শুক্রবার সকালে আউট পেশেন্ট ক্লিনিক, বসে বসে অনেক কিছু ভাবছিলাম। অন্য দিনের চেয়ে আজ স্কেজুল বেশ হালকা। গত কয়েক দিন প্রচণ্ড শীত পড়ায় অনেক রুগী শেষ মুহূর্তে এপয়নমেন্ট ক্যানসেল করেছেন। খুব ধীরে সুস্থে সবাইকে দেখছি আজ। শেষ রুগীটি প্রথমবারের মতো আমাকে দেখাতে এসেছেন। তার সাথে কথাবার্তা শেষ করে ল্যাব স্লিপ লিখছি, তিনি হঠাৎ জানতে চান,
-ডক, তুমি কোন দেশের?
আমেরিকার শ্বেতাঙ্গ প্রধান ছোট্ট এই শহরতলীর অনেক রুগীকেই আমার তামাটে গায়ের রং, ঘন বাদামী চুল, এবং বিশেষ টানযুক্ত ইংরেজী উচ্চারণ খুব কৌতূহলী করে তুলে, বুঝতে পারি। অনেকে ভদ্রতা করে জিজ্ঞেস করেনা না। আবার অনেকে প্রথম দিন-ই জিগ্যেস করে ফেলেন। আমি পাল্টা জানতে চাইলাম,
-তোমার কি মনে হয়? ও একটু ভেবে বলে,
-ইন্ডিয়ান
-না, আমি ইন্ডিয়ান না।
-পাকিস্তান?
-কিছুতেই পাকিস্তানী নই, কক্ষনো না।
-তাহলে কি হিস্পানিক? নাকি মেক্সিকান? ঠিক বুঝতে পারছি না। আমি হেসে বলি,
-একটিও নয়। আমি বাঙালী, আমার দেশ বাংলাদেশ।
-বাংলাদেশ?
-হ্যাঁ, আমরা যদিও এক সময় ভারত উপমহাদেশের অংশ ছিলাম। কিন্তু স্বাধীন হয়েছি আজ অনেক বছর।
- ওহ...। তুমি এদেশে কতদিন। আমি উত্তর দেই। ও হেসে বলে,
-তুমি তো তাহলে নিশ্চয় আমেরিকান ও, তাই না?
হ্যাঁ, আমি আমেরিকান। পাসপোর্টে জাতীয়তা বদল হয়েছে আজ অনেক বছর। মাথা নেড়ে সায় দেই।
-তুমি এখনও তোমার দেশে যাও?
-হ্যাঁ, সুযোগ পাওয়া মাত্রই। যদিও যতো যেতে চাই ততো যেতে পারিনা।
-তুমি কি ফিরে যাবার কথা ভাবো? সুযোগ পেলে তুমি কি ফিরে যাবে?
এই প্রশ্নের উত্তরটা বেশীর ভাগ সময় খুব সহজেই দিয়ে দেই, একটু-ও ভাবতে হয়না। কিন্তু কোন কোন প্রচণ্ড সংশয়ের দিনে সঠিক উত্তর আমার জানা থাকে না। আজও তেমন একটি দিন। নাহ, উত্তর দিতে ভালো লাগছিল না। এড়িয়ে যাই।
ক্লিনিক শেষে হাসপাতাল, রুগী দেখে নোট লেখা শেষ করে বেরিয়ে এসেছি আগে আগেই। অফিসে একটু থেমে উইক এন্ডের আগে জমে থকা সব ল্যাব রিভিউ আর প্রেসক্রিপশন রিনিউ করে, বিলিং এর পেপারগুলো বুঝিয়ে দিয়ে বেশ তাড়াতাড়ি ঘরের পথ ধরি।
পটোম্যাক নদীর জলে আজ সোনালী রোদের ঝিলিমিলি। ফেব্রুয়ারীর প্রায় শেষ বেলায় ঘরে ফেরার পথে উড্রো-উইলসন ব্রীজের উপর উঠতে উঠতে মুগ্ধ হয়ে দেখছিলাম। গতকালের তীব্র শীত এবং তুষার পাতের পর আকাশ-মাটি আলো করে রোদ উঠেছে আজ, কি অপরূপ শান্তি আর স্বস্তির একটা দিন। ব্রীজে একটুও ট্রাফিক নেই, দ্রুত পার হোয়ে এলাম, ফ্রি-ওয়েতে ভিড় জমে উঠেনি এখনও। রাস্তায় থেমে গ্যাস নিলাম। বিকেলে একটা নিমন্ত্রণ আছে, একটা ডিপার্টমেন্ট স্টোরে নেমে ছোট একটা গিফট কিনে অতঃপর বাড়ীর পথ ধরলাম। ছোট মেয়ে এইসময় স্কুল থেকে ফিরবে, স্কুল বাস নামিয়ে দেবে পাড়ার সামনে, ওর বাবা তুলে নেবে।। বড় মেয়ে আসবে আরেকটু পরেই। ও স্কুল বাস থেকে নেমে নিজে নিজেই হেঁটে বাড়ি ফিরবে। ও বাড়ি পোঁছবার আগেই আজ আমি বাড়ী পৌঁছে যাব। প্রাত্যহিকের পরিকল্পিত, নিশ্চিত আমেরিকান জীবন।
শেষ কয়েক মাইল ড্রাইভ করতে করতে ভাবছিলাম, অভিজিত রায়- এর কথা। অনেক জায়গায় পোষ্টে দেখলাম তাকে বলা হচ্ছে, আমেরিকান এথিইস্ট। আমেরিকান ষ্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে দেয়া বিবৃতি দেয়া হয়েছে, আমেরিকান এই নাগরিক এর মৃত্যুতে তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করা হয়েছে। একটা প্রশ্ন এসে যাচ্ছে বার বার গত কয়েকদিন বিভিন্ন আলোচনায়, আড্ডায়, পোষ্টে; কেন অভিজিত ফিরে গিয়েছিলেন। আমেরিকান অভিজিত কেন ফিরে গিয়েছিলেন এই পরম নিশ্চিত, ঝঞ্ঝাটহীন জীবন থেকে বাংলাদেশ নামক এক ভূখণ্ডে, অধুনা যেটি মুক্তচিন্তার বধ্যভূমি, ভিন্ন মতাবলম্বীদের জন্য এক মৃত্যু উপত্যকা, সেইখানে। আমারই মতো নিশ্চিত-নিরাপত্তার; প্রায় স্বপ্নের একটি জীবন ছিলো তার, আমেরিকার আটলান্টায়,আমি জানি। তবু শুক্রবার পড়ন্ত বিকেলর নয়নাভিরাম পটোম্যাকের জলে আলোর নাচন দেখতে দেখতে আমি একবারও প্রশ্ন করিনা, কেন তিনি ফিরে গিয়েছিলেন। উত্তরটিতো আমার জানাই আছে।
অভিজিত রায়-এর একটা লেখায় পড়েছিলাম; তিনি একবার তার বাবাকে কবার প্রশ্ন করেছিলেন, কেন তার বাবা জ্যেঠা বা কাকার মতো ইন্ডিয়া চলে যাননি। তার বাবার উত্তর পড়ে আমি ফিরে গিয়েছিলাম আমার কৈশোরে। কিশোরী আমি ১৯৮৫ এবং ১৯৮৬ সালে বাবরী মসজিদ নিয়ে ভারতের ঘটে যাওয়া ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দেশে উগ্র সাম্প্রদায়িকতার তীব্র আস্ফালন দেখেছি। দেখেছি কেমন করে ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে গেছে কতো কতো পরিবার। উজাড়, জনশূন্য হয়ে যেতে দেখেছি আমাদের গ্রাম। ১৯৯২ তে অবশেষে মসজিদটি ভেঙ্গে ফেলা হলে সেই সাম্প্রদায়িক অস্থিরতায় অনেক নির্ঘুম রাত কাটিয়েছি, সদ্য কৈশোর উত্তীর্ণ আমি। সেসময় দেশের অনেক এলাকায় নিরাপরাধ, নিরস্ত্র সংখ্যালঘুদের উপাসনালয়-ধন-জন--প্রাণের উপর নির্বিচার অত্যাচারে মেতে উঠেছিল অনেক নির্বোধ সংখ্যাগুরু। ধর্মীয় বিদ্বেষের অজ্ঞান, নগ্ন এবং বিধ্বংসী ঘাতক সেই রূপ আমার স্বচক্ষে দেখা। সেই বিভীষিকা চলাকালীন ভয়ঙ্কর আতংকের একরাতে আমি আমার বাবাকে প্রশ্ন করেছিলাম,
-বাবা তুমি কেন ইন্ডিয়া চলে গেলে না অন্যদের মতো? তাহলে আমাদের অন্তত এই দেশে এতো শঙ্কিত জীবন কাটাতে হতো না। বাবা বলেছিলেন,
-ইন্ডিয়া তো আমার দেশ না, মা। ওই মাটি তো আমার মাটি না। আমি স্বেচ্ছায় অনাথ হতে পারিনি, তোরা চলে যাস পারলে।
এরপরেও বিশেষ বিশেষ পরিস্থিতিতে আরো অনেক অনেকবার এই আলোচনা হয়েছে আমাদের ঘরে, বাবার উত্তর কখনও বদলায়নি।
-আমি মরলে এই মাটিতেই মরবো। অন্য কোন মাটি আমার মাটি না।
বাবাকে বলেছিলাম, এই বিদ্বেষ-বিভাজনের দেশ থেকে আমি সুযোগ পেলে নিশ্চিত চলে যাব। সুযোগ এসেছিল ঠিক ঠিক, আমিও পাড়ি জমিয়েছিলাম অভিযানে, নতুন মাটির সন্ধানে। নতুন মাটি দুই হাত ভরে দিয়েছে অনেক। পেয়েছি সামাজিক, শিক্ষা, এবং পেশাগত প্রতিষ্ঠা, মিলেছে অর্থনৈতিক মুক্তিও। পেয়েছি নিরাপত্তা, নিশ্চয়তা। পাসপোর্টের রং বদলেছে, বদলেছে জাতীয়তা। কিন্তু সত্যি কি কিছু বদলেছিল, কতটুকু বদলেছে, কিছু কি কোনদিন বদলায়!
নতুন অভিযানের আনন্দ উচ্ছ্বাস কেটে যাবার পর ধীরে ধীরে অসীম বিস্ময়ে দেখেছি, বুঝেছি, অনুভব করেছি, বুকের গহীনে ফেলে আসা পুরনো মাটির আবার প্রবল জেগে ওঠা, তার সুতীব্র টান, সেই পুরাতন সোঁদা গন্ধ...। সেই সাথে বিরূপ স্বদেশে ৯০ এর দশকে কাটানো অবাক আতংকের সব স্মৃতিগুলো ক্রমশ কেমন করে জানি ঝাপসা হয়ে এসেছে। আমি ক্ষমা করার উপলক্ষ খুঁজেছি, ক্ষমা করেছি। জিনস-স্যুট-টাই, বার্গার-ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজ-কোকাকোলা, কান্ট্রি-রক-পপ এর আমেরিকায় কয়েক যুগ বাস করেও, আমেরিকান হতে হতে আমি হয়ে গেছি; বাঙালী-আমেরিকান।
২০০১ এর নির্বাচনের পর দেশ জুড়ে আবার সংখ্যালঘুদের উপর হয় নির্মম অত্যাচার, তাদের ঘর-বাড়ী বা উপাসনালয় পোড়ে আবার, শিশু-কিশোরী-যুবতী-বৃদ্ধা; নির্বিচারে আক্রান্ত হয় তাদের নারী। আমি হাজার মাইল দূরে বসে নেট-এ তার সচিত্র প্রতিবেদন দেখি। কেপে উঠি, স্তব্ধ হই, ধিক্কার জানাই নির্বোধের নিদারুণ নিষ্ঠুরতায়। এবারে বাবাও বলেন, চলে এসে ভালোই করেছি। আমিই শুধু নিশ্চিত হতে পারিনা, নির্ঘুম রাত কেটে যায় কতো কতো। ২০১৩ সালে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি, দেশে যুদ্ধাপরাধী রাজাকার নরপশুদের বিচার শুরু হয়। দেশ জুড়ে সাথে সাথেই সাম্প্রদায়িক শক্তি সংখ্যালঘুদের উপর নারকীয় বর্বরতায় হামলে পড়ে। আমি বিষাদগ্রস্ত হই, মৌনী হই, নিষ্ফল প্রতিবাদী হই। এবার সবাই বলেন, চলে আসাটাই সঠিক হয়েছে। আমি-ই শুধু অনিশ্চিত দীর্ঘশ্বাস ফেলি সবার আড়ালে। ভাবি, বাবা ভাগ্যবান, তাঁর মাটিতেই তিনি শান্তিতে শুয়ে আছেন। আমি ক্ষমা করার উপলক্ষ খুঁজি, আমি আবারো ক্ষমা করি। আমি দিন গুনি, মাস গুনি, বছর গুনি। স্বপ্ন দেখি, পরিকল্পনা করি, সুযোগ খুঁজি, ফিরে যাবার। ভাবি, পেশাগত কারণে একেবারে ফিরে না যেতে পারি, মেয়েরা কলেজে চলে গেলে অন্তত ঘন ঘন দেশে যাওয়া যাবে।
আমি জানি, ধর্ম নিরপেক্ষ এবং মুক্তচিন্তার বাংলাদেশ, মৌলবাদের লালন-গৃহ, ভিন্ন ধর্মাবলম্বী এবং অবিশ্বাসীর জন্য ধর্মীয় কসাইখানায় পরিণত হলেও, হুমায়ুন আজাদ, রাজীব হায়দার'রা খুনীর নৃশংস ছুড়ির নীচে আত্মাহুতি দিলেও, ঘাতক সঙ্গিন উঁচিয়ে নিশ্চিত দাঁড়িয়ে আছে জেনেও অভিজিত রায় কেন ফিরে যান 'স্বদেশ' বলে খ্যাত সেই বৈরি শ্মশান ভূমে। উত্তরটা জানার জন্য আমার কাউকে কোন প্রশ্ন করতে হয়না।
রীতু
মন্তব্য
এই দেশটা এত ভালো কেন যে বাসি! এমনকী লেখাপড়া শেষ করে অব্দি একটা স্কলারশিপের আবেদন পর্যন্ত করলাম না। বন্ধুরা কত উৎসাহী হয়ে স্কলারশিপের খোঁজ করে, আমার মনে হয়, থাক-হয়ত কোনোদিন যাব! অথচ এখন ভয় লাগে, তার চেয়ে রাগ হয়, তারও চেয়ে বেশি আসে হতাশা।
দেবদ্যুতি
............................
রীতু
'সেই যেখানে সারাজীবন বৃষ্টি পড়ে, বৃষ্টি পড়ে...
সেই যেখানে কেউ যায়না, কেউ যায় নি কোনদিনই...'
পড়ে ভালো লাগল।
সচলায়তনে স্বাগতম। আরো লিখুন।
- মন্তব্যটা করেই লক্ষ্য করলাম, এটি লেখার নবম পর্ব। আগের পর্বগুলোর লিঙ্ক লেখার শেষে জুড়ে দিতে পারেন। তাতে নতুন পাঠকের জন্য পুরনো লেখা পড়তে সহজ হবে।
মন্তব্যের ঘরে কি আপনার অংশগ্রহন কম? লেখার সঙ্গে মন্তব্যে সক্রিয় হলে দ্রুত একাউন্ট পাবেন।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
এবার অনেক দিন পর লিখলাম। পেশা এবং সংসার-সন্তান-সামাজিকতা পার করে ব্লগে সময় দিতে পারিনা তেমন, তাই কমেণ্ট করা হয়না খুব যদিও পড়ি অনেক। তাই ব্লগে লেখাও বন্ধ করে দিয়েছিলাম। এবার না লিখে থাকতে পারিনি। আসলে অন্যদের লেখা না পড়ে বান পড়েও মন্তব্য না করে শুধু লিখে যেতেও ভালো লাগেনা।
আর আগের লেখাগুলো সারচ করলে পেয়ে যাবেন। আমার এই লেখার একটির সাথে অন্যটির তেমন কোণ সমন্ধ নেই, প্রতিটি আলাদা বিষয়, আলাদা ভাবনা নিয়ে লিখি।
অনেক ধন্যবাদ লেখা পড়ে আপনার আন্তরিক মতবাদ দেবার জন্য। ভালো থাকুন।
রীতু
'সেই যেখানে সারাজীবন বৃষ্টি পড়ে, বৃষ্টি পড়ে...
সেই যেখানে কেউ যায়না, কেউ যায় নি কোনদিনই...'
আমি নব্য বৈরাগি, সবে বছরখানেকের প্রবাসী। আর চারটে কোর্স বাকি, বাকি ১২টা ক্রেডিট। বাবা-মাকে ছেড়ে, পরিবার ছেড়ে, দেশ ছেড়ে হাজার মাইল দূরে থাকার এই সাময়িক নির্বাসিত জীবনে দিনের শেষে মন খারাপ থাকলে নিজেই নিজেকে চিয়ার আপ করি। মনে মনে ভাবি, এইতো.. এরপরই তো ছুটি।
মন বদলায়। সিনিয়র যে প্রিয় সচলা বারবার জিজ্ঞেস করতেন, তিথী কবে আসবে?-- তিনি হাল ছেড়ে দেওয়া স্বরে সেদিন বললেন, ওখানেই থেকে যাওয়ার চেষ্টা করো বরং। কোথায় ফিরবে? কেন ফিরবে? কেন ফেরে লোকজন!
উত্তরটা তো জানাই।
চমৎকার লাগলো এ পর্বটা। আপনার লেখায় মন্তব্য করার জন্যেই লগিন করলাম।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
তিথী,
প্রবাস বা পরবাস, আপন হতে হতেও কখনও আপন হয়না। আমি একঅস্ময় মাইকেল মধুসূদনের 'কপোতাক্ষ নদ' পড়ে ভাবতাম, একটা নদীর জন্য এমন করে ভাবতে হয় বুঝি।
এখন আমিও জানি। উত্তরটা জানা হয়েছে আমারও।
রীতু
'সেই যেখানে সারাজীবন বৃষ্টি পড়ে, বৃষ্টি পড়ে...
সেই যেখানে কেউ যায়না, কেউ যায় নি কোনদিনই...'
কিছু বলার নেই---
স্বয়ম
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
রীতু
'সেই যেখানে সারাজীবন বৃষ্টি পড়ে, বৃষ্টি পড়ে...
সেই যেখানে কেউ যায়না, কেউ যায় নি কোনদিনই...'
২০০১-২০০৬ এর কথা মনে হলে পিলে পর্যন্ত চমকে যায়্ । পাকিস্থানি জারজরা যে কি রক্ত বহন করছে তা বুঝতে বাকি থাকে না।
------------
রাধাকান্ত
--------------------------------------
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
'সেই যেখানে সারাজীবন বৃষ্টি পড়ে, বৃষ্টি পড়ে...
সেই যেখানে কেউ যায়না, কেউ যায় নি কোনদিনই...'
-------
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
দীর্ঘশ্বাস আর মৌনতা; এই দুইই সম্বল।
শুভকামনা, এক লহমা।
রীতু
'সেই যেখানে সারাজীবন বৃষ্টি পড়ে, বৃষ্টি পড়ে...
সেই যেখানে কেউ যায়না, কেউ যায় নি কোনদিনই...'
লেখার সরল আবেগে মুগ্ধ হলাম, এই অদ্ভুত আঁধারে ঘেরা সময়ে আমরা সবাই কমবেশি আবেগের বিষাদে প্রতিদিন ডুবে যাচ্ছি অতলে। আরো লিখুন
-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।
মাসুদ সজীব,
অনেক অনেক ধন্যবাদ, চেস্টা করবো লিখতে। শুভকামনা।
'সেই যেখানে সারাজীবন বৃষ্টি পড়ে, বৃষ্টি পড়ে...
সেই যেখানে কেউ যায়না, কেউ যায় নি কোনদিনই...'
আসলেই হয়না। কষ্টটা হলো বেশিরভাগ সময় সেই তাদেরও ফিরে যাবার পথ থাকেনা। জীবনের এমন করে গভীরে আটকে ধরে। শুধু যে প্রবাসে যায় সেই বোঝে, অন্য কেউ না।
শুভকামনা, পড়ার জন্য ধন্যবাদ আয়নামতি।
রীতু
'সেই যেখানে সারাজীবন বৃষ্টি পড়ে, বৃষ্টি পড়ে...
সেই যেখানে কেউ যায়না, কেউ যায় নি কোনদিনই...'
প্রবাস আসলেই কারো কারো আপন হয় না রে দিদি!
যেকারণে 'ও সে, ইউ ক্যান সী বাই দ্য ডাউন্স আর্লি লাইট'
ছাপিয়েও বুকের ভেতর গুনগুনিয়ে যায় ' চিরদিন তোমার আকাশ, তোমার বাতাস আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি...'
লেখাটা ভাল লেগেছে।
প্রবাস কখনো আপন হয়না কথাটা ঠিক না। এটা এক অর্থে অন্য দেশে থেকে সেই দেশকে অপমান করার মতোই।
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
রানা মেহের,
পড়ার জন্য ধন্যবাদ। তবে প্রবাস আপন হয়না, এই কথার প্রেক্ষিতে আপনার মন্তব্যের সাথে একমত নই। প্রবাসে থেকে সেই দেশের নাগরিক দায়িত্ব পালন করাটা প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য, কিন্তু ভালোবেসে আপন করতে পারা না পারাটা তো হৃদয়ের ব্যপার। সেখানে তো জবরদস্তির কিছু নেই। তাতে অপমান হবে কেন। কারো কারো হৃদয়ে জন্মভুমি জেগে থাকে চিরদিন, নতুন মাটী হয়তো ততোটাই আপন হয় যতোটা হন পালিত মা।
রীতু
'সেই যেখানে সারাজীবন বৃষ্টি পড়ে, বৃষ্টি পড়ে...
সেই যেখানে কেউ যায়না, কেউ যায় নি কোনদিনই...'
রুমানা আহমেদ,
আপনাদের মতো কিছু কিছু পাঠকের জন্যই হয়তো লেখকদের লিখে যেতে হয়। আমাকে লেখায় দেখাই বোধহয় ভালো, সামনা সামনি দেখলে আবার প্রত্যাশা পূরণ অপূরণ এর ঝুকি রয়ে যাবে।
অনেক শুভকামনা।
রীতু
'সেই যেখানে সারাজীবন বৃষ্টি পড়ে, বৃষ্টি পড়ে...
সেই যেখানে কেউ যায়না, কেউ যায় নি কোনদিনই...'
চমৎকার। আসলেই উত্তরটা জানার জন্য কাউকে প্রশ্ন করতে হয় না।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
নতুন মন্তব্য করুন