• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

ঈমানই দায়িত্ব ও অন্ধতা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ৩০/০৩/২০১৫ - ৭:৪৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(আমার লেখাটি এই সংবাদের উপর ভিত্তি করে লেখা।

অভিজিৎ কে হত্যা করার পর বিভিন্ন কমেন্ট এ কিছু মানুষ এর তেনা পেঁচানোর প্রয়াস ছিল লক্ষণীয়। তাঁরা বলার চেষ্টা করছিলো যে অভিজিৎ কে কারা মেরেছে কি উদ্দেশ্যে মেরেছে সেটার “নিরপেক্ষ” তদন্ত করার আগে কোন পক্ষের দিকে অঙ্গুলিউত্থাপন নিন্দনীয়।

এইবার আরেকজন ব্লগারকে হত্যা করা হোল। মাদ্রাসা এর দুইজন ছাত্রকে ঘটনাস্থল থেকে মার্ডারের অস্ত্র সহ হাতে নাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও জনতা। এইবার তেনা পেঁচানোর সুযোগ নাই। হত্যাকারীরা স্বীকার করেছে, “ইমানি দায়িত্বে” তাঁরা এই হত্যা কাণ্ড টি করেছেন “হুজুরের নির্দেশে”। এদের হয়তো শাস্তি হবে ফাঁসিতে লটকাবে। কিন্তু আসলে অপরাধী কি এরা?

এই বাচ্চা ছেলেটা হয়তো বাপ মা মরা। তাকে কোন একটা হুজুরের কাছে রেখে আসা হয়েছিলো নীতি ও ধর্ম শিক্ষা দেওয়ার জন্য। সে ছিল একটি আমানত। তাকে এই উগ্রতাঁর বিষবাষ্প দিয়ে যে খুনিটি তৈরি করলো সে কি এই বালকটির থেকেও বড় অপরাধী নন?

উগ্র ধর্মবাদ খুব শক্তিশালী রাজনৈতিক অস্ত্র। চিন্তা করেন, হুজুরের নির্দেশে একটি কিশোর ছেলে হয়ে উঠছে খুনি। হিতাহিত বিবেচনা না করে চাপাতির কোপ চালাচ্ছে আরেকটা মানুষের উপর। চিন্তা করছে না যে ঐ মানুষটির অপরাধ কি। আদৌ সে ইসলামের বিরুদ্ধে কিছু বলেছে কিনা। বা আদৌ ইসলামের বিরুদ্ধে তার ব্যক্তিগত মতামতের জন্য তাকে হত্যা করা জায়েজ কিনা।

মাদ্রাসায় অন্ধ ভাবে টাকা দান করেন আপনারা অনেকে। কোরবানির চামড়া দিয়ে দেন ছাত্র দের কল্যাণে। সেই টাকা নিয়ে যদি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তাঁর গরিব এতিম বাচ্চা গুলিকে বিদ্বেষ শেখায়, তাহলে এই হত্যা কাণ্ডের রক্তের একটুও কি আপনার হাতেও নাই?

আমাদের হয়তো সময় এসেছে symptom এর সাথে লড়াই না করে ব্যাধি এর সাথে লড়াই করবার। ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি মাদ্রাসায় সহনশীলতা, সহানুভূতি, নৈতিকতা এর শিক্ষা চালু করা প্রয়োজন। এবং শিক্ষার্থীদের চিন্তাশক্তির বিকাশ ঘটানো প্রয়োজন। চিন্তাশক্তি অর্থ তার ন্যায় অন্যায় এর বিবেচনাবোধ। একজন হিন্দুর বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া সঠিক কি বেঠিক, বিনা বিচারে একজনকে হত্যা করা কি acceptable কিনা, এইগুলি এর শিক্ষা দেওয়া খুব জরুরি হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে সচেতনতা প্রয়োজন আপনার। আপনার পরিচিত কেউ মাদ্রাসায় দান করতে গেলে একটু তাকে Educate করেন এই ব্যাপারে। মাদ্রাসা একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হবার কথা। চিন্তাশক্তিহীন হাতিয়ার তৈরির কারখানা নয়।

না হলে আমাদেরই দেশে এই চিন্তাশক্তিহীন সমাজ একদিন বাকিদের নিঃশেষ করে দেবে।

- নীল কাকাতুয়া

রেফ


মন্তব্য

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

ইসলামের বিরুদ্ধে তার ব্যক্তিগত মতামতের জন্য তাকে হত্যা করা জায়েজ কিনা

ছহীহ জনমত তো তাই বলে :(

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

জনমত ঠিক করতে হয় শিক্ষা দিয়ে। মায়া কান্না করে কোন লাভ নাই। আম্রিকাতে কালো মানুষদের বিজ্ঞ জনতা ফাঁসি দিয়ে মারত ১০০ বছর আগে, ৫০ বছর আগেও বাসে পাশাপাশি কালো সাদা বসত না। সেই আম্রিকায় আজ আপনি কোন বর্ণবাদি মন্তব্য করলে আপনাকে সমাজ থেকে বের করে দিবে। "ছাগু", "ছহিহ" যাই বলেন, এরা আমাদের দেশের মানুষ। এদের শিক্ষা ব্যবস্থা ঠিক করে প্রকৃত "মানুষ" করা লাগবে। -নীল কাকাতুয়া

আয়নামতি এর ছবি

আপনি সবকিছুকেই বড় বেশি সরলীকরণ করে ফেলেন দেখা যায়!
আপনি শিওর আম্রিকায় বর্ণবাদী মন্তব্য করলে সমাজ ছাড়া করা হয়?
হালের কিছু ঘটনা কিন্তু সে কথা বলছে না ভাই। ফার্গুসন সহ অনেক উদাহরণ পাবেন খুঁজলে।

অতিথি লেখক এর ছবি

আম্রিকা দেশ হিসেবে বিশাল বড়। খুব দক্ষিণের অঙ্গরাজ্য গুলি, যারা দাসত্ব প্রথা সমর্থন করত, সেখানে ছাড়া বর্ণবাদ এর সমস্যা নেই বললেই চলে ওদের। আপনি কোন সমাজের অংশ সেটাও একটা ব্যাপার। বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একটা বর্ণবাদী মন্তব্য আপনার ক্যারিয়ার খতম করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট

অতিথি লেখক এর ছবি

ঈমানি দায়িত্ব বড় কঠিন জিনিস, ভাই, পালন করা বাধ্যতামূলক! ব্লগ আর ব্লগার চেনার দরকার নেই, যে কোনোদিন যে কারো কল্লাই ঈমানি দায়িত্বের চাপাতির নিচে চাপা পড়তে পারে বোঝা গেল।

দেবদ্যুতি

অতিথি লেখক এর ছবি

সহমত। কুশিক্ষা ভয়ঙ্কর।

মাসুদ সজীব এর ছবি

এদের কিছু হলেও যে হুজুরের নির্দেশে এই হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে তার কিচ্ছু হবে না। এরা শফিবাবার মাদ্রাসার ছাত্র, শফিবাবার দিকে আঙ্গুল তোলার, তাকে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানোর সাহস আর ক্ষমতা কোনটাই এই সরকারের বর্তমানে নেই।

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

হক কথা।

সুবোধ অবোধ এর ছবি

শফিবাবার দিকে আঙ্গুল তোলার, তাকে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানোর সাহস আর ক্ষমতা কোনটাই এই সরকারের বর্তমানে নেই।

ইচ্ছাও নাই।

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

'ইমানি' দায়িত্বের পাঠ এমনভাবে শেখানো হয়, যুক্তি সেখানে অচল।

অতিথি লেখক এর ছবি

এজন্যই পাঠে ঈমানই শিক্ষার পাশাপাশি যুক্তি, বিবেক এবং নৈতিকতার শিক্ষা দরকার। -নীল কাকাতুয়া

আয়নামতি এর ছবি

এসব ক্ষেত্রে কল্পনায় ভাসতে আলস্য লাগে এখন।
তাই মাদ্রাসার শিক্ষা ব্যবস্হা নিয়ে মোটেও আশাবাদী হতে পারছি না।
ধর্ম আসলে সেভাবে নৈতিকতা শেখাতে পারেনা, যেভাবে সমাজ সম্পর্ক শেখায়।
বর্তমান সমাজ সম্পর্ক(অধিকাংশ) হচ্ছে মৌলবাদীতাকে আশকারা দেবার শিক্ষা।
প্রতিবাদে প্রতিরোধে ফেটে না পড়ে যেকারণে 'নাস্তিক মরছে ভালুছৈ' জাতীয় মনোভাব অতিমাত্রায় দেখা যাচ্ছে।
এটা শুধু মাদ্রাসা পড়ুয়াদের মনোভাব হলে কথা ছিল না, এ মনোভাব অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বড় বড় ডিগ্রিধারীদের মধ্যেও
অতিমাত্রায় দেখা যাচ্ছে। এটা সত্যিই আশঙ্কার।

--------
আপনি লেখায় এত ইংরেজি শব্দ ব্যবহার না করে বাংলা প্রতিশব্দ ব্যবহার করুন দয়া করে।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধর্ম আসলে সেভাবে নৈতিকতা শেখাতে পারেনা, যেভাবে সমাজ সম্পর্ক শেখায়।

কথা সত্য। এজন্যই মাদ্রাসা শিক্ষায় ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি সামাজিক ও বাস্তব মুখি শিক্ষা চালু করা জরুরী। এক্ষেত্রে তাদের বছরে এক মাস অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে exchange student এর মত ক্লাস করতে দিলে কেমন হয়?
পাশাপাশি সহনশীলতা ও ভিন্ন মতের বাকস্বাধীনতার পক্ষে জনমত গঠন করা লাগবে।

মনোভাব অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বড় বড় ডিগ্রিধারীদের মধ্যেও অতিমাত্রায় দেখা যাচ্ছে। এটা সত্যিই আশঙ্কার।

এটা অবশ্য সঠিক বলেছেন। এইটা আরেকটা দিক আমাদের শিক্ষিত সমাজএর অনেকেই এই ধরনের সহিংসতার প্রতি প্রচ্ছন্ন সমর্থন দিচ্ছে। এইটার কারণ কি আসলে সেটা ভালো প্রশ্ন।

আপনি লেখায় এত ইংরেজি শব্দ ব্যবহার না করে বাংলা প্রতিশব্দ ব্যবহার করুন দয়া করে।

সুন্দর মতামতএর জন্য ধন্যবাদ। চেষ্টা করবো সামনে। একটা ভালো ইংরেজি বাংলা অভিধানের অভাব অনুভব করি। :-(

- নীল কাকাতুয়া

অতিথি লেখক এর ছবি

মাদ্রাসাগুলোকে ঢেলে সাজানোর কাজ শুরুর আগে, মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীর প্রবেশ (বিশেষত নিম্নবিত্ত থেকে এই ব্যবস্থাটিতে শিক্ষার্থীরা আসে) হ্রস করতে হবে। কওমি মাদ্রাসাকে নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা কয়েকবার হয়েছে কিন্তু তা শেষ পর্যন্ত মোল্লাদের গর্জনে থেমে গেছে। তাদের গর্জনের মূল শক্তি কিন্তু এই বিরাট যোগান।

একে প্রশ্নবিদ্ধ করার মতো বিকল্প কাঠামো অর্থাৎ আবাসন সুবিধাসহ স্কুল প্রতিষ্ঠা করা না গেলে, শত চেষ্টাতেও একে সামলানো যাবে না। আর আবাসন ব্যবস্থাটা জরুরি, নিম্নবিত্ত, বা অভিভাবকহীন শিশু কিশোরদের প্রতিপালনের নিশ্চয়তার জন্য। একটা সামাজিক আন্দোলনের মতো যদি শুরু করা যায় তাহলে এটা নিশ্চিত যে, আজ পূণ্যের আশায় যদি ৯০ ভাগ লোক মাদ্রাসায় দান করে থাকে তাহলে অন্তত ১০ জনকে পাওয়া যাবে যারা একটা স্কুলের ব্যয়ভার বহনের জন্য কোরবানির চামড়ার টাকাও দিতে পারে। কিন্তু এটা শুরু করতে হবে। আর এই বিকল্প দাঁড় না হলে হাজার চেষ্টাতেও কওমি মাদ্রাসাগুলোকে নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব নয়, সিলেবাস পাল্টানোতো অনেক পরের বিষয়।

আজ সংবাদটা দেখার পর থেকে, কিছূ বলতে ইচ্ছা হচ্ছিল না। খবরটা পেয়েছিও দেরীতে। কী হবে কয়দিন চিল্লাফাল্লা করবো, তারপর একই রকম। আরেকটা খুন, আবার নাটক, আমরা আদতে প্রতিবাদের নামে নাটক করছি। হতাশা হতাশা অভিনয় করছি। কারণ না করলে কেমন দেখায়। একটা নিয়ম আরকি।

যা হোক, প্রতিবাদ হোক, কলম চলুক, নিয়ম রক্ষা করে হলেও কিছু একটা আওয়াজ হোক। আয়নায় নিজেরে দেখলে ইদানিং আপাদমস্ত বজ্জাত মনে হয়।

স্বয়ম

রানা মেহের এর ছবি

শুধু মাদ্রাসা শিক্ষা বদলে কী লাভ হবে?
এই যে এত এত ডিগ্রিধারীরা এই হত্যাকে বিভিন্ন যুক্তি দিয়ে বৈধ করছেন,
উনারা সবাই কি মাদ্রাসায় পড়া?

এদের বিচার না হলে মাদ্রাসা তুলে দিয়েও কোন লাভ হবেনা।

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

মাসুদ সজীব এর ছবি

মাদ্রাসা থেকে শুরু করে হেফাজত-জামাত কোনটাই এতটা ভয়ংকর নয় যতটা না ভয়ংকর নব্য বিপ্লবী গ্রুপ। হেফাজতে জামাত কিংবা হরকাতুল জিহাদের লোকেরা তাই করে যা তারা বলে। কিন্তু এই নব্য বিপ্লবী উদারমনা প্রগতিশীল রা একজন মানুষ খুন হলে প্রথমে তাকে নাস্তিক প্রমাণের চেষ্টা করে এবং নানান তত্ত্ব দিয়ে সেই খুনকে কৌশলে জায়েজ করার চেষ্টা করে। হেফাজতে জামাতের চেয়েও এরা বড় মৌলবাদী। আমার চোখে এরাই বেশি ঘৃন্যিত।

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

অতিথি লেখক এর ছবি

উত্তরাধুনিক-উত্তর-উপনিবেশবাদী "বিপ্লবী"-রা কেন "চ্যাম্পিয়ন অফ ইসলাম" হয়ে গেল (শুধু বাংলাদেশে না, পশ্চিমেও এই প্রবণতা লক্ষণীয়) - সেই ব্যাপারে একটা গবেষণা হওয়া উচিৎ।

Emran

মুদ্রা সংগ্রাহক এর ছবি

আমি এখন পর্যন্ত যতগুলো খবর পড়লাম তার কোনটাতেই হত্যাকারীরা মাদ্রাসা থেকে হত্যার নির্দেশ পেয়েছে এমন খবর দেখিনি। সদ্য পরিচিত কিছু লোকের পরামর্শে তারা হত্যা করে যারা হত্যাকারীদের উদ্বুদ্ধ করেছিল শুধু এই বলে যে এই লোক ইসলামের আর নবীর বিরুদ্ধে কথা বলে। যে প্রতিষ্ঠানের ছাত্রকে এটুকু বলে হত্যা করতে উদ্বুদ্ধ করা যায় সে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা ব্যবস্থা এবং শিক্ষকদের শিক্ষাদান পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তোলাই যায় কিন্তু শুধু এই হত্যাকাণ্ডের জন্য সরাসরি মাদ্রাসা শিক্ষা এবং সেখানকার হুজুরদের দায়ী করা লেখকের পুরো ঘটনা নিয়ে অজ্ঞতাকে প্রকাশ করে।

মাদ্রাসায় কি ধরণের শিক্ষা প্রদান জরুরী হয়ে পড়েছে সে বিষয়ে লেখকের শেষ প্যারার সাথে সম্পূর্ণ একমত।

যারা খুন করতে উদ্বুদ্ধ করেছিল তাদের গ্রেফতার করে প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করা এখন সময়ের দাবী আর গ্রেফতারকৃত হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা উচিত যাতে এত সহজে কাউকে হত্যা করতে কেউ উদ্যত না হয়।

হাসিব এর ছবি

লেখাটা একটু অগোছালা লাগলো। শিরোনামের ঈমানই (উপরে একটি কমেন্টেও) ঈমানি হবে।

আপনি দ্বিতীয় প্যারায় প্রশ্ন করছেন,

কিন্তু আসলে অপরাধী কি এরা?

কি-এর উত্তর হ্যাঁ ও না দিয়ে হয়। এখানে এটা কোনভাবে না হতে পারে ডাউট প্রকাশ করা হচ্ছে। আমি নিশ্চিত আপনি সেটা মনে করেন না। আমি শুধু আপনার বাক্য গঠনের দিকে আপনাকে নজর দিতে বলছি।

তৃতীয় প্যারায় বলছেন,

তাকে এই উগ্রতাঁর বিষবাষ্প দিয়ে যে খুনিটি তৈরি করলো সে কি এই বালকটির থেকেও বড় অপরাধী নন?

বালক? এ্যাডাল্ট হলে কাজ ও প্ররোচনা থেকে কাজটা বড় অপরাধ। প্ররোচনাও অপরাধ। তবে যে কাজটা করে তার থেকে একটু কম। প্রচলিত আইন এটাই বলে।
তৃতীয় প্যারার শেষ লাইনটার সাথে এবার দ্বিতীয় প্যারার শেষ লাইনটা মিলিয়ে দেখুন। আমার মনে হয়, উপস্থাপনটা আরো একটু গুছিয়ে করলে হতো।

আপনি বলছেন,

আদৌ সে ইসলামের বিরুদ্ধে কিছু বলেছে কিনা। বা আদৌ ইসলামের বিরুদ্ধে তার ব্যক্তিগত মতামতের জন্য তাকে হত্যা করা জায়েজ কিনা।

এখন যদি ধর্ম বলে জায়েজ তাহলে সেটা কি সিদ্ধ হবে?

শেষের দিকে,

ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি মাদ্রাসায় সহনশীলতা, সহানুভূতি, নৈতিকতা এর শিক্ষা চালু করা প্রয়োজন।

ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ফান্ডামেন্টালি ফ্লড। যেখানে তালগাছের মালিকানা দখল রেখে পড়ালেখা করা হয় (ধর্ম, যেটা সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয়) সেখানে অন্তত নৈতিকতা (যেটা সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয়) শেখানো সম্ভব না।

লিখতে থাকুন।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

আমি চিন্তা করছিলাম এই আঙ্গিকে - গ্যাস চেম্বারে হত্যা করা ইহুদিদের হত্যাকাণ্ডে ব্রেনওয়াশ করা নাৎসি সৈন্য যেমন দায়ী, তাদের উদ্বুদ্ধ করা হিটলার আরও বেশি দায়ী।

বাকি মন্তব্যের সবটুকুর সাথে আমি একমত না, কিন্তু সবার তাঁর নিজস্ব মতামত দেবার অধিকার আছে।

ভালো থাকবেন।

- নীল কাকাতুয়া

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হাছিব্বাই,

ধর্ম, যেটা সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয়

এইখানে একটা না হবে বোধ হয়। :S

[ আহা, আপনার টাইপোটা বাস্তব হলেই অনেক ঝামেলা চুকে যেত :( ]

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

হাসিব এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

মাদ্রাসা শিক্ষায় বিজ্ঞান আরো জোরালোভাবে আনা দরকার।।সেই সাথে ধ্রুপদী সাহিত্যগুলোর চর্চাও শুরু করা উচিত।

অতিথি লেখক এর ছবি

সহমত। কিন্তু সবচেয়ে বেশি দরকার সহমর্মিতা, সহনশীলতা ও সহানুভূতির শিক্ষা।

- নীল কাকাতুয়া

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।