প্রতিবার বুয়েটে পরীক্ষা পেছানোর আড়ালের কারণগুলো

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৫/০৬/২০১৫ - ৯:১৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আবারো বুয়েটে পরীক্ষা পেছানো দেখে অনেক বছর আগের একটা ঘটনা মনে পরল। একটা কোচিং এর মালিককে আমি দেখেছিলাম বুয়েটের ছাত্রনেতাদের প্রভাবিত করে পরীক্ষা পেছানোর আন্দোলন শুরু করাতে। এই প্রভাবিত করার আড়ালে টাকা-পয়সারও লেনদেন হয়েছিল কিনা সেটা অবশ্য আমি জানি না।

ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি কোচিংগুলোতে টিচার হিসেবে ক্লাস নেন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া ছাত্ররা, আরও ভালো করে বললে মূলত বুয়েটিনরা। বুয়েটে পরীক্ষা চললে এই কোচিংগুলো প্রায় অচল হয়ে পড়ার মত অবস্থা হয়। কারণ বুয়েটে সব ডিপার্টমেন্টের আর সব ব্যাচের পরীক্ষা একই সময়ে হয়। এই বছর ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি কোচিংগুলোতে ক্লাস শুরু হয়েছে সম্ভবত ২৩/২৪ তারিখে আর পরীক্ষার তারিখ পরেছিল সম্ভবত ২৮/২৯ তারিখের দিকে। ব্যাপারটা সন্দেহজনক।

শুধু কোচিংগুলোর ইনফ্লুয়েন্সই না, বুয়েটের ছাত্রদের একটা বড় অংশই ভর্তি পরীক্ষার সময়কালে টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা দিতে পছন্দ করেন না। কারণ প্রাইভেট পড়ানোর সুযোগ হাতছাড়া হয়।

রোযার কারণে পরীক্ষা পেছানোর অযুহাত খুবই লেইম অযুহাত, এই যুক্তি মানলে তো বাংলাদেশের সব অফিস আদালত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানই বন্ধ করে দিতে হয়।

ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় দেখেছি, তুলনামূলকভাবে 'সিরিয়াস ছাত্ররা' বেশী ভর্তি হচ্ছে বুয়েটে। ব্যাপারটা এমন না কুয়েট, রুয়েট চুয়েটে সিরিয়াসরা ভর্তি হয় না। তবে এভেরেজ করলে সম্ভবত বেশী থাকে বুয়েটেই।এখানে 'মেধাবী ছাত্ররা' শব্দটা ব্যবহার করতে আমার আপত্তি আছে। কারণ মেধা মাপার মত কোনও মানদন্ড আছে কিনা আমার জানা নেই। অথচ এই সিরিয়াস ছাত্ররাই ভর্তি হয়ে যাবার পরে সারা সেমিস্টার পড়াশোনা করে না, প্রাইভেট পড়িয়ে টাকা কামায়, আর আড্ডা ও খাওয়া দাওয়ায় সেই টাকাগুলো উড়ায়। তারপর পরীক্ষা পেছানোর আন্দোলনে নামে। কারণ সময়মত পরীক্ষা হলে বুয়েটিয়ানদের ফেল করার (ল্যাগ/ব্যাকলগ) সম্ভাবনা বেড়ে যায় অনেক!

প্রায় এক যুগের উপর ধরে কুয়েট, রুয়েট, চুয়েট সিমেস্টারের পরীক্ষা না পিছিয়ে চলতে পারলে বুয়েট কেনও কখনোই পারে না? ১৫ রোযা পর্যন্ত কার্যক্রম চলে প্রায় সবখানেই, কিন্তু বুয়েট কেনও পারে না? প্রাইভেট ভার্সিটিগুলোতে ক্লাস চলে প্রায় ২৫ রোযা পর্যন্ত কিন্তু বুয়েট কেনও পারে না? ভালো ছাত্র ভর্তি হওয়া মানেই ভালো প্রতিষ্ঠান না, প্রতিষ্ঠান হিসেবে বুয়েট এই দিক থেকে কুয়েট, রুয়েট, চুয়েট থেকে পিছিয়ে পরেছে।

পুনশ্চঃ ছাত্রবস্থায় এই ভুলগুলো আমিও করেছি, কোচিং এ হাজারো ক্লাস আর প্রচুর ছাত্র পড়িয়ে মজা পেয়েছি, টাকাও কামিয়েছি। ম্যাথের এলিমেন্টারি জিনিশগুলো বারবার পড়িয়ে নিজের সময় নষ্ট করেছি। সাথে একাডেমিক পড়াশোনা ক্ষতিগ্রস্থ করেছি। যাই হোক, আমার কথা হচ্ছে, ছাত্ররা ভুল করলেও বুয়েটের শিক্ষকরা কেনও বছর বছর ধরে একই ভুল করবেন? তারা কেনও একাডেমিক ক্যালেন্ডার ঠিক রেখে চলতে বাধ্য করবেন না?

বিনীত - আহমদ রনি।


মন্তব্য

ফাহিম এর ছবি

তীব্রতম ভাষায় এই অতি-সরলীকৃত লেখাটির নিন্দা জানাচ্ছি। এই বিশেষ সময়ে এই ধরণের লেখা বুয়েটের ছাত্র-ছাত্রীদের সম্পর্কে মানুষের মনে সম্পূর্ণ ভুল ধারণার জন্ম দেবে।

অবশ্যই কিছু ছাত্র কোচিং ব্যবসায়ের সাথে জড়িত। কিন্তু ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে জানি, তারা কোনও ভাবেই "বুয়েটের একটা বড় অংশ" না। বুয়েটের বেশিরভাগ ছাত্রই চায় সময় মতই পরীক্ষা দিতে, যারা চায় না, তাদের মধ্যে বড় অংশ অন্য কারণে চায় না, এর মধ্যে আছে সেমিস্টারের একদম শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন প্রজেক্ট, ল্যাবের চাপ। ১৪ সপ্তাহের সেমিস্টারের শেষে অনেকেই প্রচণ্ড ক্লান্ত হয়ে যায়। ৩/৪ ক্রেডিটের ২টা বা ৩টা পরীক্ষার সিলেবাস অনেক সময় এতই বড় থাকে যে ছেলে-পেলে ভয়েই টেবিলের ধারে কাছে যায় না কিছুদিন। অন্য অনেক কারণ থাকতে পারে, কিন্তু টিউশনি কোনভাবেই পরীক্ষা পেছানোর কারণ নয়।

তাই বলে আমি পরীক্ষা পেছানোর জন্য বুয়েট ভাংচুর করার সমর্থন করছি না। এই কাজ যারা করেছে, তাদেরকে ভ্যান্ডালিজমের দায়ে আইনের আওতায় আনা উচিত।

উদ্দেশ্য-প্রণোদিত এই লেখাটির আবারও নিন্দা জানাচ্ছি।

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

সজল এর ছবি

লেখাটা সরলীকৃত, একমত। কিন্তু তাই বলে এইটা কারণ?

১৪ সপ্তাহের সেমিস্টারের শেষে অনেকেই প্রচণ্ড ক্লান্ত হয়ে যায়। ৩/৪ ক্রেডিটের ২টা বা ৩টা পরীক্ষার সিলেবাস অনেক সময় এতই বড় থাকে যে ছেলে-পেলে ভয়েই টেবিলের ধারে কাছে যায় না কিছুদিন।

বাংলাদেশ বা দুনিয়ার আর কেউ ১৪ সপ্তাহ ক্লাস করে পরীক্ষা দেয় না? আর কারো প্রজেক্ট বা ল্যাবের চাপ থাকে না? আর কারো সিলেবাস বড় হয় না?

বছরে দুইটা সেমিস্টার শেষ করে না বুয়েট বেশিরভাগ বছরই। ৫২ সপ্তাহের মাঝে ২৮ সপ্তাহের কম ক্লাস করেই এত ক্লান্ত? কিন্ডারগার্টেনের বাচ্চারাও এই অজুহাত দিতে লজ্জা পাবে।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

ফাহিম এর ছবি

বাংলাদেশ বা দুনিয়ার আর কেউ ১৪ সপ্তাহ ক্লাস করে পরীক্ষা দেয় না? আর কারো প্রজেক্ট বা ল্যাবের চাপ থাকে না? আর কারো সিলেবাস বড় হয় না?

এটা আমি কখন বললাম, আর কেউ ১৪ সপ্তাহ ক্লাস করে পরীক্ষা দেয় না বা আর কারও সিলেবাস বড় থাকে না? অদ্ভুত তো!

আমি তো পরিস্কার ভাষায় বললাম, পরীক্ষা পেছাতে চাওয়ার বা ভয় পাওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে, তার মধ্যে সেমিস্টারের শেষ দিন পর্যন্ত প্রোজেক্ট / ল্যাবের চাপ একটা কারণ হতে পারে। কিন্তু আমার মূল বক্তব্য হচ্ছে, টিউশনি কখনই পরীক্ষা পেছাতে চাওয়ার মূল কারণ নয়, যেটা লেখক এই লেখায় দাবি করছেন।

বছরে দুইটা সেমিস্টার শেষ করে না বুয়েট বেশিরভাগ বছরই। ৫২ সপ্তাহের মাঝে ২৮ সপ্তাহের কম ক্লাস করেই এত ক্লান্ত? কিন্ডারগার্টেনের বাচ্চারাও এই অজুহাত দিতে লজ্জা পাবে।

অবশ্যই এই অজুহাত লজ্জাজনক। পরীক্ষা পেছাতে চাওয়ার যেকোনো অজুহাতই লজ্জাজনক। ঠিক সময়ে ঠিক কাজ করে আগাতে থাকলে ৩ সপ্তাহের পি.এলের মধ্যে প্রিপারেশান নিয়ে পরীক্ষা দেয়া ভালোভাবেই সম্ভব।

কিন্তু এটা আমার পয়েন্ট না। আমি প্রশ্ন তুলেছি লেখকের উদ্দেশ্য নিয়ে, কারণ তিনি ঠিক এই সময়টাতে এই রকম একটা ঢালাও অভিযোগ করে (যার সত্যের অপলাপ মাত্র) কী উদ্দেশ্য হাসিল করতে চাইছেন?

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

সজল এর ছবি

সহজ ভাষা শিক্ষাঃ
১। কোটের ভিতরে থাকলে কিংবা এক্স বলেছে দিয়ে শুরু করলে সেটা অন্যের বক্তব্য।
২। কিছু বক্তব্য অন্য বক্তব্যের ইমপ্লিকেশন। যেমন কেউ যদি বলে "আমি আজকে দুই ঘণ্টা কাজ করছি, তাই আমি দুনিয়ার সেরা কর্মী", তখন এই প্রশ্ন চলে আসে যে দুনিয়ার আর কেউ কি দুই ঘণ্টা কাজ করে না? এটা সাধারণ ভাষারীতি।

টিউশনি অবশ্যই একমাত্র কারণ না, এবং মনে হয় খুব বড় কারণও না। তাড়াতাড়ি পাশ করলে যে আয় হবে এবং প্রতিষ্ঠা পাওয়া যাবে, টিউশনির সুযোগ ব্যয় হিসাবে সেটা অনেক বেশি। অর্থনৈতিক কারণেই তাই টিউশনি পরীক্ষা পেছানোর জন্য সব চেয়ে বড় কারণ হতে পারে না। সেই হিসাবে এই লেখাটা আমার কাছে অতি সরলীকৃত মনে হয়েছে।

আপনার কাছে সরলীকরণ মনে হয়েছে, কিন্তু সেটার রিবাটাল করতে গিয়ে আপনার নিজের ভাষায় লজ্জাজনক একটা খোঁড়া যুক্তি দিলেন। আর লেখকের উদ্দেশ্য নিয়ে এত চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। বরং দেশের "সেরা" মেধাবীদের উদ্দেশ্য কিংবা মানসিক অপরিপক্বতা কিংবা হঠকারিতা নিয়ে চিন্তা করুন, সেটাই বেশি ফলপ্রসূ হবে।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

অতিথি লেখক এর ছবি

কারো বুয়েটানুভূতিতে আঘাত লাগলে কিছু করার নেই।

১/ শুধু কোচিং ব্যবসা না, ব্যক্তিগতভাবে বাসায় যেয়ে ছাত্র পড়ানোকে হিসেবে ধরেই বলা হয়েছে বুয়েট ছাত্রদের একটা 'বড় অংশ' এসবের সাথে যুক্ত।

২/ আসলেই সরলীকরণ। কারণ আরও কয়েকটা পয়েন্ট আছে যেগুলো এখানে লেখা হয়নিঃ অত্যধিক সিনেমা আর সিরিয়াল দেখা, ল্যানে দিনরাত গেইম খেলা, রাত জেগে মনের মানুষের সাথে কথা বলা।

৩/ আপনি ভাংচুরকে সমর্থন দেননি ঠিকই কিন্তু পরীক্ষা পেছানোর এমন ফালতু দাবীকে সমর্থন দিয়েছেন কয়েকটা হাস্যকর বক্তব্যে।

১৪ সপ্তাহের সেমিস্টারের শেষে অনেকেই প্রচণ্ড ক্লান্ত হয়ে যায়।

দুনিয়াতে কি শুধু বুয়েটেই পড়াশোনা হয়, আর কোথাও হয় না? বুয়েটের ছাত্রদের একটা বড় অংশ প্রতিবছর মাস্টার্স, পিএইচডি করতে বিশ্বের অসংখ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে যায়, তারা কি সেখানে যেয়েও রোজার মাসে পরীক্ষা পেছানোর আন্দোলন করে? তারা কি সেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার চাপে ক্লান্ত হয়ে পরীক্ষা পেছানোর আন্দোলন করে?

৩/৪ ক্রেডিটের ২টা বা ৩টা পরীক্ষার সিলেবাস অনেক সময় এতই বড় থাকে যে ছেলে-পেলে ভয়েই টেবিলের ধারে কাছে যায় না কিছুদিন।

পড়াশোনাকে এত ভয় পেলে তো উচ্চশিক্ষায় ভর্তি হওয়াই ঠিক না।

-আহমদ রনি

ফাহিম এর ছবি

আপনি কি পাগল নাকি? আমি কী বলছি, আর আপনি কী বুঝছেন? কিসের বুয়েটানুভূতি? উল্টাপাল্টা কথার প্রতিবাদ করলেই বুয়েটানুভূতি হয়ে গেল নাকি?

আপনার লেখা পড়লে যে কারও মাথায় এই ছবিটা আসবে, বুয়েটের ছেলেপেলে সব কোচিং ব্যবসায়ী, কোচিং এর সিজনে ব্যবসা করার জন্য ভাংচুর করে বুয়েট বন্ধ করে দিসে। এরা সারাদিন কোনও পড়ালেখা করেনা, সিনেমা আর সিরিয়াল দেখে আর গেম খেলে আর প্রেম করে। যেখানে বাস্তবতা মোটেও এরকম নয়। কয়েকজনকে দেখে সবার উপরে এধরনের উদ্ভট ছবি চাপিয়ে দেয়া হয়েছে এই লেখায়। এটা অত্যন্ত গর্হিত কাজ। কয়জন বুয়েটিয়ান কে চেনেন আপনি?

মোটেও আমি পরীক্ষা পেছানোকে সমর্থন দেই নি, আমি উল্লেখ করেছি সেমিস্টার শেষের ক্লান্তি অনেকগুলো কারণের মাঝে একটা হতে পারে। পরীক্ষা পেছানো, বা ভাংচুরের মত ঘটনাগুলোকে মোটেও এত সরলভাবে কোনো একটা ইস্যুর উপর নিয়ে ফেলা যায় না। যাদেরকে আজকে কোচিং ব্যবসায়ী, গেমখোর, সিরিয়ালখোর বলে গালাগালি করছেন, এই ছেলেপেলেরাই আগের সেমিস্টারগুলোতে সময়মতই পরীক্ষা দিয়েছে।

দুনিয়ার আর কোথাও পড়াশুনার কথা আগের কমেন্টে বলেছি, পড়ে নিন।

আর উল্টাপাল্টা লেখার আগে, বা কারও কমেন্টে লাফায় এসে "বুয়েটানুভূতি" ট্যাগ করার আগে একবার অন্তত পড়ে নিয়েন, কী বলার চেষ্টা করা হইসে। সবসময় যে সব কথা বুঝতে পারবেন, এমনটা কেউ আশা করে না, কোনো কিছু না বুঝলে জিজ্ঞাস করে নিয়েন অন্তত। যত্তসব!

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

হাসিব এর ছবি

তারা যে বড় অংশ না সেইটা প্রমানের দায়িত্ব যারা বড় অংশ বলে নিজেদের দাবি করে তাদের। সেইরকম প্রমানের চেষ্টা চোখে পড়ে না কেন? এই নিয়ে তাদের কোন রাজনৈতিক পদক্ষেপও নেই।

ফাহিম এর ছবি

ছাত্রছাত্রীদের মেজরিটি অংশই সংগঠিত নয়। এটা একটা কারণ হতে পারে।

সহজ একটা হিসাব দেই, বুয়েটের সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে কত শতাংশ হলে থাকে? হলে যারা থাকে, তাদের মধ্যে কত শতাংশ মিছিল করেছে? মিছিল যারা করেছে, তাদের মধ্যে কত শতাংশ ভাংচুরে জড়িত ছিল? ঠিক মত খবর নিলে দেখা যাবে, অত্যন্ত নগণ্য অংশ। কিন্তু এরা সংগঠিত। প্ল্যান করে ভাংচুরের ঘটনাগুলা এরাই ঘটায়। আর এর ফল ভুগতে হয় বাকি সবার। কিন্তু বাকিরে সংগঠিত নয় বলে তাদের কাজ কম ফেসবুকেই সীমাবদ্ধ থাকে।

আর রাজনৈতিক পদক্ষেপ? ওই ইন্সটিটিউশান পঁচতে কিছু বাকি আছে কি?

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

এই অসংগঠিত (পড়ুন অনিচ্ছুক) মেজরিটি কি অনন্তকাল থেকে যাবে?

নগন্য অংশ শব্দদুটো পড়ে কেন জানি মুখফোড়ের ১% মনে পড়ে গেল!

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

হো হো হো

আল আমীন এর ছবি

পরীক্ষার ব্যাপারে ছাত্রদের আবদার আমলে না নেওয়া ই মনে হয় ভাল। কারন এই বুয়েট থেকে আসা ছাত্ররাই কিন্ত আমেরিকা তে এসে ক্ষেত্রবিশেষ এক দিনে ৩ টা সেমিসটার ফাইনাল দিচ্ছেন!

অতিথি লেখক এর ছবি

পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

-সো।

মরুদ্যান এর ছবি

চৌদ্রিপাড়া নিয়া পোস্ট দেখলে আজকাল বিরক্ত লাগে!

হলে থাকতাম না, বাসায় থাকতাম। রেগুলার পড়াশুনা করিনাই, তাই পরীক্ষা পিছাইলে অখুশি হইতাম না। সোজা কথায় ক্লাসের বেশিরভাগ রেই দেখসি পিছাইলে খুশি হইতে, মৌন সমর্থন ছিল।

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া একজন শিক্ষার্থীর পেছনে রাষ্ট্র প্রতি বছর কত টাকা ব্যয় করে তার খবর কি সেই শিক্ষার্থী রাখে? সে কি জানে ঐ টাকাটা কোথা থেকে আসে? তার কি ধারণা আছে এই মানের একটা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গেলে তাকে প্রতি কোর্সের জন্য কত টাকা করে গুনতে হতো? নিজেদেরকে জ্ঞানী, মেধাবী, শিক্ষিত, সংস্কৃত বলে জাহির করবে আর এই ভাবনাগুলো ভাববে না তা কি করে হয়! এদের নূন্যতম লজ্জাবোধ থাকলে এরা বিশ্বকাপ ফুটবল দেখা বা রমজান মাসের দোহাই দিয়ে পরীক্ষা পেছানো বা ক্লাস বন্ধ করতে পারতো না। যারা অতীতের দোহাই দেয় তারা কি নিজেদের জীবনযাত্রাকে অতীতে ফেলে রেখেছে? যদি তা না রেখে থাকে তাহলে তারা বাতিলদের মতো আচরণ করবে কেন?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এক কালে সেশন জটের জন্য কুখ্যাত ছিল। আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশিরভাগ বিভাগ সেই অভিশাপ দূর করে ফেলেছে। সদিচ্ছা থাকলে সেশন জট দূর করা কোন ব্যাপার নয়।

যারা বারফট্টাই করে অভ্যস্ত তারা বাস্তবের কাজের দুনিয়া সম্পর্কে কোন খোঁজ রাখে না। তাদের সেই খোঁজ থাকলে তারা দেখতে পেত দুনিয়া তো দূরে থাক, দেশেও ক্ষমতা, উচ্চপদ, ব্যবসায়িক উদ্যোগ, প্রশাসন, নীতিনির্ধারণ কোথাওই চদ্রিপাড়ার বেইল নাই।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি

যারা বারফট্টাই করে অভ্যস্ত তারা বাস্তবের কাজের দুনিয়া সম্পর্কে কোন খোঁজ রাখে না। তাদের সেই খোঁজ থাকলে তারা দেখতে পেত দুনিয়া তো দূরে থাক, দেশেও ক্ষমতা, উচ্চপদ, ব্যবসায়িক উদ্যোগ, প্রশাসন, নীতিনির্ধারণ কোথাওই চদ্রিপাড়ার বেইল নাই।

গুল্লি

মরুদ্যান এর ছবি

চলুক চলুক চলুক ফর পাণ্ডব দা!

নিজের আবাল ছিলাম তাই এই ভুল করসি, জুনিয়রদের বললে উলটা অপমান করতে আসে, তাই বাদ্দিসি। নিজের ভাল নিজে না বুঝলে আমাদের কি?

চোদ্রি পাড়া যেভাবে স্ব-লেহনে নিমজ্জিত, পতনের বেশি দেরি নাই।

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।