ব্রো কোড

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ১৪/০৮/২০১৫ - ৫:৪৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

২০০৬ বিশ্বকাপ আসন্ন। আতাতুর্ক স্কুল হোস্টেল।

হোস্টেলের ছাদে ব্রাজিলের মাঝারী সাইজের একটা পতাকা লেগে গেছে। আর্জেন্টিনার সমর্থকরা বসে থাকবে কেন! ব্রাজিলের পতাকার তিন-চারগুন সাইজের পতাকা নিয়ে তারা হাজির। আর্জেন্টিনার পতাকা সস্তা- এই অপরাধে ওরা ব্রাজিলিয়ানদের কাছে একদফা পঁচানী খেয়ে গেল। ক্যাম্পাসে পতাকা এসেছে দেখে ক্লাসের মাঝপথেই ক্লাসরুম থেকেই বাইরে বেরিয়ে এলেন আর্জেন্টিনার পাঁড় সমর্থক ইলিয়াস স্যার। স্যারের একটাই কথা- আর্জেন্টিনার পতাকা সবার উপরে থাকা চাই। কিন্তু বড় পতাকার সাথে এলো বড় ভেজাল। বাতাসের তোড়ে পতাকা উঁচু বাঁশের মাথায় বাঁধাই যাচ্ছিল না! স্যারের আবদার রাখা গেলনা। ছোট বাঁশের মাথায়ই ঝুলানো হল বিশাল পতাকা।

এদিকে নিজেকে স্পেন টিমের নব্য সাপোর্টার হিসেবে ঘোষনা দিয়ে ইতোমধ্যে বাকি সবার নিস্তরঙ্গ জীবনে এক পশলা বিনোদনের জোগান দিয়েছি আমি। জুনিয়র ব্যাচ থেকে জুনিয়র টিচার- কেউ মজা নিতে ছাড়লো না। মনে মনে রাউলের নাম জপতাম, আর একঘরে হয়ে যাওয়ার ভয়ে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা দু-দলের সাপোর্টারদেরই মন জুগিয়ে চলতাম।

বিশ্বকাপের সময় প্রায় চলেই এলো; দু-দলের সাপোর্টারদের মধ্যে ট্র্যাশ-টকের চালাচালি তুঙ্গে। ঠিক এমন এক উৎসবমুখর সময়ে হোস্টেলের প্রতিটা প্রাণীর মন ভেঙ্গে দিয়ে প্রিয় শিক্ষক হোস্টেল সুপার আহসান স্যার ঘোষণা দিলেন, শুধুমাত্র ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ম্যাচ আর শেষদিকের ম্যাচগুলা ছাড়া অন্য কোন খেলা দেখতে দেয়া হবেনা। সবাই হতাশ; আমি মহা-হতাশ। স্পেনের একটা খেলাও দেখা হচ্ছে না।

জাতির এমন ঘোর অন্ধকার সময়েই এই গল্পের নায়কের স্বরূপে আবির্ভাব! দুরন্তপনার জন্য এবং একের পর এক শাস্তিভোগের জন্য ব্যাচের বেশ পরিচিত মুখ যমজ ভাই জালু(জামিল) এবং শামসু(শাকিল)। ‘ব্রাজিল’- শব্দটা শুনলেই টার্ণড-অন হয়ে যায় দুজন (২০১০ বিশ্বকাপে ব্রাজিল বাদ পড়ার পর জামিল নাকি কিছুদিনের জন্য ভাত খাওয়া ছেড়ে দিয়েছিল!)। স্যারের আরোপিত নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দুজন ভয়ংকর এক কাজ করে বসলো! রাতের বেলা কোথা থেকে জানি ছয় ইঞ্চির একটা টেলিভিশন নিয়ে আসলো! যে হোস্টেলে ফজরের নামাজ ক্বাযা করার দায়ে প্রতিদিন শাস্তিভোগ করতে হতো, সেখানে এমন দুঃসাহস দেখানো সত্যিই অকল্পনীয় ছিল!

হোস্টেলে স্যারদের নিযুক্ত স্পাইয়ের অভাব নেই। অতএব বিশ্বস্তদের নিয়ে বসা হল বিশেষ মিটিং এ। আমাদেরতো খুশিতে চোখ ছলছল। ঝাপসা চোখে দুই বীর বন্ধুকে বিশেষ শ্রদ্ধার সাথে দেখছি। সিদ্ধান্ত হল আমরা বিশ্বস্ত কজনই খেলা দেখবো, জুনিয়রদের জানানো হবেনা। খেলা দেখা হবে জামিল-শাকিলের ডাবল বেডে। খেলা দেখা শেষে টিভি রাখা হবে আমার ট্রাঙ্কে। তথাকথিত সুশীল ছাত্র হিসেবে স্যারদের স্নেহভাজন হওয়ায় একমাত্র আমার রুমই চেকিং এর আওতামুক্ত ছিল কিনা!

শুরু হল বিশ্বকাপ। ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনার ম্যাচ সবাই মিলে হৈচৈ করে দেখি; বাকি ম্যাচগুলা জামিল-শাকিলের রুমে বাতি নিভিয়ে দেখি। নিরাপত্তা একেবারে নিশ্ছিদ্র। সামনের করিডর দিয়ে টিভি আনা-নেয়া করার তো প্রশ্নই আসে না! সুতরাং তিনতলার পেছনের ছোট ছোট ব্যালকনিগুলো দিয়ে বেশ বিপজ্জনকভাবে এক রুম এক রুম করে টিভি পাচার করা হতো। এরপর নিজ নিজ রুমের ছিটকিনি লাগিয়ে, লাইট নিভিয়ে, পেছনের ব্যালকনি দিয়ে সবাই জড়ো হতাম জামিল-শাকিলের রুমে। এ্যান্টেনা ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে নানা কসরত করে সিগনাল আনা হত। এবং সবশেষে বাতি নিভিয়ে সাউন্ড প্রায় মিউট করে শুরু হত খেলা দেখা। খেলা দেখা হবে, কিন্তু কোন আবেগ দেখানো চলবে না। গোলের সেলিব্রেশনও মনে মনেই চলবে, কোন টুঁ-শব্দ করা যাবে না!

প্রথম রাউন্ড চলছে। কোন অঘটন নাই। বিশেষ ভাবে মনে আছে আর্জেন্টিনা-সার্বিয়া ম্যাচটা। ম্যাচের আগে সার্বিয়ার শক্ত ডিফেন্স নিয়ে তুমুল হট্টগোল। ব্রাজিল সাপোর্টাররা 'Serbia till I die!' ভাব নিয়ে লাফঝাঁপ করছে। অথচ ম্যাচে আর্জেন্টিনা গুনে গুনে ছয় গোল দিয়ে দিল। ইলিয়াস স্যার কে আর পায় কে! আর্জেন্টিনার একেকটা গোল হয়, আর স্যার তার সহকর্মী ব্রাজিল সাপোর্টার স্যারদের ফোন করে খোঁজখবর নেয়া শুরু করেন।

গ্রুপস্টেজ শেষ হলো। নকআউট স্টেজে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই আমাকে অকুল পাথারে ভাসিয়ে দিয়ে স্পেন বাদ পড়ে গেল। হোস্টেল জীবন সাময়িকভাবে দুর্বিষহ হয়ে উঠলো। করিডর দিয়ে হাঁটাই দায় হয়ে পড়লো। যারা নগদে পঁচানী দিয়ে ছেড়ে দিলো তাদেরকেই বরং প্রকৃত বন্ধু মনে হতে লাগলো। কারণ বাকিরা মুখে কিছু বলেনা, খুব করুণ একটা দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে থাকে। যে দৃষ্টির অর্থ- "এই ছেলেটার মনে অনেক কষ্ট! একবুক কান্না চেপে রেখেছে সে। ওকে কিছু বলোনা।"। গা চিড়বিড় করতো ওইসব চাহনি দেখলে। অতএব অভিসম্পাত দেয়া শুরু করলাম। ধ্বংস হয়ে যাক ওদের ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা। দোয়া কবুল হতে বেশী সময় লাগলো না। মাত্র এক দিনের ব্যাবধানে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা বিদায় নিলো। হোস্টেলে নেমে এল শ্মশান নীরবতা। ব্যপারটা যতটা উপভোগ করবো ভেবেছিলাম ততোটা করতে পারলাম না। ইলিয়াস স্যার এবং জামিল-শাকিলের চেহারার যা অবস্থা দেখলাম তাতে তাদের পঁচাতেও মায়া লাগলো।

সবার বিশ্বকাপ সেখানেই শেষ। আমরা খেলা দেখা বাদ দিয়ে ভাড়া করে আনা হিট হিন্দি মুভি দেখা শুরু করলাম আমাদের সেই ছয় ইঞ্চি স্ক্রিনে। ধীরে ধীরে নিরাপত্তায় ঢিলেমী দেখা দিল। কোনো এক রাতে আমার ট্র্যাঙ্কে টিভি রাখা হলোনা। আর ঠিক পরদিনই স্যারদের হাতে ধরা পড়ে গেল টিভিটা।

তুলকালাম লেগে গেল। বিচার বসানো হলো। বেশিরভাগ পাপীই কোনরকম গল্প-টল্প ফেঁদে মোটামুটি অল্পের উপর দিয়ে পার পেয়ে গেল; শুধুমাত্র একজন ছাড়া।...... জামিল।

হোস্টেল সুপার আহসান স্যার আমাদের সবারই খুব প্রিয় একজন শিক্ষক। উনি আমাদের অগাধ বিশ্বাস করতেন। তাই তার সাথে এমন বেঈমানী উনি সহজে নিতে পারলেন না। ফলে সবার রাগ উনি জামিলের উপরই ঝাড়লেন। ডাইনিং বয় তহিদের কাছে আমরা পরে শুনেছিলাম, জামিল নাকি ১০৫ টা বেত পর্যন্ত দাঁড়িয়ে ছিল! যারা কখনও কাঁচা বেতের বাড়ি খান নি তাদেরকে আমি কিছুতেই এই বীরত্বের তাৎপর্যটা বুঝিয়ে বলতে পারবো না।

দুঃখের বিষয় হচ্ছে- সেদিন অনেক বেলা করে যখন ঘুম থেকে উঠলাম, এসব ঘটনার কোনো কিছুই তখনো আমি জানিনা! কারন বেশ প্রত্যক্ষ একজন দোষী হওয়া স্বত্বেও ওরা কেউ আমার নামটা বলে দেয় নি। যার ফলে হোস্টেলের তিনতলায় ঘুমন্ত সেই সুশীল ছাত্রটি আজো স্যারের কাছে সুশীলই রয়ে গেছে।

এখন অনেক সিনেমা-সিরিয়াল দেখি, সোশ্যাল মিডিয়া ঘাটাঘাঁটি করি। সেসবে নানারকম Bro Code দেখি, বন্ধুত্ব কেমন হওয়া উচিত তা নিয়ে নানা উচ্চমার্গীয় বাণী শুনি। দেখে-শুনে মনে মনে বলি, কুকুরী- অনুগ্রহ করো। ব্রো-কোড কি জিনিস সেটা অনেক আগেই দেখে-শিখে এসেছি।

[ আহসান স্যারের ব্যপারে একটু বলি। স্যারের মত এমন সাদামনের মানুষ আরেকজন খুঁজে পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ আছে। দোষ খুব গুরুতর না হলে উনি কখনই তার ছাত্রদের গায়ে হাত তুলতেন না। আর যদি বাধ্য হয়ে কখনো হাত তুলেই ফেলতেন, সেদিন স্যার প্রচন্ড মন খারাপ করে ঘোরাঘুরি করতেন। ছাত্র পেটানোর ব্যপারটা নিয়ে যাতে কোন ত্যানা পেঁচানো না হয় সেজন্য এই বাড়তি প্যারাটা লিখলাম। সেদিন দোষটা আমাদেরই ছিল। ]

আমার বন্ধু রাশেদ


মন্তব্য

গগন শিরীষ  এর ছবি

"কুকুরী অনুগ্রহ কর"- হাহাহা

অতিথি লেখক এর ছবি

চোখ টিপি

আমার বন্ধু রাশেদ

আলতাইর এর ছবি

১০৫ বেত?? অ্যাঁ
ভাই তো নমস্য ব্যাক্তিত্ব!! গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু
আমি জীবনে সেঞ্চুরী পার করতে পারি নাই।

অতিথি লেখক এর ছবি

সেঞ্চুরীর কাছাকাছি কখনো গিয়ে থাকলে আপনিও নমস্য ব্যাক্তি খাইছে

আমার বন্ধু রাশেদ

আলতাইর এর ছবি

সর্বোচ্চ ৯১। ওঁয়া ওঁয়া
তবে সেঞ্চুরিয়ান ৩-৪ জন ছিলো। আমার পাশেই বসতো। এবং এদের রোল নম্বর ১ থেকে ২০ এর ভিতরেই ছিলো!!!

অতিথি লেখক এর ছবি

#শ্রদ্ধা

আমার বন্ধু রাশেদ

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

যা কিছু বলার সব তো আপনিই বললেন, পাঠকের মন্তব্যের সীমাটাও ঠিক করে দিলেন। তো পাঠক আর কি মন্তব্য করবে? বড় জোর 'লেখা খুব ভালো হয়েছে' জাতীয় মন্তব্য ছাড়া।

পাঠকের সমালোচনা সহ্য করার ধৈর্য্য বা মানসিকতা যাদের নেই তাদের উচিত ছাপা পত্রিকায় লেখালেখি করা। ব্লগ তাদের জায়গা না।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

চলুক

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি এখানে নতুন। তাই পাঠকের যেকোনো সমালোচনাকে আমি স্বাগত জানাবো। আমি শুধুমাত্র চাইনি ( আমার লেখার বা বোঝানোর দূর্বলতার জন্য) কেউ আমার একজন অতি প্রিয় শিক্ষক সম্পর্কে খারাপ ধারণা করুক। হাসি

আমার বন্ধু রাশেদ

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

বিষয়টা সচলায়তনের নীতিমালা সংক্রান্ত নয় যে আপনি নতুন তাই আপনি সেটা জানবেন না। বিষয়টা আপনার attitude সংক্রান্ত। কোন পাঠক মন্তব্য করার আগেই আপনি তাদেরকে ত্যানা না প্যাঁচানো হুকুম দিয়ে রেখেছেন। এটা পাঠকের প্রতি চরম অবজ্ঞা প্রদর্শন। যারা পাঠকের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না, ব্লগ তাদের জায়গা না।

আপনি যদি আপনার শিক্ষকের ভূমিকা নিয়ে নিঃসন্দেহ থাকেন তাহলে পাঠকের সমালোচনাকে ভয় পাচ্ছেন কেন? আর কেউ যদি অসঙ্গত মন্তব্য করেন তাহলে পোস্টদাতাকে লাগবে না, অন্য পাঠকই সে ব্যাপারে যৌক্তিক উত্তরটা দিয়ে দেবেন।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি আমার লেখা লাইনটা আরো কয়েককবার পড়লাম। আমি আসলেই কোনো হুকুমের সুর খুঁজে পেলাম না। লাইনটা লেখার সময়ও আমার মনে হয়নি এটাতে পাঠককে আঘাত করছি; অন্তত সে উদ্দেশ্য আমার ছিলোনা! হ্যাঁ মানছি, "ত্যানা পেঁচানো" শব্দদুটি আরো মার্জিত করে লেখা যেত। কিন্তু স্রেফ স্বগতোক্তি টাইপ একটা লাইন ছিলো ওটা! এ লাইনটাই আমার অ্যাটিচিউডের সারমর্ম হয়ে যাবে তা আমি ঘুণাক্ষরেও চিন্তা করিনি!
সত্যি বলতে আমি আপনার অ্যাটিচিউড এ খুবই অবাক হচ্ছি!

আমার বন্ধু রাশেদ

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

কয়েকবার পড়েও আপনি যদি কিছু খুঁজে না পান তাহলে বলার কিছু নেই।

আর আমার attitude-এ অবাক হবার কিছু নেই। আমি মানুষটা এমনই।

এই আলোচনাটা এখানেই শেষ করছি। নয়তো এটা আসলেই ত্যানা প্যাঁচানো হয়ে যাবে।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

অন্যকে attitude নিয়ে জ্ঞান দিবেন, আর নিজের বেলায় "আমি মানুষটা এমনই" বলে দায় সেরে ফেলবেন- ব্যাপারটা বেশ hypocritical ।
বিদায়।

আমার বন্ধু রাশেদ

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

না, আমি ভন্ডামির কিছু করিনি। আপনার attitude-এর সমস্যাটা কোথায় সেটা আমি বলেছি। আপনি সেটা নিয়ে আলোচনা না করে সাফ বলে দিলেন আপনি কিছু খুঁজে পাননি। পক্ষান্তরে আপনি আমার attitude-এর সমস্যাটা কোথায় সেটা কিছু না বলে অবাক হয়েছেন বলে দায় সেরেছেন।

আমি আগে যে কথা একবার বলেছি সেটা আবার বলি - আপনি যদি আপনার শিক্ষকের ভূমিকা নিয়ে নিঃসন্দেহ থাকেন তাহলে পাঠকের সমালোচনাকে ভয় পাচ্ছেন কেন?


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

শাব্দিক এর ছবি

আপনার আগের লেখাও পড়েছি, আগের লেখাগুলোর চেয়ে এই লেখাটা কিছুটা দুর্বল মনে হয়েছে।
তবে লেখা চলুক অবশ্যই।

আর আগের লেখাগুলির লিঙ্ক লেখা শেষে জুড়ে দিলে একাউন্ট পেতে সুবিধে হবে।

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

অতিথি লেখক এর ছবি

আগের লেখাগুলো পড়েছেন এবং সেগুলো মনে রেখেছেন শুনে ভালো লাগলো। সামনে আরো ভালো লেখার চেষ্টা করবো হাসি
পরেরবার লেখার সময় আগের লেখাগুলোর লিঙ্ক দেয়ার কথাটা মাথায় রাখবো। আপাতত এখানেই লিঙ্কগুলো দিয়ে দিলামঃ
থিসিস ডে
লাদাখভ্রমণঃ লেহ
লাদাখভ্রমণঃ সারচু টু লেহ

আমার বন্ধু রাশেদ

তিথীডোর এর ছবি

ছাত্র পেটানোর ব্যপারটা নিয়ে যাতে কোন ত্যানা পেঁচানো না হয় সেজন্য এই বাড়তি প্যারাটা লিখলাম।

ইতিবাচক ত্যানা পেঁচানোর মুডই চলে গেল শেষটায় এসে। হো হো হো

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতিথি লেখক এর ছবি

হে হে খাইছে

আমার বন্ধু রাশেদ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।