এই টিএসসি, হায় টিএসসি!

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ২৮/০২/২০১৫ - ৪:৩২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গতকাল রাতে রকমারিতে বিভিন্ন লেখকদের বইয়ের তালিকা ঘাঁটছিলাম আর ঠিক করছিলাম যে কী কী বই কেনা যায় বইমেলা থেকে। কিন্তু লেখক বাছাই করতে গিয়ে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছিলাম কারণ বাংলাদেশে আমার প্রিয় লেখকদের তালিকাটা খুব বেশী বড় না। আর তাঁদের বই আগেই কেনা হয়ে গেছে। হঠাৎ মনে এল একজনের নাম। তার একটা বই আমি বড় ভাইকে দিয়ে কিনিয়েছিলাম বইমেলা থেকে বছর ছয়েক আগে। বইয়ের নাম “বিবর্তনের পথ ধরে”। লেখিকার নাম বন্যা আহমেদ। বাংলা ভাষায় বিবর্তন নিয়ে এমন চমৎকার বই আর চোখে পড়েনি আমার। সার্চ দিলাম রকমারিতে বন্যা আহমেদের আর কোন বই আছে কিনা দেখার জন্য। নাহ নেই। হতাশ হয়ে ফেসবুকে ঢুকলাম আর চোখ যেন স্থির হয়ে গেল। অভজিৎ রায় আর তার স্ত্রী বন্যা আহমেদের উপর হামলা হয়েছে। আমি তখনও জানতাম না যে অভিজিৎ মারা গেছেন কিংবা এই বন্যা আহমেদই লেখিকা বন্যা আহমেদ। তবু আমার বুক কেঁপে উঠল, মনে হল ভীষণ অশুভ কিছু ঘটে গেছে। একটু পরেই খবর পাওয়া গেল যে একজন আর নেই, অন্যজন তার আঙুল হারিয়ে মৃত্যুর সাথে লড়ছেন। আমার দেহ যেন অবশ হয়ে গেল, চিন্তাধারা গেল স্থবির হয়ে। হুমায়ূন আজাদের সময় আমি অনেককিছুরই খবর রাখতাম না, কিন্তু এবারের ব্যাপারটা ভিন্ন। কিছু কিছু ছবি আসতে লাগল ফেসবুকে। হুমায়ূন আজাদের মতই রক্তস্নাত মুখে তীব্র দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন বন্যা, আর রক্তের বিছানায় শুয়ে আছেন অভিজিৎ। একটা ছবিতে দেখা গেল, বন্যা ঐ আহত অবস্থায় সাহায্যের জন্য ছুটছেন, আর তার দুই হাত দূরে লোকজন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছে! এরাই আমার দেশের মানুষ, আমার কি গর্ব না হয়ে পারে! কয়েকশ মানুষের মাঝখানে দেশের প্রধান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রেরও কেন্দ্রস্থলে দুইজন লেখক-লেখিকাকে অনায়াসে কুপিয়ে চলে যাওয়া যায়, আমাদের বিপন্ন সাধারণ জনতা থেকে শুরু করে ওই কেন্দ্রের ইজারা নেওয়া বিপ্লবী ছাত্রজনতা কিংবা বীর পুলিশ বাহিনীর হা করে দেখা ছাড়া কিছু করার থাকে না। এদের নিয়েই কি আমি স্বপ্ন দেখি?
গলার আটকে থাকা কান্না আর সীমাহীন অস্থিরতা নিয়ে কখন ঘুমিয়ে পড়লাম আমি নিজেও জানি না। স্বপ্নের মাঝে আমি আবার দেখলাম যে অভিজিৎ মারা গেছেন। যখন সকালে ঘুম ভাঙল, আমার তখন বেশ ফুরফুরে মেজাজ কারণ নিশ্চয়ই আমি এতক্ষণ দুঃস্বপ্ন দেখেছি, সত্যি সত্যি তো আর অভিজিৎ এভাবে খুন হয়ে যেতে পারেন না! আমার ঘোর ভাঙতে সময় লাগল না। একবার ভাবলাম আমি আর কক্ষনো বইমেলায় যাব না। আবার পরমূহুর্তেই মনে হল কেন আমি এতসহজে সবকিছু ওদের হাতে ছেড়ে দেব? আমরা যদি আজ বইমেলা বয়কট করি তাহলে জায়গাটা পঁচবে আরও দ্রুত, আরও দ্রুত চলে যাবে নষ্টদের অধিকারে। তাতে কী বড় লাভ হবে?
গিয়ে নামলাম শাহবাগে। জাদুঘরের সামনে ব্যানার নিয়ে কয়েকজন আছেন। মাইকের আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে কিন্তু আওয়াজকারীগণ খুব একটা দৃশ্যমান নন। বিশাল এক মিছিল আসতে লাগল টিএসসি থেকে। একটু ভাল লাগল যে একটু হলেও তো চেঁচামেচি হচ্ছে। নাহ, আমার ভুল ভাঙল। ওটা কমিউনিস্ট পার্টির মিছিল। তাঁদের স্লোগান, “শ্রমিকের সংগ্রাম, থামবে না থামবে না!” ফুটপাথ ধরে আগাচ্ছি, আর আমার প্রতিনিয়ত ভয় বাড়ছে এই বুঝি আমি সেই অভিশপ্ত জায়গায় চলে এলাম। এর আগে টিএসসির আশেপাশে ঘুরতাম প্রায়ই মনে হত আমি যেখান দিয়ে হাঁটছি সেখানেই হয়ত রক্তাক্ত হুমায়ূন আজাদ নিশ্চল হয়ে পড়ে ছিলেন। আজ আর কোন অনিশ্চয়তা নেই, আমি জানি সেই অশুভ জায়গা আজ আমি এড়াতে পারব না। অবশেষে পৌছালামও সেখানে। ফুটপাথের ধুলোগুলো জায়গায় জায়গায় ধুয়ে গেছে রক্তে। কয়েকটা রজনীগন্ধার স্টিক রেখেছে কেউ। পার্কের গ্রীলে মৌলবাদ বিরোধী একটা ব্যানার টানানো আছে। জায়গাটা পুলিশের টেপ দিয়ে ঘেরা। কিন্তু কারা যেন সেই ঘেরা জায়গাটুকু গাঁদা ফুল দিয়ে চিহ্নিত করে রেখেছে। ঘেরা জায়গার আশেপাশে কিঞ্চিৎ ভীড় দেখা গেল। কয়েকজন এমনকি ছবিও তুলে যাচ্ছে মোবাইলে। কী তুলছে তারাই জানে। পুরো দেশটাই তো দিন দিন বধ্যভূমি হয়ে যাচ্ছে, কত ছবি তুলবে?
টিএসসির দিকে তাকিয়ে আমি হতভম্ব হয়ে গেলাম। সেখানে কি উৎসব চলছে? বইমেলায় আগত ভীড়ের উৎসবমুখর কলরবের কথা বাদই দিলাম, কিন্তু একজায়গায় স্টেজ বানিয়ে গীটার, ড্রাম, মাইক নিয়ে কনসার্ট শুরু করার প্রস্তুতি চলছে দেখা গেল। কী ব্যাপার? না, কীসের নাকি ৪র্থ বর্ষপূর্তি। বিরাট ব্যাপার। ধীর পায়ে বইমেলায় গিয়ে ঢুকলাম। পথে পুলিশের বীরত্ব চোখে পড়ল। তারা আজ বীরবিক্রমে ফুটপাথের গরীব বিক্রেতাগুলোকে উচ্ছেদে ব্যস্ত। মানুষগুলো এই এক মাস একটু বাড়তি আয় করবে সেটা যেন কারও সহ্য হচ্ছে না। বইমেলায় কোন পরিবর্তন চোখে পড়ল না। সবকিছু স্বাভাবিক, সাবলীল। কোন লেখক জমায়েত কিংবা লেখকদের কোন প্রতিবাদলিপি কোথাও চোখে পড়ল না। গেলাম শুদ্ধস্বরে, অভিজিৎএর নতুন বইখানার জন্য। পেলাম না। সব শেষ হয়ে গেছে। হতাশার বদলে একটু যেন আনন্দ লাগল, ওরা অভিজিৎকে থামিয়ে দিয়েছে কিন্তু তার চিন্তা-চেতনাকে কীভাবে ঠেকাবে?
ফিরতে লাগলাম টিএসসির দিকে আবার। সেই কনসার্টের স্টেজে একটা মেয়ে কথা বলছে। আমি থমকে দাড়ালাম। নাহ, মেয়েটার কথা তো কনসার্টের উপযোগী বলে কিছু মনে হচ্ছে না। গেলাম এগিয়ে। সে যেন এক বিষণ্ণতার ধোঁয়ায় মোড়া অগ্নিঝলক। কথা বলতে তার গলা ভেঙে যাচ্ছে বারবার, দমিয়ে রাখা কান্নায় বুজে আসছে গলা, কিন্তু তার কথাগুলো যেন কাঁপিয়ে দিয়ে যাচ্ছিল সবাইকে। অবশ্য যারা পরিস্কার দিনের আলোতেও কিছু দেখে না তাদের কথা আলাদা। মেয়েটি দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করল আজকে সেই পৈশাচিকতার মাত্র পরের দিনে ঘটনাস্থল থেকে কয়েক মিটার মাত্র দূরে এই কনসার্টের আয়োজন কতখানি কাণ্ডজ্ঞানহীনতার পরিচয় দেয়। সে বলল, “আমার আজ ভাবতেও খারাপ লাগছে যে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী। যে বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সাথে আছে অঙ্গাঅঙ্গি সম্পর্ক, যে আপনারা একসময় আর্মির সাথে লড়েছেন, তারাই আজ এক লেখকের হত্যাকাণ্ডের পরে চুপ তো করে আছেনই এখন আবার কনসার্টের আয়োজন করেছেন!”
মেয়েটি আরও কিছু তীব্র কথা বলে নেমে ভীড়ের মাঝে হারিয়ে গেল। কনসার্টের উপস্থাপক মাইক হাতে নিয়ে ঠিক এভাবে শুরু করলেন, “আজকে অভিজাত রায়....স্যরি অভিজিত রাই...স্যরি আমি নামটা ঠিকমত বলতে পারছি না, অভিজিৎ রায় মারা গেছেন। তার আত্না........”
বাহ, এই না হলে সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের ছাত্র। তারা কনসার্ট শুরু করেই ছাড়ল। অসম্ভব বাজে রকমের গায়কী যেন পুরো জায়গাটিকে উপহাস করতে লাগল। ঘৃণায় থুতু ছিটিয়ে সেখান থেকে সরে এলাম।
সময় বাড়ছে, ভীড় বাড়ছে বহুগুণে। বইমেলায় মনে হয় আর তিল ঠাই নেই। সবাই হাসিখুশী, কারও কোনও মাথাব্যাথা নেই। যে যার নিজের তালে আছে। কিছুক্ষণ পরে একটা মশাল মিছিল আসল। মিছিলের সবার হাতে হাতে জ্বলছে আগুন। ঐ আগুন মোহ জাগায়, ঐ আগুন নিভে গেলে মোহও যায় ফুরিয়ে। কিন্তু আমার ভেতরে যে আগুন জ্বলছে সেটা কেউ দেখতে পারছে না। এই আগুন সহজে নেভার নয়। মাথা নীচু করে শাহবাগের দিকে ফিরতে লাগলাম। পুরো দেশটাই চলে যাচ্ছে ওদের হাতে, একটুকরো যাও বা ছিল শাহবাগ, সেখানেও আজ হিংস্র শয়তানেরা আস্ফালন করে যায়। কীভাবে মাথা উঁচু করব আমি? চোখের সামনে যেন দেখতে পারছি আরও অনেক আগুন জ্বলবে এদেশে, সবুজ মাটি কালচে লাল হয়ে উঠবে শুকনো রক্তে, সব রঙ যেন ঢেকে যাবে কালো আর সাদায়। সেই মৃত্যুপুরী, সেই বদ্ধ সমাজে সবাই মাথা নীচু করে হাঁটবে। এখন থেকেই কি তাই প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করব যাতে তখন শিরদাড়া টনটন না করে?
(২৭/০২/২০১৪)

- সীমান্ত রায়


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

শিরদাড়া কতটা বাকাবেন ? সোজা হয়েই হাটতে শিখতে হবে। অন্যদেরও শেখাতে হবে।
=========
মামুনুর রশীদ

অতিথি লেখক এর ছবি

সহমত

অতিথি লেখক এর ছবি

দাদা সীমান্ত রায় এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর আগের মতো নেই, এখন নাকি এখানে নষ্টদের আনাগোনাই একটু বেশি হয়্ ।আপনার মতো হাজারো মানুষ স্তম্ভিত। দাদা আজ দু দিন ঘুমাতে পারছি না খেতে পারছি না।হঠাত করে মনে হলো বড় ধরনের শূন্যতায় পড়লাম। তবুও জীবন যাচ্ছে কেটে জীবনের নিয়মে!হায় আমরা কি আদৌ মানুষ। নাকি মানুষ হতে হবে?

-----------
রাধাকান্ত

অতিথি লেখক এর ছবি

আসলে দেশের সামগ্রিক প্রেক্ষাপটের কাছে ঢাবিও কোন বিচ্ছিন্ন এলাকা নয়। আমরা কীভাবে আশা করতে পারি যে, যে ছাত্রটি বুকে বিদ্বেষ পুষে বড় হচ্ছে দেশের কোন এক প্রান্তে, সে হঠাৎ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে পা রেখেই একদম মুক্তমনা হয়ে যাবে? আর বহিরাগত ছাত্রদের কথা নাহয় বাদই দিলাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা তেমনই হয়ে উঠবে যেমনটি এর ছাত্ররা দেখতে চায়। মুক্তমনারা যদি দিনদিন কোণঠাসা হয়ে গিয়ে গর্তে লুকোয় তাহলে ১৫ বছর পর এই ক্যাম্পাসের চেহারা কী হবে ভাবতেই ভয় লাগে।

অতিথি লেখক এর ছবি

ঘুমের সমস্যাটা পুরনো আমার কিন্তু এই ঘটনার পর একদমই ঘুমাতে পারছি না। কেমন যেন ভয়ঙ্কর তীব্র একটা অনুভূতি হচ্ছে। এতটা পৈশাচিক কী করে হয় মানুষ? তেমনি আরও একটা প্রশ্ন জাগে-এতটা কাপুরুষও কী করে হয় মানুষ? কী করে বইমেলার সময় ব্যস্ত টিএসসি-তে একজন লেখক, একজন মানুষ খুন হয়ে যেতে পারেন? আমার দেশের এই সময়ের মানুষগুলো কি দুই প্রকার-একদল নৃশংস, আরেকদল কাপুরুষ্য কাপুরুষ? আমি নৃশংস নই নিশ্চিত জানি, তাহলে আমি নিশ্চয়ই ভিরু কাপুরুষেরই দলে। আমরা অভিজিৎ-এর স্মৃতির উদ্দেশ্যে ফুল দিতে পারি, তাকে রক্ষা করতে পারি না। এতটাই অসহায় আমরা! সান্তনা পাচ্ছি না কোথাও...

দেবদ্যুতি

অতিথি লেখক এর ছবি

সত্যিই আমরা বেশ অসহায়। কালকেই যদি আরও একজন খুন হন কিংবা পরশু আরেকজন, তবুও আমরা ঘরে বসে কীবোর্ডে ঝড় তুলতে পারব কিন্তু রক্ষা করতে পারব না একজনকেও।

অতিথি লেখক এর ছবি

হুমায়ুন আজাদ স্যার যখন আক্রান্ত হন, তখন আমি বা আমরা ছাত্র। রাত থেকেই, আন্দোলন শুরু হয়। এবারও তাই হয়েছে। তবে তফাৎটা হচ্ছে, সে সময়, সাধারণ শিক্ষার্থীরা স্বতস্ফুর্তভাবে নেমে এসেছিল। এবার তা এখনো দেখা যাচ্ছে না। তবে, প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলো তাদের সর্বোচ্চ দিয়েই চেষ্টা করছে, যেমনটা করে আর কি সবসময়। ৪ তারিখ পর্যন্ত কর্মসূচী ঘোষিত হয়েছে। মূল বিষয়টা হলো- সাধারণ শিক্ষার্থীরা, তরুণ লেখক থেকে শুরু করে বুদ্ধিজীবীরা এরা সক্রিয় হয়নি এখনো। এর কারণ একদিকে যেমন শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ অন্যদিকে রয়েছে মিডিয়াবাজী। এরা লেখে বা গায় টিভিতে বা কাগজে নিজ মুখটা দেখার লোভে। সাংস্কৃতিক সংগঠন করে রমরমা মিডিয়ার একটা অংশ হওয়ার জন্য।

স্বয়ম

অতিথি লেখক এর ছবি

একদম ঠিক। সেইজন্যই আমার আস্থা আর ভরসার জায়গাগুলো ছোট হয়ে আসছে দিনদিন। এতবড় অন্তঃসারশূন্য জনগোষ্ঠী নিয়ে আমরা কীভাবে এগিয়ে যাব? আর এই অন্তঃসারশূন্যতা যেমন একদিনে হয়নি তেমনি তা দূর করতেও যে কতদিন লাগবে তা কে বলতে পারে!

অতিথি লেখক এর ছবি

এতটা পৈশাচিক কী করে হয় মানুষ?

ভুল বললেন, ওরা তো মানুষ নয়। ওদের পশু বললে পশুদের অপমান করা হয়। ওদের কাসাই বললেও ওদের খারাপত্ব পুরোপুরি বলা হয়না। আসলে ওদের মন্দরূপ বর্ণনার শব্দ আমার জানা ভাষা গুলোতেে এখনও আবিষ্কৃত হয়নি। আপাতত বলছি ওরা মানুষ হত্যার কসাই (মাহক)। জানি এ নামটিও সঠিক হয়নি।
- পামাআলে

হাসিব এর ছবি

মাছ পচা শুরু করে মাথা থেকে। মাথার পচন হয়তো অনেকদিন পরে আপনার চোখে পড়লো।

অতিথি লেখক এর ছবি

হুম, পচার গন্ধ পাচ্ছিলাম অনেকদিন থেকেই। এখন ব্যাপারটা দৃশ্যমান হল আর কী।

তানিম এহসান এর ছবি

মাথা পচেছে আর লেজে সমস্যা ঘাপটি!

রানা মেহের এর ছবি

তবুতো কেউ একজন দাঁড়িয়ে ছিল মঞ্চে যে বলে গেছে
কতটা পাষবিক এই 'কনসার্ট'।
এভাবেই বাকিরা হয়তো রাস্তায় নামবে একদিন

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

অতিথি লেখক এর ছবি

সেটাই। যেমন ভাগ্যিস কেউ একজন গোলাম আজমের লাশের গাড়িতে জুতা মেরে আমাদের মুখ রক্ষা করেছিল। আমরা তো সবাই অক্ষমের মত মেনে নিয়েছিলাম। ঐ মেয়েটিকে ধন্যবাদ বা কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা নেই আমার।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।