কুম্ভকর্ণের গল্প শুনেছি ছোটবেলায়। ওই পুঁচকে বয়সে কুম্ভকর্ণ দেখতে হলে ঠাকুরমার ঝুলি খুলতে হতো। আর এখন বাড়ির পিছনের পর্বতমালায় একটু হাঁটতে বেরুলেই দেখা মিলে কুম্ভকর্ণের জ্ঞাতিভাইয়ের! আমার চলার পথের সবচেয়ে প্রিয় সঙ্গী মারমোত্তার দল কিন্তু ঘুমের রেসে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়ার পাত্র নয়। এবছর তো ঘুমুতে গেছে সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে আর সেই ঘুম কিন্তু কিছুতেই ভাঙবে না সামনের বছরের এপ্রিলের আগে। তৃণভোজী এই স্তন্যপায়ী প্রাণী সুদীর্ঘ শীতকালটা এভাবেই কাটিয়ে দিবে নাক ডেকে আর স্বপ্ন দেখে। বরফে আচ্ছাদিত ভ্যালিতে সবুজ ঘাসের দেখা যতদিন মিলবে না ততদিন জেগে থেকেই বা করবেটা কি?
হেমন্তের প্রারম্ভে যখন দেখি কুয়াশায় ঢেকে আছে সুউচ্চ পর্বতমালা বুঝে নিই সময় ঘনিয়ে এসেছে মারমোত্তাকে বিদায় জানাবার। ঠাণ্ডা হিমেল বাতাস তো ওরা একেবারেই পছন্দ করেনা। ভরা গ্রীষ্মেও দেখেছি যতক্ষণ পর্যন্ত না সূর্যের আলোয় আলোকিত হবে বিস্তীর্ণ প্রান্তর রাতের ঘুম ভেঙ্গে গর্ত থেকে বেরুনোর তাড়াও যেন নেই তাঁদের। তুষারপাত শুরু হবার মাস দুয়েক বাকি থাকতেই তাই কুম্ভকর্ণের মত লম্বা ঘুমের সূচনা!
প্রহরী মারমোত্তা
গর্তের প্রবেশমুখ
আয়েশ
ঘরদোর গুছিয়ে দরজার খিল আটকে দিয়ে ভূগর্ভস্থ টানেলের সবচেয়ে প্রশস্থ কামরায় আল্পিয় মারমোত্তা(Alpine Marmot) দলবেঁধে শুরু করে শীতনিদ্রা। পাতা ঝরার দিন শুরু হলেই তোরজোড় পড়ে যায় মারমোত্তা রাজ্যে। শুকনো ঘাস-লতা জমা করতে সপ্তাখানেক লেগে যায়। তারপর দিনক্ষণ ঠিকঠাক মিলে গেলেই জমাকৃত শুকনো ঘাস, মাটি আর নিজেদের বিষ্টা মেশানো প্রলেপ দিয়ে সিলগালা করে দেয় প্রবেশদ্বারগুলি। মোটামুটি মানের একটা আরামদায়ক বিছানাও বানিয়ে ফেলে ঘাস-লতার আচ্ছাদনে। একটি দুটি নয়, কম করে হলেও ছয়টি মাস বেরুনোর উপায় নেই গুহা থেকে। খানাপিনা তো দূরের কথা একটু আরাম করে শ্বাস-প্রশ্বাস নেবারও সুযোগ নেই। বেঁচে থাকতে হলে মৌলিক শারীরিক প্রয়োজনগুলিও করতে হবে মেপেজুকে, মিনিটে তিনটার বেশী নিঃশ্বাস আর হৃদকম্পন ৪-৫টার বেশী হতে দেয়া যাবে না। স্বাভাবিক সময়ে শারীরিক উষ্ণতা থাকে ৩৮ ডিগ্রি আর শীতনিদ্রায় তা নেমে যায় ৫ এর কোঠায়। বিগত ছয় মাসে ভুরিভোজের বদৌলতে শরীরে যতটুকু চর্বি জমাতে পেড়েছে তা তিলে তিলে খরচ করেই কাটিয়ে দিতে হবে শীতনিদ্রাকালিন ছয়টি মাসের অভুক্ত দেহখানি। হিসেবে একটু গড়মিল হলেই বসন্তের কোকিলের ডাক জীবনে আর শুনতে হবেনা!!
শিল্পীর স্কেচে মারমোত্তার শীতনিদ্রা
এবছর প্রথম মারমোত্তার দেখা মিলে মে মাসের ১ তারিখে। ১৫০০ মিটার উঁচু এক চূড়া থেকে নামার ফিরতি পথে হঠাৎ বরফে ঢাকা প্রান্তরে ছুটতে দেখি ওদের। আল্পসের বরফ তখন সবে গলতে শুরু করেছে কিন্তু তারপরও রৌদ্রকোজ্জল এক সকালে হাড্ডিসার অভুক্ত শরীর নিয়ে হয়ত ক্ষুধার যন্ত্রণাতেই গর্ত থেকে বেড়িয়েছিল দীর্ঘ শীতনিদ্রার যবনিকা টেনে। সবুজ তৃণভূমির দেখা পাওয়াটা দুরাশা হলেও পাথরের খাঁজে কিন্তু ঠিকই ততদিনে ফুটেছে বসন্তের প্রথম ফুল বুকানেভে। মাটিতে জন্মানো ঘাস, লতাগুল্মই এদের প্রধান খাদ্য। বরফের আস্তর সরে গেলেই তো ভরপেট খেতে আর কষ্ট করতে হয়না। কাঠবিড়ালি গোছের হলেও মারমোত্তা গেছো প্রাণী নয়। গ্রীষ্মকালে তৃণভূমিতে লাফিয়ে বেড়ানো পতঙ্গ আর ঘাসফড়িং হাতের কাছে পেলে তাও পেটে চলে যায় অনায়াসে। আসলে গ্রীষ্মকাল মানেই পেটপুজো আর সন্তান জন্মদানের মৌসুম। হাতে সময়ও তো বড্ড কম, বড়জোর পাঁচ মাস। এই সল্প সময়ে যার শরীরে যত বেশী চর্বি জমবে পরের বছরের বসন্ত দেখার সম্ভাবনাও তাঁর বেশী থাকবে।
বরফে ঢাকা প্রান্তরে প্রথম সাক্ষাৎ
মারমোত্তা পরিবার ১
মারমোত্তা পরিবার ২
মারমোত্তার ভালোবাসা
মারমোত্তা দলবদ্ধ জীবনযাপনে অভ্যস্ত। মাটির নিচে বহু প্রকোষ্ঠবিশিষ্ট গ্যালারি টাইপ গর্ত নিজেরাই খুঁড়ে ফেলে বসবাসের জন্য। কোদাল আর বেলচার কাজ চালিয়ে নেয় ধারালো নখযুক্ত চার পা দিয়েই। গর্ত খোঁড়ার সময় যদি পাথর টুকরো সামনে পড়ে তবে থাবার নখের সাথে দাঁতদুটিও সমানভাবে কাজে লাগিয়ে দেয় তা সরাতে। ইঁদুরের মতই এর দন্ত বিকাশের কোন সীমা নেই, আজীবন বাড়তে থাকে। অবশ্য প্রায় সারাদিনই চর্বনে ব্যাতিব্যাস্ত থাকে বলে যতটুকু বাড়ে ততটুক ক্ষয় হয়ে যায় প্রকৃতির নিয়মেই। গর্তের প্রবেশদ্বার থাকে একাধিক তাই বিপদের সময় হাতের কাছেই থাকে পালানোর সুযোগ। শত শত বছর ধরে বংশ পরস্পরায় একই মাটির অভ্যন্তরের প্রকোষ্ঠে কাটিয়ে দিচ্ছে তাঁদের সামাজিক জীবনকাল। দলের একজন সদাসতর্ক থাকে প্রহরী হিসেবে। পেঙ্গুইনের মত দুই পায়ে খাড়া দাঁড়িয়ে থেকে পর্যবেক্ষণ করে বেড়ায় চারদিক। বিপদ দেখলেই মারবে হুইসেল যা কিনা কয়েক কিলোমিটার দূরে থেকেও কান পেতে শুনেছি অনেকবার। তাও আবার নানা ধরনের, কোনটা হ্রস্ব কোনটা আবার প্রলম্বিত। প্রহরী মারমোত্তা ছোট হুইসেল দেয় যখন বিপদ আসে আকাশ থেকে, হতে পারে ঈগল পাখি। লম্বা হুইসেল মারে যখন আসে কোন নেকড়ে বা আদমসন্তান। হুইসেলের গভীরতা শুনেই দলের বাকিরা বুঝে যায় কতটা দূরে আছে সেই আসন্ন বিপদ। এক সাতসকালে অনাহূত অতিথি হিসেবে আমাকে দেখতে পেয়ে হুইসেলের পর হুইসেল মেরে পুরো পাড়াই মাতিয়ে তুলেছিল প্রহরীর দায়িত্বে থাকা এক বেরসিক মারমোত্তা। সে এক বিরল অভিজ্ঞতা!!
প্রাপ্তবয়স্ক মারমোত্তার ধারালো নখ
জোড়া
রোগা-পটকা দেহ নিয়ে মারমোত্তা বসন্তের শুরুতে গর্ত থেকে বের হয়েই শুরু করে ভূরিভোজনের রেস। প্রকৃতির নিয়মে রতিক্রিয়া করার সময়টাও নাকি বাঁধাধরা। দলের সব প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ সদস্যের যৌন আনন্দের জন্য বরাদ্দ শুধু বছরের একটি দিন। দলবেঁধে গ্রুপের সর্দারনীর সাথে মিলিত হয়েই ক্ষান্ত হতে হয় সবাইকে। প্রজনন ক্রিয়ার থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ শরীরে চর্বির আস্তর জমানো। গর্তের প্রকোষ্ঠতে যে তিন থেকে সাতটি বাচ্চার জন্ম হয় তাঁদেরও মাস দেড়েক মাতৃস্তন্য পানের পর বড়দের সাথেই খাদ্য অন্বেষণে নেমে পড়তে হয়। শিশু মারমোত্তার দেখা প্রথম মিলেছিল জুলাই মাসে। দেখতে অবিকল কাঠবিড়ালির মত। প্রথমে ভেবেছিলাম হয়ত ভুল করে গেছো কাঠবিড়ালি অনুপ্রবেশ করেছে মারমোত্তা রাজ্যে। একটু কাছে এগুতেই ভয় পেয়ে যখন গর্তে ঢুকে গেল তখন ভুল ভাঙল। কিছু সময় পরেই ফের বেড়িয়ে আসে, এবার মা মারমোত্তাও সঙ্গ দেয় শাবককে। প্রাপ্তবয়স্ক একটি মারমোত্তার ওজন গ্রীষ্মের শেষে ৬-৭ কিলোর কম হবে না।
শিশু মারমোত্তা ১
শিশু মারমোত্তা ২
প্রাপ্তবয়স্কা স্ত্রী মারমোত্তা
প্রাক-আল্পস পরিমণ্ডলে যেখানে মনুষ্য জনপদের শেষ সেখানেই যেন শুরু মারমোত্তার রাজ্য-সীমানা। ১২০০ মিটারের নিচে কখনো দেখিনি এদের বিচরণ করতে। আড়াই হাজার মিটার উঁচু আল্পিয় ভ্যালিতেও কদাচিৎ দেখা মিলেছে মারমোত্তার। আমি একা একা পথ চলতেই পছন্দ করি। ছুটির দিনে উদ্দেশ্যবিহীন ভাবেই প্রত্যূষে বেড়িয়ে পড়ি ঘর ছেড়ে। ভোরের কোমল আলোয় আলোকিত পাহাড়ি উপত্যকার নীরবতা আর নিজেকে একা খুঁজে পাওয়ার আনন্দ মিলেমিশে যখন মনটাকে করে পুলকিত তখন শিস মেরে প্রহরী মারমোত্তা জানিয়ে দেয় তাঁদের উপস্থিতি। এই স্তন্যপায়ী নিরীহ প্রাণীদের প্রতি আমার দূর্বার আকর্ষণ গ্রীষ্মের ছুটির দিনগুলির সাতসকালে একটু আয়েশ করে ঘুমোবার প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাঝে মাঝে ভাবি, এই বৎসর যে শিশু মারমোত্তার জন্ম হয়েছে তাঁকে ভুলিয়ে ভালিয়ে কুম্ভকর্ণে-টাইপ ঘুমের জন্য রাজি করাতে কতটা ঘামই না ঝরাতে হয়েছে মা-মারমোত্তার। জন্মের পর মাত্র ৩ মাসে সুন্দর এই আল্পিয় মারমোত্তা রাজ্যে অবাধ বিচরণের যেটুকু আনন্দ-অভিজ্ঞতা সে অর্জন করেছে তারই সুখস্বপ্ন দেখে হয়ত কাটিয়ে দিবে ৭ মাসের শীতনিদ্রা। চোখ বুজে গুনতে থাকবে দিন আর মাসের হিসেব, আর আমি অপেক্ষায় থাকব কবে আবার বসন্ত ছুঁয়ে যাবে আল্পসের পাহাড়ি ভ্যালিগুলিতে। কবে আবার গর্ত থেকে উঁকি দিবে একটি মারমোত্তা, অভুক্ত শরীরে রয়ে যাওয়া তিল পরিমাণ শক্তি দিয়ে একটি সুদীর্ঘ হুইসেল দিয়ে জানিয়ে দিবে সবাইকে ‘হে-হে ভাইয়েরা আমার…… এসেছে বসন্ত……… ঘুমন্ত শরীর-মনটাকে জেগে তোলার এসেছে প্রহর………’
(ছবিগুলি উত্তরপূর্ব ইতালির ভেরনা, ভিচেন্সা আর ত্রেনতো জেলার সীমান্তবর্তী আল্পিয় এলাকায় ট্র্যাকিং করার সময় তোলা। ফটোগ্রাফি আমার কর্ম নয়; হাতের কাছে ক্যামেরা, সেলফোন যা থাকে তা দিয়েই চলার পথে ভাল কিছু দেখলে ক্লিক করে বসি।)
………জিপসি
মন্তব্য
বেশ মজা পেলাম - আপনি নিজে ঘুরতে ঘুরতে আমাদেরকেও ঘুরিয়ে আনুন না দাদা !!
মরুচারী
আরে দাদা, আমি আর একা একা কত ঘুরবো? সঙ্গী হিসেবে আপনার মত কৌতূহলী সাথী পেলে মন্দ হবে না।
ভাল থাকুন, সাথে থাকুন।
………জিপসি
চমতকার
আপনার ছবিগুলো দেখে আমারগুলো দেয়ার লোভ সাম্লাতে পারলাম না। এইগুলি দেখেছিলাম এইবার ইয়োহো তে হাইকিং করতে গিয়ে। অসহ্য সুন্দর পাহাড়ি উপত্যকার মাঝে ছোট্ট একটি কাঠের ঘরে বিশ্রাম নেয়ার সম এদের সাথে দেখা হয়েছিল। নির্ভয়, দুরন্ত আর কৌতুহলী।
-----------------------------------------------------------
আঁখি মেলে তোমার আলো, প্রথম আমার চোখ জুড়ালো
ঐ আলোতে নয়ন রেখে মুদবো নয়ন শেষে
-----------------------------------------------------------
আপনার তোলা ছবিগুলি তো দেখি অসম্ভব সুন্দর! আমার নিকট প্রতিবেশী এই আল্পিয় মারমোত্তা আর আপনাদের সেই সুদূর উত্তর আমেরিকার প্রেইরি ডগ(Prairie dog) প্রায় একই ধরণের প্রাণী। শুনেছি ওদের নাকি শীতনিদ্রার অভ্যাস নেই, পোষও নাকি মানানো যায়। খুব খুশী হব যদি প্রেইরি ডগ নিয়ে সচলায়তনে আপনার একটি তথ্যবহুল পোস্ট দেখতে পাই।
………জিপসি
খুব ভালো লাগে প্রাণীগুলো। ধন্যবাদ এমন লেখার জন্য
facebook
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ অণু। যতদিন সচলায়তনে লিখে যাব, ঘুরে ফিরে মারমোত্তার গল্প বলতে থাকব।
………জিপসি
এত কাছে পেলেন কিভাবে? আমি তো এফেক্টিভ ৬৭০মিমি দিয়েও ধরতে পারিনা
ইউরোপের কিছু কিছু দেশে মারমোত্তা শিকার এখনও একপ্রকার আইনসম্মত ক্রিয়া প্রতিযোগিতা। ‘মারমোত্তার চর্বি নাকি বাতের মহৌষধ’ এই প্রাচীন মিথের জন্য কুসংস্কারাচ্ছন্ন কিছু মানুষ হত্যা করে বেড়ায় নিরীহ এই প্রাণীকে। অস্ট্রিয়ার কোন কোন পাহাড়ি জনপদে নাকি মারমোত্তার দাঁত দিয়ে তথাকথিত শিকারি পুরুষেরা কোমরের বেল্টের কারুকাজ করতেও দ্বিধান্বিত হয়না। ইতালিতে মারমোত্তা শিকার নিষিদ্ধ। আমি যেসব জায়গায় হাইকিংয়ে যাই তাঁর প্রায় পুরো এলাকাটাই সংরক্ষিত বনাঞ্চল। আমার কাছে এদের কখনো অধরা মনে হয়নি। বেশ কৌতূহলী দৃষ্টিতেই এরা চেয়ে থাকে পথিকপানে। শীতনিদ্রায় যাবার আগের দিনগুলিতে এদের চালচলনেও একটা ভারিক্কি ভাব লক্ষ্য করেছি, বিপদ দেখে হুট করে পালিয়ে যায় না। বড় কোন পাথর টুকরোর ওপরে বসে সূর্যের তাপ পোহাতেই পছন্দ করে।
………জিপসি
তবে আমিও একটা তুলেছিলাম। সেটা বেশ মজার ছবি। দেখি, কয়দিন পরে পোস্ট করবো। এটা আগে প্রথম পাতা থেকে সরে যাক।
আল্পিয় মারমোত্তার জ্ঞাতিভাই প্রেইরি ডগ নিয়ে জানার অনেক আগ্রহ আছে। চিড়িয়াখানায় এদের দেখেছি, অনেক চঞ্চল প্রাণী বলে মনে হয়েছে। আপনার পোস্টের অপেক্ষায় থাকলাম।
……জিপসি
শিরোনাম পড়ে বুঝতে পারিনি ভিতরে এতটা সুখপাঠ্য একটা পোস্ট রয়েছে।
রিপন
শিরোনামের সমস্যাটা কি তা বুঝতে পারলাম না।
এই শিরোনামে তিন পর্বের একটা মিনি সিরিজ লেখার ইচ্ছে আছে। চলার পথের আরেক সঙ্গী কামোসশো নিয়ে একটি পোস্ট আগেই লিখা হয়ে গেছে।
পোস্টটি আপনার ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
……জিপসি
চমৎকার
------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”
অলীক জানালা _________
আপনাকে ধন্যবাদ। সাথে থাকুন।
……জিপসি
বাহ! চমৎকার!
ধন্যবাদ রংতুলি।
……জিপসি
সচলায়তনে যে ইমেইল ঠিকানা ব্যবহার করে নিবন্ধন করেছেন, সেটা একবার খুলে দেখুন।
সচলায়তনে আদৌ নিবন্ধন করেছি কিনা তা মনে পড়ছে না। কি আফসোসর কথা!!
এযাবৎ প্রকাশিত গোটা তিরিশেক পোস্টের সবগুলি অতিথি লেখক হিসেবে লগইন করে জিপসি নিকেই লিখে ফেলেছি।
আপনাদের গুডবুকে নাম উঠে গেছে এটাই বড় প্রাপ্তি। ধন্যবাদ।
……জিপসি
অভিনন্দন জিপসি। নিবন্ধন আপনি অবশ্যই করেছেন, নইলে হিমু ভাই অন্যরকম বলতেন
সারাদিন পিসি গুঁতিয়েও কোন সুরাহা করতে পারলাম না। কোন ইমেইল একাউন্ট দিয়ে নিবন্ধন করেছিলাম তা মনে নেই। সম্ভাব্য সব চেষ্টা করে দেখেছি, ফলাফল শূন্য!
নতুন করে নিবন্ধনের চেষ্টা করতে গিয়ে দেখি ‘জিপসি’ নিক আর ফ্রি নেই।
......জিপসি
এখন যে ইমেইল ঠিকানা নিয়মিত ব্যবহার করেন, সেটা কনট্যাক্ট অ্যাট সচলায়তন ডট কমে মেইল করে জানিয়ে দিন।
আমি আগে এইগুলাকে কাঠবেড়ালী ভাবতাম। ভুল ভাংলো বিদেশে এসে। আমাদের বাসার পেছনের পার্কে এদের প্রচুর দেখা মেলে। মানুষ দেখলে ভয় পেয়ে পালিয়ে যায় না। বরঞ্চ খাবার পাবে ভেবে হাতের কাছে চলে আসে।
...........................
Every Picture Tells a Story
রকি মাউন্টেনে আছে-- বড় সড় ধেড়ে একেকটা-- দেখে কাঠবেড়ালি মনে হবে না। কিন্তু এগুলা বেশ দূরে দূরে থাকে। এমন জায়গায় থাকে যেখানে যাওয়া যায় না।
উত্তর আমেরিকার মারমোট নিয়ে বিশদ জানার আগ্রহ আছে। বইপত্র আর ইন্টারনেট ঘেঁটে বুঝলাম এরা অনেক বেশি সামাজিক। সাইজেও হয়ত একটু ছোট আকারের। শীতকালে কেন এরা কুম্ভকর্ণের মত ঘুমাইতে যায় না সেটাই বুঝে উঠতে পারছি না।
আল্পিয় মারমোত্তা খাবার নিতে মানুষের হাতের নাগালে আসবে এটা ভাবাই যায় না। ইউটিউবে যে ভিডিওটা আপলোড করেছি সেটা দেখলেই বুঝবেন আদম সন্তানের সাথে এদের সম্পর্কটা কতটা অসামাজিক!
......জিপসি
দারুণ! দারুণ হয়েছে আপনার লেখা ও ছবিগুলো।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। সাথে থাকুন, ভাল থাকুন।
......জিপসি
আপনি কি লাইটরুম ব্যবহার করেন? ছবিগুলোতে যে ঘাটতি চোখে পড়েছে তা হলো শার্পনেসের অভাব। ছবিপ্রতি দশ সেকেন্ড সময় দিয়ে সহজেই কিন্তু সেটা অনেক কমিয়ে নিয়ে আসা যায়
লাইটরুমের নামটাই এই প্রথম শুনলাম। শার্পনেসের ঘাটতি অন্য কোন সফটওয়্যার দিয়ে ঠিক করতে হবে। পয়সা দিয়ে লাইটরুম কেনার ইচ্ছে নেই।
মুফতে পাওয়া আপনার উপদেশ কিন্তু আমি সিরিয়াসলি গ্রহন করলাম। অদূর ভবিষ্যতে একটা ছবিব্লগ লিখার চিন্তাভাবনা আছে, শার্পনেস ঠিক রাখার চেষ্টা করব আর আপনার ফিডব্যাক আশা করব।
......জিপসি
জীবনে প্রথম কেউ আমার উপদেশ সিরিয়াসলি নিল। নিজেকে নিজেই অভিনন্দিত করলাম
অ্যাডবি লাইটরুম ৩০ দিনের ফ্রি ট্রায়াল দিয়ে থাকে। প্রতিদিন ২০ টা ছবি হিসেবে (ব্যস্ত না থাকলে হাজারখানিকও করে নিতে পারেন) ৬০০ ছবি শার্প কিংবা টোন অ্যাডজাস্টমেন্ট করতে পারবেন। শার্প করার টিউটোরিয়াল এখানে। খুব কাজের জিনিস
আপনার পোস্টের শেষ ছবিটায় হালকা শার্পেনিং এবং রিটাচ। দক্ষ ফটুরেরা আরও অনেক ভালোভাবে করতে পারবেন
হাল্কা শার্পেনিং আর রিটাচ শিখতে হবে। শিখতে একটু সময় লাগবে। ধৈর্য ধরুন ভাইয়া!!
------------------------------------------------------------------------------
জিপসিরা ঘর বাঁধে না,
ভালবাসে নীল আকাশ
পোষ্টে পাঁচতারা। হাচলত্বের অগ্রিম অভিনন্দন
-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।
ধন্যবাদ সজীব।
হাচলত্ব নিয়ে ঝামেলায় আছি। মডুদের কাছে নতুন ইমেইল ঠিকানা পাঠাবার পরও গিট্টূ খুলছে না, লগইন করতে পারছি না। আশা করি পরবর্তী পোস্ট প্রকাশের পূর্বেই ঝামেলা মিটে যাবে।
…….জিপসি
জবর পোস্ট, ব্যাপক লাগলো।
হাচলত্বে অভিনন্দন।
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
ব্যাপক আনন্দ মিলল আপনার মন্তব্বে! ভাল থাকবেন বস!
......জিপসি
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
নতুন মন্তব্য করুন