রামশীল ২০০১:আরেক শরণার্থী শিবির

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ০৭/০৮/২০১৫ - ৮:১৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সবাই এসো দাঁড়াও হাতে হাত
মরছে দেখো মানুষ দিন রাত
কিশোরী মার দুচোখ ভেসে যায়
শিশুটি তার ধুঁকছে অসহায়
বৃষ্টি আর ভীষণ কলেরায়…………………………

( মূলঃ জোয়ান বায়েজ
অনুবাদঃ মাহমুদুজ্জামান বাবু)

১৯৭১ সাল। বাংলাদেশের মুক্তির সংগ্রাম। পাকিস্তানিদের নির্মম নির্যাতন, গণহত্যা থেকে বাঁচতে এক কোটি লোক আশ্রয় নেয় পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে। শরণার্থী শিবিরের অবর্ণনীয় কষ্টে কত লোকের প্রাণ গিয়েছে বলা কঠিন।

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় শরণার্থী জীবনের স্মৃতিচারণা করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য কালিপদ হালদার বলেছেন, “ছিল পানির সংকট, শৌচাগার সংকট। শীত আসার আগে আগে শিবিরে রোগবালাই শুরু হয়ে যায়, এতে শিশু ও বৃদ্ধরা আক্রান্ত হয় বেশি। শিবিরের বাইরে চিতা জ্বালানোই থাকত, প্রতিদিন রাতে কেউ না কেউ মারা যেতেন আর তাঁকে চিতায় দাহ করা হতো। তাঁদের পরিবারের সাত সদস্যের মধ্যে তাঁর ঠাকুরমা ওই শিবিরেই মারা যান। ”

ব্লগার আরিফ রহমান তার এক লেখায় লিখেছেন, “২৫ মার্চ অর্থাৎ যুদ্ধের প্রথম প্রহর থেকেই শরণার্থীরা দেশ ত্যাগ শুরু করেন এবং সেই সংখ্যাটা মে মাসে এসে দাঁড়ায় ১৫ লক্ষ। জুনের মাঝামাঝি সংখ্যাটা হয় প্রায় ৫০ লাক্ষ যেটা আগস্টে এসে ৭০ থেকে ৭৫ লক্ষ হয়ে যায়। সেপ্টেম্বরে ৮৫ লক্ষ ছাড়িয়ে যায় এবং বাদবাকি সময়ে সংখ্যাটা ছাড়িয়ে যায় কোটির ঘর। পৃথিবীর ইতিহাসে এত কম সময়ে এত বেশী শরণার্থী হবার ঘটনা বিরল।”

এত কিছু কেন বললাম? আসলে ১৯৭১ সালের মানবতা বিরোধী অপরাধের সাথে কোন কিছুরই তুলনা করা সম্ভব নয়। কিন্তু আমি এখন যে ঘটনার কথা বলব একবিংশ শতাব্দীর শুরুতে ঘটা সেই ঘটনা তা কিছুটা হলেও ১৯৭১ সালের সেই দিনগুলোর কথা মনে করিয়ে দিয়েছিল।

দিগন্ত বিস্তৃত ফসলের ক্ষেত, নদী নালা ও বিধৌত প্রকৃতির এক অনন্য লীলা ভূমি রামশীল ইউনিয়ন। গোপালগঞ্জ জেলাধীন কোটালীপাড়ায় ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী অঞ্চল হলো রামশীল ইউনিয়ন । ছোট একটি ইউনিয়ন যার আয়তন ৭২৩৩ একর । কাল পরিক্রমায় আজ রামশীল ইউনিয়ন শিক্ষা, সংস্কৃতি, ধর্মীয় অনুষ্ঠান, খেলাধুলা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার নিজস্ব স্বকীয়তা আজও সমুজ্জ্বল।

এটি কোটালীপাড়া উপজেলার উত্তর পূর্ব সীমান্ত হয়ে বরিশাল জেলার সাথে সংযুক্ত রয়েছে । রাজাপুর, রামশীল, খাগবাড়ী, জহরেরকান্দি, কবরবাড়ী, পহরেরবাড়ী, মুশুরিয়া, শৈলধর এই আটটি গ্রাম নিয়ে গড়ে উঠেছে এই ইউনিয়ন। কোটালীপাড়া থেকে রামশীল গ্রামের দূরত্ব প্রায় ১৫ কিলোমিটার। এই গ্রামের ৯৫% লোক সনাতন ধর্ম্যালম্বি। ২০০১ সালের ১ অক্টোবরের নির্বাচনের পর এই গ্রাম হয়ে উঠেছিল আরেক শরণার্থী শিবির। আশেপাশের এলাকার নির্যাতনের শিকার ২০ হাজার মানুষ আশ্রয় নেয় এই গ্রামে।

না! দরিদ্র এই মানুষগুলো তাদের কাছে আশ্রয়প্রার্থীদের দূরে ঠেলে দেয় নাই। বরং লঙ্গরখানা খুলে খাওয়ায় আশ্রয়প্রার্থী এই মানুষগুলোকে। বরিশাল এবং বাগেরহাট থেকে এসে বিএনপি জামায়াতের সন্ত্রাসীরা যাতে না হামলা করতে পারে সেজন্য গড়ে তোলা হয় ২১ সদস্যের কমিটি।

মূলত দুইটি জেলা থেকে মানুষ এসে আশ্রয় নেয় রামশীল গ্রামে। একটি বাগেরহাট এবং আরেকটি বরিশাল।

বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার কয়েকটি হিন্দু অধ্যুষিত গ্রাম জয়ঘা, চাঁদেরহাট, মাদারতলি, বুড়িগাংনি, বড়গাওলা, চাঘদা) আক্রান্ত হয়। এই সেই জায়গা যেখানে ২০০১ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঠিক আগে বাগেরহাট-১ (চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট) ও বাগেরহাট-২ (সদর-কচুয়া) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই শেখ হেলাল উদ্দিনের নির্বাচনী জনসভায় দূর নিয়ন্ত্রিত পেতে রাখা বোমার বিস্ফোরণে জনসভায় আসা আট জন নারী-পুরুষ নিহত হন। এর সাথে জড়িত ছিল হরতাকুল জিহাদ এবং বিএনপি জামায়াতের স্থানীয় নেতারা।

আর বরিশালের গৌরনদী, আগৈলঝাড়া, উজিরপুর থেকে শরণার্থীরা আশ্রয় নেয়।

এক কাপড়ে বের হয়ে যেতে হয়েছিল আক্রান্তদের। সাথে ছিল না টাকা পয়সা। কিন্তু রামশীলের মানুষ তাদের বের করে দেন নাই। বরং সাধ্যমত সহায়তা করেছেন। ভাগ করে খাবার খেয়েছেন। অনেকদিন আধাবেলা উপবাস করতে হয়েছিল। নির্যাতিতদের চিকিৎসাসেবা ছিল না বললেই চলে। সরকারী-বেসরকারী সাহায্যও তারা পায়নি।

২০০১ সালের ৪ অক্টোবর ঘরবাড়ি ছাড়া নির্যাতিত মানুষের ঢল আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যায়। হয়। মন্দির সেবায়েত নবীন চন্দ্র রায় জানান, গৌরনদী, আগৈলঝাড়া, উজিরপুর, বাগেরহাটের মোলস্নাহার এলাকা থেকে হিন্দু, মুসলমান, নির্বিশেষে হাজার হাজার নির্যাতিত মানুষ এই রামশীলে আশ্রয় নেয়। আশ্রিতদের মধ্যে অনেক মা-বোনই ধর্ষিত হয়ে এসেছে বলে তিনি নিশ্চিত হয়েছেন। এলাকার সকলে মিলে তাঁদের সাধ্যমতো সাহায্য করেছেন। আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে রামশীলের আশ্রয় গ্রহণকারীদের সাহায্য করে। একপর্যায়ে প্রায় প্রতিদিন ১৫/১৬ মণ করে চাল খরচ হয়েছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সে সময় ব্যক্তিগতভাবে টাকা-পয়সা দিয়ে সাহায্য করেন। এলাকাবাসীর ধারণা সব মিলিয়ে প্রায় ১৮ থেকে ২০ হাজার লোক আশ্রয় নিয়েছিল এই রামশীলে।

২০১০ সালের ১৭ এপ্রিল ২০০১ সালের নির্বাচনের পর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিশনের সদস্যরা রামশীল ইউনিয়ন পরিদর্শন করেন। তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান সাবেক জেলা ও দায়রা জজ মো. সাহাবুদ্দিন আহম্মদ, সদস্য শহিদুল ইসলাম ও মনোয়ার হোসেন রামশীল বাজারে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে নির্যাতিত ব্যক্তিদের আশ্রয় দিয়েছেন—এমন ১৪ জনের সাক্ষ্য নেন।

আশোক বৈদ্য কমিশনের সামনে এসে তাঁর অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করেন এভবে-"আমি ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি তবে শুনেছি পাকহানাদের নির্যাতনের কাহিনী। '৭১-এর নির্যাতন না দেখলেও জোট সরকারের সন্ত্রাসীদের ১ অক্টোবরের নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা দেখেছি। এ নির্যাতন যেন '৭১-এর নির্যাতনকেও অনেক ক্ষেত্রে হার মানিয়েছে। রামশীলে অনেক মা-বোনকে দেখেছি নির্যাতনের পর, অনেক শিশু খেতে পায়নি ঠিকমতো। আমাদের বাড়িতে প্রায় দুই শ' আহত ব্যক্তিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। অনেক ধর্ষিত মা-বোন আত্মহত্যা করতে চেয়েছিল। আমরা তাদের বুঝিয়ে নিবৃত করেছি। নির্যাতিত মানুষের অসহায় মুখ ও বোবা কান্নার রোল যেন আজও রামশীলের আকাশে-বাতাসে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে।"

স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে রামশীলে আশ্রয় গ্রহণকারীদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নিজ নিজ এলকায় ফিরে যাওয়ার জন্য চাপ দেয়া হয়েছিল। তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী রামশীল আশ্রয়কেন্দ্র পরির্দশনের কথা ছিল বলে এলকাবাসী জানায়। কিন্তু তিনি যাননি। ২০০১ সালের ১২ অক্টোবর তৎকালীন গোপালগঞ্জের ডিসি, বরিশালের ডিসি, এসপি আসেন রামশীলের আশ্রিতদের খোঁজখবর নিতে। তাঁরা আশ্রিতদের নিজ গ্রামে ফিরে যেতে বলেন। কিন্তু অবস্থা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে কেউই বাড়ি ফিরে যেতে রাজি হয়নি। কারণ এর মধ্যে যাঁরা বাড়ি যাওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিল তাঁরা পথিমধ্যে কেউবা মার খেয়েছেন, কেউবা সন্ত্রাসীদের তাড়া খেয়ে প্রাণ নিয়ে পালিয়ে এসেছে। তাই কর্তাব্যক্তিদের আশ্বাসের পরও তারা কেউ বাড়ি ফিরে যেতে রাজি হয়নি।

শেষ করছি অ্যালেন গিন্সবার্গের কালজয়ী সেপ্টেম্বর অন যশোর রোডের কিছু চরণ বলেঃ

শত শত চোখ আকাশটা দেখে, শত শত শত মানুষের দল,
যশোর রোডের দুধারে বসত বাঁশের ছাউনি কাদামাটি জল।
কাদামাটি মাখা মানুষের দল, গাদাগাদি করে আকাশটা দেখে,
আকাশে বসত মরা ইশ্বর, নালিশ জানাবে ওরা বল কাকে।
ঘরহীন ওরা ঘুম নেই চোখে, যুদ্ধে ছিন্ন ঘর বাড়ী দেশ,
মাথার ভিতরে বোমারু বিমান, এই কালোরাত কবে হবে শেষ।
শত শত মুখ হায় একাত্তর যশোর রোড যে কত কথা বলে,
এত মরা মুখ আধমরা পায়ে পূর্ব বাংলা কোলকাতা চলে।
সময় চলেছে রাজপথ ধরে যশোর রোডেতে মানুষ মিছিল,
সেপ্টেম্বর হায় একাত্তর, গরুগাড়ী কাদা রাস্তা পিছিল
লক্ষ মানুষ ভাত চেয়ে মরে, লক্ষ মানুষ শোকে ভেসে যায়,
ঘরহীন ভাসে শত শত লোক লক্ষ জননী পাগলের প্রায়।
রিফিউজি ঘরে খিদে পাওয়া শিশু, পেটগুলো সব ফুলে ফেঁপে ওঠে
এইটুকু শিশু এতবড় চোখ দিশেহারা মা কারকাছে ছোটে।
সেপ্টেম্বর হায় একাত্তর, এত এত শুধু মানুষের মুখ,
যুদ্ধ মৃত্যু তবুও স্বপ্ন ফসলের মাঠ ফেলে আসা সুখ।
কারকাছে বলি ভাতরূটি কথা, কাকে বলি করো, করো করো ত্রান,
কাকে বলি, ওগো মৃত্যু থামাও, মরে যাওয়া বুকে এনে দাও প্রান।
কাঁদো কাঁদো তুমি মানুষের দল তোমার শরীর ক্ষত দিয়ে ঢাকা,
জননীর কোলে আধপেটা শিশু একেমন বাঁচা, বেঁচে মরে থাকা।
ছোটো ছোটো তুমি মানুষের দল, তোমার ঘরেও মৃত্যুর ছায়া,
গুলিতে ছিন্ন দেহ মন মাটি, ঘর ছেড়েছোতো মাটি মিছে মায়া।
সেপ্টেম্বর হায় একাত্তর, ঘর ভেঙে গেছে যুদ্ধের ঝড়ে,
যশোর রোডের দুধারে মানুষ এত এত লোক শুধু কেনো মরে।
শত শত চোখ আকাশটা দেখে, শত শত শত শিশু মরে গেল,
যশোর রোডের যুদ্ধ ক্ষেত্রে ছেঁড়া সংসার সব এলোমেলো
কাদামাটি মাখা মানুষের দল, গাদাগাদি করে আকাশটা দেখে,
আকাশে বসত মরা ইশ্বর, নালিশ জানাবে ওরা বল কাকে।
ঘরহীন ওরা ঘুম নেই চোখে, যুদ্ধে ছিন্ন ঘর বাড়ী দেশ,
মাথার ভিতরে বোমারু বিমান, এই কালোরাত কবে হবে শেষ।
শত শত মুখ হায় একাত্তর যশোর রোড যে কত কথা বলে,
এত মরা মুখ আধমরা পায়ে পূর্ব বাংলা কোলকাতা চলে,
এত মরা মুখ আধমরা পায়ে পূর্ব বাংলা কোলকাতা চলে॥
অনুবাদ: খান মোহাম্মদ ফারাবী

তথ্যসূত্র এবং কৃতজ্ঞতাঃ
১। মুক্তিযুদ্ধে কত শরণার্থী মারা গেছে তার হিসাব নেই-কালিপদ হালদার, দৈনিক প্রথম আলো, ২১ জুন, ২০১৫।
২। তিরিশ লক্ষ শহীদ, বাহুল্য নাকি বাস্তবতাঃ শরণার্থী শিবিরেই মারা যায় কমপক্ষে ৭ থেকে ৯ লক্ষ মানুষ- আরিফ রহমান, মুক্তমনা ব্লগ, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৪।
৩। নির্বাচনোত্তর নির্যাতিত ২০ হাজার মানুষ আশ্রয় নেয় রামশীলে, দৈনিক জনকন্ঠ, ২০ জুন ২০১১।
৪। গোপালগঞ্জের রামশীলে আশ্রয়দাতাদের সাক্ষ্য নিল তদন্ত কমিশন, দৈনিক প্রথম আলো, ১৮ এপ্রিল, ২০১০।
৫। বাগেরহাটে শেখ হেলালের নির্বাচনী জনসভায় বোমা হামলা মামলা ॥ মুফতি হান্নানসহ ৪ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট, দৈনিক সমাজের কথা, ২১ অক্টোবর, ২০১৪।

একাকী মানব

ছবি: 
31/05/2007 - 2:46অপরাহ্ন

মন্তব্য

রানা মেহের এর ছবি

এই অসাধারণ সিরিজ চালিয়ে যাবার জন্য আমার আন্তরিক ধন্যবাদ গ্রহণ করুন। নীরবে, খুব বেশি লোকের অংশগ্রহণ ছাড়াই জরুরী একটা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন আপনি।
কিছু জিনিস যোগ করি, দেখুন কাজে লাগে কিনা।

১) আপনার এই সিরিজের একটা নাম দিয়ে ১,২ কিংবা শহরের নাম আলদা যুক্ত করে দিলে ভালো হয়। যেমন "ক খ গ -১" অথবা "ক খ গ - রামশীল"। এতে পুরো সিরিজ অনুসরন করা আর খু্ঁজে পাওয়া সহজ হবে।

২) প্রতিটা লেখায় আগের পর্বগুলোর লিংক দিয়ে দেবেন প্লিজ।

৩) আরিফ রহমান চমৎকার লেখেন, কিন্তু তার ব্লগকে সোর্স হিসেবে ব্যবহার করা যাবে কিনা আমি নিশ্চিত নই। তিনি তার ব্লগে নিশ্চই এই সংখ্যার একটা রেফারেন্স দিয়েছেন, সেটা দিলে ভালো হয়।

৪) লেখার তথ্যসুত্রের লিংক থাকলে আমরা পাঠকেরাও লেখাগুলো পড়ে আসতে পারি।

৫) সচলে ফুটনোট দেয়া খুব সহজ, আপনারো আলদা করে লেখার ঝামেলা বাঁচবে। যেই জায়গায় ফুটনোট দিতে চান সেখানে মাউস রেখে টুলবক্সের একদম ডানে 'ক' চিহ্নে ক্লিক করুন। আপনার লেখায় এফএন ট্যাগের ভেতর ফুটনোট দেয়ার জায়গা আসবে। ওখানে লিংক ইংবা তথ্যসুত্র বসিয়ে দিলেই মূল লেখা সেইভ করার পর ফুটনোট চলে আসবে। (আপনি এভাবে দেননি বলে ধরে নিয়েছি জানেন না। জানা থাকলে অহেতুক জ্ঞান দেয়ার জন্য স্যরি) হাসি

সিরিজ থামাবেন না। লেখা চলুক।

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।