দরজা চোর - ২

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ০৯/০৮/২০১৫ - ৩:০০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(আগের পর্ব)

(আগের পর্বের পর)

এমআইটিতে পড়ার সময় মানুষজনের সাথে বিভিন্ন রকম মজা করতাম। মেকানিক্যাল ড্রয়িং ক্লাসে আমাদের ফ্রেঞ্চ কার্ভ নামে একটা জিনিস ব্যবহার করতে হতো। জিনিসটা প্লাস্টিকের তৈরি, অনেকটা রুলারের মতো, ওটা দিয়ে কাগজে মসৃণ বক্ররেখা আঁকা যেত। একদিন একজন ক্লাসে একটা ফ্রেঞ্চ কার্ভ হাতে নিয়ে বলল, “আচ্ছা এই জিনিসটা কি কোনো বিশেষ সূত্র মেনে তৈরি করা হয়?”

এক মুহূর্ত ভেবে বললাম, “নিশ্চয়ই! সব ফ্রেঞ্চ কার্ভই একটা বিশেষ সূত্র মেনে চলে। এই দেখো”, বলে আমার ফ্রেঞ্চ কার্ভটা হাতে নিয়ে বললাম, “এই কার্ভগুলো এমনভাবে তৈরি যে এটাকে যেভাবেই ধরা হোক না কেন, এর সবচেয়ে নিচের বিন্দু দিয়ে একটা স্পর্শক আঁকলে সেটা সবসময় অনুভূমিক হবে।”

ক্লাসের সবাই তখন যার যার ফ্রেঞ্চ কার্ভ হাতে নিয়ে নানাভাবে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখতে লাগলো। এক একজন এক একভাবে ধরে তার সবচেয়ে নিচের বিন্দুতে পেন্সিল ধরে দেখছে। যারা সামান্য হলেও ক্যালকুলাস শিখেছে তাদের জানার কথা যে এটাই হওয়ার কথা - যেকোনো গ্রাফের সবচেয়ে নিচের বিন্দুতে তার মানের পরিবর্তনের হার হয় শূন্য, তাই ওই বিন্দুতে গ্রাফটা উপরেও ওঠে না, নিচেও নামে না। তাই ওখানে স্পর্শক আঁকলে সেটা অনুভূমিকই হবে, এতে অবাক হওয়ার কী আছে? কিন্তু ক্লাসের সবাইকে দেখলাম প্রায় নতুন কিছু আবিষ্কার করার মতোই উত্তেজিত। ওরা প্রত্যেকেই ক্যালকুলাস জানে, কিন্তু বাস্তব জীবনে তা প্রয়োগ করে না, ওটাকে কেবল কাজে লাগায় অঙ্ক কষতে। ওরা যে কী জানে, তা-ই ওরা এখনো জানে না। এরকম অনেকবারই দেখেছি। পড়াশোনা করতে গিয়ে মানুষ অনেক কিছুই শিখছে, কিন্তু শিখছে না বুঝেই, তাই সেটা কাজেও লাগাতে পারছে না।

বছর চারেক পরে যখন প্রিন্সটনে পড়ি, তখন এমন একটা কাজ করেছিলাম আইনস্টাইনের এক সহকারীর সাথে। তিনি অভিজ্ঞ লোক, আইনস্টাইনের সাথে মহাকর্ষ তত্ত্ব নিয়ে কাজ করছেন অনেকদিন ধরে। তাঁকে একটা সমস্যা দিলাম। ধরুন আপনি একটা রকেটে চড়ে সাঁই করে উড়ে গেলেন, রকেটে আপনার সাথে আছে একটা ঘড়ি। আর যেখান থেকে উড়ে গেলেন, সেখানে পৃথিবীতে আছে আরেকটা ঘড়ি। পৃথিবীর ঘড়িতে ঠিক একঘণ্টা পার হবে যখন, তখনই আপনাকে রকেট নিয়ে ফিরে আসতে হবে। এখন আপনার ইচ্ছা হলো এই এক ঘণ্টায় যতটা সম্ভব দূর থেকে ঘুরে আসা। আইনস্টাইনের তত্ত্ব অনুযায়ী মহাকর্ষ বল যত কম হবে সময় ততই দ্রুত এগোবে। এখন সময় যেহেতু নির্দিষ্ট, বেশি দূরে যেতে হলে খুব দ্রুতবেগে যেতে হবে, দ্রুতবেগের কারণে ঘড়িও ধীরে চলবে। আবার পৃথিবী থেকে যত দূরে যাবেন, মাধ্যাকর্ষণ কমে যাওয়ায় ঘড়ি দ্রুত চলবে, তাই বেশি দূরে যাওয়া যাবে না। তাহলে ঠিক কীভাবে কী করলে এই এক ঘণ্টায় রকেট নিয়ে সবচেয়ে উপরে উঠে আবার নেমে আসা যাবে?

লোকটা সমস্যাটা নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ চেষ্টা করার পর বুঝতে পারলেন যে সমস্যাটা আসলে আপেক্ষিকতার নয়, গতিবিদ্যার। কোনো কিছু ঠিক এক ঘণ্টা পর নিচে পড়বে এমনভাবে উপরে ছুঁড়ে দিতে হলে যে হিসাবটা আমাদের করার কথা, সেটা করলেই চলবে। কিন্তু যে সে জিনিসের কথা না বলে আমি যখন তাঁকে ঘড়িসহ রকেটের কথা বললাম, তিনি ভিতরের সহজ সমস্যাটা আর চিনতে পারলেন না। বুঝলাম শেখা জিনিস কাজে লাগাতে না পারার সমস্যাটা শুধু প্রথম বর্ষের ছাত্রদেরই হয় না, বড়দেরও হয়।

তৃতীয় কি চতুর্থ বর্ষে পড়ার সময় আমি এলাকার একটা রেস্টুরেন্টে প্রায়ই খেতে যেতাম। মাঝে মাঝে টানা বেশ কয়েক দিনও যেতাম। কাজেই ওখানকার মানুষজন আমাকে মোটামুটি চিনে ফেলল। একই ওয়েট্রেস প্রতিদিন আমাকে খাবার দিয়ে যেত।

খেয়াল করে দেখলাম, ওখানে সবারই খুব তাড়া। সবাই সারাদিনই দৌড়ের উপরেই আছে। একদিনে খাওয়া শেষে মাথায় শয়তানি বুদ্ধি চাপলো। আমি খাওয়া শেষে দশ সেন্ট বখশিশ হিসেবে রেখে যেতাম, দুটো পাঁচ সেন্টের পয়সা। তো ওই দিন আমি একটা পাঁচ সেন্টের পয়সা রাখলাম একটা গ্লাসের ভিতর, তারপর সেটা কানায় কানায় ভরলাম পানি দিয়ে। তারপর গ্লাসের মুখে রাখলাম একটা কার্ড। গ্লাসটা উপুড় করে রাখলাম টেবিলে, মুখ বন্ধ আর ভিতরে বাতাস নেই বলে পানি পড়লো না। তারপর একটানে কার্ডটা সরিয়ে নিলাম। গ্লাসটা ওভাবেই থাকলো। অন্য পয়সাটাও একইভাবে রাখলাম আরেকটা উপুড় করা পানিভরে গ্লাসের ভিতর।

যদি দুটো পয়সাই একই গ্লাসে রাখতাম, ওয়েট্রেস এসে তাড়াহুড়ায় গ্লাসটা টেনে ওঠাতে গিয়ে পানি ফেলে দিত, তারপর সেটা মুছে টেবিলটা আবার ঠিকঠাক করে রাখত। তাই দুটো পয়সা রাখলাম দুটো গ্লাসের ভিতর। প্রথম গ্লাসের পানি হয়তো ফেলে দেবে, কিন্তু তারপর আরেকটা গ্লাস নিয়ে ওরা কী করে সেটাই দেখার বিষয়।

চলে যাবার আগে ওয়েট্রেসকে বলেও গেলাম, “স্যু, সাবধান। আমার টেবিলে যে গ্লাসগুলো দিয়েছো না, ওগুলো একটু কেমন যেন। উপরের দিক বন্ধ আর নিচের দিকে খোলা!”

পরের দিন গিয়ে দেখি খাবার দিতে এলো নতুন এক ওয়েট্রেস। শুনলাম আগের ওয়েট্রেস আর আমাকে খাবার দিতে আসবে না। “স্যু ভীষণ রেগে আছে”, ওয়েট্রেস বললো, “কালকে প্রথম গ্লাসটা তুলতেই পানি পড়ে একাকার। তারপর স্যু আমাদের বসকে ডেকে আনলো। দুজন মিলে কিছুক্ষণ দেখেশুনে, চিন্তাভাবনা করেও কী করবে বুঝে উঠতে পারলো না, শেষে অন্য গ্লাসটাও তুলে নিলো। আবার মেঝেতে পানি পড়ে একসা! স্যু আবার পিছলেও পড়েছিলো তাতে। আপনার উপর ক্ষেপে আছে সবাই।”

শুনে হাসলাম।

ওয়েট্রেস বললো, “হাসির কী হলো? আপনি হলে কীভাবে কী করতেন বলুন তো?”

“আমি সোজা একটা স্যুপের বাটি নিয়ে আসতাম, তারপর বাটিটা টেবিলের কিনারে ধরে গ্লাসটাকে ঠেলে নিয়ে আসতাম ওটার উপর। পানিটা পড়তো বাটির মধ্যে, তারপর পয়সাটা তুলে নিতাম।”

“তা তো ঠিকই”, বললো ওয়েট্রেস।

সেদিন বখশিশের পয়সাটা রেখে এলাম টেবিলে, তারপর সেটা ঢেকে দিলাম উপুড় করা কফির কাপ দিয়ে।

পরদিন আবার এলো সেই নতুন ওয়েট্রেস।

“কাপ উপুড় করে রেখে গেছিলেন কেন?”

“ভাবলাম, তোমার এতো তাড়া, তার মধ্যেও উপুড় করা কাপ দেখে তুমি নিশ্চয়ই আবার রান্নাঘরে যাবে, স্যুপের বাটি আনবে, সেটা টেবিলের পাশে ধরবে, তারপর কাপটা আস্তে আস্তে ঠেলে আনবে ওটার উপর -”

“হ্যাঁ, সেটাই আমি করেছিলাম”, অনুযোগের সুরে বললো সে, “কিন্তু কাপে কোনো পানি ছিলো না!”

আমার সবচেয়ে বড় অপকর্মটি করেছিলাম আমার ফ্রেটার্নিটিতেই। একদিন ভোর পাঁচটায় ঘুম ভেঙে গেলো। ঘুম আসছে না দেখে ঘর থেকে বেরোলাম। বেরিয়ে দেখি কয়েকটা কাগজের বোর্ড সুতোয় ঝুলছে এখানে ওখানে, তাতে “কে নিলো দরজাটা?” ধরনের কথা লেখা। সিঁড়ি দিয়ে নামে এসে একটা ঘরের সামনে এসে দেখি ঘরটার একটা দরজা কব্জা থেকে খুলে নিয়ে গেছে কেউ, আর ওটার জায়গায় একটা সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়ে গেছে, তাতে লেখা “অনুগ্রহ করে দরজা বন্ধ করে দিয়ে যাবেন”।

দেখেই বুঝতে পারলাম ঘটনা কী। ওই ঘরে পিট বার্নেস নামে একজন থাকতো, সাথে আরও দুয়েকজন। ওরা সারাদিন পড়ত, আর হইচই বরদাশত করত না একেবারেই। কেউ কখনও কোনো কাজে ওদের ঘরে গেলে বেরিয়ে আসার সময় কেউ একজন অবধারিতভাবে চেঁচিয়ে বলত “দরজাটা বন্ধ করে দিয়ে যেও”।

তো বোঝা যাচ্ছে কেউ একজন এই ব্যাপারটায় অতিষ্ঠ হয়ে গোটা দরজাটাই ঝেড়ে দিয়েছে। ঘরটায় দরজা ছিলো দুটো। মাথায় দুষ্টবুদ্ধি চাপলো তখনই। অন্য দরজাটাও কব্জা থেকে খুলে নিয়ে গেলাম সিঁড়ির নিচে, বেসমেন্টে। সেখানে তেলের ট্যাংকের পাশে ওটা রেখে সোজা আমার ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়লাম।

তারপর সকালে একটু দেরিতেই ‘ঘুম থেকে উঠলাম’। ঘর থেকে বেরিয়ে নিচে এসে দেখি রীতিমতো হইচই লেগে গেছে। পিট আর তার বন্ধুরা দেখলাম একেবারে মুষড়ে পড়েছে। তাদের অনেক পড়া, কিন্তু ঘরের দরজা দুটো নেই, তাই তাদের খুবই মন খারাপ। সিঁড়ি দিয়ে আমাকে নামতে দেখেই জিজ্ঞেস করলো, “ফাইনম্যান! দরজাগুলো তুমি নিয়েছো?”

“হ্যাঁ, আমিই তো নিয়েছি”, বললাম আমি, “আমিই দরজা খুলে নিয়েছি। এই যে দেখো আমার আঙুলের গিঁটে যে দাগ পড়েছে না, দরজা খুলে যখন বেসমেন্টে নিয়ে যাচ্ছিলাম তখন দেয়ালে ঘষা লেগেছে।”।

ওদের চেহারা দেখে বুঝলাম যে আমার একটা কথাও ওরা বিশ্বাস করেনি।

প্রথম দরজাটা যে নিয়েছে তাকে ধরার একটা সূত্র পাওয়া গেলো, তার হাতের লেখা। সেটা দিয়ে তাকে খুঁজেও পাওয়া গেলো। আমার ধারণা ছিলো ওকেই অন্য দরজাটা সরানোর জন্য সন্দেহ করা হবে, হলোও তাই। বাকি সবাই মিলে তাকে চেপে ধরলো, একটু উত্তম-মধ্যমও দিয়েছিলো হয়তো। তারপর খুব কষ্টে তারা মেনে নিলো যে আরেকটা দরজা ও নেয়নি।

সব কিছু দেখলাম, মজাই লাগছিলো।

অন্য দরজাটা পরের পুরো সপ্তাহে আর খুঁজে পেলো না কেউ। ওই ঘরের বাসিন্দাদেরও সমস্যা হচ্ছিলো পড়াশোনা করতে। শেষমেশ একদিন রাতে খাবার পর আমাদের ফ্রেটার্নিটির সভাপতি বললো, “দরজা ছাড়া তো ওদের খুবই সমস্যা হচ্ছে। আমি নিজে যেহেতু দরজাটা খুঁজে বের করতে পারিনি, তাই আমি ব্যাপারটা মিটিয়ে ফেলতে কী করা যায় এ ব্যাপারে সবার কাছে থেকে পরামর্শ চাই। ওদের পড়াশোনার খুব ক্ষতি হচ্ছে।”

অনেকেই অনেক রকম পরামর্শ দিলো। একটু পরে আমি উঠে দাঁড়ালাম। “আচ্ছা ঠিক আছে”, একটু বাঁকা সুরে বলতে শুরু করলাম আমি, “দরজাটা যেই নিয়ে থাকো, আমরা মেনে নিচ্ছি, তুমি অসাধারণ। তোমার বুদ্ধির তুলনা নেই। আমরা কেউ এতদিনেও তোমাকে খুঁজে বের করতে পারিনি, কাজেই তুমি নিশ্চয়ই একজন সুপার-জিনিয়াস! তুমি কে তা আমাদের না জানলেও চলবে, আমাদের শুধু জানা দরকার দরজাটা কোথায়। কাজেই তুমি যদি দরজাটা কোথায় সেটা একটা কাগজে লিখে কোথাও রেখে দাও, আমরাও স্বীকার করে নেব যে তুমিই আমাদের মধ্যে সবচেয়ে বুদ্ধিমান, তোমাকে আর খুঁজে বের করতে যাব না। আমরা একবাক্যে মেনে নেব, তুমি এতই বুদ্ধিমান যে তুমি পুরো একটা দরজা সরিয়ে ফেলার পরেও আমরা সবাই মিলেও তোমাকে খুঁজে বের করতে পারিনি। কিন্তু ইশ্বরের দোহাই, দরজা কোথায় সেটা জানাও, আমরাও তোমার কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকি।”

আরেকজন বললো, “আমার মাথায় আরেকটা বুদ্ধি আছে। এখানে সভাপতির সামনে প্রত্যেকে আমাদের ফ্রেটার্নিটির নামে শপথ করে বলবে সে দরজাটা নিয়েছে কি নেয়নি।”

সভাপতির পছন্দ হলো বুদ্ধিটা। “ফ্রেটার্নিটির নামে শপথ!” বলে সে টেবিলের চারদিকে ঘুরে একে একে প্রত্যেকের কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করতে লাগলো।

“জ্যাক, তুমি কি দরজাটা নিয়েছো?”
“না, আমি দরজাটা নিইনি।”
“টিম, তুমি কি দরজাটা নিয়েছো?”
“না, আমি দরজাটা নিইনি।”
“মরিস, তুমি কি দরজাটা নিয়েছো?”
“না, আমি দরজাটা নিইনি।”
“ফাইনম্যান, তুমি কি দরজাটা নিয়েছো?”
“হ্যাঁ, আমিই দরজাটা নিয়েছি।”
“আহ, ফাইনম্যান! মশকরা করার সময় নয় এটা! স্যাম, তুমি কি দরজাটা নিয়েছো?...”

এভাবেই চলতে লাগলো। পুরো টেবিলটা ঘুরে আসার পর দেখা গেলো সবাই হতবাক। এখানে এমন একজন আছে যে ফ্রেটার্নিটির নামে শপথ করে মিথ্যা বলতে পারে!

সে রাতে আমি একটা কাগজে তেলের ট্যাংকের একটা ছবি এঁকে তার পাশে একটা দরজা এঁকে কাগজটা রেখে এলাম। পরদিন ওরা দরজাটা খুঁজে এনে লাগিয়ে দিলো যথাস্থানে।

এর কিছু পরে একসময় আমি স্বীকার করলাম সব, তখন সবাই আমাকে বললো মিথাবাদী। আমি কখন কী বলেছি তার কোনো কিছুই ওদের কারও মনে নেই। ওদের শুধু মনে আছে ফ্রেটার্নিটির সভাপতি প্রত্যেককে জিজ্ঞেস করেছে, কিন্তু কেউ স্বীকার করেনি। কী হয়েছিলো সেটা ওদের মনে আছে ঠিকই, কিন্তু কী বলেছিলাম সেটা বেমালুম ভুলে গেছে।

হ্যাঁ, ঠাট্টা-তামাশা আমি করি বটে, কিন্তু তাই বলে মিথ্যুক তো নই! কিন্তু এমনই কপাল, আমি সত্যি কথা বললেও মানুষ সেটা বিশ্বাস করে না!

- উদ্দেশ্যহীন


মন্তব্য

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

চলুক।

____________________________

অতিথি লেখক এর ছবি

চলবে, প্রোফেসর হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ হাসি

- উদ্দেশ্যহীন

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ হাসি

- উদ্দেশ্যহীন
(জবাবটা ভুলে আগের মন্তব্যে চলে গেছে)

এক লহমা এর ছবি

ভাল লেগেছে।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ হাসি

- উদ্দেশ্যহীন

আবদুর এর ছবি

সাথে আছি, চলতে থাকুক অবিরত

নিটোল এর ছবি

ফাইনম্যান এক ক্যারেক্টার ছিলেন বটে!

_________________
[খোমাখাতা]

অতিথি লেখক এর ছবি

অদ্ভুত ক্যারেক্টার! আমি বড় হলে ফাইনম্যানের মতো হব খাইছে

- উদ্দেশ্যহীন

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ হাসি

- উদ্দেশ্যহীন

তারেক অণু এর ছবি

এতদিনে পড়লাম, খুব ভালো।

বিজ্ঞানে ব্যবহৃত কিছু বাংলা প্রতিশব্দ বেশি খটমট লাগে।

অতিথি লেখক এর ছবি

কী সৌভাগ্য! বিশ্বব্রাজক তারেক অণুর মন্তব্য আমার লেখায়! ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম, পড়ার জন্য ধন্যবাদ হাসি

ইয়ে, কোন কোন প্রতিশব্দ খটমট লাগছে বলবেন? পরের লেখায় আরেকটু সচেতন হতাম তাহলে।

- উদ্দেশ্যহীন

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।