আমার রোজনামচা পর্ব-২
" প্রিয় শ্রাবণ-জল,
বাসায় ফিরে আজকে খুব ক্লান্ত লাগছে। মনে হচ্ছে একটা জাদুর চেরাগ পেলে ভালো হতো। জিনিকে দিয়ে ঘরের সব কাজ সারিয়ে নেয়া যেতো। ফ্রেস হয়ে নিতেও টায়ার্ড লাগছে। ভাবছি জিনি থাকলে ওকেই বলতাম " ফ্রেশ ফিলিংস এনে দাও" । এই মুহূর্তে এক কাপ আগুনগরম চা দরকার ছিল। আমাকে একটা আলাদিনের জাদুর চেরাগ এনে দিতে পারবা ?
নানা কারণে মেজাজ বিক্ষিপ্ত হয়ে আছে। তুমি তো জানোই আমার মায়ের সব অদ্ভুত চিন্তাভাবনা এবং আমাকে ব্ল্যাকমেইল করার কথা যা প্রতিনিয়তই আমার সাথে হচ্ছে। মা'কে বোঝাতে বোঝাতে সত্যিই খুব ক্লান্ত লাগছে এখন আমার। আমার এখন কারো কথাই গায়ে লাগাতে ইচ্ছে করে না। মেয়ে হয়ে জন্মাইয়া সব সাফারিং ক্যান আমার একলার হবে বলো দেখি ? কোনোদিনই মা আমাদের সম্পর্ক স্বাভাবিকভাবে নিতে পারবে না। তোমাকে বাসায় আসতে বলছে, বিয়ের ডেট কনফার্ম করতে। ঐদিন এসেও যদি দেখো সে কালো মুখে কথা বলছে, কিছু মনে করো না। বুবুনের বাবার সাথে আমার ডিভোর্স হবার পরেও মা তাকে এখনো তার মেয়ের জামাই মনে করে। সাফ বলে দিয়েছে অন্য কাউকে মেয়ের জামাই হিসেবে মনে সে স্থান দিবে না এবং তার ধারণা এটাই মেয়েদের বিয়ে নাকি একবারই হয়। কার দোষে ডিভোর্স হলো, কোন ঘটনা কোথায় গেলো এসব মা সবই জানে কিন্তু গায়ের জোরে সব আমার উপরে চাপিয়ে দেয়ার অভ্যাস তার, এটা তো জানোই। যাই হোক এইসব কথা বাদ দেই।
গতকাল শাহবাগের দিকে গিয়েছিলাম বুবুনের জন্য কিছু বই কিনতে। নিজের জন্যও কিছু খুঁজেছিলাম কিনবো বলে। কিন্তু কেনা হয়নি। একলা একলা বইয়ের দোকানে ঘুরতে ভাল্লাগছিলো না। গতবছর তোমার সাথে শাহবাগে অনেক ঘুরেছিলাম আর এতদিন পর আমি আবার সেখানে গেলাম। এজন্যই ভালো লাগছিলো না মে বি। মনে আছে প্রায় পাঁচ বছর পর তোমার সাথে রিকশায় ওঠা হয়েছিলো সেদিন। তোমার মজার মজার কমেন্ট গুলো গতকাল মনে করে একাই হাসছিলাম শব্দ করে। রিকশাওয়ালা ঘাড় ঘুরিয়ে জিজ্ঞেস করলো , হাসেন ক্যান আপা ? স্ট্রিট ফুড আমার সবসময়ের ফেভারিট। গরম ভাপা পিঠা, জিলাপি আর আলুর চপ দেখে পেটের খিদে ভাবটা গা ঝাড়া দিয়ে উঠেছিলো কিন্তু একা একা রাস্তায় দাঁড়িয়ে খেতেও ইচ্ছে করছিলো না তাই আর খাওয়া হয়নি। আমি মোটা বলে তুমি আমাকে বিভিন্ন কিছু বলে ক্ষেপাতে সেসব কথাগুলোও মনে পড়ছিল আর রাস্তায় তোমার " সুন্দরী, স্লিম " বান্ধবীদের দেখে দেখে ভাবছিলাম " আহা, তুমি তো এইসব অপরূপ দৃশ্য মিস করতেছো !"
ক'দিন আগে কাজিনের গায়ে হলুদ থেকে শুরু করে আড়াইদিনের অনুষ্ঠান সেরে দীর্ঘ ছুটি কাটিয়ে বাসায় ফিরলাম। পুরো অনুষ্ঠান জুড়েই অন্যান্য কাজিন বা আত্মীয়দের তাদের বন্ধু-বান্ধব এবং তাদের হাসব্যান্ডের সাথে ছবি তোলা দেখতে দেখতে মনে হচ্ছিলো আমিই বোধহয় সবকিছু থেকে পিছিয়ে আছি। শাড়ি আর গয়নার বাহার, হেয়ার স্টাইল, ফুলের মালা, পুরুষদের পাঞ্জাবির স্টাইল, জুতো , একেকজনের হাতের মেহেদির নকশা সবকিছুই আমাকে আরো একাকীত্বের অনুভব দিচ্ছিলো। বিশেষ করে ছাদে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানের যে উত্তাপ তা আমাকে কিইছুতেই উষ্ণ হতে দিচ্ছিলো না, শীতের ঠাণ্ডা বাতাসের মতোই আরো শীতল করে তুলছিলো। এক ফাঁকে জেরিন আমাকে ডেকে নিয়ে দুই হাত ভরে মেহেদির নকশা এঁকে দিয়েছিলো কিন্তু চারিদিকে এতো সংসারি মানুষের সুখের ছবি দেখে দেখে আমার অস্থিরতাই বাড়ছিলো শুধু; তুমি কাছে ছিলে না বলে। আমি মনে করি প্রত্যেকটা মানুষেরই নিজস্ব একজন মানুষ থাকা জরুরী, যতই আমি কর্পোরেট লাইফ লিড করি না কেন, ঘরে ফিরে সাংসারিক দায়িত্ব পালন করে যখন নিজের মুখোমুখি হয় তখন খুব একলা লাগে!
চাকরিবাকরি বাদ দিয়ে ইদানিং পুরোদমে সংসার করতে ইচ্ছে করছে। তাড়াতাড়ি দেশে ফিরে এসো।
তোমার ফাপর-কুইন "
আমাদের লাল-নীল সংসার
“ প্রিয় পান্না,
হাওয়ায় যে পাতাটি উড়ে চলেছে তার চাওয়ার সীমানাটা কতটা সীমাহীন কখনো কি জানতে পারবে তুমি ? আমাদের ইচ্ছেগুলো যেমন অনিচ্ছার জালে আটকে পড়ে রোজ রোজ মার খাচ্ছে - অনেকটা সে রকম। একেবারে কাছের মানুষটি কাছে না থাকলেও বুকে কখনো শূন্যতাকে বসতে দিতে নেই। বরং সম্পর্ক কখনো ফুরোবার নয় জেনেই সম্পর্কের গাঢ়ত্বকে ছুঁইয়ে রাখতে হয় সেই মানুষটির অনুপস্থিতেও!
মাঝে মাঝে তুমি খুব হতাশ হয়ে পড়ো, আড়ালে হয়তো কান্নাকাটিও কর। তোমার চোখ লাল হয়ে থাকে, আমি বুঝলেও বলি না আবার যাতে এক প্রস্থ না কাঁদো এই ভয়ে। আমার যত ব্যঞ্জনা-ধ্বনি , ফিসফাস তা মূলত তোমাকে ছুঁয়ে দেবার জন্যই। তাই বলবো, ভালোবাসায় বাঁচো, শুদ্ধতায় বেঁচে থাকো। খালি তো অভিযোগ করো আমি নাকি রোম্যান্টিক না । আজকে তোমাকে " তিলোত্তমা" নামে ডাকতে ইচ্ছে করছিলো, লজ্জায় আর সম্বোধনটা করা হয়ে উঠলো না এই ভেবে নেক্সট দেখা হলে তুমি সেই মেইল প্রিন্ট করে আমার সামনে বসে বসে পড়বে আর ভেঙাবে।
আমাদের অপেক্ষাগুলো আনন্দের হয়ে উঠুক। তোমার মতো সাহিত্যের ভাষায় চিঠি লিখতে পারি না তাহলে হয়তো কবিতার বা গদ্যের কোনো রেফারেন্স দিতে পারতাম যা তুমি পছন্দ করো। বুবুনকে বলো খুব শীঘ্রই আমি ওর কাছে আসবো।
তোমার শ্রাবণ-জল "
আমার ছুটির দিনগুলো
এখন আমার ছুটি চলছে স্কুলে আর ম্যাডামের কোচিং এ। ছুটির এই সময়গুলোতে কেন যেন মনে হয় সময় অনেক ধীরে ধীরে পার হয়। অবশ্য মামুন আংকেল বলেছে প্ল্যান করে রাখলে ছুটি কাটাতে বোরিং লাগবে না। আমি আমার ছুটির প্ল্যান করে রেখেছি। যদিও আংকেল তার ব্যবসায়ের কাজে দেশের বাইরে তাই আমার প্ল্যান করে রাখা কাজ গুলো করতে পারছি না। আমাকে নিয়ে নন্দন পার্ক যাবার কথা। আমার স্কুলের একটা পিকনিক প্রোগ্রামও আছে। খুব টেনশনে আছি আংকেল সময়মত ফিরবে কিনা দেশে। না হলে আমাকে আম্মুর সাথে একা একা যেতে হবে পিকনিকে। কিন্তু শুধু আম্মুর সাথে কোথাও যেতে আমার ভালো লাগে না। আমার কিছু বই কিনতে হবে সত্যজিত রায়ের ফেলুদা সিরিজ আর রকিব হাসানের গোয়েন্দা কাহিনীর। আম্মু অনেক বই কিনে দেয় কিন্তু আংকেলের সাথে বের হলে আমার যতগুলো ইচ্ছে হবে সব কিনে দিবে, ভূত-পেত্নীর বইও দিবে বলেছে। তবে ভূত-পেত্নীর বই আংকেল কিনে দিয়েছে ইচ্ছে করে এমনটাই আংকেল আম্মুকে বলতে বলেছে। বিকেলে মাঠে গিয়ে ক্রিকেট খেলা যায় কিন্তু আজকাল সেখানে গিয়ে খেলতে সমস্যা হচ্ছে। আমার বন্ধু ফাহিম ওর নানীর বাড়িতে খুলনা বেড়াতে গিয়েছে। তাই একা একা মাঠে গিয়ে খেলতে ভালো লাগে না। আর আবদুল্লাহটা এতো অসভ্যতা করে আমার রাগ লাগে। আমার ব্যাট, বল দিয়ে খেলে অথচ টসে জেতা নিয়ে চুরি করে, আমাকে বাউন্সার বল মারে যাতে তাড়াতাড়ি আউট হই। শুধু তাই না সেদিন ফুটবল খেলতে গিয়ে আমার ব্রাজুকা বলটা পাশের পুকুরে ফেলে দিয়েছে। দুই দিন পর আম্মু যখন জেনেছে তখন আম্মু আমাকেই বলেছে -
আবদুল্লাহ বল ফেলে দিয়েছে না ফয়সাল বল হারিয়েছে আমার এসব জেনে কাজ নেই। তোমার বল তুমিই খুঁজে বের করবে। আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় দিলাম। নিজে বল খেলতে দিয়েছ এখন নিজেই খুঁজে আনবে। ওভার
আমিও মুখ কালো করে বলেছিলাম - ওভার। আমার টেনশনে পেটের ভেতর কাঁপছিল। আম্মু তো জানে না আবদুল্লাহ কতো ফাজিল। ও আজকাল সিগারেট খায় সাথী আন্টিদের বাসার পেছনে বসে আর কিছু বাজে ছেলেদের সাথে মিশে। শুধু তাই না ওর পকেটে একটা মোবাইলও থাকে। সে মোবাইল বের করে করে ওর বন্ধুরা যেন কি দেখে আর হা হা শব্দ করে হাসে। ছেলেটা ঠিকমতো পড়াশুনাও করে না আর স্কুলেও যায় না। আম্মু বলেছে খারাপ ছেলেদের সঙ্গে না মিশতে। কিন্তু খেলার মাঠে আবদুল্লাহ আর ওর গ্রুপ মিলে মাঠ দখল করে আমাদের তাড়িয়ে দেয়। সে সময় আম্মু তো আর অফিস থেকে এসে আমাদের সমস্যা মিটিয়ে দেয় না। এই আবদুল্লাহটা কে শিক্ষা দিতে কি করা যায় আমি বুদ্ধি ভেবেও বের করতে পারিনি। আংকেলকেও জিজ্ঞেস করেছিলাম কি করা যেতে পারে, আংকেল বলেছে -
আমি জানি কিভাবে সমস্যার সলভ করা যাবে। কিন্তু আগে তুমি ট্রাই করো আর না পারলে আমি তো আছিই।
আমার বন্ধু ফাহিমের মাথায় খুব চটজলদি প্ল্যান আসে যেকোনো ব্যাপারে আর আমার মাথায় সময়মত কিছু আসেই না। এজন্য আম্মু বলে - মাছ আর সবজি না খেলে বুদ্ধি খুলবেও না। কিন্তু আমিও এতো সহজে হার মানব না আবদুল্লাহর কাছে, ও আমাকে অনেক জ্বালিয়েছে। একটা শিক্ষা ওকে দিতেই হবে। আমি অবশ্য একটা পোস্টার বানিয়েছি। অনেক চিন্তা করে দুই লাইন লিখেছি। ভেবেছি আরো কিছু পোস্টার বানিয়ে লিখে দেয়ালে আঠা দিয়ে লাগিয়ে দিবো। ফাহিমের সাথেও ফোনে পরামর্শ করেছিলাম, শুনে ও বলেছিলো - এক সাথে চিকা মারতে পারলে ভালো হতো। পোস্টারিং করাকে কেন চিকা মারে বলে এটা মামুন আংকেলকে জিজ্ঞেস করতে ভুলে গিয়েছিলাম কিন্তু আমার পোস্টারে লেখা দুই লাইনের কথা শুনে আংকেল খুব হেসেছে, আম্মুও হেসেছে।
[b][i]" আবদুল্লাহ একটা রাজাকার। আমরা সবাই আবদুল্লাহ রাজাকারের ফাঁসি চাই।"[/i][/b]
ফাহিম অবশ্য বলেছিলো ইট দিয়ে দেয়ালে দেয়ালে এসব লিখবে আর আমাদের চেয়ে বয়সে ছোট গ্রুপ দিয়ে মিছিল করাবে। কিন্তু আমার ইচ্ছে নেই ছোটদের দিয়ে মিছিল করাবার, আবদুল্লাহদের কাছে মার খাবার সম্ভাবনা আছে।
এখনো আমার হুমায়ুন আজাদের " বুক পকেটে জোনাকিপোকা " বইটা পড়া শেষ হয়নি। আজকে আরেকটা লেখা পড়লাম সে বইয়ের " ছোটো ছোটো পাখি মিষ্টি মিষ্টি স্বপ্ন" কিন্তু পুরোটা শেষ হয়নি। এটা পড়ে আমারও ইচ্ছে করেছে কাকের বাসা, বাবুই পাখির বাসা খুঁজে খুঁজে বের করতে। ওখানে গিয়ে পাখির ছোট ছোট বাচ্চা গুলোকে আদর করতে। দোয়েল পাখির আরেক নাম জানলাম এই লেখাটা পড়ে, একে নাকি দইকুলিও বলে। কিন্তু একা একা কি করে আমি পাখির বাসা খুঁজবো। আংকেল বলেছে শহরে নাকি পাখির বাসা ওভাবে খুঁজে পাওয়া যাবে না, গ্রামে যেতে হবে। চিড়িয়াখানায় যেসব পাখি আছে সেগুলি জীবিত থেকেও নাকি মরে গেছে। তবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় গেলে অনেক অতিথি পাখি দেখা যাবে। আংকেল না ফিরলে কি করে যাবো সেখানে! আংকেলকে মাঝে মাঝে আমার আব্বু বলে ডাকতে ইচ্ছে করে, তার কোলে উঠতে, শুক্রবারে একসাথে জুম্মা পড়তে যেতে আরো অনেক কিছু করতে ইচ্ছে করে।কিন্তু এসব তাকে বলতেও লজ্জা করে। যদিও এবার আমি ক্লাস সিক্সে পড়ি কিন্তু লম্বায় আমি আংকেলের কাঁধের কাছে চলে এসেছি। সেদিন আমাকে জড়িয়ে ধরে ছবি তুলেছিলো, আমার এতো ভালো লেগেছিলো। আংকেলের গা থেকে আমি একটা সুন্দর গন্ধ পেয়েছিলাম, ঐ গন্ধটা বাবাদের গায়েই মনে হয় পাওয়া যায়। একবার আমি তাকে আমার কাছে পেলে আর যেতে দিবো না ঠিক করেছি। আমার বাবা আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছে তাই আমার খুব ভয় লাগে। আচ্ছা বাবারা কি এমন হতে পারে কখনো ?
সমাপ্ত
মন্তব্য
হুট করে শ্রাবণ জল, পান্না আর বুবুনের সংসারে ঢুকে পড়লাম। পড়তে ভালোই লাগছিল।
কিন্তু এখানে এসেই ভ্রু'তে ভাঁজ পড়লো
বল হারিয়েছে বলে যে মা তার সন্তান কে নিজ দায়িত্বে সেটা খুঁজে আনবার কথা বলছেন, সে মা ছেলের এমন কথায় হেসে ওঠে চ্রম দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছেন দেখে অবাক হলাম।। রাজাকার ইস্যুটা আমাদের দেশের জন্য জঘন্য একটা অপরাধের বিষয়। এটা নিয়ে হাসি ঠাট্টা করে বিষয়টিকে হালকা করার কোনো অর্থ খুঁজে পাই না! আবদুল্লাহ নামের ছেলেটা দুষ্টু হতে পারে, বখাটেও হয়তবা কিন্তু রাজাকারের মত জঘন্য অমানুষের তুলনাটা কেন আনতে হলো?? যাইহোক, আপনার পোস্টে এটাই আমার প্রথম মন্তব্য এমন করে বলতে সত্যিই খারাপ লাগলো। কেন বলেছি এটা বুঝবেন আশা করছি। ভালো থাকুন।
রাজাকার শব্দটা জঘন্য, খারাপ হয়ত এভাবে বলতে চেয়েছেন লেখক। 'মীরজাফর' কথাটা যেমন খারাপ সেরকম অনেকটা। এ
লেখাটা ভালো লেগেছে। আপনার আরেকটা লেখার সমালোচনা করেছিলাম। আবার, এই লেখটার প্রসংশা না করে পারছি না।
ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা
অনেক ধন্যবাদ মেঘলা মানুষ।
শুভকামনা রইলো।
অপর্ণা মিতু
তোমার লেখা এসেছে বলে ফোন দিচ্ছিলাম ধরোনি।
তাদের গল্পগুলো ভাল লাগছিল কিন্তু পরিণতিহীন শেষ মনে হলো। আরো পর্ব হতে পারতো। মাহবুবেব পর্ব আসেনি আর। দরকার ছিল।কি জানি লেখকের হয়তো দরকার মনে হয়নি। পাঠকের কিন্তু সাধ বেশি।
আর আয়নামতির মন্তব্যে সহমত। আমি তোমাকে কিন্তু বলেছি, ছোটদের লেখাগুলো খুব পজিটিভলি দেখতে হয়। কোনো নেতিবাচক বিষয়গুলোও পজিটিভলি আনতে হয়। একসাথেই চলছি দুজন, খুব বেশি জানি না আমি। একটু কড়া সমালোচনা হলো বলো মাইন্ড খাইয়ো না। আর এত দম ধরে লেখা দিও না। হাচলে আসতে হলে আরো লেখা পোস্টাও। তখন নিজের নাম না লিখলেও চলবে। এবার কিন্তু নাম লিখতে ভুলে গেছো, হিহিহি
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
আমার লেখাগুলো দীর্ঘ হয়ে যায় কীভাবে যেন, তুমি তো জানোই। আর এতো দীর্ঘ লেখা পড়ার সময় অনেকের নাও থাকতে পারো।
ছোটদের লেখার বিষয়ে যা বললে মনে থাকবে। তবে বাস্তবতে অন্য কথা বলতে চায়। সচলে লেখা দিতে হলে নতুন লেখা লাগবে। সে অনুযায়ী নতুন লেখার আইডিয়া আসলেও সেটা লেখা হয়ে উঠছে না নানা কারণের ব্যস্ততায়। পিসিতে নিজের জন্য বসার সময় কমই পাই!
শুভকামনা রইলো।
অপর্ণা মিতু
ধন্যবাদ আয়নামতি।
এটা ঠিক বাচ্চাদের লেখায় রেফারেন্স হিসেবে কদর্য ব্যাপার তাদের উপযোগী করেই আনা উচিত বা ক্ষেত্রবিশেষে কিছু বাদ দেয়া উচিত। পারসনাল ভিউতে বলতে পারি আমার সন্তান বা আশেপাশের ওর বয়সী বাচ্চাদের নিয়ে আমরা যা ভাবি বা নিজে ওই বয়সে যেমনটা চিন্তা করতাম, এখন ওরা আরো এডভান্স চিন্তা করে। যে পয়েন্ট নিয়ে আপনি বলেছেন রাজাকার ইস্যুতে সত্যিই এ ধরণের একটা লাইন আমার পাশের বাসার ওয়ালে লেখা ছিল বলে আইডিয়া টা ওখান থেকে পাই। তবে এখানে একটু এডিট করে যদি লিখে দিতাম --
" বুবুন আর ওদের বন্ধুদের রাগটা কতটা চরম আকারে আবদুল্লাহর উপরে পড়েছে যে রাজাকারের মতো গালি দিচ্ছে এটা বুঝে ওর মা বা আংকেল হেসেছে "
তাহলে হয়তো বুবুনের মায়ের হাসি টা দৃষ্টিকটু লাগতো না। অতিথি লেখকদের লেখায় এডিট অপশন আছে কিনা জানা নেই। কারণ রাজাকার ইস্যুকে ছোট করে দেখার কোনো কারণই নেই।
ভালো থাকবেন।
====
অপর্ণা মিতু
আগের পর্বে বিয়েটা ভাঙার জন্য না আগের জামাই কুবুদ্ধি চাইল? সেই দিকের কোন আপডেটা না দিলে বলার দরকারই বা কি ছিল?
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
পান্নার প্রাক্তন স্বামী শফিকের মানসিকতা বা প্রকৃতি তুলে ধরতে চেয়েছিলাম। এতো ব্রিফলি লিখলে সেটার দৈর্ঘ্য হয়তো গল্পের ক্যাটাগরিতে নাও থাকতে পারতো।
ধন্যবাদ মরুদ্যান
অপর্ণা মিতু
____________________________
বল হারিয়েছে বলে যে মা ছেলেকে তা খুঁজে আনার জন্য তাগাদা করে 'আবদুল্লাহ একটা রাজাকার। আমরা সবাই আবদুল্লাহ রাজাকারের ফাঁসি চাই' শুনে সে "দায়িত্বহীনতার" হাসি দেবে এটাই আমার কাছে গল্পেটির চরিত্র পরম্পরায় আসতে পারে বলে মনে হয় । তবে " রাজাকারের মত জঘন্য অমানুষের তুলনাটা " স্পর্শকাতর ।
শিশুর কথাগুলো আরেকটু শিশুতোষ হলে আরও ভালো লাগত ।
বেশ লাগল
মজিবুর রহমান
রাজাকার ইস্যুতে মন্তব্যের জবাব আশা করি পেয়ে গেছেন।
ক্লাস সিক্স পড়ুয়া একজন এর চিন্তাভাবনা এমনই লেগেছে আমার কাছে। এছাড়া গল্পের ট্যাগ সব বয়সী। লেখাটা শিশুতোষ নয়।
অনেক ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।
অপর্ণা মিতু
নতুন মন্তব্য করুন