চার চাকার গাড়ি
১.
ঘটনার আকস্মিকতায় রতন পুরো বেকুব হয়ে যায়। ভিড়ের সাথে ঠেলাঠেলি করে একেবারে সামনেই চলে এসেছে ও। সকলের সাথে নিজেও উৎসুক হয়ে এই কর্মকাণ্ড দেখছিল। মমিনও আছে সাথে। দুই বন্ধু মিলে সমবায় মার্কেটের দিকে যাচ্ছে। রাসেল মোবাইলে কল করেছে। খুব মেজাজ দেখিয়েছে। আজ দেখা না করলে বলেছে দুইজনকে পুঁতে ফেলবে। গালিগালাজও করেছে অনেক। বাধ্য হয়েই দুই বন্ধুতে রাসেলের সাথে দেখা করতে চলেছে। রাসেল ওদের চেয়ে বয়সে বেশ বড়। প্রায় দশ-বারো বছরের বড়। গত এক বছরের মধ্যে অনেক টাকা করেছে রাসেল। কিন্তু এর পেছনের রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা রতনের ছোট মাথা করে না। ও শুধু ফেঁসে গেছে নয়শ টাকার জন্য। আজ তাই যেতেই হচ্ছে।
রতর আর মমিন চৌরাস্তার মোড়ে ভিড় দেখে ভিড়ের মধ্যে ঢুকে পড়েছে। মানুষের তো বিনোদনের অভাব। তাই বেশির ভাগ মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি হল, রাস্তাঘাটে ভিড় দেখলেই দাঁড়িয়ে যাওয়া। মমিন রতনের দিকে তাকিয়ে চোখ নাচিয়ে কি একটা ইঙ্গিত করে। অতসব ইঙ্গিত বোঝে না রতন। তাই ফিসফিস করে জানতে চায়,
-কিরে দোস্ত?
-আরে দুর....তুই বুঝস না। গাড়ির ভেতর দেখছস মালখান!
রতন মাল শব্দটা পছন্দ করে না। কেমন গা গুলানো শব্দ! কিন্তু মমিনের এই এক দোষ, রাস্তায় যে অবস্থাতেই থাকুক না কেন মাল ও বলবেই আর ঘুরে ঘুরে মেয়ে দেখবেই। এখন রতনের আরও বিরক্ত লাগে। কারণ মমিনের গলায় লোভ আর আসক্তির অদ্ভুত মিশ্রণ। রতন আবার গাড়িটার দিকে তাকায়। ড্রাইভার আর সাইকেলওয়ালার ঝগড়া দেখছিল বলে এতক্ষণ গাড়ির পেছনের জানালায় চোখ যায়নি ওর। মেয়েটাকে তো ও খেয়ালই করেনি। সাদা ঝকঝকে গাড়িটার ভেতরে আরও ঝকঝকে একটা মেয়ে বসে আছে। জিনস আর টাইট একটা হলুদ গেঞ্জি পড়া মেয়েটা ওর সমবয়সীই হবে। হলুদ গেঞ্জিতে মেয়েটার গায়ের রঙেও হলুদের আভা লেগেছে। ঠিক সেই সময়ই গাড়ির ভেতর থেকে মেয়েটা হাত বাড়িয়ে কারো দিকে ইশারা করে।
-এই লাল গেঞ্জি শোনো....
রতন আশেপাশে তাকায়। লাল গেঞ্জি তো ভিড়ে চোখে পড়ছে না। এইবার রতন যখন বুঝতে পারে ইশারাটা ওর দিকে তখনই ও পুরো বেকুব হয়ে যায়। মমিন রতনের হাতে হ্যাঁচকা টান দিয়ে ও কে এগিয়ে দেয়।
-কী?
এর চেয়ে যুৎসই কোনো প্রশ্নবোধক শব্দ রতনের মুখে আসে না। এত সুন্দর মেয়ে এই প্রথম এত কাছ থেকে দেখছে। রতনের দুই চোখ মুগ্ধতার মার্জিনে আটকে যায়। কি মোহময় গড়ন মেয়েটার! হবে না ? সব খেতে পায় যে! মেয়েটার গায়ে বিলাতি আতরের গন্ধ। হুশ.......বড়লোকের মেয়েরা আতর দেয়নি! নিজের মূর্খতায় নিজেরই হাসি পায়। হাসি আটকে রতন তার প্রশ্নের পুনরাবৃত্তি করে।
-এই দুইশ টাকা আমার ড্রইভার আংকেলকে দিয়ে বলতো সাইকেলওয়ালাকে দিতে, আমার গাড়ি থেকে নামতে ভয় করছে।
মেয়েটির গলার স্বরও সুন্দর। রতন যেন সৃষ্টিকর্তার এক অপার রহস্য বুঝতে পারে, কাউকে কাউকে এত বেশি দেয় বলেই অন্যের ঘরে টান পড়ে! রতন কম্পিত হাতে টাকাটা নিয়ে ড্রাইভারের হাতে দেয়। গোলমাল কমে যেতেই চার চাকার সফেদ গাড়িটা এক টানে ওদের দৃষ্টিসীমার বাইরে চলে যায়।
-ওই গাধা...তুই ওই মালখানার কামলা খাটলি ক্যান। চার চাকার গাড়ি দেইখা নোলায় ঝোল পড়লনি!
রতন মমিনের কটাক্ষের উত্তর দেয় না। চার চাকার প্রাইভেট কারের প্রস্থানের দিকে তার প্রসারিত দৃষ্টি এখনো সংকুচিত হয়নি। মমিন আবারো রতনকে উস্কানোর চেষ্টা করে,
-কিরে দোস্ত, মালটা চইলা গেছে তাই মন পোড়ায়?
রতন এবার সচকিত হয়ে উত্তর দেয়,
-তোর নোংরা কথা না থামাইলে আমি কিন্তু তোর লগে যামুনা।
-এহ্! যামুনা কইলেই হইল! আইজ না গেলে রাসেইল্লা তোরে ছাড়ব? তিনশখান টাকা এইবারও তো আমি একলা নেই নাই।
রতন এইবার চুপ মেরে যায়। আগের দুইবারের ছয়শ আর এই বারের তিনশ, সব মিলিয়ে নয়শ টাকা নিয়েছে রাসেল এর কাছ থেকে। রাসেলের মায়াহীন নিষ্ঠুর চেহারাটা মনে পড়তেই রতনের ভয় ধরে যায়। খানিক আগের বেপরোয়া ভাব উবে যায়। কী কুক্ষণে যে টাকা গুলো নিতে গেছে। এক বেলাতেই এক ফুৎকারে তিনশ টাকা শেষ। কুটুমবাড়ি রেস্তোরার কাঁচের জানালার ভেতর লোভনীয় ভাবে সাজিয়ে রাখা গ্রিল চিকেন দেখে কতবার যে ওর শুষ্ক জিহবা জলীয় হয়েছে। রাসেলের কাছ থেকে তিনশ টাকা পেয়েই রতন তাই ছুট লাগিয়েছিল। আগের ছয়শ টাকাও পেটের ভেতর বসে থাকা রাক্ষসটা খেয়ে ফেলেছে। অথচ রাসেল ভাই এর কথামত ও কাজে যায়নি। গ্রিল চিকেনের মুখ পোড়ানো ঝাল আর সাথে সরিষা তেলের ঝাঁঝ মনে পড়তেই রতনের জিহবা আবার আর্দ্র হয়ে ওঠে। বন্ধুর মনের কথা যেন আদর্শলিপির মত পড়তে পারে মমিন,
-দোস্ত সেই দিনকার গিল চিকেনটা কিন্তু ফাইন আছিল। তিন কিস্তি রাসেল ভাইয়ের টাকায় ভালই খাইলাম। এইবার না গেলে বেঈমানী হইব।
রতনের মুখে কথা আসে না। পেটের ভেতর লোভী ছুঁচো খালি দৌড়ায়। সকালে ভাতের সাথে শিম আর আলু ভর্তা। পানি দেওয়া ভাতের সাথে থকথকে ভর্তা দেখেই ওর গা গোলাচ্ছিল। মাকে তবু বুঝ দিতে ঠেলে ঠুলে গলা দিয়ে নামিয়েছে। বাবা তো তাই গপগপ করে খাচ্ছিল আর মাকে বলছিল, নতুন সীম আলুর সোয়াদই আলাদা। রতন বুঝতে পারে না মানুষের স্বাদ পার্থক্য এত বিচিত্র কেন? আসলে ওর পনের বছরের অপরিণত মন্তিস্কই সারাক্ষণ রসনেন্দ্রিয়ের ধূর্তামি ধরতে সচেষ্ট থাকে। নতুবা রতনের জিহবার সাথে মা-বাবা যতবারই প্রবঞ্চণা করতে চায় ততবারই ব্যর্থ হয় কেন?
আবার রতনের চার চাকার গাড়িটার কথা মনে পড়ে। মেয়েটার কপালও সেরকম। চার চাকার গাড়িতে ঘুরে দিনভর কত খানা যে এরা খেতে পারে। রতনের বাবারও একটা গাড়ি আছে। চার চাকার গাড়ি। সেই গাড়িতে করে ছলেমান ভাপা পিঠা বিক্রি করে। শীত মৌসুমে ভাপা পিঠার কদর বুঝে ছলেমানের গাড়ির খাবার উপকরণও পরিবর্তিত হয়। আমের সিজন আচারটা ভাল চলে, মাঝখানে কিছুদিন পুরি শিংগাড়া আর অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে ছলেমানের গাড়ি হয় ভাপার গাড়ি। গত সাত বছরের ব্যবসা রতনের বাবার। মাঝে দুইবার এই চার চাকার গাড়ির মেরামত করতে হয়েছে। তবু গাড়ি ঠেলে বাবা যখন বাড়ি থেকে বের হয় তখন রতনের ভালই লাগে। বাবার গাড়ি!
তবে রতন ভাপা পিঠা দুই চোখে দেখতে পারে না। চালের গুড়ির সাথে গুড়ের দলা। এটা এত আয়েস করে খাওয়ার কি আছে? ছ্যা!
২.
হরতালের আগের সন্ধ্যায় গাড়ি টানা মুশকিল। ছলেমান তাই হৈমবালা গার্লস স্কুলের পাশের গলিতে ওর গাড়ি ঢুকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। চটপট পেশাদার হাতে পিঠা বানিয়ে চলছে। এই এলাকায় ওর পিঠার খুব কদর। নীল গাড়ির গায়ে গতকালই লাল কালি দিয়ে নতুন করে লিখিয়েছে, রতনের পিঠা গাড়ি। রতনের নামে ব্যবসা হলেও ছেলেটা একদম পিঠা পছন্দ করে না। জোর করে মাঝে মাঝে মুখে দিলে বলে, মাটির দলা। ছেলেটা যেন বড়লোকের পয়দা। ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত পড়ে আর স্কুলে গেল না। এখন দিন রাত লাটিমের মত ঘোরে। দিন কাল ভাল না। আশেপাশের পাঁচ বাড়ির ছেলেপেলে নেশাপানি করে। রতন যদি এর মধ্যে ভিড়ে সেই আশংকায় ছলেমানের বুকের মধ্যে ভয় বাড়তেই থাকে। কোনো কোনো রাতে সেই ভয় ছেলের চৌকি অবধি ছলেমানকে টেনে নিয়ে যায়। মাঝরাতে ছেলের পাশে বসে মুখ শুঁকে দেখে কোনো নিষিদ্ধ গন্ধ আছে কিনা। নাহ্ ছেলেটার শুধু ভাল-মন্দ খাওয়ার নেশা, এখনো কোনো বদ নেশা ঢোকেনি ভেবে ছলেমান আরেকবার নিশ্চিন্ত হয়।
-ওই ছলেমান দুইটা পিঠা দে, এখনই যেইটা নামালি সেইটা দে।
কুদ্দুস এই গলিতেই রিকশা নিয়ে ঢুকেছে। রোজ দোস্তর পিঠা না খেলে কুদ্দুসের চলে না। ঝটপট পিঠা শেষ করে আবার রিকশা টান দেয়। ছলেমান কুদ্দুসের তৃপ্ত মুখ দেখে আবার পিঠা বানানোয় মন দেয়। পিঠা পাঁচ টাকা পিস। পিঠা প্রতি লাভ খারাপ না। পিঠা আর চুলার ওমে ছলেমানের খুব আরাম লাগে। কাস্টমারও আসছে চার পাঁচ জন। হঠাৎ দূর থেকে মিছিলের আওয়াজ আসে।...শাহাদত ভাই...শাহাদত ভাই...ভয় নাই ভয় নাই। মানুষের স্রোত কাছাকাছি চলে আসছে। ছলেমান চমকে গাড়িটা আরও আড়াল করে। পারলে সে অপরিসর গলির অন্ধকারে মিশে যেত।
ছলেমান মিছিলের চেয়ে বেশি গাড়ি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে নতুবা সে দেখতে পেত মিছিলের অগ্রভাবে রতন শ্লোগান দিচ্ছে... শাহাদত ভাই...ভয় নাই...ভয় নাই...। হঠাৎ ধুপ ধাপ আওয়াজে মিছিলের গতিপথ এলোমেলো হয়ে যায়। ছলেমানের গাড়ির আশেপাশে দুই চারজন আড়াল করে দাঁড়িয়ে যায়। পাশে দাঁড়ানো এক বৃদ্ধ ছলেমানকে মৃদু ভৎসনা করে,
-বাবা, কাম পাও নাই। এই দিনে বাইর হইছো। আমার তো ঔষধ শেষ। কিনতে আইলাম। বাইরে আইলেও মরণ, না আইলেও মরণ।
ছলেমান অন্ধকার গলির ভেতর চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকে। ছেলেটা কোথায় কে জানে? জোরে জোরে আয়াতুল কুরসি পড়তে থাকে। সুরার মাঝপথে এসে আটকে যায় ছলেমান। বাকি অংশ ওর কিছুতেই মনে পড়ে না। মনে করার চেষ্টা না করে ছলেমান আল্লাহু আল্লাহু ডাকতে থাকে আর থরথরিয়ে কাঁপতে থাকে। বিকট আওয়াজ হয় বার তিনেক।
পুলিশের লোকজনের ছোটাছুটিতে টের পাওয়া যায় ককটেল ফেটেছে। ছলেমান মিনিট পনের অপেক্ষা করে গাড়ি নিয়ে বড় রাস্তায় ওঠে। পুলিশে সয়লাব চারদিক। ছলেমানের গাড়িতে এক হাবিলদার লাঠি দিয়ে জোরে বারি মারে, শালা আজও ব্যবসা করতে মন চায়...ভাগ শালা, ভাগ।
ছলেমানের গাড়ি এখন চার চাকার প্রাইভেট কারের মত ছুটতে থাকে। আশেপাশে তাকায় না ও। দুই হাতে চার চাকার গাড়ি ঠেলতে থাকে সামনে। ওর বাড়ি আরশিনগর। বাড়ি না তো বস্তি ঘর। শহরের ভেতরেই। বেশিক্ষণ লাগবে না যেতে। তবু আজ বাড়ির দূরত্ব বেড়ে গিয়েছে নাকি ছলেমান বুঝতে পারে না।
আরশিনগরের গলির মুখে ঢুকতেই দেখে রতনের মা উৎকন্ঠিত মুখে গলির মুখে দাঁড়িয়ে,
-রতন মোবাইল দিছিল। বাড়িত আইব না, পুলিশ বলে মিছিলে ধাওয়া দিছে, বোম ফুটছে। অয় বলে মিছিলে গেছিল। আপনি ওরে দেখছেন?
রূদ্ধশ্বাসে কথাগুলো বলে রতনের মা হাঁপাতে থাকে। তার চোখে পানি নাই। ছলেমান চার চাকার গাড়িটা দুয়ারের সামনে এনে ঘরের ভেতর ঠেলে দেয়। স্ত্রীর কথার উত্তর দেয় না। স্বামীকে নিশ্চুপ দেখে রতনের মার উৎকন্ঠা আর বাঁধ মানে না। স্বামীকে দুই হাত ধরে কাছে টানে,
-আমার তো জানে পানি নাই। আপনি ও তো ঐ রাস্তায় আছিলেন। পোলাটারে দেহেন নাই? আমি কইছি তুই আমার পোলা না।
এইবার রতনের মার কান্নায় শীতের শীতল বাতাস আরও করুণ হয়ে ওঠে। দুই হাতে ভাঙাচোরা মোবাইলটা নিয়ে ছলেমান দাঁড়িয়ে থেকে স্ত্রীর কান্না দেখতে থাকে।
পরিশিষ্ট
নিভৃত রাতের নীরবতা ভেদ করে ছলেমানের ডান হাতের মুঠোর মধ্যে মোবাইল বেজে ওঠে।
-বাপজান...পুলিশ মামলা দিছে। আমি আসমু না...বাপজান...
রতনের গলার নিস্পাপতাকে যেন ভয় আছন্ন করে রেখেছে। ছলেমানের বুকের বরফ গলে যায় ছেলের গলা শুনে,
-বাজান গেছিলি ক্যান? তুই আমার একটাই বাপধন।
-এই ফের তিনশ টাকা নিছিলাম যে বাপজান।
ছলেমানের গলার স্বর আরও ক্ষীণ হয়ে আসে।
-টাকা দিয়া কি করবি বাজান আমার?
মিনিটখানেক ওপাশ থেকে কোনো প্রতিউত্তর আসে না। যেন উত্তর শুনতে পাওয়ার আগেই কোনো শব্দ ওর কান ভেদ করে বাইরে চলে না যায়, ঠিক সেইভাবে ছলেমান ফোনটা ডান কানের লতির সাথে চেপে ধরে।
-আমার খালি ভাল ভালাই খাইতে মন চায় বাপজান।
মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার সাথে সাথে ছলেমানের হ্নদপিণ্ডটা উত্তরঙ্গ বেদনায় দুলে ওঠে। সেই সাথে সামনে দাঁড়ানো চার চাকার গাড়িটা নিথর ছলেমানকে দেখে যেন উপহাস করতে থাকে।
পরিচয়-সুলতানা সাদিয়া
মন্তব্য
মিনিটখানেক আগে এই গল্পটি পোস্ট দিয়েছিলাম কিন্তু পরিচয় দিতে ভুলে গিয়েছি। যদি সচলে প্রকাশযোগ্য হয় তবে ২য় লেখাটি আসলে ভাল হয়, একই গল্প। ধন্যবাদ।
ভালো লেগেছে গল্পের পরিবেশনা।
আরও আসুক
সীমাহীন কৃতজ্ঞতা।
সুলতানা সাদিয়া
- এটা সম্ভব না। রাসেলরা সাধারণত কাজ হবার পর টাকা দেয়। বড় কোন কাজ (যেমন ককটেল ছোঁড়া, গাড়িতে আগুন দেয়া, পেট্রোল বোমা মারা ইত্যাদি) থাকলে অল্প অ্যাডভান্স দেয়। তবে এক দফা অ্যাডভান্স নিয়ে কাজ না করলে পরে আবার অ্যাডভান্স দেবার প্রশ্নই ওঠে না।
- শিম-আলুর ভর্তা থকথকে হবার কোন উপায় তো দেখতে পাচ্ছিনা। অবশ্য পানি দেয়া ভাতের সাথে যে কোন কোন ভর্তাই থকথকে হবার কথা।
- যতদূর জানি কিছু বাস্তব সমস্যার জন্য ফুড ভ্যানগুলোতে ডিপ-ফ্রাই করার ব্যবস্থা থাকে না। তাই ফুড ভ্যানগুলোতে পুরি-সিঙ্গারা বিক্রি করা হয় না।
- পুলিশের হাবিলদার হরতালের আগের সন্ধ্যা দূরে থাক, হরতালের দিনও এই কথা বলবে না।
- শ্লোগানটা হতে পারতো 'শাহাদাত ভাই, ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই'।
- এই শিরোনামটির কি কোন দরকার ছিল?
- এই বাক্যদুটিরও কি দরকার ছিল?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
মনোযোগী পাঠকের জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা। গত বছরের শেষের দিকে টানা হরতালের একদিনের গল্প এটি, এক কন্সটেবল আর পিঠাওয়ালার কথোপকথন শুনে লেখা। ভাল থাকুন, আলোয় থাকুন।
কিছু ভুলচুক থাকলেও আপনার লেখার হাত বেশ সম্ভাবনাপূর্ণ। হাতে সময় থাকলে লেখালেখিটা জারি রাখেন।
আপনার 'জলবাস' লেখাটি একটা গল্প সংকলনের জন্য সুপারিশ করতে চাই। যদি সম্মতি দেন এবং এটা অন্য কোথাও ছাপা না হয়ে থাকে তাহলে এখানে জানান প্লীজ।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
কৃতজ্ঞতা। আপনার বক্তব্য আমার জন্য বিশাল অনুপ্রেরণা। জলবাস গল্পটি আমার এক লেখক বন্ধু তার সাহিত্য পত্রিকার জন্য নিয়েছে। আশা করি ভবিষ্যতে অন্য কোনো লেখা দেয়া যাবে। ভাল থাকুন।
ভালই লাগল। তবে শুরুটা বেশ ভাল হয়েছিল তাই প্রত্যাশার পারদ বাড়বে দিন দিন। লিখুন নিয়মিত। সচল একজন চমৎকার গল্প লিখিয়ে পাচ্ছে বলা যায়
------------------------------------------
'আমি এখন উদয় এবং অস্তের মাঝামাঝি এক দিগন্তে।
হাতে রুপোলী ডট পেন
বুকে লেবুপাতার বাগান।' (পূর্ণেন্দু পত্রী)
অশেষ ধন্যবাদ, শুরু থেকেই আপনাকে পাশে পাচ্ছি বলে। ভাল থাকুন।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
সময় দেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা।
আপনার ভেতর সম্ভাবনার প্রাচুর্য আছে। অল্প লিখুন, কিন্তু যত্নভরে লিখুন, কুঁড়ির কুসুমিত বিকাশ অনাবিল সৌন্দর্য ফোটাবে। ষষ্ট পাণ্ডবের চুলচেরা বিশ্লেষণগুলো মন দিয়ে অনুসরণ করুন। প্রশংসা তাৎক্ষণিক প্রেরণা যোগালেও এমন চুলচেরা বিশ্লেষণই আখেরে কাজে লাগে বেশি। সেই অর্থে তিনিই আপাতত আপনার সবচাইতে বড় শুভানুধ্যায়ী। আপনার ভেতরের অফুরন্ত সম্ভাবনার পাপড়ি একে একে বিকশিত হচ্ছে অনেক আগ্রহ নিয়ে তা দেখবার অপেক্ষায় রইলাম।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
অসম্ভব সুন্দর মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা। ব্লগে লিখতে চাইতাম না আগে। ভাবতাম কে কি বলে ফেলে। কিন্তু এখন আমার কাছে এই প্লাটফরমটি দারুণ লাগে। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় পাঠক লেখকের। আমাদের মতো যারা গৃহবন্দী আর অচেনা তাদের জন্য এ এক পরম পাওয়া। প্রশংসার চেয়ে সমালোচনাই বেশি কাম্য। আবারও কৃতজ্ঞতা। ভাল থাকুন।
সুলতানা সাদিয়া
কৃতজ্ঞতা।
নতুন মন্তব্য করুন