করমজল ও চন্দ্রমহল: পর্ব ১

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ২১/০১/২০১৫ - ৫:২৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

খুলনায় কয়েক দিন ধরে বাসায় থেকে থেকে কেমন বিরক্ত লাগছিল। এদিকে স্বামী-স্ত্রী দুজনে মিলে একসাথে কখনও সুন্দরবনে যাইনি। রাতে ভাবছিলাম দুজনে মিলে সুন্দরবন ঘুরে আসি। সকালে উঠে বাসা থেকে হাটা শুরু করলে কেন যেন লঞ্চ ঘাটে গিয়ে হাজির হলাম বিভিন্ন ট্যুর সম্পর্কে জানতে। তখনো বেশিরভাগ লঞ্চ কোম্পানির অফিস খোলেনি। একটা অফিস খোলা পেলাম।অফিসের মালিক জানালো প্রতি শুক্রবার খুলনা থেকে তিন দিনের ট্যুরে সুন্দরবনে লঞ্চ নিয়ে যান। কিন্তু আমাদের তিন দিন সময় নাই। আবার ঢাকা যেতে হবে। তাই ভাবলাম এক দিনের ট্যুরে করমজল পর্যন্ত ঘুরে আসি। বাসায় আসার পথে একটা গাড়ি ভাড়া দেয়ার কোম্পানির সাইনবোর্ড থেকে ফোন নাম্বার নিয়ে আসলাম। অফিস তখনো খোলেনি। বাসায় ফিরে এসে বেলা ১১টার দিকে গাড়ি ভাড়ার অফিসে ফোন করে গাড়ি ভাড়া করলাম।ঠিক করলাম ১২টার দিকে রওনা দিবো।

খুব দ্রুত ১ ঘন্টার ভিতর যাওয়ার প্রস্তুতি নিলাম দুজনেই। এর ভিতর ড্রাইভার গাড়ি নিয়ে এসে ফোন করে জানালেন যে উনি তখন আমাদের বাসার রাস্তায়। তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে নামলাম। খুলনা থেকে আমরা মংলা যাবো গাড়িতে, আর তার পর সেখান থেকে ট্রলারে যাবো করমজল। খুলনা থেকে মংলা যাবার রাস্তায় এক সময় ফেরি পার হতে হতো, সময় লাগতো দুই ঘন্টারও বেশি। কিন্তু রূপসা সেতু হবার পর এক ঘন্টারও কমে মংলা যাওয়া যায়। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হলে আসলেই সবকিছু অনেক দ্রুত বদলে যায়। হয়তবা এজন্যই খুলনাবাসীর অধিকাংশ দাবিই যোগাযোগ ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে।
যাবার পথে দেখি ড্রাইভার সাহেবের চোখ লাল। জিজ্ঞেস করলাম রাতে ঘুমাইছিলেন কিনা। উনি জানালেন আগের দিন সন্ধ্যায় গাড়ি সহ উনাকে রিক্যুইজিশন করেছিলো পুলিশ। এরপর সারা রাত সাতক্ষীরা আর খুলনা জেলার বিভিন্ন প্রত্যন্ত গ্রামে আসামি ধরার জন্য গাড়ি চালাতে হয়েছিলো। ভোর পাঁচটার দিকে বাসায় ফেরার সময় পুলিশের উনাকে শুধু তেলের দামটা দেয়। গাড়ি ভাড়া বা গাড়ি চালানোর কোন মজুরি মিলেনি। সকালে আবার এগারোটার দিকে বসের হুকুমে আমার ট্রিপে আসতে হয়েছে। আমি বললাম আমাদের নামানোর পর গাড়িতেই ঘুমিয়ে নিতে।

মংলা যাবার পথে বাম দিকে একটা সাইনবোর্ড দেখিয়ে ড্রাইভার বললেন, ওই রাস্তা দিয়ে চন্দ্রমহল যায়। আপনারা যাবেন নাকি। আমি বললাম, আগে করমজল দেখে আসি, এরপর সময় থাকলে যাবো চন্দ্রমহল।
খুলনা থেকে মংলা যাবার রাস্তা বেশ ভালো। শুধু মংলা শহরে ঢোকার মুখ থেকে ঘাট পর্যন্ত কিছুটা অংশ ভাঙ্গা। ঘাট থেকে একটা ট্রলার ঠিক করতে হবে। ঘাটে পৌঁছানোর পর বেশ কয়েকজন ট্রলারের মাঝি আমাদের ঘিরে ধরলেন। তাদের ভিতর থেকে একজনের সাথে চুক্তি হলো, উনি আমাদের করমজল নিয়ে যাবেন, সেখান থেকে মংলা ঘাটে ফেরার পথে মংলা বন্দর দেখিয়ে আনবেন। মাঝিভাই বুদ্ধি দিলেন কিছু খাবার আর পানি নিয়ে যাত্রা শুরু করতে, কেননা করমজল গিয়ে তেমন কোনও দোকান পাওয়া যাবেনা।

আমরা পানি আর কিছু শুকনো খাবার কিনলাম। হরিন আর বানরকে খাওয়ানোর জন্য কিছু কলা কিনলাম। ঘাটের কাছে এক মহিলা কোয়েলের ডিম সিদ্ধ করে বিক্রি করছিলেন। কয়েলের ডিমগুলি খুব ছোট আর সুন্দর দেখতে, খেতেও ভারি মজা। আমরা কিনলাম দুই হালি। ঘাট থেকে সরাসরি ট্রলারে উঠতে পারলাম না। ভাটার সময় মংলা খালে পানি না থাকায় ট্রলার ঘাট পর্যন্ত আসতে পারছে না। তাই প্রথমে ছোট নৌকার গেলাম নদীর মাঝে ট্রলার পর্যন্ত, তার পর উঠলাম ট্রলারে। ট্রলারটা আসলে একটা বড় জাহাজের লাইফবোট। ট্রলারে ঠিক করার সময় মাঝি বলেছিলেন ট্রলারে বাথরুম আছে। বাথরুমে যেতে গিয়ে দেখি, একটা টিনের বাক্স। রোদে প্রচন্ড গরম, ভিতরে কোনও আলো নাই আর মেঝেতে একটা গর্ত, যেখান দিয়ে মল-মুত্র সরাসরি নদীতে গিয়ে পড়ে। বাথরুম না বলে এটাকে দোজখখানা বললে ভুল হতোনা।

পশুর নদীর বুকের উপর দিয়ে মংলা থেকে প্রায় ৪৫ মিনিট লাগলো করমজল পৌছাতে। করমজল গিয়ে জনপ্রতি ২০ টাকা করে টিকিট কেটে ঢুকলাম বনের ভিতর। অবশ্য এখানে বন একটা পার্ক হয়ে গেছে। বনের মধ্য দিয়ে কাঠের পথ। অনেকটা সাকোর মতো। বনের মাটিতে খুঁটি পুতে, খুঁটির উপর তক্তা বিছিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই পথ। একে নাকি বলা হয় মাঙ্কি ট্রেইল। পথ থাকা সত্ত্বেও অনেক দর্শনার্থীকে দেখলাম বনের মাঝখানে ইচ্ছে মত হেটে বেড়াতে। এক জায়গায় কতগুলি ছেলে একটা বানরকে কলা খেতে দিয়ে ছবি তুলছে। আমরা আর বানরকে কলা দেবার সুযোগ পেলাম না। বিদেশে অনেক জায়গায় দেখেছি এরকম পার্কে জীবজন্তুকে খাবার দেয়া নিষেধ, কেননা এতে জীবজন্তুগুলো প্রাকৃতিক পরিবেশে খাপখাওয়াতে পারেনা। এখানে এরকম কোনও নিয়ম আছে কিনা জানা নাই।
পথের দুপাশের বনে মাটিতে শ্বাসমূলের ফাঁকে ফাঁকে অনেক ছোট ছোট গর্ত। আমরা নিঃশব্দে সামনে এগুতেই দেখি লাল লাল কাঁকড়া ছোটাছুটি করছে। কিছু লোক দেখলাম নিচে নেমে কাঁকড়া ধরা শুরু করেছে। একজন দেখলাম বেশ বড় একটা কাঁকড়া ধরছে। বনের ভিতর পানির বোতল আর চিপ্সের প্যাকেট। একটা গ্রুপকে দেখলাম মোবাইল আর স্পীকার দিয়ে উচ্চশব্দে গান শুনতে। দর্শনার্থীদের একটু বোধবুদ্ধি হওয়া দরকার। বনটাকে একটা পিকনিক স্পট বানিয়ে ফেলেছে।

আমরা একটা কম ব্যবহৃত পথে হেটে গেলাম নদী তীরে। এই পথে লোকজন কম আসায় বন কিছুট পরিষ্কার। নদীর কূল থেকে নদী আর ওপারের দৃশ্য বেশ সুন্দর। আবার আমরা বনের ভিতর ফেরত আসলাম। করমজলে আরও আছে হরিণ ও কুমির লালনপালন কেন্দ্র। আমরা হাঁটতে হাঁটতে চলে এলাম হরিণের খাঁচার কাছে। আগে হরিণগুলো বনের মধ্যে মুক্ত অবস্থায় থাকতো। কিন্তু কিছু লোক জন ঘুরতে এসে হরিণগুলোকে আঘাত করায়, হরিণগুলোকে খাঁচায় পোরা হয়েছে। আমরা প্রায় দুই ডজন কলা কিনেছিলাম। হরিণগুলোকে কলা খেতে দেয়া শুরু করার কয়েক মিনিটের মধ্যে সব শেষ।
পাশেই ছিল কুমির প্রজনন কেন্দ্রে। আলাদা আলাদা খাঁচায় আলাদা আলাদা বয়সের কুমিরের বাচ্চা। একটা খাঁচায় দেখলাম একমাসের ও কম বয়সী কুমিরের বাচ্ছা। খুবই সুন্দর। আমার মনে হয় সব প্রাণীর বাচ্চাই দেখতে অনেক সুন্দর। বিভিন্ন বয়সের কুমির দেখে মনে হলো কুমিরের বয়স যত বাড়ে, আকারে তত বড় হয়, আর চেহারা তত বিকট হয়। বাচ্চা কুমিরগুলোর পাশেই দেয়াল দিয়ে ঘেরা অনেক বড় একটা পুকুরে একটা বড় কুমিরের মাথা দেখলাম। সম্ভবত পুকুরে প্রজননের পর বাচ্চাগুলোকে আলাদা করে খাঁচায় রাখা হয়।

কুমিরের খাঁচার পর দেখলাম বের হয়ে আসার আগে আগে দেখলাম সুন্দরবনের একটা মডেল । এটা দেখে সমগ্র সুন্দরবনের বিভিন্ন অংশ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। করমজল সুন্দরবনের সবচেয়ে উত্তরের প্রান্তে, আর সর্ব দক্ষিণে হলো হিরণ পয়েন্ট। যারা লঞ্চে করে তিন দিনের ট্যুরে আসে, তারা হিরন পয়েণ্ট পর্যন্ত যায়। ওখানেই আরও প্রদর্শনের জন্য ছিল অজগর সাপের চামড়া, বাঘের কংকাল আর কুমিরের ডিম। একটা বাচ্চা মেয়েকে দেখলাম বাবার কোল থেকে খুব উৎসাহ নিয়ে এসব দেখছে। এই টেকনোলজির যুগে প্রকৃতি সম্পর্কে বাচ্চাটির কৌতূহল দেখে অনেক ভাল লাগলো।
আমরা করমজল থেকে বেরিয়ে আবার ট্রলারে উঠলাম। মাঝিকে বললাম, পশুর নদী দিয়ে আরেকটু দক্ষিণ দিকে যেতে। কয়েকটা কার্গো জাহাজ চোখে পড়লো যাবার পথে। এরপর দেখা মিললো নৌবাহিনীর নতুন জাহাজ পদ্মার। এই জাহাজটাসহ পাঁচটা জাহাজ সম্প্রতি খুলনা শিপ ইয়ার্ডে তৈরি করা হয়েছে। নৌবাহিনীর আরো পাঁচ-ছয়টা জাহাজ তৈরি করা হবে খুলনায় আগামি বছর তিনেকের মধ্যে। আরও কিছুটা সামনে এগুতেই দেখি নদীর পাড়ে দেখি বিশাল একটা উঁচু অট্টালিকা। ঐটা ছিলো জয়মনিরগোলা সাইলো। এই সাইলোই হবে দেশের বৃহত্তম খাদ্য গুদাম। সাইলোটা পশুর নদী আর শ্যালা নদীর মিলনস্থলে একটা তিনকোনা উপদ্বীপের উপর অবস্থিত, তার তিন দিকে নদী। পশুর নদী আর শ্যালা নদী, দুই নদী থেকেই এখানে দুটো জেটিতে জাহাজ ভিড়িয়ে মাল ওঠা নামা করা যাবে।

এ পর্যন্ত আমরা নদীর পশ্চিম তীর ধরে আসছিলাম দক্ষিণ দিকে। এখানে এসে আমরা ঘুরে নদীর পূর্ব তীর ধরে উত্তর দিকে যাওয়া শুরু করলাম। পথে দেখা হলো অনেক গুলো জেলে নৌকার সাথে। একটা নৌকায় একটা বাচ্চা ছেলে তার বাবার সাথে কাজ করছিলাম। আমরা ভাবছিলাম কোন পশ্চিমা ফটোগ্রাফার এরকম একটা দৃশ্য পেলে ছবি তুলে বিখ্যাত হয়ে যেত। হয়তোবা শিরোনাম হত জীবনযুদ্ধ বা হারানো শৈশব। নদীর তীরে জেলে পাড়া। অনেক মহিলা নদীতে গোসল করছিলেন। আমাদের দেখে শাড়ি দিয়ে মুখ ঢাকলেন। জেলে পাড়ার বেশির ভাগ ঘরের চালেই দেখি বিভিন্ন লাউ-চাল কুমড়া সহ বিভিন্ন সব্জির গাছের পাশাপাশি সোলার প্যানেল। বাংলাদেশে প্রায় ত্রিশ লাখ বাড়িতে সৌর বিদ্যুত ব্যবহৃত হয়, তার মধ্যে এই জেলে পাড়ার বাড়িগুলোও আছে। এছাড়াও নদীতে অনেক হাঁস আর রাজহাঁস সাতার কাটছিলো।

এমন সময়ে মাঝির মোবাইলে কল আসলো, উনার বড় ভাইয়ের ট্রলারটা লাগবে। সুতরাং মাঝি ট্রলারের গতি বাড়িয়ে দিলেন। কিন্তু সরাসরি ঘাটে না গিয়ে আমরা গেলাম মংলা বন্দরের দিকে। একটা চীনা জাহাজের খুব কাছ দিয়ে গেলো আমাদের ট্রলার। দেখি জাহাজের ডেকে একজন চীনা নাবিক আরেকজনের চুল কাটছেন। এছাড়াও ছোট-বড় অনেকগুলো জাহাজ দেখলাম। মাঝি বেগ বাড়াল। আমরা মংলা ঘাটে ফিরতে ফিরতে নদীতে জোয়ার এসে গেল। এবার ট্রলার একেবারে ঘাটেই ভিড়তে পারলো।

ঘাটে দেখি ড্রাইভার গাড়ি নিয়ে তৈরি। জিজ্ঞেস করলাম ঘুম হলো কেমন। ড্রাইভার জানালেন ভালোই ঘুম হয়েছে তার। ফেরা শুরু করলাম খুলনার পথে।

তরু তরী


মন্তব্য

তিথীডোর এর ছবি

তরু তরী,

মডারেটরদের মেইল করে ছবিটার আকার ঠিক করে নিন প্লিজ, পুরো নীড়পাতা ভচকে দিচ্ছে।

এটা কি আপনার প্রথম লেখা? সচলে স্বাগতম।

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ তিথীডোর। আসলে ছবি যোগ করার ব্যাপারটা এখনও ঠিক বুঝে উঠতে পারিনি। তাই এই অবস্থা।

অতিথি লেখক এর ছবি

হরিন কলা খায় জানা ছিল না। ২ ডজন যখন হযম করছে তাহলে খায় ...
বর্ণনা সুন্দর, নেক্সট পর্বে ছবি দিবেন।

- ওমেশু

অতিথি লেখক এর ছবি

আমিও প্রথম বুঝলাম হরিণ কলা খায়। ছবি পাবেন অবশ্যই।

গগন শিরীষ  এর ছবি

বছর দুই আগে সুন্দরবন গিয়েছিলাম,করমজল হয়েই। মনে পড়ে গেল।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি গিয়েছিলাম নভেম্বর মাসে। তেল ছড়ানোর কারণে কি কি ক্ষতি হয়েছে দেখতে যেতে চাই আবারও।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

বাহ! সচলে স্বাগতম! হাসি

[ গত সপ্তাহে সুন্দরবন যাবার কথা ছিল। জামাতী অবরোধের ঠ্যালায় হইল না তো হইলই না! আর আন্নে আইছেন সেই কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দিতে। দুইন্যাতে ইঞ্ছাপ নাই রে। ওঁয়া ওঁয়া ]

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ। আমি মেয়ে হওয়ার কারণে অনেক আগেই শিখেছি দুনিয়াতে ইনসাফ নাই। অবরোধ থামলে ঘুরে আসেন।

শাব্দিক এর ছবি

বাথরুমে যেতে গিয়ে দেখি, একটা টিনের বাক্স। রোদে প্রচন্ড গরম, ভিতরে কোনও আলো নাই আর মেঝেতে একটা গর্ত, যেখান দিয়ে মল-মুত্র সরাসরি নদীতে গিয়ে পড়ে।

ভাবছি ভ্রমণে বাথরুম নিয়ে একটা পোস্ট লিখব। খাইছে

বনের ভিতর পানির বোতল আর চিপ্সের প্যাকেট। একটা গ্রুপকে দেখলাম মোবাইল আর স্পীকার দিয়ে উচ্চশব্দে গান শুনতে। দর্শনার্থীদের একটু বোধবুদ্ধি হওয়া দরকার। বনটাকে একটা পিকনিক স্পট বানিয়ে ফেলেছে।

সুন্দরবনের সৌন্দর্য নষ্ট করতে পাব্লিকের চেষ্টার কোন ত্রুটি নাই, সরকারও সে চেষ্টা বিফলে যেতে দিবে না।

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

অতিথি লেখক এর ছবি

আসলেই। তবে আমার মনে হয় কিছু কিছু ছোটখাট ব্যাপারে সরকারকে দোষ না দিয়ে সাধারণ পাবলিকের জ্ঞান বুদ্ধি বাড়ানো দরকার।

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

যশোরের লোক হয়ে আজও সুন্দর বন যাওয়াই হয়ে ওঠেনি। এ লজ্জা সই কী করে!

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

মেঘলা মানুষ এর ছবি

অ্যাঁ

মেঘলা মানুষ এর ছবি

করমকজল গিয়েছিলাম অনেক আগে, বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে। আপনি যেমনটা বললেন, তেমন অপরিষ্কার মনে হয়নি তখন। তখন, সম্ভবত মানুষের আনাগোনা স্বাভাবিক মাত্রায়ই ছিল। এখন, মানুষ ঘোরাঘুরি করছে বেশি, ময়লা করে পরিবেশ নষ্ট করছে আরও বেশি। যে বন্ধুটির সাথে গিয়েছিলাম, তার মামা ছিলেন খুলনার তৎকালীন ডিসি।

লেখার প্যারাগুলো একটু দেখে নেবেন, প্রিভিউ থেকে।

শুভেচ্ছা হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

ঘর হতে বের হয়ে দুই পা ফেলান

মরুদ্যান এর ছবি

বাংলাদেশের যেখানেই যাই, চিপসের প‌্যাকেট। একবার মনে হয়েছিল ক্ষমতা থাকলে চিপস খাওয়া বাসার বাইরে নিষিদ্ধ করে দিতাম! মন খারাপ

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।