এক.
আমার হাতে বিখ্যাত ব্র্যাজিলিয়ান লেখক পাওলো কোয়েলোর ’ভেরোনিকা ডিসাইড্স টু ডাই’ বইটির অনুবাদ। বইটির আঠারো পৃষ্ঠা পর্যন্ত পড়েছি। জীবনের যে সময়কাল সবচেয়ে উপভোগ্য বলে মনে হওয়ার কথা সেই চব্বিশ বছর বয়সেই ভেরোনিকা নিশ্চিত হয়েছিল যে ইচ্ছামৃত্যুর সাথে সাথে সব কিছুর পরিসমাপ্তি ঘটে, আর তাই সে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছিল। তবে আমি এখনও জানতে পারিনি কেন ভেরোনিকা আত্মহত্যা করতে চেয়েছিল। বইটি পড়া এগুচ্ছে না। মাথা ধরেছে। আজকাল হঠাৎ হঠাৎ মাথা ধরে যায়। মাথা ধরা নিয়ে এরকম সিরিয়াস ধরণের বই পড়া সম্ভব না। ইচ্ছে হচ্ছে ঘরের আলো নিভিয়ে চোখ বন্ধ করে মরার মত পড়ে থাকি। কিন্তু বিকেলের আলো এখনও খুব তীব্র। ঘরের পর্দা টানলেও ঘর অন্ধকার হবে না।
বইটা বুকের ওপর মেলে রেখে আমি চোখ বুঝে চারপাশে অন্ধকার নামানোর ব্যর্থ চেষ্টা করি। মাথা ধরা বেড়ে গেছে। নাহ্ বইটা পড়া শুরু করার পর থেকে মাথা ধরা আরও বেড়ে গেছে। অপর্ণা বলেছিল, খুব ভাল বই, সবগুলো চরিত্র নাকি ওর আর আমার মতো বিষণ্ন চরিত্র। কিন্তু ভেরোনিকা মরতে পারেনি সেই পৃষ্ঠায় এসে আটকে গেছি। গতকাল বইটি কুরিয়ারে পাঠিয়েছে অপর্ণা। আমার জন্মদিন বা বিবাহবার্ষিকী কিছুই ছিল না। অর্পণা মাঝে মাঝেই আমাকে উপলক্ষহীনভাবে বই উপহার দেয়। ওর আর আমার একটাই নেশা। বই পড়া। একসাথে সমরেশ, সুনীল, বাণী বসু, সুচিত্রা, হুমায়ূন, নাসরিন জাহান পড়েছি। এক সাথে সেবা প্রকাশনীর রোমান্টিক সিরিজও পড়েছি। আস্থা হওয়ার পর বই পড়ার অভ্যাস প্রায় চলে গেলেও অপর্ণার হঠাৎ উপহারে আবার বই পড়া শুরু করেছি।
অপর্ণা আমার বন্ধু। ওর সাথে বন্ধুত্বের শুরু স্কুল থেকে। বাবার বদলির চাকরিসূত্রে ক্লাস নাইনে যখন বিন্দুবাসিনী গার্লস হাইস্কুলে ভর্তি হলাম, অপর্ণাই প্রথম কাছে এল। এরপর কলেজের ফার্স্ট ইয়ারে ও অনেক দূরে সরে গেল। ধুম করে ওর বিয়ে হয়ে যাওয়াতে সেকি গিন্নিপনা ওর! তবে এরপর ওকে কলেজ ছাড়তে হয়েছিল। বিবাহিত মেয়েদের নাকি কলেজে রাখা যাবে না, এমন একটা গুজব শুনেছিলাম। তারপর আবার অনার্স ভর্তির দিন ওর সাথে দেখা। আমি তো শুনে অবাক, ও ঠিকই ইন্টারমিডিয়েট পাশ করেছে প্রাইভেটে! তারপর আবার দুজনার বন্ধুত্ব যেন গাঢ় হল। অপর্ণার হাজবেন্ড মাসুদ কাতারপ্রবাসী ছিল। তাই ওর বাসায় ছিল অবাধ যাতায়াত আর তুমুল আড্ডাখানা। আমি, অপর্ণা আর ওর দুই বছরের ছেলে আর্য, এই ছিলাম তিন আড্ডাবাজ।
কলেজ থেকে ফেরার পথে রোজ একবার ওর বাসায় যাওয়া রীতিমত অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল আমার। অপর্ণা বরাবরই আলাদা ছিল। ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ইংলিশে অনার্স পড়ার সাথে সাথে বাচ্চা সামলানো আর সাথে প্রবাসী স্বামীর আত্মীয়দের সন্দিগ্ধ চোখ আর নজরদারি সব ছাপিয়ে অপর্ণা ছিল অনন্যা। আমি মাঝে মাঝে হিংসে করতাম ওর স্বাধীনতায়। ভাবতাম, বিয়ে হলেই বুঝি সব স্বাধীনতা পাওয়া যায়। এখন দেখি বাতাসেও শেকল। অপর্ণার কথা এখন আর ভাবতে ইচ্ছে করছে না। তবু আজকাল ঘুরে ফিরে আমার মাথায় অপর্ণা এসে ভর করে।
আজ লাঞ্চ আওয়ারের পর আর অফিসে যাইনি, শফিক ভাইকে বলেছি শরীর ভাল না। আমি যে আই.এন.জিও তে গবেষণা সহকারী হিসেবে কাজ করি সেখানকার সবচেয়ে বড় দুটি সুবিধা হল সেখানে কোনো বসিং নেই। প্রতিষ্ঠানের খোদ কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে ভাই এবং অফিসে সাপ্তাহিক ছুটি দুদিন, শুক্র আর শনিবার। বসিং নেই বলে লিগ্যাল এ্যাডভাইজার শফিক ভাই এর কাছে মাঝে মাঝে আবদার করি, ভাই আজ তো ফিল্ড ওয়ার্ক নেই, একটু তাড়াতাড়ি ছেড়ে দিন না! আবদার শুনে সোনালী ফ্রেমের আড়ালের থাকা ছোট্ট চোখ জোড়া আরও ছোট্ট করে কপট হুশিয়ারি শোনায়, হুম, তারেক ভাই ফিরুক কানাডা থেকে তখন সব রিপোর্ট করে দিবো। শফিক ভাইয়ের অনুমতি পেতেই দেরি করিনি সি.এন.জি ধরে বাসায় এসেছি। মাথা এত ধরেছিল যে বাসের ঝক্কি নিতে ইচ্ছে হয়নি।
আমার বাসা উত্তরা হাজী ক্যাম্পের পাশে। অফিস গুলশান। হাসানের অফিস বাড্ডা। হাসান ছয় মাস হল নোরেলের সাথে মিলে একটা লিগ্যাল কন্সাল্টেন্সি সেন্টার খুলেছে। হাসান ফিরতে ফিরতে রাত এগারোটা-বারোটা বাজবে। অফিস থেকে ফিরে কাপড় পাল্টে নিয়ে আগে আস্থাকে খাইয়েছি। মেয়েটা আমাকে দেখলেই আহলাদী শুরু করে, নানীর কাছে খাবে না, মামণির কাছে খাবে! এরপর গোসল সেরে, খেয়ে সাথে সাথে নিজের ঘরে চলে এসেছি। তলপেটের সেলাইয়ের ভাঁজে চুলকাচ্ছে। মাত্র চার মাস হল অপারেশন হয়েছে। তবু কী নিখুঁতভাবে পেটটা জুড়ে গেছে। সেলাইয়ের দুই মাথায় শুধু কেমন ব্রণের মত দানা বেঁধে আছে। পেট বিশ্রিভাবে ঝুলে যাওয়ায় হাত দিয়ে সেলাই খুঁজে পেতে খানিকক্ষণ সময় লাগে। খানিকটা মলম লাগাই। এখনো মাথা ধরে আছে।
মাথা ধরার সাথে সাথে প্রচণ্ড ক্লান্তি ভর করেছে শরীরে। এখন সব কিছুতেই বড় ক্লান্ত লাগে। হাসান বার বার নিষেধ করেছিল, এত তাড়াতাড়ি অফিস শুরু করতে। কিন্তু ঘরের ভেতর শুয়ে বসে আরও ক্লান্ত লাগে। মা আর শিলার মা আমাকে ইদানিং ঘরের কোনো কাজ করতে দেয় না। মা বলে, কাঁচা নাড়ী। একটা বাচ্চা হওয়ার চেয়ে মরা বাচ্চা কেটে বের করা আরও কঠিন। মার মুখের এই কুৎসিত কথাটা বাসায় থাকলে আমাকে বারবার শুনতে হয়। এর চেয়ে অফিস ভাল।
ইদানিং মায়ের কথা বলার ভঙ্গিটা কেমন যেন নিষ্ঠুর হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে মার কৌতুহল সব কিছুতেই বড্ড বেড়েছে। মা বারবার জানতে চাচ্ছিল আবার শরীর খারাপ করেছে কিনা। এ নিয়ে পাঁচ ছয়বার জিজ্ঞাসা করেছে, আগে ফিরলাম কেন? আবার শরীর খারাপ করলো কিনা? তবে সি.এন.জি তে এলাম কেন? আস্থাকে নিয়ে কেন শুচ্ছি না? মায়ের অনুসন্ধানী চোখকে আরও তীক্ষ্ণ করে কোনোকিছুর জবাব না দিয়ে আমি বেডরুমে এসে বিছানায় শরীর ছেড়ে দিয়েছি। আমার ভাত ঘুমের অভ্যাস নেই। চাকরি করলে এই অভ্যাস হয় না। তবু কোনো দিন অবেলায় শুলে ভুলেও একটু চোখ বন্ধ হয় না আমার। মাথার ভেতর অন্য একটি প্রশ্ন শুধু ঘুরপাক খাচ্ছে। কেন অপর্ণা আমাকে এই বইটিই পাঠালো?
ও তো অন্য কোনো বইও পাঠাতে পারতো। ও কে তো আমি কতবার বলেছি শাহাদুজ্জামানের ‘অন্য এক গল্পকারের গল্প নিয়ে গল্প’ বইটি পাঠাও নতুবা জয় গোস্বামীর কবিতা সংগ্রহ। অপর্ণা তো জানে উপন্যাসের চেয়ে গল্পে আমার স্বস্তি বেশি আর যেই জয় গোস্বামীর কবিতা ছাড়া আমার একদিনও চলতো না সেই বইটি আমি হারিয়েছি। তাছাড়া কোন ব্লগারের সাইকো থ্রিলার নাকি আজ খুব পড়ছে সকলে সেই ব্লগারের একটা নতুন বইও তো পাঠাতে পারতো? তা না করে ও কেন সুন্দর সাদা মোড়কে কন্টিনেন্টাল কুরিয়ারে চট জলদি পাওলো কোয়েলোর ‘ভেরোনিকা ডিসাইড্স টু ডাই’ পাঠালো?
বইটির সাথে অপর্ণা হাতে লেখা একটি চিঠি পাঠিয়েছে। মেইল, চ্যাট, মোবাইল মেসেজ সব কয়টিতেই দিনে বার কয়েক ওর সাথে কথা হয় আমার। তবু ও বই পাঠালেই নিজের হাতে একটা চিঠি দিবেই। পেন্সিলে লেখা সেই চিঠির ভাষাও বেশ অদ্ভুত। পড়ে মনে হবে না যে ও সারাদিন ফাঁক পেলেই গাদিগাদি বই পড়ে। একবার লিখলো,
প্রিয় সুরভি,
আইজকা হইছে মহা গ্যানজাম। আর্য নাকের ভেতর কাগজ ঢুকায় ফেলছে। স্কুল থেকে আনতে যাইয়া দেখি ছেলে কেমন হিক্কা তুলতাছে। আমি যতই জিজ্ঞাসা করি, তোর কি হইছে? সে খালি হিক্কা তোলে। তারপর যখন ঠাটায় একটা থাপ্পড় লাগামু ভাবতাছি তখনই পাশ থেকে ওর বন্ধু সজীব বলে উঠলো, আন্টি ও নাকের মধ্যে কাগজ ঢুকিয়ে ফেলেছে। বোঝো অবস্থা। এই ছেলের সাথে বলে আমি বন্ধুর মতন মিশি। বাপ-মা চাইলেও পোলাপানের বন্ধু হইতে পারে না। কোনো চান্স পেলেই কথা গোপন করে। বদটারে পরে ক্লিনিকে নিয়া গিয়া নাকের কাগজ বাইর করছি। যাই হোক তুমি খালি ইনবক্সে মেইল করবা তা চলবো না। আমার চিঠির উত্তর চিঠিতেই দিবা। নাইলে একটা জামা কিনা দিতে হইবো।
ইতি, আর্যর মা
আজ লিখেছে,
প্রিয় সুরভি,
তোমারে কইছিলাম আমার চিঠির উত্তর চিঠিতেই দিবা নাইলে জামা কিনা দিবা। তুমি কিন্তু আবার ইনবক্সে উত্তর দিছো। এইজন্য তোমার শাস্তি বাড়ছে। তুমি এহন আমারে দুইখান জামা কিনা দিবা। শোনো তুমি খালি একাই চাকরি কর না। আমিও করি তাও আবার বায়িং হাউজের খাইস্টা চাকরি। তুমি পাও বিদেশি ডোনারের টাকায় বেতন আর আমি পাই ফুফার অফিসের দয়ার দান। তুমি পাও সপ্তাহে দুইদিন ছুটি আর আমি পাই একদিন। আমি এবার সত্যিই রাগ করছি। তবু তোমারে একটা বই পাঠাইলাম। পইড়ো। বইটার চরিত্রগুলা সবই বিষণ্ন, তোমার আমার মতো। আর শোনো, হুদাই পেট কাটা নিয়া টেনশন করবা না। অনেকেরই বাচ্চা নষ্ট হয়, আবার অনেকে করে। আল্লাহ তোমারে দেওয়ার থাকলে দিতো। শুধু শুধু রাইত জাইগ্যা ওইসব উল্টাপুল্টা ভাইবা জামাইরে কষ্ট দিবা না। সাজুগুজু করবা, হাসান ভাই আর আস্থারে সময় দিবা। আর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বা। তুমি ইদানিং শয়তান হইয়া গেছো। ঠিকমত নামাজ পড় না। আমি টের পাইছি। আরেকটা কথা আবার বলি, জামা দুইটার সাথে একটা হাতে লিখা চিঠিও দিবা। নাইলে এটাই আমার শেষ চিঠি জানবা।
ইতি, আর্যর মা
অপর্ণার চিঠিটা ‘ভেরোনিকা ডিসাইড্স টু ডাই’ বইটির ভেতর রেখে আমি চোখ বন্ধ করি। খুব ক্লান্ত লাগছে। তবু আমি ভেরোনিকার কথাই ভাবতে থাকি। ভেরোনিকা মরতে পারেনি। চোখ খুলে নিজেকে সে আবিষ্কার করেছিল, মানসিক রোগীদের জন্য বিখ্যাত এবং ভীতিকর আশ্রয়কেন্দ্র ভিলেটে। আশ্রয়কেন্দ্রে জ্ঞান ফিরে আসার পর ভেরোনিকার অনুভূতির তীব্রতাটা ছিল পুরো জাগতিক, ‘যখন চোখ খুলল, ভেরোনিকার মনে হল না যে অবশ্যই এটি স্বর্গ। স্বর্গে ঘর আলোকিত করার জন্য ফ্লোরেসেন্ট বাতি ব্যবহার হবার কথা নয়, এবং সেই ব্যথা-সেকেন্ডের এক ভগ্নাংশ পার না হতেই আবার শুরু হল-একদম পার্থিব যন্ত্রণা-অনন্য, ভুল হবার কি!’ সেই একই ব্যথার পৌনঃপুনিকতা নিয়ে আমি সফেদ বিছানায় কাতরাতে থাকি।
(সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ এটি একটি দীর্ঘ গল্প)
(চলবে)
পরিচয়-সুলতানা সাদিয়া
মন্তব্য
লেখা ভালো লেগেছে। আপনার আগের গল্পটাও মনে হয় পড়েছিলাম। এরকম আরও লেখার প্রত্যাশা থাকলো।
আর, কাহিনী তরতর করেই এগুচ্ছিল, এখানেই শেষ না জেনে ভালো লাগল।
এই পোস্টটা পরের পাতায় গেলেই ২য় পর্বটা দিয়ে দেবেন, আমরা পাঠককূল অপেক্ষায় থাকলাম।
শুভেচ্ছা
ধন্যবাদ পাশে থাকার জন্য। প্রত্যাশাপূরণের চেষ্টা থাকবে। ভাল থাকুন।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
পড়তে শুরু করে সন্দেহ হচ্ছিল, শেষ করে লেখকের নাম দেখে বুঝলাম সন্দেহ ঠিক ছিল দীর্ঘ গল্প হবে জেনে খুশি হলাম। আপনার লেখা ভাল লাগে সম্ভবত আপনার শব্দ চয়নের জন্য। গল্পের ভাল প্লট থাকা চাই নিঃসন্দেহে, কিন্তু শব্দ চয়ন ঠিক না হলে বেশ বিরক্তি লাগে। এটা অবশ্য আমার নিজস্ব ভাবনা থেকে বললাম।
পরের পর্ব ছাড়ুন জলদি।
------------------------------------------
'আমি এখন উদয় এবং অস্তের মাঝামাঝি এক দিগন্তে।
হাতে রুপোলী ডট পেন
বুকে লেবুপাতার বাগান।' (পূর্ণেন্দু পত্রী)
ধন্যবাদ। ভাল লেখা বা শব্দ চয়নের জন্য প্রচুর পড়তে হয়। সংসার আর চাকরি এমন আষ্ঠেপৃষ্ঠে বেঁধে রাখে যে, খুব কষ্ট করে লিখি, আর পড়া তো আরও কষ্টকর। তবু লিখতে ইচ্ছা করে। অফিসে যাওয়ার আগে চুলায় এখন রান্না, বাচ্চার টিফিন, ঘরের টুকিটাকি কাজ, ছুটে অফিসে যাওয়া, ফিরে এসে একই বৃত্তায়ন। এর মধ্যে ফাঁক পেলে নিজের সময়ই চুরি করা। আপনাদের আন্তরিকতা আমার ইচ্ছেটাকে আরও বাড়িয়ে দিল। ভাল থাকুন।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
অমা আপনি দেখি হাচল হয়ে গেছেন! । (এক বছর আগে আমিও ঠিক একই দিনে হাচল হয়েছি)
------------------------------------------
'আমি এখন উদয় এবং অস্তের মাঝামাঝি এক দিগন্তে।
হাতে রুপোলী ডট পেন
বুকে লেবুপাতার বাগান।' (পূর্ণেন্দু পত্রী)
সত্যিই সচল হয়েছি! এই দিনটি মনে থাকবে। অশেষ ধন্যবাদ।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
পড়া জারি থাকুক। দুই লাইন লিখতে দুই দিন বা ক্ষেত্রবিশেষে দুই সপ্তাহও লাগে, ধৈর্য রাখা চাই। লিখতে থাকুন।
..................................................................
#Banshibir.
ঠিক বলেছেন। দুই লাইন লিখতে দুই দিন বা ক্ষেত্রবিশেষে দুই সপ্তাহও লাগে, আবার সেই দুই লাইনও অবহেলায় পড়ে থাকে এখানে সেখানে। আবার নদীর স্রোতের মতও হঠাৎ লেখা আসে। যাই আসুক, লেখা ফেলে রাখি অনেকদিন, অনেক মাস, বছরও কোনো লেখা পড়ে থাকে। পড়ি, কাটি, বাদ দেই। একসময় সাহস করে আপনাদের সামনে দেই। পাশে পেয়ে ভাল লাগছে।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
হাচলাভিনন্দন!
জলবাস অপূর্ব ভালো লেগেছিল।
চার চাকার গাড়ি-ও বেশ ভালো।
এখন এটাও দারুণ সূচনা। প্রত্যাশার পারদ বাড়িয়েই চলেছেন প্রতিনিয়ত। আগ্রহ নিয়ে পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকব।
সব সময় প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবো কিনা জানি না। চেষ্টা করবো। ভাল থাকুন। আলোয় থাকুন।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
হাচলত্বের অভিনন্দন
আত্নকথনের গল্প ভালোলাগছে, চলুক।
-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।
ধন্যবাদ। খুব আনন্দ হচ্ছে, পরীক্ষায় মন মত রেজাল্ট পেলে যেমন আনন্দ হয়, তেমন! চলবে আশা করি।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
আপনার লেখার স্বচ্ছন্দ গতির কারণে মনে হয় না গল্প পড়ছি। কেমন যেন ডায়েরী পড়ার আমেজ পাই। পরের পর্বটা নিশ্চয়ই লিখতে শুরু করেছেন।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
কয়েকটা পর্ব লিখেছি। এখন সেগুলোকে আদর আর শাসন করবো। তারপর দিবো। সব সময় পাশে পাচ্ছি, ভাল লাগছে।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
'জলবাস'-এ পেয়েছিলাম ভাষার সুকারু সৌকর্য, এবার বোধকরি নৈর্ব্যক্তিক খেয়ালে বর্ণনার ধারা আমাদের হৃদয় ছুঁয়ে দিতে দিতে প্রবেশ করতে যাচ্ছে গভীর পাতালে! কিছু বিষণ্ণতা যেন ছুঁয়ে দিচ্ছে একাকী নদীর তীর, কিছু ক্লান্তি ঘিরে আছে বিস্তীর্ণ গভীর! প্রথম এমন অনুভূতি হয়েছিল সিল্ভিয়া প্লাথ পড়ে। যাহোক, লিখুন, পরের পর্ব তো পড়ি, তবেই না বোঝা যাবে, "কইবা যামু আখেরে উস্তাদ!"
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
অসাধারণ মন্তব্যে কি প্রতিউত্তর দিবো বুঝতে পারছি না। একটু একটু ভয়ও করছে, দেখি পথ আমাকে কোথায় নেয়!
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
আপনার আগের দুটি লেখার মতন এটিও ভাল লাগছে। মনে হচ্ছে সচল আরেকজন নিয়মিত গল্পকার পেল। লেখা চলুক
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
অশেষ ধন্যবাদ।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
শুভকামনা অনিঃশেষ।
মনে হচ্ছিলো আপনার ভিন্নস্বাদের লেখা পড়েছি কোথাও আগে!
নিশ্চিত হবার অপেক্ষার অবসান হলো।
অনেক অনেক ভালো লাগলো লেখা।
ভালো থাকবেন। সবসময়।
দীপংকর চন্দ
অশেষ ধন্যবাদ। আপনিও ভাল থাকুন।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
আপনাকে কি বলে ধন্যবাদ জানাবো বুঝতে পারছি না। আসলেই আমি বুঝতে পারছিলাম না, সচল তো হলাম কিন্তু নিজের আগের লেখাগুলি কিভাবে আনবো। আমি খুব ভাল প্রযুক্তি বুঝি না। অনেকমাস লেগেছে আমার সচলের পেইজে লেখার বিষয়টি ধরতে। আপনি আমার কৌতুহল ও সাধ মেটালেন। আবারও কৃতজ্ঞতা, আমার লেখাগুলি খুঁজে আনবার জন্য।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
দ্বিতীয় পর্ব থেকে প্রথম পর্ব পড়তে এলাম, এরপর এই পর্বের প্রথম চিঠিটা পড়ে মনে পড়ল- মন্তব্য করতে গিয়েও নেট জটিলতায় সেবার আর হয়ে ওঠেনি। 'জলবাস' আর 'চার চাকার গাড়ি' ও তখন খুঁজে বের করে দেখেছিলাম।
মডুদের মেইল করে লেখাগুলো আপনার একাউন্টে নেয়ার ব্যবস্থা করুন, তাহলে লেখা খুঁজে পেতে গুগলনাথের শরণাপন্ন হতে হবে না বার বার, একই জায়গায় একসাথে মিলেমিশে থাকবে ওরা।
লিখতে থাকুন। অসংখ্য কাজের ফাঁকে একটুখনি অন্যরকম লেখা বা গল্প মেলে বলেই সচলায়তন অন্য সব কিছু থেকে আলাদা।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
ধন্যবাদ! আমি এই দুইটা লেখা খুঁজছিলাম
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
ও সুপ্রিয় মর্ম, মডুদের মেইল এ্যাড জানবো কি করে?
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
contact অ্যাট sachalayatan ডট com, এই ঠিকানায় পত্রবোমা ঠুকে দিন।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
কৃতজ্ঞতা।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
আমি নিজে contact অ্যাট sachalayatan ডট com বরাবর অতিথি থাকাকালীন আমার লেখাগুলোর লিংক দিয়ে মেসেজে করেছি, মেসেজ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মেইল রিপ্লাই দেয় সুধী,
আমরা আপনার ইমেইলটি পেয়েছি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ! আমরা এটি পড়ে দেখবো
এবং প্রয়োজন হলে শীঘ্রই উত্তর পাঠাবো। কিন্তু সে শীঘ্রই আর হয় না। এমতাবস্থায় করণীয় কি?
-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।
গল্পের চরিত্রে দেখি আমার নাম! চিঠির ভাষাটা মারাত্মক হইছে। আমারেও জামা কিন্যা দিবা কিন্তু!
অপর্ণা মিতু
হুম। শেষ হইলে দিবোনে।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
শুরু করে দিলেম সিরিজটা। বেশ তরতরিয়ে পড়ার মত লেখা।
আগেও বলেছি, আবারও বলছি, বড় হলে আপনি বড় লেখক হবেন কিন্তু
পরের পর্বগুলো পড়ে নেবো যথা সময়ে। শুভকামনা।
---
আমারও একখান জামা চাই
শেষ পর্বটা পোস্ট দিলাম মাত্র। বুকের ভেতরটা হুহু করছে। লেখাটা খুব ভালবাসার ছিল, ফুরিয়ে গেল।
(হুম, আমি আর কত্ত বড় হবো! জামা না, শাড়ি বরাদ্দ রাখলুম। শাড়ির জেলায় বসবাস, হাত বাড়ালেই দিবো)
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
আজ খুঁজে পেতে এই পর্বটা পড়লাম মাত্রই, দারুণ শুরু
দেবদ্যুতি
কৃতজ্ঞতা দেবদ্যুতি।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
১ম পর্ব পড়লাম ,২য় টার আগ্রহ তৈরী হল।।। জামা দেয়ার ব্যাপারটা মজা লেগেছে। সাথে অপর্ণার প্রতিও কৌতুহলী হলাম। সে সামনে কেমন আচরন করবে-এমন একটা ভাবনা তৈরী হল। ঝাপসা সুরভিকে আরো ভাল করে দেখার ,জানার তাগিদ নিয়ে সামনের পর্ব গুলো পড়ব। আপনি স্বার্থক।
এ্যনি মাসুদ
অশেষ কৃতজ্ঞতা। অপর্ণা সুরভির জীবনে খরারোদে মেঘবৃষ্টির খেলা। পাশে আছেন জেনে ভাল লাগল আমার নতুন পাঠক।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
নতুন মন্তব্য করুন