অন্তর্ধান (দ্বিতীয় ও শেষ পর্ব)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ১৪/০৪/২০১৫ - ১:০২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অন্তর্ধান (দ্বিতীয় ও শেষ পর্ব)

(৩)

‘১২ নম্বরকে আর বেশিদিন রাখা যাবে না। বুঝতে পারছো?’ রমজান ঘরে ঢুকতেই শুরু করেন যুবায়ের মাহমুদ। ঘরটা একটু আলো-আঁধারিতে। তূলনামূলক অন্ধকারে বসে কথা বলছেন যুবায়ের। বরাবরই তাই করেন। রমজান তখনো ধাতস্ত হয়নি পুরোপুরি। বড় সাহেবের ডাক শুনে একরকম ছুটতে ছুটতেই এসেছে সে। এরকম জরুরী তলব সাধারণত তিনি করেন না। কী কারণ তাই ভাবছিলো রমজান। আসার পথে সোবহানের সাথে এ নিয়ে কথা বলারও চেষ্টা করেছে। যদিও রমজান ভালো করেই জানে যে এই চেষ্টা অহেতুক। কারণ রমজানই হচ্ছে বড় সাহেবের ফাস্ট হ্যান্ড। সোবহান তার পরে। এর পাশাপাশি আর কেউ আছে কিনা তা অবশ্য রমজান জানে না। রমজান অনেক কিছুই জানে না, এই যেমন বড় সাহেব। রমজান শুধু জানে অনেক বড় সরকারি কর্মকর্তা। ব্যাস এইটুকুই।

না নাম, না অন্য কোনো পরিচয়। এমনকি বড় সাহেবের চেহারাটাও সে কখনো স্পষ্ট আলোয় দেখেনি। এ কারণে বড় সাহেবের বিষয়ে তার একটা অকারণ ভীতি আছে যদিও সে নিজের ক্ষমতা সম্পর্কে পুরোপুরি সজাগ। কিন্তু সম্ভবত নিকষ অন্ধকারের চেয়ে আবছা অন্ধকার বেশি ভীতি জাগানিয়া বলে সে বড় সাহেবের বিষয়ে একটা অস্পষ্টতার আতঙ্ক বোধ করে। সে জানে না, সোবাহনের সাথে বড় সাহেব কখনো সরাসরি কথা বলেছেন কিনা। কারণ যতবারই সে এসেছে, সোবহানকে বাইরে দাঁড় করিয়েই সে রুমে ঢুকেছে। এইসব নানান বিষয়ের সাথে আজকের এই জরুরী ডাক তাকে আরো বেশি সংশয়ে ফেলে দিয়েছে। এইসব ভাবতে ভাবতেই রমজান বড় সাহেবের ঘরে প্রবেশ করে আর বড় সাহেবও কোনোরকম ভূমিকা ছাড়াই এই কথা বলেন যা রমজান বুঝে উঠতে পারে না। রমজান দ্বিধায় পড়ে যায় যে, সে বড় সাহেবকে কথাটা আবার বলতে বলবে কিনা। এসি রুমেও রমজান ঘামতে শুরু করে।

‘১২ নম্বরকে আর রাখা যাবে না। বুঝতে পারছো রমজান?’ রমজানকে নিষ্কৃতি দিতেই যেন বড় সাহেব তার ক্যানক্যানে গলায় আবারো কথাটা বলেন। ‘জ্বি, বুঝতে পারছি’ উত্তর করে রমজান। যুবায়ের তাকে আর কথার সুযোগ না দিয়েই বলতে থাকেন- ‘বুঝতে পারলেই ভালো। খবরের কাগজ পড়ো? নাকি দরকারই মনে করো না?’ এবারে রমজান ঘামতে শুরু করে পুরোদমে। সে খবরের কাগজ পড়েছে, প্রতিদিনই পড়ে। সেখানে তাদের কাজ নিয়েই বড় বড় খবর বেরুচ্ছে। বড় বড় অফিসার, নেতা আরো কতো কী’র নাম আছে সেখানে। সে তখন হেসেছে। খবরওলাদের তার গাধা ছাড়া তখন কিছু মনে হয়নি। এখন মনে হচ্ছে অতোটা গাধা ভাবার কোনো মানে নাই। সে আসলে নিজেই গাধা হয়তো। বড় সাহেব নিশ্চয়ই সেসবের কথাই বলছেন। ভুলটা আসলে তারই। ‘মন দিয়ে শোনো’। আবারো শুরু করে যুবায়ের। ‘আজ রাতের ভিতরে সব রকমের প্রস্তুতি রাখবে। ডেলিভারি হলে আজ রাতেই ডেলিভারি হবে, আমি জানিয়ে দেবো। তবে চারটার পরে আর অপেক্ষা করো না। চারটার মধ্যে কোনো নির্দেশ না পেলে বুঝবে ওরা রিজেক্ট করেছে। আর সেক্ষেত্রে ভোরের আগেই ওটা ডাম্প করে দিবে।’ এইটুকু বলে যুবায়ের একটু দম নেন। রমজান ভাবতে থাকে, যাক তাহলে বড় কোনো কাজ না। তেমন প্যাঁচের কিছু নাই। পার্টি মাল নিতে চাইলে নিবো, তবে চাইরটার ভিতরে, আর না নিলে যা করার তাই। রমজান কথা শেষ ভেবে চলে যাওয়ার উদ্যোগ নেবে কিনা ভাবতে শুরু করবে এমন সময় যুবায়ের আবার বলেন- ‘আর হাবিবকে কি এনেছ? তাকে কিছু বুঝতে দেয়ার দরকার নেই। কাল পর্যন্ত যা কথা হওয়ার হয়েছে। আর কথার দরকার নেই। বুঝতে পেরেছ?’ একটু থেমে..। ‘কিন্তু মাহাজনতো..’ মাঝখানে কথা বলতে চায় রমজান। তাকে থামিয়ে আবারো শুরু করে যুবায়ের। ‘মাহাজন! যাকগে বাদ দাও। আর শোনো, ওই মশলা সবুর ছেলেটা, কাজ ভালো, রওশান ছেলেটাকে বলবে তার হাতের রান্না একদিন যেনো নিয়ে আসে। যাও এখন, বলো কিন্তু।’ রমজান আগা মাথা কিছু বোঝে না। এই শেষ কথাগুলোর কোনো মানে সে খুঁজে পায় না। তবে কি সে বড় সাহেবের সামনে হাবিবকে মাহাজন সম্বোধন করে কোনো ভুল করেছে? ভাবতে ভাবতেই বড় সাহেবের ঘর থেকে বেরিয়ে আসে রমজান।

ওয়েটিং রুমে সোবহান বসে বসেই ঘুমিয়ে পড়েছে। তাকে তুলে নিয়ে রওনা হয় রমজান। তার মাথায় কেবল হাবিবের বিষয়টা ঘুরতে থাকে। হাবিবের দোকানে সে ছিল দুইমাস। ঢাকায় তখন নতুনই বলা যায় রমজানকে। ভালো কাজ ছিল। বাড়ির একজনের মতো থাকতো। বড় বিবি তাকে খুব স্নেহ করতো। কিন্তু রমজানের বেশিদিন ভালো লাগলো না। এই ঘর আর দোকান। জীবনটা কেমন একটা ঘিঞ্জি গলির ভিতরে আটকা পড়ে যাচ্ছে। একসময় রমজানের খুব হাঁসফাঁস লাগতে শুরু করে। প্রতিদিন দড়ি গুছাও, মাপ দাও। পার্টি আসলে মাল দাও। মাপে একটু কম দাও। এক কেজি দড়ির জায়গায় ২-৩শ গ্রাম কম দাও। উত্তেজনা বলতে এইটুকুই। তার একঘেঁয়ে লাগতো। তাই সে এই কাজ ছেড়ে দেয়। মাহাজনের সাথে এই নিয়ে তার একটু মনোমালিন্য হলেও পরে তা ঠিক হয়ে যায়। মাঝখানে যোগাযোগ বন্ধ থাকলেও এই কাজের সূত্রে হাবিবের সাথে আবার তার যোগাযোগ হয়। সে নিজেই করে। বড় সাহেব যেদিন তার ছালার বস্তায় পাথর বেঁধে মাল ডাম্প করার আইডিয়াটা অনুমোদন করলেন সেদিনই তার হাবিবের কথা মনে পড়ে। আগের মাহাজনকে একটু কাঁচা টাকা পাইয়ে দিতে তার সাধ হয়। মূলত বড়বিবির স্নেহের টানই কাজ করেছে তার ভিতরে। এর সাথে সাথে অবশ্য নিজের প্রাপ্তির বিষয়টাও কাজ করেছিল তার। কিন্তু শেষরক্ষা বোধ হয় হলো না। মাহাজনরে নিয়া এতো টানাটানির কী আছে এটাই রমজানের মাথায় ঢুকে না। এইসব নানান কিছু ভাবতে ভাবতে সোবহানের সাথে সে ফিরতে থাকে। সোবহানও যেনো আজ একটু কম কথা বলছে।

(৪)

- ১০ নম্বরের কাম শেষ হইছে সবুর? বলে রমজান।
- না ওস্তাদ। বড় খাতারনাক। এর নাড়ি মনে হয় ১০ হাত বেশি আছে ওস্তাদ।
- কথা কম। তাড়াতাড়ি হাত লাগা। রওশানের কামের কতদূর? রওশান? হুঙ্কার ছাড়ে রমজান।
- হেয় মনে হয় ঘুমাইতাছে। কামের বেলায় কিছু নাই। সারাদিন তাব্দা খাইয়া বইয়া থাকা আর রান্ধন। যত কথাই কন ওস্তাদ হেরে ঠিক আমগো কামের লগে মানায় না।

‘যাক সব ঠিকঠাকই আছে’ রওশান সম্পর্কে সবুরের আগের মতো অভিযোগ শুনে একটু নিশ্চিন্ত বোধ করে রমজান। সবুরের শেষ কথাটাও তার মনে ধরেছে। সেও এ বিষয়টা আগে ভেবেছে সময় সময়। কিন্তু একক সিদ্ধান্ত নেয়ার সাহস পায় না। আর এর ভিতরে আজ বড় সাহেব রওশানের রান্নার প্রশংসা করায় রওশানকে এড়ানোর বিষয়টা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে সে। তবে সে সবুরের কথায় কিছুটা আশ্বস্ত হয়। উঠে রওশানের কাছে যেতে যেতে সে সবুরকে বলে, ‘মন দিয়া কাম কর, বড় ওস্তাদ কইছে তোর কাম ভালো।’ রমজান যদি পেছন ফিরে সবুরের হাসিটা দেখতো তাহলে হয়তো সে আর এগুতো না।

- রাইত কয়টা হইলো রওশান?
রওশান চুপ করে থাকে। কথা বলে না।
- তোমার রান্ধনতো ভালোই। বুঝলা? তবে একটু মিঠা মিঠা লাগে। সবসময় মনে হয় মিষ্টি কুমড়ার তরকারি খাইতেছি, বুঝছো? আইজ একটু ঝাল বেশি দিও।

রওশান এবারো চুপ। রমজানের ধীরে ধীরে রাগ হতে থাকে। তবে সে মাথা ঠা-া রেখে এবার আসল কথাটা বলতে শুরু করে
- বড় ওস্তাদরে দেখছিলা নাকি কখনো? সে তোমার রান্ধনের প্রশংসা করলো?
- না আমি দেখমু কেমনে? আপনেতো একাই যান সবসময়। রমজানকে অবাক করে দিয়ে কথা বলে রওশান।
- তা ঠিক, তা ঠিক। কাম হইলেই হইলো। সমস্যা হইতেছে কিনা এইটা হইলো দেখার বিষয়। বলে রমজান। কিন্তু তার কপালে ভাঁজ পড়ে।
- তা আজকে ঝাল একটু বেশিই দিছি। চাইখা দেখবেন নাকি একটু। রমজানের বিষ্ময়কে বাড়িয়ে দিয়ে কথা বলে চলে রওশান।
- না তোমার উপরে আমার বিশ্বাস আছে।

রমজান একরাশ ধন্ধ নিয়ে উঠে যায় তার নদীর পাড়ে রাখা মাইক্রোর দিকে। ওখানেই হাবিব মাহাজন তার জন্য অপেক্ষা করে আছে। মাহাজনকে মাইক্রোতে রাখার কারণে ১২ নাম্বারকে নদী পাড়ের জংলায় এনে রাখতে হয়েছে। এই জায়গাটা যদিও নিরাপদ তবুও একসাথে এতগুলো কাজ করাটা একটু রিস্কি। এদিকে মাইক্রোর দিকে যাচ্ছে ঠিকই কিন্তু মাহাজনকে সে কী বলবে ভেবে পায় না। তার কি মাহাজনের সাথে দেখা করা উচিত কিনা তাও সে বুঝতে পারে না। মাইক্রোর প্রায় কাছাকাছি এসে সে আবার ফিরে যেতে থাকে, যেখানে সবুর আর সোবহান বসে আছে সেখানে। ফিরতি পথে রওশানের জ্বলজ্বলে চোখজোড়া তার চোখ এড়ায় না। সে চিন্তা করে, আর যাই হোক সে মাহাজনের বিষয়টা সামনা সামনি করতে পারবে না। বরং সোবহান আর সবুরকে পুরোটা বুঝিয়ে দিয়ে সে একটু রেস্ট নিবে।

কাছাকাছি আসতেই সবুর রমজানকে মাংসের বাটি দেখিয়ে বলে, ‘ওস্তাদ রওশান আপনেরে ঘুষ পাঠাইছে। ওই যে বাটিত।’ ‘হাতের কাম সারছস?’ সবকিছু পর্যবেক্ষণ করে নিশ্চিন্ত হয়ে বলে রমজান। সোবহানরে ডাইকা নিয়া আয়।

সোবহান এলে পরে সোবহান আর সবুরকে হাবিব মাহাজনের বিষয়ে সবটা বুঝিয়ে দিয়ে সে ১২ নাম্বারের কথাটা বলে। সবুর যেন আগের চাইতে তাড়াতাড়ি সব বুঝে যায়। সোবহানের ভাবভঙ্গিতে কিছু বোঝা যায় না। তারা খালি কথার মাঝখানে একটু পরপর রমজানকে মাংসটা খেতে বলে। রমজান একসময় বিরক্ত হয়ে বলে- ‘কী বারবার মাংস মাংস করতাছস। খামুনে। তোগো ক্ষিধা লাগলে খাইয়া নে।’

সবুর তখন একটা হাসি দিয়ে বলে ‘মাহাজনরেও খাওন দিছি, আপনেও খাইয়া লন ওস্তাদ। আমি আইজ আর মনে হয় খাইতে পারুম না। আরো তিনখান মুরগীত মশলা মাখাইতে হইবো। রওশান ভাই কইছে রাইতে আর খাইয়া কাম নাই, সকাল হইলেই তিনজনে একলগে খামু।’ রমজান আগা মাথা কিছু বুঝতে পারে না প্রথমে। মাথায় কেমন জট পাকিয়ে যায়। সাকালে তিনজনে খাবে কেন? সে কি করবে তাহলে? সবুর রওশানরে হঠাৎ ভাই ডাকা শুরু করলো কেন? তার মাথায় ঢুকে না। সে টের পায় তার দিকে একটা ছায়া এগিয়ে আসছে। তার ধন্ধ লাগে যে, সে নিজেই আজ মুরগী হয়ে যায়নিতো? সে সোবহান আর সবুরের দিকে তাকায় তীক্ষè চোখে। তাদের ঠোঁটে হাসি দেখে সে। মুহূর্তেই তার কাছে সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যায়। সে পিছনে তাকিয়ে রওশানকে দেখে রড হাতে দাঁড়িয়ে। সে শুধু বলে ‘সবুর!’

‘ওস্তাদ, একটুও কষ্ট দিমু না। যতœ কইরা মশলা মাখামু। কোনো খুঁত থাকবো না। চৌদ্দ ভুতে ঠেইলাও আপনেরে ভাসাইতে পারবো না।’ সিমেন্ট-সুরকির মশলায় আরো কিছু পানি ঢালতে ঢালতে বলে সবুর। আর তার কথায় সবার মুখে একটা নিরব কিন্তু নিষ্ঠুর হাসি দেখা দেয়। রমজানের সেদিকে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। তার এখন সেই হাবিব মাহাজনের উপরই রাগ উঠতে থাকে যার জন্য একটু আগেও তার খারাপ লাগছিলো। মাহাজনের অতি লোভের বলি হতে হচ্ছে তাকেও। রমজান চোখ বোঁজে। তার মাথা ফাঁকা লাগছে। সে নিজের সুনিশ্চিত অন্তর্ধানের দিকে মুখ করে স্থির হয়ে বসে থাকে। একটা নিখোঁজ সংবাদও ছাপা হবে না তাকে নিয়ে। তার সামনে তার দেহটাই বাতাসে দুলতে থাকে দুর্বাঘাসের মতো। সে তার পেটের ওপর হাত বুলাতে থাকে। সবুরের মশলা মাখা হাত দুইটার দিকে তার নজর যায়। সে যেনো স্পষ্ট দেখতে পায় সবুর তার বানানো মশলাগুলো, তারই সামনে রাখা মশলাগুলো, একটু একটু করে তার ফাঁকা পেটে ভরে দিচ্ছে। সে যেনো টের পায় সবুরের দুহাতের জোরালো টানে বের হয়ে আসছে তার নাড়ি-ভুঁড়ি। ছিলার মতো টানটান হয়ে উঠে দাঁড়ায় রমজান। পরমুহূর্তেই সারা শরীর গুলিয়ে ওঠে তার। সারা দুনিয়া টাল খেয়ে যায়। কান্নি খাওয়া ঘুড়ির মতো মাটির দিকে যেনো বিনা বাধায় পড়তে চায় সে। কিন্তু সে পড়ে না। সে যেনো চাক্ষুস নিজেকে, নিজের ছিন্ন নাড়িকে আর সবুরের মশলাকে পাশপাশি দেখতে পায়। নিজের নাড়ির গন্ধ পায় যেনো সে। সেই গন্ধে রমজানের সারা শরীরে একটা দুলুনি দিয়ে ওঠে। আর থামিয়ে রাখতে পারে না, চারদিক ভাসিয়ে দিয়ে বমি করতে থাকে রমজান। ‘কী হইলো ওস্তাদ? খাইয়া লন তাড়াতাড়ি।’ বলে সবুর। তার চোখে কিসের যেনো উল্লাস। নিরুপায়ের মতো রমজান সেদিকে তাকিয়ে থাকে।

স্বয়ম


মন্তব্য

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

ইয়ে, মানে...

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

প্যাচগি লাগছে নাকি?

স্বয়ম

মাসুদ সজীব এর ছবি

প্রথম পর্বের লিংকটা শুরুতে দিয়ে দিলে দুটো একসাথে পড়া সহজ হতো পাঠকের জন্যে।

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

অতিথি লেখক এর ছবি

বিষয়টা খেয়াল করি নাই।

স্বয়ম

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

অন্তর্ধান (প্রথম পর্ব)

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ।

স্বয়ম

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক । বেশ হইছে, ওস্তাদ হাসি

দেবদ্যুতি

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ।

স্বয়ম

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

লেখা চলতে থাকুক। হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

সাহস পাইলাম।

ধন্যবাদ

স্বয়ম

তানিম এহসান এর ছবি

চলুক চলুক হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ।

স্বয়ম

এক লহমা এর ছবি

লেখার মুন্সীয়ানা নিয়ে কোন কথা নেই, মুগ্ধতা আছে।
কিন্তু গল্পের কাহিনী নিয়ে কথা আছে।
গল্পের এই পর্বের প্রায় শুরু থেকেই বোঝা যাচ্ছিল পরিণতি কি হবে। সেটা হলেও গল্পের রস-হানি ঘটে না যদি ঐ পরিণতির সপক্ষে নিয়তির অনতিক্রম্যতার ক্রমবিস্তারটা ঠিক থাকে। এ পর্বে সেই জায়গাটা আমার কাছে যথেষ্ট ঠাসবুননির লাগেনি।

পরের গল্পের জন্য সাগ্রহ অপেক্ষায় থাকলাম। নূতন বছরের শুভেচ্ছা জানবেন।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রথমেই ধন্যবাদ। পরিণতি বেশি অনুমিত হয়ে গেছে? আমি আরো পোস্টানোর আগে ধোঁয়াটে ভাব কাটানোর জন্য মাঝখানে মাঝখানে কিছু জায়গা জুড়ে দিয়েছি। এটাই তাহলে ঝামেলা তৈরি করলো?

এটা ছাড়াও আরো কী যেন একটা ঘাটতি আছে। ধরতে পারছি না ঠিকঠাক।

অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

স্বয়ম

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।