২০১৫ সালের কলেজ ভর্তির ডিজিটাল সিস্টেম

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ২৭/০৬/২০১৫ - ২:৪৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এবার কলেজ ভর্তি প্রক্রিয়া আগের চেয়ে সহজে করানোর জন্যে অনলাইনে আবেদন ও টেলিটক মোবাইলের মাধ্যমে ফি প্রদান ব্যাবস্থা করে হয়েছিল। সেই জন্যে আলাদা একটি ওয়েবসাইট ( http://www.xiclassadmission.gov.bd/ ) বানানো হয়েছে। কিন্তু শুরু থেকেই নানা রকম সমস্যায় জর্জরিত ছিল এই ওয়েবসাইট। হয়ত সময় স্বল্পতার কারণে এভাবে কোন পরিকল্পনা ছাড়াই ওয়েবসাইটটি পাবলিশ করা হয়েছে। কিন্তু এভাবে তাড়াহুড়া করতে গিয়ে সারাদেশের এতো ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের অনেক ঝামেলার সম্মুখীন হতে হয়েছে।

বলে শেষ করা যাবেনা কত রকমের সমস্যা ছিল এবং এখনও আছে এই ওয়েবসাইটে। আমি পয়েন্ট আকারে সেগুলো সংক্ষেপে উল্লেখ করছি।
১) শুরুতে যে কেউ শুধুমাত্র এসএসসি রোল,পাসের বছর আর বোর্ডের নাম দিয়ে যে কারো আবেদন দেশের যেকোনো কলেজে করে দিতে পারত। পরবর্তীতে সেখানে রেজিস্ট্রেশন নাম্বার যোগ করা হয়েছিল।
২) ব্যাপারটা খুবি ভয়ানক যখন আপনি নিজে আবেদন করতে গিয়ে জানতে পারবেন অন্য কেউ আগেই আবেদন করে দিয়েছে এবং সেটা সংশোধন করার জন্যে আপনাকে বোর্ডে গিয়ে আবেদন করতে হবে।
৩) একই ভাবে আবেদন করার পর যে কারো আইডি ও পাসওয়ার্ড তার এসএসসি রোল দিয়ে খুব সহজেই যে কেউ জেনে নিতে পারে এবং ওয়েবসাইটে লগিন করে তার চয়েস লিস্টের কলেজ ক্রম (Priority Order) পরিবর্তন করে দিতে পারে। পরবর্তীতে সেখানে মোবাইল নাম্বার দেয়া লাগতো।
৪) এই ওয়েবসাইটে সবচেয়ে কঠিন কাজ হল আইডি ও পাস দিয়ে লগিন করা। হাজারবার লগিন বাটনে ক্লিক করেও আবার একই পেজে নিয়ে আসে।
৫) আবার অনেক চেষ্টা করার পর আপনি লগিন করতে পারলেও সেখানে শুধুমাত্র কলেজ ক্রম (Priority Order) পরিবর্তন ছাড়া আর কিছুই করতে পারবেন না। অর্থাৎ আপনি যদি ভুলে একটি কলেজ চয়ন করে আপনার আবেদন করে ফেলেন সেক্ষেত্রে কোন উপায় নেই লগিন করে দ্বিতীয় কোন কলেজ চয়েস করার। তারপর সেই একটি কলেজ এর জন্যেই আপনাকে ১৫০ টাকা এসএমএস এর মাধ্যমে প্রদান করতে হবে। যেখানে ১৫০টাকা দিয়ে আপনি সর্বাধিক ৫ট কলেজে আবেদন করতে পারতেন। পরবর্তীতে এসএমএস এর মাধ্যমে অন্যান্য কলেজে আবেদনের জন্যে প্রতিবার ১২০টাকা করে লাগবে।
৬) এবং সবশেষে দেখুন নিচের স্ক্রিনশটটি। যেখানে লগিন বাটনকে টেক্সট বাটনে রুপান্তর করে দেয়া হয়েছে।

উপরের সমস্যাগুলো শুধুমাত্র ওয়েবসাইটে আসল কাজ করতে গেলে আপনি উপলব্ধি করবেন। কিন্তু এরপরেও শুরু থেকে ওয়েবসাইটের ডিজাইন, বিভিন্ন নোটিশ প্রদান, বিভিন্ন বাটনের অকার্যকারিতা সহ অনভিজ্ঞতার ছোঁয়া ওয়েবসাইটের প্রতিটি অংশে।

সারা দেশের লাখ লাখ শিক্ষার্থী এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করেছে। সেখানে এই ওয়েবসাইটে এমন সব সমস্যায় জর্জরিত থাকা উচিৎ নয়।

(ব্লগ লিখার অভ্যাস আমার নেই। ওমর শিহাব ভাইয়ের অনুপ্রেরণায় এটাই প্রথম লিখা। যাবতীয় ভুল ত্রুতি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। )

ছবি: 
24/08/2007 - 2:03পূর্বাহ্ন

মন্তব্য

শেহাব এর ছবি

ধন্যবাদ। এর পরের কাজ হল বুয়েটে গিয়ে খবর নেয়া ওদের ডিজাইনে কোন সমস্যা ছিল কিনা।

মরুদ্যান এর ছবি

নতুন সিস্টেমে কি কোন ভর্তি পরীক্ষা নাই? কিভাবে কাজ করবে ভর্তির বিষয়টা?

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

তিথীডোর এর ছবি

২৫ তারিখ রাত ১২টায় রেজাল্ট দেওয়ার কথা ছিলো। এরপর বলা হলো ২৬ তারিখ রাতের কথা।
পরের খবর ২৭ জুন সকাল আটটায় ফলাফল দেখা যাবে।

৯.৩৮ বাজে, এখনো ওয়েবসাইটে অ্যাপ্লিক্যান্ট লগিন করা যাচ্ছে না।

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

মন্ত্রণালয় টেন্ডার আহ্বান করে এসব কাজ করায়। টেন্ডার কারা কীভাবে পায় সেই সব গল্প করা অর্থহীন, কারণ এগুলো কোনদিন পাল্টাবে না। তবে ওয়েবসাইট বানানোর পর সেটার কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখার দায়িত্ব যারা কাজ দিয়েছেন তাদেরই। হয় তারা সেটা পরীক্ষা করে দেখেননি, অথবা সেটা পরীক্ষা করে দেখার যোগ্যতা তাদের নেই। দুটোই অপরাধ। গত ৪৪ বছর ধরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষা ব্যবস্থার নানা বিষয় নিয়ে যেসব পরীক্ষা নীরিক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে সেগুলোর বিস্তারিত লিখতে গেলে বাল্মীকি আর ব্যাসদেব দুইজনকে একসাথে হায়ার করতে হবে। যে সব পরীক্ষা ফেইল করলো তার জন্য তো কাউকে শাস্তি পেতে হয় না, তাই আরো নতুন নতুন পরীক্ষা নীরিক্ষা চলতে থাকে। বাঁশ যা খাবার সেটা শিক্ষার্থী, তাদের অভিভাবক আর শিক্ষকরা খান - তাতে কার কী যায় আসে!


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

শিক্ষা মন্ত্রণালয়, এটুআই,জুনাইদ পলক এরা সবাই কই?

রাজর্ষি

তিথীডোর এর ছবি

সবাই এখানে।

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতিথি লেখক এর ছবি

খুব মুশকিল, কাজিনের দরখাস্ত এডিট করতে গিয়ে যা ঝামেলায় পরেছিলাম, দুঃস্বপ্ন পুরা... এখন একটু ঢুঁ মারতে গেলাম, ঢুকতেই পারছি না।

দেবদ্যুতি

ব্লগার মারুফ এর ছবি

ডিজিটাল করবে সাধুবাদ! কিন্তু সেটা যেন হয়রানির পর্যায়ে না যায় সেটার জন্য কোমড় বেধে নামাও উচিৎ সরকারের। এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।
ধন্যবাদ শেয়ারের জন্য
ধন্যবাদান্তে,
ব্লগার মারুফ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।