ইন্ডিয়ায় গত জুন মাসে তাদের সুপ্রিম কোর্টের আদেশে প্রি-মেডিক্যাল এক্সাম (AIPMT = All India Pre Medical Test ) বাতিল হয়েছিল কারণ তাদের ওখানেও প্রশ্ন ফাঁস হয়েছিল। ৩মে ২০১৫ পরীক্ষাটা অনুষ্ঠিত হয়েছিল, ইন্ডিয়ার সবগুলো প্রদেশ জুড়ে এই পরীক্ষাটা হয়, অংশ নিয়েছিল প্রায় ৬ লাখ ৩০ হাজার শিক্ষার্থী। প্রশ্ন ফাঁস হয়েছিল মূলত হরিয়ানায়, বিক্রি হয়েছিল ১৫-২০ লাখ রুপী করে। সেখানকার পুলিশ প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় সেদিনই গ্রেফতার করে দুই জন ডেন্টিস্ট সহ চারজনকে; সাথে ৪৪ শিক্ষার্থীকে চিহ্নিত করে এবং ধারণা করে, আরও প্রায় ৭০০ শিক্ষার্থী সুবিধা পেয়েছে। এই মাত্র ৪৪ জনের জন্য তাদের সুপ্রিম কোর্ট ৬ লাখ স্টুডেন্টকে আবার পরীক্ষার হলে বসানোর আদেশ দেন। পরীক্ষাটা পরে ২৫ জুলাই ২০১৫ তারিখে আবার অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের মত সেখানেও প্রশ্নগুলো আউটের ক্ষেত্রে ব্লুটুথ ডিভাইস, ইমেইল আর হোয়াটসেপ ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়েছিল। অর্থাৎ বোঝা যাচ্ছে, নতুন সব টেকনোলজি ব্যবহার করে প্রশ্ন ফাঁস অনেক দেশের সরকারকে বিব্রত করছে। এইটা সমাজ বিবর্তনেরই অংশ। স্টেপ বাই স্টেপে প্রশ্ন ফাঁসের সমাধান আসবে। কিন্তু তার জন্য প্রথম যেটা দরকার সেটা হল, সমস্যা যে আছে সেটা স্বীকার করা। বাংলাদেশ সরকার স্বীকার করতেই চাচ্ছেন না। উল্টো আন্দোলনকারীদের নানান রকম হ্যারাজমেন্টে ফেলছেন, পুলিশ লেলিয়ে দিয়েছেন।
আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে, ইন্ডিয়ায় মেডিকেলের জন্য ভর্তি পরীক্ষায় প্রায় ৬ লাখ ৩০ হাজার শিক্ষার্থীকে অংশ নিতে দেয়া হয়, যেখান থেকে নির্বাচিত হয় মাত্র ৪ হাজার শিক্ষার্থী। ইন্ডিয়ায় ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি পরীক্ষার অবস্থা অনুরূপ। যেমন ২০১৪ সালের তাদের ইঞ্জিনিয়ারিং এর এন্ট্রান্স পরীক্ষায় অংশ নেয় ১৩ লাখের বেশি শিক্ষার্থী, ১৫০টা শহরে এই পরীক্ষাটা অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে বাছাই করে দেড় লাখের মত শিক্ষার্থীকে এডভান্স পরীক্ষায় বসানো হয়। এই এডাভান্স পরীক্ষাটা অনুষ্ঠিত হয়েছিল ইন্ডিয়ার ৯৮টা শহর জুড়ে। এমনকি দুবাইতেও একটা কেন্দ্র ছিল। এই দেড় লাখ থেকে এলিজিবল হিসেবে ঘোষনা করা হয় প্রায় ২৬-২৭ হাজার জনকে। সবগুলো আইআইটি মিলিয়ে সিট প্রায় ১০ হাজার, অর্থাৎ বাকিরা যাবে অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলোতে। ইন্ডিয়া আকারে বাংলাদেশের চাইতে প্রায় ত্রিশ গুণ অর্থাৎ প্রায় ত্রিশটা বাংলাদেশ যোগ করলে ইন্ডিয়া হয়। সবগুলো প্রদেশ মিলিয়ে চিন্তা করলে ইন্ডিয়ার জন্য ব্যাপারটা যথেষ্টই কমপ্লেক্স, তবুও তারা সেটা পারেন। এবং এমন পরীক্ষা তারা শুধু ইঞ্জিনিয়ারিং না, মেডিকেলসহ একাধিক ক্ষেত্রে নিচ্ছেন। ইন্ডিয়ানরা পারলেও আমাদের দেশের কর্তারা ছোট্ট বাংলাদেশ জুড়ে একসাথে পরীক্ষা নিতে পারেন না। জয়েন্ট এন্ট্রান্স এক্সামিনেশন নিয়ে মুহাম্মদ জাফর ইকবাল অসংখ্যবার চেষ্টা করার পরেও বাংলাদেশের অন্যান্য শিক্ষাবিদরা পিছিয়ে গিয়েছেন বারবার। তাদের পিছিয়ে যাবার মূল কারণ নতুন কিছু করার অযোগ্যতা আর নিজেদের কিছু সুবিধা হারানো। একেক বার একেক আইআইটি ইন্ডিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং এডমিশন পরীক্ষার মূল দায়িত্বে থাকে। যেমন ২০১৪ সালে দায়িত্বে ছিল আইআইটি খরগপুর, ২০১৫ সালে দায়িত্ব ছিল আইআইটি বোম্বে। বাংলাদেশেও চাইলে ইঞ্জিনিয়ারিং জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার দায়িত্ব পর্যায়ক্রমে বুয়েট, কুয়েট, রুয়েট, চুয়েট ইত্যাদিকে দেয়া যেত।
যদ্দুর মনে পড়ে, বুয়েট কর্তৃপক্ষ বলেছিল, তাদের নাকি ১০ হাজার বেশি পরীক্ষায় বসানোর 'এবিলিটি' নেই! অর্থাৎ বুয়েট কর্তৃপক্ষ প্রকারান্তরে স্বীকার করে নিয়েছেন একসাথে এতজনকে পরীক্ষা নেয়ার জন্য ইন্ডিয়ার আইআইটিগুলোর কর্তাদের মত মেধা তাদের নেই! আইআইটিগুলোতে একটা সিটের বিপরীতে পরীক্ষা দেয় প্রায় ১৪০ জন অথচ বুয়েট কর্তৃপক্ষ একটা সিটের বিপরীতে ১০ জনকে পরীক্ষা নিতে হিমসিম খান! এই 'বসানোর এবিলিটি' না থাকার অযুহাতের কারণেই বাংলাদেশে স্টুডেন্টদেরকে এখন নানান প্যাচে ফেলে ভর্তি পরীক্ষায় বসতেই দেয়া হয়না। যেমন সায়েন্সের একটা সাব্জেক্টে 'এ প্লাস' না পেলেই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার স্বপ্ন অনেকটাই বাদ দিতে হয় এখন।
তাছাড়া সিস্টেমের ডিজাইন এমনভাবে করতে হয় যেনও সেটা জনমুখী হয়। আর আমাদের কর্তারা এমনভাবে সিস্টেম ডিজাইন করেন যেনও তাদের সুবিধা হয়, ছাত্রদের অধিকার নিয়ে ভাবার সময় তাদের নেই। বুয়েট, কুয়েট, ঢাকা ভার্সিটি সহ বেশ কিছু ভার্সিটি সেকেন্ড টাইমারদের পরীক্ষায় বসতেই দেয় না এখন আর। অথচ ইন্ডিয়ায় মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং এ সেকেন্ড টাইমাররা দ্বিতীয় বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে। যেমন ইন্ডিয়ায় ২০১২ সালের IIT-JEE পরীক্ষায় ৬১% শিক্ষার্থীই ছিল সেকেন্ড টাইমার! আমরা জানি, প্রতিটা মানুষ তার জীবনে 'সেকেন্ড চান্স' পাবার অধিকার রাখে। এইসব কম বয়সী ছাত্ররা অবহেলা কিংবা অসুস্থতার কারণে একবার পরীক্ষা খারাপ করতেই পারে, তার মানে এই না যে পছন্দমত পেশায় যাবার আর স্বপ্ন দেখতে পারবে না। অল্প কিছু পেনাল্টি মার্কস কেটে রাখার মত খুব সহজ পদক্ষেপেই সেকেন্ড টাইমারদের পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেয়া যেতে পারত বাংলাদেশেও। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তারা তো বটেই, আমাদের কোর্টও ছাত্রদের পক্ষে কথা বলেননি।
মোদ্দা কথা হল, নিজেদের অযোগ্যতা ঢাকতে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্তারা ছাত্রদের আজ ঢাকা, কাল খুলনা, পরশু চিটাগং, তরশু রাজশাহী ইত্যাদি অঞ্চলে দৌড়ানোর উপর রাখেন এবং ছাত্রদের দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ গ্রহণ থেকে বঞ্চিত করেন। কৃষক সন্তানকে বাবার ধানী জমি বিক্রি করে এই দৌড়ে অংশ নিতে দেখেছি একাধিকবার। কিন্তু এত দৌড়ঝাপ করেও লাভ হয়না, কারণ যাদের টাকা আছে তারা প্রশ্ন পেয়ে যায় আগেই।
বিনীতঃ আহমদ রনি
তথ্যসূত্রঃ
২/ https://en.wikipedia.org/wiki/Joint_Entrance_Examination
৪/ http://indiatoday.intoday.in/education/story/aipmt-answer-key-leaked/1/433923.html
৬/ http://www.indexmundi.com/factbook/compare/bangladesh.india/geography
৭/ http://blog.askiitians.com/dropping-year-iits-good-exam-strategy/
৮/ http://admission.aglasem.com/iit-jee-2015/
১০/ http://www.plancessjee.com/jee-mag/total-number-of-seats-and-fee-structure-of-iits-this-year/
১১/ http://admission.aglasem.com/iit-jee-2015/
১২/ http://indiatoday.intoday.in/education/story/cbse-aipmt-2015-answer-keys-leaked/1/433700.html
১৩/http://indiatoday.intoday.in/education/story/aipmt-answer-key-leaked/1/4...
মন্তব্য
কোন তথ্য কোন সূত্রের বিপরীতে, সেটা বোঝানোর জন্যে যদি তথ্যের পর পরই বন্ধনীর ভেতরে সূত্রক্রম উল্লেখ করে দেন, ভালো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা নিজেদের একটি সংগঠন গড়ে তুলে সরকার, বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ এবং আইনসভাকে চাপ দিতে পারেন। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা যেমন নিজেদের "মর্যাদা" রক্ষার জন্য ফেডারেশনের মাধ্যমে সরকারের সঙ্গে দর কষাকষি করছেন, বিপুল পরিমাণ শিক্ষার্থীর অভিভাবকেরা একটু সংগঠিত হলে আরো বড় চাপ দিতে পারবেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার ঘিটুকু সোজা আঙুলে না তুললে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেসব আইনের অধীনে নিয়ন্ত্রিত, সেগুলো সংশোধন করে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা কানুনের হরফে লিখে আঙুল বাঁকা করানো যেতে পারে।
কিছুদিন আগে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ ভ্যাটবিরোধী আন্দোলনে ইতিবাচক ফল এসেছে, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা সংগঠিত হয়ে এগোলে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার কাজেও ইতিবাচক ফল আসতে পারে।
যতদূর জানি, শাবিপ্রবি এ ধরনের পরীক্ষা নেওয়ার জন্য একটি সফটওয়্যার সমাধান প্রণয়ন ও প্যাকেজিং করেছে। এই সমাধান কি বিনামূল্যে দেওয়া হবে, নাকি লাইসেন্সের বিনিময়ে, সেটা স্পষ্ট নয়। যদি লাইসেন্সের বিনিময়ে দেওয়ার পরিকল্পনা থাকে (যেটা অধিক যৌক্তিক), তাহলে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার পেছনে শাবিপ্রবির একটি আর্থিক আগ্রহও থাকবে। তাই এই সমাধানটি চালু করে ছাত্রদের জীবন সহজতর করার লক্ষ্যে অভিভাবকদের ডিজিটাল পদ্ধতিতে সংগঠিত করার জন্যে শাবিপ্রবি এগিয়ে আসতে পারে। অভিভাবকরা যেহেতু ব্যস্ত মানুষ, কোনো এক অভিনব উপায়ে তারা তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে সংগঠিত হয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর আওয়াজ তুলতে পারেন।
ক্যাঁচক্যাঁচ করা চাকাতেই তেল দেওয়া হয়। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী আর তাদের অভিভাবকেরা চুপ করে এই ভোগান্তি মেনে নিলে এভাবেই চলতে থাকবে।
১ম অনুচ্ছেদঃ তাত্ত্বিকভাবে একমত
২য় অনুচ্ছেদঃ কার্য-কারণ সম্পর্ক বড় কঠিন হিমু ভাই। ভ্যাটবিরোধী আন্দোলনে "সংক্ষুব্ধ পক্ষের" একটি বড় অংশ আসলেই সংক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। (নেপোয় দই খেয়েছে কিনা সেটি আপাতত আলোচনার বিবেচনাধীন নয়।) ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের অভিভাবকগণের ব্যাপারে আমার কোনও উচ্চাশা নেই। তাঁরা (সংখ্যাগরিষ্ঠের মাপে) মোটেও সংক্ষুব্ধ নন।
৩য় অনুচ্ছেদঃ শাবিপ্রবির সাহায্য পাওয়াটা খুব কঠিন হবে বলে মনে হয় না। কিন্তু নেবেন কারা? আবারও বলছি, অভিভাবকরা (সংখ্যাগরিষ্ঠের মাপে) কোনো এক অভিনব উপায়ে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে পেছনের দরোজা খুঁজে পেতে যতটা আগ্রহী, জোর আওয়াজ তুলতে ততটা (বা আদৌ) আগ্রহী নন। প্রায় সবাই ছেঁড়া শিকে খোঁজে, শিকে বদলাবার মুরোদ (প্রকৃত বিচারে আগ্রহ) কারো নেই।
৪র্থ অনুচ্ছেদঃ আবারও, তাত্ত্বিকভাবে সম্পূর্ণ একমত। বাস্তবের সিঁদুরে মেঘ দেখে বড্ড ডরাই।
[ বিদ্রঃ পেশাগত কারণেই তৃণমূল পর্যায় থেকে শুরু করে বৃক্ষশীর্ষ পর্যায়ের প্রচুর ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের সঙ্গে আমার মিথস্ক্রিয়ার সুযোগ হয়। আমার পর্যবেক্ষণ ও হতাশা সেই প্রাইমারি ডাটার ভিত্তিতে। আমার নমুনাক্ষেত্র যদি সমগ্রকের মূল চরিত্রের প্রতিনিধিত্ব না করে, খুশি হব। কতদিনে, জানিনা। আমার মাস্টার বাপ ৮০-৯০ দশকে নকল ধরতে ধরতে বিরক্ত হয়ে হা-হুতাশ করতে করতে ভবিষ্যৎ চিন্তা করতে করতে আতংকিত হতেন- এই প্রজন্মও একদিন পদোন্নতি পেয়ে অভিভাবক হবে, তখন? পিচ্চি আমি তখন বাপের হা হুতাশের মর্মোদ্ধার করতে পারিনি, এখন পারি, একেবারে ট্যু দ্য বোনস। ]
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
সম্পূরক জিজ্ঞাসাঃ ভারতের কোচিং ব্যাবসা এবং মিডিয়ার অবস্থান সম্পর্কে জানাতে পারেন?
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
Coaching ব্যবসা কেন্দ্রগুলি বিজ্ঞাপন সংবাদ মাধ্যমে দেয়, এবং তা রাজ্যভেদে প্রচুর পরিমানে। Coaching এর মাধ্যমে training অনেক ক্ষেত্রে মূলত rote methods এ দেওয়া হয়। 2008 এ সংবাদ মাধ্যমেই এ নিয়ে লেখা লিখি হয়, এবং IIT entrance examination এর pattern change করা হয়। IIT বা AIIMS এর মত প্রতিষ্ঠান এখন একটি global brand. এই brand value dilute করতে সরকার ও সংবাদ মাধ্যম কেউ চায় না। তাই, এই সব প্রতিস্থানের ভর্তি পরীক্ষায় অনিয়ম হলে সরকারের উপর সকলের চাপ থাকে; একা সংবাদ মাধ্যম নয়। তাই এই ক্ষেত্রে নিরাপত্তা সর্বচ্ছ, ও অনিয়ম হলে CBI এর হাতে তদন্ত যায়।
সমস্যা আসলে হয় রাজ্য level এ পরীক্ষায়। এতে দুর্নীতির একটা অভিযোগ ওঠে; এবং তা হয়ত কতকটা সত্য। এর পিছনে coaching center এর হাত থাকার ও অভিযোগ থাকে (স্বাভাবিক)। সংবাদ মাধ্যম প্রতিবাদ করলেও ফল হয় একমাত্র গন আন্দোলন হলেই।
ঋতব্রত
আগে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলোতে (খুলনা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম) ভর্তি পরীক্ষা একসাথেই হতো, একেক বছর একেক কলেজকে এই দ্বায়িত্ব নিতে হতো, সম্ভবত ভর্তি পরীক্ষার ডিউটির বখরা অপ্টিমাইজ করতে গিয়ে এখন সবাই আলাদা করে নিয়েছে।
পরীক্ষায় দ্বিতীয়বার বসার সুযোগ না দেওয়াটা অমানবিক, মাধ্যমিক/উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষাতে দ্বিতীয়বার সুযোগ দেওয়া হয়, ভর্তি পরীক্ষাতেও দেওয়া উচিত, আমার ব্যাচেরই অনেক সহপাঠী ছিলেন যারা আগের বছরের, অনেকে আবার এক বছর পড়ার পর সেই বিষয়ে আগ্রহ না পেলে আবার ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে অন্য বিভাগে/বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার সুযোগ পেত, এখন সেই রাস্তাটাও বন্ধ করা হলো।
নতুন মন্তব্য করুন