শেখার নাকি কোনো বয়স নেই, তাই এই বুড়ো বয়সেও কোনোকিছু শিখতে আপত্তি নেই আমার। বেশ তো, নতুন নতুন জিনিস শিখব, নতুন নতুন কাজ করব আবার করতে করতেও এটা ওটা শিখতে থাকব-মন্দ তো নয়। কিন্তু কিসের কী, নতুন কিছু শিখতে গিয়ে দেখি পুরনো যা কিছু সঠিক বলে জেনে এসেছি আর ভালবেসে করে এসেছি, সে সবই ভুল! তাহলে আর শেখার আগ্রহ থাকে, বলুন? হাজার হোক-পুরনো চাল ভাতে বাড়ে আবার পুরনো প্রেমও ভোলা যায় না সহজে, আমি কী করে তবে পুরনো জানাশোনাগুলো ভুল বলে মেনে নিই? আচ্ছা, থাক সে প্রশ্ন এখন, বরং রবি ঠাকুর থেকে সান্তনা নিয়ে ভালো-মন্দ যাহাই আসুক, সত্যেরে লই সহজে। প্রিয় ভুলগুলোর দিকে একটা চক্কর দিয়ে আসি বরং-
১. বানানের বারোটায়, জান যায় জান যায়
য-ফলার প্রতি আমার চিরন্তনী ভালবাসার কথা আজকাল প্রায় সর্বজনবিদিত। হবে নাই বা কেন, সেবার চৈত্র সংক্রান্তির স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে শিরোনামসহ পুরোটা লেখা ভরিয়ে দিলাম ‘চৈত্র্য’ বানান লিখে। এই অমানুষিক নিপীড়নে সাক্ষী দা’ রীতিমতো কেঁদেকেটে মডারেটরদের কাছে অন্তত শিরোনামের বানানটা ঠিক করে চাইল (কী লজ্জ্বা, কী লজ্জ্বা-জীবনে সেই প্রথম চৈত্র বানান শিখলাম অথচ বানান নিয়ে কী বাহাদুরিটাই না ছিল আমার!)
এই তো, মাত্র দু’দিন আগে বাংলা টিমের কলিগকে খুব চিন্তিত স্বরে জিজ্ঞেস করলাম-“দাদা, তাৎপর্য বানানটা থেকে য-ফলা কি উঠে গেছে?” এবং অবশ্যই মনে মনে আশা করতে থাকলাম দাদা ‘না’-সূচক উত্তর দেবে। এহ্ হে, রীতিমতো বাড়া ভাতে ছাই দিয়ে ততোধিক চিন্তিত মুখে কলিগ আমার দিকে তাকিয়ে থাকলেন কিছুক্ষণ, তারপর আমাকেই প্রশ্ন করে বসলেন-“তাৎপর্য বানানে কোনোদিন কি য-ফলা ছিল দিদি?” আমি তো রীতিমতো বজ্রাহত, কোনোদিন ছিল না! কিন্তু অফিসের অন্য সবাইও কি না সমস্বরে বলে উঠল-“উহুঁ, কোনোদিন ছিল না।” এমনভাবে বলল যেন ম্যাকবেথ নাটকের প্রথম দৃশ্যের সেই… না, থাক, লেখাটা দেখলে আবার মাইন্ড করতে পারে।
কী মুশকিল বলুন তো, য-ফলা দিলে ধৈর্য, সৌন্দর্য্, প্রাচুর্য এই শব্দগুলোকে কেমন সুন্দর লাগে দেখুন না। আহা রে, সুন্দর মুখের জয় সর্বত্র হলেও দেখতে সুন্দর শব্দের জয় কেন যে নেই কোত্থাও! অবশ্য লোকে বলে এসব সৌন্দর্য টৌন্দর্য বড় কথা নয়, আমার নাকি ‘য-ফলা ম্যানিয়া’ আছে। বড্ড বিমর্ষ লাগে রে, একেবারে ফিলিং লস্ট!
য-ফলা প্রসঙ্গ বাদ দিলেও সমস্যার কি অন্ত আছে? বরাবর জানি ‘শূন্য’ বানানে মুর্ধণ্য ণ হবে-এই কিছুদিন আগে দেখি, যা বাবা, সেটাও ভুল। ণ-ত্ব আর ষ-ত্ব বিধানের কত যে ফ্যাকড়া, সে নিয়ে মিছিমিছি লেখা ভারি করে কী হবে। ছোট্ট একটা গল্প বলি-কলিগেরা মিলে আমরা বানান সমস্যা সমাধানে বসি মাঝেমাঝেই। তো এমনই এক ঝামেলাপূর্ণ সমাধানমূলক জরুরি মিটিংয়ে আমরা জানলাম, কোনো ‘দর্শন’-এই মুর্ধণ্য ণ হয় না, মানে দর্শন, প্রদর্শন, সন্দর্শন এই সব শব্দে। মনে মনে আরও একটা সমস্যার সমাধান আবিষ্কার করে আমি সকল দন্ত বিকশিত করে সকলকে বললাম-“তাহলে দেখ, সব ‘নয়ন’-এই দন্ত ন হবে।” আমার আবিষ্কারে সন্দিগ্ধ কলিগদের জন্য উপযুক্ত প্রমাণ খুঁজতে গিয়ে দেখি, কীসের কী ভাই, ‘প্রণয়ন’ বানানেই রীতিমতো একটা মুর্ধণ্য ন! তা আমি কী করে জানব বলুন তো ‘প্রণয়ন’-এর যে আবার নয়নের চাইতে প্রণয়ের সাথে বেশি খাতির!
আরও আছে, ‘ভালো’ বানানে ও কার, ‘ভালো বাসা’ বানানের সময়ও তাই তবে ‘ভালবাসা’ বানানে নেই কেন? আমি কী করে জানব যে ব্যাকরণ আর অভিধান প্রণেতাদের মতে ‘ভালোবাসা’ ব্যাপারটা একটু কম ভালো বলে ও কারটা তাঁরা বাদ দিয়েছেন? আমি তো পৃথিবীটাই ভালবাসাময় দেখি তাই এখনও ‘ভালোবাসা’ বানানটাই বেশি টানে, বড় কষ্টে ও কারটা ছেঁটে দিই, ব-হু-উ-উ কষ্টে।
২. সরল বড় জটিল হে
যখন ছাত্রাবস্থায় ছিলাম, পরীক্ষার খাতা দেখতেন সব পড়ালেখা জানা শিক্ষিত মানুষ। তাঁদের আর নতুন করে শিখবার কিছু ছিল না বরং তাঁরাই আমাদের মতো গাধা গরুদের শেখাতে চাইতেন। মানে আমার প্রিয় শিক্ষকগণের কথা বলছি। এজন্যই আমার কমা, ড্যাশ, সেমিকোলন, দাঁড়ি প্রভৃতি বিরাম চিহ্নসমেত আরও হাজারটা এবং, আর, অথবা, কিন্তু জাতীয় অব্যয়ে ভরা জটিল আর যৌগিক বাক্যগুলো তাঁদের জন্য সমস্যার কারণ ছিল না। সমস্যা কিন্তু ঘটল অন্যখানে।
বর্তমান চাকুরির ভাইভা দিতে গেছি, প্রজেক্ট ম্যানেজার এক গাল হেসে জানালেন-“এখানে তো লেখালেখির কাজ। তুমি পছন্দ কর তো?” আমি দুই গালে ততোধিক হেসে জানালাম-“ইয়েস, ম্যাম, মানে এমনকী পরনের কাপড় চোপড়ে পর্যন্ত লেখালেখি করার সুনাম (!) আছে আমার।” তারপর? তারপরের কাহিনী বড্ড সোজা-প্রজেক্ট হেড আর টিম লিডার রাজি তো কেয়া কারেগা পাজি? আমি খুশিমনে হ্যাপিলি এভার আফটার মনোভাব নিয়ে সাতদিন পর চাকুরিতে জয়েন করলাম।
তারপর? ও হরি-এ আমি কুথায় এলাম গো। টিম লিডার দারুণ হেসে কাজ বুঝিয়ে দিলেন। লেখারই কাজ কিন্তু এবার ক্লাসের নোটসও নয় বা পরীক্ষার খাতাও নয়, লিখতে হবে বই, স্কুলের বাচ্চাদের এ আমার জানা ছিল। জানা ছিল না কেবল এই বইয়ে সরল বাক্যই প্রধানতম বিবেচ্য হবে যেহেতু পিচ্চিপাচ্চারা পড়বে। যে আমি চার পাঁচটা বাক্য মিলিয়ে একটা বাক্য তৈরি করতে ভালোবাসি সেই আমাকেই কিনা পারলে একটা বাক্য ভেঙ্গে পাঁচটা করতে হয়? উদাহরণ দিই-মীনা কার্টুন লেখার দায়িত্ব আমার উপর থাকলে আমি ‘মীনা, মুরগিগুলো গুণে রেখ’ সিরিজে লিখতাম-‘দারুণ বুদ্ধিমতী মীনার পোষা পাখি মিঠুরও এমন বুদ্ধি যে ও একদিন স্কুলে গিয়ে নামতা শিখে এসে মীনাকে শিখিয়ে দিল।’ বলুন তো, বাক্যটা কী আর এমন কঠিন কিন্তু বস বললেন বাক্যটা ভাঙতে। মানে আমাকে লিখতে হলো-‘মীনা দারুণ বুদ্ধিমতি। ওর পোষা পাখি মিঠুরও অনেক বুদ্ধি। মিঠু একদিন স্কুলে গিয়ে নামতা শিখে এলো। তারপর মীনাকে শিখিয়ে দিল।’ তাহলে সরল বাক্য কী করে সরল হলো বলুন? এমন খুদে খুদে বাক্য লেখা যায় এই বয়সে? কিন্তু কী আর করা, পেটে খায় তাই আজকাল কী-বোর্ড আর আঙুলেও সয়ে যাচ্ছে।
৩. ইংরেজি নয় পাজি
আমার কনফিডেন্সের অভাব ছিল না কোনো কালে। বাংলা বানানের মতো ভাবতাম বুঝি ইংরেজিও খুব ভালো পারি (কোন কলসি যেন বাজে বেশি?)। গত বছর আগের টিমের পাশাপাশি অন্য একটা প্রজেক্টে জয়েন করতে হলো, এনসিটিবি-র সাথে কাজ। এলেন আমাদের কনসালট্যান্ট, ভদ্রমহিলা জাতে খাঁটি ব্রিটিশ। আমার বাঙালি স্টাইলের ইংরিজি উচ্চারণ ঝাড়তে গিয়ে কী যে সমস্যা। আমি একটা করে বাক্য বলি, ব্রেন্ডা হাসিহাসি মুখে জানতে চান আবার ‘স্যরি…’ বলে। প্রথমটা তো খারাপ লাগল খুব। এ কী দশা, পুরাই প্রেস্টিজ পাংচার। পরে মনে হলো ওঁকে বাংলা বলতে দিলে উনি তো আরও খারাপ করতে পারতেন। তা ওঁর ভাষায় আমি কথা বলতে গিয়ে ওঁকে যদি এক কথা দুবার শুনতে হলো তাতে কী এমন আসলো গেল! তারপর থেকে আমি ওঁর সাথে মন খুলে কথা বলি, ও হাসিহাসি মুখে আমার সাথে গল্প করে, আলোচনা করে। আমার আর কী সমস্যা বলুন, যার সমস্যা সে শুনুক না বারবার! আহা রে, ব্রেন্ডার সাথে দুটো কথা কয়েও আরাম, অন্যরা তো এক কথা দুবার শুনলেই কানে হাত দেয়।
বকবক বহুত করলাম এতক্ষণ। অযথাই কান টেনে মাথা আনবার চেষ্টায় কানটাকে একহাত লম্বা করে কী লাভ? তারচে’ বরং লেখায় ক্ষান্ত দিই এখন। ও আচ্ছা, আজ আবার একটা নতুন ইংলিশ শিখলাম। কথায় কথায় কী প্রসঙ্গে যেন ‘ইগো’ কথাটা চলে এসেছিল। এক কলিগ বলে, ইগো মানে নাকি ‘ইবলিশ গোয়িং অন’ (EGO-Eeblish Going On)! তা অবিশ্বাসই বা করি কী করে? মনের ভেতর বেশি ইগো কাজ করলে ইবলিশ ইবলিশ একটা ব্যাপার তৈরি হয় বটে। তাই ইবলিশ যেখানে চলছে, যখন চলছে, যেভাবে চলছে চলুক, সমস্যা নেই কোনো। তবে একটা খটকা লাগছে মনে, ইয়ে, ‘ইবলিশ’ বানানটা ইংরেজিতে কেমন হবে, যেটা লিখলাম সেটাই নাকি ‘Eiblish’? নাকি আর কিছু?
দেবদ্যুতি
মন্তব্য
০।
এই পোস্টে সচলের বানান-পুলিশদের (মতি-দি, তিথী-দি প্রমুখকে) মিস করছি!
১।
এইভাবে স্মরণ! বিব্রতবোধ করছি। (য-ফলা নিয়ে আমারই সমস্যা আছে কিনা।)
২।
ঈমানে কন তো, আপনে কি ডঃ আসিফ নজরুলের ড্রাফটসম্যান ছিলেন? হুমম?
৩।
হুমম... ইংরেজি মাধ্যমের পাকনা পুলাপাইন পড়াতে আমারও এই ঝামেলা হত।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
এক এক করে উত্তর দিই, কী কন, সাক্ষী দা’?
০। বানান পুলিশদের সহযোগিতা বিভিন্ন সময় পেয়ে আসছি, এই পোস্টেও মতামত আশা করি।
১। আপনার জন্যই না ‘চৈত্র্য’ বাদ দিয়ে চৈত্রকে গ্রহণ করতে পেরেছি-কেমনে ভুলি সেকথা? আপনার জন্য তরতাজা
২। আপনে কি আমারে বকা দিলেন? বুঝতাছি না এক্কেরে-মি: নজরুলের সাথে কেমনে কী?
৩। সামলাতেন কেমনে? ব্রেন্ডা কাল আবার আসছে তো, আপনার পরামর্শ পেলে কাজে লাগাতাম আর কী
দেবদ্যুতি
৩।
"...যে আমি চার পাঁচটা বাক্য মিলিয়ে একটা বাক্য তৈরি করতে ভালোবাসি..."
৪।
শেষমেশ দুজনেরই একসেন্ট (বাংলা জানি না) বদলে গেছিল। পারস্পারিক বিনিময়।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
বানানবিদ ছিলেন বুনোহাঁস। আমি দুধভাত।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ইয়ে তিথীদিদি, বুনোহাঁস-এর জন্য 'ছিলেন'-টা কেন গো? উনি কি এখন আর 'বানানবিদ' নেই?
আচ্ছা, মুর্শেদভাই এই পোস্টটায় যে বানান পরীক্ষক-এর কথা জানিয়েছিলেন, সেটা কি আছে এখন? থাকলে সেটা কি শুধু পূর্ণ সচলদের জন্য। যদি অন্যান্যদের জন্যও লভ্য হয়ে থাকে তবে সেটা নাগালে পাওয়ার জন্য কি করতে হবে?
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
দেবদ্যুতি
৩ নম্বরটা মনে মনে সন্দ করেছিলুম বটে। আর পারস্পরিক বিনিময়ের ব্যাপারটাও দারুণ। আমরা এখানে উভয় পক্ষই প্রতিটি শব্দ উচ্চারণ করি আলাদা আলাদা মানে আলাপচারিতার সময়টা বেশ দীর্ঘায়িত হয় আর কী। কিন্তু তাই সই-দেয়া আর নেয়া, মিলবার আর মেলাবার ব্যাপার আছে তো । লক্ষ্মী মেয়েটা আবার এসেছে এদেশে, আবার এমন মিষ্টি আলাপচারিতার আশা করি
দেবদ্যুতি
বানান নিয়ে আমিও বড় যন্ত্রনায় আছি। বহুদিন ধরে যা ঠিক জেনে এসেছি এখন দেখি তা অশুদ্ধ। শিখতে গিয়ে এতশত নিয়মকানুন দেখে ক্লান্ত হয়ে হাল ছেড়ে দিয়েছি। শুদ্ধতা যাচাইয়ের একটা রিভিউ এপ্স দরকার বড়
অ্যাপস-এর আইডিয়াটা পছন্দ হইছে খুব। একটু দেখুন না চেষ্টা করে বানানো যায় কিনা
দেবদ্যুতি
ভালো একটা বিষয়ে লিখেছেন। বিশেষ করে Eiblish এর কথাটা মনে ধরেছে।
বানান বিষয়ে এক সময় আমারো অতিমাত্রায় আত্মবিশ্বাস ছিল। অনেকগুলো ভুল বানান নিয়ে দীর্ঘকাল কাটাবার পর বানান বিবর্তনের মুখোমুখি হলাম। না, ব্যাকরনের কোন বিবর্তন না। এ আমার নিজের বানানুনভবের বিবর্তন। বানান বিষয়ে চিরকালের আত্মবিশ্বাসের দেয়াল খসিয়ে দিতে শুরু করলো এই সচলায়তনেরই কিছু শুভাকাংখি। এখনো পুরোপুরি শুদ্ধ লিখি বলতে পারি না। তবে পুরোনো ভুলগুলো ভেজে ভেজে নতুন করে শিখতে শুরু করলাম। আমার অধিকাংশ সমস্যার মূলে ছিল ন এবং ণ এর মধ্যেকার গৃহবিবাদ। তারা কে কোথায় বসবে সেটা নিয়ে যে ঝামেলা তার ক্রসফায়ারে পড়ে যেতাম। এখন বলতে পারি পাঁচ বছর আগেকার লেখার তুলনায় এখনকার লেখায় ভুলের পরিমান বহুল পরিমানে কমেছে। কিন্তু ১০০% পরিশুদ্ধতার ঘোষণা দেয়াটা Eiblish এর কাজ হয়ে যাবে।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
। ন আর ণ, হ্রস্ব ই-কার আর দীর্ঘ ই-কার এবং য-ফলা সবচে’ ঝামেলা করে। আর এটাও ঠিক বাংলা একাডেমি কয়েক বছর পর পর বানান বদলায়, এনসিটিবি-র আরও বাজে অবস্থা, পরপর দুই বানানও দুরকম দেখা যায়। মুশকিল! আপনার বানান সমস্যার উত্তরণ প্রক্রিয়া জেনে আশাবাদী হলাম, আমিও নিশ্চয়ই অনেকটাই পেরে যাব এক সময়
দেবদ্যুতি
"ব্যবহার" আমাকে সারাজীবন জ্বালিয়েছে, য'ফলার পরে আকার দিব কি দিব না, আরেকজন হলেন "ব্যক্তি"।
বানানে সেই প্রথম শ্রেনী থেকে কাঁচা, ওই কারণে বরাবর পরীক্ষায় নম্বর কম পেতাম। এই সচলায়তনে এসে নতুন করে শিখছি, তবে ভাল স্টুডেন্ট হতে পারিনি। এখনো বানানের ভয়ে পোস্টাতে ভয় পাই।
লেখা মজারু হয়েছে।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
লেখা মজারু হয়েছে বলার জন্য তাজা , জীবনে এই প্রচেষ্টা এবারই প্রথম কিনা।
আর ভয়ডর এইসব বাদ দেন তো। ভয় করলেই ভয়, না করলে কিচ্ছুটি নয়। পোস্ট দেন, এট্টু পড়িলিহি (আমার এক রুমমেটের খুব প্রিয় আদুরে শব্দ, পড়িলিহি=পড়ালেখা) করি
দেবদ্যুতি
বানান ভুলের যন্ত্রণায় নিজেই যে অস্হির, তারে বানান পুলিশ বলার জন্য তীব্র ধিক্কার জানাই।
ভালো বিষয় নিয়ে লিখেছো হে! (ইংরেজিতে) Eiblish মানুষের নামের ক্ষেত্রে ব্যবহার হতে দেখেছি।
কিন্তু মহামতি কে ইংরেজিতে satan( নানান নামের শয়তান আছে)ই তো লিখে/বলে, নাকি ভুল জানি বাপ
EGO এর নতুন অর্থ শিখলাম এবং ভালু পাইলাম।
আমরা যারা বানানে দুর্বল তাদের জন্য এরকম পোস্ট আরো লিখুন আফামণি
ইয়ে... "বানান-ঠোলা" শব্দটা পছন্দ হয়?
পুনশ্চঃ মহামতি = satan ওরে নারে...
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
বানান ঠোলা=বানান পুলিশ?
আর satan আদতে ‘মহামতি’-র জন্য নাকি মহামতি ইবলিশের জন্য। ইবলিশ=শয়তান যদি হয়, তাইলে Eiblish=satan হবে না কেন?
দেবদ্যুতি
Eiblish যে মানুষের নাম বা নামের অংশ/উপাংশ হতে পারে জানা ছিল না এক্কেরে, মজা পাইছি ব্যাফুক এরকম বিড়ম্বনার আরও কিছু গল্প জুটে গেলে আবার না হয় লেখার কথা ভাবা যাবে
দেবদ্যুতি
বেড়ে লেখা এটা। আর একটু বকবক করলেই পারতেন কিন্তু। আমি অন্তত ওঠার কথা ভাবছিলাম না।
--------------------------------------
ইচ্ছে মত লিখি
http://icchemotolikhi.blogspot.in/2015/06/sonnet-1.html
বকাবকানি জমা রাখলুম, পরে আবার করব খন, তখন কিন্তু উঠে পড়লে হবে নি, ঠিকাছে? । তা আপনি মানুষটাও খানিক বকবকালে পারেন তো বাপু, একলা কি আর হয়?
দেবদ্যুতি
এককালে আমার বানান ভুল হত না (মনে হয়)। কিন্তু ইদানিং লিখেতে গিয়ে কনফিউজড হয়ে যাই। কি যে অবস্থা!
বানানরীতি নিয়ে একটা লেখা পড়েছিলাম। ইদানিং বানানের যে কত রীতি।
বাতিঘর প্রকাশনী থ্রিলার কে লিখে থৃলার। নিজস্ব বানানরীতি!
- ইমতিয়াজ হাসান।
আগের চেয়ে কনফিউশন বেড়েছে অনেক। একবার ব্যাংকে পে-অর্ডার করতে গিয়ে লিখে এলাম ‘সোনালি ব্যাংক’-বাইরে বেরিয়ে দেখি ওরা সেই আগের বানান ‘সোনালী’-ই ব্যবহার করছে । আর নিজস্ব বানানরীতি তো অনেকেরই-এমনকী পত্রিকাগুলোরও বানানরীতি আছে নিজেদের, মুশকিল।
দেবদ্যুতি
তুমি ki খেয়েছ?
- হ্যাঁ বা না 'তে উত্তর দেয়া সম্ভব।
তুমি ki দিয়ে খেয়েছ?
- উত্তরটা অবশ্যই হ্যাঁ বা না 'তে দেয়া সম্ভব না।
আবার ধরুন, তোমার নাম ki? তোমার ki নাম? এই দুটো প্রশ্নে বানান দুই রকম।
এই আমি জানতাম। এবার বুঝেন আমারও কি অবস্থা!
- ইমতিয়াজ।
এট্টু নিরাপদ থাকার জন্য আমি না হয় রবি বুড়োর বানানটাই ধরে রাখব । তাতে আমার সুবিধে তো হয়ই, এছাড়া বেশিরভাগ মানুষই এই নিয়মটাই জানে। মানে ‘তুমি কি খেয়েছ?’ প্রশ্নের উত্তরে হ্যা বা না আর ‘তুমি কী খেয়েছ?’ প্রশ্নের উত্তরে খাদ্যদ্রব্যের নাম। ওসব অব্যয়, সর্বনামের হিসেবটা আজ না হয় তোলা থাক
দেবদ্যুতি
শুধু এক ‘কি’ আর ‘কী’ নিয়েই কী (লেখকের আপত্তির বানানটাই লিখলাম ) আলোচনাটা রে, বাবা! লেখাটা মজার, কৌতূহলোদ্দীপক
দেবদ্যুতি
এই লেখাটার নাম দেখে ভেবেছিলাম উদাস-বাউল গোত্রের কোন একটি লেখা এসেছে। পড়তে গিয়ে দেখি বড়ই দুঃখের কাহিনী নেমেছে। তবে, বানান-অভিযান চালু থাকা ভাল, কি বলো দ্যুতিদিদি?
অঃটঃ - লেখা খুব ভাল লেগেছে।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
উদাস-বাউল দূর অস্ত দা’ভাই। আমি সামান্য লোক, কোনোরকমে খেয়েপড়ে বাঁচি, এখন ওসব কেমনে? বানান-অভিযান চালু থাক, চালু থাক
লেখা ভালো লেগেছে বলে তোমারে ধইন্যাপাতা সাপ্লাই দিই কিছু । তোমার লেখা কই? এট্টু তাড়াতাড়ি এলে ভালো না?
দেবদ্যুতি
বানান নিয়ে খুব আত্মবিশ্বাস ছিল এককালে কিন্তু এখন নেই; বাংলা চর্চা না করতে থাকাটা অজুহাত হিসেবে-ও যায় না। তবে হ্যাঁ, সচলায়তনে এসে উন্নতি হয়েছে, হচ্ছে- সচলায়তন বহু কিছু দিয়ে যায়...
হ্যাঁ, সচলায়তন বহু কিছু দিয়ে যায় বটে
দেবদ্যুতি
একটা লেখা পোস্ট দেবার আগে বহু দিন, বহু মাস ফেলে রাখি। গত বছরের লেখা গল্পও পোস্ট দেইনি এখনও। একটাই কারণ, কারেকশন। বানান, শব্দ। মাঝে মাঝে ফাইলগুলো ওপেন করি আর কারেকশন করি। যেদিন মোটামুটি আশ্বস্ত হই তখন পোস্ট দেই, আর আশায় থাকি কেউ একজন এসে বাকি ভুলগুলো ধরিয়ে দিক। ব্লগ থেকে প্রাপ্তি বিশাল। তাৎক্ষণিক পাঠক, মনোযোগী পাঠক, বন্ধু পাঠক। জানার বিশাল সুযোগ।
লেখা ভাল লেগেছে, দেবদ্যুতি।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
ধন্যবাদ, সাদিয়া’পু।
আমি আবার অস্থিরচিত্ত জান তো। যে লেখাগুলো জমিয়ে জমিয়ে এডিট করতে করতে পরে দিই, সচলে সেগুলোই বরং আটকে যায় । তাই লেখা শেষ করেই কপি, পেস্ট, সংরক্ষণ অপশনে চাপ। তবে মনোযোগী আর বন্ধু পাঠকদের জন্য অনেক শেখা হয় রোজ-বানান, লেখা, তথ্য। ব্লগ থেকে প্রাপ্তি বিশাল আসলেই
দেবদ্যুতি
নতুন মন্তব্য করুন