বাংলাদেশ ক্রিকেটদল, আমার প্রজেক্ট ও তদসম্পর্কীয়

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ১৩/০৭/২০১৫ - ৯:৩৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি যে প্রজেক্টে কাজ করছি সেখানের ক্লায়েন্ট সাইড প্যাকেজ ইঞ্জিনিয়ার অজি। বিশ্বকাপের আগে কইল, কি মিয়া খেলা আছে ত তোমাগ লগে, ঠেলা সাম্লাইতে পারবা, (I think we’ve got a game in the world cup with you guys, do you think you will be able to handle us mate?)
আমি কইলাম, মিয়া ফাল কম পার, খেলার পরে দেখা কইর। (I can tell you the result only after the game, make sure you catch up with me after the game)
খেলা ত হইল না, বাতচিত ও সেখানেই খতম।

আমার সিনিয়র প্রজেক্ট ম্যানেজার পম (ব্রিটিশ), তুখখার লোক- খালি মদটা বেশী খায়। সে মোটামুটি বিশ্বকাপের সুখস্বপ্নে বিভোর – মোটামুটি সিউর যে তারা বিশ্বকাপ জিতবই। আমি কইলাম আগে গ্রুপ পর্ব পাড়ি দিয়া লও। সে কয়, লাগবা বাজি? আমরা বিশ্বকাপ জিতুম। আমি ত হাইসা খুন।
কইলাম, না। এইটা সস্তা বজিগরের খেইল- আমি সস্তা বাজিগর না। তোমার চান্স ১ঃ১০০। এরচে বাজি লাগ বাংলাদেশ তোমগরে হারায়া দিব। সে হাত বাড়ায়া দিল- বাজি সম্মত হইলে হাত মুসাফা করার নিয়ম। ১ কার্টন বাজি, কিসের কার্টন এইডা জিগায়েন না।
জিতলাম, মাগার কার্টন পাইলাম না। জিগাইলে কয়, খেলা নিয়া কোন কথা নাই তোমার লগে। যাউকগা হালারা এই উপমহাদেশের জিনিস লুট কইরা ক্যাম্নে সাম্রাজ্য গড়ছে মালুম হইল।

ইন্ডিয়ার লগে কোয়ার্টার ফাইনাল- ক্লায়েন্টের সিনিয়র এরিয়া ম্যানেজার ভারতীয়। অতি অমায়িক ভদ্রলোক-কুল ডুড। আমাদের প্রজেক্টের সব কিছু তার হাতে-মায় ভবিষ্যৎ প্রজেক্ট পর্যন্ত। সে কইল, তোমরা নাকি বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতাছ? মেজায় এম্ন খারাপ হইল, আরে ব্যাটা---------(অপ্রকাশ্য)।
যাই হোক কইলাম বাংলাদেশ ত খেলবনা। সে জিগাইল, কেন ইন্ডিয়ারে দেইখা ডরাইছি কিনা?
-তাইলে ত তুমি জানই- ইন্ডিয়ার লগে খেলা, নটিগিরি না করলেও পারতা (Well you then already know the QF is with India, you are just taking piss outta me!)। খেলুম না কেন, খেলুম- মজা করলাম। তয় খেলার পরে দেখা যাইব, মজাটা কার থাকে।
মস্তানি কামে লাগল না। বিতর্কিত ম্যাচ হাইরা গেলাম। সে সাইটে খুবই কম আসে- দেখা হইল এক সপ্তা পর।
-কি হে বঙ্গ শার্দুল, হাইরা ত গেলা।
-চুরি না করলে জিততাম বিলক্ষণ।
-ধুর ধুর, এত্ত রানে হাইরা অজুহাত দিওনা। খেলার চেতনা, স্পোর্ট্ম্যানশিপ ব্লা ব্লা ব্লা......।

পাকি গো লগে খেলা, কিন্তু পাকি কাউরে চিনিনা। প্রথম ম্যাচ জিতার পরে একজন বাইর হইল। আমাদের কোম্পানিতেই কাজ করে। কইলাম, দিলাম ত।
সে কইল, এই রকম হয়। সিরিজ জিতার পারবানা। সিরিজ জিতার পর কইল, এ খেলতে পারে নাই, ও অবসর নিছে, অর আঙ্গুল ব্যথা, কারো বা পায়ে।
আমি কইলাম ধুর হালা- ওয়াশ ঠেকা।
ওয়াশ দেয়ার পর কথা কওয়ার আগ্রহ পাইলাম না। ছাগল প্রধান দেশের লোকজন ইন্টেলেকচুয়াল জিনিস বুঝে কম।

খেলা ভারতের লগে- আমাদের ক্লায়েন্টের এরিয়া ম্যানেজারের খুশীতে দাত বাইর হইয়া আসিল। আমি কইলাম মিয়া এত হাইস না- চুরির ম্যাচ জিতা এত্ত তাফালিং শোভে না দাদা।
--ধুর ধুর, এত্ত রানে হাইরা অজুহাত দিওনা। খেলার চেতনা, স্পোর্ট্ম্যানশিপ ব্লা ব্লা ব্লা......।
কইলাম, এইবার টের টা পাইবা সোনাধন, যাইতাছ মিরপুরে, আমাগো কিউরেটর ও এই পিচ ভালা পড়তে পারে না, প্লেয়ারদের কথা ত বাদই দিলাম।
সে কইল, লাগবা বাজি ৩-০ তে হারামু তোমাগরে।
মেজাজটাই বিলা হইয়া গেল।
-আরে থোও মিয়া আমরাই বরং ৩-০ তে হারামু তোমাগ। বাজি কি হেইডা কও।
স্থির হইল, ভারত ৩-০ তে জিতলে অদের পুরা প্রজেক্ট টিমরে খাওয়ামু আমি। বাংলাদেশ জিতলে সে। পুরা ৩০০ ডলারের ধাক্কা।
আমি কন্ট্রাক্টরের ইঞ্জিনিয়ার কইলাম, কর্মপরিধি শুন্যতা (scope gap) রইয়া গেল যে। ২-১, ১-০ বা ১-১ হইলে কি হইব।
সে কইল কোন চান্স নাই। বেশী ঘাটাইতে সাহস পাইলাম না। কিন্তু মেজাজটা বিলা-ই রইয়া গেল।
সেই মেজাজ ভাল হইল প্রথম ম্যাচ জিতা। আরো বেশী মজা পাইলাম কোলকাতা (লুল) বাসরীয় পদ্মাদূরপারের বাংলা পত্রিকা পড়িয়া।

এইখানে বলিয়া যাই পাকিদের হারানোর পরে পাকিদেশীয় তেমন কাউরে চিনিনা বিধায় পাক টিভিতে (অনুষ্ঠানের নামঃ Yeah Hein Cricket Deewangi) জনৈক ডাক্তার-খাড়ান নাম মনে পড়ছে ড, নউমান নিয়াজ, মোহাম্মদ ওয়াসিম ও মোহাম্মদ ইউসুফ এর আহাজারি দেইখা নিস্তরঙগ জীবনে ভালই বিনোদন পাইতেছিলাম। আগে রমিজ রাজা- মোহাম্মদ ইউসুফ রা গালি দিলেও বাংলাদেশী ক্রিকেটার রা মুখ বুজিয়া সহ্য করিয়া লইত, এখন সাকিব কেন ওয়াহাব রিয়াজকে ফাক অফ বলিয়া বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাইবার সাহস পাইতেছে এইসব গভীর জ্ঞানের পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনা। মোটকথা পাকি কাউরে খোঁচানোর জরুরত বোধ করি নাই।

যাই হোক কলকাতা পত্রিকায় ফিরিয়া আসি। তেনাদের লেখা পড়লে মনে হয় ঢাকা (তাদের ভাষায় পদ্মাপার) ও কলকাতা বুঝি একই দেশের দুইটি শহর। বাংলাদেশীদের খুশি তে তারা খুবই খুশি। বাংলাদেশের জয় মানে কলকাতার জয়, আবার ভারতের জয় মানে ও কলকাতার জয়। বিশেষ করে আনন্দবাজার পত্রিকা পড়লে আপনার মনে হতে পারে- তারা কি বাংলাদেশ কে তেলাল না জ্বালাল? মোদ্দা কথা –
গাছের টা খাবরে সই, তলারটাও আমার
চুমু দিতে দিস যদি সই, নিব সবই তোমার।
মজা লাগে- আবার রাগও লাগে।
মজায় মজায় গেল দিন, বাংলাদেশ ২-১ এ সিরিজ জিতল, কিন্তু বাজি হারিয়া গেলাম। দেখা হইল, সেই ক্লায়েন্টের এরিয়া ম্যানেজারের সাথে- মিটিঙয়ে।
খেলা বিষয়ে কোন কথাই কইলাম না। দুইদিন সহ্য করিয়া আছিল- তারপর মুখ কালো করে বলেই ফেলল, Congrats on the series win.
আমি মাছি তাড়াইবার ভঙ্গি কইরা কইলাম, You’re welcome.

এইবার দক্ষিণ আফৃকার সাথে খেলা, আমাদের প্রচুর দক্ষিণ আফৃকান আমাদের কোম্পানিতে, কিন্তু খুবই আছে যারা ক্রিকেট খেলা দেখে।
কিন্তু ক্লায়েন্টের সাইট ম্যানেজার একজন ডেস্পারেট দক্ষিণ আফৃকান ক্রিকেট ফ্যান।
দক্ষিণ আফৃকানরা অজিদের মত ঘাউরা (proud), পাকিদের মত অভব্য ও ভারতীয়দের মত (বিশেষণ খুইজা পাইতেছিনা, নিজে ঠিক কইরা লন) নয়।
কিন্তু ভাব আছে- এক লম্বর দল আমরা। ভারত পাকিস্তান নই হে, কথা বার্তা সমঝে।
ঠিক আছে তাই সই।
দুই দুইটা টি টুয়েন্টি হাইরা তখন আমার মুখ চিমসা লাইগা গেছে। আর সে প্রতিদিন আমাদের সাইট ভিজিট করতে আসে- ক্রিকেট নিয়া আমার মতামত চায়। জিগায় বাংলাদেশি টিমের হইল টা কি? (What went wrong mate?).
রঙ্গ করে আর কি।
কইলাম ওয়ানডে আসুক না, তখন সে দেখিতে পাইবে- বাংলাদেশ আসলে এতটা খারাপ নয় হে। প্রথম ওয়ানডে হারিয়া ক্লায়েন্ট মুখা হওয়া ছাইড়া দিলাম।
২য় টা জিতছি। ক্লায়েন্ট অফিসে গিয়া এডমিন মেয়েটাকে কইলাম, Can you kindly inform X (মিস্টার কওনের রীতি এই দেশে নাই) I was looking for him.
মেয়েটি সুচিক্কণ ঠোটের হাসি দিয়া সে কহিল, সে ত অফিসেই আছে, এখনই মিমাংসা করিয়া লও না কেন? (X is in his office. Why don’t you go sort it out now?)
-এক্স এই লও এই সপ্তাহের কন্সট্রাকাশন সিডিউল, বৃহস্পতি বার সকালে আবার দেখা হইব।
-কেন? বৃহস্পতি বার কেন?
- বুধবার রাতে খেলা আছে না?
এক্সের লাল গাল আরও রঙ্গিন হইয়া উঠিল।

--------------------------------------------------------------
এরপর খেলা অজিদের সাথে, কিন্ত হায় এবার ওয়ানডে নাই। এরা কি বারবার বাচিয়াই যাইবে?
---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
শ্যামল


মন্তব্য

মেঘলা মানুষ এর ছবি

আরও লিখুন সচলে। সাথে সাথে ইংরেজিটা না দিলেও চলত। আপনার বাংলা অনুবাদটাই যেই একটু রসালো লাগছিল, তার পরই বন্ধনীর মধ্যের ইংরেজিটা এসে সেই রসের হাঁড়ি ফুটো করে দিচ্ছিল।

ভারতীয় পত্রিকার সব খবর পড়া হয় নি। সমস্যা হল কিছু কিছু ভারতীয় মিডিয়ায় অনেক সময়ই খুব বেশি পরিমাণে (উগ্র) জাতীয়তাবাদ প্রচার করে। আমরাই শ্রেষ্ঠ, আমরাই বস -এরকম একটা আত্মম্ভরিতা ঢুকিয়ে দেবার চেষ্টা থাকে অনেক সময়ই। হঠাৎ করে সেখানে নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে খবর লিখলেও সেটা অনেক পাঠকের গাত্রদাহের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যখন লেখা হয় যে, মুস্তাফিজের বল বুঝতে পারছে না ব্যাটসম্যানরা, বাংলাদেশ ভালো খেলেই জিতেছে -এজাতীয় খবরের নিচে মন্তব্যের ঘরে শোভা পায় সাংবাদিক কি টাকা খেয়েছে? কেউ কেউ লিখে বসেন যে, এই দেশটাকে আমরা স্বাধীন করে দিলাম, আর এরা আমাদের হারিয়ে প্রতিদান দিল? এরা নিমক হারাম ইত্যাদি, ইত্যাদি। এরপর থেকে আর কেউ শেয়ার করলেও বিদেশি পত্রিকার খেলার খবর পড়তাম না।

আমি উপরের অনুচ্ছেদে ঢালাও সরলীকরণ করি নি। 'কিছু কিছু' , 'কেউ কেউ' শব্দ ব্যবহার করেছি। যেমন, আমাদের দেশেও কিছু কিছু মানুষ(!) আছে যারা বাংলাদেশ পাকিস্তান খেলার সময়ও পাকিস্তান সমর্থন করে। রেগে টং [ আটকে পড়া বিহারিদের বাদ দিয়েই] ওয়ার্ল্ডকাপে পাকিস্তানকে ম্যাচে হারানোর পর অনেকের মুখেই শুনেছি ভাইয়ের কাছে হারায় কোন লজ্জা নাই পাকিস্তানিদের, যেন আমদের জয় উপ‌হার দিয়ে ধন্য করেছে এরা আমাদের। রেগে টং

পাপিস্তানি টিভির ইউটিউব ভিডিওগুলো দেখেছি, এদের আহাজারি, হাহাকার সেরকম বিনোদন ছিল। দেঁতো হাসি

আর ভারতের সাঠে সিরিজ জয়ের পর একজন ফেসবুকে চৌধুরি জাফরুল্লাহ শরাফতের ধারভাষ্য শেয়ার করেছিলেন। সেটাও বেশ উপভোগ্য ছিল। বিশেষ করে একটা জিনিস বেশ মনে আছে, জাফরুল্লাহ শরাফত বলছিলেন যে বাংলাদেশের অনেকগুলো জয়, বড় বড় মাইলফলক পেরোনোর সময় জাতি তার কন্ঠস্বর শুনতে পেয়েছে (সেই কিলাত কিলাব মাঠ থেকে আজ অবধি)

বিশাল মন্তব্য করে ফেললাম, ভালো থাকুন শুভেচ্ছা হাসি

শিশিরকণা এর ছবি

জাফরুল্লাহ শরাফত বলছিলেন যে বাংলাদেশের অনেকগুলো জয়, বড় বড় মাইলফলক পেরোনোর সময় জাতি তার কন্ঠস্বর শুনতে পেয়েছে

কথা সত্য, জাফরুল্লাহ শরাফতের বাগাড়ম্বর ছাড়া জয়ের টেশ পুরা আসে না।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

মেঘলা মানুষ এর ছবি

জাফরুল্লাহ শরাফতের "আজ কোথায় সেই সিধু, কোথায় সেই মন্দিরা বেদি?" কানে বাজে এখনও। দেঁতো হাসি

মন মাঝি এর ছবি

এই রিপোর্টটার নীচে কমেন্ট সেকশনে পোস্ট-ম্যাচ বচনসুধাবর্ষন-প্রতিযোগিতার তুমুল উৎসবটা দেখতে পারেন। পড়ে খুব মজা পেয়েছি, যদিও আমার জন্য এটা যে খুব নতুন কিছু ছিল তা বলা যাবে না। এক সময় বিবিসির অধুনালুপ্ত ক্রিকেট-সংক্রান্ত মেসেজ-বোর্ডে / ফোরামে ভারতীয়-পাকিস্তানি-শ্রীলঙ্কান ফ্যানদের মধ্যে এর চেয়েও তীব্র ও জম্পেশ বচনসুধাবর্ষন-প্রতিযোগিতার উৎসব সাড়ম্বরে পালিত হত ২৪/৭। বিবিসি শেষে বাধ্য হয়ে ঐ মেসেজ-বোর্ড বন্ধ করে দেয়। এদ্দিন বাদের এই রিপোর্টের মন্তব্যঘরে তার সামান্য ছিটে-ফোঁটা হলেও আবার আস্বাদ করলাম। মজাই পেলাম। হাসি

****************************************

কল্যাণ এর ছবি

হেহ হে খেলা থেকে তারা সার্কামসিশনে চলে গেছে গড়াগড়ি দিয়া হাসি

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রবাসে বহু জাতির লোকের সাথে কাজ করতে গেলে অনেক সময় মানব প্রেমের বৃহত্তর গন্ডি থেকে বেরিয়ে এসে সংকীর্ন স্বজাত বা স্বদেশ প্রেমের নির্দিষ্ট ফ্রেমে ঢুকে যেতে হয়। লেখাটা এমিউজিং।

-সরল গরল

মরুদ্যান এর ছবি

লেখা মজারু হৈসে।

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

অতিথি লেখক এর ছবি

ছাগল প্রধান দেশের লোকজন ইন্টেলেকচুয়াল জিনিস বুঝে কম

হো হো হো হো হো হো কথাটা যদিও আজকাল অন্যদিকেও চলে যায়।

লেখা দারুণ।

দেবদ্যুতি

এক লহমা এর ছবি

লেখা ভালো, কিন্তু অন্য ঘটনায় মন এত বিষণ্ণ হয়ে আছে যে ঠিক মত কিছুই নেওয়া যাচ্ছে না। আপনার পরের লেখার অপেক্ষায় থাকলাম।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

কল্যাণ এর ছবি

ভাষার মিকশ্চারটার (সাধু-চলিত-আঞ্চলিক) জন্যে পড়ার ফ্লো ধরে রাখা কঠিন হয়ে যাচ্ছে; এছাড়া ভাল লেগেছে। আরো লেখা দিন চলুক

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

কাল্পনিক এর ছবি

লেখকের নাম কি অয়ন তরফদার?

স্পর্শ এর ছবি

মজারু লেখা! উত্তম জাঝা!

আমার কিন্তু ইংরেজি তর্জমা দেওয়াতে বরং মজাই লাগছে।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

কল্যাণ এর ছবি

তর্জমা আমারো কাজে লাগছে, যেমন ওই scope gap না দেয়া থাকলে আমি ধরতেই পারতাম না ব্যাপারটা।

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

স্পর্শ এর ছবি

আমার ভাল্লাগছে 'নটিগিরি না করলেও পারতা' এর অনুবাদ! হা হা হা ...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

কল্যাণ এর ছবি

হো হো হো । আমার প্রথম মন্তব্যটা একটু এডিট করে দিলাম; কারণ পরে মনে হচ্ছিল আমি তর্জমার ব্যাপারে ফিডব্যাক দিচ্ছি।

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

মন মাঝি এর ছবি

চলুক চলুক
দারুন মজা পেয়েছি পড়ে! আপনার লেখার হাত ভাল। আরও আরও লিখুন প্লিজ।

আর হ্যাঁ, ভাষার মিক্সচারটা (বন্ধনীর মধ্যে মূল ইংরেজিতে সংলাপ রেখে দেয়া) - এই নির্দিষ্ট লেখাটার ক্ষেত্রে অন্তত আমার কিন্তু ভালই লেগেছে। এতে মজাটা একটু বেশি পেয়েছি। যেমন অজিদের বিশেষ বাগভঙ্গি বা কলোকুয়াল এক্সপ্রেশন আর তার নিজস্ব 'আমেজ' বা 'মেজাজ', আবার তার আপনার করা মজাদার ক্রিয়েটিভ অনুবাদ - এবং এই দুইয়ের মধ্যে কনট্রাস্টটা - সব মিলিয়ে এটা আমার মজা লেগেছে। ফ্লো নষ্ট হয়েছে বলে মনে হয়নি, কিম্বা হলেও সেটা অন্যভাবে পুষিয়ে গেছে আরও ভালভাবে। এটাকে বরং একটা অভিনব স্টাইল মনে হয়েছে। অনেকটা যেন চটপটির উপর ছিটানো মশলার মত। হাসি
তবে হ্যাঁ, সবসময় এমনটা ভাল লাগবে কিনা বলতে পারছি না।

****************************************

এক লহমা এর ছবি

"অজিদের বিশেষ বাগভঙ্গি বা কলোকুয়াল এক্সপ্রেশন আর তার নিজস্ব 'আমেজ' বা 'মেজাজ', আবার তার আপনার করা মজাদার ক্রিয়েটিভ অনুবাদ - এবং এই দুইয়ের মধ্যে কনট্রাস্টটা - সব মিলিয়ে এটা আমার মজা লেগেছে। ফ্লো নষ্ট হয়েছে বলে মনে হয়নি, কিম্বা হলেও সেটা অন্যভাবে পুষিয়ে গেছে আরও ভালভাবে। এটাকে বরং একটা অভিনব স্টাইল মনে হয়েছে। অনেকটা যেন চটপটির উপর ছিটানো মশলার মত" - ঠিক।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হো হো হো লিখতে থাকুন পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আজকের আপডেট কই?

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

লেখা দুর্দান্ত হয়েছে। দ্বিতীয় প্যারায় এসে আঞ্চলিক ভাষার মিশ্রণে বেশ বিরক্ত লেগেছিল। কিন্তু আরেকতু সামনে এগিয়ে লেখার গুণে সেটা উধাও।

ইয়ে, আপনার সাথে নাম এবং বর্তমান ধাম তো মিলে যাচ্ছে দেখি! তারবার্তা পাঠাচ্ছি।

____________________________

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।