বছর দুই হল শফিক আমেরিকা প্রবাসী হল। প্রবাসী বড় বোনের বরাতে তার আসার সুযোগ হয়েছে। কাজ করে ম্যনহাটনের একটি রেষ্টুরেন্টে। যাতায়াত করে ট্রেনে(সাবওয়ে)। মাঝে মাঝে বাড়তি আয়ের জন্য ক্লোজিং পর্যন্ত শিফট করে। গতমাসের তেমনি এক ক্লোজিং দিনে কাজ সেরে প্রতিদিনের মত ঘরের উদ্দেশ্যে রওনা দিল । রেষ্টুরেন্ট থেকে কয়েক ব্লক দূরে সাবওয়ে। দেশে ফোন করে কথা বলতে বলতে হেটে সে সব ব্লক পার করে দেয় খুব সহজে। সেদিনও তার ব্যতিক্রম হয়নি। কথা শেষ করে ট্রেনের অপেক্ষা করছিল। সিগারেট খুব বেশি খাওয়া হয়না তার । একেবারে পান করে না তাও না । হঠাৎ হঠাৎ ইচ্ছে হয়। সেদিনও সিগারেট হাতে ছিল। কিছুটা আনমনে ভাবছিল দেশে ফেলে আসা দুই বছরের প্রেমকে। এক সময় সিগারেট ফুরিয়ে এলো,দূরে ভেসে আসছে ট্রেন আসার শব্দ। সিগারেটের শেষ অংশটুকু গার্বেজ করতে গিয়ে চোখ পড়ে নিচে অবহেলায় পড়ে থাকা নীল রঙয়ের একটি ডায়রীর উপর। আমেরিকার মত দেশে মানুষের রাস্তা ঘাটে কোথায় কি পড়ে আছে দেখার সময় যেমন কারো নেই। কেউ দেখেও না। কিন্তু ডায়রীর উপরে সাদা কাগজে সুন্দর করে লেখা " রসগোল্লা" শব্দটিতে তার চোখ আটকে যায় ।বাংলা শব্দ বলে হয়তো। তাই কিছুটা কৌতুহলি হয়ে নিচের দিকে ঝুকে ডায়রীটা হাতে নিল। ওদিকে ট্রেন এসে হাজির। সাত পাঁচ না ভেবে সে ডায়রীটা কাঁধের বেগে ঢুকিয়ে সঙ্গে করে উঠে পড়ল । যাত্রা পথে সেটি আর বের করা হলো না। পাশের এক লোক ষ্টেশন বিষয়ক সাহায্য চাওয়াতে, শফিক ভদ্রলোককে বুঝিয়ে দিচ্ছিল কোন স্টপেজে নেমে আবার কত নাম্বার বাস ধরতে হবে।
এই ধরণের সমস্যায় সেও পড়েছিল প্রথম প্রথম। আমেরিকায় এসে শুরুর দিকে শফিক ধন্যবাদ আর দুঃখিত শব্দ টার ব্যবহার দেখে মুগ্ধ হয়ে যেতো । কারো একটা কাগজ টেবিল থেকে পড়ে গেল,কেউ তুলে দিল , কতো সুন্দর করেই না তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করল। রাস্তায় প্রতিদিন এতো এতো মানুষের হাটা চলা। কিন্তু কেউ কারো গায়ে এসে পড়ছে না। কোন কারণে কিঞ্চিত যদি স্পর্শ লাগে সাথে সাথে বিনয়ের সাথে "দুঃখিত" বলতে কেউ দেরি করে না। এই লোকও নামার আগে কয়েক বার "ধন্যবাদ" শব্দটি উচ্চারণ করেই নামল।
ঘরে ফিরে ক্লান্তিতে চোখ বুজে আসে তার । কোন রকমে কাপড় ছেড়ে শুয়ে পড়ে। ক্লোজিংয়ে খাটুনি একটু বেশি হয়। তাই ঘুমকুমার তাড়াতাড়ি এসে পড়ে। লম্বা একটা ঘুম দেয় সে। কারণ পরের দিন তার অফ ডে। তাই ঘুম থেকে উঠে দেশীয় স্টাইলে । নাস্তা সেরে প্রথম কাজ লন্ড্রি করা। তিন চার দিনের কাপড় জমে ছোট একটা বস্তা হয়।
যথারীতি ফ্রেশ হয়ে কাপড়ের বস্তাটা গুছিয়ে নেয় সে। রেষ্টুরেন্টে সব সময় সাদা শার্ট পড়তে হয়। তাই অল্টাইম ক্লিন থাকতে কয়েকটি সাদা শার্ট রাখে,একটি ময়লা হলে অন্যটি। কাজে যাওয়ার সময় সেটি ব্যাগে করে নিয়ে যায়। আর কাজের স্থানে গিয়ে চ্যাঞ্জ করে। আবার কাজ সেরে ব্যাগে। ব্যাগ থেকে গতকালের শার্ট বের করতে গিয়ে মনে পড়ে কুড়িয়ে পাওয়া ''রসগোল্লার" কথা। লন্ড্রিতে সব মিলিয়ে ঘন্টা খানেক যাবে । সে সময়টাতে ডায়রীটা খুলে দেখবে ভেবে যাওয়ার সময় সেটিও নিয়ে নিল।
কাপড়গুলো মেশিনে দিয়ে এক পাশে চেয়ারে ডায়রীটা হাতে নিয়ে বসল। । লন্ড্রির এই বেকার সময়টা কেউ পাস করে গান শুনে,বই পড়ে। লন্ড্রিতে ম্যাগাজিনের র্যাক আছে যার যা ইচ্ছা নিয়ে পড়ছে। এক মা বসে বসে তার মেয়েকে হোম ওয়ার্ক করিয়ে নিচ্ছে।আশের পাশের সবাইকে একবার চোখ বুলিয়ে নিয়ে "রসগোল্লা"য় মন দিল শফিক । প্রথম কয়েক পৃষ্টা উল্টিয়ে বুঝলো সেটি কোন বাঙালি মায়ের ব্যাগ থেকে অজান্তে সেখানে পড়ে গিয়েছিল। হয়তো ঘরে গিয়ে খুজাখুজি করছে।
প্রথম পাতায় লিখা সন্তানের জন্মসাল তিন ভাবে বাঙ্গলা,ইংরেজী,আরবী ভাগে ভাগ করা। দিন ,মাস,বছর উল্লেখ করা। লিখা আছে সন্তানের নামের উৎসের লিংক। এবার পরের পাতা উল্টিয়ে সে পেল নাম,নামের অর্থ,যে হস্পিটালে জন্ম তার নাম ও এড্রেস ইত্যাদি। তার পরের পাতায় গিয়ে নিজের অজান্তে হেসে দিল। মিষ্টি কিছু নাম পড়ে। উপরের লিখা "আদুরে নাম" আন্ডার লাইন করা- রসগোল্লা, পুতুন,বাধন,টুনাক,গুড্ডুবাবা,তুতুন সোনা,বাবুই পাখি।
শফিকের বুঝার বাকী রইল না "রসগোল্লা" টা আসলে কি। এক মায়ের তার সন্তানকে ঘিরে থাকা আবেগ -অনুভুতির সিন্ধুক এই ডায়রী। আর রসগোল্লা তার একমাত্র ছেলের আদুরে নাম। জন্মসাল দেখে শফিক হিসাব করল বয়স আটারো মাস হবে । প্রতি পাতায় পাতায় রসগোল্লার প্রতিটি মুহুর্ত বর্ণনা করেছে তার মা সুনিপুন হাতে। নিজের মায়ের কথা মনে করতে করতে "রসগোল্লার' ভেতরে প্রবেশ করল শফিক। একেক পাতার উপরে তারিখ দিয়ে সাজানো একেকটি ঘটনা । জন্মের দিন থেকে আজ অবধি বাবুই পাখি যা যা করেছে সব লিপিবদ্ধ হয়েছে। " টুকুন সোনার ন্যাড়া দিবস" দাঁত দিবস" প্রথম ভাত মুখে তোলা" প্রথম লং ড্রাইভ" হামাগুড়ি দিবস' 'হাটি হাটি পাপা দিবস' প্রথম বাবা বলা' প্রথম আম(আম্মু)বলা" শফিক রসগোল্লার জীবন বৃত্তান্ত পড়ছে আর হাসছে। রসগোল্লার প্রথম উচ্চারিত শব্দ ছিল "স্টার"। আর তার প্রিয় কার্টুন "টেক দি ট্যাক্টর"।
ডায়রীর মাঝপথে এসে শফিক খুজে পায় হুমায়ুন আহমেদ সহ বেশ কিছু প্রখ্যাত ব্যক্তির উক্তি। মা তার সন্তানকে লিখেছে " আমার প্রিয় লেখক আর তাদের প্রিয় উক্তি গুলো তোর জন্য লিখে রাখলাম"। লিখা ছিল " সুপারমুনের ' কথাও। রসগোল্লার মা রসগোল্লাকে চিঠিও লিখেছে , কবে রসগোল্লার জ্বর হওয়াতে মায়ের মন খারাপ হয়েছে"।
পড়তে পড়তে হঠাৎ শফিকের হাসির শব্দে আশপাশের মানুষ চোখ তুলে একবার তার দিকে তাকাতে বাধ্য হল। শফিক হাসি থামিয়ে আবার রসগোল্লার " বদনা আপ্যায়নে " পড়তে মন দিল। ঘর ভর্তি মেহমান ।টেবিলে সবাই এক এক করে খেতে বসছে। কোন এক ফাঁকে রসগোল্লা বাথরুমে ঢুকে বদনা হাতে খাবার টেবিলে হাজির। রসগোল্লা সুযোগ পেলেই বাথরুমে চলে যায়।পানি খেলা তার খুবই প্রিয়। আমেরিকানদের বদনা প্রয়োজন না হলে বাঙ্গালীরা যেখানে যাক না কেন বদনা ঠিকই ব্যবস্থা করে নিবে। শফিক তার বড় বোনকে বাইরে যাওয়ার সময় সব সময় ব্যাগে একটি ওয়ান টাইম সোডা গ্লাস রাখতে দেখে। যা বাইরে কোথাও বাথরুমে ব্যবহারে বদনার বিকল্প হিসেবে কাজে লাগে।
যতই পড়ছে রসগোল্লার প্রতি তার আদর বেড়ে চলেছে। তাকে দেখার ইচ্ছা প্রবল হচ্ছে। ওদিকে কাপড় ড্রাইয়ে দেওয়ার সময় হয়ে গেছে । কাপড় আবার ড্রাই মেশিনে ঢুকিয়ে চল্লিশ মিনিট সেট করে ।আবার রসগোল্লার কাছে ফিরে গেল। পরের লিখাটি পড়ে শফিকের কেমন জানি মন খারাপ হয়ে গেল। রসগোল্লা জন্মের সময় প্রিম্যাচুয়ুর ছিল। নির্ধারিত সময়ের তিন মাস আগে সে পৃথিবীতে চলে আসে । তিন মাস সে ইনকিউবেটরে ছিল। তার অবস্থা ছিল "এই আছে -এই নেই" তার মা-বাবা আশাই ছেড়ে দিয়েছিল। এখন সে হাটে-খেলে ,দু-একটি শব্দ বলতে পারে কিন্তু এই বয়সের অনান্য বাচ্চার মত ছোট ছোট কোন বাক্য বলছে না দেখে মা-বাবা দুজনে দুশ্চিন্তায় আছে-'কথা বলছে না কেন '।
বাচ্চারটির জন্য শফিকের মায়া লাগে । কয়েক পাতা পর রসগোল্লার আরো একটি মজার কান্ড পাওয়া গেল । সে তার বাবার গাড়ির চাবি কমেটে ফেলে দিয়েছে। তার বাবা হাতে পলিথিন পেছিয়ে সেটি উদ্ধার করে। আরো পরে জানা গেল রসগোল্লা তার মায়ের সাথে আমেরিকায় আয়োজিত সকল বই মেলায় যায়। শেষবার বইমেলায় গিয়ে অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদের সাথে দেখা ও ছবি তুলেছে।
এরপরের পৃষ্টা সাদা------হারিয়ে না গেলে হয়তো রসগোল্লার আরো অনেক মজার কান্ড লিখা হতো। । এতোক্ষন ডায়রী পড়ে শফিক অনুভব করেছে রসগোল্লার মা সেটি হারিয়ে অনেক কষ্টে আছেন। মন খারাপ করে দিন পার করছেন। তাই শফিক ঠিক করল লন্ড্রি সেরেই হসপিটালের ঠিকানায় চলে যাবে। হসপিটালটি বেশি দূরে না। কাপড় গুছিয়ে বাসায় রেখে আসার সময় দুলা ভাইকে জিজ্ঞেস করে জেনে নিল পরিচিত কেউ আছে কিনা সে হসপিটালে। পাওয়া গেল তবে বাংলাদেশী না। কলকাতার বাঙ্গালী যিনি রেডিওলজি সেকশনে কাজ করেন। তাই সাথে সাথে তার মোবাইল নাম্বার নিয়ে শফিক বেরিয়ে গেল। যাত্রা পথে ফোন করে ভদ্রলোকের সাথে কথা বলে নিল। পরিচিত থাকাতে রসগোল্লার ঠিকানা পাওয়া গেল। নাম্বারও পেল। তাই দেরি না করে হসপিটাল থেকে ট্রাই করল। কিন্তু পাওয়া গেল না।ওপাশ থেকে যে কথা বলছে হ্যালো ছাড়া তার অন্য কোন কথা শফিক বুঝেনি ।বুঝতে বাকী নেই নাম্বার পরিবর্তন হয়ে গেছে। তাই ঠিক করল ঠিকানা অনুযায়ী চলে যাবে। আজ তার অফ ডে রসগোল্লার নামে কাটাবে। এক বন্ধুকে ফোন করে বৃত্তান্ত বলে ঠিকানা সম্পর্কে জেনে নিল। বন্ধুটি আবার টেক্সি চালায় ।সব জায়গা মোটামোটি চিনে বলা যায়। দুই বন্ধু ঠিক করল দুপুরে খাবার পর রওনা দিবে। শফিককে নামিয়ে দিয়ে বন্ধু কাজে চলে যাবে। তাই তারা কাজের গাড়ি নিয়েই বের হল। শফিকের বাসা থেকে দূরত্ব পঁয়তাল্লিশ মিনিট। ঠিকানা খুজে পেল। বাসার সামনে ডায়রী হাতে শফিক দাঁড়িয়ে। ভাবছে প্রথমে কি বলবে। ভাবতে ভাবতে এগিয়ে যায়। দরজা খুলে দেখে এ্যাপাটমেন্টের দুটি সাইট। সে জানে না কোন সাইডে রসগোল্লা থাকে। আন্দাজে এক ঘরে নক করল। কিছুক্ষন পর এক নেপালি বেরিয়ে আসল। তাকে ঠিকানা দেখাতেই সে উপর তলা দেখিয়ে দিল। উপরে উঠে একই ভাবে নক করে,এবার বেরিয়ে আসে এক বাঙ্গালি।কথা বলে জানা গেল তিনি এই বাড়ির মালিক। ।শফিক তাকে হসপিটালের কাগজটি দেখাল। নাম পড়ে তিনি বললেন তারা এক বছর আগে এখানে ছিল । কিন্তু তাদের বেবি হওয়ার পর হোম ইভালোয়েশন সেমিবেইসমেন্ট এপ্রোভ না করায়। তারা অন্য বাসায় শিফট হয়ে যায়। এসব দেশে বাচ্চা বাসায় পাঠানোর আগে চেক করে বাসাটা বাচ্চার উপযোগী কিনা। শফিক ভদ্রলোকের কাছে রসগোল্লার বাবার নাম্বার চাইলে তিনি উল্ট শফিকের নাম্বার চেয়ে বসলেন।। শফিক বুঝতে পেরেছে রসগোল্লার বাপের সাথে লোকটির জানা শুনা আছে। ভেতর রুমে গিয়ে কিছুক্ষন পর তিনি ফিরে আসলেন। আর ফোনটা এগিয়ে দিয়ে বললেন "নেন কথা কন লাইনে আছে"। শফিক হাত বাড়িয়ে ফোনটা নিয়ে সালাম দিয়ে নিজের পরিচয় জানিয়ে সব খুলে জানালো। রসগোল্লার বাবা খুব খুশি হয়ে শফিককে তার বাসায় আমন্ত্রন জানিয়ে নতুন ঠিকানা দিয়ে দেয়। শফিক কথা বলে জানতে পারে রসগোল্লার মা ডায়রীটা হারিয়ে , হারানোর আগ পর্যন্ত যে সব জায়গায় গিয়েছে সব খানে দেয়ালে দেয়ালে একটি হারানো বার্তা লিখে এসেছে। একশ ডলার পুরষ্কার দিবেও নাকি উল্লেখ করেছে। শফিক ঠিকানা নিয়ে ,আসবে বলে বিদায় জানায়।বাড়িওয়ালাকেও ধন্যবাদ জানায়।
আসার পথে ভাবে দিনটা খুজতেই চলে গেল। কাল কাজ আছে। পরশু যাওয়ার কথা বলেছে সে রসগোল্লার বাবাকে। কাল গিয়ে কারো সাথে পরশু দিনের কাজ সুইচ করে নিবে ভাবছে। বাসায় পৌছে দেখে রসগোল্লার বাবা আবার ফোন করেছে , রিসিভ করে দেখে মেয়ে কন্ঠ। সম্বোধন করেছে ভাই বলে। রসগোল্লার মা বাসায় ফিরে ডায়রীর কথা জানতে পেরে খুশিতে ধন্যবাদ জানাতে ফোন করেছে। কন্ঠ শুনে শফিক বুঝতে পারছে তার খুশির পরিমান কতখানি। অদ্ভুদ মানুষের জীবন। শফিকও অনেক খুশি রসগোল্লাকে সামনা সামনি দেখবে। শফিক এক ফাঁকে নেটে দেখে নিল কত ঘন্টার যাত্রা হবে। সব মিলিয়ে দেড় ঘন্টা ।আসা যাওয়া তিন- সাড়ে তিন হবে।সাথে বন্ধুকে বলে রাখল।
মাঝখানের দিনে শফিক কাজ সেরে আসার পথে একটি বেবি স্টোর গিয়ে রসগোল্লার প্রিয় কার্টুন "টেক" এর একটি খেলনা কিনে নিল। সকালে নাস্তা সেরে রওনা দিল রসগোল্লার ঠিকানা ধরে। জিপিএস থাকায় খুজে পেতে কোন অসুবিধা হলো না । শফিক দরজার নক করে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে। কিছুক্ষন পর পরিচয় পেয়ে দরজা খুলে রসগোল্লার বাবা। তার ঠিক পিছনে করে দাঁড়িয়ে ছিল ছোট্ট একটি বাচ্চা ।দেখতে কিছুটা রোগা রোগা কিন্তু অনেক মিষ্টি চেহারা,ঠিক যেন রসগোল্লার মত। সামনের দাঁত দেখিয়ে হাসছে। সাইজে ছোট হলেও ভীষণ মিষ্টি একটা ছেলে।
(জানি না লিখাটি সচল প্রকাশ করছে কিনা। তবে রসগোল্লা নিয়ে লিখার আরো কিছু বাকী আছে। সুযোগ পেলে পর্ব আকারে লিখব)-
এ্যানি মাসুদ
মন্তব্য
চমৎকার হয়েছে। আগ্রহ পাচ্ছি পরের পর্ব পড়বার। ধারাবাহিক আকারেই চাইছি।
ফাহমিদুল হান্নান রূপক
পাঠকের ভাল লেগেছে,আমার লিখার শক্তিও বাড়ছে…সাহস পাচ্ছি আরো কিছু লিখার।আশা করি এভাবেই পাশে পাবো। ধন্যবাদ রুপক।
কাহিনি ভালোই এগুচ্ছে
নাদান পাঠক হিসেবে কিছু পরামর্শ:
১। বানানের দিকে আরেকটু খেয়াল রাখুন, কয়েকবার পড়ুন -ভুলগুলো খুঁজে পাবেন।
২। 'ডায়েরী' বানানের ডায়েরি হলে ভালো হয়। বিদেশি শব্দের শেষে ' ী' এর বদলে 'ি' হওয়া ভাল।
৩। আপনি হয়ত প্রবাসী, তাই খেয়াল করেননি কিছু কিছু শব্দ বাংলায় লিখলে ভালো হয়। 'দুঃখিত", 'ধন্যবাদ' শব্দগুলোর ব্যবহার ভালো লেগেছে।
শুভেচ্ছা আপনাকে, মাসুদ
মেঘলা মানুষ আপনি আমার নাদান পাঠক নন।বিজ্ঞ পাঠক ।ভুল গুলি দেখিয়ে দিলেন,কৃতজ্ঞতা জানায়। ভবিষ্যতে খেয়াল রাখব।সাথে থাকবেন নিশ্চয়।
বেশ লাগছে কিন্তু আপনাকে পেয়ে। সচলে তো এটা আপনার প্রথম লেখা। ভুলচুক মাফ। শুরু করেছেন তাতেই সাধুবাদ। তবে পরের লেখাটি দেবার আগে আর একটু যত্ন নিবেন। কাছের কোনো বন্ধুকে দিয়ে দেখিয়েও নিতে পারেন নতুবা কোলের ওপর অভিধান রাখতে পারেন। চলতে থাকুন, পাশে আছি।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
ধন্যবাদ সাদিয়া আপু। আপনার কথায় উত্সাহ পেলাম। এভাবে সাথে থাকবেন সব সময়।
এ্যানি মাসুদ
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
পপকর্ণ কিনা বিফলে যাবে না।আশা করি।
এ্যানি মাসুদ
সুন্দর হয়েছে।
সো ভাই ধন্যবাদ।
এ্যানি মাসুদ
চলুক।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
হুম। এক টুকরো রসগোল্লা দিয়ে যদি বলেন পুরোটা খেয়ে উঠবেন কিন্তু, তাহলে বাপু পোষাবে না বলে দিচ্ছি। আরো রসগোল্লা খাবার অপেক্ষায় রইলাম। আর উপরের সাদিয়া আপুর কথায় ডিটো ডিটো মানে ঐ ঐ।
____________________________
প্রফেসর বলে কথা এক টুকরো দিয়ে কি করে বলি পুরোটা শেষ করবেন ।ডিটো ডিটো মনে রাখবো।আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ মিষ্টি প্রিয় প্রফেসর হিজিবিজবিজ। ইশ…হিবিজিবি লিখে ফেলে ছিলাম।
এ্যানি মাসুদ
দাড়ি বা কমার আগে নয়, পরে একটা করে স্পেস দিলে ভাল হয়।
অনেকগুলো বানান ভুল আছে, তার মাঝে 'অদ্ভুদ' দেখে মনটা খারাপ হয়ে গেল, আরো অনেকগুলোর মাঝে আছে 'কমেটে'।
লেখাটা ক্লামজি, আমার ভাল লাগেনি। আর কেমন হুট করে শেষ হয়ে গেল। লেখালেখি চলুক।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
ভালো লাগা আপেক্ষিক বিষয়। তবে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ। ভুল থাকতে পারে প্রথম লিখা হিসেবে।
দেবদ্যুতি
নতুন মন্তব্য করুন