ইতিহাসবিমুখ জাতি হিসেবে কোথায়ও আমাদের পরিচয় আছে কিনা জানিনা, তবে আমাদের ইতিহাসবিমুখ বললে কিছুটাও ভুল হবে না বলেই আমার মনে হয়। আমাদের ইতিহাসের দৌড় মাধ্যমিক পর্যন্ত পাঠ্য বইগুলোতে; এর বাইরে আমরা যে ইতিহাস জানি বা শুনি, সেগুলো রাজনীতিবিদদের মুখ থেকে অনেক সময়ই যা মিথ্যা, আংশিক সত্য বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। যেমন উদাহরণ হিসেবে ধরা যাক, বিএনপি’র কোন নেতা বললেন ‘জিয়া স্বাধীনতার ঘোষক ছিলেন এবং তিনি ১৯৭১-এর ২৬/২৭ শে মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন’। এখন তারিখটা যদি ২৬শে মার্চ বলেন তবে তা পুরোপুরি মিথ্যা কেননা তারিখটা ছিল ২৭শে মার্চ; আর যদি স্বাধীনতার ঘোষক বলে তবে তা অযৌক্তিক দাবি; তবে ‘স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র’ থেকে আগে আরো কয়েকজন বঙ্গবন্ধুর পক্ষ থেকে ঘোষণা দিয়েছে তাঁরাও তো স্বাধীনতার ঘোষকের দাবিদার। মেজর জিয়া নিজস্ব উদ্যোগে ‘স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র’ খুঁজে বের করেননি বা ঘোষণা দেওয়ার প্রস্তাবও করেননি। উনি কিভাবে ওখানে গিয়েছেন এবং ঘোষণাটি পড়েছিলেন তা বিস্তারিতে উঠে এসেছে ‘বেলাল মোহাম্মদ’ (স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা) এর দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে (তথ্যসূত্রঃ ১)। অন্যদিকে রাজনীতিবিদগণের বক্তব্য এড়িয়ে যে পাঠ্য-পুস্তক থেকে কিছু নির্ভুল তথ্য পাব তাতেও বাগড়া বাঁধায় সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে ১৯৭১ এর ভূমিকার পালা বদল। আর এসব দেখে আমরা আরো ইতিহাসবিমুখ হয়ে পড়ি। আমরা ভাবি রাজনৈতিক নষ্টামিতে ইতিহাসটা বুঝি গেল! আমরা অপেক্ষায় থাকি কেউ একজন এসে আমাদের পুরোপুরি সঠিক ইতিহাস জানিয়ে দিয়ে যাবে; আর কেউ যদি বলার চেষ্টা করে তাঁকে রাজনৈতিক গোত্রে ছুঁড়ে ফেলে দেই। আর এতে করে ইতিহাসের সাক্ষ্য গুলো নষ্ট হয়ে যায়। এসব সাক্ষ্য সংরক্ষণেও আমাদের অনীহা।
বাংলাদেশে পাক-বাহিনী ও তাদের দোসরদের পরিকল্পিত গণহত্যা, বুদ্ধিজীবী হত্যা, নারী নির্যাতন মানব সভ্যতার ইতিহাসে নৃশংসতার অন্যতম একটি উদাহরণ। বাংলাদেশে এখনো নতুন নতুন বধ্যভূমি আবিষ্কৃত হচ্ছে। ‘ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি’- এর সন্ধানে ২০০৫ সাল অবধি বের হয়ে এসেছে ৯২০ টি বধ্যভূমি (এ সংখ্যাটি হয়তো এতদিনে আরও বেড়ে গেছে)। তাঁদের হিসেব মতে সারা দেশে প্রায় দু’হাজার বধ্যভূমি শনাক্ত করা সম্ভব এবং আরো তিন হাজার বধ্যভূমি হয়তো কোন দিনই শনাক্ত করা যাবে না; কেননা এগুলো হারিয়ে গেছে ইমারতের তলদেশে, কংক্রিটের ঢালাইয়ের নিচে, রাস্তাঘাট এবং ক্ষেত খামারে। স্বাধীনতার পর দেশের যত্রতত্র ছড়িয়ে থাকা হাড়গোড় সরিয়ে ফেলতে হয়েছিল আবাদযোগ্য ভূমি উদ্ধারের জন্য। এসকল বধ্যভূমি ছাড়াও ৭০-৮০ ভাগ হত্যাকান্ড সংঘটিত হয় দেশের খাল, বিল ও নদীর পাড়ে। দেশে মোট ৮৮টি নদী-শাখা নদী, ৬৫ টি ব্রিজ ও সেতুতে হত্যাকান্ড চালানো হয়। এসব বধ্যভূমিতে শতেক থেকে শুরু করে হাজার এমনকি কয়েক হাজার পর্যন্ত দেহাবশেষ এর চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। যেমন, “চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে বসবাসকারী শহীদ আকবর হোসেনের পুত্র রাউফুল হোসেন সুজা সে সময় পিতার লাশ খোঁজার জন্য বড় দু’ভাইয়ের সাথে ফয়’স লেকের বধ্যভূমিতে যান। সেখানে তাঁরা প্রায় দশ হাজার বাঙালি নরনারীর লাশ দেখতে পান, যাঁদের অধিকাংশই জবাই করে হত্যা করা হয়েছিল। বাবার লাশ খুঁজতে গিয়ে তাঁরা সেখানে চুরাশিজন অন্তঃসত্ত্বা মহিলার লাশও দেখতে পান যাঁদের সবার পেট ফেড়ে দেয়া ছিল।” (তথ্যসূত্রঃ প্রসঙ্গ ১৯৭১:মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ, ডা. এম,এ,হাসান)
আর এসব সংরক্ষণে আমাদের কোন আগ্রহ নেই। আমরা কতটুকু সংরক্ষণ করেছি সেইসব স্মৃতি; আমরা বলি সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে ছিল পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসরদের নৃশংসতার চিহ্ন; এখন সারা বাংলাদেশ ঘুরলে কতটুকু পাওয়া যাবে সেইসব স্মৃতি, সেইসব হত্যাকাণ্ড আর গণহত্যা-ধ্বংসযজ্ঞের চিহ্ন? সারা ইউরোপে এখনো মানুষ সংরক্ষণ করে রেখেছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন; ফ্রান্সে একটি পুরো গ্রাম সংরক্ষিত আছে, ঠিক একইভাবে নাৎসিরা যেভাবে রেখে গিয়েছিল ধ্বংস করার পর। আর আমরা দেখি, ‘ক্র্যাক প্লাটুন’ এর রুমী, বদি, আজাদ প্রমুখের নাম জানলেও তাঁদেরকে ধরে নিয়ে গিয়ে “তেজগাঁ বিমান বন্দরের উল্টোদিকে ড্রাম ফ্যাক্টরির কাছে এমপি হোস্টেলে যেখানে রাখা হয়েছিল এবং নির্যাতন করা হয়েছিল” কিংবা শাহবাগ থানার যেখানে তাঁদের রাখা হয়েছিল তার কোন স্মৃতি নিদর্শন আমরা দেখি না। কেউ প্রয়োজনবোধ করেনি সারাদেশের এমন অসংখ্য ‘টর্চার সেল’-এর সংরক্ষণের। কিংবা আমরা জানি না সেই শ্রেণীকক্ষটির কথা (সম্ভবত, মিরপুর টেকনিক্যাল ট্রেনিং কলেজ-এর একটি শ্রেণীকক্ষ) যেখানে মুনীর চৌধুরী, ডা.আলীম সহ শত শত বুদ্ধিজীবীদের ধরে এনে আটকে রাখা হয়েছিল হত্যা করার জন্য। কিংবা আমরা কোন নিদর্শন খুঁজে পাইনা সেসব বাঙ্কার বা অন্ধকার কক্ষের যেখানে আটকে রেখে নির্যাতন চলত বাংলার নারীদের উপর; স্থায়ী বা অস্থায়ী সেনানিবাস বা ক্যাম্প-এ। হয়তো আমরা বিদ্যালয়ের বা কলেজের শ্রেণীকক্ষে বসে ক্লাশ করছি যে কক্ষেই হয়তো চলেছিল নির্যাতন আর আমরা বঞ্চিত হচ্ছি যুদ্ধের ছবি দেখা থেকে। ঢাকা-রাজশাহী বা অন্য বড় শহরগুলোর প্রবেশ পথে কি দেয়াল চিত্রের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা যেত না মানুষের ছুটে চলা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে- শরনার্থী হওয়া। আমরা কি চিহ্নিত করে রেখেছি কোন স্মৃতিস্তম্ভ এর মাধ্যমে সেইসব সেতু ও নদীর পাড়ের স্থানগুলো যেখানে সংঘটিত হয়েছিল হত্যাকাণ্ড।
শনাক্ত করা বধ্যভূমিগুলো কতটুকু সংরক্ষিত হচ্ছে? আশেপাশের লোকজন, পাশ দিয়ে চলে যাওয়া লোকজন কতটুকু জানতে পারছে এই বধ্যভূমি সম্পর্কে? পথিক পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ খেয়ালে তাকালে কি তাঁর নজরে ভেসে আসবে স্মৃতিফলকের কোন লেখা যা তাঁকে নিজের অজান্তেই টেনে নিয়ে যাবে ’৭১-এ? নাকি সকল কিছুই শুধুমাত্র পুথিবদ্ধ করে রাখার জন্য? ফয়’স লেক-এ বিনোদন পার্ক তৈরি করা হয়েছে, সেখানে কি বদ্ধভূমি সম্পর্কিত কোন তথ্য রাখা হয়েছে?- জানি না, আমি একবার গিয়েছিলাম সেখানে, চোখে পড়েনি সেরকম কিছু।
আমরা রেখেছি কি কোন স্মৃতিচিহ্ন ‘বাড়িয়া গণহত্যা’-এর, যেদিন একই দিনে পাক আর্মি হত্যা করা দুশ’ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে যাঁদের পঁয়তাল্লিশ জন ছিলেন নারী; কিংবা গোলাহাটে একশ’ জন নারীসহ চারশ’ তের জন, হাতিয়া- দাগারকুঠিতে চল্লিশজন নারীসহ তিনশ’ জন; কিশোরগঞ্জের বরইতলা’র সেই নির্মম হত্যাকাণ্ডের কোন স্মৃতি দেখি আমরা রেললাইনের উপর দিয়ে যাওয়ার সময়- যেখানে একজনের বাহু অন্যের সাথে বেঁধে রেল লাইনের উপর বসিয়ে দেয়া হয় এবং বিশেষ ধরণের শাবলের আঘাতে একে একে চূর্ণবিচূর্ণ করে ফেলা হয় প্রত্যেকের মাথা, এরপর ব্রাশফায়ার, নিহত হন তিনশ’ ছেষট্টিজন; ১৩ জুন পাক আর্মি সৈয়দপুরের ১৫০ জন লোককে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়, কৌশলে তাঁদের পরিবারের বাকীদেরও আনা হয়, তারপর সবাইকে ট্রেনের বগিতে তোলা হয়। কিছুদূর যাওয়ার পর ট্রেনটি থেমে যায় আর একজন একজন করে বের করে খোলা তলোয়ারের কোপে দু’খণ্ড করে ফেলা হয় তাঁদের দেহ। ট্রেনের বগির জানালা ভেঙ্গে পালাতে চেষ্টা করা হলে করা হয় ব্রাশ ফায়ার, তেইশ জন পালাতে সক্ষম হয়, যারা পালাতে পারেনি তাঁদের মধ্যে নারীদের ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। গোলাহাটের এই হত্যাকাণ্ডে ৪১৩ জনকে হত্যা করা হয় সেদিন (তথ্যসূত্রঃ প্রসঙ্গ ১৯৭১:মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ, ডা. এম,এ,হাসান)। জানিনা, গোলাহাটের সেই হত্যাকাণ্ডের কোন স্মৃতি সংরক্ষিত আছে কিভাবে, স্মারক হিসেবে রেলওয়ে’র পক্ষ থেকে কোন বিশেষ বগি বা কোন ব্যবস্থা থাকতে পারত।
কোন কিছুই যে নেই বা হচ্ছে না একেবারে সেরকম কিছু না, তবে তা অপ্রতুল; যেমন ১৯৭১ সালের ২৫শে জুলাই সোহাগপুরে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের একটি স্মৃতিস্মারক আছে (যদিও তা যৎসামান্য), যেখানে ১৬৪ জনকে হত্যা করা হয়েছে (তথ্যসূত্রঃ ২); আছে ‘চুকনগর শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’ যেখানে ১৯৭১ সালের ২০ই মে হত্যা করা হয়েছে ১০,০০০ নিরীহ বাঙালি। সম্প্রতি সেখানে একটি জাদুঘর ও গ্রন্থাগার সম্বলিত ভবন তৈরি করতে যাচ্ছে সরকার (তথ্যসূত্রঃ ৩)। এরকম করে যদি আবিষ্কৃত বধ্যভূমিগুলো ও হত্যাকাণ্ডের স্থানগুলো সংরক্ষণ ও মুক্তিযুদ্ধ তথ্য সম্বলিত গ্রন্থাগার বা জাদুঘর করা সম্ভব হয় তবে প্রজন্মের পর প্রজন্মের কাছে এসব তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব খুব সহজেই, এবং ক্ষুদ্র পরিসরে সরকারি সাহায্য ছাড়াই কেবল স্থানীয়ভাবেই এটা করা সম্ভব। আর এসব এসব স্থানীয় সংরক্ষিত এলাকায় স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে গিয়ে পরিচয় করিয়ে দেওয়া যেতে পারে ১৯৭১-এর সাথে।
পরিতাপের বিষয় যে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও নবীন ছাত্রদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার তেমন ব্যবস্থা নেওয়া হয় না; অথচ সাতচল্লিশ পরবর্তী আন্দোলনগুলোর কেন্দ্রবিন্দু ছিল এই বিশ্ববিদ্যালয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এলাকায় একটি ভ্রমণেই পাওয়া যাবে অনেক নিদর্শন; এবং তা শুধু ’৭১ নয়, তার আগে-পরে ঘটে যাওয়া অনেক ঘটনার নিদর্শন। দেশের এই সর্বোচ্চ বিদ্যপীঠ কতটুকু সচেতন এসব নিদর্শন সংরক্ষণে ও এখানে অধ্যয়নরতদের মাঝে এই তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ায়? এখানে প্রচুর ভাষ্কর্য আছে, তবু আছে কি ‘অপারেশন সার্চলাইট’-এর প্রথম প্রহরে জগন্নাথ হলে যে হত্যাকান্ড হয়েছে তার কোন নিদর্শন; আছে কি জহরুল হক হলে যেখানে হত্যা করা হয় প্রায় ২০০ ছাত্র কিংবা রোকেয়া হল- যেখানে ঘটেছে হত্যাকাণ্ড ও নারী নির্যাতন। যদিবা থেকে থাকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরতরা কতটুকু জানে?
আমাদের চলচ্চিত্রগুলোতে ফুটিয়ে তোলা যায় এসব হত্যাকাণ্ডের কথা, কোন একটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেলুলয়ডে ওঠে আসতে পারে ১৯৭১-এ পাকিস্তানি বাহিনীর নৃশংসতা; কোন বীরাঙ্গনার কাহিনী নিয়ে চিত্রায়ন সম্ভব ’৭১ এর নারী নির্যাতনের চিত্র।
পরিশেষে বলতে চাই, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ইহুদি নিধনের বিচার হয়েছে বিশ্বযুদ্ধের পরপরই; বসনিয়া-হার্জেগোভিনায় সার্বদের গণহত্যার দায়ীরা এখন বিচারের কাঠগড়ায়; আর্মেনিয়ানরা আজও সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে তুর্কি বাহিনীর পরিচালিত গণহত্যার স্বীকৃতির জন্য। আমাদের দেশেও শুরু হয়েছে ১৯৭১ এর মানবাতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিচার কিন্তু তা এখন কেবল দেশীয় দোসরদের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোতেই সীমাবদ্ধ। আমাদের এই বিচার আরো অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে, বিচারের সম্মুখীন হতে বাধ্য করতে হবে পাক-বাহিনীর সেইসব পরিকল্পনা কারীদের। আর এর সাথে আসবে ক্ষতিপুরণের ব্যাপারটি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পূর্ব ও পশ্চিম জার্মানিকে দিতে হয়েছে ক্ষতিপূরণ বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সংস্থাকে। ব্যাক্তিগত সম্পদের ক্ষতিপূরণ এবং পাকিস্তানে আটককৃত সরকারী-বেসরকারী পাওনা সম্পদ ছাড়াই প্রাথমিক হিসাবে ’৭১ সালে বাংলাদেশের ক্ষতিগ্রস্ত সম্পদের পরিমাণ ছিল প্রায় ২২.২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। কিন্তু সবচেয়ে জরুরি বিষয় মনে হয় আমাদের ইতিহাস সচেতনতা এবং এ বিষয়ে গবেষণা করা ও জানার আগ্রহ।
১. http://arts.bdnews24.com/?p=2769
২. http://www.thedailystar.net/village-of-widows-48796
৩. http://www.bssnews.net/newsDetails.php?cat=0&id=393399&date=2014-03-03
কুণ্ঠিত পান্থ
মন্তব্য
জাগো বাহে কুন্ঠে সবাই - আচ্ছা এটা নাটকের সংলাপ জানতাম। এটা কি কারণে বলা হয়েছিল- কেউ একটু বলেন।
এখন অবশ্য স্লোগান হিসেবে দিতে ইচ্ছে করছে।
ট্রোল
trollblog0@gmail.com
আমি নিশ্চিত না, তবে এটা শুনেছি সৈয়দ শামসুল হকের 'নুরালদীনের সারাজীবন' নাটকের সংলাপ।
(আমার ভুল হবার সম্ভাবনা ৮০%)
আমি ঢাবিতে পড়ার সময় একবার ঢাবিতে সংগঠিত হত্যাকান্ডের স্থানগুলো চিহ্নিত করার কথা তুলেছিলাম। আশপাশের সবাই, স্যারেরা সবাই কেমন উদাস হয়ে পড়লো আমার কথা শোনার পর
প্যারা করে দিলে পড়তে সুবিধে।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
@ ট্রোল, সেটা আমারও জানা নেই, তবে আমাদের যে এ ব্যাপারে জাগতে হবে সে প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি।
@ হাসিব, এমনটা কেন হয় জানি না, তবে আমি আমার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বন্ধুকে একবার বলেছিলাম যে তার ডিপার্টমেন্ট এর কোন বন্ধু বা স্যারের সাথে যোগাযোগ করে নবীনদের ডিপার্টমেন্টভিত্তিক একটা ট্যুরের ব্যবস্থা করা যায় কিনা যেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভাস্কর্য ও নিদর্শনের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়া যায়; সে একজনের সাথে যোগাযোগ করেছিল, তবে তিনি পরবর্তীতে দেশের বাইরে চলে যাওয়ায় সেটা হয়ে উঠে নি; তবে ডিপার্টমেন্টভিত্তিক এরকম একটা কিছু ব্যবস্থা নিলে অন্তত এখন যে স্থাপনাগুলো আছে তার সাথে নবীন ছাত্রদের পরিচয় মিলবে; আমি এই এলাকার ভিতর দিয়ে অনেক যাতায়ত করেছি, অনেক কিছু দেখলেও বিস্তারিত এমনকি নামও জানতাম না অনেক কিছুর...তবে মনে হয় এই চর্চাটা শুরু করা জরুরি...আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েদের মাঝে যদি এই চর্চাটা না থাকে তবে সেটা হতাশাজনক।
লেখাটা শেষ করার প্রায় সাথে সাথেই প্রকাশের জন্য দিয়ে দিয়েছিলাম, তড়িঘড়িতে অনুচ্ছেদের বিন্যাসটা ঠিক করা হয়নি।
নতুন মন্তব্য করুন