অনেক অনেক দিন আগের কথা। এক যে ছিল গাঁ, সেই গাঁয়ে ছিল দা-রু-ণ মিষ্টি এক বাবা, আর ভী-ষ-ণ মিষ্টি এক মা। আর তাদের ছিল দা-রু-ণ মিষ্টি এক সংসার। এমন মিষ্টি সংসার নাকি ত্রিভুবনে কেউ দেখেনি। সেই সংসারে সুখ, শান্তি আর ভালোবাসার কমতি ছিল না কোনো, ছোট্ট বাড়িটার চারপাশে ছিল ভালোবাসার ছড়াছড়ি।
সেই মিষ্টি বাবাটা আর মা’টার ছিল তিন মেয়ে-তারা নাকি তিন ‘রাজকন্যা’ আর একমাত্র ছেলেটি টুকটুকে ‘রাজপুত্র’। বাবা ওদের ডাকত বড়, মেজ আর ছোট রাজকন্যা আর রাজপুত্র বলে। বাবা কিন্তু রাজা ছিল না মোটে, বাবা পড়াত একটা স্কুলে। মা অবশ্য ওদের রাজকন্যা-রাজপুত্র বলত না, মা বলত-তার বাচ্চাকাচ্চাগুলো একেকটা ফুল আর গোটা বাড়িটাই একটা ফুলের বাগান। ওদের খুব পছন্দ ছিল নামগুলো-রাজকন্যা, রাজপুত্র, ফুল-কী সুন্দর! ওদের সবার অন্য নামও ছিল বটে, পাড়া-পড়শিরা সেসব নামে ডাকত; ওসব পচা নাম ওদের তেমন ভালোও লাগত না। আমরাও ওদের প্রিয় নামে রাজকন্যা আর রাজপুত্রই বলব, কেমন?
আচ্ছা, বাবা আর মা’টার এত্তগুলো বাচ্চাকাচ্চা ছিল বলে তোমাদের কি অবাক লাগছে খুব? তাহলে শোন, কানে কানে একটা চুপকথা বলি-তখন সেই বাবাটার দেশে বেশি মানুষ ছিল না তো, সরকার তাই ‘দু’টি সন্তানের বেশি নয়/একটি হলে ভালো হয়’-এমন কথাও বলতে শুরু করেনি। বাবার চার বাচ্চার কথা শুনেই যদি অবাক হও, তো আরও একটি মজার কথা বলি-বাবার বাবা-মায়ের ছিল আটটি বাচ্চা-কাচ্চা; তাও কেমন ঠিকঠাক হিসেব মিলিয়ে মিলিয়ে চার মেয়ে আর চার ছেলে। দারুণ মজার না? দেখেছো, কী বলতে কী গল্প ফেঁদে বসলাম। আচ্ছা, এবার এসব অযথা কথা বাদ দিয়ে আসল গল্পে ফিরি।
তো, বাবার ছিল তিন রাজকন্যা আর এক রাজপুত্র। রাজপুত্র ছিল সবার চেয়ে বড় আর বড় রাজকন্যা ঠিক তার তিন বছরের ছোট। সবাই বলে-রাজপুত্র নাকি যখন জন্মেছে, তখন বাবাটা বাড়ি ছেড়ে বেরোতেই চাইত না একদম। সবসময় রাজপুত্রের কাছে কাছে থাকত। মা নাকি মাঝেমাঝে আচ্ছামতো বকেঝকে দিত, তখন যা একটু একটু বেরোত। তো, বড় রাজকন্যার পর এক এক করে মেজ আর ছোট রাজকন্যাও হল। চার চারটি বাচ্চা নিয়ে বাবাটার সে কী মজা-বাবার মজা দেখে মা মুখ টিপে হাসত।
বাবাটা সক্কালবেলা রাজপুত্র-রাজকন্যাদের সাথে গল্প করত, তারপর চলে যেত স্কুলে। সেই যে সক্কালবেলায় বেরোত বাবাটা, বাড়ি ফিরতে ফিরতে বিকেল। মাও যেত অন্য একটা স্কুলে পড়াতে, তো মা’র স্কুলটা ছিল কাছেই। বিকেলে মা ফিরত বাবা ফেরার আগে, নিজে ঠিকঠাক হয়ে ওদের খাইয়ে দাইয়ে আবার রান্না করতে বসত, ওদের খেলতে পাঠিয়ে দিতো। ইস! মা’টা একটুও সময় পেত না নিজের জন্য! বাবা ফিরত, মার এটাসেটা কাজ এগিয়ে দিত, তারপর এক এক কাপ চা হাতে বাবা আর মা গল্প করত; রাজকন্যা রাজপুত্র খেলে ফিরে এলে ওদের ফিটফাট করে দিয়ে পড়তে বসাতো। তখনও বিজলি বাতি যায়নি বাবাদের গাঁয়ে; একটি হ্যারিকেনের আলোয় গোল হয়ে মাদুরের উপর বসে বই পড়ত ওরা। কেবল সবার ছোট আর পরীর মতো রাজকন্যাটা যখন পড়তে শেখেনি, তখন চোখ বড় বড় করে ওদের পড়া শুনত আর খুব গম্ভীর ভাব করে নিজের ছবির বইগুলোর ছবি দেখতে বসত। কিন্তু সেও বেশিক্ষণ নয়, একটু পরেই ঘুমের চোটে ঢুলতে শুরু করত বেচারা-আর তাই দেখে বড়দের সে কী হাসি! ছোট্ট রাজকন্যাটার তখন এত্ত রাগ হতো! মাঝেমাঝে রাগের চোটে কেঁদেই দিত বেচারা।
কোনো কোনো রাতে বাবাটা পাশের বাজারে যেত এটা সেটা কিনতে। সেই রাতগুলোতে বাবা ফিরতে ফিরতে মা’র রান্না হয়ে যেত, ওদেরও পড়ালেখা শেষ হয়ে যেত। তারপর অনেকগুলো পিঁড়ি পেতে ওরা সবাই একসাথে খেতে বসত। কী যে ভালো রান্না করত মা’টা! বাবা সবচেয়ে ভালোবাসত মাছ দিয়ে নতুন আলুর ঝোল। নতুন আলু উঠলে মা বেশ ঝালঝাল করে ঝোল রা্ন্না করত, বাবাটা খেয়ে বলত-“তোমার এই তরকারিটার জবাব নেই, রেণু।”-মা’র নাম ছিল রেণু, সে না হয় ঠিক আছে কিন্তু তরকারির জবাব কী করে হয়, সে কথাটা নিয়ে অনেক ভেবেও ওরা কিছু বের করতে পারেনি।
বাবাদের সেই গাঁ’টা ছিল ভারি সুন্দর! গাঁয়ের একটু দূরে ছিল ঠিক লম্বা অজগরের লেজের মতো এঁকেবেঁকে চলা একটা নদী, নদীটার নাম ‘খাড়ুভাঁজ’। সেই নদীর পাড়ে ছিল সার সার বটগাছ, বটের লাল লাল ফুল খেতে এসে কিচিরমিচির করে ঝগড়া বাঁধিয়ে দিত ছোট্ট ছোট্ট পাখিগুলো। আর বটগাছগুলোর নিচে ছিল সাদা সাদা কানশিষা ফুলের রাজ্য। বাবাটা ওদের ফুল চিনতে শেখাত, গাছ চিনতে শেখাত, মাঝেমাঝেই বিকেলবেলা বেড়াতে নিয়ে যেত নদীর ধারে। আর শুধু কি নদী? নদীর একটু দূরে যে খালি মাঠটা ছিল- সারাবছর ফাঁকা থাকত মাঠটা; কেবল যখন খুব বৃষ্টি হতো, বাবাটা বলত ‘বর্ষা’, সেই বৃষ্টির পর মাঠটা ভরে যেত সাদা সাদা কাশফুলে।
গাঁয়ের দু’পাশে ছিল দু’টি ঘন জঙ্গল, গাঁয়ের লোকেরা বলত ‘বাগান’। ঐ বাগানগুলোতে কেউ যেতে চাইত না ভয়ে কিন্তু বাবার কাছে ফুল আর গাছ চেনার নেশাটা মেজ রাজকন্যাকে এমন পেয়ে বসেছিল যে ও স্কুল থেকে ফিরেই ছুট লাগাতো বাগানগুলোর দিকে। ইস! কী সুন্দর সুন্দর ফুল, কোনোটা বড় বড় গাছকে হাঁচড়ে পাঁচড়ে ধরা সবুজ লতায়, কোনোটা মাথা সমান উঁচু ছোট গাছগুলোয়। আর কী বাহারি রঙ, কোনোটা টকটকে লাল তো কোনোটা ধবধবে সাদা। কোনো কোনো গাছে সুন্দর সুন্দর জংলা ফল! বাবা’টার গলা জড়িয়ে ধরে মেজ রাজকন্যা মাঝেমাঝেই বলত-“আমি বড় হলে ঠিক ঐ বাগানে থাকব, বাবা। কী সুন্দর ফুল বাগানে! তখন তো আর আমার ভূতের ভয় থাকবে না!” বাবা’টা হাসত এ কথা যতবার শুনত, ততবারই, আর মা মিছিমিছি বকুনি দিত ‘গেছো মেয়ে’ বলে।
কিছুদিন পর পর বাবা আর মা মিলে কোথায় যেন যেত; না না স্কুলে নয়, অনেক দূরে কোথায় যেন, সক্কালবেলা গিয়ে ফিরতে ফিরতে সেই সন্ধ্যা পার। সেই দিনগুলোতে ওরা চারজনে থাকত ঠাকুরমা’র কাছে। ঠাকুরমাটা খু-উ-ব আদুরে ছিল, খুব যত্ন করে ওদের স্নান করিয়ে খাইয়ে দাইয়ে ঘুম পাড়াত, খেলতে দিত। ঠাকুরমাটা গল্প বলত দারুণ-রাক্ষস খোক্কস আর রাজারানীর গল্প। তা সেসব গল্প ওরা জানতো অবশ্য আগে থেকেই; বাবার যে একটা ঘর আছে বইয়ে ভরা, ওখানেই রাক্ষস খোক্কস আর রাজারানীর বইও আছে। তবে বইয়ে তো শুধু লেখা, ঠাকুরমার মুখে খুব মিষ্টি শোনাত গল্পগুলো।
সন্ধ্যাবেলায় বাবা আর মা ফিরে এলে ওদের ছোট ছোট হাত ভরে যেত নানান জিনিসে। জামা-জুতা-বই-খাতা-কলম আরও কত কী! কী করে যেন বাবা আর মা’টা ঠিকঠাক বুঝে যেত ওদের কার কী পছন্দ! কোন রঙ, কেমন ছবি আঁকা মলাটের খাতা, কোন দেশের রূপকথার বই, সব। আর প্রতিবারই মা নিয়ে আসত ছোট্ট ছোট্ট প্যাকেটে কমলালেবুর মতো দেখতে কমলালেবুর মতো গন্ধের লজেন্স। ইস! কী যে খুশি হতো ওরা সেই লজেন্স পেলে। বাবা আর মা’কে ওদের সেই দিনগুলোতে সত্যিকারের রাজা-রানীর মতো লাগত। বড় রাজকন্যা একদিন বাবার কাছে জানতে চেয়েছিল বাবা আর মা কোত্থেকে এসব জিনিস আনে আর ওদের ঠাকুরমা’র কাছে রেখে যায়ই বা কোথায়। বাবা বলেছিল-“আমরা তো স্কুলে পড়াই, তার জন্য সরকার আমাদের বেতন দেয়। তো বেতন আনতে শহরে যেতে হয়, মামণি, সেই শহরে সব পাওয়া যায়।” সব? এগুলো ছাড়া আরও অনেককিছু? চোখ কপালে তুলে বড় রাজকন্যা আবার জানতে চেয়েছিল। বাবা মাথা দুলিয়ে উত্তর দিয়েছিল, আরও অ-নে-ক-কি-ছু। তাই শুনে ওদের খুব শহর দেখতে ইচ্ছে করেছিল, না জানি শহর দেখতে কেমন হয়! আর একটু বড় হলে অবশ্য ওদের সবাইকেই শহর নিয়ে গিয়েছিল বাবাটা আর মা’টা্। একবার করে নয়, অনেকবার করে।
রাজপুত্র আর রাজকন্যারা অবশ্য বড় হয়ে সব বড় বড় শহরে চলে গিয়েছিল, লেখাপড়া করতে। কিন্তু সেই ছোট্টবেলার শহর দেখার কথা ভুলতে পারেনি কেউই। সেই গাড়ি-ঘোড়া, মানুষ আর বাহারি সব জিনিসে ঠাসা বড় বড় দালানগুলো! শহর কেমন যেন, ওরা ঠিক ধরতে পারত না তবে ওদের গাঁয়ের মতো মিষ্টি যে একেবারেই নয়, তা বুঝত বেশ। শহরে গেলেই রাজ্যের জিনিসের বায়না করত ওরা, আর বাবা-মা কিনে দিত; সব নয় অবশ্য, কিছু কিছু জিনিস পরে কিনে দেবে বলত। কে জানে, বাবা-মা’র তখন টাকা পয়সা কম পড়ত কি না! ওদের অবশ্য বলত না কিছু।
তারপর অ-নে-ক দিন কেটে গেছ। এখন সেই গাঁ-টায় বিজলি বাতি পৌঁছে গেছে ফুঁসমন্তরে; টিভি, মোবাইলফোন আছে সবার বাড়িতে, বাবাদের বাড়িটাতেও। রাস্তাগুলো পাকা হয়েছে, সেগুলোতে রিকশা ভ্যান চলে হর্ন দিতে দিতে। নদীটা আর একটু দূরে চলে গেছে শুকিয়ে এতটুকুন হয়ে। আর সেই যে বাগান দু’টো ছিল; সেগুলো এখন শুধু বাঁশঝাড়, মেজ রাজকন্যার প্রিয় ফুলগাছগুলো কী করে যেন নাই হয়ে গেছে হঠাৎ করে। অনেককিছু বদলে গেছে বাবাদের গাঁ’টার। কেবল বাড়ির বাইরে ঠাঁয় দাঁড়ানো ছিল যে তালঢ্যাঙ্গা তালগাছটা, সেটা আগের মতোই আছে। অবশ্য তালগাছটায় ফাল্গুনের শেষ থেকে বাসা বাঁধতে শুরু করে যে বাবুইয়েরা ওদের সংখ্যা কমে গেছে অনেক। কিন্তু এসব একটাও আসল কথা নয়।
আসল কথাটা হলো-বাবাটা আর মা’টা খুব বুড়ো হয়ে গেছে এখন। চুল সাদা হয়ে গেছে, বাবার দাঁত পড়ে গেছে কয়েকটা। তারচেয়েও আসল কথা হলো, রাজপুত্র আর রাজপুত্রেরা কেউই আর থাকে না তাদের বাড়িটায়। সব্বাই লেখাপড়া শিখে বড় বড় চাকুরি করে বড় বড় শহরে, ওদের নিজেদেরই সবার ঘরে ফুটফুটে রাজকন্যা আর রাজপুত্র হয়েছে এখন। সেই ‘ফুলের বাগান’ এখন বাড়িটাতে বুড়ো্বুড়ি বাবাটা আর মা’টা চুপটি করে বসে থাকে সারাদিন, এটা ওটা করে আর নিজেদের মধ্যে গল্প করে সময় কাটায়। রাতে বিজলি বাতির আলোয় বসে টিভি দেখে। মোবাইলে রাজপুত্র আর রাজকন্যাদের সাথে প্রতিদিনই কথা বলে-ওদের বাড়ির ছোট্ট রাজকন্যা আর রাজপুত্রদের রিনিঝিনি কণ্ঠ শোনে। তবে এটাও সবচেয়ে বড় আসল কথা নয়।
সবচেয়ে বড় আসল কথাটা হলো যখন তখন বাবাটা আর মা’টার রাজপুত্র-রাজকন্যাদের কথা মনে হয়, ওদের দেখতে ইচ্ছে করে, সেই সময়গুলোতে বাবাটা আর মা’টার খুব কান্না পায়। খাঁ খাঁ করা বাড়িটায় বিজলির আলোয় দেখা যায় ওদের চোখের কোণে জল টলমল করে। কিন্তু ওরা কাঁদে না, মজার মজার গল্প বলে কান্নাটাকে ফেরত পাঠায় চোখের ভেতর। ভাগ্যিস বাবাটা আর মা’টা অনেক বই পড়েছে, না হলে এত মজার গল্প ওরা কী করে জানতো বল তো? বাবাটা আর মা’টা এত্ত বোকা, ওদের সারাদিন রাজপুত্র আর রাজকন্যাদের কথা মনে পড়তে থাকে, পড়তেই থাকে; মজার গল্প না জানলে তো ওরা কান্নাটাকে ফেরত পাঠাতে পারত না, কাঁদতেই হতো, তাই না?
মন্তব্য
মিষ্টি গল্প!
নিয়মিত হন সচলে, তবে লেখার শেষে নাম/নিক দেবেন দয়া করে।
চার তারা দিলাম।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
চার তারা!!!! । আপনার মতো আর লিখতে পারি কই, বলুন? লেখার শেষে নাম দিতে ভুলে গেছি, বড্ড ভুলোমন। আর চব্বিশ ঘণ্টাই তো অপেক্ষা করলাম মনে হয় (হিসেবে ভুল হয়েছে কি?)-লেখাটা এলো না, অন্য লেখা একটা পাঠিয়ে দিলাম। এখন দেখি দুইটাই এসেছে। ভয় লাগে, ব্লক না খাই!
দেবদ্যুতি
বাহ। আরকিছু বলার নাই।
কিন্তু নাম কই?
স্বয়ম
নাম লিখতে মনে নাই
দেবদ্যুতি
দ্যুতি ছড়িয়েছে আপনার গল্পটা ।গল্পের বাগানটা আপনার থাকুক আর আমরা গন্ধ নেই?শুভ্রতার বাতাবরনে চালিয়ে যান।
------------
রাধাকান্ত
সচলে এত্ত এত্ত দ্যুতিময় লেখক, আমার লেখা নিতান্তই ছাইপাশ, বেশ জানি।
দ্যুতি ছড়াতে থাকুন গল্পের বাগানে।
---------
রাধাকান্ত
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
ছাইপাশ হবে কেন? ক্যান আপনি জানেন না? যেখানে দেখিবে ছাই...তাই তো আমরা উড়াইয়া দেখি। হা হা হা। চলতে থাকুক ।
----------
রাধাকান্ত
বিষাদ-বিধুর মিষ্টি গল্প। আমাদের মতন বাইরে চলে আসা লোকেদের বাবা-মায়েদের গল্প, চেনা ছবি। ভালো লেগেছে।
দু'টি কথা ছিলঃ
(১) মা'র মানে হচ্ছে মায়ের। 'মা' আর 'র'-এর মাঝের ঐ উপরের ইলেক বা লোপ চিহ্নটি বসানো হয়েছে লুপ্ত হয়ে যাওয়া 'য়ে'-কে বোঝাতে। কিন্তু মা'টা যখন বলা হচ্ছে তখন ঐ ইলেক বা লোপ চিহ্নটি কারো বদলে বসছে না। তাই এক্ষেত্রে মনে হয় ঐ চিহ্নটি না বসাটাই ঠিক হত।
(২) এ লেখায় বাবাটা, মাটা যখন বলে হচ্ছে তখন সেটা তাঁদের আদর করে বলা হচ্ছে। ঠিক-ই আছে। কিন্তু এত বেশী বার 'টা' প্রত্যয়টির ব্যবহার খানিকটা অস্বস্তিকর লেগেছে।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
অসংখ্য আপনার জন্য। আমিও প্রথমে এমন করেই লিখেছিলাম-দেখি কী, মাটা কেমন জানি চোখে লাগে, মানে আমার মনে হয়েছে যে ‘মাটা’ বোধহয় একটা শব্দ যেটা দেখতে খুবই খারাপ, তাই বানানটা অমন করে দিলাম। পরেরবার আর দেব না তাহলে
আর ‘টা’ নিয়েও ভাবব
ভালো লেগেছে!!!
অনেক অনেক ধন্যবাদ,
নতুন মন্তব্য করুন