আমার ছেলেটা বড়ই বোকা | আমি নিজে যে খুব চালাক চতুর সে দাবি করবনা | তবে এটি মনে আছে যে সাত বছর বয়েসেই শিখে গিয়েছিলাম কীভাবে ওমানের রংচঙে স্ট্যাম্প এর বদলে বুলগেরিয়ার সাদাকালো কিন্তু মহা মূল্যবান স্ট্যাম্প বাগিয়ে নেওয়া যায় | আসলে পাড়াময় অগুন্তি বাচ্চা কাচ্চাদের ভিড়ে রীতিমত খামচা খামচি করে বেড়ে উঠেছি আমরা, বোকা হবার সুযোগটাই ছিলনা | আমার ছেলেটা বেড়ে উঠছে একা, আত্মীয় পরিজনহীন পরিবেশে | ওর জগত জুড়ে কেবল বাবা-মা আর স্কুল| স্কুল এ আর কতটুকু সময়ই বা থাকে ?
আমাদের গাড়িটা ফিরে পেয়েছি | দেখে বোঝার কোনো কায়দা নেই যে সামনের দিকটা কেমন দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছিল! দুর্ঘটনার পর এই দুসপ্তাহ কাটিয়েছি রেন্টাল কার নিয়ে | গাড়িটা ফিরে পেয়েই মনে হলো একটু চালাই | ছেলেকে বললাম "চল তোর মার অফিস এ যাই" | এদেশে শীতকালে ঘর থেকে বের হওয়া একটা যন্ত্রণা | কয়েক প্রস্থ জামা কাপড়, টুপি, দস্তানা, বুট সব মিলিয়ে বিশাল এক প্রস্তুতি যজ্ঞ |
খুব সাবধানে গাড়ি চালাচ্ছি | কাল বিকেল থেকেই অবিরাম তুষার পড়ে চলেছে আমাদের শহরে | রাস্তা বেশ পিচ্ছিল এবং আমার গাড়িতে এখনো উইন্টার টায়ার লাগেনি | কিছুদূর যাবার পর গাড়ি আর এগুলোনা, ট্রাফিক জ্যাম | ট্রাফিক জ্যাম এ একা বসে থাকা দারুন বিরক্তিকর | অমিয় সাথে থাকলে সময়টা অবশ্য ভালই কেটে যায় | অনেক কথা হয় বাবা আর ছেলেতে, সুখ দু:খের কথা | আজকের জ্যামটা মনে হচ্ছে খুবই জটিল | কথা বলতে বলতে হটাত দেখি পয়ত্রিশ মিনিট কেটে গিয়েছে | সর্বনাশ! সুমুর অফিস এ যেতে অনেক দেরী হয়ে যাবে | এদিকে ছেলেকে কথা দিয়ে রেখেছি তাকে একটা বই কিনে দেব আজ | রাতে বড় ধরনের তুষারপাতের সম্ভাবনা আছে | সুমুর অফিস এবং বইয়ের দোকান, দুটো শহরের দুই দিকে | ছেলেকে বললাম "আজকে আর বই কিনতে যাবনা রে, সময় হবেনা"| ছেলে একগাল হাসি নিয়ে বলল' "চিন্তা করছ কেন বাবা? স্নো ফল তো রাত আটটায় | তোমার টাইম মেশিন টা স্টার্ট করে দাও, আমরা সব শেষ করে স্নো ফল এর আগেই বাসায় চলে যেতে পারব |"
টাইম মেশিনের কথাটা একটু বলে নেই | অমিয় মাঝে মাঝেই খুব আলসেমি করে | প্রায়ই দেখা যায় শেষ মুহুর্তে খুব তাড়াহুড়া করে গাড়িতে উঠছি আমরা | স্বাভাবিক ভাবেই রাগটা গিয়ে পড়ে অমিয়'র উপর | কিন্তু ছেলেকে বকাঝকা করতে প্রাণে লাগে | আর তাছাড়া কোনো জায়গায় দেরী করে পৌছুলে ওরও খুব মন খারাপ হয় | দেরি, সেতো হতেই পারে | কিন্তু আমার খুব কষ্ট হয় যখন দেখি দেরির জন্য অমিয় একটা অপরাধবোধে ভোগে | একটা বাচ্চা ছেলে কেন অপরাধবোধে ভুগবে? এটি সামাল দিতে আমি একটা উপায় বের করেছি | খুব সহজ উপায়, গাড়ির ঘড়ির কাটা তিরিশ মিনিট এগিয়ে রেখেছি | তার মানে গাড়িতে যখন সাড়ে পাঁচটা, বাসার ঘড়িতে তখন পাঁচ| আমরা সব সময় সময়ের আগেই বাড়ি ফিরি | গত তিন বছর ধরে চলছে আমার টাইম মেশিন | বোকা ছেলেটা বাবার এই ফাঁকি টুকু ধরতে পারেনি |
আজকে ব্যাপারটা বিশেষ গুরুতর | গাড়ি সারানোর সময় ওরা ঘড়িটাও যে ঠিক করে দিয়েছে সেটা আমার চোখে পড়েনি | সব ফাঁকি বুঝি ধরা পড়ে যায় আজ! কী করি, কী করি! অত:পর বাবা আর ছেলেতে নিম্নলিখিত কথোপকথন হলো:
"অমিয়, তোকে একটা কথা বলা হয়নি রে"
"কী কথা বাবা?"
"আমাদের টাইম মেশিনটা নষ্ট হয়ে গিয়েছে"
"ইটস ওকে বাবা, ইউ ক্যান ফিক্স ইট | তুমিতো সব কিছু ফিক্স করতে পারো | রিমেম্বার তুমি লাস্ট উইক এ কিচেনের সিংক টা ফিক্স করেছ?"
"টাইম মেশিন আর কিচেনের সিংক কি এক হলো রে? কিচেনের সিংক সবাই ফিক্স করতে পারে | টাইম মেশিন ফিক্স করতে পারে শুধু মাত্র যে বানিয়েছে সে |"
"কে বানিয়েছে বাবা? তার কাছে নিয়ে যাও |"
"আমিতো জানিনা কে বানিয়েছে, এটি আমি কুড়িয়ে পেয়েছিলাম"
"রিমেম্বার তুমি আমাকে তোমার টাইম মেশিন ক্লাবের কথা বলেছিলে? তুমি ওই ক্লাবে চলে যাও | আমি শিওর মেকার টা ওখানেই আছে |"
"মেকার থাকলেও কোনো উপায় নেই, আমিতো ওকে চিনিনা | মেকারও আমাকে চেনেনা | তোর মনে নেই ক্লাবে আমরা সবাই মুখোশ পড়ে থাকি ?"
"তাও বাবা, তুমি যাও | তুমি কেবল জোরে জোরে বলবে যে তোমার টাইম মেশিনটা নষ্ট হয়ে গিয়েছে | মেকার তখন ওটা ফিক্স করে দিবে |"
"কিন্তু আমি তো জানিনা আমাদের নেক্সট মিটিং টা কোথায় হবে |"
"তুমি ওদেরকে ফোন কর |"
"আমি ওদের কারো ফোন নম্বর জানিনা | মিটিঙের আগে আমার টাইম মেশিনে মেসেজ আসতো"
"প্লিজ বাবা, তুমি নিজে একবার চেষ্টা করে দেখো ফিক্স হয় কিনা | আমি তোমাকে হেল্প করব"|
"তুই হেল্প করবি কী করে? তুই তো জানিসই না টাইম মেশিনটা কি রকম !"
"বাবা টাইম মেশিনটা আমাকে দেখাও"
এই পর্যায়ে আমাদের কথোপকথন একটু অন্য দিকে মোড় নিল, সংগত কারণেই |
"অমিয়, টাইম মেশিনটা আসলে আমি হারিয়ে ফেলেছি |" আমার ছেলে বাকরুদ্ধ হয়ে গেল | এটি সে ভাবতেই পারেনি |
"কেমন করে হারালে বাবা?" ছেলের গলায় ক্ষোভের আভাস টের পাচ্ছি |
"তোর মনে মনে আছে একসিডেন্ট এর পর গাড়ির সামনের দিকটা কেমন দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছিল, আর বাম্পার টা খুলে পড়ে ছিল রাস্তায়?"
"মনে আছে বাবা |"
"টাইম মেশিনটা ওই বাম্পারের সাথেই লাগানো ছিল"
"কই বাবা, আমিতো কখনো দেখিনি !"
"বাম্পারের ভেতরের দিকে লাগানো ছিল, নিশ্চয়ই রাস্তায় কেউ ওটা কুড়িয়ে পেয়ে নিয়ে গিয়েছে |"
"না বাবা, আমি দেখেছি পুলিশ অফিসার সব কিছু একটা গাড়িতে তুলেছে | তুমি প্লিজ পুলিসের কাছে যাও, ওরা তোমার টাইম মেশিন ফিরিয়ে দিবে |"
"পুলিশ পেয়ে থাকলে তো আমাকে জানাতো | আমার ধারণা টাইম মেশিনটা রাস্তায় পড়ে যায়নি | ওটা গাড়িতেই কোথাও আটকে ছিল | হয়ত বডিশপের মেকানিক খুঁজে পেয়ে রেখে দিয়েছে |"
"তাহলে যাও বাবা, ওর কাছ থেকে নিয়ে আসো |"
"ওটাই তো মুশকিল রে |"
"কেন বাবা?"
"আমি গিয়ে যদি বলি তুমি কি আমার টাইম মেশিনটা খুঁজে পেয়েছ ও ভাববে আমি একটা পাগল | কেউ কি টাইম মেশিনের কথা বিশ্বাস করে রে?"
"করে বাবা করে | আমার ক্লাসের সবাই জানে আমাদের একটা টাইম মেশিন আছে | আমাদের টিচার ও জানে | শুনো বাবা, তুমি আজকেই যাও |"
"বিশ্বাস করলে তো আরো বিপদ অমিয় | একটা টাইম মেশিন পেয়ে গেলে কেউ কি আর ফিরিয়ে দেয়? আমিই কি দিয়েছিলাম? মেকানিক লোকটা স্বীকারই করবেনা যে সে এটা পেয়েছে ! "
আমার সামনের গাড়ি টা এগুতে শুরু করেছে | আমিও ধীরে ধীরে এগিয়ে চলছি | অনেক ক্ষণ হয়ে গেল অমিয় আর কোনো কথা বলেনি | আমি খুব ভয়ে ভয়ে আছি, এই বুঝি কান্না শুরু করে দেয় | আমার ছেলেটা অবশ্য খুব শক্ত পোক্ত গোছের | কাঁদে টাদেনা খুব একটা | দাদা-দাদী নানা-নানির আদর ছাড়াই বড় হচ্ছে, কাঁদার সুযোগ কই?
বেশ কিছুক্ষণ পর..
"বাবা ইউ সূড বি মোর কেয়ারফুল হোআইল ইউ ড্রাইভ"
"অবশ্যই অমিয়"
আবার দীর্ঘ নিরবতা |
"ইফ আই এভার ফাইন্ড আ টাইম মেশিন, আই উইল গিভে ইট টু ইউ "
"থ্যান্ক ইউ অমিয়"
পাঁচ মিনিট পর..
"তোমাকে দিবনা, আই উইল কীপ ইট ফর মাই কিডস |"
"আচ্ছা দিতে হবেনা"
সুমুর অফিস এর সামনে বসে আছি | গাড়ি চলছে, এই ঠান্ডায় গাড়ি বন্ধ করে বসে থাকার প্রশ্নই আসেনা |
"কী রে অমিয় কথা বলছিস না কেন? মন কি বেশি খারাপ"
"হু"
"ঠিক হয়ে যাবে"
"হবেনা বাবা, আই উইল নেভার বি লাকি এনাফ টু ফাইন্ড আ টাইম মেশিন|"
কী জবাব দেব এর!
বাসার দিকে রওনা হয়েছি | সুমু আমার পাশের সিটে বসে আছে, সংসার এর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলতে বলতে টাইম মেশিন ব্যাপারটা মাথা থেকে হারিয়ে গিয়েছে| হঠাত সুমু বলল-
"গাড়ি থামাও, আমার ছেলের কী হয়েছে? ওর চোখে পানি কেন? কী হয়েছে রে অমিয় বাবা?"
মা'র গলা শুনে হাউমাউ করে কেঁদে উঠলো আমার ছেলে
"বাবা আমাদের ইটা হারিয়ে ফেলেছে মা | ঐটা আমার খুব ফেভারিট ছিল | আমার খুব পছন্দের ছিল.......... "
আর কী কী যে বলল কান্নার দমকে ঠিক বোঝা গেলনা |
গাড়ি আবার চলছে, আমার স্ত্রী আমার দিকে একটা ক্রুদ্ধ দৃষ্টি হেনে পিছনের সিটে অমিয়'র পাশে গিয়ে বসেছে | কান্নার দমকটা কমে এসেছে কিছুক্ষণ হলো, মায়েরা অনেক কিছুই পারে | তুষার পড়ছে |তুষার পড়ছে তুষারের মত, সাদা সাদা নরম নরম তুষার | এই সময় খুব সাবধানে গাড়ি চালাতে হয় | কিন্তু আমি কিছুতেই চোখ সরাতে পারছিনা রিয়ার ভিউ মিরর থেকে | আমার সাত বছর বয়েসী ছেলেটা, আমার বোকা ছেলেটা মা'র কাঁধে মাথা রেখে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে | চোখ জুড়ে পানি, গাল বেয়ে পানি, কোথায় ছিল এত পানি? এতদিন? আমি মুগ্ধ হয়ে দেখছি আর ভাবছি, টাইম মেশিনটা খুঁজে আনব কিনা |
মন্তব্য
ভালো লাগল।
আপনার নাম 'মোখলেস হোসেন', তাই ত? ক্যাটেগরিতে নিজের নামটাও একটা ট্যাগ করে দেবেন। সময় মত কাজে লাগবে।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
আপনি কী করে বুঝলেন লেখকের নাম 'মোখলেস হোসেন'!
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
এলিমেন্টারি, মাই ডিয়ার ষষ্ঠ পাণ্ডব!
নীচে মাঝি-দাদার মন্তব্যের উত্তরে একটু সংকেত রাখলাম। আপনাদের জন্য তাই প্রয়োজনের অতিরিক্ত বলে মনে হয়।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
তাইতো, আপনি কি করে বুঝলেন লেখকের নাম 'মোখলেস হোসেন'??!! আমার ভয় লাগতেসে!
****************************************
বিপন্ন নীল দুলাভাই | অতি সাধারণ একটা জিনিষের অভাবে | একটা ছিটিকিনি |
এরপরেও কি আর ভয় লাগতেসে, মাঝি-দাদা? আমি নিতান্তই সাধারণ পাঠক।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
তারপরও আমর মাথায় ঢুকছেনা, কেমন করে আপনি চিনলেন, ইনি মোখলেস!
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
আমারও!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আমার পর্যবেক্ষণের উপর ভিত্তি করে আমি একটা অনুমান করেছিলাম। সেটা মিলে গেছে। কেরামতি এটুকুই।
এবারে অনুমানের ভিতটার কথায় আসি। এই লেখক অতিথি লেখক। হালের অতিথি লেখকদের মধ্যে সাম্প্রতিক অতীতে এই লেখার মত যতি চিহ্নের ব্যবহার মাত্র একটি লেখাতেই আমার নজরে পড়েছে। সেটির সাথে মিলিয়ে নিতেই আমার অনুমান বেশ পোক্ত মনে হল। দুই লেখার গল্পের চলও একই লাগল। অনুমান ভিত্তিক সিদ্ধান্তটা জানিয়ে আমার মন্তব্যে লেখকের কাছেই যাচাই করে নিলাম।
মাঝি-দাদাকে দেওয়া আমার উত্তরটায় দুটো বাক্য দুই ধরণের যতিচিহ্নে বানিয়ে সঙ্কেতটা দিয়ে রেখেছিলাম। কোন কাজে এল না। দীর্ঘশ্বাস!
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
তোমার পর্যবেক্ষণ শক্তি তো সিরিয়াস ধরনের, দা’ভাই
দেবদ্যুতি
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
কি ডেঞ্জারাস লোক!
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
সে কি! শব্দ নিয়ে খেলা করবেন আপনারা, আর ডেঞ্জারাস হলুম গিয়ে এই বুড়ো লোকটা! এরাম হলে কি করে খেলব দিদি?
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
এক্সিলেন্ট ডিডাক্শন, হোমস।
থেঙ্ক্যু, থেঙ্ক্যু স্যর!
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
ওয়েল ডান, মিস্টার হোম্স!
****************************************
থ্যাঙ্ক ইউ, স্যর!
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
যতি চিহ্নের আগে স্পেস দেয়া লেখকের সংখ্যা এতো বেশি যে সেটা আর আলাদা করে ধরতে পারিনি। এই বেসিক বিষয়টা নিয়ে কথা বলতেও ক্লান্ত লাগে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
পাণ্ডবদা’, মোখলেস হোসেন দাঁড়ি চিহ্নটাও (।) অন্যভাবে দেন।
দেবদ্যুতি
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
দেবদ্যুতি
আরে তাইতো! এমন তালগাছের সাইজ দাঁড়ি কী করে দেয়া যায়?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
এইভাবে | ?
হা: হা: হা: হা:
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
কিংবা, এইভাবে ?
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
তাহলে, এইভাবে নয় কেন?
****************************************
ধন্যবাদ এক লহমা।
---মোখলেস হোসেন।
ভাল লেগেছে।
ফাহমিদুল হান্নান রূপক
দারুণ লাগলো
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
চমৎকার লেগেছে। বাবাদের অপারগতায় বাচ্চারা খুব কষ্ট পায়।
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
বাচ্চাদের কাছে মনে হয় বাবারাই সবচেয়ে বড় সুপারহিরো। আমার বাবা আমার কাছে তাই ছিলেন, এখনকার বাচ্চাদেরও দেখি আর সে কথা মনে হয়। টাইম মেশিনের গল্পটা বেশ হয়েছে
দেবদ্যুতি
আহা এটা গল্প ছিলো নাকি! আমি তো ভেবে নিয়েছিলাম প্রবাসের কারো লেখা ডায়েরি ব্লগ পড়ছি! যাই হোক, ভালো লেগেছে পড়তে।
আমি আগে অভ্রতে লিখতে পারতাম না। জানাতামই না অভ্রতে লেখা যায়। তখন গুগল ট্রান্সলেটরে দিয়ে বাংলায় লিখতাম। আমার দাঁড়িগুলোও এমন বড় বড় হতো। ব্লগে আমাকে এক ব্লগার জিজ্ঞেসও করেছিলাম 'অপর্ণা আপনি এমন বড় দাঁড়ি দেন কীভাবে, একটু শিখিয়ে দেন '। মনে পড়ে গেলো আমার শুরুর ব্লগিং এর কথা!
ভালো থাকুন। শুভ কামঅনা রইলো।
অপর্ণা মিতু
এই লেখাটা কিভাবে যে মিস হলো! পড়তে পড়তে চোখ ঝাপসা হয়ে আসছিলো।
আপনার বেসবল নিয়ে লেখাটার সূত্রেই পুরাতন লেখাগুলো পড়তে এলাম।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। (মোখলেস hosen)
অসম্ভব ভালো লাগল লেখাটা।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে (মোখলেস হোসেন)
নতুন মন্তব্য করুন