আমাদের দেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে নারীর ক্ষমতায়নের প্রায়োগিক এবং তাত্ত্বিক গবেষণা এবং কর্মপন্থার এখনো অনেক সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের সামগ্রিক সামাজিক রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক বাস্তবতায় গ্রামীন ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পে নারী উদ্যোক্তাদের ভূমিকা, বিদ্যমান সমস্যা এবং সম্ভাব্য করণীয় নিয়ে এখানে আলোকপাত করা হল।
সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহাসিকভাবে আমাদের সমাজে নারীর অবস্থান সম্পর্কে এক ধরনের বৈপরীত্য এবং স্ববিরোধী মনোভাব দেখা যায়। আমাদের সমাজে একদিকে যেমন নারীকে দেখা হয় মাতৃরূপে তেমনি সংসার পালনে নারীর ভূমিকাকে মহিমান্বিত করে নারীর কর্মপরিধিকে একটি সুনির্দিষ্ট আবর্তে বেঁধে রাখার চেষ্টাটিও প্রকটভাবে প্রতীয়মান হয়। আমাদের দেশপ্রেম, ভাষাপ্রেম, আমাদের কৃষ্টি এবং ঐতিহ্যের মধ্যেও নারীকেন্দ্রিকতার একটি স্থান রয়েছে। আমরা দেশ এবং ভাষাকে ‘মা’-এর স্থানে অধিষ্টিত করি, আমরা আমাদের আবহমান সাংস্কৃতিক আচার আচরনে ‘মা’-এর ভূমিকাকে মহিমান্বিত করি। আমরা দেখেছি সোভিয়েত রাশিয়া বা নাতসি জার্মানিতে স্বদেশকে একটি পৌরষদীপ্ত ‘ফাদারল্যান্ড’ হিসেবে অভিহিত করা হত। কিন্তু, সেই ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের সময় হতেই আমাদের বাংলা ভাষাভাষিদের মধ্যে স্বদেশ বন্দনার মাঝে একটি সুস্পষ্ট মাতৃরূপ প্রকাশিত হয়ে আসছে। ‘বন্দে মাতরম’ স্লোগানের একটি সাম্প্রদায়িক রূপ পূর্ব বাংলা তথা বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান জনগনকে সন্ধিগ্ন করেছিল এক সময়। কিন্তু ৪৭ পরবর্তী সময়ে বাঙালি জাতিয়তাবাদের উন্মেষে দেশকে ‘মা’-এর সাথে তুলনা করার একটি সার্বজনীন অসাম্প্রদায়িক চরিত্র প্রকাশিত হয়েছে। “মা, মাতৃভূমি এবং মাতৃভাষা” – ক্রমেই বাঙালি জাতিসত্ত্বার একটি অবিচ্ছেদ্দ অংশে পরিনত হয়। ‘একবার বিদায় দে মা’, ‘মা গো ভাবনা কেন’, ‘জন্ম আমার ধন্য হল’ – গানে, কবর নাটকে কিংবা ‘কোন এক মাকে’ কবিতায় মা এবং সন্তানের ভালবাসা এবং অবিচ্ছেদ্দ সম্পর্কের সাথে স্বদেশ এবং তার অধিবাসীদের নাড়ির টানকে রূপায়িত করা হয়েছে। কিন্তু মা-য়ের প্রতি এই শ্রদ্ধা এবং ভক্তির পাশাপাশি আমাদের ডিএনএ-তে রয়ে গেছে নারীর প্রতি বৈষম্য, অবিচার, অত্যাচার এবং অশ্রদ্ধা এবং অবজ্ঞার রীতি। ক্ষুদ্র পারিবারিক বলয় থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় এবং সামাজিক পর্যায়ে এযেন এক অনতিক্রম্য বাঁধা।
এলিজাবেথ (প্রথম)বা ভিক্টোরিয়া ব্রিটেনের ইতিহাসের সবচেয়ে সফল রাষ্ট্রনায়ক হলেও তাদের সময় নারী স্বাধীনতার পথ ছিল রূদ্ধ। নারীদের ভোটাধিকার ছিল না, তাদের সম্পত্তিও চলে যেত বিয়ের পর তাদের স্বামীদের কাছে। তাই রাজনৈতিক অঙ্গনে নারী নেতৃত্ব একটি ইতিবাচক দিক হলেও নারী মুক্তিতে এটি প্রধান নিয়ামক নাও হতে পারে। সাফ্রাগেটেস (Suffragettes) আন্দোলন সম্ভবত ব্রিটেন এবং পাশ্চাত্যে নারী স্বাধীনতার বিকাশে একটি বড় ভূমিকা পালন করেছিল। মূলতঃ দুইটি বিশ্বযুদ্ধের সময় পাশ্চাত্য নারীদের গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারে এবং ধীরে ধীরে সমাজের সকল ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহনকে উৎসাহিত করে। পরবর্তীতে ৬০-এর দশকে বিশ্বজুড়ে উন্মাতাল প্রগতিশীল আন্দোলন নারী মুক্তির পথকে প্রসারিত করে।
ফিরে আসি আমাদের দেশের প্রসঙ্গে। সাংস্কৃতিক দিক থেকে নারীর প্রতি আমাদের সমাজের ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গীর একটি প্রগতিশীল এবং ইতিবাচক রূপ রয়েছে। পক্ষান্তরে, আমাদের অসাম্প্রদায়িক বাঙালি জাতিয়তাবাদে প্রোথিত নারীকে দেশ, ভাষা এবং মা-য়ের রূপে উপস্থাপনের ধারনাটির সাথে ধর্মভিত্তিক এবং সামন্ততান্ত্রিক পুরুষ শাসিত সমাজের রূঢ় বাস্তবতার একটি নিরন্তর দ্বন্দ্ব বিদ্যমান। কিন্তু সমাজে নারীর ক্ষমতায়নকে একটি টেকসই রুপ প্রদান করতে হলে নারীদের অর্থনৈতিক সাবলম্বীতার বিকল্প নেই। ইতিমধ্যেই আমরা দেখেছি শহর ভিত্তিক শিক্ষিত মধ্যবিত্ত এবং উচ্চ মধ্যবিত্ত নারী সম্প্রদায় মূলধারার অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত হচ্ছে – তারা লেখাপড়া করছে, চাকরি করছে কেউ কেউ নিজেদের ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছে। অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে শিক্ষা এবং চাকরিতে নারীদের অংশগ্রহন বেড়েছে। গার্মেন্টস শিল্পের মাধ্যমে গত দুই দশক বা তার চেয়ে বেশি সময়ে নিম্নবিত্ত সমাজের নারীরা অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা অর্জনে অনেকটা অগ্রসর হয়েছে। কিন্তু উভয়ক্ষেত্রেই (সমাজের উচ্চবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত)এই অর্জনগুলো একদিকে যেমন অপ্রতুল অন্যদিকে তেমনি এর মাধ্যমে কমছে না আমাদের সমাজের লিঙ্গভিত্তিক অসমতা, বৈষম্য এবং শোষণ। পাশ্চাত্যের দেশেও স্বচ্ছ ছাদ (glass ceiling)-এর কথা বলা হয়ে থাকে যার মাধ্যমে বোঝা যায় চাকরিক্ষেত্রে নারীদের ব্যাপক অংশ গ্রহন হলেও সেখানে একটি অলিখিত বৈষম্য কাজ করে এবং তারা একটি পর্যায়ের উপর উঠতে পারে না। যেমন, একটি পরিসংখ্যানে দেখা যায় বর্তমানে বিশ্বের প্রথম ৫০০টি কোম্পানির মাত্র ২৩টিতে নারী সিইও আছেন – যা মোট সংখ্যার মাত্র চার শতাংশ । যুক্তরাজ্যে বিশ শতাংশের কম বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী উপাচার্য রয়েছেন ।উন্নত বিশ্বের মত প্রাচ্যের দেশগুলোতেও দেখা যায় এধরনের হতাশাজনক পরিসংখ্যান। শ্রীলংকা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে মানবসম্পদ উন্নয়নের বিভিন্ন সূচকে এগিয়ে আছে। সেই শ্রীলংকার মোট জনশক্তির ৩৫% শতাংশ নারী। কিন্তু মাত্র 0.৯% বেসরকারী প্রতিষ্ঠান নারী মালিকানাধীনে রয়েছে। এই পরিসংখ্যান ভারত, পাকিস্তান বা বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও হতাশাব্যঞ্জক।
গবেষণা থেকে দেখা গিয়েছে যে, অনেক সময় চাকরির জন্য পর্যাপ্ত যোগ্যতার বা অভিজ্ঞতার ঘাটতি থাকলে মানুষের মধ্যে উদ্যোক্তা প্রবৃত্তির উন্মেষ ঘটে। আমাদের প্রান্তিক পর্যায়ের নারীদের জন্য এটি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। গ্রাম পর্যায়ে কৃষিভিত্তিক এবং অন্যান্য ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পের বিকাশে নারী উদ্যোক্তারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। গ্রাম এবং মফস্বল পর্যায়ে পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের অভাবের জন্যও নারীদের পক্ষে নিয়মিত চাকরিতে অংশ নেয়া কঠিন হয়ে পড়ে। তাই তাদের ব্যবসায় উদ্যোগ একদিকে যেমন তাদের স্বনির্ভরতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে অন্যদিকে তেমনি স্থানীয় এবং জাতীয় অর্থনীতিতেও এর এক অপরিসীম অবদান থাকতে পারে। কিন্তু দুঃখজনক হল বাংলাদেশেসহ দক্ষিণ এশিয়ার সমাজে নারীদের উদ্যোগ গ্রহনের অনেক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। সংসার এবং কর্মজীবনের ভারসাম্য রক্ষা – এক্ষেত্রে নারী উদ্যোক্তাদের প্রধান সমস্যা। এর সাথে আছে অর্থনৈতিক অবকাঠামোর অভাব এবং সামাজিক এবং পারিবারিক দৃষ্টিভঙ্গীর প্রভাব। তাই প্রান্তিক পর্যায়ে নারীদের পক্ষে ব্যবসায় উদ্যোগে এগিয়ে আসা অনেক দুরহ।
একথা অনস্বীকার্য যে আমাদের সামগ্রিক আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপটে নারীমুক্তির পথ প্রসারিত করতে হলে প্রান্তিক পর্যায় হতে এটি শুরু করতে হবে। এটি অনেকটাই সময়ের সাথে প্রতিযোগিতা। প্রান্তিক এবং গ্রামীন পর্যায়ে উগ্র ধর্মীয় মতাদর্শ দ্রুত বিস্তার লাভ করছে যা নারী প্রগতির সাথে সাংঘর্ষিক। আগামী দিনের বাংলাদেশে নারী মুক্তির জন্য ধর্মীয় উগ্রপন্থীদের রাজনৈতিক এবং সামাজিক অবস্থান একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠবে। বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের এই বিষয়ে আরো অনেক দুরদর্শীতার পরিচয় দিতে হবে। গ্রাম পর্যায়ে নারী উদ্যোগকে সহায়তা করতে হলে তিনটি আঙ্গিকে নীতি নির্ধারন করতে হবেঃ ১) নারী উদ্যোগ বান্ধব আইন/নীতি প্রনয়ন, ২) গ্রামীন অর্থনীতি এবং সমাজে উদ্যোগ বান্ধব অবকাঠামো বিনির্মাণ, ৩) সামাজিক আচার, ব্যবহার এবং দৃষ্টিভঙ্গী পরিবর্তন। আইন প্রনয়নের ক্ষেত্রে বর্তমান ব্যাংকিং এবং ঋণ গ্রহনের নিয়মে পরিবর্তন এবং নারী উদ্যোক্তাদের উৎসাহ প্রদানকারি নীতিমালা প্রনয়ন অত্যন্ত জরুরী বলেই গবেষকরা মনে করেন। গ্রামীন এবং মফস্বল কেন্দ্রিক অর্থনীতির অবকাঠামোকে আরো উন্নত এবং হালনাগাদ করার প্রয়োজন রয়েছে। তথ্যের বন্টন এবং সরবরাহ উদ্যোক্তাদের সাফল্যের একটি পূর্বশর্ত। মোবাইল ফোনের ব্যবহার এক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। কিন্তু গ্রামীন সমাজের দৃষ্টিভঙ্গী এবং সামাজিক এবং পারিবারিক আচার ব্যবহারের পরিবর্থন বোধ করি সবচেয়ে কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে সক্ষম। নারী শিক্ষা এবং নারীদের অর্থনৈতিক কাজে অংশগ্রহনের ভূমিকাকে সরকারি এবং বেসরকারি উদ্যোগকে গ্রামীন সমাজের কাছে তুলে ধরতে হবে।
একটি কথা উপলব্ধি করবার প্রয়োজন বাড়ছে – আর তা হল নারীর প্রতি সম্মানের অভাব এবং নারীকে অবজ্ঞা এবং হেনস্তা করার প্রবনতা নেহায়েত কিছু বখাটে যুবকের নোংরা মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ নয় বরং এর পেছনে আছে আমাদের সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক কর্মকান্ড এবং রীতিনীতির দৈন্যতা। এই বহুমাত্রিক সমস্যার বহুমাত্রিক সমাধান প্রয়োজন। এই ব্লগে এর মধ্যে একটি সম্ভাব্য বিষয়কে তুলে ধরা হয়েছে।
প্রাসঙ্গিক রেফারেন্সঃ
Azmat, F. and Samaratunge, R. (2009), “Responsible entrepreneurship in developing countries: understanding the realities and complexities”, Journal of Business Ethics, Vol. 90, pp. 437-452.
Guhathakurta, M. (2004), “Women negotiating change: the structure and transformation of gendered violence in Bangladesh”, Cultural Dynamics, Vol. 16, No.3, pp. 193-211.
Hafkin, N. J., and Huyer, S. (2008). “Women and gender in ICT statistics and indicators for development”. Information Technologies &International Development Vol. 4, No.2, pp.25.
Mathew, R. V. and Panchanatham, N. (2011), “An exploratory study of the work life balance of women entrepreneurs in South India”, Asian Academy of Management Journal, Vol.16, No. 2, pp. 77-105.
Mattis, M.C. (2004), “Women entrepreneurs: out from under the glass ceiling”, Women in
Management Review, Vol. 19 No. 3, pp. 154-63.
Roland, G. and Wong, A. (2008), “Building micro enterprises through information and communication technologies (ICT) in Bangladesh” Telektronikk2.
Sarkar, S. and Palit, M. (2014), “Determinants of success factors of women entrepreneurs in Bangladesh a study based on Khulna region”, Business and Economic Research, Vol.4, No.2, pp. 238-250.
Taher, A. and Balasundaram N. (2011), “Entrepreneurship Development Potentiality in Bangladesh: Lessons for Sri Lanka”, in Singh, G., and Bamrara, A. (Eds), Management Strategies and Innovation¸ pp. 169-187, published by Deep and Deep.
Zahra, N. (2013), “Impact of demographic antecedents in determining the motivational drives among women entrepreneurs: a case study of women entrepreneurs venturing in Lahore, Pakistan”, Asian Journal of Business Management, Vo.5, No.1, pp. 163-173.
- লেখক - নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ
মন্তব্য
ভূমিকা কিছুটা সংক্ষিপ্ত করে ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পে নারী উদ্যোক্তাদের ভূমিকা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করলে ভালো হতো।
১। লেখার ফরম্যাটিং-এ কিছু ঝামেলা রয়ে গেছে। পরের বার এই ব্যাপারে একটু নজর দেবেন।
২। যেমন ভূমিকা দিয়ে শুরু করেছিলেন তাতে লেখার দৈর্ঘ্য এর কয়েকগুণ হওয়া উচিত ছিল।
৩। বিদ্যমান সমস্যা নিয়ে আরো বিস্তারিত লেখা আশা করেছিলাম। জেনেরিক মন্তব্যের চেয়ে উদাহরণ দিয়ে দিয়ে প্রত্যেকটা সমস্যা যথা সম্ভব আলোচনা করতে পারতেন। এতে কোনটা কোনটা সমস্যা আর কোনটা কোনটা জানার ঘাটতি সেটা বুঝতে সুবিধা হতো।
৪। সমস্যা নিয়ে আলোচনা সংক্ষিপ্ত হওয়ায় করণীয় সম্পর্কিত আলোচনাও ছোট হয়ে গেছে।
৫। যেহেতু বিষয়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ, তাই এই বিষয়ে কয়েক পর্বে একটা পূর্ণাঙ্গ লেখার দাবী জানিয়ে গেলাম।
লেখালেখিতে একটু সময় দিন। নিয়মিত লিখুন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
একমত
রাসিক রেজা নাহিয়েন
আমি লেখাটার হেডলাইনটার প্রতি আরো একটু সুবিচার আশা করছিলাম। পোস্ট কন্টেন্টে ভূমিকা, সমস্যা, করণীয় তিনটি বিষয় আরো একটু বিস্তারিত আসলে ভালো হতো।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
আমিও নীড়পাতায় লেখার হেডিং পড়ে মনে মনে লাফিয়ে উঠেছিলাম। পরে যা হলো তা তো হলোই।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
লেখাটা খুব বেশি জেনারালাইজড হয়ে গেছে। আর খুব বেশি কেতাবি। রেফারেন্স লিস্ট দেখে ধারণা করছি আপনি এই বিষয় নিয়ে কিছুটা পড়াশোনা অবশ্যই করেছেন। সেই কারণেই এই বিষয় নিয়ে আরেকটু গোছানো লেখা আশা করছি আপনার কাছে। কেতাবি বিষয়গুলোর সাথে আপনার নিজের অভিজ্ঞতা যদি থাকে এই বিষয়ে তাহলে লেখাটা আরও সমৃদ্ধ হবে। আশা করছি লিখবেন।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
লেখার দ্বিতীয় ও পূর্ণাংগ পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
যদিও এখানে কোন পর্ব উল্লেখ করা হয়নি, তবুও পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
লেখাটা আরও বড় করে গুছিয়ে লিখে ফেলুন। সম্ভব হলে এই নিয়ে একটা সিরিজ করতে পারেন।
নতুন মন্তব্য করুন