আজকে খবর পড়তে পড়তে হঠাৎ করেই একটা খবরে চোখ আটকে গেল, দেশে এখন নাকি গণতন্ত্রের সুবাতাস বইছে! এবার ভালোভাবে খবরটা পড়ে দেখি, ওমা! এই কথা বলেছেন সৈয়দ শামসুল হক। হ্যাঁ, সরকার দলীয় নেতারা হরহামেশাই এসব বলে থাকেন। আমি আবার চোখ রগড়ে খবরটা পড়ে দেখি, কোনও রাজনৈতিক নেতা নয়। স্বয়ং সৈয়দ হকের মত মানুষ এই কথা বলেছেন। আরো অবাক হয়ে দেখি, মুনতাসীর মামুন এবং হাশেম খানের মত বুদ্ধিজীবীরাও এর সাথে আছেন। দেশের উন্নয়ন আর গণতন্ত্র রক্ষার জন্যে তারা প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দিবেন!
কত বড় রসিকতা!
আমাদের দেশে এই সরকারের আমলে অনেক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড হয়েছে, তা চোখ বুজে বলে দেয়া যায়। কিন্তু এখন যে রাজনৈতিক, সামাজিক অবস্থা চলছে, তাকে কি আমরা গণতন্ত্রের সুবাতাস বলব?
৫ই জানুয়ারি আমাদের দেশে একটা নির্বাচন হয়ে গেল। ভোট কারচুপি কিংবা অন্যান্য ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনার কথা জানি না। তবে এটা একটা প্রমাণিত সত্য যে এই নির্বাচনে ভোটার বলতে কিছুই ছিল না। আবার জামাত-শিবির-বিএনপি জোট মিলে এক নৃশংস পরিস্থিতির সৃষ্টি করে ঠিক এক বছর পর। অবরোধের নামে হাজার হাজার মানুষ হত্যা করা হয়। পেট্রোলবোমা নামে আতংক আমাদের গ্রাস করে। এসএসসি পরীক্ষার মাঝে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে ছেলেমেয়েরা। -এখন সৈয়দ হক কি বলেন, এটাই কি গণতন্ত্রের সুবাতাস?
মুক্তচিন্তার মানুষদের অন্যায়ভাবে হত্যা করা আমাদের দেশে নতুন কিছু না। যারা বিজ্ঞান নিয়ে কথা বলে, একটু অন্যভাবে চিন্তা করে, তাদের মেরে ফেলা হয়েছে আগেও। তবে মাঝখানে অনেকদিন এই প্রক্রিয়া বন্ধ ছিল। এখন আবার নাস্তিক টাইটেল দিয়ে ব্লগার হত্যার মহোৎসব শুরু হয়েছে। আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী এখন পর্যন্ত অভিজিৎ রায়ের হত্যাকারীদের ধরতে পারে নাই। পারবেই বা কেমন করে? তারাই তো দূরে দাঁড়িয়ে তামাশা দেখছিল! আনসারুল্লাহ বাংলা টিম নামে নতুন ত্রাস শুরু হয়েছে। এই আল-কায়েদার স্টাইলে বানানো আনসারুল্লাহ বাংলা টিম একএকজন করে ব্লগারদের মেরে ফেলে এবং তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে স্বীকারও করে যে তারা এই কাজ করেছে। সেকারণেই সম্প্রতি বলি হতে হল অনন্তদাশ আর ওয়াশিকুর রহমানকে। -এখন সৈয়দ হক কি বলেন, এটাই কি গণতন্ত্রের সুবাতাস?
যৌন নিপীড়ন সবসময়ই থাকে। কিন্তু দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করলে, এই নিপীড়করা একটু হলেও ভয় পাবে। এসব পৈশাচিক কর্মকাণ্ডের হার একটু হলেও কমে যাবে। পহেলা বৈশাখে নারীদের ওপর হামলা হয়। সিসি ক্যামেরা আর হাজার হাজার সাক্ষী থাকার পরও এদের ধরা যেন দুঃসাধ্য ব্যাপার। কুড়িল এলাকা থেকে এক গারো আদিবাসী তরুণীকে ধরে নিয়ে নির্যাতন চালানো হয়। পয়লা বৈশাখের ঘটনায় যদি একটা সুস্পষ্ট এবং সঠিকভাবে ফয়সালা করা হতো, তবে হয়তো বা এসব পশু নির্যাতনের আগে একটু চিন্তা করে দেখতো। তাহলে, কি আমরা এরকম অবস্থাকে দেশের সুসময় বলব?
হ্যাঁ, মানব পাচার। অপহরণ করে, প্রলোভন দেখিয়ে শত শত মানুষ ধরে নিয়ে বিদেশে পাচার করে দেয়া হয়েছে। আজ তারা খাবার নিয়ে, পানি নিয়ে আদিমকালের মতই সংগ্রাম করছে, সহযাত্রীদের সাথে খাবারের জন্যে যুদ্ধ করে একে অপরকে মেরে ফেলছে। সামান্য খাবার পানির অভাবে মারা গেছে শতশত মানুষ। মালয়শিয়ায় আর থাইল্যান্ডে গণকবরে শতশত মানুষের লাশ, হাড়গোড় দেখা যাচ্ছে। একাত্তরেও আমাদের মানুষগুলোকে পাকিস্তানি মিলিটারি আর রাজাকার বাহিনীর হাতে মরতে হয়েছে ঠিক একই স্টাইলে। তবে কি এসব বুদ্ধিজীবীদের মতে এসব গণহত্যার বিচার আরো বিয়াল্লিশ বছর পরে করলে আমরা তাকে বলব দেশে জন্যে সুসময় কিংবা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা?
___
তবে যদি এই হয় গণতন্ত্র, আমরা এই গণতন্ত্রকে চাই না। আমরা এমন একটা বাংলাদেশ চাই, যেখানে সবাই নিজেদের মতকে তুলে ধরতে পারবে। অন্যের মতকেও শ্রদ্ধা করবে। যৌন নিপীড়কদের আর মানব পাচারকারীদের সর্বোচ্চ সাজা হবে, যাতে করে এই ঘটনাগুলো দূর হয়।
সৈয়দ হক, আমরা এরকম একটা বাংলাদেশ চাই। বর্তমান পরিস্থিতি যদি গণতন্ত্র হয়, তবে আমরা সেই গণতন্ত্র চাই না। এই ধরনের শান্তির সুবাতাস আমরা চাই না। বুদ্ধিজীবীরা নিশ্চয়ই এই বিষয়টা আমাদের চাইতে ভালো বুঝতে পারেন!
তাহমিদ-উল-ইসলাম
২৮/০৫/১৫
সচলায়তন ইউজার নেমঃ কাকাবাবু
মন্তব্য
"গণতন্ত্র" বলতে আপনি কী বোঝেন?
দেশের আইনের শাসনে দূর্বলতা আছে, মানি। দেশের আরো নানান সমস্যা আছে, জানি। কিন্তু আইনের শাসনের ব্যর্থতা গনতন্ত্রের ঘাড়ে চাপালে তো সমস্যা! নির্বাচনটা কেমন চেয়েছিলেন আপনি? কেমন হলে ভালো হতো এবং সেরকম না হওয়ার দায় কার সেইটা স্পষ্ট করে না বললে আপনার লেখার উদ্দেশ্য বুঝে ওঠা মুস্কিল!
মানি না, মানবো না। কিছু হচ্ছে না। সব উচ্ছন্নে গেলো বলে পুরো দেশ জাতি গণতন্ত্রকে নাকচ করে দেয়ার জন্য যতটা শক্ত যুক্তি উপস্থাপনের দরকার ছিলো তার ধারেকাছেও আপনি যেতে পারেন নি। এই লেখাটা চোখ কান বন্ধ করে 'আওয়ামীলীগ দুষ্টু' বলে চিল্লানোর মতো মনে হলো। জ্বি হ্যাঁ, সাম্প্রতিক সব ঘটনার কথা মাথায় আছে। সরকারের দূর্বলতা, সরকারী দলের দূর্বলতা এসব আড়াল করে রাখতেও বলছি না। কিন্তু এই লেখাটা বাংলাদেশের গণতন্ত্রের বিচার করা কোনো লেখা নয়।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
৫% ভোট পড়ার পরেও যখন শুনতে হয় ৪০% ভোট পড়েছে, তখনই গণতন্ত্র বলতে কিছু থাকেনা।
ধরলাম, ৪০% ভোটের বিষয়টা মিথ্যে দাবী (যদিও এই দাবী কে কখন করেছে তা জানিনা)। এখন আপনি বলেন ৫% ভোটের বিষয়টা আপনি কীভাবে জানেন? কোথায় পেয়েছেন এই তথ্য? গ্রহনযোগ্য তথ্যসূত্র দেন।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
৫% বা ৪০% কোনোটারই কোন গ্রহনযোগ্য সূত্র নাই- এইটাই তো দেশে গনতন্ত্রের অবস্থা বলে দেয়।
অনার্য সঙ্গীত , আপনিই লিখে ফেলুন না বাংলাদেশে গনতন্ত্রের প্রকৃত প্রয়োগ ও সফলতা নিয়ে। অপেক্ষায়।
লিখব না। আমার ইচ্ছা।
আমি বাংলাদেশের গণতন্ত্রের সফলতা নিয়ে লিখিনাই মানে এই না যে কেউ একজন 'যা ইচ্ছা' লিখলে মেনে নিতে হবে। চোখেমুখে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিয়ে এসে জবাব লিখতে বসেন। আইনস্টাইন পীর-ফকির ছিলো সেইরকম কোনো লেখা আমি লিখি নাই বলে কি আপনার অধিকার জন্মে আইনস্টাইনকে চোর বলার? আপনি যেটা লিখবেন সেইটা 'ডিফেন্ড' করার দায় আপনার। আমার দায় পড়েনাই। রান্না গু হইলে সেইটাকে গু বলার জন্য রেঁধে দেখানো লাগেনা।
অপেক্ষা করতে করতে আপনার ভাঙা হৃদয় ফসিল হয়ে যাচ্ছে বুঝতেছি। কিন্তু দুঃখপ্রকাশ করতে পারতেছি না।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আমাদের সরকার যদি সত্যিকারের "নির্বাচিত" একটা সরকার হতো, তবে একটা দায়বদ্ধতা থাকতো। এখন ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে যে সরকার ক্ষমতায় এসেছে, তারা জনগণের কাছে কতটা দায়বদ্ধ?
আওয়ামী লীগ ভালো না কিংবা এই ধরণের কোনও কথা বলি নাই আমি। আর বর্তমান সব ঘটনাকে এক সুতায় গাঁথা যায়, যা হল সরকারের দায়বদ্ধতার অভাব। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে না ততক্ষণ, যতক্ষণ পর্যন্ত গণতন্ত্র থাকবে না। সরকারের দায়বদ্ধতা না থাকার বা আইনের শাসন কম হবার সবচাইতে বড় কারণ হল নির্বাচনের মাধ্যমে না আসা কোনও সরকার।
তাই আমি মনে করি যে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক সরকার খুবই প্রয়োজনীয় বিষয়। এবং আরেকটা কথা মাথায় রাখবেন আমি আওয়ামী লীগ খারাপ বা বিএনপি-জামাত দুধে ধোয়া তুলসি পাতা, এমন কিছু বলি নাই। আপনি আবার পড়ে দেখেন, জামাত-শিবির-বিএনপির গণতন্ত্র রক্ষার নামে মানুষ মারার রাজনীতির কথা তুলে ধরতে চেয়েছি।
আপনার মতামত প্রকাশের জন্যে ধন্যবাদ।
সচলায়তন ইউজার নেমঃ কাকাবাবু
সত্যিকারের নির্বাচন কীভাবে হতে পারত সেটা কিন্তু বললেন না। কী করলে সেটা হতো আর সেই কাজটা কাদের করা উচিত ছিলো সেটা জানতে আগ্রহী আপনার কাছ থেকে। নির্বাচন আপনার পছন্দমতো হয়নি কেন? কারা কীভাবে বাগড়া দিয়েছে?
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
যথেষ্ট অগোছালো লেখা। আপনি আইনের শাসন আর গনতন্ত্রর দুটোর মাঝে তালগোল পাকিয়ে ফেলেছেন। না হলে মানব পাচার-যৌন হয়রানি-খুন-ধর্ষনের দায়ভার গনতন্ত্রের উপর চাপাতেন না।
বাংলাদেশের বড় দুটো জোটের একটা জোট নির্বাচনে অংশ গ্রহণ না করলে ভোটার কোথায় পাবেন আপনি? নাকি ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনে বিম্পি-জামাত জোট আসেনি তার দায়ভার আওয়ামীলীগ কে দিবেন? জানায়েন।
আপনার এই অতি সরলীকরণের সাথে শুধু দ্বিমত নয়, প্রতিবাদও করছি। এত সহজে যে কোন ঘটনাকে একাত্তরের সাথে তুলনা করা মানে একাত্তরে পাকুদের নির্যাতন, হিংস্রতা, নির্মম অত্যাচার কে হালকা করা। নিজের ভুলে কিংবা লোভে পড়ে যারা নৌপথে সাগর পাড়ি দিয়ে অবৈধ ভাবে অন্য দেশে প্রবেশ করেতে গিয়ে মারা পড়ছে কিংবা নির্মম ভাগ্যের স্বীকার হচ্ছে তার সাথে কি করে একাত্তর কে মিলালেন? কি করে?
-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।
@মাসুদ সজীব,
১) আপনার অভিযোগ খানিকটা সত্যি, আমার লেখা অগোছালো হতে পারে। তবে আমি মনে করি যে আমি যা বলতে চেয়েছিলাম, তা আমি গুছিয়ে না হলেও বলতে পেরেছি।
২) যেখানে বিএনপি দেশের একসময়ের সরকার এবং সাবেক বিরোধী দল, সেহেতু বিএনপিকে ছাড়া নির্বাচন করা কতটা যুক্তিযুক্ত? বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয়নি। হ্যাঁ, আপনি ঠিকই বলেছেন। বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয় নি। কেন নেয়নি? তারা দাবি করেছে নির্দলীয় সরকারের তত্ত্বাবধানে একটা নির্বাচনের। নব্বইয়ের দশকে আমার জন্ম। তাই, ইতিহাস পড়ে আমি জেনেছি যে সেসময় নির্দলীয় সরকার ছাড়া কোনও সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না- এমন একটা দাবি আওয়ামী লীগ করে এবং সেই নির্দলীয় সরকারের জন্যে তারাও আন্দোলন করেছিল। ইতিহাসটা হল মাধ্যমিক বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বই, যা কিনা এই সরকারের সময় প্রণীত হয়েছে।
৩) পাকিদের নৃশংসতা বেশি ছিল। কিন্তু একজন মানুষের প্রাণ অন্য একজনের মতই তার পরিবারের কাছে, সমাজের কাছে দামি। একাত্তরে নৃশংসতা হয়েছে। পাকিস্তানীরা অন্যায়ভাবে মানুষ মেরেছে। আমি মানি। রাজাকার বাহিনী তার মদদ দিয়েছে, সেটাও আমি মানি। কিন্তু সেসময় মানুষগুলো যে বাংলাদেশের জন্যে প্রাণ দিয়েছে, সেই বাংলাদেশে তাদের মতই কেন মানুষ মারা হচ্ছে? আমি বলেছি গণহত্যা সবসময়ই ঘৃণিত। এতে একাত্তরকে ছোট করা হয়নি।
১।
বিএনপি নির্বাচনে নিজ থেকে না এলে তার দায়ভার কার?
২।
ইতিহাস কি এটা বলে না নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে হেরে বাংলাদেশে কোন দল সেই পরাজয় কে মেনে নেয়নি? নির্দলীয় সরকারের মেয়াদ ছিলো তিনমাস, তারা কেন দুবছর ক্ষমতায় থাকবে? তারা বার বার এমন তিনমাসের জন্যে ক্ষমতায় আসবে আর দুই বছর অপশাসন করে দেশটাকে পিছিয়ে দিতে থাকবে, এমনটাই কি চলতে থাকবে?
হ্যাঁ আওয়ামীলীগ আন্দোলন করেছিলো তত্ত্বাবোধক সরকারের জন্যে, সেটা আজ থেকে প্রায় দুই যুগ আগে। দুই যুগ আগে একটা রাষ্ট্র যে অস্থায়ী কাঠামোতে চলবে দুই যুগ পরেও সেই অস্থায়ী কাঠামোতে চলতে পারে না। তত্ত্বাবোধক সরকার কি আওয়ামীগ গায়ের জোরে বাতিল করেছে? ২০০৮র নির্বাচনে সংসদে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে বলেই তথাকথিত নির্দলীয় সরকার বাতিল করেছে, বিএনপি কোনদিন এমন সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে ফিরিয়ে নিয়ে আসুক নির্দলীয় সরকার। তখন কারো কোন আপত্তি থাকার কথা না।
৩।
কাদের কে একাত্তরের মতো নৃশংসভাবে মারা হচ্ছে? যারা বোকার মতো সমুদ্রপথে বিদেশ পাড়ি দিচ্ছে তাদের? সংখ্যার তুলনায় গেলাম না, অত্যাচারের ধরণের তুলনায় আমাকে একটু দেখাবেন কি করে দুটো অত্যাচার প্রায় সমান হয়? ধর্ষন, লুঠ, অগ্নি সংযোগ, নির্বিচারে হত্যা নিয়ে দুটো ঘটনার একটা তথ্যভিত্তিক তুলনা দিবেন। (অফটপিক: একাত্তর নিয়ে আপনার পড়াশোনার পরিধিটা জানতে চাইছি।)
৪।
নৌপথে অবৈধভাবে অন্যদেশে পাড়ি দিতে গিয়ে মরছে যারা দালালদের হাতে, সেটা কি গণহত্যা? কিভাবে সেটা গণহত্যা হয় একটু বুঝিয়ে বলবেন।
-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।
অনার্য সঙ্গীত, বুঝতে পারছি আপনি বর্তমানে গুম রাজনীতিকে খুব ভাল ভাবে সমর্থন করছেন তাই না। গণতন্ত্র মানে আপনার ভাষায় দেশে যেটা চলছে সেটা। সাধীনভাবে যে দেশে মত প্রকাশ করতে গেলে গুম হয়ে যেতে হব্যে, সাত খুনের বিচার হয়না মন্ত্রীর জামাই যুক্ত দেখে, পহেলা বৈশাখ এর ঘটনার বিচার হয়না, তারপরেও যদি বলেন গণতন্ত্র দেশে আনান্দ ধারার মত বিরজমান, তাহলে আপনার চোখ আসলেই বন্ধ হয়ে আছে।
আর আওয়ামী লীগ যদি নিজেকে এতই দুধে ধোয়া তুলসী পাতা মনে করে তাহলে অবাধ নির্বাচন দিয়ে দেখুক না। বাংলাদেশের সব মানুষ নিশ্চয় এতো বোকা না, আওয়ামী লীগের গণতন্ত্রকে বয়কট করে বোমাবাজদের ক্ষমতায় আনবে। ভয়টা কোথায়, এই অধম জানতে চায়
ফিনিক্স পাখি
বাংলা পড়তে পারেন ধারনা করি। অর্থ তো ঠিকঠিক বোঝেন না! আমার মন্তব্যের কোথায় পেলেন আমি গুম রাজনীতিকে সমর্থন করছি!
আবারো পুরানো সমস্যা। বাংলা পড়ে অর্থ না বোঝা! আমার মন্তব্য থেকে উদ্বৃতি দিয়ে দেখান কোথায় আমি গণতন্ত্র কী সেটা বলেছি। কোথায় আমি বলেছি বাংলাদেশে কী চলছে আর কোনটা গণতন্ত্র!
আমার মুখে কথা ঠেসে দেয়ার চেষ্টা কেন হে ফিনিক্স পাখি? আমার কথা আমি যা বলেছি ওইটুকুই! খুউপ খিয়াল কইরা!
এইতো লাইনে চলে আসছেন। নির্বাচন পছন্দ হয়নাই তাই তো? নির্বাচন কেমন হলে ভালো হতো? খুব সংক্ষেপে জবাব দেন দেখি।
আরেকটা কথা, ৫টা রাজাকারের নাম বলেন দেখি। প্রথমটা আমি বলে দিচ্ছি, শেখ হাসিনার বেয়াই। পরের ৪টা আপনি বলেন।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
কথা হচ্ছে গণতন্ত্র বলতে আসলে আপনি কী বোঝেন? জামাতের ভোটাধিকার? জামাত সহ 'সব' দলের অংশগ্রহণে একটি সুশীল নির্বাচন? যে পরিস্থিতিগুলোর কথা বলছেন তাতে সরকারের দায় আছে। গণতন্ত্রের দায় কোথায় সেখানে? গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার, এবং তথাকথিত বহুদলীয় গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার ছত্রছায়ায় ধীরে ধীরে দেশে জঙ্গি অনুপ্রবেশ ঘটানো হয়েছে। কোন দল, কোন দলের প্রতিষ্ঠাতা কেন কীভাবে সেই প্রক্রিয়ার মূল কুশীলব হিসেবে কাজ করেছেন তা কিন্তু সচেতন মানুষের অজানা নয়। আজকে আমরা ২০১৪-২০১৫ তে এসে তার ফলাফল দেখতে পাচ্ছি। আর সেই দলই যখন নিজেদের ইচ্ছামত অসাংবিধানিক দাবী মেনে না নেয়ায় নির্বাচন বর্জন করে তখন সেটা কি গণতন্ত্রের দোষ? একটা কথা স্পষ্টভাবেই বলি, যদি কোনো তথাকথিত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, জামাতের পুনর্বাসনের পক্ষে কাজ করে, জামাতি এম্পি মন্ত্রী তৈরির পথে কাজ করে সেই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পরিমার্জন দরকার আছে বলে করি। শুধু 'সব দলের অংশগ্রহণ' ধরণের সুশীল বুলি আওড়ালে সংসদে আবার হয়ত রাজাকারকে ভাষণ দিতে দেখব। কিন্তু যে গণতন্ত্র জামাতকে ক্ষমতায় বসানোর ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করতে কাজ করে সে গণতন্ত্র দিয়ে আমরা কী করব?
দেশের অসংখ্য সুশীল লেখকের মধ্য সৈয়দ হক সাহেব একজন নন। সৈয়দ হক সাহেবের পলিটিক্যাল বায়াস তাঁর অনেক লেখাতেই স্পষ্ট। তথাকথিত নিরপেক্ষ ভেকধারী লেখকদের কাতারে দাঁড়িয়ে জামাত-বিএনপি-লীগকে এক কাতারে দাঁড়া করিয়ে বুদ্ধিবৃত্তিক লাম্পট্যের পরিচয় দেন নি বলে সৈয়দ হক সাহেবের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
১) গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় একটা দেশের সরকার হয় নির্বাচিত, আর জনগণের নির্বাচিত সরকারের সবসময় একটা দায়বদ্ধতা থাকে।
২) জঙ্গি অনুপ্রবেশ ঘটানো হয়েছে? সেটা অসম্ভব না। ২০০৪ বা ২০০১ সালের ঘটনা থেকে এটা মনে হয় অস্বাভাবিক কিছু না। তাহলে এই জঙ্গিরা যখন ব্লগার কুপিয়ে চলে যায়, তখন পুলিশ তামাশা দেখে কেন?
৩) জামায়াতে ইসলামীর রাজাকারি আর অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছে গণজাগরণ মঞ্চ। যাদের সাথে সরকারও একসময় একাত্বতা ঘোষনা করেছিল। বিটিভিতে একটু পর পরই শাহ্বাগের চিত্র দেখানো হত। আজ সেই আন্দোলনকারীদের ওপর জলকামান ছোড়া হয় কেন? তারা নিপীড়নকারীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে কেন তাদেরই আবার লাঞ্ছিত করা হয়?
৪) পলিটিকাল দৃষ্টিভঙ্গি থাকা ভালো। তবে এই পরিস্থিতিকে উনি কীভাবে সুসময় বলেন?
তাহমিদ-উল-ইসলাম
সচলায়তন ইউজার নেমঃ কাকাবাবু
ধরে নিচ্ছি ২০০১ সালের নির্বাচিত সরকার ছিল। সেই জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারের আইনের প্রতি দায়বদ্ধতা আমরা দেখেছি কিন্তু। নির্বাচনে জয় লাভের পর পরই সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর প্রতি দায়বদ্ধতা দেখেছি। জেএম্বি দেখেছই, তারেক জিয়া দেখেছি, ২১ আগস্ট দেখেছি। গণতন্ত্র আসলেই দায়বদ্ধতা আসবে এমন না। যদিও এটা গণতন্ত্র না আসার পক্ষে যুক্তি না। কিন্তু আমি জানতে চাই, গণত্রন্ত্র চাইছি কীসের জন্য? ধর্মনিরপেক্ষ, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের জন্য। কোনোদিন গণতন্ত্র যদি জামাতকে ক্ষমতায় বসায় বা বসানোর মতো অবস্থায় যায়, তাহলে সেই গণতন্ত্র আমি চাই না।
পুলিশ কেন তামাশা দেখে সেটা অবশ্যই বিরাট একটা প্রশ্ন। আপনার 'অগণতান্ত্রিক' লীগ ক্ষমতায় না থেকে বিএনপি-জামাত আপনার গণতান্ত্রিক পন্থায় নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় থাকলে অবস্থা ভিন্ন হতো বলে মনে করেন কি? অবশ্যই এইসব হত্যাকাণ্ডের বিচারহীনতার দায় বর্তমান সরকারের নিতে হবে। কিন্তু যাদের রাজনীতিই চলে আজান আর উলুধ্বনি নিয়ে তাদের অসাংবিধানিক গণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতায় এনে আমরা আসলে কী অর্জন করতে চাইছি?
গণজাগরণ 'মঞ্চ' কী কারণে অনেক ভাগে ভাগ হয়েছে এটা ভিন্ন আলোচনার বিষয় হতে পারে। মঞ্চ ভাগ বাটোয়ারা হয়ে গেলেও শাহবাগের স্পিরিট কিন্তু আমরা এখনও ধারণ করি। এবং সেটার সাথে বর্তমান অগণতান্ত্রিক সরকারের কোনো বিরোধ নেই বলেই মনে করি। এই অগণতান্ত্রিক সরকার ছাড়া আর কে এসে রাজাকারদের ফাঁসিতে ঝোলাবে বলতে পারেন?
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য আপনাকে লন্ডনে যেতে হবে
লেখাটা দয়া করে আবার পড়েন। এবং তারপর মন্তব্য করেন। বিএনপি আমি সমর্থন করি না। (এটা বলা উচিৎ হয়নি। একান্ত ব্যক্তিগত। তারপরও বললাম।) তবে জিয়াউর রহমান একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তার ছেলে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যে মন্তব্য করেন, তা আসলেই অনাকাঙ্খিত, অন্যায়, মিথ্যা। তবে, জনগণ একটা নিরপেক্ষ নির্বাচনে নিশ্চয়ই এরকম মিথ্যাচারী বা রাজাকারদের ক্ষমতায় বসাবে না।
এই কথাটা সত্য বলে মানি।
__________________
জানি নিসর্গ এক নিপুণ জেলে
কখনো গোধূলির হাওয়া, নিস্তরঙ্গ জ্যোৎস্নার ফাঁদ পেতে রাখে
গণতন্ত্রকে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট হত্যা করা হয়েছে। জঙ্গি উত্থান আর দশট্রাক অস্ত্র পাচার কফিনের শেষ পেরেক। কত যুগ পর এই তিন পাপের প্রায়শ্চিত্ত হবে তা বলা মুশকিল।
একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক। বাংলার মানুষ এই গণতন্ত্র হত্যাকারীদের নিশ্চয়ই নির্বাচিত করবে না! তাদের মাথায় কি ঘিলু নাই?
তাহমিদ-উল-ইসলাম
সচলায়তন ইউজার নেমঃ কাকাবাবু
গণতন্ত্রকে তো হত্যা করেই ফেলা হয়েছে ঐ সময়ে, গণতন্ত্র মৃত। আর জীবিত পাবার সুযোগ নাই।
৩৬ লাইনের এক লেখায় এক সাথে রাজনীতি, সমসাময়িক, চিন্তাভাবনা, নারী, সমাজ, দেশচিন্তা, খবর, গণতন্ত্র, মানব পাচার, যৌন নিপীড়ন, রসিকতা, সৈয়দ শামসুল হক; সর্বমোট এক ডজন বিষয় নিয়ে লিখতে গেলে সব গুবলেট হয়ে যাওয়ারই কথা।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আস্তে ভাইয়া আস্তে। একটু মাথাটা ঠান্ডা করে লিখুন, এতকিছু এক লেখায় ঢুকাতে গিয়ে তো তালগোল পেকে গেলো মনে হচ্ছে।
আগের কমেন্টের কপিপেস্ট
আমি লিখার পর এগুলা যোগ করেছি। আর হ্যাঁ, এইটা আমার দ্বিতীয় পোস্ট। প্রথম পোস্ট ছিল একটা গল্প। এসইও করার ক্ষেত্রে সুবিধা হবে, এবং সেইকারণে এইরাম ট্যাগাইছি! থ্যাংকস। আমি সচলায়তনের নিয়মিত লেখক হলে এডিট করে দিবানি!
তাহমিদ-উল-ইসলাম
সচলায়তন ইউজারনেমঃ কাকাবাবু
'সবদিক' বিবেচনায় দুর্দান্ত একটি লেখা। এমন লেখা এই ব্লগে থাকা অনুচিত। এই লেখাটি 'প্রথম আলো' পত্রিকায় পাঠালে লেখক আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারতেন।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
@সত্যানন্দ, আমি প্রথম আলোয়ে লিখতাম। আপনি কি সেন্সে বলেছেন জানি না।
পরীক্ষার মধ্যেও চিঠি পাঠিয়েছি, কাজ হয় নাই। সমালোচনা আমি সাগ্রহে নিই। কিন্তু আমি জামাত বা এই ধরণের কিছু সাপোর্ট করি বললে ভারি ভুল হবে। অপবাদ হয়ে যাবে।
নির্মম নিষ্পেষণ
ঠাকুরঘর নিয়ে তো কিছু বলিনি ভাই, এভাবে কদলীভক্ষণের দায় নিলে ডরাই
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
কাকাবাবু,
লেখাটির জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিয়েই শুরু করতে চাই। তারপর আপনার মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে অত্যন্ত বিনয়ের সাথে কিছু বিষয় উপস্থাপন করব। শ্রদ্ধেয় হক সাহেবের মুখে এমন কথা শুনে আমিও হতাশ হয়েছি। তিনি একটি পক্ষের সমর্থক হতেই পারেন। কিন্তু তার মত একজন সমর্থকের কাছে আমি আশা করি উনি তার পক্ষটির ভাল দিকগুলো তুলে ধরবেন এবং সেই সাথে এর নেতিবাচক দিকগুলোর গঠনমূলক সমালোচনা করবেন। তাদেরকে ঐ নেতিবাচকতার দিক থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রাণান্ত চেষ্টা করবেন। যেটি আমি মুনতাসীর স্যারের মধ্যে কিছুটা হলেও দেখি। উনার কলামে উনি ভাল কাজের কৃতিত্ব দেবার সাথে সাথে প্রতিনিয়ত নেতিবাচক দিকগুলোর গঠনমূলক সমালোচনা করে থাকেন।
শতভাগ মিথ্যা ও মানবতা বিরোধী বিভিন্ন মধ্যযুগীয় অভিযোগ এনে মুক্তচিন্তার মানুষকে হ্ত্যাকারীদের বিষয়ে দৃশ্যত আপোশ নীতি গ্রহনের জন্য বর্তমান সরকারের প্রতি আমিও ভীষণ ক্ষুব্ধ। কারা এদের সম্ভাব্য এবং স্বস্বীকৃত খুনী সেটি উল্লেখ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। এখন দু‘চোখ বন্ধ করে যখন ভাবি ঐ কুলাঙ্গারগুলো এবং তাদের গোষ্ঠীটি কাদের ভোট দেয় বা দিবে? নিশ্চিতভাবে ঐ উত্তর পাওয়া কঠিন হলেও এটা নিশ্চিৎ করে বলা যায় যে তারা বর্তমান সরকারের পক্ষকে কখনও ভোট দিবে না। যদি এ বিষয়ে আপনার দ্বিমত থাকে তবে জানাবেন। সে সাথে আর একটি বিষয় নিশ্চিৎ যে, বর্তমান বাস্তবতায় বর্তমান সরকারের পক্ষ ছাড়া অন্য কোন রাজনৈতিক শক্তি নেই যারা রাজাকারদের বিচার করার ও জঙ্গীবাদকে মোকাবেলা করার অবস্থানে আছে। আমরা যে তাদের বিষয়ে এ মনোভাব পোষণ করি এটা তারাও জানে। আর তাই তারা বিচার করার রদ দেখতে যেয়ে কিছু রাজনৈতিক সুবিধা নেবার কলাও বিক্রী করে। রাজাকারের বিচার আর জঙ্গী মোকাবেলার চেষ্টা করছে বলে বর্তমান সরকার যে একেবারে ধোঁওয়া তুলসী পাতা এ কথা চরম আওয়ামী লীগারও বলবে না। আর সেটাই বোধ হয় আপনার চাওয়া যে হক সাহেবদের মত ব্যক্তিত্ববৃন্দ কোন ভাল কিছুর জন্য বাহবা দেয়ার সাথে সাথে ছাত্রলীগকে লাগামহীন করে দেয়া, শিথিল গভারন্যান্স, শিথিল আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি, লাগামহীন দূর্নীতি, মুক্তচিন্তা চর্চার পরিস্থিতি বজায় না রাখতে পারা প্রভৃতি ব্যর্থতার দায়বদ্ধতাও তাদের উপর আরোপ করুক।
যারা নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ দাবী করেন তারা শতভাগ আশানুরূপ নয়। তারা রাজাকারের বিচারের মূলা ঝুলিয়ে আরও অনেক অন্যায় সুবিধা আদায় করার দূরভিসন্ধি করে, শাসক হিসেবে তাদের সফলতার পাশাপাশি অনেক ব্যর্থতাও আছে। তাহলে উপায় কি? উপায় নিশ্চয়ই এর বিপরীত পক্ষটির কাতারে গিয়ে দাঁড়ানো নয় বা এমন কোন হঠকারি কাজ করা নয় যাতে প্রকারন্তরে ফুটন্ত কড়াই থেকে জ্বলন্ত অঙ্গারে পতিত হতে হয়।
আমার মতে উপায় দু’টি, এক। তাদেরকে গ্রহনযোগ্য পর্যায়ের গণতান্ত্রিক দলের পর্যায়ে উপনীত হতে বাধ্য করা, দুই। একটি বিকল্প শক্তি তৈরী করা যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ এবং গ্রহনযোগ্য পর্যায়ের গণতান্ত্রিক শক্তি। আপনার লেখাটি এ দু’টি বিকল্পের কোনটির পক্ষে বা এর চেয়ে শ্রেয়তর বিকল্পের পক্ষে না যেয়ে ফুটন্ত কড়াই থেকে জ্বলন্ত উনুনে পতিত হওয়ার দিকে হেলানো মনে হয়েছে।
- পামাআলে
ভাই, আমি কথার মারপ্যাঁচ বুঝি না। সরল মানুষ। তাই কেউ যদি একগ্লাস পানিকে বলে সুপক্ক মর্তমান রম্ভা, তাহলে সেটা বুঝি না। তাই একটূ যাচাই করে নিলাম।
এপ্রিশিয়েট করার জন্যে অনেক ধন্যবাদ ভাই।
চরম উদাস "এসো নিজে করি" সিরিজে অনেকগুলো প্রোজেক্ট উপস্থাপন করেছিলেন। সেইখানে "কিভাবে তেলের সঙ্গে পানি মিশাইবেন", কিংবা "কিভাবে হলুদবাটার সঙ্গে গু মিশাইবেন" এরকম কিছু ছিল নাকি? মনে হয় ছিল, না হলে পাবলিক এমন অবলীলায় কি ভাবে মুক্তিযুদ্ধের গণহত্যার সাথে আদম পাচারকালীন হত্যাকান্ডকে একই পাল্লায় মাপতে চায়।
@আবদুল্লাহ,
একটু মার্জিত হলে কি সমস্যা হয় খুব?
যাই হোক, একাত্তরে আমরা বাঙালিরা যে দেশের জন্যে প্রাণ দিয়েছিলাম, সেই দেশে যদি হত্যা করা হয় নিরীহ মানুষকে। সেটা মেনে নেয়া যায় না। একাত্তরে মানুষকে হত্যা করা অন্যায় হয়েছে। সেটা অনেক বড় অন্যায়। কিন্তু সেই মুক্তিযোদ্ধাদের কথা যদি আমরা চিন্তা করি, যারা কিনা একটা সুন্দর বাংলাদেশের জন্ম দিতে চেয়েছিলেন, প্রাণ দিয়েছিলেন এজন্যে, দেশে যদি এভাবে নিরীহ মানুষ হত্যা করা হয়, তাহলে তাদের প্রাণদানের মূল্য কই রইলো?
নতুন মন্তব্য করুন