসলো। বলল, হারামজাদি এতো পয়সা আছে রে আমাগো যে তোরে ঐ চকলেট কিইন্যা দিমু। অবাক ব্যাপার চড় খেয়েও বাচ্চাটা কাঁদলো না। কেবল বড় বড় চোখ করে মার দিকে তাকিয়ে রইলো। হাস্না বলল, চল তাড়াতাড়ি, গরিবের আবার ঢঙ্গ।
হাস্না যখন ঘর মুছছিল তখন কলিং বেলের শব্দ হলো। দরজা খুলতেই হুড়মুড় করে একটা মেয়ে ঢুকে পড়লো। ওর নাম সিমি, ফিরোজা বেগমের বড় ছেলে ভুলুর বান্ধবী। ভুলুর সাথে একই ইউনিভার্সিটিতে পড়ে। সিমি বলল, ‘ভুলু কোথায় বুয়া?’
হাস্না বলল, ‘আমি জানি না আপা। খালাম্মারে জিগান। মেয়েটি সরু চোখে তাকালো। তারপর আর কিছু জিগাসা না করে ভুলুর রুমে কোন নক-টক করা ছাড়াই ঢুকে পড়লো।
ভুলু একটা ইউনিভার্সিটিতে পড়ে। পড়াশোনা তেমন কিছুই করে না। সারাদিন কেবল বন্ধু-বান্ধবি নিয়ে থাকে। এই পার্টি –সে পার্টি করতে গিয়ে অনেকসময় পরীক্ষার কথা ভুলে যায়। তাতে অবশ্য ওর কোন সমস্যা নেই। বাবার প্রচুর টাকা। ওই রকম দুএকটা পরীক্ষা মিস করলে কিছু যায় আসে না। পার্টি মিস করলে বরং সমস্যা। বন্ধু-বান্ধবিদের কাছে অসামাজিক বলে মাণ চলে যেতে পারে।
ভুলু গায়ে-গতরে ও বিশাল। সাতাশ বছরের একটা ছেলের যে এত বড় একটা ভুরি থাকতে পারে ওকে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। কথা-বার্তাও অসংলগ্ন। কখন যে কি বলে তা বুঝা কষ্টকর।
ঘরে ঢুকে সিমি দেখে ভুলু উপুর হয়ে ঘুমুচ্চে। সিমি প্রায় চিৎকার করে বলে উঠলো, ‘ভুলু, কিরে তুই এখনো ঘুমুচ্চিস?’
হটাত চিৎকারে ঘুম ভাঙ্গাতে ভুলুর আশপাশটা বুঝতে একটু সমস্যা হলো। পরে একটু ধাতস্থ হতেই বলল, ‘কিরে তুই এতো সকালে?’
‘এতো সকালে মানে! তোর না দশটার মধ্যে ক্যাম্পাসে থাকার কথা। এখন কটা বাজে দেখতো। এতো ইম্পরট্যান্ট একটা ক্লাশ আজকে মিস করলি।’
বিলু পাশ থেকে হাত ঘড়িটা নিয়ে বলল, ‘ও ম্যান সীট।’
‘হুম সীট। তুই তো সবসময় এমনি করিস। ’ সিমি হতাশ গলায় বলল।
ওরা যখন কথা বলছিল তখন হাস্নার ছোট মেয়ে দরজার পাশে দাড়িয়ে ওদের কাণ্ডকারখানা দেখছিল। সিমি দেখে বলল, ‘কিরে তোর নাম কি?’
চুপ করে আছে দেখে বলল, ‘কিরে নাম বলবিনা? আয় কাছে আয়।’
মেয়েটি ভয়ে ভয়ে কাছে এলো। মেয়েটির গায়ে ছেঁড়া ফ্রক। চেহারাটাও বেশ মলিন। দেখে সিমির কেমন জানি মায়া হলো।
ভুলু ধমক দিয়ে বলল, ‘ঐ যা। তোকে না কতবার বলেছি আমার দরজার আশেপাশে ঘুরঘুর করবি না।’
সিমি বলল, ‘ধমক দিচ্ছিস কেন? কত কিউট বাচ্চাটা।’
ভুলু সিমির কথা যেন শুনতেই পেল না। আরো দিগুণ জোরে ধমক দিয়ে বলল, ‘ঐ যা তোর মাকে বল আমাদের চা দিতে। মেয়েটি তার পরেও দাঁড়িয়ে আছে দেখে রক্ত-চক্ষু করে হুংকার দিয়ে বলল, ‘লাগাবো এক থাপ্পড়। এখনো যাস না কেন?’
মেয়েটি এবার বেশ ভয় পেল। সাথে কিছুটা অভিমান। মুখ ভার করে ঘর থেকে বের হয়ে এলো। মা ঘর মুছছিল। কাছে এসে মার শরীর ঘেঁসে দাঁড়িয়ে রইলো।
হাস্না বলল, ‘সর সর আমারে কাজ করতে দে।’ মেয়েটি আরো কাছে এসে মার শরীর ঘেঁসে দাঁড়িয়ে রইলো।
হাস্না এবার হেসে ফেলল, বলল, ‘কি হইছে রে মা? কেউ কিছু কইছে?’ মেয়েটি কিছু বলল না। অভিমানে ঠোঁট উল্টে একই ভাবে দাড়িয়ে রইলো।
দুপুরের দিকে হাস্না যে এলাকাতে থাকে সেখান থেকে একজন লোক এসে খবর দিল যে, হাস্নার স্বামী এক্সিডেন্ট করেছে। তাকে ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর শুনে হাস্না কাঁদতে কাঁদতে মেডিক্যালে চলে গেল। যাবার সময় তার বাচ্চাকে, বাচ্চার এবং বাড়ির লোকের আপত্তি সত্ত্বেও, যে বাসায় কাজ করে সেখানে রেখে গেল। হাসপাতালে গিয়ে দেখে আঘাত তেমন গুরুতর কিছু নয়। হাতের হাড় ভেঙ্গে গেছে। প্লাস্টার করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। হাস্না স্বামীকে দেখে কেঁদে ফেলল। হড়বড় করে বলল, ‘কেমনে কি হইলো?’
স্বামী একটা বড় দম নিয়ে বলল, ‘আর কইস না। পল্টন এলাকায় রিক্সা চালাইতাচিলাম। এক প্যাসেঞ্জাররে নামায় দিয়া যেই বামে টান দিছি অমনি কোন থিকা জানি একটা প্রাইভেট কার আইসা জোরে ধাক্কা দিল। উল্টায় গিয়া ফুতপাতে পড়লাম। ভাগ্য ভালো যে আশেপাশে কোন গাড়ি আছিল না। থাকলে জানটা যাইত।
হাস্না জোরে জোরে দম ফেলে। হাস্নার স্বামী আবার বলে, ‘মাইয়া কই?’
‘ওরে রাইখা আইছি।’
‘কই রাইখা আইছস? ’
‘যে বাড়িতে কাজ করি ঐখানে।’
‘সমস্যা হইব না? ’
হাস্না আর কোন কথা বলে না। চোখ দিয়ে ফোঁটায় ফোঁটায় পানি গড়িয়ে পড়তে থাকে।
এদিকে ফিরোজা বেগম মহা বিরক্ত। বাচ্চাকে রেখে গেছে সে কবে। এখনো ফেরার নাম নেই। বাচ্চাটা ড্রয়িং রুমের একপাশে বসে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদছে। সন্ধ্যার দিকে বাসার আবার অনেক মেহমান আসবে। ফিরোজা বেগম ভুলুর দিকে তাকিয়ে বলল, ‘এই ভুলু কি করি এখন বলতো? ওর মা যে সে কবে হাসপাতালে গেল, এখনো তো এলো না। ’
ভুলু বলল, ‘ওর বাবা মরে–টরে গেল নাকি?’
‘কি জানি। এদিকে একটু পরেই তোর খালারা আবার চলে আসবে।’
ভুলু একটু পরে বলল, ‘একটা কাজ করলে কেমন হয় আম্মু?’
‘কি কাজ।’
‘ওকে ওর বাড়িতে নিয়ে রেখে আসি।’
ফিরোজা বেগমের চোখ জ্বলজ্বলে হয়ে উঠলো, বলল, ‘তুই বাসা চিনিস?’
ভুলু একটু চিন্তা করে বলল, ‘ঠিক কোন বাসাতে থাকে চিনি না। তবে এলাকাটা চিনি। আশেপাশে নিয়ে গিয়ে ছেড়ে আসলে হয়তো বাচ্চাটা চিনে চিনে বাসায় চলে যেতে পারবে।’
ফিরোজা বেগম একটু চিন্তা করলেন। মেয়েটির দিকে আড়চোখে তাকিয়ে বললেন, ‘ঠিক আছে, তাই কর।‘’
ভুলু নিজের রুমে গিয়ে কোনরকমে টি সার্টটা পড়ে রেডি হয়ে ছোট্ট বাচ্চাটার হাত ধরে একেবারে টেনে হিঁচড়ে বাইরে বের হয়ে এলো। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে গেছে। ভুলু মেয়েটির হাত ধরে জোরে জোরে হাঁটতে লাগলো। বাচ্চা মেয়েটি ওর সাথে তাল রাখতে না পেরে বার বার হাঁপিয়ে পড়ছিল। প্রায় পনেরো মিনিট হাঁটার পর ভুলুর কাছে মনে হলো এটাই সে এলাকা। ছোট একটা অন্ধকার গলিতে মেয়েটির হাত ছেড়ে দিয়ে ভুলু বলল, ‘কি এবার বাসায় যেতে পারবি না?’
অন্ধকারে মেয়েটি ঘাড় নাড়লো না কি করলো ঠিক বুঝা গেল না। ভুলু আর দেরী করলো না। এতক্ষণে বোধহয় খালা আর খালার মেয়েরা চলে এসেছে। ভুলু লম্বা লম্বা পা ফেলে গলি থেকে বের হয়ে এলো।
হাস্না মেডিক্যাল থেকে ফিরলো রাত আটটায়। এসে দেখে বাসায় বিশাল ভীর। চীৎকার চেচামেচি আর মেয়েদের খিলখিলে হাসি। হাস্না ফিরজা বেগমের কাছে গিয়ে বলল, ‘খালাম্মা আমার মাইয়া কই? ’
ফিরোজা বেগম বেশ ব্যস্ত একটা ভাব দেখিয়ে বললেন, ‘ওকে তো ভুলু বাসায় দিয়ে এসেছে।’
হাস্না অবাক হয়ে বলল, ‘বাসায়! কিন্তু বাসায় তো কেউ নাই। সকালে তালা দিয়া বাইর হইছি।’
মহিলা বেশ বিরক্ত হলেন। খট খটে গলায় বললেন, ‘যাও তো বিরক্ত করো না। বাসায় যাও। বাসায় গেলেই পাবে।’
হাস্না চোখে মুখে অন্ধকার দেখলো। মনে হল যেন মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো। পাগলের মতো রাস্তায় বের হয়ে দ্রুত হাঁটতে লাগলো। বাসায় গিয়ে দেখা গেল বাসায় আগের মতোই তালা লাগানো। আশেপাশেও খুঁজে দেখলো। না তার ছোট্ট মেয়েটি কোথাও নেই। ছনদা মা তুই কইরে, এই বলে কাঁদতে কাঁদতে পাগলের মতো খুঁজতে লাগলো।
এলাকাটাতে ছোট ছোট অনেক গুলো গলি। গলি থেকে হাস্না মেইন রোডে বের হয়ে এলো। অনেকক্ষন এলোমেলো ভাবে মেয়েকে খুঁজলো। আশেপাশের পরিচিত মানুষদের জিজ্ঞাসা করলো, ওদের বাসায় গেল। কিন্তু কেউ কিছু বলতে পারলো না। কাজে যাবার পথটাতে দুই-তিনবার করে এলোগেলো, কিন্তু না, মেয়েকে দেখলো না।
মেয়েটা এদিকে সে সন্ধ্যা থেকেই অন্ধকার গলিতে বসে আছে। ভয়ে আশেপাশে কোথাও যেতে সাহস হয়নি। চিনেও না কিছু। অনেকক্ষণ ধরে কাঁদতে কাঁদতে দেয়ালে হেলান দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিল। হঠাৎ কিসের একটা শব্দে ওর ঘুম ভাংলো। শুনতে পারলো মার সেই পরিচিত স্বর। ওর মা ওকে খুঁজছে। সাথে সাথে মার শরীরের পরিচিত একটা গন্ধও ওর নাকে এসে লাগলো। মেয়েটার তখন খুবি দুর্বল অবস্থা। কোন রকমে মা মা শব্দ করে ডেকে ওঠলো। হাস্না মেয়ের ডাক শুনতে পেল। অন্ধকার গলি থেকে খুঁজে মেয়েকে বের করে ফেললো।
মেয়েকে পেয়ে বুকে ঝাপটে ধরে কেঁদে ফেললো। মেয়েটিও মাকে পেয়ে অনেক খুশি। আহ কি শান্তি। মেয়েটি মার বুকের সাথে বুক লেপটে পড়ে রইলো। মেয়েটির পেটে প্রচণ্ড ক্ষুধা, তাও ওর মুখ থেকে হাসি ঝরা কমে না। মনে মনে কেবল বলে যায়, মাকে পেয়েছি। আমি আমার মাকে পেয়েছি।
জাহিদ
মন্তব্য
চরিত্র-গুলি, ঘটনার বিন্যাস ভাল ধরা হয়েছে। ভাষা মনে হয়েছে আর একটু গুছিয়ে তোলার অবকাশ আছে।
পরের লেখার সাগ্রহ প্রতীক্ষায় থাকলাম।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
চরিত্রগুলোর নাম একেক জায়গায় একেক রকম হলো কেন বুঝলাম না? যেমন ফিরোজা বেগমের ছেলের নাম ভুলু, আবার একজায়গায় লিখলেন বিলু?
বহুমাত্রিক সম্ভবনা নিয়ে শুরু হওয়া গল্পটি শেষ পর্যন্ত ফিনিশিং দুর্বলতায় সাধারণ মানের গল্পই থেকে হলো। আশা করি পরের লেখাতে আরো ভালো করবেন।
-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।
কেমন যেনো ধারাবিবরণীর মতো লাগল। এক লহমার সাথে সহমত।বর্ননার ভাষা আরো ভালো করা যেতো। প্লটটা ভালো ছিলো ।
একটু জলদি করে লিখেছেন কি?
--------------------------------
আশফাক(অধম)
ভালো লাগলো খুব
ভালো থাকবেন।
শুভকামনা জানবেন।
--------------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ
নতুন মন্তব্য করুন