৫।
“সূর্যের আলো থেকে ইলেক্ট্রিসিটি দিয়ে পানির হাইড্রলাইসিস থেকে তৈরি হয় হাইড্রোজেন । সেটাকে চিনির ভেতর দিয়ে চালিয়ে হয় মিথেন গ্যাস, আর সেটা জমা হয় একটা বোতলে।“
বুক চিতিয়ে বললো উদ্ভাবক।
“এটা দিয়ে কোনও খরচ ছাড়াই বাসায় রান্না করা যাবে । আর যতো বেশি বোতল, তত বেশি গ্যাস। “
সুমন আর মাইশাও তাদের জিনিশপত্র গুছিয়ে চলে এসেছে। অন্য স্টলগুলো ঘুরে দেখছে।
সুমনকে বেশ বিরক্ত মনে হল। “প্রত্যেকটা ধাপে যে কি পরিমাণ শক্তির অপচয় হচ্ছে… প্রত্যেকটা ধাপের এফিসিয়েন্সি যদি ৫০ ভাগও ধরি, ১০ ভাগ শক্তিও কি বাকি থাকবে?”
কোত্থেকে জেন হাসিবও চলে এসেছে। “চমৎকার জিনিশ - আলো বিদ্যুৎ, গ্যাস, চমৎকার।” খসখস করে কাগজে টুকতে শুরু করে।
“হাইড্রোজেন থেকে মিথেন কিভাবে হয় ?”
“চিনির মধ্যে দিয়ে গ্যাসটা যায় । চিনির সাথে বিক্রিয়া করে তৈরি হয় মিথেন।”
“বিনা খরচে বিদ্যুৎ। বাহ !” হাসিব বলে উঠল ।
“চিনি কি আপনার মামার দোকান থেকে আসবে?” সুমন খেঁকিয়ে উঠল। “ডাইরেক্ট সোলার প্যানেল থেকে একটা হিটারে লাগিয়ে নিলেই তো হতো।”
“এটা দিয়ে পাম্প চালান যাবে রাতের বেলা।“ মাইশা আপন মনেই বল্লো, “ কিন্তু হ্যাঁ, নব্বই ভাগ শক্তিই অপচয় হবে। “
কর্নেলকে একটু চিন্তিত দেখাল। চিনির বেশ দাম বাজারে। কিন্তু হাসিবের উৎসাহে কোনও ভাটা পড়ে না।
“কতো কিছু একসাথে করেছে দেখেছেন? কোনও পুঁথিগত বিদ্যা ছাড়াই। অসাধারণ। দেশের আনাচে কানাচে কত ট্যালেন্ট ছড়িয়ে আছে। "
“হ্যাঁ, ফিজিক্সে তো বোধহয় একেই নোবেল দেয়া উচিত।” সুমন বলল।
“হ্যাঁ, আপনি তো বিশাল পণ্ডিত, না ? ফিজিক্স আর কেমিস্ট্রির মধ্যে ফারাক বোঝেন না । কেমিস্ট্রি এটা বুঝলেন, যেটা দিয়ে গ্যাস হচ্ছে। “
সুমন আর হাসিবের মধ্যে আরেক্টু হলে মারপিট লেগে যেতো বোধয়, কিন্তু মাইশা সুমনকে টেনে সরিয়ে নিয়ে গেল। হাসিব আর এই স্টল থেকে নড়ল না। ঘটাঘট ছবি তুলতে শুরু করলো। কিন্তু কর্নেলের এদিকে আগ্রহ নেই। সামনে বিশাল একটা যন্ত্রের সামনে একটা লাইন লেগে আছে। একজন তরুণ বেশ উৎসাহের সাথে হাত পা নেড়ে মানুষকে কি যেন বোঝাচ্ছে। তারা সেদিকে এগোলেন।
৬।
“পৃথিবীতে এটাই প্রথম এরকম যন্ত্র… “ কিছু শব্দ ভেসে এলো।
কর্নেলকে আসতে দেখে চুপ হয়ে গেল ছেলেটা।
যন্ত্রটা অদ্ভুত। প্রফেসর আর কর্নেল দুজনই বেশ আগ্রহভরে দেখলেন। একপাশে কিছু বিশাল টারবাইন ঘরঘর করে প্রচণ্ড শব্দে ঘুরে চলেছে। এককোণে একটা বাক্সের মত জিনিস কালো কাপড় দিয়ে ঢাকা। আর পুরো যন্ত্র জুড়েই নিয়নের আলো জলানেভা করছে।
যন্ত্রের বিভিন্ন জায়গায় চক দিয়ে বড়বড় করে লেখা - "উদভোদক - হাবুল... উদভোদক - হাবুল....উদভোদক - হাবুল।"
কর্নেল গদগদ হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, “ এরকম কিছুই তো চাই। কিভাবে কাজ করে এটা?“
ছেলেটা বিনয়ে গলে গিয়ে সামনে এলো। “স্যার, আমি হাবুল। এটা আমার অনেকদিনের গবেষণার ফল। আমার এই যন্ত্র দিয়ে জালানি ছাড়া বিদ্যুৎ তইরি হয়। “
“হাহ!“ তাচ্ছিল্যের একটা হাসি আসে দর্শকদের ভেতর থেকে। সবাই তাকিয়ে দেখল ধরবাবু কিছু বেলুন নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। “থারমদাইনামিক্সের সূত্র ভুল প্রমাণ করেছ তুমি? জালানি ছাড়া বিদ্যুৎ! বাংলাদেশে মানুষ নিয়ম মানেনা জানতাম, আর তুমি কিনা " ল অফ থারমোডায়নামিক্স” ভেঙ্গে ফেলছ? সাবাস! ’
কর্নেলের ইশারায় দুজন সেপাই ধরবাবুকে সরিয়ে নেয়।
হাবুলের মুখটা কেমন শুকিয়ে গেছে। কর্নেলের দেখে মায়া হল একটু।
“বল বাবা, জালানি ছাড়া কাজ করে। “
হাবুল একটা নিঃশ্বাস নিয়ে শুরু করে, “স্যার, আসলে আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন একটা মুভি দেখি। হিন্দি মুভি। সেটাতে একটা গ্রামে পানি থেকে একজন ইঞ্জিনিয়ার বিদ্যুৎ তইরি করে। সেটা দেখে আমার চোখে পানি এসে গেল। ভাবলাম, আমাদের দেশে কেউ এরকম করে না কেন?"
“কাপ্তাইয়ে কী হয়? “ কেউ সরু গলায় জিজ্ঞেস করে। কর্নেল সাহেব বিরক্ত হয়ে দেখেন সুমন নামের ছেলেটা আবার এখানে চলে এসেছে।
“না মানে,’ হাবুল আমতা আমতা করে বলে, “ আমি দেশপ্রেমের কথা বলছিলাম। “
“হ্যাঁ হ্যাঁ, দেশপ্রেমের বড় অভাব এদেশে। আমি আমার বক্তৃতার সময় বলছিলাম। বল বাবা, এটা কাজ করে কিভাবে। “
“স্যার, আমার যন্ত্র মাধ্যাকর্ষণ শক্তি দিয়ে কাজ করে। "
“কিভাবে?"
“ধরেন একটা দশ কেজি ওজনের ওজনের গোলাকার বস্তু আপনি ওঠাতে গেলেন, ওঠাতে আপনার লাগবে দশ কেজি বল। কিন্তু এই গোলাকার বস্তু যদি আপনি ঠেলেন, তাহলে মাত্র এক কেজি শক্তি লাগবে।"
“কি বলছে এই ছেলেটা?” সুমন প্রায় লাফিয়ে ওঠে রাগে।
“বুঝতে পারছ না কেন, বল ঠেলতে কম শক্তি লাগে তোলার চেয়ে।” কর্নেল বলেন। "আজকাল ইউনিভারসিটিতে কিচ্ছু শেখায় না ।"
“এটার জন্য লাগবে একটা স্পেশাল সার্ফেস, যেটায় ইলেকট্রিকাল, ইলেক্ট্রনিক, ম্যাগনেটিকাল, আর ম্যাগনেটিক এই চারটা সিস্টেম দিয়ে তৈরি প্যানেল আছে। এটার উপর দিয়ে একশো কেজি বল ঘুরলেই একশো কেজি শক্তি দিতে থাকবে। কানাডা থেকে একটা কোম্পানি যন্ত্রটা দুশো কোটি টাকা দিয়ে কিনতে চেয়েছিল । আমি বেচিনি, কারন আমি দেশ ছেড়ে কোথাও যেতে চাইনি। দেশ্যকে বড় ভালবাসি কিনা… “ ছেলেটা শার্টের কোনায় চোখ মোছে।
কর্নেলের চোখে জল এসে যায়। “দেখলে শমশের, দেখলে? দেশকে ভালবাসে। দেখা বাবা দেখা তোর যন্ত্র। "
হাবুল একটা ব্যাটারি বের করে তার লাগায় কিছু টার্মিনালের সাথে। কয়েকটা সুইচ চাপ দ্যায়।
“এই যে স্যার, দশ ওয়াটের ব্যাটারি দিয়ে চার্জ দিলাম, এখন গ্র্যাভিটি দিয়ে একশ ওয়াট বিদ্যুৎ তৈরি হবে । “
নানা রকমের টারবাইনের মত জিনিস বাই বাই করে ঘুরতে থাকে। ভয়ঙ্কর শব্দে সবার কানে প্রায় তালা লেগে যায়। আর একদিকে চোখ ধাধিয়ে দেয়া আলো জ্বলে ওঠে।
“স্যার, দশ ওয়াটের ব্যাটারি দিয়ে একশো ওয়াটের আলো জ্বলছে। “
“যে কোনও ইঞ্জিনেরই চলার জন্য কোনও কিছু থেকে শক্তি নিতে হয়। এই টারবাইনগুলো ঘোরার জন্য। শক্তি দিয়ে ইলেক্ট্রিসিটি তইরি হলে টারবাইনগুলো আপনা আপনি বন্ধ হয়ে যাবে যদি বাতাস, তেল, বা গ্যাস কিছু দিয়ে এগুলোকে না ঘোরানো হয়। এক্ষেত্রে তুমি শক্তিটা কোত্থেকে পাচ্ছ?" সুমন আবার জিজ্ঞেস করে।
“মাধ্যাকর্ষণ শক্তি থেকে।” হাবুলের উত্তর।
“আরে, জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রেও তো মাধ্যাকর্ষণ শক্তির টানে নেমে আশা পানি টারবাইনগুলাকে ঘড়ায়, কিন্তু পানি থেমে গেলেই সেগুলো বন্ধ হয়ে যায়। তোমারটাকে এরকম কি ঘোরাচ্ছে?”
“মাধ্যাকর্ষণ শক্তি। “ হাবুলের নিরুত্তাপ উত্তর।
সুমন এবার পাশের একটা খুঁটিতে মাথা ঠুকতে থাকে।
“হাবুল, আমি তোমার যন্ত্রটা কিনতে চাই। “ কর্নেল সাহেব বলে ওঠেন।
“স্যার, যন্ত্রটা তো বেচতে পারব না। তবে আমি আরেকটা বানিয়ে দিতে পারি আপনাকে । “
“আপনারা কি এখন ধাপ্পাবাজিটা বুঝতে পারছেন না? দশ ওয়াট দিয়ে একশ ওয়াট করা গেলে একশ ওয়াট দিয়ে এক হাজার, এভাবে মিলিয়ন মিলিওন ওয়াট এনার্জি পাওয়া যাবে এই যন্ত্র থেকে। স্যার, আপনি কি বলেন? “ শেষ প্রশ্নটা শমশের সাহেবের দিকে।
“আসলে বিজ্ঞানের দিক থেকে জিনিসটা ঠিক সম্ভব না ।” শমশের সাহেব বলতে যান, কিন্তু কর্নেল তাকে আটকে দেন।
“কিন্তু নতুন উদ্ভাবন তো এভাবেই হয় ।”
“দশ ওয়াট ইনপুট দিয়ে একশ ওয়াট পাওয়ার বের হওয়া কোনভাবেই সম্ভব না ।”
এবার কর্নেল সাহেব খেপে গেলেন। “আরে, এরা কি নাস্তিক নাকি? মানুষ না দেখে বিশ্বাসে বস্তু মিলিয়ে ফেলে, আর তুমি দেখেও বিশ্বাস করছ না ?”
“স্যার, আসলে অনেকেই এই জিনিশ নিয়ে হাসাহাসি করে । আমার পড়াশুনা কম তো । এর পেছনে কাজ করতে গিয়ে ম্যাট্রিক দিতে পারিনি । “
কর্নেল আর চোখের জল সামলাতে পারেন না ।
“দেখেছ শমশের? দেখেছ? পড়াশুনা করেনি … ইউনিভারসিটিতে যায়নি, দেশকে ভালোবাসে। আর এই রাস্কেলগুলো এর পেছনে আদাজল খেয়ে পরেছে। এই ছেলে, যন্ত্রটার নাম কি ?”
“স্যার, খেদমত। কয়েল এনারজাইসড ড্রাইভিং মোটর ওভারবিয়ারিং এনার্জি টেকনোলজি।”
এবার কর্নেল আর প্রফেসর দুজনই গদগদ হয় যান খুশিতে। কি চমৎকার একটা ধর্মীয় নাম !
“আচ্ছা, এই বাক্সটা কিসের? “
কোনার কালো বাক্সটার ওপর থেকে কালো কাপড়টা ঝট করে টেনে দ্যায় মাইশা। ডিজেলের হাল্কা একটা গন্ধ ভেসে আসে বাক্স থেকে।
হাবুল তাড়াতাড়ি এসে বাক্সটা আবার ঢেকে দ্যায়। “স্যার, এটার মধ্যেই আমার পাঁচ বছরের গবেষণা। “
সুমন আবার বলে ওঠে, “আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি এই বাক্সের ভেতরে একটা জেনারেটর, না হয় একটা আইপিএস। শব্দটা শুনে জেনারেটরই মনে হচ্ছে। খোলো তো দেখি।”
এবার হাবুল কাঁদোকাঁদো হয়ে যায়। “স্যার, এটা খোলা যাবে না, খুললে বানাতে আবার দশ বছর লাগবে।“
"এই!" কর্নেলের গর্জনে এবার পুরো মাঠ কেঁপে ওঠে। "সেপাই, সেপাই! এই দুটাকে এবার ঘাড় ধড়ে বের করে দে!“
আরেকটা ছোটখাটো হুলুস্থুল হয় । সেপাই আসার আগেই দু’জন চলে যায়।
মেজর মনে মনে হিসেব করেন ।
“আচ্ছা, দশ কোটি দিয়ে তোমার হবে না? আমি দেখি, সরকারের কিছু ফান্ড থাকে সত্যিকারের উদ্ভাবকদের জন্য। “ তারপর গলা নামিয়ে আবার বলল, শমশের, জিনিসটার ফোরফ্রন্টে কিন্তু থাকবে তুমি। একটা টেন পারসেন্ট কাট তুমিও পাবে। “
টেন পারসেন্ট কাট! শমশের সাহেবের চোখে একটা নিসান গাড়ির ছবি ভেসে ওঠে। হ্যাঁ, এই জোচ্চুরিতে মানসম্মান যাবার একটা রিস্ক আছে, কিন্তু যেদেশে নকলকে শিক্ষামন্ত্রী সাজেশন বলে চালিয়ে দেন, সেদেশে কয়জন আর তাকে ধরার বুদ্ধি রাখে? তার ওপর একটা ইসলামি নাম । কেউ তেড়িবেড়ি করলেই ধর্ম অবমাননার মামলা ঠুকে দেবে না? আর না হলে জামাত হেফাজত তো আছেই। বাংলাদেশের কয়জনের হ্যাডম আছে এর পেছনে লাগার ?
কর্নেল সাহেব ইতিমধ্যেই হাবুলের সাথে কথা বলা শুরু করে দিয়েছেন। “তৈরি হওয়ার পরে তো আর কোনও খরচ নেই, না ?”
“না স্যার, আপনার বাসায় প্রথমেই কানেকশন লাগিয়ে দেব।” মাসে মাসে একটু মেন্টেনেন্স খরচ আছে, কিন্তু তাছাড়া কিছুই লাগবে না।“ দশ কোটি দিয়ে দশটা জেনারেটর অনির্দিষ্টকাল চালানো যাবে।
৭।
সন্ধে হয়ে আসে । অনুষ্ঠানের প্রথম পুরস্কার হাবুলের হাতে যায়। সবাই নিজ নিজ পথে বেরিয়ে পড়ে।
কর্নেল স্বপ্ন দেখেন - নতুন ট্যালেন্ট আবিষ্কারের, ফ্রি ইলেক্ট্রিসিটির, আর বিজ্ঞান মন্ত্রী পদের।
প্রফেসর স্বপ্ন দেখেন নতুন নিসান গাড়ির।
হাবুল এসএমএস পাঠায়, “ মা, সাভারের জমিটার ডিপোসিট এবার দিয়েই দাও। টাকার ব্যাবস্থা হয়ে গেছে। ”
(সমাপ্ত)
নোট: ঘটনা-চরিত্রগুলো কাল্পনিক হলেও বিজ্ঞান, অবিজ্ঞান, অপবিজ্ঞানগুলো সত্যি। পেপারের আনাচে কানাচে খুঁজলেই পাওয়া যাবে। ৬-এর কিছু ডায়ালগ বাস্তব থেকে নেয়া।
- সো।
মন্তব্য
বেশ বেশ! আপনার কী লেখা রে, ভাই। হাবুলের একটা জিনিস থেকে কতগুলো মানুষের স্বপ্নপূরণ! হলই বা ধাপ্পাবাজি, আবিষ্কার তো!!!!
দেবদ্যুতি
কেউ যদি এই ধাপ্পাবাজিগুলো ধরতে পারতো।
-সো।
ভালো হয়েছে।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
-সো।
যেদেশে নকলকে শিক্ষামন্ত্রী সাজেশন বলে চালিয়ে দেন, সেদেশে কয়জন আর তাকে ধরার বুদ্ধি রাখে
ভালো লাগলো।
স্বয়ম
বুদ্ধি আসলে অনেকেই রাখে, কিন্তু টেকাটুকা দিলে চেপে যায়।
-সো।
আহা, হেকমত টেকনোলজি!
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
-সো।
বিজ্ঞান কম বুঝি , তবে লেখায় রসবোধ আছে সেটা ধরতে পারছি।
পোপেচার শমসেরও বিজ্ঞান কম বোঝেন, তবে উনি রসবোধও ধরতে পারেন না
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
বিজ্ঞান আর ভুয়া বিজ্ঞানের মধ্যে পার্থক্য টা বুঝতে পারলেই আমি খুশি।
-সো।
"স্যার, আসলে অনেকেই এই জিনিশ নিয়ে হাসাহাসি করে । আমার পড়াশুনা কম তো । এর পেছনে কাজ করতে গিয়ে ম্যাট্রিক দিতে পারিনি।" - জবাব নাই
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
পাবলিকের ইয়োগা মেরে দশ বারো কোটি সাফাই করে দিতে আসলে পড়াশোনা করা লাগে না। শেষ হাসিটা এরাই হাসে।
-সো।
চমৎকার স্যাটায়ার!
ভালো লেগেছে, কাহিনী(!) এগিয়েছে তরতর করে।
আমার আবিষ্কার নিয়ে কমেন্ট পোস্ট করেছিলাম সচলে। আফসোস, এখানে কর্নেল সাহেবের মত সমঝদার(!) মানুষ নেই।
(কত কষ্ট করে বানিয়েছিলাম ডয়াগ্রামটা!)
তাই আবারও পুন:প্রচার করছি:
আমি ঠিক এই ডায়াগ্রামটার কথাই ভাবতেছিলাম,
পোস্টের নাম মনে নাই তাই লিঙ্কাইতে পারি নাই।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
তবে এটার এখন আর দরকার নেই। হেকমোট ক্রিটিকাল ম্যাস ধারণ করেছে। এটা এখন নিজেই নিজের পয়সা উঠিয়ে ফেলে।
-সো।
লেখা পড়ে মজা পেলাম । বেশ আলোকিত বিগ-গান ।
অদুর ভবিষ্যতে সম্ভাবনা কম । সাধারন মানুষ এইসব ধাপ্পাবাজি ধরার ক্ষমতা রাখে না । বুদ্ধিমান যেসব ছাত্র-ছাত্রী এসব ধরতে পারে, এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার মত অথরিটি তাদের নেই ।
কিছুদিন আগে বি.সি.এস.আই.আর এ কর্মরত একজনের সাথে কথা হচ্ছিল । তার কাছ থেকে জানতে পারলাম আমেরিকার অনলাইন বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি ডিগ্রীধারী এক তথাকথিত বিজ্ঞানীর কর্মকান্ডের কথা । ক্ষমতার জোরে তিনি একটি ইউনিট এর ডিরেক্টর পদে বসে কোটি কোটি টাকার বাজেট খরচ করছেন । বিদেশ থেকে মেশিন কিনে যাচ্ছেন । কিন্তু ১০% যন্ত্রপাতি ব্যবহার করার মত কারিগরী দক্ষতা নিয়োগপ্রাপ্ত বিজ্ঞানীদের নেই । দক্ষতা বাড়ানোর জন্য তেমন কোন পদক্ষেপও নেয়া হচ্ছে না ।
========
মামুনুর রশীদ
mamunbabu2001 at gmail dot com
সংশয়ে সংকল্প সদা টলে, পাছে লোকে কিছু বলে
-কারণটা সহজেই বোধগম্য। কমিশন!
অপবিজ্ঞানের আবিস্কার নিয়ে প্ররথম আলু তো অনেক নিউজ পাবলিশ করে।আমাদের দেশে হাবুলের মতো মানুষের অভাব নাই আবার খচ্চর কর্ণেলও যথেষ্ট পরিমানে আছে ।
-------------
রাধাকান্ত
ছাত্ররা প্রতিবাদ না করুক, ইউনিভার্সিটির কলিগদের কারো তো এগিয়ে আসা উচিত। কিছু না হোক, ব্লগ বা অনলাইন মিডিয়ার এদের কার্যকলাপ ফাঁস করলেও তো হয়।
জনমত গড়ে তোলার আশা নাহয় বাদই দিলাম, এট লিস্ট মিডিয়া যাতে ব্যাপারটাতে একটু আলোকপাত করে। কিসের কি, এখন দেখি বিভিন্ন চ্যানেলে রাতের বেলা টক-শোতে এই ভুয়া যন্ত্রের পাবলিসিটি হচ্ছে। উদ্দেশ্য কি? উদ্যোক্তাদের পয়সা মারা।
যন্ত্রপাতি কিনলে তাও কেউ না কেউ পরে ব্যবহার করার একটা আশা থাকে। এই হেকমোট দিয়ে পেছন দিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করা হচ্ছে নাকিআর করলে কার পকেটে কত যাচ্ছে, জানতে ইচ্ছা করে।
-সো।
নতুন মন্তব্য করুন