ওয়াশিকুর রহমান বাবুর জঘন্য হত্যাকান্ডের খবর শুনে মনটা ভারাক্রান্ত---অনলাইনে ধর্ম নিয়ে আলোচনার জের ধরেই যে তাকে হত্যা করা হয়েছে, তাতে সন্দেহ নেই তেমন। অনেক কথা মাথায় ঘুরছে, তার মধ্যে নিরাপত্তা বিষয়ক কিছু জরুরী কিছু কথা এখনই বলা দরকার মনে করছি, তাই এই লেখা।
১। অনলাইন লেখালেখি: নিরাপত্তা প্রসঙ্গ
আজ আমি যদি একটা আদর্শিক, ইউটোপিয় রাষ্ট্রে বসবাস করতাম, তাহলে হয়ত সেখানে আমার মনের কথা অকপটে বলতে পারতাম, কোনো রকম ভায়োলেন্সের আশংকা না করেই। কিন্তু আমাদের ব্লগার আর অনলাইন লেখকদের মনে রাখা উচিৎ, আমরা সেইরকম একটা সমাজে বসবাস করিনা, বরং একটা উল্টো সমাজে থাকি যেখানে ভিন্ন মতের কারণে কেউ আমাকে খুন করলেও নিন্দা করার সময় "কিন্তু-তবু" বলার লোকই বেশী। সমাজের বাইরে থাকা তো আর থাকা সম্ভব না, তাই সকল ধরনের মানুষের মধ্যে থাকতে হলে নিজের নিরাপত্তা নিয়ে নিজেকেই ভাবতে হবে। আমি এঁদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।
যারা স্বনামে ধর্ম আলোচনা করেন, তাদের বিপদ একটু বেশী, আর দেশের মাটিতে বসে বিশেষ কিছু "সুরক্ষিত জায়গা" যেমন ভার্সিটি এরিয়া/ ক্যান্টনমেন্ট ইত্যাদির বাইরে বসে ব্লগিং করেন তাদের তো আরো বেশী। যেচে পড়ে কিছু পরামর্শ দিতে চাই।
১। যদি স্বনামে লেখালেখি করেন, তাহলে নিজের লেখার কী প্রতিক্রিয়া হচ্ছে, সেটা একটু খেয়ালে রাখুন, আপনার লেখার স্ক্রীনশট বিভিন্ন জায়গায় শেয়ার হতে দেখলে সাবধান হোন, অযাচিত হঠাৎ করে অনেক ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট দেখলে সাবধান হোন।
২। আপনাকে খতম হতে দেখে যারা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলবে, তারা আছে আপনার আশে পাশেই। নিজের অনলাইন ধর্ম আলোচনা বাস্তব জগতে বন্ধু-বান্ধবের মাঝে আনতে গেলে আরেকবার ভেবে দেখুন, নিজের নিরাপত্তার কথা মাথায় রাখুন।
৩। যারা বেনামে লেখালেখি করেন, তারা অত্যন্ত সাবধানে নিজের পরিচয় সংরক্ষণ করুন। মনে রাখবেন, একটা লোহার চেইন ঠিক ততটুকুই শক্ত, যতটুকু শক্ত সেটার সবচেয়ে দুর্বল আংটা। একটামাত্র আংটা যদি আলগা হয়, তাহলে বাকী আংটাগুলি টাইটানিয়ামের হলেও যেমন লাভ নেই, ঠিক তেমনি আপনার পরিচয় যদি আপনার ফেসবুকের ১০০০ ফলোয়ারের ১ জনও জানে, তাহলে আপনার পরিচয় আসলে উন্মুক্ত।
৪। নতুন বন্ধু বান্ধব, অথবা আধা পরিচিত মানুষেরা যখন ধর্ম নিয়ে আলোচনা করতে আগ্রহ দেখান, তখন সতর্ক হোন।
ভিন্ন মতের নিরাপত্তা: একতাবদ্ধতা প্রসঙ্গ:
সচলায়তনের লেখক হাসিবের একটা স্ট্যাটাস দেখলাম (প্যারাফ্রেজ)"যে দেশে খুনের বিচারের জন্য যত বেশী ঘ্যান ঘ্যান করে যেতে হয়, সে দেশ তত বেশী অসভ্য"---- অতি সত্য কথা। সেই হিসাবে আমাদের দেশের অবস্থা বেশ খারাপ, (আরো খারাপ হতো যদি ঘ্যান ঘ্যান করার কোনো সুযোগই না থাকতো, তবে সেটা অন্য প্রসঙ্গ) এই দেশে লেখালেখি করে থাকতে হলে, আমার এখন মনে হয়, এই ঘ্যান ঘ্যান করার জন্য, একতাবদ্ধ হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। যারা যারা মুক্ত-চিন্তা করেন, তাদের একটা সংগঠনের অভাব রয়ে গেছে অনেক দিন ধরে। একটা সংগঠন থাকলে, একটা প্রকাশ্য প্ল্যাটফর্ম থাকলে তাঁরা নিজেদের নিরাপত্তার অভাবগুলো তুলে ধরতে পারেন আরো ভালোভাবে, রাষ্ট্রের কাছে অন্যায়ের বিচার চাইতে পারেন আরো জোর গলায়। যদি সরাসরি ভিন্ন চিন্তার প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলা না যায়, তাহলে অন্তত ছোট করে হলেও, মুক্ত চিন্তার কারণে দেশের আনাচে কানাচে কারা কারা অন্যায়ের শিকার হচ্ছেন, সেটার একটা মনিটরিং সেল তৈরী করা হোক, বছর শেষে সেই রিপোর্ট প্রকাশ করা হোক। যা-ই করা হোক, "শুরু করা"টাই এখন সময়ের দাবী।
ভিন্ন মত: আইনি সহায়তা প্রসঙ্গ:
যারা যারা এই বিপদসংকুল সময়ে বসে মুক্তচিন্তা নিয়ে লেখালেখি করছেন, তাদের নিজেদের স্বার্থেই বাংলাদেশের আইনগুলো জানা অত্যন্ত প্রয়োজন বলে মনে করি (সেই আইন গুলি কতটা যৌক্তিক আর ন্যায়সঙ্গত, সেটা একেবারেই ভিন্ন প্রশ্ন, আর ভিন্ন একটা যুদ্ধ) লেখালেখির ক্ষেত্রে নিজেদের অধিকার এবং সীমাবদ্ধতা, দুটো সম্পর্কেই পূর্ণ ধারণা রাখা জরুরী। (এটা নিয়ে আরেকটা ব্লগ হতে পারে) যারা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো কারণে উদ্বিগ্ন, তারা নিকটস্থ থানায় জিডি করান, বিস্তারিত বর্ণনা সহ। পুলিশের নাম্বারগুলি হাতের কাছে রাখুন, এ বিষয়ে মাশরুফের ব্লগ বা ফেসবুক পোস্টগুলি খেয়াল করে দেখুন।
আমাদের দেশে, ভিন্নচিন্তার কারণে পুলিশ বা ধর্মীয় উগ্রবাদীদের হাতে অপদস্থ হয়েছেন বা অন্যায় বা ভায়োলেন্সের শিকার বা নিহত হয়েছেন এরকম সংখ্যা বেড়ে চলেছে। এদেরকে আইনী সহায়তা দেবার জন্য একটা আইনী সংস্থা গড়ে তোলাটা জরুরী, বা বাংলাদেশের বিদ্যমান কোনো আইনি সংস্থা এই স্পেসিফিক বিষয় নিয়ে সহায়তা দিতে রাজী কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখা দরকার।
শেষ কথা:
ধর্মীয় উগ্রবাদ একসময় অনেক কমে যাবে, সেটা আমাদের জীবদ্দশায় দেখে যাবো এমন দূরাশা করিনা, আমেরিকা/ইউরোপের বড় শহরগুলিতেও যেখানে ধর্মীয় উগ্রবাদের আনাগোনা স্পষ্ট। এই অবস্থায়, মুক্তচিন্তা নিয়ে লেখালেখিকে নিরাপত্তা দেওয়ার শুধু একটাই জিনিস আছে----রাষ্ট্র কর্তৃক আইন-শৃঙ্খলার প্রয়োগ। এই দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু পরিচয় একটা বোঝা, ঠিক তেমনি অবিশ্বাসী পরিচয়টা আরো বড় বোঝা। মুক্ত চিন্তা একসময় সীমাবদ্ধ ছিলো মূলত একাডেমিক সার্কেলে আর সমমনাদের মধ্যে----ফেসবুক টুইটারের যুগে সেই মুক্তচিন্তা চেতনা ছড়িয়ে দেয়া যেমন সহজ হয়েছে, তেমনি সহজ হয়েছে সেসবের স্ক্রীনশট শেয়ার করে মানুষকে ক্ষেপিয়ে তোলা। পরিবর্তিত এই বাস্তবতা আমাদের অনলাইন মুক্ত-চিন্তক লেখকরা যেন তাড়াতাড়ি বুঝে উঠতে পারেন, সেটা অত্যন্ত জরুরী। দেশে মুক্ত চিন্তা জারি রাখার জন্যই জরুরী।
------যান্ত্রিক বাঙালি
মন্তব্য
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
---যান্ত্রিক বাঙালি
দেবদ্যুতি
ধন্যবাদ।
---যান্ত্রিক বাঙালি
ভালো কিছু টিপস দিয়েছেন।
ধন্যবাদ।
-চন্দ্রনিবাস
ওয়েলকাম। লেখকরা সাবধানতা বজায় রেখে লেখা অব্যাহত রাখুক, এই আশা করি।
---যান্ত্রিক বাঙালি
বেশ ভালো কিছু কথা লিখেছেন। সবাইকেই আসলে সতর্ক থাকতে হবে এখন। যে যত নির্বিষ লেখাই লিখুক না কেন।
অতি সত্য কথা।
---যান্ত্রিক বাঙালি
তারপর একদিন সাবধানতাবশত মাথায় লোহার হেলমেট পরে চলাফেরা শুরু করতে হবে ব্লগারদের। , এমন বাংলাদেশ’ই তো চেয়েছিলাম।
-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।
ভবিষ্যতে কেন, লোহার হেলমেট এখনই পরা উচিৎ, বিশেষ করে যারা স্বনামে ধর্ম আলোচনা/সমালোচনা করেন আর রাত বিরাতে একা একা চলাফেরা করেন।
আদর্শ রাষ্ট্র গঠনের যুদ্ধ কখনো শেষ হয়না, এটা একটা ক্রম-চলমান প্রক্রিয়া। অন্যায় বাধার মুখে পড়ে ২ টা কাজ করা যায়----হয় আফসোস করে মাঠ ছেড়ে যাওয়া, অথবা পিঠে কুলো বেঁধে আবার ঝাঁপিয়ে পড়া। সেই কুলোরই কিছু খোঁজখবর করার চেষ্টা করলাম।
------যান্ত্রিক বাঙালি
রাত বিরাত লাগে না, দিনের আলোতে প্রকাশ্যে খুন করা এখন মামুলি ব্যাপার। আর নাম-স্বনাম কোন বিষয় না। ওয়াশিকুর রহমান বাবু ফেসবুকে কোনদিন ছবি দেয়নি তারপরও তাকে খুঁজে বের করে ফেলেছে খুনীরা। সবচেয়ে সহজ সাবধানতা হলো ধর্ম নিয়ে সমালোচনা না করা। পিঠে কুলা বাঁধার কোন পথ নেই, বর্তমানের বাংলাদেশে ধর্ম নিয়ে লিখতে হলে মৃত্যুকে ছুরির তলে আছে এই সহজ সত্যটা মেনে নিতে হবে।
-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।
দেশে থাকা ভাই/বোন/বন্ধু লেখিয়েদের নিয়েই আসলে ভয়টা বেশি।
তাঁরা সবাই নিরাপদে থেকে লিখালিখি জারি রাখুন। আপনার পরামর্শগুলো ভালো।
এই কথাগুলো বেশি পছন্দ হলো
হ্যাঁ, সবারই সাবধান হওয়ার সময় এসেছে, কিন্তু লেখালেখি বন্ধ করে নয়----এটাই।
---যান্ত্রিক বাঙালি
১। অনলাইন লেখালেখি: নিরাপত্তা প্রসঙ্গঃ সতর্ক হওয়া ভালো। তবে পরিস্থিত যেমন তাতে এইসব সতর্কতায় শেষ রক্ষা হবে না। infiltration কোন পর্যায়ে গেছে সেটা আমাদের ধারণায় নেই।
২। ভিন্ন মতের নিরাপত্তা: একতাবদ্ধতা প্রসঙ্গঃ নয় মণ ঘি-ও পুড়বে না, আর রাধাও নাচবে না।
৩। ভিন্ন মত: আইনি সহায়তা প্রসঙ্গঃ বিদ্যমান ব্যবস্থা পরস্পরের সাথে সাংঘর্ষিক কিছু আইন আছে। নিবর্তনমূলক ব্যবস্থাও আছে। সেগুলো বিদ্যমান থাকা পর্যন্ত আইন জানলেও বিশেষ উপকার হবে না। আর আইনী সহায়তা কেন্দ্রের নামে ব্রিফলেস ব্যারিস্টারদের সেলিব্রিটি বানানোর বা নতুন এনজিও খুলে কোন লাভ হবে না।
৪। শেষ কথাঃ ধর্মীয় উগ্রবাদ সহসা কমবে না। না বাংলাদেশে, না সারা দুনিয়ায়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
পয়েন্ট ১ এর ব্যাপারে: পরিচয় উন্মুক্ত করে লেখালেখিতে নিরাপত্তা একটু কঠিন হয়ে উঠেছে, কিন্তু যারা অনলাইনে নিকনেমে লেখালেখি করেন, তারা সাবধান থাকলে তাদের নিরাপত্তা নিয়ে ঝামেলা হওয়ার চান্স কম। যেমন, কেউ যদি শুধুমাত্র ফেসবুকে লেখালিখি করেন, কোনো ভিপিএন টানেল/টর ইত্যাদি দিয়ে, তাহলে কোনো ইউজারের নাম-পরিচয় বের করতে হলে সরকারের তরফ থেকে ফেসবুকে অফিসিয়াল অনুরোধ লাগবে,(তারপর সেটা ফেসবুকের অনুমোদনসাপেক্ষ), সেখানে ইনফিলট্রেশনের সম্ভাবনা দৃশ্যত অনেক কম।
পয়েন্ট ২ এর ব্যাপরে: কিন্তু এটার ব্যাপরে কাউকে না কাউকে ভাবতেই হবে।
পয়েন্ট ৩: এই ব্যাপারে আপনার ধারণা আমার থেকে আরো বেশী মনেহচ্ছে---একটা ব্লগ লিখুন না! অনেকেরই উপকার হবে। কালাকানুন নিয়ে জানাটা, কালাকানুন নিয়ে না জানার থেকে অনেক ভালো।
---যান্ত্রিক বাঙালি
নিকনেমে লিখলে আসল পরিচয় বের করা এতো সহজ নয়, বিশেষ করে আজকাল যখন অনেকেই বাংলা ব্লগ গুলো ছেড়ে ফেসবুক গ্রুপ বা নোটসে চলে গিয়েছেন। ভিপিএন টানেল সহ ফেসবুক ব্যাবহার করলে, আর ফেসবুকের যেকোন স্পাম লিংকে ক্লিকনোর অভ্যাস বাদ দিলে, পরিচয় বের করতে ফেসবুকের অনুমতি লাগার কথা।
তবে শেষ পর্যন্ত, বেশীরভাগ সময়েই, আইডেন্টিটি ফাঁস হয় মামুলিভাবেই। হ্যাকিং করে যতটা না পরিচয় ফাঁস হয়, তার থেকে বেশী হয় ইউজারের ভুলে------যেমন অজান্তে কোথাও নিজের নাম-ঠিকানা ব্যাবহার করা, ভার্চুয়াল পরিচয়কে বাস্তব জগতে টেনে আনা, পাবলিক কম্পুটারে/সাইবার ক্যাফের কম্পুটারে বসে লগইন করে লগআউট না করেই উঠে যাওয়া ইত্যাদি।
-----যান্ত্রিক বাঙালি
এখানে যারা বিদেশে থেকে ব্লগ লেখেন,তারাই তুলনামূলক ভাল অবস্থানে।আর নিক নেম,আর আসল নেমে তেমন পার্থক্য নাই।তথ্য বের করা মামুলি ব্যাপার।আর লেখাটা বন্ধ করা কখনোই উচিত নয়।কারন এতে তাদের এজেন্ডাই বাস্তবায়ন হবে।
নিটোল আরন্যক
(এই রিপ্লাই ভুলে উপরেও দিয়ে দিয়েছি) নিকনেমে লিখলে আসল পরিচয় বের করা এতো সহজ নয়, বিশেষ করে আজকাল যখন অনেকেই বাংলা ব্লগ গুলো ছেড়ে ফেসবুক গ্রুপ বা নোটসে চলে গিয়েছেন। ভিপিএন টানেল সহ ফেসবুক ব্যাবহার করলে, আর ফেসবুকের যেকোন স্পাম লিংকে ক্লিকনোর অভ্যাস বাদ দিলে, পরিচয় বের করতে ফেসবুকের অনুমতি লাগার কথা।
তবে শেষ পর্যন্ত, বেশীরভাগ সময়েই, আইডেন্টিটি ফাঁস হয় মামুলিভাবেই। হ্যাকিং করে যতটা না পরিচয় ফাঁস হয়, তার থেকে বেশী হয় ইউজারের ভুলে------যেমন অজান্তে কোথাও নিজের নাম-ঠিকানা ব্যাবহার করা, ভার্চুয়াল পরিচয়কে বাস্তব জগতে টেনে আনা, পাবলিক কম্পুটারে/সাইবার ক্যাফের কম্পুটারে বসে লগইন করে লগআউট না করেই উঠে যাওয়া ইত্যাদি।
-----যান্ত্রিক বাঙালি
নতুন মন্তব্য করুন