সবকিছুর শুরুটা একটা চায়ের আড্ডায়।
নিজের এলাকায় ইমার কোন বন্ধু ছিলো না। তার ভার্সিটির বন্ধুরা অনেক দূরে দূরে থাকে, অফিসের বন্ধুদের বাসাও এদিকে নয়। প্রয়োজনে, অপ্রয়োজনে, আড্ডা দিতে অথবা কোন বিপদে পড়লে চট করে বলার মতো কেউ ছিলো না। এলাকার মধ্যে কারও সাহায্য পেতো না সে, ডাক দিলে দশ মিনিটের মধ্যে চলে আসার মতো কোন সাপোর্ট ছিলো না তার। একদিন একই এলাকার একটা মেয়ের সাথে পরিচয় হলো, নাম লিটা। পায়ে হাঁটা দুরত্বে থাকে বলে দুজনের সুবিধা ছিলো অনেক। অফিস শেষে প্রায় বিকালেই আড্ডা দিতো দুই বন্ধু। এই বন্ধুত্ব তাদের জীবনকে অনেকটা সহজ করে দিয়েছিলো।
এলাকার মধ্যেই বিভিন্ন কাজ তারা একসাথে সেরে ফেলতো। ইমার হয়তো ব্যাংকের এটিএম বুথের লোকেশন জানা নেই, লিটাকে জিজ্ঞেস করলে সেই খবর পাওয়া যেতো। সস্তায় কোথায় চা নাস্তা খেতে খেতে আড্ডা দেয়া যায়, সেসব খবর লিটা ইমার কাছে পেতো। ছোটোখাটো কিছু হ্যারেজমেন্টের সমাধান তারা দুই বন্ধু একসাথে করলো। পায়ে হাঁটা দুরত্বের মধ্যে বন্ধু পেয়ে দুইজনেরই কনফিডেন্স বেড়ে গেলো অনেক।
একদিন বিকালে চা খেতে খেতে ইমা বললো – “ বুঝলি দোস্ত, তোর মতো এই এলাকায় আমার অনেকগুলো ফ্রেন্ড থাকলে খুব ভালো হইতো।”
লিটা উত্তর দিলো – “এলাকার মধ্যে ফ্রেন্ডস থাকায় কতো সুবিধা হইসে আমাদের! একটা এরিয়ার সব ধরণের ইনফরমেশন ঐ এলাকার মেয়েদের কাছে থাকে। গেলো সপ্তাহে, যাত্রাবাড়ি থেকে এইদিকে একটা ফ্রেন্ড শিফট করেছে বুঝলা। ওরে আমাদের এখানে মহিলা হোস্টেল খুঁজে দিলাম। আর হ্যারেজমেন্টের কথা চিন্তা করসো? দুইটা মেয়ে একসাথে থাকলে কেউ টিজ করতে তেমন সাহস পায় না। প্রতিবাদও করা যায় সহজে, পাশে একজন তো আছে, একা তো না।”
ইমা কয়েক সেকেন্ড চিন্তা করলো। - “তাহলে অন্য এলাকার কি হবে? আমি তো সারাদিন এই এলাকায় বসে থাকি না। অন্য অনেক জায়গায় যাই। সবসময় তুই থাকিস না। ঐ সব জায়গায় হ্যারেজমেন্ট হইলে?
লিটা – “সেসব জায়গায় তোমার কোন ফ্রেন্ড নাই?”
ইমা – “ আছে, ছাড়াছাড়া ভাবে। তাদের তো ঐভাবে খুঁজে পাবো না দশ মিনিটের মধ্যে!”
লিটা বললো – “বিভিন্ন কাজে ঢাকার বাইরেও যেতে হয় আমাকে। সেসব জায়গায়ও চট করে অনেক ইনফো দরকার হয়, নানান রকম সমস্যাও হয়।”
ইমা একটু চুপ করে ভাবে। এরপর একটানা বলতে শুরু করে – লিটা! চিন্তা কর, বাংলাদেশের সব জেলায় সব এলাকায়, পাড়ায় মহল্লায় একটা করে মেয়েদের ফ্রেন্ড সার্কেল! মেয়েরা নিজেদের সমস্যাগুলোর সমাধান নিজেরাই করতেসে। নিজেরাই আগায়ে আসতেছে যেকোন প্রয়োজনে। কেমন হবে ব্যপারটা?”
লিটা উত্তেজিত ভঙ্গীতে বলে উঠলো – “একেবারে তিন গোয়েন্দার ভূত থেকে ভূতের মতো!”
সেদিন বাসায় ফিরে লিটার মগজের চাকাগুলো তুমুল গতিতে ঘুরতে থাকে। তখনও পহেলা বৈশাখ এর জঘন্য ঘটনাগুলোর ঘা দগদগে হয়ে আছে। হ্যারেজমেন্টকারীরা ছিলো সংঘবদ্ধ। এক এলাকার কোন বদমাশ অন্য এলাকায় গিয়েও নির্দ্বিধায় কোন মেয়েকে যা ইচ্ছে তাই বলতে পারে, কারণ সে জানে ঐ এলাকায় তার কয়েকটা বন্ধু আছে, বিপদ দেখলে দৌড়ে চলে আসবে, তাকে বাঁচাবে।
“নেইবারহুড ফ্রেন্ডস অ্যান্ড নেটওয়ার্কিং” – ইমার এই আইডিয়াটা নিয়ে সে ভাবতে থাকে।
সত্যিই, চেষ্টা করলে এটা এমন একটা আইডিয়া হতে পারে, যেটা একেবারেই সহজ, কোনো মারামারি পিটাপিটি নাই, কোন মানববন্ধন সভা সেমিনারের ঝামেলা নাই, কোন খরচ বা ইফোর্টের দরকার নাই। পায়ে হাঁটা দুরত্বে কিছু বন্ধু, আবার অন্য এলাকাতেও একই রকম বন্ধু গ্রুপ, যাদের না চিনলেও নেটওয়ার্কের ওপরে এতটুকু ভরসা করা যায় যে প্রয়োজনে ঐ এলাকার বন্ধুরা এগিয়ে আসবে, তথ্য দিয়ে, বা পাশে দাঁড়িয়ে হেল্প করবে।
আইডিয়াকে বাস্তব চেহারা দেবার জন্য তারা দুই বন্ধু নিজের এরিয়ার আরও মেয়েদের খুঁজতে শুরু করে। কিন্তু কিভাবে? বাংলাদেশে সমমনা মেয়েদের ফেইসবুকে একটা বিশাল একটা নেটওয়ার্ক আছে। চার হাজারেরও বেশি সদস্য আছে সেখানে। এখানে নিজের এলাকার মেয়েদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ওরা দুজনে ১৬ই এপ্রিল একটি পোস্ট করে। বিভিন্ন পেশার, বিভিন্ন বয়সের, বিভিন্ন এলাকার অনেক মেয়েই এই আইডিয়াটার প্রশংসা করেন, সরাসরি অংশ নিতে চান। এই আইডিয়ার জন্য একটা সুন্দর নাম আহবান করা হয়, যেখানে আমাদেরই এক আপু, জান্নাতুল নাইম প্রস্তাব করেন “শক্তি”।
“শক্তি” আইডিয়া, “শক্তি” গ্রুপ, এবং “শক্তি” নেটওয়ার্ক কী?
পায়ে হাঁটা দুরত্বে একদল বন্ধু – শক্তির আইডিয়াটা মূলত এই।
এক এক এলাকার মেয়েরা ছোট ছোট বন্ধু গ্রুপ তৈরি করবে। এই গ্রুপ গুলোর নামই হচ্ছে “শক্তি” গ্রুপ। গ্রুপের প্রত্যেকেই এক একজন শক্তি। সবগুলো শক্তি গ্রুপকে সংঘবদ্ধ রাখতে রয়েছে একটা শক্তিশালী নেটওয়ার্ক।
নিজেদের গ্রুপের সব শক্তির মধ্যে সমন্বয়, এবং নেটওয়ার্কের সাথে যোগাযোগ রাখার জন্য আছেন Group Coordinator, সংক্ষেপে GCO, যারা নিজেদের মুল্যবান সময়, মেধা এবং অখন্ড একাগ্রতায় এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন শক্তিকে। শক্তি গ্রুপের সবাই তাদের মেয়েদের বিভিন্ন সমস্যায় ও প্রয়োজনে সাহায্য করছে। এ ছাড়া এক এরিয়ার শক্তি অন্য এরিয়ায় গিয়ে কোন ধরনের সমস্যায় পড়লে সংশ্লিষ্ট এরিয়ার শক্তিদের সাথে যোগাযোগ করে সহায়তা পাবে। শক্তির সবাই এই ছোট্ট আইডিয়াতে প্রতিদিনই যোগ করছে কিছু না কিছু নতুন প্রস্তাবনা।
শক্তির সুবিধা কি কি?
১) মেয়েদের মধ্যে এলাকাভিত্তিক ঐক্যের অভাব চোখে পড়ার মতো। আমাদের বন্ধুত্ব বা আড্ডা হয় শুধুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক। ছেলেদের প্রায় সবারই এলাকায় বন্ধু বান্ধব থাকে, এবং অন্য এলাকায় গেলেও তারা পরিচিত বন্ধুদের কাছ থেকে হেল্প নিতে পারে। একই এলাকার বাসিন্দা মেয়েদের মধ্যে একই রকম নেটওয়ার্কিং গড়ে তুলতেই আমাদের শক্তি আইডিয়ার জন্ম।
২) প্রত্যেক এলাকার শক্তিরা সপ্তাহে একদিন নিজের এলাকাতেই খোলামনে আড্ডা দেবে। আড্ডার কোন বাঁধাধরা নিয়ম, টপিক নেই। শুধু সবাইকে নন-জাজমেন্টাল এবং মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের মানুষ হতে হবে। বিভিন্ন জটিলতা এড়াতে, এবং সবাই যাতে সবার ভালো বন্ধু হতে পারে, তাই শক্তিগ্রুপ গুলোর সদস্য সংখ্যা সীমিত এবং সদস্য নির্বাচন করা হয় অনেক যাচাই বাছাই এর মাধ্যমে। শক্তি গ্রুপ এবং নেটওয়ার্ক কারও একার নয়, প্রত্যেক শক্তি এখানে সমান, সবাই সবার বন্ধু। শক্তিকে কর্মক্ষম এবং সুন্দর রাখতে শক্তির সকলের মতামত, ইচ্ছে, পরামর্শ অথবা অভিযোগকে সমান গুরুত্ব দেয়া হয়।
৩) নিজের এলাকার হ্যারেজমেন্ট জোন, থানা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ফুড জোন, শপিং মল, মহিলা হোস্টেল, ব্যাংক, কুরিয়ার সার্ভিস, হাসপাতাল, ডাক্তারের চেম্বার, ব্লাড ব্যাংক, ইত্যাদি সম্পর্কে জানেন শুধু ঐ এলাকার স্থানীয়রাই। অনেক এলাকায় সাইক্লিং, সুইমিং, সেলফ ডিফেন্স, এয়ারোবিক্স, জিম এর সুবিধা আছে। নারীর জন্য বিভিন্ন সহায়তা, মানসিক স্বাস্থ্যসেবা অথবা আইনী সাহায্যের খোঁজখবর - এসব তথ্যও জরুরী। শক্তির মাধ্যমে, শক্তিদের উদ্যোগে আমরা সংগ্রহ করছি এসব ডাটা, আর ধীরে ধীরে তৈরি করছি আমাদের নিজস্ব ডাটাব্যাংক “শক্তিপিডিয়া”। এই ডাটাব্যাংক শক্তির সকল সদস্যের জন্য উন্মুক্ত।
৪) একটা মেয়ে রাস্তা ঘাটে কতো ধরণের হ্যারেজমেন্টের শিকার হয়, এবং সেক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক ভাবে সে কীভাবে রিয়াক্ট করে, এই সময়ে কি করলে ভালো হতো - এসব বিষয়ে আমরা আলোচনা করি। শক্তি একটা নন-জাজমেন্টাল সেফ স্পেস, যেখানে একজনের অভিজ্ঞতা থেকে আরও বহু মেয়ে শিখতে পারে, এবং খেয়াল রাখা হয় হ্যারাজমেন্টের জন্য মেয়েরা যাতে কোন ধরণের মানসিক ট্রমার মধ্য দিয়ে না যায়।
৫) নিজের এলাকায় বা অন্য এলাকায় কোন শক্তি হ্যারেজমেন্টের শিকার হলে ঐ এলাকার শক্তিতে যোগাযোগ করলে আমরা তাৎক্ষণিক ভাবে কাউকে না কাউকে পাশে পাবো। সেটা সম্ভব না হলে ঐ শক্তিরা এলাকার সেফ জোন গুলোর অবস্থান জানিয়ে দিতে পারবে। ক্রিটিকাল সিচুয়েশনে প্রয়োজন পড়লে শক্তির কারও বাসায় ঢুকেও আশ্রয় নেয়া যাবে। এসব পরিস্থিতিতে শক্তিদের পরিবারের সদস্যরাও কাজে আসতে পারেন।
৬) শক্তিরা নিজেদের উদ্যোগে মেয়েদের শরীরচর্চার বিভিন্ন মাধ্যমকে হাতের নাগালে এনে দিতে চায়। শক্তিরা মনে করে প্রতিটি মেয়ের শরীরচর্চা করা প্রয়োজন, এতে নিজেদের রিফ্লেক্স, স্টামিনা এবং কনফিডেন্স অনেক অনেক বেড়ে যাবে।
ইমার সেই আইডিয়াটা, এবং লিটার সেই উদ্যোগটা এখন আর শুধু কাগজে কলমেই সীমাবদ্ধ নেই। শক্তি এখন পুরোপুরি বাস্তব। শক্তির মেয়েদের একাগ্র ইচ্ছে ও প্রচেষ্টায় ধীরে ধীরে ঢাকার বেশ কয়েকটি এলাকায় তৈরি হয়েছে শক্তি গ্রুপ, তারা চব্বিশ ঘন্টা যুক্ত আছেন শক্তি নেটওয়ার্কের সাথে। ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলায়, এমনকি প্রবাসী বাঙালী মেয়েরাও আগ্রহী হয়েছেন এই আইডিয়াটা নিজেদের নেইবারহুডে বাস্তবায়ন করার।
এই মুহূর্তে শক্তি কি করছে?
শান্তিনগর, লালমাটিয়া, ধানমণ্ডি, মোহাম্মাদপুর, মীরপুর, উত্তরা, খিলগাঁও, বাসাবো – এই সব এলাকায় সফল ভাবে শক্তির আওতায় আনা হয়েছে। শক্তিরা যার যার এলাকার তথ্য, বাংলাদেশে নারীর জন্য আইনী সহায়তা, মানসিক স্বাস্থ্য সেবা এবং নারীর জন্য কাজ করছে এমন সংস্থাগুলোর ঠিকানা, ফোন নাম্বার যোগ করছে শক্তিপিডিয়ায়। এলাকায় এলাকায় শক্তিদের সাইক্লিং শেখানোর জন্য তাঁদের রয়েছে একজন ইন্সট্রাকটর, এমাসের মধ্যেই শক্তি-দ্বিচক্র শুরু হয়ে যাবে।
“শক্তি” মানে মেয়েদের লাইফ স্টাইলে একটি পরিবর্তন এবং বন্ধুত্বের একটা জায়গা গড়ে তোলা, অনলাইন নয়, অফলাইনে। এই মুহূর্তে আমাদের মাঝে আছে অসংখ্য শক্তি, যারা নিজেদের যতটুকু শক্তি আছে, তাই নিয়ে এই নেটওয়ার্কটি শক্তিশালী করে তুলছে। শক্তির আশা, একদিন এই আইডিয়াটা ছড়িয়ে পড়বে বাংলাদেশের সব কটা জেলায়, সব কটা গ্রামে, সব পাড়ায়-মহল্লায়, এমনকি দেশের বাইরেও। আমরা চাই না, কোন মেয়ে আর কখনো নিজেকে একা ভাবুক। প্রতিটি মেয়ের পাশে আছে তার অসংখ্য বন্ধু, সরাসরি, এবং সশরীরে। মেয়েদের পাশে আছে “শক্তি”।
আপনি শহর, গ্রাম, দেশে-বিদেশে যেখানেই থাকুন না কেন, আপনার যদি নিজের এলাকার মেয়েদের নিয়ে একটি ছোট বন্ধু গ্রুপ তৈরি করতে পারেন, শক্তির নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হয়ে নিজেকে এবং শক্তিকে শক্তিশালী করুন।
Be #শক্তি।
শক্তির সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে ক্লিক করুন –
ইমা নায়েরাঃ https://www.facebook.com/EmaNayera
ফারহিন এস কবির (লিটা), GCO, শান্তিনগর শক্তিঃ https://www.facebook.com/farhin.sohan.kabir.lita
নুশরাত ফারহানা, GCO, লালমাটিয়া-ধানমণ্ডি শক্তিঃ
রুবায়া হোসেন, GCO, খিলগাঁও-বাসাবো শক্তিঃ https://www.facebook.com/rubaya.hossain
-----------------------------
ফারহিন এস কবির (লিটা)
মন্তব্য
বাহ সুন্দর একটা সংগঠন তৈরি হয়েছে। শক্তির জন্য শুভকামনা।
আচ্ছা লেখায় উল্লেখ করেছেন
এক্ষেত্রে কী রকম ব্যবস্হা নিয়েছেন জানার আগ্রহ হচ্ছে। সবরকমের প্রস্তুতি নিশ্চয়ই নিচ্ছেন বা
ভাবচ্ছেন সেসব নিয়ে। মনে করেন উত্যাক্তকারী হিসেবে কিছু বখাটে দলবেঁধে এলো সেক্ষেত্রে নিরাপত্তার ব্যবস্হা মাথায়
রাখছেন কী? ফেসবুকে আপনাদের গ্রুপের কাজকর্মের অগ্রগতি সম্পর্কে জানার আগ্রহ থাকলো।
হুনুলুলুতে বসে বাংলাদেশের মেয়েদের দলে যোগ দেবার বিষয়টা হাস্যকর হয়ত, আমি শুধু জানবার আগ্রহেই বলছি আর কী!
নন জাজমেন্টাল সেফ স্পেসে কথা বলতে পারলে মন হাল্কা হবে। কোন মেয়ে হ্যারেজড হলে প্রথমেই যেটা করা হয় সেটা হচ্ছে স্লাট শেমিং। শক্তিতে কেউ মেয়েটিকে শেম করবে না। এছাড়া উনার সাইকলজিকাল কাউন্সেলিং বা যে কোন হেল্প দরকার হলে শক্তিপিডিয়ায় উন্মুক্ত তথ্য তো আছেই।
আর হনুলুলুতে বসে বাংলাদেশের শক্তিতে কেন যোগ দেবেন? সেখানে শক্তি- হনুলুলু তৈরি করবেন।
আমরা এখনও আমাদের গ্রুপ গুলোকে ডেভেলপ করছি। এখনই কাউকে পেটাতে যাচ্ছি না আমরা। কাউকে পেটানো উদ্দেশ্যও নয়। অনেক ভাবে হ্যারেজমেন্ট ম্যানেজ করা যায়।
ঠিক কথা। টেকনোলজি আজকের প্রধান হাতিয়ার। ভিডিও করুন, ছবি তুলে রাখুন ইনসিডেন্টের। তারপরে ছড়িয়ে দিন।
..................................................................
#Banshibir.
এসব তো থাকছেই। এছাড়া একই এলাকার মধ্যে যেটা হয়, একজায়গায় বসে কত গুলা ছেলে আড্ডা দিতে থাকলে, পাশ দিয়ে একটা মেয়ে হেঁটে গেলে হয়তো কমেন্ট পাস করে। ওরাও স্থানীয়, আমরাও, দেখা যায় কারও না কারও মুখ চেনা। গত মিটিং এ আমাদের মেয়েরা ফেরার পথে একজায়গায় কয়েকটা ছেলে আড্ডা দিচ্ছিলো। আমাদের শক্তির একজনের পরিচিত একটা ছেলে ছিলো । সে ঐ ছেলের সাথে আমাদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছে, এতে করে আইস ব্রেকিং হয়ে গেলো। আশা করা যায় ঐ সার্কেলের কেউ আমাদের কখনো টিজ করবে না আর, যেহেতু আমরা এখন জাস্ট এনাদার গার্ল ওয়াকিং বাই - এর চেয়ে বেশি কিছু। মেয়েদের একজন মেয়ে হিসেবে রিপ্রেজেন্ট করার বদলে ওদের কাছে একজন পারসন হিসেবে পরিচিত হলাম।
এরকম অনেক স্টেপস আমরা ভেবেছি এবং একটু একটু করে কাজ করছি সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য। শক্তির আইডিয়াতে ছেলেদের শত্রু হিসেবে নয়, পাশে রেখেই কাজ করতে চাই।
সঙ্গে আছি যদি বলা যায় যোগও দেয়া যায় কিন্তু। মনে মনেই হলো ক্ষতি কী!
বিকজ আই'ম অ্যা গার্ল নিয়ে হুনুলুলুতে মত্ত এখন।
শক্তির প্রয়োজন পড়লে সেটা তৈরি করা যাবে কিনা অন্তত বাঙ্গালিদের নিয়ে সেকথা জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না।
এখানে নানান ঋষির নানান মত। কপালে টিপ পরলে যারা বলে সেজদার জায়গাতে ওটা কেন?
তাদের নিয়ে শক্তি ক্ষয় হয়ত করা যায় জয়ের আশা কতটুকু করা সম্ভব জানা নাই।
পেটানোর কথা কিন্তু বলিনি। তবে দরকার পড়লে সেটা দেবার প্রস্তুতি থাকলে মন্দ হয় না।
শুভকামনা থাকলো।
সাধুবাদ নতুন উদ্যোগে। শক্তির জন্যে অসংখ্য শুভকামনা। আয়নামতির সেই প্রশ্নটা আমারও থাকছে।
(লেখায় অনেক বেশি বিদেশী শব্দের ব্যবহার দেখলাম, একটু সচেতন হলেই সেখানে বাংলা শব্দগুলো ব্যবহার করা যেত। আগামীতে এই বিষয়টা একটু লক্ষ্য রাখবেন।)
-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।
ধন্যবাদ মাসুদ। শক্তির বাইরে কিছু বলি, লেখালেখি আমার নেশা। সচলের পাতায় এই প্রথম জায়গা করে নিলো আমার লেখা। শুনেছিলাম এখানে গঠনমূলক সমালোচনা করে একজন লেখকের কলমকে আরও শাণিত করে তুলতে সাহায্য করা হয়। এখন দেখছি সত্যিই তাই। আপনার মুল্যবান পরামর্শ গ্রহণ করলাম এবং পরবর্তীতে প্রয়োগ করব। শুভকামনা।
এটা একটা কাজের কাজ হয়েছে। কথায় রাজা-উজির মারার চেয়ে যত ছোটই হোক, এমন উদ্যোগ নেয়াটা বিরাট ব্যাপার। শুরুতে কিছু ভুলভাল থাকবে, কাজ করতে করতে, নানা পরিস্থিতি সামাল দিতে দিতে সেগুলো কাটিয়ে ওঠা যাবে। কেবল কোন বিশেষ রাজনৈতিক দলের বা এনজিওর পাল্লায় না পড়লেই হলো (তাদের পকেটে ঢোকা বা তাদের চোখে বৈরী হওয়া অর্থে)।
নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে কমন সমস্যাগুলো চিহ্নিত করুন, সেগুলোর সহজ সমাধান বের করার চেষ্টা করুন। সচেতনতা বাড়ানোর জন্য নিয়মিত ছোট ছোট প্রোগ্রাম হাতে নিন। দরকারি আইনগুলো জানুন, সবাইকে জানান। একটা সমস্যা কেন তৈরি হলো সেটা নিয়ে ভাবুন, মূলটা বের করার চেষ্টা করুন। আগাছা কেটে ফেলা জরুরী, তবে তারচেয়েও বেশি জরুরী আগাছার মূল উপড়ে ফেলা।
শক্তি আর তার সব সদস্যের জন্য শুভ কামনা।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
মাত্র শুরু ধাপে ধাপে , পথ যাত্রায় পাশে থাকবেন
খুবই চমৎকার বিশ্লেষণ আপনার পান্ডব দা। আপনার মতামত অবশ্যই গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় রাখবো। শুভ কামনা।
দারুণ কাজ হয়েছে। শুভকামনা রইলো।
ব্লগবাড়ি । ফেসবুক
অনেক ধন্যবাদ
আসলে ইউনাইটেড থাকতে পারাটা নিজের মধ্যেই অনেক বড় শক্তি দেয় আর সব এরিয়ার ছোট ছোট গ্রুপ সপ্তাহে একবার দেখা করে ।একই এরিয়া তাই দেখা করাটা কনভিনিয়েন্ট হয় আর যেহেতু বন্ধুত্ব করার জায়গা এটা তাই টাকাপয়সা নিয়ে কোন ব্যাপার এখানে নেই। সব শক্তি অনলাইনে আর অফলাইনে অলওয়েজ কানেক্টেড আর এক গ্রুপ আরেক গ্রুপের সাথে কানেক্টেড তাদের জিসিওদের মাধ্যমে। আইনগত বা মানসিক দিকগুলোতে সাপোর্ট দেয়ার জন্য আমরাই একজন আরেকজনকে হেল্প করি, পাশে থাকি এবং অতি অবশ্যই প্রফেশনাল হেল্প নেয়ার ব্যাপারেও পাশে থেকে হেল্প করি আর পথ দেখাই কারণ আমাদের মধ্যে সব শ্রেণী - পেশার মানুষ আছে । দলগত টিজিং এর ক্ষেত্রে যার যার নিজের এলাকা তারা তারা দল বেধে ক্লিন রাখে, বেশির ভাগ সময়ই দেখা যায় এরা কোন না কোনভাবে আমাদের কারো না কারো পরিচিত। ইমার্জেন্সি রেস্কিউ এর ক্ষেত্রে আমরা আমদের বন্ধু, ফ্যামিলি মেম্বা্ ভাই, পারিচিত সবাইকে এক করে থাকি আর কিছুই করতে না পারলে এট লিস্ট আমাদের সবার বাসার দরজা আমাদের জন্য খোলা, যে কোন শক্তি অন্য শক্তির বাসায় এক বেলা শেল্টার পেতে পারে অনায়াসেই। শক্তি এখনো চেহারা পাচ্ছে তাই এর কর্মই এর ভবিষ্যৎ বলে দেবে কিন্তু শক্তি এমন একটা আইডিয়া যেটার ইমপ্লিমেন্ট করে আমরা যে কেউই থাকতে পারি ইউনাইটেড আর আরেকটু নিরাপদ ।
দারুণ উদ্যোগ। শক্তির জন্য শুভকামনা।
- ঘুমকুমার
ধন্যবাদ
অনেক ধন্যবাদ। পাশে থাকবেন।
দারুণ। এই ব্যাপারটা কখনও মাথায়ই আসেনি। ছেলেদের এলাকার বন্ধু থাকে আশে পাশের বাড়ির ছেলেদের সাথে পরিচয় থাকে। মসজিদে দেখা সাক্ষাৎ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ভাবেই সেটা হয়। যদিও ঢাকা শহরে অ্যাপার্টমেন্টের যুগে সেটাও ধীরে ধীরে কমে আসছে। কিন্তু মেয়েদের যে এই ব্যাপারটা একেবারে শূণ্যের কোটায় এটা কখনও ভেবে দেখিনি।
আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার আপনারা এটাকে আলোচনার খাতা থেকে বাস্তবতার মুখ দেখাতে পেরেছেন। শক্তি অনেক বড় হোক। নারীর প্রতি সবরকমের সহিংসতা আর বৈষম্য বন্ধ হোক।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
যখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায় তখন কেমন লাগে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন , আমাদেরও ঠেকে গেছে যে তাই।আমাদের এপার্টমেন্টের ছেলেরা সন্ধ্যায় বাসার নিচে জটলা করে আড্ডা দেয় , আর এখন আমরাও দেই ।
শুভকামনা। উদ্যোগটা দারুণ।
রাসিক রেজা নাহিয়েন
ধন্যবাদ
আপনাদের চিন্তা এবং পন্থা, দুটোই খুব কার্যকর হোক, এই কামনা করি। শক্তির সদস্যদের অনুরোধ করবো টেরি প্র্যাচেটের Monstrous Regiment বইটা পড়ে দেখতে। সার্জেন্ট জ্যাকরাম চরিত্রটা আপনাদের নিঃসন্দেহে অনেক অনুপ্রেরণা যোগাবে।
ধন্যবাদ । আমরা পড়ে দেখব Monstrous Regiment।
দারুণ দারুণ দারুণ একটা কাজ হয়েছে, সর্বাঙ্গীণ সফলতা কামনা করি শক্তির। মনে পড়লো, পুরাণে নারীই শক্তি। আদ্যাশক্তি, জগত সৃষ্টির আদি কারণ। শক্তির জয় হোক।
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
পাশে আছেন তো ??
এইটা কাজের কাজ হচ্ছে। শুভ কামনা রইলো। একটা সেন্ট্রাল পয়েন্ট অফ কন্টাক্ট রাখতে পারেন। অটোমেটেড ফোন এনাসারিং সার্ভিস হতে পারে। টেকনিক্যাল খোজ খবর কিছু নিয়ে জানাচ্ছি।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
অটোমেটেড ফোন এন্সারিং সার্ভিসের ব্যপারটা ভালো বুঝলাম না। আশা করি বিস্তারিত বলবেন। আমরা সব ধরণের পরামর্শর জন্য আহবান করছি।
ধরো, একটা মেয়ে উড়োভাবে কোথাও শুনলো শক্তি বলে কিছু আছে। কিভাবে যুক্ত হবে কিছুই বুঝছে না। সে প্রথমে এই সেন্ট্রাল একটা নাম্বারে কল করবে, কারও সাথে কথা বলার জন্য। এন্সারিং সার্ভিস এই জন্য যে , এইটা মেয়েদের নেটওয়ার্ক গ্রুপের নাম্বার জানলে বীরপুঙ্গবেরা ফোন নিয়ে ঝাপিয়ে পড়বে, তাই অটোমেটেড এন্সারিং সার্ভিস যে আপনি কি চান বলে মেসেজ রাখেন, পরে শুনে কেউ আপনাকে কল দিবে সাহায্য করতে।
আরেকটা কেস চিন্তা করলাম যে, আমি হয়ত নতুন একটা এলাকায় গেছি, সেই এলাকার শক্তির যোগাযোগ ঠিকানা নাই, এদিকে আমার এলাকার শক্তি যে তাকেও পাচ্ছি না ঐ মূহুর্তে যে অন্য এলাকার গ্রুপ কো-অর্ডিনেটরের নাম্বার দিবে, বা আমি আসলে ঠিক জানিও ঐ এলাকায় আসলে কোন শক্তি গ্রুপটা আছে, এক্ষেত্রে একটা সেন্ট্রাল নাম্বারে কল করলে সেখান থেকে অটোমেটেড এন্সারের মাধ্যমের তোমাকে ঐ এলাকার শক্তির সাথে যোগাযোগ করিয়ে দিবে।
পুরাটাই ফেসুকের মাধ্যমে হতে পারে, তবে সব সময় নেট কানেকশান হাতের কাছে থাকে না, এমন বিপদের মুহুর্তে চট করে সাহায্য পাবার একটা ব্যবস্থা চিন্তা করছিলাম। অটোমেটেড ফোণ সিস্টেম দেখলাম কঠিন না তেমন, ভি ও আইপির সাথে একটা সফটওয়্যার কম্পুতে ইনশটোল করে চালানো যায়।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
শক্তির সাথে আছি। মেয়েদের নেটওয়ার্কের কার্যকারিতা বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে দেখা আছে। নিজেদের শক্তিতে অটল থাকলে এটা অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যাবে আমাদের সবাইকে। নারী পুরুষের বৈষম্য দূর করতে দুপক্ষেরই এগিয়ে আসা প্রয়োজন। তবে পর্যবেক্ষণ বলে অধিকাংশ পুরুষই এগিয়ে আসতে প্রস্তুত নয় এখনো। নারীদের তাই নিজের শক্তিতে এগিয়ে আসার বিকল্প নেই। আশা করি এই শক্তি একদিন সেই সময়ে পৌঁছে দেবে আমাদের যেখানে এক এলাকার ছেলেরা মেয়েরা বন্ধু হবে, টংয়ে বসে আড্ডা দেবে, পরস্পরের প্রয়োজনে ছুটে আসবে।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
'আশা করি এই শক্তি একদিন সেই সময়ে পৌঁছে দেবে আমাদের যেখানে এক এলাকার ছেলেরা মেয়েরা বন্ধু হবে, টংয়ে বসে আড্ডা দেবে, পরস্পরের প্রয়োজনে ছুটে আসবে' স্বপ্ন দেখি সত্যি
হ্যালো বুনোহাঁস । খুব চমৎকার করে কয়েকলাইনে বলে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। এবং অকুণ্ঠ ভালোবাসা।
আমি আপনাদের সাথে কাজ করতে আগ্রহী। ফেইসবুকে যোগাযোগের চেষ্টা করছি।
কথা বলে ভালো লেগেছে , অনেক ধন্যবাদ
ধন্যবাদ এগিয়ে আসার জন্য।
আমরা এখনও হাটিহাটি পা পা কিন্তু আমরা শক্তি , আমরা এখনও অল্প কিছু কিন্তু আমরা বন্ধু ।পাশে থাকবেন সবাই প্লিয
প্রথম কথা, শক্তি নামটাই অনেক সুন্দর। শুনলেই একটা শক্তি শক্তি ভাব আসে।
উদ্যোগটাযে চমৎকার এর মধ্যেই অনেকেই বলে দিয়েছেন, আমার নিজেরো কোন সন্দেহ নেই।
কিন্তু একে চালিয়ে যেতে হবে। তাই অনুরোধ থাকবে একে এমন ভাবে এগিয়ে নিয়ে যান যাতে এটা কখনো নেতৃত্বের শূন্যতায় না ভোগে। কেউ না কেউ যেন হাল ধরতে পারে।
দুটো পরামর্শ -
১) এলাকার বিশ্বস্ত ছেলেদের সাথে যোগাযোগ রাখবেন পারলে, এমনকি একজন হলেও। এটা সময়ে অসময়ে কাজ দেবে।
২) এলাকার থানার দায়িত্বে যারা আছেন তাদের সাথে সম্পর্ক ভাল রাখবেন। শুধু কন্ট্রাক্ট নাম্বার নয়, শক্তির জিপিওকে যেন সেই থানার কর্মকর্তারা মুখে বা নামে চেনেন সেই ব্যবস্থা থাকলে ভাল হয়। এই জিনিসটা জরুরী। দরকার হলে সবাই মিলে একদিন থানায় গিয়ে ওখানকার অফিসারের সাথে একবার দেখা করে আসবেন।
শক্তি এগিয়ে চলুক। অনেক শুভকামনা।
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
মুল্যবান পরামর্শ মেহের। টুকে রাখলাম।
বাহ্, ভালো উদ্যোগ।
ধন্যবাদ।
দারুণ উদ্যোগ। সফল হোক।
সারাদেশে গড়ে উঠুক আপনাদের নেটওয়ার্ক।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
সেই আশাই করছি। আমরা এখনও শুরুর দিকে, কিন্তু শক্তি তার আশার সমান বড়ো।
দারুণ বুদ্ধি। দারুণ কাজ। যে কোন সাহায্যে আসতে পারলে কৃতার্থ হব।
চমৎকার। শুভ কামনা তো রইলই; এই উদ্যোগে অংশগ্রহণ করতে পারলে আরো ভাল লাগবে।
------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।
চমৎকার কাজ। রাণা মেহের-এর পরামর্শগুলো যত দ্রুত গ্রহণ ও কার্যকর করতে পারেন, তত ভাল।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
দারুণ উদ্যোগ!
থানার সাথে ভালো যোগাযোগ রাখাটা খুব কাজের ব্যাপার হবে।
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
নতুন মন্তব্য করুন