গত বছর এইচএসসি পাশ করে বের হয়েছিল প্রায় পাঁচ লাখ ৮৫ হাজার শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৭০ হাজার ৬০২ জন শিক্ষার্থী। মেধা তালিকা অনুসারে পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হতে চাইলেও প্রায় ২০ হাজারেরও অধিক জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারতোনা। প্রতি বছর যে পরিমান শিক্ষার্থী উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে বের হয় তার প্রায় ৪০ ভাগ ভর্তি হবার সুযোগ পায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আর বাকি প্রায় ৬০ ভাগ শিক্ষার্থীকে ভর্তি হতে হয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশন জটের খবর কারোই অজানা নয়। তাই এইচএসসি পাশ শেষে অনেকেরই প্রথম পছন্দ থাকে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের সবাই উচ্চবিত্ত পরিবারের হয়না। কেউ হয় মধ্যবিত্ত পরিবারের, কেউ নিম্নবিত্ত পরিবারের। আমরা যারা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে পড়ি তারা ভর্তির আগেই বিশ্ববিদ্যালয় গুলি থেকে সর্বমোট খরচের একটি হিসাব নিয়ে তারপর ভর্তি হই। কিন্তু ভর্তির কিছুদিন পরেই আমরা বুঝতে পারি আরো কত রকম আনুষঙ্গিক খরচ থাকতে পারে। লেট-ফি, ফাউন্ডেশন-ডে ফি ইত্যাদি ইত্যাদি। টিউশন ফি আর আনুষঙ্গিক ফী দিতেই হাঁসফাঁস ধরে যায়।
এমতাবস্থায় এবারের বাজেটে বিশ্ববিদ্যালয় গুলির উপর ১০ শতাংশ হারে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। পরোক্ষভাবে আসলে এই কর শিক্ষার্থীদের উপরেই আরোপ করা হয়েছে, কারন বিশ্ববিদ্যালয়গুলি শিক্ষার্থীদের কাছে থেকেই অতিরিক্ত টাকাটা আদায় করবে।
যেখানে শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার জন্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরী করে দেয়া সরকারের দায়িত্ব সেখানে এই কর আরোপ উচ্চশিক্ষার পথে বিশাল বাধা ছাড়া আর কোনই সুফল দেবে না।
প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গুলি সরকার ঘোষিত অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। কিন্তু আসলেই কি তাই? মাস শেষে কর্তৃপক্ষ কিন্তু ঠিকই কয়েক কোটি টাকা মুনাফা ঘরে তোলে। কিন্তু সে হিসেবে ল্যাব ফ্যাসিলিটি, পার্মানেন্ট ক্যম্পাস, প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক বা গবেষণার সুযোগ খুবই নগন্য। আমরা যদি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠগুলির দিকে নজর দিই, তাহলে কিন্তু প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা মোটেও হাতেগোনা নয়। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়, ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি(এমআইটি), অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়, স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় এগুলি সবই বেসরকারী। সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলি আজ এই অবস্থানে কোন দিনও আসতে পারতোনা।
প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকপক্ষ বহুদিন ধরেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যাবহার করে আসছে।বাজেটে ১০ ভাগ কর নির্ধারণ তাদের সেই লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যবহার করাকেই বৈধতা দিল। এতদিন এই শিক্ষার্থীরা মালিকপক্ষের যাঁতাকলে পিষ্ট ছিল এখন সরকারী যাঁতাকলেও তাদের পিষ্ট হতে হবে।
সরকারের এই অনুচিত সিদ্ধান্তটি যদি বহাল থাকে আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় মালিকপক্ষ যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলিকে ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যাবহার করতেই থাকে তাহলে এই দেশের কোন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ই সারা বিশ্বে কেন, এশিয়ার সেরাতেই দাঁড়াতে পারবেনা।
উচ্চশিক্ষার পথ সুগম করতে সরকারের, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর থেকে কর গ্রহনের মত সিদ্ধান্ত বর্জনের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানগুলিতে সুশিক্ষা দানের ব্যাপারটি নিশ্চিত করাটাও জরুরী।
মতিউর রহমান
শিক্ষার্থী, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
মন্তব্য
আপনি করের বিষয়ে যা বলেছেন, সেটা আমি সমর্থন করছি।
সাথে সাথে "জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশন জটের খবর কারোই অজানা নয়" এটার উপর আমার কিছু কথা আছে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশন জট কমিয়ে ডিগ্রি কলেজে আরও ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির ব্যবস্থা করাটাও একটা উপায় (এবং ভালো উপায়)। গুটিকয় বাদে বাকি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সবসময়। সেখানে জাতীয় বিশ্ববিল্যালয়ের আগেই কেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অগ্রাধিকার পায় শিক্ষার্থীদের কাছে? এমন না যে সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার মান অনেক ডিগ্রি কলেজের চেয়ে ভালো। আমার নিজের ধারণা এর পেছনে 'স্ট্যাটাস' -এর একটা ভূমিকা আছে। আমাদের সমাজে (শহর বা গ্রামে) ধরে নেয়া হয় যে ডিগ্রি কলেজের ছাত্রের চাইতে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে (সেটা যেরকম ই হোক না কেন) পড়া ছাত্র মানেই ভালো। এই মানসিকতা দূর করা দরকার।
শুভেচ্ছা
ধন্যবাদ আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্যে। আপনার সাথে দুইটা ব্যাপারে আমার চিন্তার পার্থক্য আছে।
আপনি নিজেও সেটা জানেন, সুতরাং তা নিয়ে আমি আর কথা বলতে চাইনা।
ঠিক বলেছেন, ঠিক উল্টোভাবেই কোনো কোনো প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রী কলেজ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এমনকি কিছু পাবলিক ইউনিভার্সিটির চেয়েও ভালো করার চেস্টা করছে। আমার আসলে জানা নেই ডিগ্রি কলেজের ছাত্রের চাইতে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে (সেটা যেরকম ই হোক না কেন) পড়া ছাত্র মানেই ভালো। এমন ধারণা কারো আছে। তবে প্রাইভেট নিয়ে নাক ছিটকানো পাবলিকের অভাব নাই।
লেখক
@লেখক,
আপনি যেটাকে চিন্তার পার্থক্য বলছেন, সেটা আসলে আপনার লেখায় প্রাসঙ্গিক কমেন্ট। ব্লগে মূল লেখার উপর যখন কমেন্ট করা হয় তখন সেটা মূল বিষয়ের সাথে অনেক কিছু যুক্ত হয়, আলোচনাও বিস্তৃত হয়।
আপনি কর প্রসঙ্গের অবতারণা করেছেন। আমিও আপনার মূল কথাটার সাথে সমর্থন ব্যক্ত করেছি। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কথাটাও এসেছে। খেয়াল করলে দেখতে পাবেন যে আমি আগের মন্তব্যে সব শব্দটিকে বোল্ড করে দিয়েছি। এর কারণ আমি জানি; আপনি যেটা বললেন "ঠিক উল্টোভাবেই কোনো কোনো প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রী কলেজ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এমনকি কিছু পাবলিক ইউনিভার্সিটির চেয়েও ভালো করার চেস্টা করছে।" আমি ঢালাও সাধারণীকরণ (জেনেরেলাইজেশন) -টা এড়িয়ে চলতে চেয়েছি।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিকল্প হিসেবে এসেছে প্রাইভেট, এর পর প্রাইভেটের পাশাপাশি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজাটাও সবার কাছে কাঙ্ক্ষিত হোক।
আপনি করের বোঝা লাঘব করার কথা বলেছেন, আমি সেটা সমর্থন করে এর পরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কেও আকর্ষণীয় অপশন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা যায় কি না সেটা বলেছেন।
আপনি আপনার সময়ের সমস্যাটা তুলে ধরেছেন, আমি আমাদের পরের ব্যাচগুলোর ভবিষ্যতের ভাবনাটাও ভাবতে চেয়েছি।
'জাতীয়টায় সেশন জট আছে, সেটা দূর করলে ভালো হয়' আমার এই ধারার মন্তব্যকে চিন্তার পার্থক্য বলে অভিহিত করাটা আমার কাছে ভালো লাগে নি।
ভালো থাকুন, শুভেচ্ছা
সহমত।
ধন্যবাদ
-লেখক
"জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের" সেসন জট জনিত সমস্যা ছিল এটি অতীতের সত্য। তা হ্রাসকরণের প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে সেটি নিকট অতীত। আর, সে প্রক্রিয়া অনেকাংশে সফল হচ্ছে সেটি বর্তমান কাল। অনুগ্রহ করে যাচাই করে তথ্য দেবেন। চিলের কাছে কান খুঁজবেন না। কেননা, আপনিই জানাচ্ছেন-
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে "যথেষ্ট" পরিমান সিট ফাঁকা থাকে বিধায় 'সুযোগ না পেয়ে' প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যাবার তেমন সুযোগ নেই। আর সময়ের ব্যাপারটা বর্তমানে একেবারেই খোঁড়া আবদার। এই দু'টোর বাইরে অন্য কোনও প্যারামিটারে আলোচনা চলতে পারে।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
জনাব সাক্ষী সত্যানন্দ,
আপনার অবগতির জন্যে কিছু তথ্য :
২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের অনার্স ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্যে ভর্তি পরীক্ষার ফর্ম বিতরণ হয়েছিল ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। তাদের ১ম বর্ষের পরীক্ষার সময়সূচী নির্ধারণ করা হয়েছে ২১ মে ২০১৫ তারিখ বৃহস্পতিবার থেকে ৬ জুলাই ২০১৫ তারিখ সোমবার পর্যন্ত।
হিসাব করে নেবেন ১ম বর্ষ শেষ হতে কত দিন লাগবে।
আপডেট নিউজ : জট নিরসনে ক্রাশ প্রোগ্রাম নেয়া হয়েছে।
সেশন জট এমনই ভয়াবহ পর্যায়ে রয়েছে, যদি গৃহীত ক্রাশ প্রোগ্রাম পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা যায়, তারপরও এই জট ছুটতে আরও অন্তত চার বছর লাগবে। বিস্তারিত
অনুগ্রহ করে যাচাই করে তথ্য দেবেন"অনুগ্রহ করে যাচাই করে কমেন্টস করবেন, কান হারিয়ে চিল খুজবেন না "জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বোচ্চ কতজন ভর্তি হতে পারে আর পাশ করে কত জন বের হয় সেটা আপনার জন্যে হোমওয়ার্ক।
আমি আবারো মনে করিয়ে দিতে চাই , আপনি ভুল লাইনে ভুল ধরছেন, আমার লেখার বিষয়বস্তু ১০% করের বিপক্ষে। আপনি এই লাইনে কথা বলুন।
তবুও ধন্যবাদ আপনাকে
-লেখক
প্রিয় মতিউর রহমান,
১।
কর সম্পর্কে আমি কোনও মন্তব্য করি নি।
২।
অন্যান্য সুযোগ বিদ্যমান থাকা স্বত্বেও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় বেছে নেবার একমাত্র কারণ হিসেবে আপনি শুরুতেই বলেছেনঃ
এই সাপেক্ষ বাক্যযুগল সম্পর্কে আমার সঙ্গত কারণেই আপত্তি আছে। আমার পূর্বের মন্তব্যে দেখতে পারেন "তাই" শব্দটি মোটা করে দেখিয়েছি।
৩।
ক্রাশ প্রোগ্রাম সম্পর্কে আমি অবগত। আমি দাবি করিনি জট ছুটে গেছে। বলেছি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং বিফল হয়নি।
৪।
কিঞ্চিত পরিসংখ্যানঃ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমান প্রথম বর্ষের (১৪-১৫)
ক্লাস শুরু হয়ঃ ফেব্রুয়ারি-১৪, প্রথম বর্ষ সমাপনী পরীক্ষা শুরু হয় মে-১৫ (১৪ মাস)
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পুর্ববর্তী প্রথম বর্ষের (১৩-১৪)
ক্লাস শুরু হয়ঃ ফেব্রুয়ারি-১৩, প্রথম বর্ষ সমাপনী পরীক্ষা শুরু হয় অক্টোবর-১৪ (১৭ মাস)
৫।
পুনশ্চ পরিসংখ্যানঃ
পার্শ্ববর্তী তিনটি সরকারি কলেজে খোঁজ নিলাম। তার মাঝে সবচেয়ে ছোটটিতেই এ বছর স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীতে ফাঁকা আসন প্রায় শতাধিক, ডিগ্রি (পাস) শ্রেণীতে ফাঁকা আসন প্রায় পাঁচ শতাধিক।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
১। আমি একটা পাবলিকে ভেটেরিনারী সায়েন্সে সুযোগ পেয়েছিলাম। ওই জিনিস আমার সাথে যায়না।
আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ বছর সাত মাস পর প্রথম বর্ষের পরীক্ষা দেবার ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। আমি আর সাহস করিনি, সোজা প্রাইভেটে চলে এসেছি। সেশন জটই শুধুমাত্র একটা কারন নয়, পছন্দের বিষয় না পাওয়াটাও একটা কারন। এমন অনেক কারণই আছে। আমিও আশাবাদী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশন জট অচিরেই দূর হবে।
২। আপনি খুব বেশি অনুমান নির্ভর কথা বলছেন, পরিসংখ্যান দেখুনঃ
উচ্চশিক্ষার জন্য বর্তমানে দেশের সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, মেডিকেল কলেজ ও মাদরাসায় মোট আসন রয়েছে ৫ লাখের কিছু বেশি। অন্যদিকে ১০ শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় এবার মোট ৭ লাখ ২১ হাজার ৯৭৯ শিক্ষার্থী পাস করেছে। বিস্তারিত
৩। আপনার পার্শ্ববর্তী কলেজের নাম বলুন, তাহলে অনেক শিক্ষার্থীই হয়তো ভর্তি হবার সুযোগ পাবে ওখানে। সিট তো খালিই থাকে।
বি,দ্রঃ একটা গুড নিউজ। সম্ভবত ১০ শতাংশ ভ্যাট থাকছে না বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। লিঙ্ক
এইবার ঠিকাছে
২।
পাস করা সবাই সুযোগ পাবে কি না- সে বিষয়ে কিছু বলিনি। কিন্তু, হাতের কাছে থাকা একটা সুযোগ সবাই দূরে ঠেলে সেটা জানাতে চেয়েছি। অবশ্যই সে সুযোগে অনেক ত্রুটি থাকতে পারে, সেক্ষেত্রে সেগুলোও ঠিক করা প্রয়োজন।
৩।
ভর্তির ডেট ওভার। দুঃখজনক সত্য হল সিটগুলো খালিই যাবে। এই প্রক্রিয়ায় একটা সংশোধন প্রয়োজন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মডেল অনুসরণ কয়া যেতে পারে।
৪।
আগে খেয়াল করিনি, আমার কথাগুলো ইতোমধ্যে মেঘলা মানুষ বলে রেখেছেন-
বটমলাইন এটাই।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
লেখকের সাথে সহমত।
নতুন মন্তব্য করুন