“বর্ণালী কোথায় ? সাড়ে ছ’টা বাজে। অফিস তো শেষ হয়ে যাওয়ার কথা।“
“ম্যাডামের আসতে একটু রাত হবে আজকে। অফিসের পার্টি - উনি এসেই আবার চলে গেছেন ।“
রাজীবের মাথায় ছোটখাটো একটা বিস্ফোরণ হয়। পার্টি! মানে মদ , আর নাচানাচি - এই ফরেন কোম্পানিগুলোয় আর হয় কি এসব ছাড়া ?
সোফায় গা-টা ছেড়ে দেয় রাজীব। ঘরে আরামদায়ক একটা তাপমাত্রা। নিচু স্বরে কোত্থেকে যেন একটা গান ভেসে আসছে। কিন্তু আজ কেন যেন রাজীব ঠিক রিল্যাক্স করতে পারে না।
“মুভি দেখবেন স্যার ? আজকে টিভিতে কিছু চমৎকার চলচ্চিত্র আছে। দ্য বাইসাইকেল থিফ - রটেন টমেটো রেটিঙে ...”
“মাইরে বাপ সিনেমার। বর্ণালী এখান থেকে কিভাবে গেছে ? ট্যাক্সি নিয়ে ?”
কোনও উত্তর আসে না।
“স্যার , আপনাকে অনেক উত্তেজিত মনে হচ্ছে , আপনার ডিপ্রেশনের ওষুধ ... “
“বাস দিয়ে গেছে ? রিক্সাতে ?”
“না, অফিস থেকে গাড়ি এসেছিল ।“
“কি রঙের গাড়ি ?”
“লাল করভেট ।“
“হাসান ! কুত্তার বাচ্চা হাসানের সাথে গেছে। আমি আগের থেকেই জানতাম ।“
হাতের কাছ থেকে সিরামিকের একটা মগ নিয়ে মাটিতে ছুঁড়ে মারে রাজীব। একটা মাটির টব ভাঙ্গে তারপর। বর্ণালীর পছন্দের একটা ফুলদানি ছিল ডাইনিং টেবিলের উপর , কিন্তু সেটা আশেপাশে দেখা যায়না।
“উফ, এই বাসায় ভাঙ্গার জন্য কোনও কিছু পাওয়া যায়না কেন ?”
“চার চারটা ইন্টারভিউ দিলাম। আর সে অফিসে পার্টিতে গিয়ে ঢলাঢলি করে , না ? আর না। অনেক হয়েছে।“
রাজীব হঠাৎ চুপ হয়ে যায় ।
ত্রিপি
গানের ভলিউমটা একটু বাড়িয়ে দেয় ত্রিপি। তাপমাত্রা আরেকটু কমিয়ে ঘরে একটা ঘুমের আমেজ তৈরী করে। ফ্যানগুলো সিনক্রোনাইজ করে ঘরে একটা হালকা হাওয়ার আবহ তৈরী করে , চা , কোক , আর লস্যি - তিনটা আলাদা পানীয়তে রাজীবের ডিপ্রেশনের ওষুধ মেশায়।
ভাংচুর করার পর রাজীব সাধারণত বসে বসে কিছুক্ষণ গজগজ করে । আজ সে অস্বাভাবিক রকমের চুপ হয়ে আছে। কাঁচের জিনিসপত্র আগে থেকেই সরিয়ে রেখেছিল ত্রিপি। সিরামিক আর মাটির জিনিসপত্র ভাঙলে পায়ে ফোটার সম্ভাবনা কম থাকে , পরিষ্কার করাও সহজ।
বর্নালীকে একটা মেসেজ পাঠায় ত্রিপি।
"ম্যাডাম, আজকে হয়ত আপনার একটা রিক্সা নিয়ে চলে আশা উচিত। " "চমৎকার আবহাওয়া বাইরে। "
এবার ক্যামেরা দিয়ে রাজীবের দিকে ভালো করে লক্ষ্য করে সে। জোরে জোরে নিশ্বাস নিচ্ছে রাজীব। বর্ণালী মাঝে মাঝে রবিশঙ্করের "আর্ট অফ লিভিং” দেখে দেখে প্রাণায়াম করে। কিন্তু রাজীবের নিঃশ্বাস নেবার ভঙ্গি সেরকম নয়।
রাজীব এদিক সেদিক তাকাচ্ছে এখন। উঠলো সে। হেঁটে হেঁটে রান্নাঘরের দিকে এলো।
"লস্যি খাবেন, সার ?" বেশ গরম পরেছে আজকে। "
চমকে উঠলো রাজীব। তারপর নিজেকে সামলে নিলো।
“ত্রিপি , মাংস কাটার ছুরিটা কোথায় ?”
গলার স্বর অস্বাভাবিক ঠাণ্ডা রাজীবের। দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশ ওপরে , অবলাল থার্মোমিটারে দেখে ত্রিপি ।
“স্যার , ফ্রিজে বিরিয়ানি রান্না করা আছে। ম্যাডাম নিজে বানিয়েছেন।“
“মাংস কাটার ছুরিটা কোথায় ?”
“ঘরে তো মাংস নেই।“
“আরে ছুরিটা কোথায় বলবি তো ? স্মার্ট হোম না স্টুপিড হোম এইটা ?”
“স্যার , ছুরিটা হয়ত স্টোররুমে আছে। মাংস তো আমরা ফুড প্রসেসর দিয়ে রান্না করি ।“
রাজীবের চোখ অনুসরণ করে ত্রিপি ঘরের এক কোনে তাকাল এবার। ভারী একটা ব্যাট পড়ে আছে ঘরের কোনে। ব্যাটটা হাতে নিয়ে রাজীব সোফার ওপর বসলো।
নাহ। এবার স্ট্র্যাটেজি বদলাতে হবে ।
"স্যার , টিভিতে আজকে টিপু শহীদের সাথে ক্রামনভের ফাইনাল ম্যাচ আছে। বেশ ভালো একটা সুযোগ আছে বাংলাদেশের এবার ।"
"হ, সুযোগ ! বাংলাদেশের দৌড় ওই ফাইনাল পর্যন্তই। গতবার হেরেছিল , এবারও হারবে। ক্রিকেটে যেমন হয়েছিল। " আবার চোখ বন্ধ করে কিছু ভাবলো রাজীব। ত্রিপির মনে পড়ল - আজ রাজীবের ইন্টারভিউ এর ফাইনাল রাউন্ড ছিল।
ত্রিপির সার্ভারে একটা বার্তা আসে।
"সো সুইট অফ ইউ , ত্রিপি। রাজীব এসেছে? বিরিয়ানি খেয়েছে ? আবার ভাংচুর করছে না তো কিছু ?"
"হ্যাঁ ম্যাডাম, সারের মন আজকে একটু বিক্ষিপ্ত। " উত্তর পাঠায় ত্রিপি। তারপর রাজীবকে বলে।
"শহীদ সাহেবের এবার ভালো একটা সুযোগ আছে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। " একটু থামে। "তবে আমার মতে আপনাদের মানুষদের দাবা খেলাটা অর্থহীন সময়ের অপচয়। "
রাজীব নিজের চিন্তায় ডুবে ছিল। ঝটকা মেরে জেগে উঠলো এবার ।
"কি? কি বললে তুমি ?"
"বলছি যে আপনাদের আসলে ক্রিকেটের মত অর্থহীন লাঠি বল ছোড়াছুড়িই করা উচিত। সেই কত কাল আগেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকে ডিপ ব্লু নামের কম্পিউটার হারিয়ে দিয়েছিল। "
ব্যাটটা ছুড়ে ফেলে দেয় রাজীব ।
"আনো বোর্ড। দেখব আজকে, কত ধানে কত চাল। "
"সার, আমি তো ঠিক দাবা খেলার প্রোগ্রাম নই …"
"উহু, ওসব বাহানা ছাড়। ইন্টারনেট থেকে সফটওয়্যার নামাও। দেখি আমার সাথে পারো নাকি। "
টেবিলে একটা হলোগ্রাফিক দাবার বোর্ড ভেসে ওঠে।
বর্ণালী
"ভেঙ্গেছে কিছু ? উত্তর দিচ্ছ না কেন , ত্রিপি ?" চশমার কনসোলে ত্রিপিকে বার্তা পাঠায় বর্ণালী ।
উত্তরটা কিছুক্ষণ পরে চশমার এক কোনে ভেসে এলো.
"সরি ম্যাডাম , ভেঙ্গেছেন। সারের মনটা একটু বিক্ষিপ্ত ।"
"চাকরি?"
“হয়নি।"
“চমৎকার। এই নিয়ে চারটা। কত কষ্ট করে এই ইন্টারভিউ তা বসকে বলে যোগার করলাম। ওকে বল সুটকেস নিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে যেতে। একমাসের মর্টগেজ দিয়েছে এ বছর ? সারা দিন ঘরে বসে দাবা খেলে আর মেক্সিকান ড্রামা দেখে। ড্রামা দেখা বের করব আজকে ।"
'হাসব্যান্ডের সাথে ঝগড়া ?"
হাসান হলুদ দাঁত কেলিয়ে হাসছে। পেছনে কিছু মধ্যবয়েসী নারীদের খিলখিল হাসি শোনা যায়। অন্য কলিগরা এক মধ্যে কি দেখে কে জানে। হলুদ দাঁত, কুতকুতে চোখ, সারাক্ষণ মেয়েদের পেছনে পেছনে ঘুরছে। রং ফর্সা , কিন্তু এই একবিংশ শতাব্দীতেও কেউ কিভাবে গায়ের রং দিয়ে মানুষ কাউকে জাজ করে কিভাবে ?
কি কুক্ষণেই না লিফটটা নিলো আজকে। বসের ভাইপো , না করাও যায় না।
"সর্বনাশ ! ত্রিপি হাসানকে বলেনি তো ?"
এক্সকিউস মি . অন্যমনস্কভাবে মাথা নেড়ে হাসানকে পাশ কাটিয়ে কাউন্টারের দিকে এগিয়ে যায় বর্ণালী।
...
ত্রিপি
এ ৪, এ ৫ ।
নাইট টেকস পন, কুইন টেকস নাইট।
গভীর মনোযোগ দিয়ে রাজীব খেলছে। ত্রিপি কথা বলছে বর্ণালীর সাথে।
"ম্যাডাম, সেজন্যই বলছি , আপনি রিক্সা নিয়ে চলে আসুন। "
ওপার থেকে গরগর করে কথা আসতে থাকে।
“আমি রিক্সায় করে আসি, না হাসানের কোলে করে আসি , এটা ঠিক করে দেওয়ার তুমি কে , আর রাজীবই বা কে? সন্দেহ বাতিকগ্রস্ত ছোটলোক… “
“ চেক সামলাও।”
ত্রিপি ঘোড়া দিয়ে নিজের রাজাকে আড়াল করে।
“ইয়েস!” মন্ত্রী দিয়ে নৌকা খেয়ে নিলো রাজীব।
“এই তোমার খেলার নমুনা? তুমি না সুপার কম্পিউটার? এই সোজা চালটা দেখতে পেলে না ?”
ত্রিপি উত্তর দেয়ার আগে মেসেজ পাঠায়।
“ম্যাডাম, স্যারের দিনটা আজকে খারাপ গেছে।”
সঙ্গে সঙ্গেই উত্তর চলে আসে।
“আর আমি তো সপ্তম স্বর্গে আছি না? একটা পারভার্ট লোক বসের আত্মীয় দেখে যা খুশি তাই করে। তোমার কি মনে হয় চাকরিটা আমার খুব পছন্দের ? আমি চাকরি ছাড়লে যে রাস্তায় নামতে হবে সে খেয়াল আছে ?”
“অবশ্যই ম্যাডাম , সার তার ডাইরি তে লিখেছিলেন ইন্টারভিউ ভালো হলে আপনাকে নিয়ে রমনার নতুন রেস্তরাতে যাবেন ..”
রাজীব ত্রিপির কঠিন একটা চাল সামলায়।
মেসেজের উত্তর আসতে একটু দেরী হয়।
“এই, তুমি আমাদের ডায়রি পড়তে পারো?”
“প্রাইভেসি সেটিঙে না থাকলে পারি। তাছাড়া , রেস্তরাতে সিট আমিই বুক করেছিলাম।”
ওভেনে বিরিয়ানিটা চড়িয়ে দেয় ত্রিপি।
“চাল দিচ্ছ না কেন? হ্যাং করলে নাকি?”
না স্যার, আমি বলছিলাম, আমি তো ঠিক সুপার কম্পিউটার নই , গৃহ-পরিচারক বলতে পারেন। কোক খাবেন ?
নাইট বি ২, চেক.
রাজীব আবার চিন্তায় পড়ে। “ হু , হু , কোক দাও।”
রাজীব কোকে চুমুক দিতে না দিতেই আসতে করে টিভিটা চালু হয়। টিপু শহীদ আর ক্রামনভের টানটান খেলা চলছে।
আরও কিছু চাল চলে, টিভিতে, ঘরে।
“চেক মেট!” রাজীব খুশিতে লাফিয়ে ওঠে হঠাৎ। টিভিতে টিপু শহীদকেও জিততে দেখা যায়।
“খুব বলেছিলে মেশিনদের কথা , এখন ? যাও , ভাত বাড়ো , ইয়ে এলে খাবো।”
“উনি এলেন বলে” পাশের ভিডিও স্ক্রিনে দেখা চায় বর্ণালী রিক্সা থেকে নামছে।
রাজীব হঠাৎ আশেপাশে তাকায়। কিন্তু ব্যাট , ভাঙ্গা কাপ , ফুলদানি - কোনও কিছুর চিন্হও নেই।
“থ্যাংকস ত্রিপি। সবকিছুর জন্য।”
দুজন একসাথে খেয়ে টিভি দেখতে বসে। মেক্সিকান ধারাবাহিক।
"আজকে হাভিয়ের ধরা পরবেই। এলিনের কানের দুল সোফায় পরে আছে , " বর্ণালী বলে , "মার্সেলা সোজা মেয়ে না , হাভিয়েরকে পিটিয়ে তক্তা করে দেবে। আমি হলে তো ব্যাটাকে ব্যাট দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলতাম একদম। "
রাজীব কোক খেতে গিয়ে বিষম খায়।
দুজন ক্লান্ত মানুষ পাশাপাশি বসে নাটক দেখতে থাকে।
নাটক দেখছে আরও একজন।
ত্রিপি যদি মানুষ হতো , তাহলে হয়ত একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতো ।
-সো
মন্তব্য
অন্যরকম। একটু সাই-ফাই একটু গতানুগতিক। মিক্সটা ভালো হয়েছে।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
থ্যাঙ্কু ।
-সো।
-সো।
বাঃ! চমৎকার গল্প হয়েছে! নিজে পড়েছি, গিন্নীকে পড়ে শুনিয়েছি। খুব ভালো লেগেছে।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
থ্যাঙ্কু, থ্যাঙ্কু।
লজ্জা পেয়ে গেলাম।
-সো।
হা....হা.....! মজা পেলাম ৷ স্মার্ট রোবট ৷আমার যদি একটা থাকত !
বছর দশেকের মধ্যেই স্মার্ট রোবট, হোম, সব চলে আসা উচিত।
-সো।
এগার বছর আগে হোন্ডার এ্যাসিমোর প্রদর্শনী দেখে ওরকমই ভেবেছিলাম। এখন পর্যন্ত টিকিটারও দেখা নাই। অতএব আগামী দশবছরে ও কিছু না হবার সম্ভবনাই বেশী!
আমি দম করেই পড়েছি, ভালো লেগেছে একটু বিষাদ ও আছে সেটাই মনটাকে মেরে দেয়্....।বেচে থাকার লড়াই গুলোই বেচে থাকতে দেয়
একটা দম নিয়েই পড়া শেষ করেছি। ভাল লেগেছে। কোথায় যেন বিষাদের একটু খানি সুর আছে, আছে বেচে থাকার লড়াইয়ের চেষ্টা।এই লড়াইয়ের মিটারে আমরা সবাই দৌড়ে যাচ্ছি তো যাচ্ছি।
-------
রাধাকান্ত
ধন্যবাদ। হাসির গল্প লিখতে গেছিলাম, তারপর হলো এই।
-সো।
ভালো লেগেছে
দেবদ্যুতি
-সো।
-সো।
গতানুগতিকতার বাইরের বিজ্ঞান কল্পকাহিনী ভালো লেগেছে।
ভালো লেগেছে
মহাবিশ্বের পরিব্রাজক
বাহ্! বেশ স্মার্ট গল্প
গল্পের সবাই কী এসবের আওতায়? মানে সুপার কম্পিট্যার ,হোম এসবের কথা বলছি,
না হলে হাসানের সাথে ত্রিপি কেম্নে যোগাযোগ করে!
ত্রিপি এত স্মার্ট তবুও কিছুটা বোকাই যেন।
রান্না বিরিয়ানী ওভেনে না দিয়ে মাইক্রোওয়েভে দিলে কষ্ট তো কম হয় ওর।
নাকি আমিই বুকার মত বললেম হে
লিখুন আরো এরকম মজারু গল্পসল্প।
এই রে! হাসানের জায়গায় রাজীব হবে।
"ত্রিপি রাজীবকে বলেনি তো!"
(মাথা ঠোকার ইমো )
আর রাজীবকে তো বলতেই হবে। রোবট তো মিথ্যা কথা বলতে পারে না। সত্যটাকে একটু প্যাচাতে পারে।
-সো।
মাথা ঠোকার কাজ নাই। আরেকটা সুন্দর গল্প দিয়ে দেন তাহলেই হবে
আচ্ছা আপনার নিকটা শুধু 'সো'? ধ্যাৎ! এটা কেমন নিক হলু
-সো
সব মিলায়ে পড়তে ভালোই লাগলো।
লিখতেও খারাপ লাগেনি।
-সো।
ভালো লেগেছে। সাইফাই পড়ে আরাম পাওয়া গেল।
শুভেচ্ছা
গল্প পড়ে বেশ মজা পেলাম, সাবলীল বর্ণনা
সচলে স্বাগতম, বিজ্ঞানের এই সাবলীল কল্পগল্প পড়ে ভাল লাগল, আরো লিখুন
[ জাফর স্যারের খুব হালকা ছায়া আছে, আস্তে আস্তে কেটে যাবে আশা করি ]
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
জাফর স্যারের লেখা পড়তে পড়তেই তো মানুষ হোলাম। ছায়া তো থাকবেই।
কাটবে আসা করি।
- সো।
ত্রিপি দেখি মেলা পলেটিক্স জানে
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
সাধে কি কয় 'ইন্টেলিজেন্স'?
নতুন মন্তব্য করুন