সবার পছন্দের মানুষ আমাদের এই “জগলুল ভাই” - জগলুল আহমেদ চৌধুরী
জগলুল আহমেদ চৌধুরী মারা গেলেন। একটি বাস তাঁকে মেরে ফেলে রেখে চলে গেল। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সাবেক প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক। প্রায় সবার পছন্দের মানুষ আমাদের এই “জগলুল ভাই।”
বড় একটা অবিচার হোল উনার প্রতি, উনার কাছের মানুষগুলোর প্রতি। তার দাম দিলেন তিনি নিজের জীবন দিয়ে। এতগুলো বছর উনি বাংলাদেশের সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত, এত কিছু করেছেন, হয়েছেন, যা তাঁকে বানিয়েছে একজন সত্যিকারের দেশ প্রেমিক।
তাঁর কোন লেখার কারণে, তাঁর কোন বক্তব্যের কারণে, দেশে কোন দিন একটি জীবনও নষ্ট হয়নি। উনি জেনে শুনে মিথ্যা কথা বলেছেন বা লিখেছেন, এমন কোন কানাঘুষাও কখনো শোনা যায়নি।
অথচ উনার মৃত্যুতে আমরা দেখলাম না উনার সঙ্গের কোন পত্রিকার সম্পাদকদের কোন বিবৃতি দিতে। যৌথ বিবৃতি তো আর পরের কথা। দেশের প্রথম সারির ১৫ জন সম্পাদক কি সরকারের ওপর একটা চাপ সৃষ্টি করতে পারতেন না এর বিচার চেয়ে? আমাদের রাস্তাঘাট ঠিক করার জন্য চাপ দিয়ে? আরেকটি জগলুল ভাই এর বিদায় প্রতিরোধ করতে?
হয়তো আমাদের সম্পাদকেরা “আন্তর্জাতিক” চোখে মহান হতে চান। নিচু স্তরের মিথ্যাবাদীদের, হত্যায় সহায়তাকারীদের, ধর্মীয় উন্মাদনা এবং ধ্বংসে প্ররচনাকারিদের “মানবাধিকার” নিয়ে কথা বলতে এবং যুক্ত বিবৃতি দিতেই তাঁরা বেশি ভালবাসেন। তাঁদের এই নিচু মানসিকতা এবং দায়িত্বে অবহেলা, সর্বোপরি একজন সন্মানিত সহকর্মীর প্রতি নিদারুণ অবহেলা নিয়ে তাঁদেরকেই চলতে হবে।
আমরা সাধারণ মানুষজন শুধু তাঁদেরকে “জাতির বিবেক” না ভাবলে তার দোষ অবশ্যই আমাদের নিজেদেরই!!
- - -
শুধু মনে রাখার জন্য, নরঘাতক (?) মাহমুদুর রহমান কে আগলে রাখতে এগিয়ে এসেছিলেন উনারাঃ
ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম,
প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান,
কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন,
ইন্ডিপেন্ডেন্ট সম্পাদক মাহবুবুল আলম,
সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার,
নিউজ টুডে সম্পাদক রিয়াজউদ্দিন আহমেদ,
ইনকিলাব সম্পাদক এএমএম বাহাউদ্দীন,
নয়াদিগন্ত সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন,
মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী,
দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন,
নিউ এইজ সম্পাদক নুরুল কবীর,
নিউ নেশন সম্পাদক মোস্তফা কামাল মজুমদার,
দৈনিক সংবাদ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুনীরুজ্জামান,
বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম ও
যুগান্তরের নির্বাহী সম্পাদক সাইফুল আলম।
= = =
Sachal ID: Rain Soaked Poet
মন্তব্য
যেকোনো অপ্রত্যাশিত মৃত্যু দুঃখজনক। অথচ দুর্ঘটনায় মৃত্যুর বিষয়টিতো চালকদের জন্য কিছুই না টাইপের। জামিনযোগ্য ধারা। ৫০ জনকে পিষে ফেললেও আদালতে দাঁড়ালেই জামিন আর অপরাধটি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিচার্য অর্থাৎ শাস্তির মাত্রাও কম। আজব! তবে কারও নিরব থাকার শাস্তি কি জানি না।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
মনে পড়ে একসময় লোকটার অনুষ্ঠান দেখেছি টিভিতে। এরকম দুর্ঘটনার খবর শুনে খারাপ লাগল, আর বাকিদের নির্লিপ্ততায় হতাশ হওয়া ছাড়া আর কিছু করার নেই
নতুন মন্তব্য করুন