বাসায় নারী জাগরণের ভুতটা প্রথম আনলো মা।
"এখন থেকে নিজের মশারি নিজেই টাঙাবি। বড় হয়েছিস না?"
তখন ভাবলাম,” ঠিকই তো। বড় তো হয়েছি।"
সেই থেকে শুরু।
এর পর থেকে আস্তে আস্তে চা বানান, ব্রেকফাস্ট তৈরি, ঘর মোছা, কাপড় ধোয়া, সব কিছুর ভাগই কেমন করে যেন আমার ঘাড়ে এসে পড়তে শুরু করলো। ছোট ভাই অলসের চূড়ামণি, তাই সব কাজ থেকেই মায়ের রাডারের ফাঁক গলে কিভাবে বেড়িয়ে যেত, কিন্তু এই নারী জাগরণের সবচেয়ে ভাল সুযোগটা পেল আমার বোন। দুপুরবেলা একটু আয়েস করে বললাম, "চা বানায় দে।" কথাটা মাটিতে পড়ার আগেই মার কাছে অভিযোগ চলে যেত -
"মা! দ্যাখো, আমি মেয়ে দেখে দাদা খালি আমাকে চা বানাইতে বলে।"
কথাটা মোটেই সত্যি না। আমি চা বানালে সেটা হয় অখাদ্য, আর ছোট ভাইকে চা বানাতে বললে সেটা আসতে আসতে মোটামুটি রাত হয়ে যাবে।
মা - "সো! খুব খারাপ। বোনকে জ্বালাবি না। নিজের চা নিজে বানা, আর আমাদের জন্যেও তিন কাপ বানা।"
সংক্ষেপে এই হচ্ছে আমাদের ঘরে নারী জাগরণের ফলাফল ।
---
বাবার সরকারি চাকরি। থাকতাম দেশের এক কোনায় এক শহরে। মার মাথায় ভুত চাপলো ভাল স্কুলে ছেলেমেয়েদের পড়াবে। ভাল স্কুল আশেপাশে ছিল না। মা একরকম জোর করেই আমাদের তিন ভাইবোনকে নিয়ে ঢাকায় চলে এল। স্কুলের একদম পাশেই ঘর। মা স্কুলে দিয়ে যেত, নিয়ে আসতো; না পারলে জানালা দিয়ে তাকিয়ে থাকত আমরা গেটে ঠিকঠাক ঢুকেছি কিনা দেখার জন্য। ডে শিফট স্কুল। আমার জন্য বেশ ঝঞ্ঝাট বিহীন জীবন। মা কেন যে সারাক্ষণ চিন্তায় অস্থির হয়ে থাকতো বুঝতাম না।
বাবা মাসে একবার চেহারাটা দেখিয়ে যেত।
তখন বুঝতাম না আত্মীয় স্বজন বিহীন একটা শহরে একা একজন মায়ের পক্ষে সংসার চালানো কী যে ভয়াবহ একটা অভিজ্ঞতা। এখন বুঝতে পারি, কিন্তু কল্পনা করতে পারি না।
যদি তিনজনের একজনেরও কোনও দুর্ঘটনা ঘটত, অভিযোগের একটা আঙ্গুলও বাবার দিকে পড়তো না ।
স্কুলে তিনজনই ভাল রেজাল্ট করতাম। ও আর এ লেভেল দিলাম। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত কী কোচিং, কী রেজিস্ট্রেশন সব কিছুতে মা আগে আগে ছুটত, আমি পেছন পেছন। আজ এই স্যার, কাল ওই ম্যাডাম। রাগ, বিরক্তি, সব হত মায়ের ওপর। বাবার যে সবকিছুতে একটা দায়িত্ব ছিল, কখন মনেই হয়নি।
শুধু রেজাল্ট আসার পর যখন অভিনন্দন আসতে শুরু করলো - কার ছেলে দেখতে হবে না ! - তখন বাবাকে বেশ গর্বিত মনে হতো। মা বরাবরই আড়ালে রয়ে যেত।
---
স্কুলের কিছু বন্ধুর গল্পে আসি।
চন্দন। সম্ভ্রান্ত ব্রাহ্মণ পরিবারের ছেলে। তারা যে ব্রাহ্মণ, আর তারা যে সম্ভ্রান্ত, ওর মার প্রতিটা কথার মধ্যেই বিষয়গুলো কেমন করে যেন উঠে আসতো। তো চন্দন প্রেমে পড়ল সুহানার।
ক্লাস সিক্স থেকে প্রেম শুরু। চন্দনই প্রপোজ করে ক্লাস ফাইভে। সুহানা রিজেক্ট করে। চন্দন লেগে থাকে, এক সময় বেশ শুরু হয় প্রেম। প্রায় পাঁচ বছর ধরে প্রেম চলে।
ও লেভেলের সময় সুহানার বাবা মারা গেলো।
মেয়েরা একটা সময় এসে কেমন হঠাত করেই বড় হয়ে যায়। ও-এ লেভেল শেষ করতে করতেই দেখলাম আমার অনেক মেয়ে ক্লাসমেটের বিয়ে হয়ে গেছে।
যাইহোক, সুহানা বেশ সাদামাটা একটা মেয়ে। মাঝারি মাপের ছাত্রী, দেখতেও আহামরি নয়। অন্যদিকে চন্দন বেশ ভাল দেখতে, স্মার্ট, ভাল ক্রিকেট খেলে, ভাল ছাত্র। সুহানা মুসলিম, চন্দন হিন্দু। এই সম্পর্কের ভবিষ্যৎ কি আমরা মাঝে মাঝে ভাবতাম। সুহানার জন্যও বিয়ের প্রপোজাল আসতে শুরু করলো - সেও ফেরাতে শুরু করলো। এসবের মধ্যেই চলে প্রেম-ভালবাসা-পরীক্ষা। চন্দনের এসব নিয়ে বিশেষ মাথাব্যথা ছিল না। সে থাকত নিজের গিটার, পড়াশুনা আর আড্ডা নিয়ে।
এ লেভেলের সময় মা-র সাথে কি নিয়ে যেন আমার প্রচণ্ড ঝগড়া হল। একা সব কোচিঙে যাওয়া শুরু করলাম। প্রথম বাসে উঠলাম একদিন - শাহবাগ থেকে সংকর। যাবার সময় ঠিকমতই গেলাম, কিন্তু আসার সময় পড়লাম বিপদে। ধানমন্ডির গলিগুলোকে হঠাৎ করে গোলকধাঁধা মনে হতে শুরু করল। হঠাত দেখি - সুহানা।
শাহবাগে যাব কিভাবে জিজ্ঞেস করলাম।
বলল - আমার সাথে চল।
সুহানা একা একাই বাসে করে মালিবাগ থেকে লালমাটিয়ায় যায় শুনে যারপরনাই অবাক হয়েছিলাম। ওকে জিজ্ঞেস করতেই হেসে বললো - কে নিয়ে আসবে?
শাহবাগে আমার স্টপটা আসতেই বলল, বাম পা আগে সবসময়।
এর কিছুদিন পরে চন্দনের মা একদিন কিভাবে যেন জানতে পারলো ওদের সম্পর্কের কথা। চন্দনের উপর হাল্কা চড় থাপ্পড় গেলো। এর পর সব কোচিং এর সামনেই হঠাৎ আন্টিকে দেখা শুরু করলো।
"এই মেয়ের চরিত্র খারাপ। সব ছেলেদের মাথা খায়। বেহায়া না হইলে মেয়ে মানুষ একলা এইরকম ঘোরে?" এর পর নানা রকম অশ্রাব্য গালি। সুহানা চুপচাপ মাথা নিচু করে চলে যেতো।
এ লেভেল দেয়ার পর সুহানা ঢাকা ইউনিভারসিটিতে ভর্তি হয়। এখন ইউএসএতে একটা ফেলোশিপ নিয়ে পড়াশুনা করছে। চন্দন মোটামুটি দেড় কোটি টাকা খরচ করে পড়তে যায় একটা নামি ইউনিভারসিটিতে। এখন পিআর এর আশায় কোনও হোটেলে ম্যানেজারি করে।
----
শাওন । মেয়েটা আমার ক্লাসেই ছিল, কিন্তু অন্য সেকশনে - তাই কখনো বিশেষ কথা হয় নি । দেখতে বাংলাদেশি স্ট্যান্ডার্ডে ভাল ছিল না - ছোটখাটো, চিকনচাকন, কালো। কিন্তু অসাধারণ পরিশ্রমী ছিল ।
কোনও এক কোচিং এর শেষে মা তার ফিজিক্স বইটা এনে আমাকে দেখিয়েছিল।
-দ্যাখ শাওন এর বই।
বইটা একটু নেড়েচেড়ে দেখলাম মা কি বোঝাতে চাইছেন। ৬৪০ পাতার বই। বারবার পড়ায় পাতাগুলো ঝুরঝুরে হয়ে গেছে প্রথম থেকে শেষ পাতা পর্যন্ত।
রাগ করে বললাম - বইয়ের অর্ধেকই তো সিলেবাসে নেই । পড়ে কি লাভ?
মনে মনে বললাম - বাপরে বাপ।
পিওর-ম্যাথস পরীক্ষার এক ঘণ্টা আগে হলের বাইরে বসে ফরমুলাগুলো ঝালাই করছি। কিছুটা দূরে গার্জিয়ানদের জটলা। মা কেন যেন এই গার্জিয়ানদের জটলা এড়াতে চাইত সবসময়। সেদিন রীতিমত ধমক দিয়ে তাকে দূরে পাঠিয়ে দিয়েছি। বেশ আড্ডা হচ্ছে । এত কচকচানির মধ্যে মানুষ পড়ে কিভাবে? শাওনকে দেখলাম গার্জিয়ানদের কাছেই এক কোনায় বসে পড়ার চেষ্টা করছে।
পরীক্ষার পরে মা দেখলাম মুখ কালো করে সিএনজিতে আমার পাশে বসে আছে। জিজ্ঞেস করলাম-কি হয়েছে?
প্রথমে বলতে চাইল না। অনেক চাপাচাপির পর বলল।
কথাবার্তার ফাঁকে গার্জিয়ানদের একজন নাকি হঠাত শাওনের মাকে জিজ্ঞেস করে - ভাবি, আপনি তো সুন্দর দেখতে, আপনার মেয়েটার চেহারা এইরকম ক্যামনে হইল? বিয়ে দিবেন কিভাবে?"
আন্টি কিছু বলার আগেই আরেকজন বলল, " না, না ভাবি, শুধু কালো দেখে বলতেসি না ... ইত্যাদি ইত্যাদি।"
মুখে বললাম, “কালকে থেকে তুমি আর ওদের সাথে বোসো না।“
মনে মনে বললাম, "ফাকিং বিচেস।"
শাওন এখন ভারতবর্ষের বেশ ভাল একটা কলেজে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করলো। "ফাকিং বিচেস" দের কয়েকজন সন্তানদের চিনি। তারা এখনও দেশের বিভিন্ন প্রাইভেট কলেজে গত সাত বছর ধরে পড়ছে। পড়েই চলেছে।
---
বল্টু আমার বেশ ভাল বন্ধু। বাইরে পড়াশুনা করার ফলে স্কুলের বেশিরভাগ বন্ধুর সাথেই কীভাবে যেন একটা দূরত্ব তৈরি হয়ে গেছে। বল্টু ব্যতিক্রম। তো তার সাথে একটা চায়ের দোকানে আড্ডা দিচ্ছিলাম।
এখানে একটা ব্যক্তিগত অবজারভেশন। দেশে বেশ কিছু প্রচলিত ভুয়া ধারনা আছে - মেয়েদের পেটে কথা থাকেনা, মেয়েরা গসিপ করে, ব্লাহ ব্লাহ। সত্যি কথাটা হচ্ছে, ছেলেদের পেটেও কথা থাকেনা, আর বিভিন্ন কুৎসা রটানো, আর কথা কানে লাগানোর ব্যাপারে ছেলেদের জুড়ি মেলা ভার। (এটা খালি বাঙ্গালিদের কথা বলছি না - জার্মান বলেন, চিনা বলেন, আর আমেরিকান বলেন - গসিপ ছড়ানোর মজাই আলাদা। এ-থেকে কেমন যেন একটা সেন্স অফ সুপিরিওরিটি আসে।)
যাই হোক। বল্টু হঠাৎ বলল,
"দোস্ত, জবার কথা জানিস?"
জবার সাথে ফেসবুক ছাড়া বিশেষ কানেকশন নেই। তবে মেয়েটা বাংলায় আর ইংরেজিতে দারুণ লিখতে পারে - যেজন্য আমি ওকে রীতিমত হিংসা করি।
বল্টু বলতে থাকে,
"গাড্ডু, জরিনা, আর সাউদের সাথে জবা গেছিল কক্সবাজারে। জবার বয়ফ্রেন্ড মাসুদ যেতে পারেনি। কথা ছিল গাড্ডু আর সাউদের থাকবে এক রুমে, আর জবা আর জরিনা থাকবে আরেক রুমে। গাড্ডু আর জরিনার ব্যাপার তো জানিস, দুইজন এক রুম নিয়ে নিলো। তাই সাউদের সাথে জবার থাকতে হলো আরেক রুমে। এরপর তো কি হয় বুঝিসই।"
"কি হয়?"
"ধুর ব্যাটা। এর পর জরিনা এসে মাসুদকে সব বলল। মাসুদ আর জবার সম্পর্ক ওইখানেই শেষ।"
"নয় বছরের রিলেশন একদিনেই শেষ? একটুও বিশ্বাস নাই আরেকজনের উপর?"
"জরিনা কি আর মিথ্যা কথা বলবে? তারপর শুনলাম..."
"কি?"
"জবাকে নাকি ওয়াশ করাইতে হইসে। কেউ জানেনা।"
কেউ জানেনা মানে সবাই জানে। বল্টু বেচারা বলার জন্য আর কাউকে পায়নি, তাই আমাকে বলছে।
"কথাটা নিশ্চয়ই জরিনা বলেছে। সে জানলো কীভাবে"
"তা জানিনা, কিন্তু জরিনা কেন মিথ্যা কথা বলবে?"
গাড্ডু আর জরিনা এখন বিয়ে করে সুখে আছে। মাসুদ আর জবাও আলাদা ভাবে বেশ ভালই আছে। জবা এখন দেশের বাইরে পিএইচডি করছে।
আশা করি আমাদের নোংরামি সেখানে তাকে স্পর্শ করবে না।
পাদটীকাঃ গল্পের ঘটনা ও চরিত্র সব সত্যি। নামগুলো বদলে দিয়েছি।
-সো।
মন্তব্য
যাদের গল্পগুলো জানালেন তাদের জন্য আর আপনার মায়ের জন্য শ্রদ্ধা রইল।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
-সো
কালকের চউদার গল্প "মেয়েরাই মেয়েদের শত্রু, মেয়েদের পেটে কথা থাকে না," এইসব প্রচলিত মিথ উশকে দিয়েছে দেখছি। একটা দোষ কোন পুরুষ করলে ঐ বেটার দোষ, একই দোষ কোন মেয়ে করলে, পুরা মেয়েজাতির দোষ হয়ে যায়।
উদাহারণঃ অমুক বালিকা অংক পারে না। -> মেয়েদের মাথায় অংক খেলে না। অমুক বালক অংক পারে না। অমুক বালক অংকে কাঁচা। এর উলটা অমুক ছেলে অংকে ১০০ পেয়েছে। -> হবারই কথা, বেটাছেলে । অমুক মেয়ে অংকে ১০০ পেয়েছে -> মেয়েরা ভাল অংক পারে এটা কেউই বলবে না, বরং বলবে মেয়ে মানুষের অংকে ভাল , ভালো কথা, কিন্তু লাভ নাই ( বিজ্ঞের মত মাথা নাড়া)।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
মেয়েরা পড়াশোনায় খারাপ হলে - মেয়েদের বুধ্ধিশুদ্ধি কম। অনেক উচ্চশিক্ষিত মানুষদের এরকম বলতে দেখেছি।
স্কুলে মেয়েদের রেসাল্ট বরাবরই ছেলেদের সমান অথবা ভালো ছিল - এ বিষয়ে হারুদের মতামত ছিল যে ছেলেরা বাইরে খেলাধুলা করে, মেয়েরা সারাদিন বাসায় থাকে, তাই ওদের রেসাল্ট ভালো তো হবেই।
কনক্লুসন একই, খালি কোনোভাবে অবজারভেশনটা ফিট করলেই হলো।
- সো।
সত্যি হচ্ছে, বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলি কিন্তু বিচ্ছিন্ন কোন ঘটনা নয়, আমাদের সমাজে, পরিবারে অহরহই ঘটছে এগুলো। আমাদের বোধের দৈন্য না ঘুচলে আমাদের মুক্তি মিলবে না। আর এই দৈন্য কাটানোর জন্য এই বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা খুব প্রয়োজনীয়!
।।।।।
অন্ধকূপ
সচলায়তনের নারী সপ্তাহের ঘটনাগুলো পড়ে কী আর বলবো। মেয়েরা যে এইরকম মাইন্ফিল্ডের মধ্যে দিয়ে বড় হয় জন্মেও ভাবিনি।
- সো।
"দেশে বেশ কিছু প্রচলিত ভুয়া ধারনা আছে - মেয়েদের পেটে কথা থাকেনা, মেয়েরা গসিপ করে, ব্লাহ ব্লাহ। সত্যি কথাটা হচ্ছে, ছেলেদের পেটেও কথা থাকেনা, আর বিভিন্ন কুৎসা রটানো, আর কথা কানে লাগানোর ব্যাপারে ছেলেদের জুড়ি মেলা ভার। (এটা খালি বাঙ্গালিদের কথা বলছি না - জার্মান বলেন, চিনা বলেন, আর আমেরিকান বলেন - গসিপ ছড়ানোর মজাই আলাদা। এ-থেকে কেমন যেন একটা সেন্স অফ সুপিরিওরিটি আসে।)"
-এক্কেবারে হক কথা। আর, গসিপ-এর বিপদ-টা হচ্ছে, যে বিপন্ন, গসিপ তার বিপদ আরও বাড়িয়ে তোলে।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
কিন্তু যাবতীয় স্টিরিওটাইপিংগুলা ইতিহাসের কোন পর্যায়ে গিয়ে মেয়েদের ঘাড়ে চাপলো জানতে ইচ্ছা করে।
কথায় আছে না - যারে দেখতে 'নারী' তার চলন বাঁকা।
- সো।
হুম, আমদের জন্যও....
হ মজা নেন। আমি কাইন্দা বাঁচি না।
- সো।
৫* সংগতি । অবলোকন (সত্য বা সৎ অবস্থান ) । বাস্তবতার প্রতিনিধ্বশীল প্রতীক নির্বাচন । ঘটণার চিত্রময়তা । রসবোধ
সচলের প্রথম পাঁচতারা।
টেলিগ্রামটা পেয়ে ভালো লাগলো।
- সো।
আপনার পরিবারের চা বানানোর গল্প শুনে খুব ভাল লাগলো।
ভাল লাগলো সুহানার জন্যেও। চন্দনের হাত থেকে বেঁচে গেছে বলে।
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
সন্ধ্যা হইসে, চা খাবো!
লেখা পড়ে ভালো লাগলো।
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
নতুন মন্তব্য করুন