নিঃশব্দে

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ১৫/০৮/২০১৫ - ১১:২৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ডিভিডি প্লেয়ার এ মৃদু সুরে বেজে উঠল রবীন্দ্রসঙ্গীত। তুমি কি কেবলই ছবি ----। আসাদের জন্য । নাপিত আসাদের চুলে কাঁচি ছোঁয়ানোর সাথে সাথে শুরু হল গানটা । তার পছন্দের দাম আছে । আগে এমনটা হত না। আসাদকে দেখলেই সে মোবাইল ফোনে ডাকত,” নিতাই দা, তোমার কাস্টমর।“

নিতাই দা কাঁপা হাতে চুল কাটতো । কাঁপুনির ব্যারাম । মাঝে মধ্যে চিরুনি হাত থেকে পরে যেতো । অবধারিত ভাবে পাশ মিলাতে পারতো না । অফিসে আসাদকে নাস্তানাবুদ করার জন্য নিতাই দা এর কাঁচিই ছিল যথেষ্ট হাতিয়ার ।

নিতাই দা মূলত কাটত শ্রমিক শ্রেণীর চূল-গোঁফ । সে আশে পাশে ঘুরে বেড়াতো । আর খদ্দের আসলে ফোন পেতো । এই শহরে পঞ্চাশ টাকার চূল-গোঁফের মিস্ত্রী !

আসাদ যেদিন বুঝতে পেরেছিল সেদিন ডায়লিং করার আগেই তাকে থামিয়ে দিয়েছিল । কাজ শেষে একশ ষাট টাকা হাতে দিতেই মোবাইল ফোনে তার নাম রেজিস্ট্রি করা হয়েছিল । এখন চুল কাটার সময় হলে নাপিত তাকে ফোন দেয় । আসাদ নিজের মনিটরে দেখতে পায়-
BARBAR BORUN

অফিসে যাওয়ার পথে চুল নিয়ে আর অস্বস্তি থাকে না । কিন্তু বাসে কনট্রাকটরকে রেগুলার বলে পাঁচ টাকা কম দিতে চাইলে ওমে বসা মুরগীর বিরক্তি নিয়ে বলে ,” যান তো নিজের ঠেকে, বেতন তো আর এক টাকাও কম নেন না ।“

হাফ ভাড়ার কার্ড দেখালে সীট থেকে উঠিয়ে দেয় । বলে ,” হালারা সবাইরে কার্ড দেছে “। বাস মালিকদের বোনরাই তাদের ঘরের বউ , তাহলে কার্ড ধারী দের কে কে তাদের আরও কি কি ! আসাদ চল্লিশ টাকা ভাড়া দেয়া শুরু করল ।

অফিসে চোখে পড়ার মত লম্বা চওড়া বস । ঘুসের অভ্যাস । স্বাস্থ্যে মাশাল্লাহ কলা গাছও খায় ! তার বিরুদ্ধে বলার সাহস আসাদের নেই । প্রতিষ্ঠানের বড় বসরা তার পকেটে । তাই সহকর্মীর বিদায় অনুষ্ঠানে সহকর্মীর গুনা গুন কিছু না বললেও বসের উদ্দেশ্যে বলতে হয় । প্রতিবার বক্তব্যের শুরু ও শেষে থাকে ,” আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি আমাদের বসের মত ভাল বস আপনি কোথাও পাবেন না । আমার দেখা শ্রেষ্ঠ বস ।“

এক রাতে হৈ হুল্লোড়ে আসাদ গেট পেরিয়ে রাস্তায় নামে । চোর ধরা পরেছে । তাকে বেঁধে রাখা হয়েছে রোড লাইটের আবছা আলো আসা মেহগনি গাছটার গোড়ায় ।

হাইওয়ের পাশে বড় গাছটার গোড়ার অ ঘোষিত টয়লেট ।
মার খাওয়ার লাইসেন্স প্রাপ্ত ।
হাত পা বাঁধা নোংরা চামড়ার চোর ।
যার সাথে পারা যায় ।

বিরক্তি এসে জমা হয় আসাদের পায়ের গোড়ালিতে । সুযোগ খোঁজে একটা লাথি দেয়ার জন্য । ভীর সলিড হয়ে আছে । উচ্চ শব্দ গ্রাস করে ক্ষীণ শব্দকে। ক্ষীণ শব্দ তার থেকে দুর্বল কে । একটা শোর গোল ।
একজন টোকাই । যদিও কেউ তা মানছে না । যার ব্যাগ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে প্লাস্টিকের বদনা । মারা হচ্ছে যা তারা দেখেনি তা জানার জন্য । একটা দুর্ধর্ষ কাল্পনিক গ্যাং !

হঠাত এক বৃদ্ধা নেমে এলেন পথে । বললেন , “ অনেক হয়েছে ।“
সাদা শাড়ি ।
চকচকে ছড়ি ।
মজবুত গড়ন ।
আর স্বর্গীয় কণ্ঠস্বর ।
দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য যা যথেষ্ট ।

যেন পড়তে পারলেন আড়ালে লুকান মুখ গুলর ভাষা । কয়েক ভরি সোনা নিয়ে সঙ্গীর পালানোর বানানো নাটক ।পুলিসের ভাগ আর নিজেদের টাও । সাথে ছিল গণপিটুনিতে মারার অধিকারের স্বপ্ন !

গুনগুন করে বেজে ওঠে “ এদেশে হাতে নাতে চোর ধরলেও তার পক্ষে লোক থাকে।“

মুখগুলো আড়াল করা । একজন বৃদ্ধের কাছ থেকে এবং অনেক গুলো সত্য থেকেও ।
একজন ক্ষমতা ধর বৃদ্ধা।
স্বর্গীয় নারী।
এবং যিনি ইভটিজিং এর আওতা বহির্ভূত ।

বৃদ্ধা বাঁধন খুলে দিলেন । ভীরের মধ্যে মিলিয়ে গেলেন নিজে এবং শিশুটিও ।

সকালে আসাদ ঘুম থেকে ওঠে বাসের কন্ট্রাক্টর আর অফিসে বসের কথা মাথায় নিয়ে । শো কেসে দাদীর শাড়িটা আর র‍্যাকে ছড়িটাও ঠিক জায়গায় আছে । বিছানায় স্বপ্ন দেখানো বিস্ময় ঘুম ঘুম চোখে তাকিয়ে আছে ।

সকালে নাস্তার টেবিলে সে খেতে দিলেন টোস্টটারে ছেঁকা পাউরুটি, ডিম ভাজি । জিজ্ঞেস করলেন ,” রাজনের খুনিদের কি শাস্তি হওয়া উচিত ? “

- রাজন কে ?

অফিসে যাবার তাড়া । টেলিভিশনে খবরের ভাঙ্গা অংশে ছদ্ম বেশে রোনালদোর ভিক্ষা ----।

রমণীর বিস্ময় !

এক জোড়া চোখে প্রমসনের আকাঙ্খা ।

------------
মনিরুজ্জামান লিংকন


মন্তব্য

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

ট্যাগে "ডিভিডি" কেন?

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তিথীডোর এর ছবি

ট্যাগ ধরতে পারিনি।
গল্পও বুঝিনি। আসলেই বুঝিনি। মোটামাথার পাঠক হলে সমস্যা আসলে।

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

তাহসিন রেজা এর ছবি

গল্প বুঝিনি

------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”

অলীক জানালা _________

মনিরুজ্জামান লিংকন এর ছবি

নিজের ভাল দিকটি শুধু চোখে পড়ে আর খারাপ দিকটি অন্ধকারে রয়ে যায়। অন্ধকারের কিছু উন্মুক্ত হলে ভাল লাগে। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

বাংলা ভাষায় লেখা একটা গল্প, পড়লাম এবং কিছুই বুঝলাম না। আমি আকাট নির্বোধ মানুষ না। সেটা হলে জীবনের এই পথটুকু পাড়ি দিতে পারতাম না, অনেক আগেই বাতিলের খাতায় চলে যেতাম। সুতরাং বাংলায় লেখা একটা গল্প না বোঝার মতো মুর্খ আমি নই। খামাখা সময় নষ্ট হবার জন্য বিরক্ত লাগছে।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

গগন শিরীষ  এর ছবি

গল্প পড়ে নিজেকে গাধা মনে হচ্ছিল।তিথীডোর, তাহসিন ভাই আর ষষ্ঠ পান্ডব ভাইয়ের মন্তব্যে কিছুটা আশা ফিরে পেয়েছি।

অতিথি লেখক এর ছবি

একজন লেখক তার স্বাধীনতায় অনেক কিছুই লিখতে পারেন, কিন্তু প্রকাশ করার স্বাধীনতা তো মডারেটরের ৷
সচলায়তনের মডারেটররা আরেকটু যত্নবান হবেন আশাকরি ৷

মরুচারী

অতিথি লেখক এর ছবি

গাঁজার নৌকা পাহাড় দিয়া যায়। তা ভাল।

মুক্তমন এর ছবি

গল্পের ভাষা অনেকটাই বিমূর্ত মনে হল৷ সহজ ভাষায় লিখলে ভাল হত ৷

অতিথি লেখক এর ছবি

গল্পটি ভাল লেগেছে। গল্পের জন্য নয়, যেভাবে গল্পটি বলা হয়েছে তার জন্য।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।