/guest_writer/54614]প্রথম পর্ব – কাঁটা ফুটল যেভাবে [/url]
বাসায় গিয়ে মাকে বললাম গলার কাঁটা বের করে দাও।
ছি ছি, এতো বড় ছেলে এখনো গলায় কাঁটা আটকায়? গার্গেল করে আয়, তারপর দেখছি।
একটা চিমটা আর একটা টর্চ নিয়ে অনেকক্ষণ উঁকিঝুঁকি দিয়েও কিছু দেখা গেল না। অনেক নিচে গিয়ে আটকেছে।
তোর বাবাকে বল ইএনটি তে নিয়ে দেখাতে।
না।
বাবাকে বলা যাবে না। বাবার গলায় কাঁটা আটকানোর ধাত আছে. ইলিশ থেকে রুই, এমন কোনও মাছ নেই যার কাঁটা গলায় আটকে নি। দুবার ডাক্তারের কাছে গিয়ে চরাতে হয়েছে। আমি সেটা নিয়ে প্রায়ই হাসাহাসি করি। এখন বাবাকে বলতে গেলে মান-ইজ্জত যাবে।
তুমি দেখতে না পেলে কি ডাক্তার দেখতে পারবে?
জিভে এনাস্থেশিয়া দিলে আরও একটু ভেতরে দেখা যাবে।
তারচেয়ে পেটের ডাক্তারের কাছে যাই। একটা এন্ডোস্কোপ গলা দিয়ে ঢোকালে ধাক্কা দিয়ে কাঁটাটা নেমে যাবে।
হ্যাঁ, আর আসার পথে একটা কামান নিয়ে আসিস, বাসায় মশার কয়েলটা কাজ করছে না। কাঁটা নিয়ে এত গবেষণা করতে হবে না। লেবুর রস খা। মা বলল।
লেবুর রসে অ্যাসিড আছে। অ্যাসিড দিয়ে গলে কাঁটা বেরিয়ে আসবে।নিজেকে বলতে বলতে আস্ত একটা লেবু খেয়ে ফেললাম চিপে চিপে। তখন যন্ত্রণায় সালফিউরিক অ্যাসিডও খেয়ে ফেলা কঠিন ছিল না। ঘোড়ার ডিমের লাভ হলো।
রহিমার মা মশলা বাটছিল, সে দেখি মুখে আঁচল চেপে হাসছে। আচ্ছা, রহিমা হওয়ার আগে রহিমার মা কে সবাই কি বলে ডাকতো ?
বাবা যথারীতি টিভিতে একটা মেগা সিরিয়াল দেখছে। সাত পাঁকে গাধা। একটা পর্ব দেখলে মনে হয় যে গাঁজার ক্ষেতে আগুন লেগেছে, আর তার মাঝখানে বসে নাট্যকারেরা গল্পগুলো লিখেছেন। কিন্তু যেকোনো জায়গায় গোটা চারেক পর্ব দেখলেও কেমন যেন একটা নেশা চলে আসে। পুতুলের মেয়েটাকে কি খুঁজে পাওয়া যাবে? মেয়েটার আসল স্বামী কোনটা ? শাশুড়িটা কি আসলেই শয়তান? মাথার মধ্যে কুটকুট করতে থাকে।
আচ্ছা, ছেলেটার গলায় যে কাঁটা ফুটেছে এতক্ষণ ধরে কোনো খেয়াল আছে? মা বাবাকে বলল।
দীর্ঘদিন যাবৎ মায়ের চিত্কার শুনতে শুনতে বাবার ইমিউনিটি এসে গেছে। যথারীতি এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না।
অ্যাঁ?
ছেলেকে জিগ্গেস করেন, ধুর !
কাঁটা ফুটেছে, কোথায়? আমাকে জিগ্যেস করলো।
আমার মাথায় ।
মাথায় আবার কাঁটা ফোঁটে কীভাবে?
রহিমার মা আমাদের কথা শুনে আর চুপ থাকতে পারল না।
খালাম্মা, বিড়ালের কাছে মাপ চাইলে মনে হয় নাইমা যাইব। রহিমার মা বলল।
পৃথিবীতে পাগলের সংখ্যা এত বেশি কেন ভাবতে ভাবতে ঘুমাতে গেলাম।
ঘুম আসল না। আচ্ছা, কাঁটাটা যদি ভোকাল কর্ডে গিয়ে ঢোকে, তাহলে তো কথায় বলতে পারব না। যদি কোনদিন বের না হয়? বিড়ালের পা ধরলে কি আসলেই নামে? না হলে এমন বুদ্ধি কার মাথায় আসবে? সব কুসংস্কারের শুরুর দিকে তো কিছু লজিক থাকে। আমি যদি বিশ্বাস করি, যে এটা কাজ করবে, তাহলে হয়ত গলার মাসল রিল্যাক্স করে কাঁটাটা পরে যাবে।
প্লাসেবো ইফেক্টের কথা ভাবতে ভাবতে হোমিওপ্যাথির কথা মনে পড়ল। হোমিওপ্যাথিতে কাঁটা নামানোর ওষুধ আছে, কিন্তু বাসায় কাউকে বললে ত্যাজ্যপুত্র হয়ে যাবার একটা ভালো সম্ভাবনা আছে।
তার চেয়ে ঘুমিয়ে থাকি, ঘুমের মধ্যে গলার মাসল রিল্যাক্স করলে কাঁটাটা এমনিই নেমে যাবে। হু হু বাবা, বিজ্ঞান।
পরদিন ব্রাশ করার সময় মনে হলো কাঁটাটা নেমে গেছে। চা খাবার সময়ই আবার খ্যাচ করে দাড়িয়ে গেল।
বুঝলাম, বিজ্ঞান ফেইল করেছে।
বাসায় উল্টাপাল্টা বলে কাঁটাবনের এক বিখ্যাত হোমিও হলে গেলাম। লোকজন বেঞ্চিতে বসে আছে। বসে বসে ব্রশিওর পড়তে থাকলাম। বোঝা গেল যে এলোপ্যাথি এইডস, ডেঙ্গু আর বার্ড ফ্লুর মত ফালতু জিনিস নিয়ে পরে থাকলেও, গালের তিল ওঠানো, গলার কাঁটা নামানো, হাতের টিউমার ভ্যানিশ, কিডনির পাথর হজম, ইত্যাদি সত্যিকার মিরাকল হোমিওপ্যাথিই আবিষ্কার করেছে। হোমিওপ্যাথি জার্মানিতে আবিষ্কৃত। জার্মানিতেও মানুষের গলায় কাঁটা আটকায় ভেবে চমৎকৃত হলাম।
আরও চমৎকৃত হলাম পরের ব্রশিওরটা পরে। দেওয়ানবাগী পীর, ফেইথ হিলার, আর বাবা রামদেব ছাড়া সরদার হোমিও হলই একমাত্র ক্যান্সারের অব্যর্থ ওষুধ আবিষ্কার করেছে।
রিসেপশনিস্ট কে একবার জিগ্যেস করলাম কাঁটা নামানোর ওষুধ আছে নাকি।
প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ দেই না।
কাঁটা নামানোর কথা শুনে রোগীদের একজন নড়েচড়ে বসলো।
আরে কাঁটা নামানোর খুব ভালো ওষুধ আছে। আমার মায়ের আটকেছিল, এক ফোটা খেতেই দশ মিনিটের মধ্যে কাশি দিয়ে বেরিয়ে এলো। (১)
কল্পনা করলাম, কাশি দিয়ে আমার কাঁটাটা বেরিয়ে এসেছে। আহা।
কিসের কাঁটা জিজ্ঞেসও করতে হল না। নিজেই বলে দিল।
খেজুর গাছের কাঁটা। পায়ে ফুটেছিল , ওষুধ পরতেই কাশি গিয়ে গলা দিয়ে বেরিয়ে এলো। একি কোথায় যাচ্ছেন ?
আর ওষুধ লাগবে না। যা গল্প বললেন, কাঁটা এমনিতেই নেমে গেছে। বেরিয়ে পরলাম।
গলার খচখচ নিয়ে বাসে উঠলাম।
বেকার ছেলে আর অবিবাহিতা মেয়ে পিতামাতার গলায় কাঁটার মতো। যেই হতভাগা এই ফাউল প্রবচনটা বানিয়েছে ভেবেচিন্তেই বানিয়েছে। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ যন্ত্রণা হচ্ছে গলার কাঁটা।
কাঁটাবনের জানোয়ারদের খাঁচাগুলোর সামনে এলোপাথাড়ি হাঁটলাম অনেকক্ষণ। খরগোশগুলো কেমন মরামরা। কুকুরগুলোও বেশি আনন্দে আছে বলে মনে হল না । পাখিগুলোই বেশ শব্দ করছে। হাঁটতে হাঁটতে বিড়ালের খাঁচার সামনে আসলাম। রহিমার মায়ের কথা মনে পড়ল। ডিস্টারবিং চিন্তা । দুঃখজনক কিছু করার আগেই হনহন করে বাসস্ট্যান্ডে চলে গেলাম।
একবার ভাবলাম বাসের নিচে গলাটা দিয়ে দেই। তারপর ভাবলাম, না নামুক কাঁটা। বাংলাদেশ কাদের মোল্লাকে নিয়ে চল্লিশ বছর থাকতে পারলে আমিও একটা কাঁটা নিয়ে থাকতে পারব। জাস্ট কিছু না খেয়ে থাকতে হবে, এই তো।
বাসের ঠাণ্ডা হাওয়া খেতে খেতে বাসায় গেলাম।
দুপুরের জন্য দেখলাম বেশ মজার খাবার রান্না হয়েছে। ঘি দিয়ে গরম ভাত, আলু সেদ্ধ করে চাক চাক করে ভাজা, আর আনারসের চাটনি।
সঙ্গে সঙ্গে মনে পড়ল হুমায়ুন আহমেদের বইয়ে হিমু এগুলো খাইয়েই বাদলের গলার কাঁটা নামিয়েছিল।
বাহ, এতো দেখছি হুমায়ুন আহমেদ পদ্ধতি।
কিসের পদ্ধতি? তোর বাবা বাজার থেকে এমন একটা আলু এনেছে না যায় ভাজা, না যায় সেদ্ধ করা।
বোনের সঙ্গে গল্প করতে করতে খেতে থাকলাম।
হঠাৎ টের পেলাম কাঁটাটা নেমে গেছে।
হোমিওপ্যাথি ফেইল করলেও, হুমায়ুনপ্যাথি পাশ করেছে।
- সমাপ্ত -
-সো
ফুটনোট
(১) এই কনভারসেশনটা সত্যি। স্থানকাল আলাদা, পাত্র বান্দা আমিই।
মন্তব্য
যাক অবশেষে কাঁটা নামল। পায়ের কাঁটা কাশির সাখে বের হওয়া আর চাঁদে সাইদির দেখা পাওয়া একই রকম।
লেখা উমদা হয়েছে।
- সো।
হালকা লেখায় হাসি কুটিপাটি। এমন লেখাই চলুক।
মাঝে মাঝে ছোট কাঁটাও আছে। সেগুল মালয় সুসুক।
--------------------------------------------------
ইচ্ছে মত লিখি
http://icchemotolikhi.blogspot.in/
মালয় সুসুক মানে কি?
-সো।
মালয় দেশের স্বর্ণকাঁটা। রোগ সারাতে কাজে লাগে।
----------------------------
ইচ্ছে মত লিখি
http://icchemotolikhi.blogspot.in/
অসাধারণ লাগলো কাঁটা নামানোর গল্প, বিশেষ করে আপনার গল্প বলার ভঙ্গীটা। পাঠক হিসেবে আপনার কাছে আর অনেক গল্পের প্রত্যাশা জানিয়ে রাখলাম।
অফুরন্ত শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আমি তোমাদের কেউ নই
থাঙ্কু। থাঙ্কু।
হাসির গল্প লিখি কম, চেষ্টা করলাম। মজাই লাগলো।
- সো।
আপনার দুইটা কথা ভাল লেগেছে।
১। গাঁজার খেতে বসে নাটকের গল্প লেখে, আর
২। বাংলাদেশ কাদের মোল্লাকে নিয়ে চল্লিশ বছর থাকতে পারলে আপনিও একটা কাঁটা নিয়ে থাকতে পারবেন।
আপনার লেখাটা এক টানে পড়ে ফেলা গেলো, কার্টুনটাও ভালই হয়েছে। আরোও লেখা দিন
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
আপনার নামের মধ্যে তের কেনো ?
- সো।
সে এক ঘটমা!
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
খাসা হয়েছে!
পরের লেখার অপেক্ষায় থাকলাম।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
আপনার ক্যালিডোস্কোপ ভালো লাগে পড়তে।
- সো।
বাব্বা, এদ্দিনে লেখক-পাঠক সক্কলের গলার কাঁটা নামল! আপনার ‘সোপ্যাথি’ চমৎকার
দেবদ্যুতি
- সো।
চমৎকার লেগেছে।
সুমন কুমার চন্দ
- সো।
হা হা হা। জব্বর!
..................................................................
#Banshibir.
আপনার প্রায় সবগুলা লেখা আমি পড়েছি। বই বের করবেন কবে ?
- সো।
ভালো লেগেছে
- সো।
যাক নামলো তবে কাঁটা। তবে যে পদ্ধতিতে নামলো সেটা একটু খোলাসা করেন।
এই মেন্যুটা কি বাসায় এমনিতে রান্না হইছিল নাকি আপনার গলার জন্য হুমায়ূন পদ্ধতির কারণে রান্না? সেদ্ধ আলু চাক চাক করে ভাজা ব্যাপারটা ট্রাই করবো ভাবতেছি।
লেখার ব্যাপারে দুটো পরামর্শ।
১) আপনি যখন সিরিজ লিখবেন তখন ১, ২ ইত্যাদি দিয়ে শিরোনামে দেবেন। নইলে পাঠক বুঝবে কি করে কোনটা আগে, কোনটা পরে? এখন আপনার দুটো লেখারই শিরোনাম এক হয়ে গেছে।
২) আপনি যদি ছদ্মনামে লিখতে চান পছন্দমতো একটা নাম বেছে নিন। অন্তত একটা শব্দ। এখন আপনার নিকটা বোঝা একটু কঠিন হয়ে গেছে। আমি প্রথমে ভেবেছিলাম ওটা গল্পের একটা অংশ।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
১. আগের গুলোয় দিয়েছি, এবার ভুলে গেছি দিতে।
২. সো -ই তো নিক। পাশে একটা দাড়ি লাগিয়ে দিলাম নাহয়।
- সো।
যাক বাবা কাঁটা নামল অবশেষে ।
দুইটা পর্বই ভালো লেগেছে।
আরো লিখুন।
- সো।
অথঃ কাঁটা সমাচার জম্পেশ হয়েছে। পাঁচ তারা দাগালাম। এই অংশগুলো পড়ে নির্মল আনন্দ পেলুম,
কাঁটা হেরি ক্ষান্ত কেন কলম-তুলিতে
দেখাও দেখি আছে কি কি, তোমার ঝুলিতে!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
কাঁটা হেরি' প্যারোডি ভালা পাইসি।
- সো।
চমৎকার লাগলো কাঁটার গল্প!
আরও আসুক এমন কিছু!
শুভেচ্ছা
মডুর প্রতি অনুরোধ, গল্পের নামটা বদলে কাঁটা নামানোর গল্প - How to swallow a fishbone- (দ্বিতীয় পর্ব) করে দিতে, আর প্রথম লাইনে লিঙ্কটা আসেনি, ওটা ঠিক করে দিতে।
- সো।
অসাধারণ! খুব মজা পেলাম। খুব ভাল আপনার লেখার হাত। খুব অচিরেই আপনি জন প্রিয় লেখক হয়ে যাবেন।
--------------------------------------------------------------------------------
আপনার মুখে ফুল-চন্দন পড়ুক।
- সো।
কাঁটা থেকে যদি এমন দারুণ লেখা হয় তাহলে কাঁটাই ভালো।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
হ। নিজের হইলে বুঝ্তেন।
- সো।
- সো।
রম্য ভাল হয়েছে।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
-সো।
মজারু যথারীতি। রহিমার মা রাতে মশলা বাটে কেনু?
নিয়মিত বিরতিতে আরো লেখুন সো।
লেখা খুবই মজারু হইসে। সকালে হেল্পিং হ্যান্ড না আসার কষ্ট ভুলবার মতো মজারু। নিয়মিত লিখুন।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
হেল্পিং হ্যান্ড না আসলেই তো শান্তি।
বেতাল মজা!
আমারও বহুত দিন আগে এরাম একবার হইছিল।
তাই কাঁটা নামানোর গল্প পড়তে পড়তে সেই পুরাণ স্মৃতি মনে পইরা একেবারে গায়ে কাঁটা দেতেছেলো।
তাই গায়ে কাঁটা দেওয়া এমুন গল্পের পিতীক্ষায় থাকলেম
গৌতম হালদার
এসব ছোট খাটো কাঁটা এমনিতেই বের হয়ে আসে। শুধু ইলফ্লামেশনের জন্য একটু সময় নেয়। তবে এই একটু পর যেটা বের হয় না সেটা আসলে গরম ভাত দিয়েও কাজ হয় না।
লেখাটা ভালো হইছে।
নতুন মন্তব্য করুন