• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

ইরেজার

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ১৬/০১/২০১৫ - ৪:০২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সাল মনে নেই,মাস মনে নেই, মনে নেই তারিখটাও। কিন্তু বেশ মনে আছে সেটা ছিল কোন এক রোদেলা সকাল।স্কুলের মাঠের সবুজ ঘাসে আমি হেঁটে বেড়াচ্ছি।কোন কারনে ক্লাস হচ্ছিল না, নাহলে সে সময়টায় আমার যাই হোক মাঠে চরে বেড়ানোর কথা না। আমার হাতে একটা ইরেজার, আমরা জিনিসটাকে বলতাম রাবার। সে সময় যেসব ইরেজার ওরফে রাবার পাওয়া যেত তার তুলনায় আমার হাতের ইরেজারটা ছিল খানিকটা অন্যরকম,বাজারে নতুন এসেছে। মুল শরীরটা সাদা রঙের,কিন্তু এক পাশে হালকা সবুজ রঙের একটা স্তর ছিল। সে অংশটুকু আবার অর্ধস্বচ্ছ, রোদে ধরলে মনে হত যেন ভেতরে ছোট্ট একটা কলা পাতা রঙের বাতি জ্বলছে। অন্য কোন কোন ছেলে বা মেয়ের হাতে এ জিনিস প্রথম দেখেছি, প্রথম দর্শনেই প্রেম এবং অনেক সাধ্য সাধনা করে মা বাবাকে ম্যানেজ করে সেটা কিনেছিলাম। সম্ভবত এ কারনেই এমন একটা অর্থহীন বা বৈচিত্রহীন ঘটনা আজও মনে আছে! কারন যাই হোক সেই ইরেজারটিকে ঘিরে এটাই আমার প্রথম স্মৃতি।

দ্বিতীয় স্মৃতিতে আমি ক্লাসরুমে।খরচ হয়ে যাবে বলে নতুন ইরেজার ব্যবহার না করে পুরনোটা দিয়েই মোছামুছি সারি। নতুন স্মার্টফোন কিনলে যেমন মাঝে মাঝে পকেট থেকে বের করে দেখি আর আলতো করে মুছি, আমিও অনেকটা তাই করছিলাম। কিন্তু কেন যেন মাথায় দুর্বুদ্ধি চাপল, ভাবলাম ইরেজারটাকে শুণ্যে ছুঁড়ে লুফে নেয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু সেটা করতে গিয়ে ক্যাচটা আমি মিস করলাম, আর ইরেজারটাও এদিক সেদিক বাড়ি খেয়ে জানালা গলে পড়ে গেল। স্কুল বিল্ডিং ছিল একতলা,এমনিতে সেই ইরেজার খুঁজে পেতে কোন সমস্যা হবার কথা ছিলনা। কিন্তু কম্পাউন্ডটা জানি কেমন ছিল, জানালার ঠিক পাশের সে জায়গাটিতে ছিল বড় বড় কচুপাতা, ঘাস আর ঝোপঝাড়। সচরাচর কেউ সেখানে যেতনা। কিংবা কে জানে হয়তোবা ডানপিটে ধরনের ছেলেরা মাঝেসাঝে যেত,আমার চোখে পড়েনি। আমি বরাবরই "ভাল ছেলে" ঘরানার, দেয়াল টপকানো, গাছে ওঠা, ঝোপেঝাড়ে ঘোরা- এসব আমার কম্মো নয়। সুতরাং সেই কচু পাতার ঝোপঝাড় আমার জন্য আমাজনের কাছাকাছি।

তৃতীয়,চতুর্থ,পঞ্চম...এর পরের প্রায় সব স্মৃতিই মোটামুটি এক, আমি জানালার শিকে মুখ ঠেসে কচুপাতার ফাঁকে-ফোকরে ইরেজারটিকে দেখার চেষ্টা করি,কিন্তু দেখতে পাই না। ঝকঝকে দিন গুলোতে কচুপাতার শিরায় শিরায় সুর্যালোক ঝিকমিকিয়ে উঠত,মেঘলা দিনে বৃষ্টির ঠিক আগে আগে বাতাসে সরসর শব্দে কচুপাতায় কাঁপন উঠত, আবার বৃষ্টিতে সেই কচুপাতা অসহ্য রকমের সবুজ হয়ে উঠত। কিন্তু তার আড়ালে হারিয়ে যাওয়া ইরেজার এ জন্মে আর দেখা দিলনা- না রৌদ্রে,না মেঘে, না বর্ষায়! কতবার ভেবেছি, যাই একবার সাহস করে খুঁজে দেখি, কিন্তু যতটা দরকার ততটা সাহস জমা করে উঠতে পারিনি। বরং মাঝে মাঝে ক্লাসরুমেই খুঁজে দেখতাম, নিজেকে প্রবোধ দিতাম- এমনও তো হতে পারে ইরেজারটা আসলে বাইরে পড়েনি,কোন বেঞ্চের পায়ার নিচে লুকিয়ে আছে! ছোট্ট সে আমি তখন জানতাম না যে অন্ধ হলে প্রলয় বন্ধ থাকেনা।

নিজের জীবন নিয়ে আমার তেমন বড়সড় আক্ষেপ এখন পর্যন্ত নেই। সত্যি বলতে কি আক্ষেপ থাকার জন্য জীবনটা যত বড় হতে হয়, আমার জীবন ততটা বড় এখনো নয়। কিন্তু ছোট ছোট যা আক্ষেপ তার প্রায় সবগুলোই এক রকমের। কচুপাতা এড়াতে গিয়ে ইরেজার না খোঁজার গল্প। অনেকবার ভেবেছি মাইজদী কোর্ট বা ফেনীর মহিপাল গিয়ে আমার শৈশবের বাড়িগুলো দেখে আসব। কিন্তু "কিভাবে যাব?কোথায় থাকব?অনেক ঝামেলা" ভেবে যাওয়া হয়নি।ইচ্ছে ছিল কোন একটা ট্রেনে উঠে আড়িখোলা বা মেথিকান্দার মত ছোট কোন স্টেশনে নেমে পড়ব সুনীলের সন্তু আর জোজোর মত। কিন্তু "টিকিট পাওয়া যাবে তো?" বা "পকেটমারের পাল্লায় পড়ি যদি?" ভেবে আর হয়ে উঠেনি। একেবারেই সহজ একটা শখ ছিল বুয়েট মাঠের ঠিক মাঝখানে শুয়ে আকাশটা দেখা,"শার্ট ময়লা হয়ে গেলে কি করব?" ভেবে সেটাও করা হয়নি।

আমার এই ছোট ছোট আক্ষেপগুলো কি কখনো মুছবে? আমি ঠিক নিশ্চিত নই। মোছার জন্য তো একটা ইরেজার দরকার, কিন্তু সেই ইরেজারটাই যে আর খোঁজা হয়ে উঠলনা!


মন্তব্য

তিথীডোর এর ছবি

। ইরেজার
গগন শিরীষ
নীহারিকা : ট্যাগ হিসাবে এগুলো ঠিক কী বোঝায়?

। লেখকের নাম কই?

। আপনার বাড়ি তাহলে ফেনী। মহিপাল কী পরিমাণ বদলেছে জানেন?
আগে ছিল ছোটখাটো ছিমছাম একটা মফস্বল, এখন ফেনী হয়েছে নয়া নয়া গড়নের, গাদাগাদি সব দালানপাটে ঠাসা বিচ্ছিরি একটা খুদে শহরতলী।

। ব্লগরব্লগর ভাল লেগেছে। নিয়মিত লিখুন। :)

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ তিথীডোর! লেখা ভাল লেগেছে জেনে আমারও ভাল লাগল। আমার আসল নাম হচ্ছে রাহাত,কিন্তু সেই নামে সচলে রেজিস্ট্রেশন করতে পারিনি।পান্থপথে একটা বাড়ির নাম দেখেছিলাম গগন শিরীষ, সেটাই মেরে দিয়েছি :) লেখার শেষে নাম দিতে ভুলে গিয়েছিলাম।ট্যাগে দিয়েছিলাম যাতে পরে খুঁজে পাই।মাথামোটা তো এর চেয়ে ভাল কোন সিস্টেম ভেবে উঠতে পারিনি। আর আমার বাড়ি কিন্তু ফেনী বা নোয়াখালী নয়, ওদিকে অনেকদিন ছিলাম মা-বাবার চাকরির সুত্রে। সেই ফেনীর এই দশা হয়েছে জেনে মনটাই খারাপ হয়ে গেল। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে :)
-রাহাত (গগন শিরিষ)

মাসুদ সজীব এর ছবি

আপনার বাড়ী কি ফেণী? নাকি আপনার শৈশবও লেখকের মতো ফেণীতে কেটেছে তিথীডোর?

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

তিথীডোর এর ছবি

আমার জন্ম টু শৈশব-কৈশোর- (অকাল)বার্ধক্যকাল, সব চট্রগ্রাম শহরে কেটেছে।
ফেনিতে স্বজনেরা অনেকে আছেন, সেই সুবাদে মাঝে মাঝে যাওয়া হতো। এই আর কী।

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

মাসুদ সজীব এর ছবি

আমি আসলে নিশ্চিত নই অম্লান স্মৃতিঘরের কাছে ফিরে যাওয়া আদৌ উচিত কি অনুচিত :-? । আমার নিজের শৈশব-কৈশোর কেটেছে রাজশাহী-চাঁদপুরে। হয়তো আমার শৈশবের বেশিভাগ মানুষি সেখানে এখন আর নেই, তারপরও অনেকবার ভেবেছি যাবো সেখানে কিন্তু যাওয়া আর হয়ে উঠেনি। এরমাঝে এক কবি বন্ধু একদিন বললো “তুই যে ব্যাকুলতা আর মোহ নিয়ে সেখানে যাদের কাছে যাবি তারা যদি ঠিক তেমন প্রতিদান ফিরিয়ে না দেয় কিংবা ওভাবে মনে না রাখে তাহলে সেই বেদনার ভার সারাজীবন বইতে পারবি? তারচেয়ে স্মৃতিতে তাঁরা চিরঞ্জীব থাকা কি ভালো নয়?” ভয়ে কিংবা দ্বিধায় আর যাওয়া হয়নি সেখানে :(

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমারও মনে হয় আসলে না ফেরাই উচিত।কি লাভ দু:খ বাড়িয়ে?পড়ার জন্য ধন্যবাদ মাসুদ ভাই।

আয়নামতি এর ছবি

শৈশবের যে স্মৃতিটুকু আপনার বুকে শুয়ে আছে তাকে না জাগানোই বরং ভালো।
মহিপাল হয়ত অনেক বদলে গেছে, যা আপনার স্মৃতি সাথে নাও মিলতে পারে। তখন মন খারাপের ভয়...
ভালো লাগলো ব্লগর ব্লগর। লিখতে থাকুন হাতখুলে।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন‌্যবাদ আয়নামতি! ঠিকই বলেছেন।তিথীডোর এর কথা শুনে তো সেরকমই মনে হচ্ছে!

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

সুন্দর। স্মৃতিকাতর মানুষের নামটি কি?

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

অতিথি লেখক এর ছবি

আসল নাম হচ্ছে রাহাত।সচলে হচ্ছে গগন শিরীষ। নাম করনের রহস্য নিয়ে উপরে একটা কমেন্টে হালকা পাতলা ব্যখাও দিয়েছি। কিন্তু কেন যেন এই নামে মন্তব্য লিখতে পারছিনা। নিয়ম কানুন ঠিকমত বুঝে উঠতে পারিনি এখনো।পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে!
-গগন শিরীষ

মেঘলা মানুষ এর ছবি

রাহাত/ গগন শিরীষ,

লেখা ভালো হয়েছে।

সচলের নিয়মকানুন সংক্ষেপে বলছি। এখন যেই 'গগন শিরীষ' নামটা আছে, ওটা দিয়ে লগ-ইন করা যাবে না।

মন্তব্য করার দুটো উপায় আছে:
১। মন্তব্য করার সময় উপরে নামের যায়গায় গগন শিরীষ আর ইমেইল লিখে মন্তব্য করতে হবে। সাথে ক্যাপচা টাইপ করতে হয় যাতে 'ভূতে'‌ ‌ মন্তব্য না করতে পারে। মন্তব্য মডারেটর পার হয়ে প্রকাশিত হবে।

২। অতিথি লগ-ইন অবস্থায় মন্তব্য করা। এটা অবশ্য পরামর্শিত (suggested) না। অবশ্যই এবং অবশ্যই মন্তব্য করার সময় নিজের নাম নিচে লিখে দিতে হবে। তা না হলে কে কোন অতিথি বোঝা যাবে না।

আর, যে কোন লেখা লেখার সময় নিচে নিজের নামটি দিতে ভুলবেন না।

আপনার লেখা পড়েছি ফেসবুকে, আপনি ভালোই লেখেন। (Y)
চালিয়ে যান।

শুভেচ্ছা :)

মরুদ্যান এর ছবি

আমো পড়বাম, লিংক কো??

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

বন্দনা এর ছবি

লেখকের নামটা জানা হলনা। বুয়েটিয়ান বলে নয়, লেখা আসলেই ভালো হয়েছে। (Y)

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ বন্দনা! নাম উপরের কমেন্টগুলোতে দিয়েছি।আপনিও চৌধুরী বংশের জেনে ভাল লাগল :)

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

সবারই কম-বেশি ইরেজার হারাইছে, দুক্ষু কইরেন না। :)

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

হাহাহা,ভাল বলেছেন ভাই।
-গগন শিরীষ

অতিথি লেখক এর ছবি

"যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু,
নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ,
তুমি কি বেসেছ ভালো?".. সাক্ষী সত্যানন্দ,আপনি প্রতিটি মন্তব্যের পর উপরোক্ত কিছু চরণ লিখেন। আসলে আমি এর মানেটা বুঝতে পারছি না,আর মন্তব্যের সাথে এই চরণগুলো লেখার কারনও ঠিক বুঝতে পারছি না। যদি দয়া করে জানাতেন তবে কৃতার্থ হতাম!!

তিথীডোর এর ছবি

এখানে ঠিক কৃতার্থ হবার মতো কিছু নেই। :)

সাক্ষী সত্যানন্দ প্রতিটি মন্তব্যের পর উপরোক্ত চরণগুলো আসলে লেখেন না। তিনি যেহেতু হাচল (মানে হাফ সচল), নিজ নামে/নিকে অলরেডি একটা অ্যাকাউন্ট আছে বলে সেটিংসে কারিগরি ফলিয়ে অটো সিগনেচার লাইন হিসাবে এ লাইনগুলো সেট করার সুযোগও তার আছে। জিমেইলে করা যায় না? সেরকম আর কী।
বোঝা গেলো ব্যাপারটা?

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আরে, আমি লিখতে লিখতেই আপনি ইতোমধ্যে জবাব দিয়ে রেখেছেন দেখি। (ধইন্যা)

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

তিথীডোর এবং সাক্ষী,উপরের অতিথি লেখক কিন্তু আমি নই। উনি যেই হোন, উনার বলার ভংী আমার ভাল লাগেনি।

গগ্ন শিরীষ

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

প্রিয় গগন শিরিষ,
এটা আমার সিগনেচার লাইন। খেয়াল করে দেখবেন অন্যদের মন্তব্যেও এমন কিছু না কিছু আছে। ই-মেইলেও এমনটা করা যায়। তাহলে বারবার লিখতে হয়না। হাচল হবার পরে আপনিও চাইলে একটা প্রিয় বাক্যকে সিগনেচার লাইন হিসেবে ব্যাবহার করতে পারবেন।

আমি সচলে আসি ২০১৩'র জানুয়ারি/ফেব্রুয়ারিতে। ঠিক তখনই কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে শাহবাগ। ঐ সময়ে কবিগুরুর কবিতা থেকে ধার করা এই সিগনেচার লাইনটিই যথার্থ মনে হয়েছিল আমার কাছে। ভবিষ্যতের কোন এক সুদিনে এটা বদলে দেব হয়ত। :)

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি জানি ভাই, উপরের অতিথি লেখক কেন সেটা বুঝলেন সেটাই আশ্চর্য!
-গগন শিরীষ

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

ওহো, দুঃখিত গগন শিরীষ। খেয়াল করিনি এটা বেনামী মন্তব্য।

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

শাব্দিক এর ছবি

শিরোনামে ইরেজার শব্দটা পড়েই আমার সেইসব অর্ধস্বচ্ছ ইরেজারের কথাই মনে পড়ছিল।
লেখা ভাল লাগল (Y)

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ শাব্দিক! সেই জিনিস আপনাকেও টেনেছিল মনে হচ্ছে!

এক লহমা এর ছবি

মোছার দরকার কি।
বাহারি ইরেজার ব্যবহারের বস্তু নয়, তুলে রাখার বা হারিয়ে ফেলার জিনিষ। আমারটাও হারিয়ে গেছিল।
যা ইচ্ছে করে করতে থাকুন, একটু একটু করে করতে শুরু করে দিন। আমি অনেক করে নিয়েছি, হেঃ হেঃ।
সচলে স্বাগতম। পড়তে ভাল লেগেছে। পড়ের লেখার অপেক্ষায় থাকলাম।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ এক লহমা! এই শুরু করার ব্যাপারটাই হয়ে উঠেনা যে!

সুরঞ্জনা এর ছবি

ভালো লাগলো।
শেষে এসে দুম করে থেমে যাওয়ার ঝোঁক থাকলেও, ওই সময় যদি একটু ট্রেনের মত রয়েসয়ে থামতে পারেন, তাহলে ব্লগর ব্লগর গল্প হয়ে উঠতে পারে। :)

ভালো থাকবেন।

............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্‌ চিনে।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ সুরঞ্জনা! গল্প লেখার জন্য প্রতিভা লাগে,আমার সেই জিনিস মনে হয় নেই।তবু দেখব চেষ্টা করে!

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

এই আক্ষেপগুলো মোছার জন্য ইরেজার দরকার নেই - লিখে ফেলার জন্য পেন্সিল দরকার। অবশ্য হাতের কাছে কী বোর্ড তো রয়েছেই, চালিয়ে যান। আক্ষেপগুলো ছিল বলেই জীবন আছে - আর এখন স্মৃতিকাতর গল্প হচ্ছে।

____________________________

অতিথি লেখক এর ছবি

ঠিক বলেছেন প্রফেসর!
-গগ শিরীষ

মেঘলা মানুষ এর ছবি

ইরেজার শব্দটা একদিক থেকে ভালো। আমরা সাধারণত যে অর্থে 'রাবার' ব্যব‌হার করি, মার্কিনিরা অন্য অর্থে (উদাসদার ভাষায় 'দুষ্ট' অর্থে) ব্যবহার করে।

'ইরেজার' এর কোন ভালো বাংলা আছে কি? 'মুছক'?

অন্যরকম ইরেজার,

শুভেচ্ছা :)

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ মেঘলা মানুষ।

শিশিরকণা এর ছবি

ফেসবুক নোটের থেকেই তোমার লেখা পড়তে ভালো লাগে। সচলায়তনে স্বাগতম। আরও লেখা পড়বার আশায় থাকলাম।

কোনদিন হয়ত সাহস হবে ধুত্তুরিছাই বলে ছোট ছোট ইচ্ছেগুলো মিটিয়ে ফেলার, আক্ষেপ জমিয়ে আর কতদিন।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

মরুদ্যান এর ছবি

সবাই দেখি ফেসবুকে আগেরথে সব পইড়ালসে! :-?

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

অতিথি লেখক এর ছবি

ওফ, শিশিরকনার জায়গায় আপনাকে লিখে বসেছি!

অতিথি লেখক এর ছবি

আরে সালওয়া তুমি! নিয়মিত ভাল লেখার ক্ষমতা আমার নাইরে ভাই! পাচটা লিখলে হয়ত একটা ছাপা হবে। পড়ার জন্য ধন্যবাদ!

শিশিরকণা এর ছবি

বাকি চারটা ফেসবুকে পড়ে নিব। :)

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

অতিথি লেখক এর ছবি

নস্টালজিক হয়ে গেলাম!!.....ও,হ্য অনেক ভালো লাগলো আপনার লেখা পড়ে

আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ ভাই!
- গগন শিরীষ

অতিথি লেখক এর ছবি

জীবনের গল্পে যদিও সবটাই কালি
ইরেজার হলে পরে থাকতো যে একেবারে খালি

মহান অতন্দ্র ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।