The most dramatic of Mom’s lessons, came one Sunday afternoon. One of our cats was behaving in an odd way. Mom had us all sit down by the cat while she explained the process of birth. After all the kittens has slipped safely out of the mother cat, Mom explained in great detail the wonder of life.from A Child Called 'It'
হেডমাস্টারমশাই ছেলেমেয়েদের বোঝাতে চাইতেন যে আসলে সমস্ত শরীরই সুন্দর। হেডমাস্টারমশাই চাইতেন যে ছেলেমেয়েদের নিজেদের শরীর নিয়ে কোন দ্বিধা, কোন লজ্জা যেন না থাকে, ওদের যেন কখনো নিজেদের ছোট বা দুর্বল মনে না হয়।
from তোত্তো-চান
I grew up in this large joint family where my dad and his younger brother lived together along with their wives and kids. I was the fourth out of us five siblings and my uncle had three kids.I was in my room, when the elder son of my paternal uncle whom I had always acknowledged as ‘Bhai’ (Brother) crept into my room and did stuff to me. I would rather not explain in detail but yes, he did everything. He was 10 years elder to me and I was just in 2nd grade.
from Rise for India
এটুকু পড়ার পর আসলে বুঝতে পারার কথা কি নিয়ে লিখতে যাচ্ছি। যৌনশিক্ষার প্রয়োজন আছে এবং সেটা শৈশব থেকেই। এ নিয়ে অনেক লেখাও হয়েছে। এই যেমন তারেক অণুর অথবা রাহনুমার লেখাটা। এরকম অনেক আছে। কিন্তু সিরিজ আকারে যৌনশিক্ষার ব্যাপারটা পাইনি। কিভাবে শেখাতে হবে, কতটুকই বা শিখাতে হবে ইত্যাদি। হয়তো লেখা হয়েছে কিন্তু আমার চোখে পড়েনি। সে আমার অজ্ঞতা, স্বীকার করে নিচ্ছি।
কয়েকদিন ধরে শিশুদের যৌনশিক্ষা নিয়ে মোটামুটি যুদ্ধ চালালাম। কয়েকটা বই পড়লাম। আমার সেটা শেয়ার করার কেন জানি ইচ্ছে হল। এর ফলে কেউ যদি আরো ভালো কিছুর সন্ধান দেয় তবে তো বেশ হয়।
বাচ্চাদের প্রথম প্রশ্ন জাগেই বোধহয় নিজের জন্ম নিয়ে। কিভাবে আমি আসলাম। এবং স্বভাবতই সবাই সৃষ্টিকর্তা বা হাসপাতালের উপর ব্যাপারটা চাপিয়ে দেয়। ব্যাপারটা আসলে আমার ভালোও লাগে। খুব-খুবই পিচ্চি একটা বাচ্চাকে এতো কিছু জানানোরই দরকার কি? এটাই যদি আপনি আপনার শিশুকে বলতে চান তবে আপনার জন্য Partly Cloudy মুভিটা বেশ সহায়ক। সুন্দর একটা মুভি।
কিন্তু ব্যাপারটা অনেকের ভালো নাও লাগতে পারে। এরমধ্যে এড়ানোর ব্যাপার আছে। আপনি যদি অবিশ্বাসী হন তাহলে তো এটা বলতেই চাইবেন না। আর আগে হোক পরে হোক সত্যিটা তো জানাতেই হবে।
Talking to children about sexuality feels overwhelming for most parents. Parents worry about saying too much or too little, or they are concerned about confusing their children. Many parents also feel that by telling their children about sex, they will plant sexual ideas in young minds and encourage experimentation. Still other parents assume that their children are too young or are not interested in this subject because they have not asked questions or shown any particular interest. Parents assume that this apparent lack of interest means the child is not ready, or, worse yet, does not need any information. But children do have questions. They may not know exactly what to ask; or, perhaps they sense their parents' hesitance to address questions. Both instances may cause the child to turn away from parents when dealing with the topic of sexuality. Therefore, it is your responsibility as parents to speak up. Do not let your own uneasiness or your child's silence get in the way of introducing the subject. Admit to your child that talking about sex may be embarrassing because it is such a sensitive and private topic; that may give both of you a common ground upon which to start a conversation. Keep in mind that you do not have to provide all the information at once. Just as other subjects, such as math or science, are learned in incremental steps, so is sexual education. Start out with the basic concepts, and then add to that foundation as your child gets older and is able to assimilate more detailed information.
পড়েছি Keys to Your Child's Healthy Sexuality। বাবা-মায়েদের জন্য লেখা বই। খুব ভালো একটা বই। এখানে আছে সেক্সুয়্যালিটি নিয়ে বাচ্চা বা টিনদের সাথে কিভাবে ডিল করতে হবে, ঠিক কিভাবে করতে হবে, বয়সভেদে কিভাবে পরিবর্তন আনতে হবে ব্যাপারগুলোয়। অনেক সময় হতে পারে তারা যেটা জিজ্ঞেস করসে আসলে সেটা জানতে চাচ্ছে না। আপনিই ভুল বুঝছেন আপনাদের দু'জনের বয়সের পার্থক্যের কারণে। যেমন এখানে একটা Case তুলে ধরা হল,
আনাড়ি হাঁপাতে হাঁপাতে আম্মুকে জিজ্ঞেস করছে, আম্মু, আম্মু আমি কোথা থেকে আসলাম? এদিকে মা তো ঘাবড়ে গেল। পিচ্চি এতই পিচ্চি যে এসময় তার এটা জিজ্ঞেস করার কথা না। আম্মু তখন ভিন্ন পথ ধরল, কি বলতে চাচ্ছো? কিছু তো বুঝিনি। তখন আনাড়ি বলল, ফুলকুমারি যে বলল সে কাজান থেকে এসেছে, আমি কোত্থেকে এসেছি?
এই হচ্ছে অবস্থা। এই বইটা খুব ভালো একটা বই এর শিশু লালন-পালনের ব্যাপারগুলোর কথা চিন্তা করলে। বাচ্চারা নানা ধরণের প্রশ্ন করে। আপনি হয়তো বিরক্ত হন। কিন্তু একবার চিন্তা করে দেখুন, আজ আপনি তাড়িয়ে দিলে কাল আর আপনার কাছে আসবে না। ভিন্ন কারো কাছে যাবে বা অন্য কোন সোর্সে উত্তর খোঁজার চেষ্টা করবে। সেটা যে তার উপযোগী তার নিশ্চয়তা কে দিবে? অতএব তাকে সময় দিন। ব্যস্ত হলে বলুন, সময় চেয়ে নিন। তাতে বাচ্চা নির্ভরতা খুঁজে পাবে।
লেখক নিজের মেয়ের কারিকুলাম দেখতে গিয়ে আবিষ্কার করলো সেটা খুবই অপ্রতুল। তার উপর একজন ছেলে পড়ানোয় তাঁর খুবই অস্বস্তি হতে লাগলো। তখন উনি ঐ স্কুলে পড়ানো শুরু করলেন। প্রচুর স্টুডেন্ট, অবিভাবকদের সাথে আলাপের সুযোগ পেলেন। প্রচুর পড়লেন। তার ফলস্বরূপ এই বই।
এই বই একটা বার্তা দেয়ার চেষ্টা করছে। আপনি আপনার বাচ্চাকে যা শিখাচ্ছেন যেমন ধরুন ঘরের কাজে লাগাচ্ছেন, খেলে আসার পর বলছেন গোসল করে এসো, আপনি আপনার পরিবারের, সমাজের রীতিনীতি, মূল্যবোধ, নৈতিকতা শিখাচ্ছেন; এসবই তার জীবন গঠনে কাজে লাগবে। সব সময়, এমনকি সে এসবের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তার সেক্স লাইফেও কাজে লাগাবে।
এই বই সম্বন্ধে বলতে গেলে আরো অনেক কিছু বলা যাবে। তারচেয়ে এটুকুই বলি, বাবা-মা আপনারা বইটা পড়ে দেখতে পারেন। ভালো, সত্যিই।
Where Did I Come From?। সবার আগে এটাই পড়েছি। ভালো লাগেনি। পুরোটা পড়িওনি। বাচ্চাদের হাতে বই তুলে দেবার আগে যেটা দেখা উচিৎ সেটা হচ্ছে এত ভাষা কি সংযত? আমার একটু খারাপ লেগেছে এটা পড়ে। কেমন জানি! বুঝাতে পারবো না ঠিক।
ঠিক এরকম পিচ্চিদের জন্য লেখা বইই পড়তে চেয়েছি আসলে। What Makes a Baby পড়ার খুব ইচ্ছে। একদিন পড়ে ফেলব। এর Trailerটা দারুণ লাগলো।
যে বইটা পড়ে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে সেটা হচ্ছে It's Perfectly Normal: Changing Bodies, Growing Up, Sex, and Sexual Health। ছোট্ট একটা প্রশ্ন দিয়ে বইটা শুরু। সেক্স শব্দের মানে কী? উপসংহারে আসা হল এভাবে, সেক্স মানে হচ্ছে পছন্দের মানুষের প্রতি এক ধরণের অনুভূতি, সেক্স মানে ইন্টারকোর্স, সেক্স মানে বাবা-মা হওয়া, সেক্স মানে তুমি ছেলে নাকি মেয়ে সেটা, সেক্স মানে আরো অনেককিছু। এবং সেক্স নিয়ে, নিজেদের শরীর নিয়ে কথা বলার মধ্যে যে কিচ্ছু অস্বাভাবিকতা নেই সেটাই পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে।
কিভাবে আসলাম এই একটা প্রশ্নের পর একটা সময় আসে যখন অনেকগুলো প্রশ্ন মনে জাগে। সময়টা বয়ঃসন্ধিকাল। এই বইয়ের সবচেয়ে সুন্দর দিক হচ্ছে এর কাউন্সেলিং। খুবই সহজভাবে বয়ঃসন্ধিকাল নিয়ে বোঝানো হয়েছে। হরমোনের প্রভাবে যে ছেলেমেয়েদের শারীরিক বিভিন্ন পরিবর্তন আসে সেটা যে কারো কারো আগেই আসতে পারে আর কারোর ক্ষেত্রে দেরিতে আসতেই পারে এবং ওর এরকম হচ্ছে আমারতো এরকম হচ্ছে না বা আমাকে সবাই ক্ষেপায় কেন এ নিয়ে, এগুলো নিয়ে যে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই সেটাই আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে। এই বইয়ের আরো একটা ভালো দিক হচ্ছে এর সহনশীলতা। এর LGBT 'র চ্যাপ্টারটা পড়লেই বোঝা যায়।
যৌনাঙ্গ নিয়ে বিস্তারিত আছে। এর বিভিন্ন অংশগুলোর পরিচিতি, এদের কাজ, শুক্রাণু-ডিম্বাণু আসলে কি, মেনস্ট্রুয়্যাল সাইকেল কি, এ সময়ে কি করতে হবে, মাস্টারবেশ্ন নিয়ে আছে, সারকামসিশ্ন আসলেই দরকার আছে নাকি নেই, এসময়টায় কিভাবে নিজের প্রতি যত্ন নিতে হবে ইত্যাদি। নানা রকম প্রচলিত কুসংস্কারকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করা হয়েছে। এ বইয়ে একটা কথা বারবার বলা হয়েছে, যদি তোমার মনে কোন প্রশ্ন আসে তবে বিশ্বস্ত কাউকে জিজ্ঞেস কর, সে হতে পারে তোমার বাবা, মা, তোমার ভাই বা বোন বা টিচার বা প্রতিবেশী। প্রশ্ন কর, মনের মধ্যে লুকিয়ে রেখোনা।
কিভাবে বাচ্চার জন্ম হয় সেটা বেশ বড় চ্যাপ্টার। আমার মনে হয় এত বড় চ্যাপ্টারের কোন দরকার ছিল না। বইটা ১০+ বছরের বাচ্চাদের জন্য লেখা। কতভাবে ইন্টারকোর্স করা যায় সেটা বলার কোন মানে হয় না। এবং আমার ধারণা এই কারণে অনেক বাবা-মাই বইটা তাদের বাচ্চাকে পড়তে দিবে না। ব্যাপারটা দুঃখজনক। ভ্যাজাইনাল বার্থ, ব্রিচ বার্থ, সিজারিয়ান বার্থ, ফোরসেপ বার্থ ইত্যাদি অনেক ধরণের বার্থ ব্যাখ্যার কোন দরকার নেই বলেই আমি মনে করি। অ্যাবোরস্ন নিয়ে মোটামুটি বড় একটা চ্যাপ্টার। আমেরিকার আইন নিয়ে আছে। এটাও দরকার নেই বলে মনে করি। কিন্তু যেটা বলার দরকার সেটা হচ্ছে, এই বইয়ের ভাষা সংযত। আর একটা ব্যাপার হচ্ছে মাস্টারবেশ্ন নিয়ে। এটা যখন Passion হয়ে দাঁড়ায় তখন কি ভালো? না, মোটেই না। মাস্টারবেশ্নের খারাপ দিক নিয়ে কিছু বলা হয়নি। এতো তথ্য দিল কিন্তু কোন কোন মেয়ে যে হাইমেন মেমব্রেন ছাড়াই জন্ম নিতে পারে তা বলা হল না কেন সেটা বুঝতে পারলাম না। ইন্টারকোর্স করলেই তো বাবা-মা হওয়া হয় না, নির্দিষ্ট সময়ে করলে হয়। সে বিষয়ে আরেকটু স্পষ্টভাবে বলা উচিৎ ছিল।
এই যে ইন্টারকোর্স নিয়ে বললাম, পরবর্তীতে আছে, যেভাবেই ইন্টারকোর্স করা হোক না কেন বিভিন্ন রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা কিন্তু রয়েই যায়। এই যেমন এইডস, হেপাটাইটিস, গনোরিয়া। সো আসলে ওটার দরকার ছিল বলেই মনে হয়। প্রতিকার, প্রতিরোধ, বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে বেশ ভালো রকমের লেখা আছে। সেটা বয়ঃসন্ধিকালের সমস্যা থেকে শুরু করে বাচ্চা নেয়া ঠিক হবে কি হবে না, সঠিক সময় কোনটা, জন্ম নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি ইত্যাদি। এইডস নিয়ে তো একটা চ্যাপ্টারই আছে।
চাইল্ড এবিউজিং নিয়ে আছে। একটু অসম্পূর্ণ মনে হল। দরকারি সব কথাই প্রায় আছে কিন্তু কি যেন নেই। বিশেষ করে যেটা বলতে হয়, এ বইয়ে প্রচুর তথ্য আছে সেই হিসেবে আমি এবিউজিং নিয়ে আরেকটু বেশি আশা করতেই পারি। তবে ভালো ব্যাপার হচ্ছে নেটে চমৎকার একটা লেখা পাওয়া যায়।
প্রযুক্তির খারাপ দিকটাও তুলে ধরা হয়েছে। Internet Safety। প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে যে অনেক সময় খারাপ কিছুর সাথে পরিচিত হয়ে যাচ্ছে সেটা রোখা যায় কিভাবে? এবং এর ফলে যে ভুল শিক্ষাও পাওয়া যাচ্ছে সেটাই বা দূর করা যাবে কিভাবে? এটা খুব চমৎকার একটা চ্যাপ্টার। এখানে যা লেখা আছে বিশেষ করে প্রাইভেসি নিয়ে সেটা অনেক সময় বড়দের মাঝেও দেখা যায় না। আফসোস।
এই ছবিটা বোধহয় পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর ছবি।
Internet Safety। এই যে যার তার সাথে সোশ্যাল নেটওয়ার্কে বন্ধু হচ্ছো আর মনের কথা সব বলে দিচ্ছো তা করা কি ঠিক হচ্ছে?
এই বইয়ের ছবিগুলো খুব সুন্দর। রঙ পেন্সিলের কাজ আমার মারাত্মক ভালো লাগে কি না! এই ধরণের বইয়ের ন্যুডিটি থাকবেই। কিন্তু কথা হচ্ছে সেটা কতটুকু? ওয়েল, অধিকাংশই ঠিকমত আছে। কিন্তু লেবার রুমে একজন মেয়ের টপলেস ছবি কিছুতেই গ্রহণযোগ্য না। দুইটা ছেলে মেয়ে ইন্টারকোর্স করছে, সেটা বোঝানোর জন্য কি কার্টুনের দরকার আছে?
যেটা আগেই বলেছি, বইয়ে প্রচুর তথ্য আছে। এই প্রচুর তথ্যের কারণে এটা বাংলাদেশের বাবা-মায়েরা তাদের ছেলে-মেয়েকে নাও পড়তে দিতে পারেন। সমস্যা এখানেই।
এটা বইয়ের শেষ কন্টেন্ট। সবাইকে পড়তে বলবো।
এই যে বইগুলো পড়লাম সবই ইংরেজি, সবই আমেরিকার। আরো কয়েকটা বই উলটে-পালটে দেখেছি। ওগুলোও একই। আমি বাংলা কিছু খুঁজছিলাম। এবং পেয়েও গেলাম। তুমি এখন বড় হচ্ছো। আমি সত্যিই আশা করিনি বাংলায় এতো চমৎকার বই থাকতে পারে। সেই ১৯৯৫ সালে একটা বই লেখা হয়ে গিয়েছে আর জেনেছি এখন! আমেরিকার সংস্কৃতির সাথে বাংলাদেশের সংস্কৃতির সুস্পষ্ট পার্থক্য আছে। এবং এ কারণেই ওসব বইয়ের প্রতি মানুষের এতোটা অনীহা কাজ করে। কিন্তু এ বই একেবারে দেশি। সো স্পেশালি এটার কথা বলতেই হয়। যেভাবে এটা লেখা হল সেটা জানতে ইচ্ছে হলে এখানে ঢুঁ মারতে পারেন। এবং এ বইয়ে কোন ধরণের ছবি নেই।
বয়ঃসন্ধিকালটা বড় বিচিত্র সময়। এ সময়ে বেশ ঘাবড়ে যায় অনেকে। বইয়ের শুরু মিতুর কথা দিয়ে। মিতু খুব দুশ্চিন্তায় আছে। সে খুব শখ করে তার বিবাহিত বোনের শাড়ি পরেছে। আর ওদিকে তার বান্ধবী বলেছে বিবাহিত মেয়ের শাড়ি পরলে নাকি প্রেগন্যান্ট হয়ে যায়। তো তাকে কে বলেছে? বলেছে তারই মা! এই হচ্ছে অবস্থা! আমার আসলে খুব হাসি পাচ্ছিল এটা পড়ে। কিন্তু ব্যাপার হচ্ছে এরকম কুসংস্কার প্রচলিত। আরো কিছু পড়তে পারেন এখান থেকে। (কোথা থেকে পেয়েছি মনে করতে পারছি না। দুঃখিত।)
এ বইয়ের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে এর সাইকোলজির দিকটা। আসলে শারীরিক দিকটার চেয়ে এটাকেই বেশি জোর দেয়া হয়েছে। এবং এ ব্যাপারটায় আমার ভালোও লেগেছে। ওগুলো বেশি থাকলে এ বই নিতে বা বাচ্চাকে তুলে দিতে অনেকের অনীহা কাজ করত বইকি! সেটা কি খুব ভালো হতো?
বয়ঃসন্ধি কালটায় মানুষ যে ছোট থেকে বড় হয়, এসময় যে অনেকেই খারাপ কিছুর সংস্পর্শে চলে আসে, অনেকেই নিজেকেই শ্রেষ্ঠ মনে করে, পরিবারের বাকীরা যেন কিচ্ছু নয়, অনেকের সেলফ রেসপেক্ট থাকে না ফলে খারাপ লোকের পাল্লায় পড়ে, অনেকে নিজের শরীরের প্রতি কৌতুহল বশত অনৈতিক কাজ করে ফেলে, এবং আরো আরো অনেক কিছু উঠে এসেছে। তোমার নিজের শরীরের প্রতি যত্ন নিতে হবে। ঠিকমতো খেতে হবে, পড়ালেখা করতে হবে ভালোমত, ক্যারিয়ার নিয়ে একটু-আধটু চিন্তা এখনই শুরু করে দাও না। তুমি হয়তো প্রেমে পড়বে, সেটা মোটেই দোষের কিছু না। কিন্তু আবেগ যেন কিছুতেই maturity লেভেলের উপরে না উঠে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। মোটকথা বইটায় কাউন্সেলিং ভালোভাবেই করা হয়েছে।
যৌন নির্যাতন নিয়ে লেখা চ্যাপ্টারটায় একটু ছোট সমস্যা আছে। বলা আছে, ছোটবেলায় পরিচিত ভাই বা বোন দ্বারা নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলে অনেকেই সমাকামি হয়েছে। সমকামি হওয়া কি এভাবেই? বইয়ের জেনেটিক্সের ব্যাপারটা আছে। সমকামিতা নিয়ে ওভাবেই বলা যেত। ওয়েল, পেডোফাইল আর সমকামিতা নিয়ে সুস্পষ্ট ধারণা দেয়া যায়নি বলে মনে হল।
ধূমপান আর মাদক সেবন নিয়ে বেশ ভালোভাবে আছে। সেই তুলনায় STDs নিয়ে কিছু না লেখাটা অসম্পূর্ণ মনে হল; যেখানে বলা আছে, যদি খুব বেশি ইচ্ছে জাগেই তবে ছেলেরা যাতে কনডম ইউজ করে আর মেয়েরা যাতে ফ্যামিলি প্ল্যানিং পিল খায়। ওয়েল এর পাশাপাশি যৌনরোগের ভয়াবহতা মাথায় ঢুঁকিয়ে দেয়াটা দরকার ছিল অবশ্যই। (বিদ্রঃ এই লেখাটা ছোট্ট একটা প্যারায় লেখা হয়েছে। এর আগে অনেক অনেকভাবে নৈতিকতা শেখানো হয়েছে।)
পর্নোগ্রাফি নিয়ে কিছু বলা হলো না কেন? এরকম ভয়াবহ একটা ব্যাপার নিয়ে কিছু লেখাটা দরকার ছিল।
আমি এই সেদিন আবিষ্কার করলাম শারীরিক শিক্ষা বইয়ে Sex Education আছে। আমার স্কুলে এটার কোন ক্লাস হতো না। রুটিনেই ছিল না। পঞ্চাশ নাম্বারের পরীক্ষা হতো। তো সেটা কি রকম? শেষ পরীক্ষার দিন সবাই লাইনে দাঁড়াতাম। CR হাতের নখ পরীক্ষা করতো। যার নখ কাঁটা আছে সে পেত পঁচিশ আর বাকীরা পেত বিশ। এই হচ্ছে অবস্থা। ক্লাস সিক্স এ জানতাম না বলে বই কিনেছিলাম, এরপর তো আর কিনিই নি।
কিন্তু যেসব স্কুলে পড়ানো হয় তাদেরই বা কি অবস্থা? আমার এক বন্ধুর বক্তব্য বলি, মেয়েদের স্কুল, মেয়ে টিচার, উদ্দিষ্ট চ্যাপ্টার দেখে বললেন, এখান থেকে কোন প্রশ্ন আসবে না, দুই-এক টা শূন্যস্থান পূরন আসতে পারে।
তো তারমানে অবস্থা ভালো না। কিন্তু আমি আমার ওই টিচারের কথা ভুলবো না যিনি কিনা ইন্টারের Zoology পড়ানোর সময় ঠিকভাবে Sex Education দিয়ে দিয়েছেন। এবং উনি পড়ানোর সময় বলেছিলেন, অনেকেই তো ছেলে-মেয়েদের আলাদাভাবে পড়ায়। তারমানে ছেলেদের এমন কিছু জানাচ্ছে যা মেয়েদের জানাচ্ছে না, একইভাবে বিপরীতটাও ঘটছে। কিন্তু তা কি ঠিক? বইটা কি আলাদাভাবে লেখা হয়েছে? আবার অনেকে তো পড়া-ই না। তো উনার কাছে যারা পড়েছে বা যারা পড়বে তারা কেউই ভুল শিক্ষা নিয়ে যাবে না এটুকু বলতে পারি।
তো এই যখন অবস্থা তখন পড়লাম How Should Sex Education Be Taught in Schools?। আমেরিকার শিক্ষাব্যবস্থার সাথে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা কোনভাবেই মিলবে না। Moreover, আমেরিকায় Sex Education অন্তর্ভূক্ত হয়েছে ১৯২০ সালে। যেখানে বাংলাদেশে এই সেদিন। কিন্তু আমি একটা ব্যাপার মিল পেয়েছি সেটা হচ্ছে ওখানেও মতভেদ আছে। সঠিক ব্যবস্থা কোনটা তা ঠিক করতে পারছে না সবাই মিলিত হয়েও। এক-এক স্কুলে এক-এক রকম। বিভিন্ন অবিভাবকের বিভিন্ন মত। কেউ সমকামিতাকে প্রাকৃতিক ব্যাপার হিসেবেই দেখছে আর কেউ ধর্মীয়ভাবে দেখছে। (এরকম আরো অনেক কিছু।) কনফ্লিক্ট আসলে সবখানেই।
It's Perfectly Normal পড়ার সময় আমার ধারণা ছিল ১০+ বাচ্চার এতো কিছু জানার কি দরকার? কিন্তু এ বইটা পড়ে আমার সে ধারণার পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। আমেরিকার টিন-এজদের Sexual Behavior এর অবস্থা ভয়াবহ। একটা কথা মনে রাখতে হবে ১৯২০ সালে স্কুলে যৌনশিক্ষার প্রবর্তন হয়েছিল কিন্তু মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়া গনোরিয়ার কারণে। এবং STDs এর অবস্থা কিন্তু এখনও ভালো না। বইটা খুব সাম্প্রতিক কালের। ২০১২ সালের। টিনদের মধ্যে প্রেগন্যান্সির হারও বেশ উদ্বেগজনক। ঠিক এ কারণেই শিক্ষাব্যবস্থার প্রধান ডিবেট হচ্ছে Abstinence VS Contraception। কোনটার উপর জোর দেয়া হবে? এবং এদের সচেতনতার যে কি ভয়াবহ অবস্থা তা বোঝা যায় এক টিন-এজ মায়ের বক্তব্য পড়লে। বলছিল Breast Feeding নিয়ে। সে বলছিল, দিনে চারবার খাওয়ালেই হয়। তখন ইন্টারভিউয়ার বলল, তাদেরকে প্রতি দু'ঘন্টায় খাওয়ানো উচিৎ। তখন সে অবাক হল আর বলল, ওহ হো, সে তো অনেক বেশি হয়ে যায়!
তো এই হচ্ছে অবস্থা। কোন কোন স্কুলে Two Weeks of Parenthood প্রোগ্রাম/কোর্স চালু করা হয়েছে। ব্যাপারটা হচ্ছে, দুই সপ্তাহের জন্য স্টুডেন্টদের একটা পুতুল দেয়া হয়। প্রোগ্রাম করা। পুতুলটার যত্ন নিতে হবে, একে খাওয়াতে হবে, এর ডায়াপার পরিবর্তন করতে হবে, সময়মত ঘুম পাড়াতে হবে, খেলতে হবে এর সাথে। মানে সত্যিকারের বাবা-মার মত ব্যবহার করতে হবে। এখন একে যদি ঠিকমত খাওয়ানো না হয় তবে এ কান্না শুরু করে দিবে, দিন-রাত তার জন্য কোন ব্যাপার না। তখন খাওয়াতে হবে মানে মুখে চাবি দিতে হয়। এবং এটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত রাখতে হয়। যদি এর আগেই খুলে ফেলে তবে আবার কান্না শুরু করে দিবে। (আমি কোডিং করলে ডলারের ব্যবস্থা করতাম। বাবা-মা হওয়ার যে টেকাটুকার চিন্তাও করা লাগে সেটাও একটু বুঝুক!)
সো উপসংহার হচ্ছে, শিক্ষাব্যবস্থায় যৌনশিক্ষার দরকার আছে এবং সেটা ঠিকটাক পড়াতেও হবে।
জীবনের একটা সময় থাকে যখন বাচ্চারা বাবা-মা ছাড়া কোন কিছু কল্পনাই করতে পারেনা। কিন্তু ধীরে ধীরে এর পরিবর্তন হয়। অনেকে তো বাবা-মার কথা মেনে চলাকে হীনমন্যতা মনে করে। তো এটাই যখন সত্যি তখন বাবা-মা রা আপনারা কেন আপনাদের সন্তানদের ঠিকটাক শিক্ষা দিয়ে দিবেন না সময়মতো। সময় কিন্তু বসে থাকবে না। আশেপাশে পশু ঘুরে বেড়াচ্ছে, সেক্সচুয়াল অবজেক্টিফিকেশন১, আধুনিকতার নাম দিয়ে অনেক কিছু হচ্ছে মিডিয়ায়, ইন্টারনেট বসে আছে পর্নোগ্রাফি নিয়ে। খুবই ভয়াবহ অবস্থা! Keys to Your Child's Healthy Sexuality বইয়ে একটা কথা আছে, সবাই, সবকিছু যখন আপনার সন্তানকে প্রভাবিত করছে তখন আপনি কেন তাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করবেন না? Start something. Don't think that it's too late. Remember, Better late than never.
পুনশ্চ১ঃ মেয়েদের সেলফ ডিফেন্স নিয়ে কোন বইয়েই কিছু পেলাম না। হতাশা!
পুনশ্চ২ঃ আমার কোন বই ভালো লাগলেই জনতাকে পড়ানোর চেষ্টা করি। একটা প্লাটফর্ম পেলাম। সুযোগ হাতছাড়া করবো কেন?
১. Letter to a Child Never Born। এর অনুবাদও আছে। তবে কিছুটা সংক্ষিপ্ত। হাত বাড়িয়ে দাও নামে।
- ইমতিয়াজ।
মন্তব্য
এত চমৎকার একটা লেখায় এখনো মন্তব্য নেই? গুডরিডসের লিংকগুলোর জন্য ধন্যবাদ। সবগুলো "পড়তে চাই" তালিকায় উঠিয়ে রাখলাম আপাতত। বাংলাতে ছবি সহকারে যৌনশিক্ষার সুন্দর চার্ট তৈরি করা দরকার বিভিন্ন বয়সীদের উপযোগী করে।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
কেউ না কেউ একদিন কাজটা করবে এই আশা রাখছি।
- ইমতিয়াজ!
Letter to a Child Never Born বইটার বঙ্গানুবাদ পড়েছিলাম অনেক আগে। বইয়ের লিস্টগুলো নিয়ে রাখলাম। পড়ার ইচ্ছা রাখলাম।
ফাহমিদুল হান্নান রূপক
আমার মেয়েকে বলি বইটাও পড়ে ফেলবেন। খুব ভালো বই, বিশ্বাস করেন।
- ইমতিয়াজ!
চমৎকার লেখা। নিজের বয়ঃসন্ধির কথা ভাবলে এখনও অবাক হয়ে যাই, আমার প্রচণ্ড বন্ধুত্বপূর্ণ মা-ও কেমন বদলে গিয়েছিল তখন। মা মনে হয় এখনও ভয়াবহতাগুলো বুঝতে পারে না কিন্তু আমি তো পারি। ধন্যবাদ, লিংকগুলোর জন্যও।
আপনার কথাটা আমি আসলে ঠিক ধরতে পারিনি। ভয়াবহ কেন?
- ইমতিয়াজ!
বেশ ভয়াবহ অভিজ্ঞতা আছে আমার পিরিয়ড হবার অভিজ্ঞতা নিয়ে এবং মা তখন সেভাবে সাহায্য করেনি, হয়ত করতে পারেনি। মা শিক্ষিত, চাকুরিজীবী এবং আমাদের বন্ধুও। তবু মা কী একটা অজানা কারণে আমার দশ বছর বয়সেই পিরিয়ড হওয়ার বিষয়টা নিয়ে খুব বিরক্ত ছিল এবং আমি অনেক বেশি অস্বাস্থ্যকর সময় কাটিয়েছি সেই সময়ে। মাঝে মাঝে ভয়ে থাকি আমার হয়ত কোনোদিন অনেক বড় অসুখ হবে, অনেক বড়। স্মৃতিগুলো খুব ভয়া্বহ, বর্তমানটা এলোমেলো করে দেবার জন্য যথেষ্ট।
দুঃখিত আপু। ভালো থাকবেন সবসময়।
- ইমতিয়াজ!
ওয়েল ডান ইমতিয়াজ!
আমি নিজে একজন টিনএজারের বাবা। আমি এই ব্যাপারে বাচ্চাকে পড়তে দেবার মতো বই খুঁজে খুঁজে হয়রান। কিছু বই আছে যেগুলোর ভাষা, বিষয়বস্তু এবং চিত্র যথাযথ নয়। কিছু বই আছে যেগুলোর কনটেন্ট পড়ে মাথামুন্ডু কিছুই বোঝা যায় না। কিছু বই আছে যেগুলো আমাদের সংস্কৃতির সাথে যায় না। আর কিছু বই আছে ভুলভাল কথায় ভরা। একই সমস্যা ভিডিওগুলো নিয়েও। অথচ বেঠিক শিক্ষা দেবার উপকরণ বা ভুলপথে নিয়ে যাবার উপকরণ চারপাশে ছড়িয়ে আছে।
এই ব্যাপারে পাঠ্যপুস্তক আর বিদ্যালয়ের ভূমিকার কথা বলে লাভ নেই। শিক্ষকগণের নিজেদের মানসিকতা ও ধারণার পরিবর্তন না হলে কিছুই হবে না।
খাদে না পড়লে নাকি শিক্ষা হয় না। আমরা অতল খাদে পড়ে আছি, তবু আমাদের শিক্ষা হয় না।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আপনি যদি আপনার পড়া বই বা যেসব এলিমেন্ট দেখে/পড়ে হয়রান হয়েছেন তা নিয়ে লিখতেন তবে ভালো হতো। Specifically point by point. কেন? তাতে অনেকের সময়-টময় বেঁচে যেত। হয়তো আপনি যে কারণে কোন একটা বই বাতিল করেছেন ঠিক একই কারণে অন্য একজনও তার বাচ্চাকে সেটা দিবে না। ব্যাপারটা কি তাতে ভালো হবে না? তাহলে সে অন্য কনটেন্ট এর পেছনে সময় ব্যয় করতে পারবে।
স্কুলে Sex Education নিয়ে আসলে আমি মোটেই ভাবিত নয়। যে দেশে যৌন নিপীড়নকে হালকাভাবে দেখা হয় সে দেশে এটা ইনক্লুড হবে তাও আবার ভালোভাবে পড়ানো হবে তা আশা করি কি করে?
- ইমতিয়াজ।
আমার কাছে মনে হয়, বাংলাদেশে বিদ্যমান সংস্কৃতিতে শিশুদের জন্য যৌন শিক্ষার বিষয়টা অনেকটাই সাবজেকটিভ। তবে এর একটা নূন্যতম অবজেকটিভ পার্ট থাকতে হবে। আর সাবজেকটিভ পার্টে ভুলভাল কিছু বা অবৈজ্ঞানিক কিছু যেন না থাকে তার ব্যবস্থা থাকতে হবে। এই কাজটা বিশেষজ্ঞদের। তাঁরা এই দুইটা পার্টের সীমা, কনটেন্ট, ম্যাটেরিয়াল ইত্যাদি ঠিক করে দেবেন, স্কুলের শিক্ষক অবজেকটিভ পার্ট আর বাবা-মা সাবজেকটিভ পার্ট শেখাবেন। আমি এই বিষয়ের বিশেষজ্ঞ না, তাই আমি বিস্তারিত কিছু বলতে অক্ষম।
আমি বাংলাদেশে শিশুদের যৌন শিক্ষা নিয়ে একেবারেই আশাবাদী না। এই দেশে প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী লাভ করে, কিন্তু শিক্ষিতের হার প্রতিদিন কমতে কমতে এখন ভগ্নাংশ শতাংশের হারে চলে গেছে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ধাম ধাম করে শরীর ও মনে বাড়তে থাকা একটা ছেলের বাবা আমি। কঠিন একটা সময়।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
বাবা হিসেবে সময়টা মনে হয় কঠিনই। এ আমার ধারণার বাইরে।
- ইমতিয়াজ!
সাবাশ!
দৌড়ের ওপর আছি, শুধু পাঁচ তারা দেওয়ার জন্য লগিন করলাম। জরুরি বিষয়ে এতো খেটে লেখাটা যেটা ডিজার্ভ করে।
কিপিটাপ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
তিথীপ্পু দেখি অনেক ভালো! দৌড়াতে দৌড়াতেও পাঁচ তারা দিয়ে দেয়! ^_^
বেশিরভাগ খাটুনি গুডরিডস এর কারণে হয়েছে। বইগুলো অ্যাড করতে গিয়ে অনেক কষ্ট হয়েছে। ঈশ, সচলের সাথে যদি গুডরিডস এর ডেটাবেইজের লিংক থাকতো!
ইয়ে মানে, বানান গুলো দেখে দিয়েন তো। শাড়ি বানানে ই-কার হবে এটা দেখার জন্য বাংলা একাডেমি প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম বইটা দেখতে হল। অবিভাবক বানান নিয়ে confusion এ ছিলাম। কয়েকটার ক্ষেত্রে তো জানিই না কোন বানানটা ঠিক!
- ইমতিয়াজ!
চমৎকার। আপনার লেখাটা পড়েই আমার বাচ্চাদের এই বিষয়ক কিছু টুকরো কথা জুড়ে দিয়ে একটা লেখা পোস্ট দিলাম, প্রথমে ভেবেছিলাম মন্তব্যতে দিবো, কিন্তু পরিসর বড় হওয়ায় আলাদা করে দিলাম। থ্যাংকস, আমি ঠিক এইসব নিয়েই ইচ্ছেঘুড়ি লিখতে চাচ্ছি।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
সচলে বহু বছর আগে শিশুপালন নিয়ে পোস্ট এসেছিল। মারাত্মক ভালো ছিল সেটা। ওইরকম আরো কিছু আশা করতেই পারি আমরা জনগণ। মানে আরো অনেক কিছুতে, আরো বিভিন্ন টপিক আসবে, এবং স্বভাবতই আসবে Sex Education। আপনি শুরু করেছেন সেজন্য খুব ধন্যবাদ।
বিদ্রঃ আমি আসলে জাস্ট বলার জন্য বলেছি, মানে আপনার পোস্টের সাথে ওই সিরিজের তুলনা-টুলনা আসলে করিনি। মাইন্ড-টাইন্ড করবেন না কিন্তু।
- ইমতিয়াজ!
না, মাইন্ড করবো কেন? সচলের অনেক বন্ধুর উৎসাহ নিয়ে আমার দুর্বল লেখাগুলো এগিয়ে চলে। আমিও শিশুপালন পোস্টের খুব ভক্ত। মাইন্ড করবো ভেবে আমার লেখা সমালোচনা করা থেকে দূরে থাকবেন না, আমি তাতে ঠকবো।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
খুবই ভাল লাগলো, পরিশ্রম করে লিখা। বুকমার্ক করে রাখলাম। আপাতত দৌড়ের উপর আছি, পরে এসে কিছু সংযোজন করে যাওয়ার চেষ্টা করবো। থামবেন না, আগ্রহ নিয়ে শুরু করেছেন, এই বিষয়টি নিয়েই লিখতে থাকুন, দরকার আছে।
ব্রেকিং দ্য সাইল্যান্স থেকে বেশ কিছু বিষয় নিয়েছেন দেখে ভাল লাগলো। ‘উইন্ডো মেথড’ (শরীরের সীমানা) খুবই কাজে দেয়, এই সীমানা সম্পর্কে জানা এবং এর প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারাটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ।
লিখতে থাকুন
দৌড়াদৌড়ির শেষের অপেক্ষায় আছি। ইয়ে আপনার একটা কথা বুঝতে পারিনি। আপনি কি Breaking the Silence বইটার কথা বলছেন? ওটা আমি পড়িনি। তবে দেখে মনে হল পড়া উচিৎ। নাকি এর সাধারণ অর্থ বুঝিয়েছেন? সেক্ষেত্রেও বুঝিনি।
- ইমতিয়াজ!
"ব্রেকিং দ্য সাইল্যান্স" বুঝেছি,বুঝেছি।
দারুন লিখেছেন। মাত্র কিছুদিন আগে আমি পারফেক্টলি নরমাল বইটা লাইব্রেরি থেকে এনে আমার ১০ বছরের ছেলেকে পড়িয়েছি এবং এটা নিয়ে কিছু আলোচনাও করেছি। ইংরেজিতে প্রচুর বই আছে এ নিয়ে। ইটস নট ফ্রম দ্য স্টর্ক বইটাও ভালো লেগেছে আমার কাছে।
বাংলা তুমি এখন বড় হচ্ছ বইয়ের সন্ধান দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
আর সবচেয়ে বড় ধন্যবাদ অনেক কষ্ট করে গুছিয়ে এবং লিঙ্ক দিয়ে লেখাটা লেখার জন্য।
____________________________
হুঁ, এই লেখকের আরো কয়েকটা বই আছে। আচ্ছা আপনি কি এই রিভিউটা পড়েছেন? কোন Shelf এ রেখেছে উনি সেটাও খেয়ালযোগ্য।
- ইমতিয়াজ!
খুব প্রয়োজনীয় এবং সংবেদনশীল একটা বিষয় নিয়ে কষ্টসাধ্য একটা কাজ করেছেন। যে বইগুলোর রেফারেন্স দিয়েছেন সেই বইগুলোর প্রশংসার পাশাপাশি দুর্বলতাগুলো খুলে বলেছেন বলে অনেক ধন্যবাদ। বুক রিভিউ হিসেবে যেমন, সামাজিক একটা দরকারি ইস্যু হিসেবেও তেমনি কাজের একটা পোস্ট হয়ে থাকলো।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
চমৎকার কিছু বইয়ের সন্ধান পেয়েছি। একেবারে দেশি বই।
Puberty
Preventing Risks to Our Future
New Feelings, New Passions
Marriage and Family Health
সবগুলো বই পাবেন এখান থেকে।
একটা নমুনা দেখাই!
-ইমতিয়াজ!
নতুন মন্তব্য করুন