আগস্ট মাসের শুরুটা আমার পছন্দের। কারন ১ই আগস্ট আমার সবচেয়ে প্রিয় মানুষের মধ্যে একজনের জন্মদিন... আমার বাবার। কিন্তু তারপর থেকে সময় যত ১৫ তারিখের দিকে গড়াতে থাকে আমার মন ততই খারাপ হতে থাকে।
এর দুটো কারন। প্রথমত ১৫ই আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কময় দিনগুলোর একটি। এই দিনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে নিজ বাসভবনে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। ক্ষমতার লোভে লিপ্ত একদল কুলাঙ্গার আর্মি অফিসার হত্যাযজ্ঞ থেকে দশ বছরের শিশু থেকে গর্ভবতী মহিলা কাউকেই রেহাই দেয় নাই। সেসময় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা দেশের বাইরে থাকার কারনে প্রানে বেঁচে যান। দেশ স্বাধীন হবার অর্ধশতকও পেরোতে না পেরোতে আমরা এই প্রতিদানই দিয়েছিলাম সেই মানুষ ও তাঁর পরিবারকে, যাকে ছাড়া আমরা হয়ত এখনও পাকিস্তানের থার্ড ক্লাস নাগরিক হিসেবেই পড়ে থাকতাম। তাই ১৫ই আগস্ট কাছে আসতে থাকলেই আমার মন বিষণ্ণ হতে থাকতে চিন্তা করে যে ১৯৭৫ সালের এই দিনে নিজেরাই কিভাবে নিজেদের এত বড় একটা ক্ষতি করলাম! আমরা যে ভুল করেছি তার মাশুল হয়ত আমরা জাতি হিসেবে সবসময় দিব, কিন্তু তার প্রায়শ্চিত্ত আমরা কিছুটা দেরি করে হলেও করতে পেরেছি সেই ঘাতক আর্মি অফিসারদের অধিকাংশকেই ফাঁসিতে ঝুলিয়ে। দুইজন এখনও বিদেশে পলাতক, তবে একদিন তাদেরও দেশে ফিরিয়ে এনে ঝুলানো হবে সে ব্যাপারে আশাবাদী আমি।
কিন্তু দ্বিতীয় কারনটা বলা যায় আমার জন্য আরও বেশী পীড়াদায়ক। সেটা হল একটা ছবি যেটা আমি জানি প্রতি ১৬ই আগস্ট বাংলাদেশের সব খবরের কাগজে ও নিউজ পোর্টালে ছাপা হবে। ছবিটি হবে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার। উনি পাতলা ফিনফিনে শিফনের একটি শাড়ি পড়ে হাস্যজ্জল মুখে টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে একটি বিশাল কেক কাটছেন। তাকে ঘিরে আছেন বিএনপির একদল প্রবীণ নেতা যাদের ঠোঁটেমুখেও লেগে আছে বিশাল বড় হাঁসি। ১৫ই আগস্ট নাকি ম্যাডাম জিয়ার ‘জন্মদিন’, এবং প্রতিবছর ঘটা করে তিনি তার জন্মদিন পালন করেন বিএনপির কার্যালয়ে। খবরের কাগজগুলোও এই ছবি প্রতিবছরই যথারীতি ফলাও করে ছাপাতে কার্পণ্য করে না।
ম্যাডাম জিয়ার জন্মদিন কি অদ্য ১৫ তারিখে নাকি না তা নিয়ে আমি এখানে সময় নষ্ট করতে চাই না। আমার চেয়েও অনেক জ্ঞানী মানুষ এই ব্যাপারে অনেক তথ্যপ্রমান পেশ করেছেন আগে, তা থেকে অন্তত এতটুকু নিশ্চিতভাবে বলে যায় যে আর কিছু না হোক, ১৫ আগস্টে তার প্রকৃত জন্মদিন হবার সম্ভাবনা খুবই কম। তাহলে কেন এত ঘটা করে এমন শোকের দিনে একটা প্রশ্নবিদ্ধ জন্মদিন পালন করা? এটা কি শুধু তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ শেখ হাসিনাকে তাঁর চরম দুঃখের দিনে আরও কষ্ট দেবার একটা ছোটলোকি প্রয়াস ছাড়া আর কিছু? মন আরও খারাপ লাগে মনে হলে যে আজ ম্যাডাম জিয়ার যা আছে তার কিছুই থাকত না বঙ্গবন্ধু হস্তক্ষেপ না করলে। ১৯৭১ সালের পুরো সময় ম্যাডাম জিয়া ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে বন্দি (!) ছিলেন। দেশ স্বাধীন হবার পর জিয়াউর রহমান তার স্ত্রীকে প্রথমে ফেরত নিতে অস্বীকার করেন, তখন বঙ্গবন্ধু খালেদা জিয়াকে তাঁর নিজের কন্যা বলে সম্বোধন করে জিয়াউর রহমানকে আদেশ করেছিলেন তাঁর ‘মেয়েকে’ গ্রহন করতে। যেই মানুষ তাকে একদিন নিজের মেয়ে হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সর্বস্ব হারানো থেকে রক্ষা করেছিলেন, সেই পিতৃতুল্য মানুষের প্রতি ম্যাডাম জিয়ার ‘শ্রদ্ধার’ নিদর্শন দেখে বাৎসরিকভাবে হতাশ হই আমি।
বিএনপি ও তার শরিক দলগুলোর নেতাকর্মী যারা এই ‘জন্মদিন’ উদযাপনে যোগ দেন, বিশাল বড় ফুলের তোড়া এনে ম্যাডামের হাতে তুলে দেন, কেক কাটা ও মোমবাতি ফুঁ দিয়ে নেভানোর সময় কড়তালি দেন, তাদের কারও মনে কি একবার প্রশ্ন জাগে না যে ‘আমি কেন আজ এখানে আসলাম? এটা করা কি ঠিক হচ্ছে? ম্যাডামকে কি উপদেশ দেয়া উচিৎ যে দেশের এমন কালো এক দিনে এভাবে নির্লজ্জের মত মিথ্যা জন্মদিন পালন না করলেই কি নয়?’ না, বোধহয় জাগে না, বা জাগলেও ‘ম্যাডামকে খুশি রাখি তাহলে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে উনি আমাকে মনে রাখবেন’ সেই আশায় বিবেকের কণ্ঠরোধ করে ফেলা হয়।
তাও বুঝলাম কেন বিএনপি ও জোটের নেতাকর্মীরা এই প্রহসনে প্রতিবছর যোগ দেন এবং আরও বেশী করে ম্যাডাম জিয়াকে উস্কানি দেনঃ তাদের স্বার্থ আছে। কিন্তু এই গণমাধ্যমের যুগে আমি যেদিকে তাকাই সেদিকেই এত মানুষের ১৫ই আগস্টের হত্যাকাণ্ডের সাফাই গাওয়া ফেসবুক/টুইটার/ব্লগ পোস্ট দেখি... তাদের স্বার্থ কি? দেখি কেউ লিখে ‘১৫ই আগস্ট আসলে আমি মিষ্টি বিতরন করি’, কেউ লিখে ‘১৫ই আগস্টে আমরা প্রকৃত স্বাধীনতা লাভ করেছি’। এসব লেখা মানুষের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার গোছের ‘শিক্ষিত’ ‘সুশীল’ সমাজের সদস্যরাও আছেন। আরও দেখি গত কয়েক মাস ধরে চালু হয়েছে যে ট্রেন্ড, সরকারের সমালোচনা করার উছিলায় ‘আরও একটি ১৫ই আগস্ট আসন্ন’ বা ‘আমাদের আরও একটি ১৫ই আগস্ট ঘটাতে হবে’ এই গোছের বক্তব্য। ১৫ই আগস্ট কোন বিপ্লব ছিল না, ছিল কিছু কাপুরুষের নিমকহারামির দৃষ্টান্ত মাত্র। কিন্তু চারিদিকে দেখি কত কত বাঙ্গালী ১৫ই আগস্টকে ডালভাতে রুপান্তরিত করে ফেলেছেন, এবং তারা আবার এমন একটি ভয়ঙ্কর দিন দেখতে চান দেশে!
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান নিজেও কিন্তু রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় ১৯৮১ সালের ৩০শে মে ঘাতকের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন। কিন্তু বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন হাজার দুর্নীতি, বাংলা ভাইয়ের উত্থান, আইন শৃঙ্খলার অবনতি, ‘আল্লাহ্র মাল আল্লাহ্ নিয়ে গেছে’ মার্কা উক্তির মাঝেও কখনও কোথাও কাউকে বলতে বা লিখতে শুনিনি যে ‘আবার একটা ৩০শে মে ঘটানো দরকার’। তবে কেন খালি বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের প্রতি এই দেশের মানুষের এক অংশের এমন আক্রোশ?
সাইকলজিতে ‘এডিপাস কমপ্লেক্স’ (Oedipus Complex) বলে একটা জিনিস আছে। কিছু মানুষের মধ্যে অজান্তে তার পিতার প্রতি প্রবল বিদ্বেষ এবং আক্রোশ, এবং মায়ের প্রতি অসুস্থ আকর্ষণকে এডিপাস কমপ্লেক্স বলা হয়। মাঝে মাঝে মনে হয় আমরা বাঙ্গালীরা বোধহয় জাতিগত ভাবে একপ্রকার এডিপাস কমপ্লেক্সে ভুগছি। আমরা জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করি, তার হত্যাদিবসে প্রশ্নবিদ্ধ জন্মদিন ঘটা করে পালন করি, এবং তার বেঁচে যাওয়া দুই কন্যাকেও হত্যা করে পিতার বংশ পুরোপুরিভাবে নিশ্চিহ্ন করার কথা অকপটে বলে বা লিখে যাই। কিন্তু অন্যদিকে আমাদের জন্মভূমি বাংলাদেশকে আগ্রগতির দিকে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আমাদের কারও মাথাবেথা নেই। কেউ আছি ক্ষমতার নেশায় বুঁদ, কেউ কিভাবে দেশের সম্পদ বিদেশী শক্তির কাছে বেঁচব সেই চিন্তায়, কেউ ‘বাংলা হবে তালেবান’ হুঙ্কার দিয়ে দেশে ‘ইসলামিক শাসন’ কায়েম করার নামে দেশকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেয়ার কাজে বেস্ত। এভাবে আমাদের মাতৃভূমিকে ধর্ষণ করছি আমরা প্রতিনিয়ত।
আমাদের এই প্রবনতা এডিপাস কমপ্লেক্স না হলে আর কি?
লিখেছেনঃ ইয়ামেন
মন্তব্য
১৫ আগষ্ট নিশ্চয়ই অনেক শিশুর জন্ম হয়েছিল। কিন্তু সেই শিশুদের মধ্যে খালেদা জিয়া ছিলেন কিনা সেটা তাঁর পিতামাতা বলতে পারবেন। কিন্তু তিনি তার এই নতুন জন্মদিনের জন্ম দিয়েছেন মাত্র কয়েক বছর আগে। এই দ্বিতীয় জন্মের জন্য তার এবং তার সমর্থকদের জন্য করুণা ছাড়া আর কিছুই নেই।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
খালেদার পিতা তার জীবদ্দশায় আশির দশকে "সাপ্তাহিক নিপুন" এ একটা সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন খালেদার জন্ম ১৯৪৬ সালের ৫ই সেপ্টেম্বর।
ঈদিপাস কমপ্লেক্স আমার মনে হয় না। জন্মদিনপার্টি তো বাবা বলেই স্বীকার করে না, তো সেই বাবার প্রতি নিজের অজান্তে বিদ্বেষ তৈরি হওয়ার প্রশ্ন অবান্তর!
এই জন্মদিন পার্টি আসলে অন্য কাউকে (মানে, জিন্নাহ্) বাবা মানে, তো বঙ্গবন্ধুর জন্ম দেয়া বাংলাদেশকে তারা কখনোই মন থেকে মেনে নেয়নি, এখনো তারা অন্য একটি দেশের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে শুধু, দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে বিকৃত একটি জাতীয়তাবাদের চাষ করে!
তবে আমি জন্মদিন পালনে কোন আপত্তি দেখি না!!! এইদিন তো তাদের জন্মই হয়েছে, তাই না? একাত্তরে কবর দেয়া প্রেতাত্বাদের পুর্নজন্ম ঘটেছিল এই দিন, এ কথা কি মিথ্যা??? সুতরাং, যারা বছরের প্রতিটি দিন ইতিহাস বিকৃতি করে, তারা অন্তত এই দিনে ইতিহাসের প্রতি সুবিচার করে বলে আমার ধারণা!
.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
--সুবীর
আপনার দিতীয় পয়েন্ট মনে ধরেছে। ধন্যবাদ ভাই।
- ইয়ামেন
জন্মদিন ব্যাপারটা এত গুরুত্বপূর্ন কেনো এইটা আমি ঠিক বুঝতে পারিনা। জন্ম নিয়া এমন কি দয়াটা করে কেউ যে সেইদিন ঢোল পিটাতেই হবে? ছোটবেলায় বাচ্চারা জন্মদিন পালন করলে মানতে পারি। বুড়ো বয়সে নিজের জন্মদিন নিয়ে হাউকাউটাই আমার কাছে বালখিল্যতা লাগে। আর সেটি নিয়ে রাজনীতি করাটা আসলে আমাদের আসল রাজনৈতিক দর্শনকেই প্রদর্শন করে যা দুই দলই ধারন করছে।
-------------------------
আশফাক(অধম)
লেখার নামকরণের যথার্থতা বুঝতে ব্যর্থ হলাম। "The term Oedipus complex (or, more commonly, Oedipal complex) denotes the emotions and ideas that the mind keeps in the unconscious, via dynamic repression, that concentrates upon a child's desire to sexually possess the parent of the opposite sex." - এখানে "পিতার প্রতি প্রবল বিদ্বেষ এবং আক্রোশ" কই? আর আপনার গোটা ব্যাখ্যায় "মায়ের প্রতি অসুস্থ আকর্ষণ"-টাই বা কোথায়?
- প্রথমে এই অতি সরলীকৃত সিদ্ধান্ত থেকে বের হয়ে আসুন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
গতকালকে অন্তত ৫ টি জাতীয় দৈনিকের "মূল প্রতিবেদনে"/একাধিক সরকারী আলোচনা অনুষ্ঠানেও আমি এই কতিপয় সেনা অফিসার/ কতিপয় বিপথগামী সেনা সদস্য/ কতিপয় দুষ্কৃতিকারী এই বর্ণনা পড়তে আর শুনতে টায়ার্ড হয়ে গেছি। এমন পত্রিকাও আছে যার ভেতরের কলামে ষড়যন্ত্রের স্বরূপ নিয়ে তুমুল আলোচনা, অথচ প্রথম পাতার লীড নিউজেঃ "কতিপয়... ..."
এবারে হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছি কেন একে শোক দিবস হিসেবেই বহাল রাখা উচিৎ।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
লেখাটা অনেকটাই সময়স্বল্পতার মাঝে আবেগপূর্ণ কিছু অগোছালো চিন্তা নিয়ে ছিলো। এটা সত্য কিছু জায়গা অতিসরলীকরণ হয়ে গিয়েছে, এবং এডিপাস কম্পলেক্সের এনালজিটাও হয়তো পুরোপুরি যথার্থ ছিলো না। বিষয়টা কন্সট্রাক্টিভ ক্রিটিসিজমের সাথে ধরিয়ে দেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
- ইয়ামেন
লেখকের আবেগের সাথে দ্বিমত নেই। কিন্তু লেখার মধ্যে যে বিশ্লেষণ-কে ধরা হয়েছে সেইটি অতিসরলীকৃত এবং উপর-উপর মনে হয়েছে। এই হত্যাকান্ডকে 'আমরা যে ভুল করেছি'- এই দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে শুরু করলে এর বীভৎস, পৈশাচিক ষড়যন্ত্রের কাহিনীটি আড়ালে চলে যায়। যা এক দিকে অতীত উন্মোচনের ব্যর্থতা জারী রাখে, সেই সাথে ভবিষ্যতের ১৫-ই আগষ্টের জমি প্রস্তুতে সহায়তা করে। অনুরোধ রাখব এই ব্যাপারগুলি খেয়াল করে ঘটনাবলীর মূল্যায়ন করতে।
লেখার যে নামকরণ তার সাথেও এক হতে পারছিনা। উপরে ষষ্ঠ পাণ্ডব-এর মন্তব্য-র সাথে সহমত।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
নতুন মন্তব্য করুন