ছোট্ট প্রয়াস- গ্রীস ভ্রমণ কাহিনী

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ২০/০১/২০১৫ - ২:০৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ঘুরতে যাওয়ার শখ অনেক দিন থেকেই, কিন্তু কাজ, সময় আর সর্বোপরি পয়সার কারনে ইচ্ছা থাকলেও যাওয়া হয়ে উঠে না। বেশ কিছুদিন যাবত আছি দেশের বাইরে, কামলা দেওয়া হয় ইউরোপের এক কোম্পানিতে, আর্থিক সঙ্কট এর কারনে আর বন্ধু বান্ধবদের পীড়াপীড়ি থাকা স্বত্বেও যেতে পারি নাই অনেক গুলো ট্রিপে তাদের সঙ্গী হয়ে, তাই সব সময়ে ঘুরতে না যাওয়ার বিষণ্ণতায় ভুগতাম। যাই হক অবশেষে নিজেকে বললাম আর কত এবার যাবই যাব।
“থাকবো নাকো বদ্ধ ঘরে
দেখবো এবার জগতটাকে ...”

সচলায়তনে ভ্রমণ বিষয়ক লেখা পড়ে আর নিজের ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে বন্ধু বান্ধবদের পীড়াপীড়ি করতে লাগলাম, চল সবাই মিলে নীল সাদার দেশে থেকে ঘুরে আসি। সবাই তো অবাক, কি বলছি আমি নীল সাদার দেশ, এটা আবার কোন দেশ? সবাই প্রশ্ন করলো। একটু বোকা বনে গেলাম তাদের কাছে, তখন চট করে বললাম ঐ যে একটা মুভ্যি আছে না সমুদ্রের ধারে বাড়ি ঘর সব নীল সাদা রঙ এর – পতাকা তো একই রকম ...

নীল সাদার দেশে

অবশেষে ওমেশু জয়যুক্ত হল ফ্রেন্ড সার্কেলের কাছে, সবাই গ্রীস যেতে আগ্রহী। কিন্তু সমস্যা সবার কতদিন এর ট্রিপ হবে তিন, পাঁচ, সাত – এবং কোথায় কোথায় ঘুরা হবে। আমাদের বন্ধুদের মধ্যে এটা বরাবরই হয়ে থাকে যে প্রস্তাব দেয় ঘুরতে যাওয়ার তাকেই পুরো প্ল্যান করতে হবে, তাই এই যাত্রায় আমাকেই এই দায়িত্ব নিতে হয়। আমিতো মহা আনন্দে গুগল আর উইকিপিডিয়া ঘেটে সার্চ দেয়া শুরু করলাম। আমাকে বলা হলো প্ল্যান করতে তিন, পাঁচ, সাত দিন এর জন্যে কোথায় কোথায় ঘুরা হবে এবং পয়সাকরি কত খরচ হবে সবকিছু মিলে । কামলা দিয়ে রাতে এসে ইচ্ছা করে না নেট এ বসে প্ল্যান করতে, কিন্তু আমার এত বেশি ইচ্ছার কারনেই সারা রাত জেগে তিন দিন এর মধ্যে খসড়া তৈরি করে ফেলি এবং সব বন্ধুদের দেখানো হয় এবং ভোট এর মাধ্যমে ৭ দিন এর ট্রিপ প্ল্যান পাশ হয়। সেই ভাবে পাঁচদিন কামলা দেওয়া থাকে বিরতি নিয়ে ব্যাকপ্যাক বেঁধে রওনা দিলাম প্রাচীন গ্রিক সভ্যতা ও সংস্কৃতি দেখতে। চার হাজার বছর আগে পাশ্চাত্য সভ্যতার জন্মস্থান গড়ে উঠেছিল গ্রীসের এথেন্স নগরীতে। ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায় সর্বপ্রথম গণতন্ত্রের চর্চা, বিজ্ঞান, দর্শন, শিল্পকলা, স্থাপত্য এবং অলিম্পিক গেমস এর জন্মভূমি এই গ্রীস। সব মিলিয়ে গ্রীসের সভ্যতা সমগ্র ইউরোপে এক সময়ের সবচেয়ে প্রভাবশালী সভ্যতা হিসেবে পরিগণিত হত। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর — পর্বতময় এবং দ্বীপময় দেশ এই গ্রীস।

শহরের পিছনে মাউন্ট লিকাবিতাস(Mount Lycabettus)

বিঃদ্রঃ জ্ঞান এবং ধৈর্যর স্বল্পতার কারনে বিস্তারিত ইতিহাস বর্ণনা করতে পারলাম না তাই দুঃখিত। গ্রীক মিথলজী বা পুরাণশাস্ত্র কাহিনীর প্রতি আগ্রহ থাকলে নীচের ছবি গুলি ভালো লাগবে দেখতে।

এথেন্স (Athens) নগরী, গ্রীস এর বৃহত্তম শহর, বিশ্বের প্রাচীনতম শহরগুলোর অন্যতম। সুবিশাল গ্রীস আক্ষরিক অর্থে একটি প্রত্নতাত্ত্বিক দেশ, প্রাগৈতিহাসিক যুগের মানব সভ্যতার নিদর্শন সর্বত্র সারা এথেন্স শহর জুড়ে রয়েছে । বিশ্বের নামি কবি-সাহিত্যিকদের মধ্যে শীর্ষস্থান দখলকারীদের জন্ম এই দেশে। বিশ্বব্যাপী ভ্রমণ পিপাসুদের কাঙ্ক্ষিত দর্শনীয় দেশ। অ্যাক্রোপোলিস (Acropolis) এবং তার বিশ্ববিখ্যাত ভবন পার্থেনন(Parthenon), আক্রোপলিস জাদুঘর, হাদ্রিয়ান লাইব্রেরী (Hadrian's Library), এনসিয়েন্ট আগরা (Ancient Agor), আর্ক অফ হাদ্রিয়ান (Arch of Hadrian), অলিম্পিয়ান জিউসের মন্দির (Temple of Olympian Zeus), কেরামিকস (Kerameikos) ইত্যাদি... প্রচুর প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে, যদি না ভ্রমনের পূর্বে জায়গার ইতিহাস না জানা যায় তাহলে শুধু ধ্বংসাবশেষ দেখে কিছুই বুঝা যাবে না, হয়ত বা আগ্রহ ও পাবেন না। কারন যে দিকে তাকাবেন শুধু ভাঙ্গা দালান কোঠা, মনে হবে এই দেখতে আসা...

পার্থেনন(Parthenon)মন্দির ইউনেস্কো পার্থেননকে ‘ওয়ার্লড হেরিটেজ সাইট’ হিসাবে ঘোষণা করেছে। এথেন্স শহরের মাঝখানে অ্যাক্রোপোলিস পাহাড়ের উপর অবস্থিত এই পার্থেনন আসলে একটি প্রাচীন মন্দির। এই বিশাল মন্দির পুরোটাই মার্বেলের। ৪৬টি বিশাল (প্রতিটি ২ মিটার মোটা) স্তম্ভের উপরে ছিল ছাদ, যা বর্তমানে নেই। মন্দিরের ছিল হাতির দাঁত এবং সোনা দিয়ে গড়া এথিনা দেবীর মূর্তি। সেই মূর্তি এখন আর নেই। ইংরেজ রাজদূত লর্ড এলগিন এর কাছে পার্থেননের অনেক ভাস্কর্য ও মূর্তি বিক্রি করা হয়। পরবর্তীতে ব্রিটিশ সরকার তাঁর থেকে সেই সব ভাস্কর্য কিনে ব্রিটিশ মিউজিয়ামে রেখে দেয়। ব্রিটিশ মিউজিয়ামে পার্থেনন মার্বেলস (Parthenon Marbles) যা কিনা এলগিন মার্বেলস(Elgin Marbles) নামে বিশ্ব বিখ্যাত। গ্রিক সরকার অনেক চেষ্টা করেও সেগুলি আজও ফেরত পায়নি। সেগুলোর কিছু কিছু মূর্তির নকল বানিয়ে বসানো হয়েছে, দেখতে কেমন ছিল তা বোঝানোর জন্য — যেমন পার্থেননে ঢুকার মুখে ‘প্রপিলিয়া’র একপাশে নারী মূর্তির স্তম্ভগুলি।

পার্থেনন মন্দির

একপাশে নারী মূর্তির স্তম্ভগুলি

ঝলমল আলোতে আলোকিত পার্থেনন মন্দির

প্রাচীন গ্রীসে নাটকের খুব চল ছিল। আরিস্টোফেনিস, ইউরিপিডিস, সফোক্লিস ছিলেন গ্রীসের বিখ্যাত নাট্যকার।

ডাইওনিসাস ও হিরোদয়েসএই দুইটি প্রাচীন থিয়েটার।২৪০০ বছরের পুরনো ডাইওনিসাস (Theatre of Dionysus), ১৬ হাজার আসন বিশিষ্ট থিয়েটারের বিশাল ধ্বংসাবশেষ দেখে অবাক হতে হয়।

ডাইওনিসাস থিয়েটার

১৮০০ বছরের পুরনো হিরোদয়েস এতিকাস (Herodes Atticus Theatre) ১২০০ দর্শক বিশিষ্ট থিয়েটার ছিল।

হিরোদয়েস এতিকাস থিয়েটার

হাদ্রিয়ান (Hadrian's Library) লাইব্রেরী রোমান সম্রাট হাদ্রিয়ান খ্রিস্টাব্দ ১৩২ – ১৩৪ সালে মনাস্টারাকি এস্কয়ার এটি নির্মাণ করেন যা কিনা সাত মার্বেল কলাম এবং অভ্যন্তর আঙ্গিনা প্রটিকস (স্তম্ভশ্রেণী সমান সমান ব্যবধানে স্থাপিত) দ্বারা বেষ্টিত ছিল ।

হাদ্রিয়ান লাইব্রেরী

অ্যাক্রোপোলিস পাহাড়ের পাদদেশে নবনির্মিত অ্যাক্রোপোলিস মিউজিয়াম একটি বড় আকর্ষণ। আধুনিক এই মিউজিয়ামের বিভিন্ন তলায় গ্রিক সভ্যতার বিভিন্ন সময়ের মূর্তি, ভাস্কর্য, দেওয়ালে খোদাই করা শিল্প ইত্যাদি সাজানো রয়েছে। গ্রিক সভ্যতার অনেক আসল জিনিস পৃথিবীর অন্যান্য মিউজিয়ামেও রাখা আছে যেমন ব্রিটিশ মিউজিয়াম বা ফ্রান্স এর ল্যুভরে রাখা আছে মূল ভাস্কর্যগুলি। তাদের অনেকগুলির প্রতিকৃতি রাখা হয়েছে প্রকৃতস্থানে। ভাল করে সব দেখতে গেলে সারাদিন সময় লেগে যাবে।

অ্যাক্রোপোলিস মিউজিয়াম

অলিম্পপিয়ান জিউসের মন্দির (Temple of Olympian Zeus), অলিম্পিওন (Olympieion) হিসাবে পরিচিত বেশী। যা কিনা গ্রেকো-রোমান মন্দির (Greco-Roman temple) দক্ষিণ-পূর্ব আক্রোপলিসে নির্মাণ করা হয়। কাজ শুরু হয় ৬ষ্ঠ খ্রিষ্টপূর্ব এবং কাজ শেষ হয় ২য় খ্রিস্টাব্দে সম্রাট হাদ্রিয়ান(Hadrian) রাজত্ব কালিন সময়ে। সে সময় পর্যন্ত গ্রীসের সর্ববৃহৎ মন্দির ছিল এটা।

অলিম্পপিয়ান জিউসের মন্দির

অলিম্পিক স্টেডিয়াম শহরের মাঝখানে অবস্থিত। প্রথম আধুনিক অলিম্পিক গেমস অনুষ্ঠিত হয়১৮৯৬ সালে এথেন্স এর পেনাথিনাইক (Panathenaic Stadium) স্টেডিয়ামে, মাত্র ১৪টি দেশ অংশ নিয়েছিল। তারপর ১০৮ বছর পর আবার আধুনিক অলিম্পিক গেমস ২০০৪ সালে অনুষ্ঠিত হয় একই স্থানে। প্রায় ২০০টির মত দেশ যোগ দিয়েছিল, সেই সময় এই স্টেডিয়ামের অনেক উন্নয়ন সাধন করে ব্যবহৃত হয়।

পেনাথিনাইক অলিম্পিক স্টেডিয়াম

সিন্তাগম (Syntagm) স্কোয়্যারের সামনেই গ্রীসের নতুন পার্লামেন্ট ভবন ও জাতীয় উদ্যান। এথেন্সে মিছিল মিটিং রোজ লেগেই থাকে আর সেগুলো শেষ হয় সিন্তাগম স্কোয়্যারে, এথেন্সের রাজনৈতিক কেন্দ্রস্থল। একটু দূরেই সৈনিকদের স্মৃতিসৌধ। তার সামনে বর্ণাঢ্য পোশাকে সজ্জিত প্রেসিডেন্সিয়াল সৈনিকদের প্রহরা, তাঁদের চলার ধরন সত্যিই দেখার মত।

গ্রীসের নতুন পার্লামেন্ট ভবন

বর্ণাঢ্য পোশাকে সজ্জিত প্রেসিডেন্সিয়াল সৈনিক

সন্ধ্যায় হাঁটতে হাঁটতে পৌঁছে গেলাম অ্যাক্রোপোলিস পাহাড়ের ঢালে পুরনো ফ্লি বাজার (Flea Market) এলাকায়। সরু সরু অনেক রাস্তা (আমাদের পুরান ঢাকার মত) পর্যটকদের ভিড়ে গিজগিজ, অসংখ্য দোকান সব রকমের স্যুভেনির (বিশেষ করে পার্থেনন, মূর্তি, ভাস্কর্য) আর পাওয়া যায় কারুকাজ সজ্জিত অতি সুন্দর মেয়েদের গয়না (বউ ছিল না সাথে তাই কেনা হয় নাই)

ফ্লি বাজার

আর কিছু ছবি পাঠকদের জন্য তুলে দিলাম... ভালো হয়ত লাগবে !

কাপ্নিকারিয়া (kapnikarea)

সাইক্লাডিকআর্ট মিউজিয়াম (Museum of Cycladic Art)

কেরামিকস (kapnikarea)

মার্বেল ২ মিটার মোটা স্তম্ভ

এনসিয়েন্ট আগরা (Ancient Agor)

আর্ক অফ হাদ্রিয়ান (Arch of Hadrian)

তিনদিন এথেন্স ঘুরে আমরা নাফপ্লিওন (Nafplion) বন্দর শহরে যাই এক রাত থাকার জন্য। গ্রীসের সবচেয়ে ছোট সুন্দর শহর। শহরটি ১৮২১ – ১৮৩৪ সাল পর্যন্ত গ্রীসের প্রজাতন্ত্রের রাজধানী ছিল। বর্জি দুর্গ (Bourtzi Castle) এবং পালামিদী দুর্গ (Palamidi Castle) নাফপ্লিওন শহরের প্রধান পর্যটক আকর্ষণের অন্যতম।

নাফপ্লিওন বন্দর শহর

বর্জি একটি দ্বীপ যা বানানো হয়েছিল ভিনিস্বাসী শাসকদের প্রতিরোধ করার উদ্দেশ্যে, একটি বৃহদায়তন আত্মরক্ষামূলক দুর্গ হিসাবে।

বর্জি দুর্গ

পালামিদী দুর্গ ১৯ শতকের প্রথম দিকে ভিনিস্বাসী দখলদারিত্বের সময় নির্মিত হয়। পরবর্তীতে এই দুর্গ আসামিদের জেলখানা হিসাবে ব্যবহৃত হয়।

পালামিদী দুর্গ

কিছু ছবি নাফপ্লিওন শহরে...

ধ্বংসাবশেষ দেখে সাগরের তীরে বিশ্রাম নিয়ে পাহাড় দেখার উদ্দেশ্যে আমাদের শেষ গন্তব্যস্থল মিটিওরা (Meteora) দেখতে যাওয়া। উচ্চতা থেকে নৈসর্গিক প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করতে কার না ভালো লাগে!

কালামবাকা (Kalambak) শহরের পাশে পিনিওস (Pineios) নদীর কাছাকাছি থিসালি নদী(Thessaly)এবং পিন্দুস (Pindus) পর্বতমালার উত্তর পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত মিটিওরা, যা কিনা বিরল ভূতাত্ত্বিক প্রপঞ্চ, বেলেপাথরে তৈরি শিলা স্তম্ভ। এই দৈত্য শিলা এক বিশাল প্রাকৃতিক আশ্চর্য। এর উপরে সন্ন্যাসীরা মনাস্ত্রি (Monastery) বা মঠ তৈরি করে, যা কি না ইস্টার্ন অর্থডক্স মঠ, ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসাবে তালিকাভুক্ত করা সবচেয়ে দর্শনীয় জায়গা। নবম শতকে সময়ে সন্ন্যাসীর দল এই মিটিওরা পাহাড়ে উঠে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। সন্ন্যাসীরা ২৪টি উপাসনালয় এবং আশ্রম নির্মাণ করেছিলেন এই সুবিশাল শিলা স্তম্ভগুলোর উপর। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বোমা হামলায় অনেক মঠ ধ্বংস হয়ে যায়, মাত্র ছয়টি অক্ষত আছে আজ পর্যন্ত, সেই পবিত্র মঠ গুলো হল- গ্রেট মিটিওরন (Great Meteoron), ভ্যারলাম (Varlaam), রউসানউ (Rousanou), নিকোলাস আনাপুউসাস (Nicolas Anapausas), সেন্ট স্টিফেন (St. Stephen) এবং ট্রিনিটি (Trinity)। আমরা যে দিন যাই ঐ দিন তিনটি মনাস্ত্রি বন্ধ ছিল সংস্কারের কাজের জন্য সেই কারনে গ্রেট মিটিওরনের ভিতরে ঢুকে দেখা হয়ে উঠে নাই। হয়ত জেনে থাকবেন ট্রিনিটি মনাস্ত্রিটা ব্যবহৃত হয়েছিল জেমস বন্ড ফিল্ম “For Your Eyes Only”মুভ্যিতে।

রউসানউ (ডানে) এবং ভ্যারলাম (বামে)

নৈসর্গিক প্রাকৃতিক দৃশ্য

দৈত্য শিলা এক বিশাল প্রাকৃতিক আশ্চর্য

নিকোলাস আনাপুউসাস

গ্রেট মিটিওরন

ট্রিনিটি

রউসানউ (ডানে) এবং ভ্যারলাম (বামে)

সেন্ট স্টিফেন

গ্রিক স্বাদ – আমি বেশ পেটুক আছি, খেতে বেশ পছন্দ করি। তাই সাধারণত কোথাও ঘুরতে গেলে ঐ জায়গার ঐতিহ্যবাহী খাবারের প্রতি আগ্রহ থাকে প্রচুর। খাঁটি গ্রিক রান্নার স্বাদ চমৎকার, গ্রীক স্বাদে পেট পূজা করতে কিছু সময় নষ্ট না হয় হল।
ওউযু (Ouzu) মৌরির স্বাদগন্ধযুক্ত একজাতীয় গ্রীক পানীয় (একটু ইয়ে আরকি!), মুখরোচক গ্রিক সালাদ, মুসাকা (Moussaka) ও পাইডাকিয়া
(Paidakia) খুব জনপ্রিয় খাবার।

গ্রীক স্বাদে পেট পূজা

ইচ্ছা আছে আবার গ্রীস ঘুরতে যাবার তখন কিছু দ্বীপ ঘুরবো বলে ঠিক করেছি তার মধ্যে সান্তরিনি (Santorini) যা কিনা মুভ্যিতে প্রায়ই দেখা যায়, রোডস (Rhodes) দ্বীপের সমুদ্রতট খুব বিখ্যাত এবং সেখানে নাকি আমোদ প্রমোদের ব্যবস্থাও অনেক।

- ওমেশু


মন্তব্য

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

বাহ্, দারুণ! লেখা আর ছবিতে পুরো গ্রীসকেই তুলে এনেছেন! হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকে। চেষ্টা করেছি, ভুল ত্রুটি ক্ষমা করেছেন এর জন্য আবার ধন্যবাদ।

- ওমেশু

শাব্দিক এর ছবি

অসাধারণ সব ছবি দেখে আর বর্ণনা পড়ে মনে হল যেন গ্রীক পৌরাণিক পৃথিবীতে ঘুরে আসলাম।
লিখতে থাকুন মন খুলে পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ শাব্দিক। ইচ্ছা আছে আর লিখার, দেখা যাক
ধন্য হলাম গ্রীক ঘুরতে পারেছি বলে

- ওমেশু

আয়নামতি এর ছবি

ঐতিহাসিক স্হানগুলোর বর্ণনা একটু কমিয়ে ভ্রমণের বর্ণনা বেশি দিলে আরো ভালু হতো!
ফটুকগুলো আপনার/আপনাদের তোলা নাকি ভাইয়া? দারুণ ঝকঝকে ছবি! দেখে চোখ জুড়িয়ে গেলু!!
কিপ্টে নাকি বেরসিক ঠিক বুঝলেম না আসলে। ভাবী সাথে নেই বলে ওরকম সুন্দর গহনা না কিনেই ফিরলেন? রেগে টং
পাষাণ রে আপনি খাইছে সচলে স্বাগতম ভাইয়া। লিখুন আরো হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

আপু চেষ্টা করেছি, প্রথম লেখা পরবর্তীতে মনে থাকবে। ছবি গুলো আমার তুলা সামান্য পিকাসাতে এডিট করেছি, হবু ভাবীর পছন্দ হবে কি না তাই রিস্ক নেই নাই, বলতে পারেন বেরসিক - পাষাণ।
- ওমেশু

অতিথি লেখক এর ছবি

ছবিগুলো খুব সুন্দর হয়েছে। চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ ভাল লাগার জন্য

- ওমেশু

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

চমৎকার, শীঘ্রই আপনার ওখানে বেড়াতে যাবার ইচ্ছে করি। নেমন্তন্ন পাবো তো?

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

অতিথি লেখক এর ছবি

চলে আসুন ব্যাকপ্যাক বেঁধে

- ওমেশু

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

সব্বাই দেখি আন্তর্জাতিক মানের ভ্রমণ কইরা বেড়ায়। ওঁয়া ওঁয়া
সচলে লেখালেখি জারি থাকুক। হাততালি
স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ স্বাগতম। হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

কি করুম কন, দেশে তো আর গণতন্ত্র নাই, তাই অন্তর্জালেই তারেকাণুপনার দেশে ঘুইরা বেড়াই। আপনার তারেকাণুপনার স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ লেখাও চাই।

- ওমেশু

চরম উদাস এর ছবি

চলুক
ছবি আর লেখা দুইই ভালো লাগলো

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনাদের ভালো লাগছে দেখে উৎসাহ পাচ্ছি

- ওমেশু

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

খুব সুন্দর। খাবারগুলোও সুন্দর!

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

অতিথি লেখক এর ছবি

স্বাদও সেই রকম
- ওমেশু

মাসুদ সজীব এর ছবি

ছবিতে মুগ্ধ, কিপটে বর্ণনাও ভালো লেগেছে হাসি । একপর্বে সবটুকু না লিখে দিন হিসেবে পর্ব লেখতে পারতেন, তাতে পাঠকের সুবিধা হতো, কোথায় থেকে শুরু-থাকা-যাত্রা সব বিস্তারিত লেখতে মন্দ হতো না। আশা করি পরের ভ্রমণ কাহিনীতে এ বিষয়টা মাথায় রাখবেন। লেখালেখি চলুক চলুক

ট্রেনিটি আর সেন্ট স্টিফেন এ কি মানুষ থাকে? যদি দুবার মরার চান্স থাকতো তবে আমি এই দুই জায়গার একজায়গা থেকে একটা লাফ দিতাম খাইছে

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

অতিথি লেখক এর ছবি

সচলে এটাই আমার প্রথম পোষ্ট, পরবর্তীতে পাঠক এর কথা মাথায় রেখে লিখার চেষ্টা করবো।
মংরা থাকে, প্রথম বারই লাফ দেন, পরেরটা পরে দেখা যাবে হাসি
- ওমেশু

মাসুদ সজীব এর ছবি

আপনার মাঝে মানবতা নাই শয়তানী হাসি

পাহাড়ের উপর বাড়িগুলোর ছবি তুলেছেন কি করে? ট্রেকিং করেছেন?

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

অতিথি লেখক এর ছবি

ইচ্ছা আপনার, পরামর্শ আমার, তবে মরিতে না চাইলে Bungee jump দিতে পারেন।

ট্রেকিং করতে পারেন, যদি ইচ্ছা না করে তাহলে গাড়িতে যেতে পারেন, সরু আঁকা বাঁকা রাস্তা সুন্দর লাগবে আর নৈসর্গিক প্রাকৃতিক দৃশ্যও উপভোগ করতে পারবেন।

- ওমেশু

তিথীডোর এর ছবি

আহারে, মানুষের কতো সুখ!
কতো পয়সা!
কী সব রাজকপাল!

ছবিগুলো দেখে হিংসায় গা-মাথা কটকট করছে রে ভাই! হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতিথি লেখক এর ছবি

কামলার আবার রাজকপাল! তবে পকেটে পয়সা আছে বা না আছে, মনের সুখে ঘুরার নেশা আছে
- ওমেশু

বন্দনা এর ছবি

হুম, আমি ও যাবো সান্তরিনি, মেলা দিনের ইচ্ছে। কয়েকটা পর্ব করে লিখতে পারতেন, আমাদের বদজহম হয়না তাইলে খাইছে

অতিথি লেখক এর ছবি

সান্তরিনি গেলে বলবেন, আমিও যাব
- - ওমেশু

গগন শিরীষ  এর ছবি

ভাই,বাংলাদেশ থেকে গ্রিস যাওয়ার সবচেয়ে ভাল রুট কোনটি? আর ওখানে থাকার খরচ কিরকম? চান্স পেলে যাওয়ার ইচ্ছে আছে।

অতিথি লেখক এর ছবি

ভায়া আমি বাংলাদেশ থেকে রুট বলতে পারব না, যদি একলা হন তাহলে সবচেয়ে সস্তা হবে হোস্টেল যেখানে রুম শেয়ার করতে হবে অন্য ট্যুরিস্টদের সাথে। সাধারণত হোস্টেল খরচ পার নাইট ~ € ৩০
- ওমেশু

মেঘলা মানুষ এর ছবি

বাহ! চমৎকার সব ছবি! হাততালি
আপনার লেখা আর ছবি দুটোই ভালো লেগেছে।
ব্রিটিশরা কিছু একটা নিয়ে গেলে আর মনে হয় ফেরত দেয় না খাইছে

অতিথি লেখক এর ছবি

ব্রিটিশরা বর ধুরন্দর জাতি, সুবখান থাকে শুধু নিয়ে গিয়েছে ফিরত দিবার বেলায় নাই...
ধন্যবাদ ভালো লাগার জন্য

- ওমেশু

তারেক অণু এর ছবি

বাহ, ভালো ঘুরেছেন তো

অতিথি লেখক এর ছবি

সচলে আপনার ভ্রমণ কাহিনী গুলো পড়ছিলাম, তখন ইচ্ছা জাগল ব্লগ লিখি, চিন্তায় ছিলাম moderate ভাইরা ছাপাবে কি না, কারন আপনি আগেই আরও অনেক সুন্দর বর্ণনা দিয়ে লিখে ফেলছেন।

- ওমেশু

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।