কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের একটা গল্প আছে ‘সাড়ে সাতাশ’। সেখানে তিনি নতুন গল্পের খোজে পুরোনো সাতাশটি গল্পের চরিত্রগুলোকে ডেকে পাঠান। চরিত্রগুলো নিয়ে উনি নদীর পাড়ে গোল-টেবিল বৈঠকে বসেন। ভুলে যাওয়া, ছায়ার মত নিত্য সঙ্গী হয়ে যাওয়া চরিত্র থেকে শুরু করে ডোডো পাখি, কাঁঠাল পাতা কিংবা মাটির ঢেলা, কেউ বাদ যায় না। একটু একটু করে নষ্টালজিয়া নেমে আসে নদীর ঢেউয়ে ঢেউয়ে। তেমনি, সঙ্গীতাঙ্গনে আমারও প্রিয় কিছু চরিত্র আছে, যাদের কেউ কেউ ভুলে যাওয়া, কেউ কেউ ছায়ার মত নিত্যদিন আমার মাঝেই লেপ্টে থাকে।
এ ধরণের নষ্টালজিয়া প্রায়ই ভর করে আমার উপর, আমি তখন ভাবনায় দৃশ্যকল্প আঁকি। সেই দৃশ্যকল্পে চরিত্র অনেক। আর সেই নষ্টালজিয়ায় কোন কোন দিন ফিডব্যাক ভর করে, কোন কোন দিন এল আর বি, রেনেসাঁ, নোভা, মাইলস, মাকসুদ ও ঢাকা, অবস্কিওর, আর্ক, চাইম, লাকি আখন্দ, হ্যাপি আখন্দ থেকে শুরু করে নিলয় দাশ, সঞ্জীব দা, রেশাদ মাহমুদ, জুয়েল, ঝলক কিংবা অকালে ঝরে যাওয়া ‘রিপ্পি’-সহ কালের গহবরে হারিয়ে যাওয়া কত শত গীতিকার সুরকার যন্ত্রশিল্পী কম্পোজার আর অগণিত শিল্পী।
আমার তখন শৈশবের দিনগুলোর কথা মনে পড়ে। অডিও ক্যাসেট নির্ভর সেই দিনগুলোই ছিলো সঙ্গীতাঙ্গনের স্বর্ণযুগ। গান শোনার অন্যতম প্রধান মাধ্যম ছিলো অডিও ক্যাসেট আর ক্যাসেট প্লেয়ার। মনে পড়ে অডিও ক্যাসেট আর প্লেয়ারের কথা, আনকোরা কাভারের গন্ধ। বিটিভি’তে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানগুলোতেও প্রায়ই দেখা যেত স্বপ্নের সেই শিল্পীদের পারফরমেন্স। ইত্যাদি, শুভেচ্ছা, আজকাল, বহুব্রীহি…! আহা! সেই দিনগুলো।
আজ খুব করে মনে পড়ছে ‘নাফিস কামাল’-এর কথা। আমার খুব প্রিয় শিল্পীদের একজন কিংবা হারিয়ে যাওয়া একটি নাম। দর্শকদের সামনে নাফিস কামালের প্রথম পরিবেশনা ছিলো ‘এলোমেলো’। ১৯৯৮ সালে ইত্যাদির কোন এক পর্বে ‘এলোমেলো’ গানটি প্রচারের পর পরই অনেকটাই শ্রোতাদের মুখে মুখে ফিরতে থাকে তার এই গান। অসংখ্য জনপ্রিয় গানের গীতিকার কাওসার আহমেদ চৌধুরী-র লেখা এবং নকীব খানের (রেনেসাঁ) সুর ও সঙ্গীত পরিচালনায় তৎকালীন সময়ের নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ পড়ুয়া তরুণ শিক্ষার্থী নাফিস কামাল এক ‘এলোমেলো’ গানটি দিয়েই শ্রোতা হৃদয়ে জায়গা করে নেয়।
নাফিস কামাল-কে আমার কাছে খুব প্রমিজিং মনে হয়েছিল। প্রথম অ্যালবাম ‘এলোমেলো’ এবং দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘অনুভবে একা’ প্রকাশিত হবার পর কখন কিভাবে যেন হারিয়ে গেলো এই শিল্পী। প্রায় দেড় যুগ হতে চলল, নাফিস কামাল-এর কোনো সংবাদ পাইনা। দুটি এককের বাইরে অন্য কোনো অ্যালবামের উনার পারফর্মেন্স চোখে পড়েনি।
প্রথম অ্যালবাম ‘এলোমেলো’ প্রকাশিত হয় ১৯৯৮ সালে। এই অ্যালবামে যুক্ত ছিলেন কবি নির্মলেন্দু গুণ, কবি কাজী রোজী, গীতিকার কাওসার আহমেদ চৌধুরী, লাকি আখন্দ, নকীব খান, ফোয়াদ নাসের বাবু এবং আর্কের দলনেতা আশিকউজ্জামান টুলুর মত প্রথিতযশা কবি, গীতিকার ও মিউজিশিয়ানরা। কোন সলো অ্যালবামের জন্য যেটা বিরল। অন্তত, আমার লাইফে অন্য কারো সলো অ্যালবামে যেটা চোখে পড়েনি।
এই অ্যালবামে স্থান পেয়েছে কাওসার আহমেদ চৌধুরীর লেখা সর্বাধিক ৮টি গান। আমার জানামতে, এর আগে এবং পরে, একই অ্যালবামে কাওসার আহমেদ চৌধুরীর এত অধিক সংখ্যক গান প্রকাশিত হয়নি। লাকি আখন্দের সাথে কাওসার আহমেদ চৌধুরী কেমিস্ট্রি বেশ ভালো যায়, সেই লাকি আখন্দের সলো অ্যালবামেও ৬টির বেশি গান যায়নি, যেটা ঘটেছে নাফিস কামালের ক্ষেত্রে। নিঃসন্দেহে তিনি সৌভাগ্যবান।
বৈচিত্র্যময় লিরিক ও অসম্ভব মেধাবী মিউজিশিয়ানদের সুরবিন্যাস ও সঙ্গীতায়োজন এক একটি গানকে অনবদ্য করে তুলেছিলো এলোমেলো অ্যালবামে। সেই সাথে নাফিস কামালের তরুণ কণ্ঠে অলঙ্কৃত হয়ে গানগুলি বাংলা সঙ্গীতকে সমৃদ্ধ করেছিলো বলেই আমি বিশ্বাস করি।
‘এলোমেলো’ গানটি কাওসার আহমেদ চৌধুরীর ডায়রীর একটি স্ক্যানকপি সৌভাগ্যক্রমে ফেইসবুকে পেয়ে যাই। এখানে সেটি যুক্ত করে দেয়া হলো।
‘এলোমেলো’ গানটি নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। প্রায় দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে সেটি টিকে আছে এবং বাংলা সঙ্গীত ভান্ডারের একটি উল্লেখযোগ্য সংযোজন হিসেবে টিকে থাকবে, এ আমার বিশ্বাস। এলোমেলো - নাফিস কামাল
দ্বিতীয় গান ‘একদিন গানের জলসাতে’। কাওসার আহমেদ চৌধুরীর লেখা, লাকি আখন্দের সুর করা এবং আশিকউজ্জামান টুলুর সঙ্গীতায়োজনে অসম্ভব চমৎকার মেলোডিয়াস একটা গান। লিরিকের খানিকটা তুলে দিলাম
জলসাতে এক অনুরাগীর ফুল
আমার চোখে এনেছিল জল
হৃদয়ে সেই উপহার রেখেছিলাম তুলে
আমি সেই সৌভাগ্যবান
ফুলের দামে অশ্রু কিনে নিয়ে
নীরবে হারিয়েছিলাম, জনদলে…
এই গানে নাফিস কামালের সাথে কো-আর্টিস্ট হিসেবে ছিলেন ‘ফাহমিদা নবী’-আমাদের নুমা আপা।
থার্ড ট্র্যাক ‘প্রথম উপহার’। বরাবরের মতই কাওসার আহমেদ চৌধুরী, সুর ও সঙ্গীতায়োজনে আশিকউজ্জামান টুলু। অসম্ভব চমৎকার মেলো রোমান্টিক। অসংখ্য দিন অগণিত রাত পার হয়ে গেছে এই গান শুনে শুনে। গীতিকবি হিসেবে কাওসার আহমেদ চৌধুরী সব সময়ই শীর্ষাসনে আসীন থাকবেন। লাকি আখন্দ, নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরী, কুমার বিশ্বজিৎ, তপন চৌধুরী, শুভ্রদেব, এল আর বি, সামিনা চৌধুরী, নিলয় দাশের মত শিল্পী ও মিউজিশিয়ানদের অসংখ্য জনপ্রিয় গানের গীতিকার এই কাওসার আহমেদ চৌধুরী। ‘প্রথম উপহার’ তেমনই এক মাষ্টারপিস।
আমার এই প্রথম গানের উপহার
এতে নেই কারো অধিকার
এই গান শুধুই তোমার …
সহজ সরল ছন্দে অপার্থিব ভালোলাগার ঘোর তৈরী হয় এই গান শুনলে। কিছু কিছু গান আমার কাছে অসাধারণ সাধারণ লাগে। যেমন লতিফুল ইসলাম শিবলীর লেখা এবং আশিকউজ্জামান টুলুর সুর ‘তুমি আমার প্রথম সকাল’ ঠিক তেমন একটা অসাধারণ সাধারণ গান।
“ভুল সময়ে ভুল পৃথিবীর কোলে, ভুল সময়ে জন্ম নিয়েছি বলে…আমিতো চাইনি আঁধারে হারিয়ে যেতে…” জীবন কখনো এমন এক প্রান্তে এনে দাঁড় করিয়ে দেয় যখন নিজেকে মনে হয় ভুল সময়ের ভুল মানুষ। আক্ষেপ, অনুতাপ, ক্রোধ…! নাফিস কামালের কণ্ঠে খুব প্রিয় একটি গান।
এই অ্যালবামের প্রধান বিশেষত্ব হলো ‘লিরিকে কাব্যের প্রাধান্যতা, শব্দে ও ছন্দে সরলতা এবং মেলোডি। সাথে নাফিস কামালের অসাধারণ গায়কী। যার স্বাক্ষর বহন করে অ্যালবামের প্রতিটি গান।
সুমনের মা চলে এই পৃথিবী ছেড়ে, সুমনের সবকিছু থেমে গেছে আজ। সুমনের মা কত রাতে কতো না চিন্তায় সুমনের ঘরে ফেরার অপেক্ষায় থাকতো। সেই অপেক্ষার অবসান ঘটেছে। সুমনের ফেরার অপেক্ষায় আর কেউ রইলোনা। সুমনের বুকে এই কষ্টের হাহাকার। আজ শেষবারের মত মাঝরাতে পাড়ার চা-ওয়ালার কাছে সুমনের বন্ধুদের অনুরোধঃ
আলো জ্বাল, খোল তালা, ঝাপিটা তোল, চুলো ধরা… একটু সইতে হবে ঝামেলা। ও আমাদের প্রিয় ভাই…।পাড়ার চা-ওয়ালা
কাওসার আহমেদ চৌধুরীর লেখা, সৈয়দ কল্লোলের সুর ও আশিকউজ্জামান টুলুর সঙ্গীতায়োজনে দুর্দান্ত একটা গান। খুব প্রিয় একটি গান।
সাইড-বিঃ কবি নির্মলেন্দু গুণের ‘ভালোবাসার টাকা’ কবিতাটি নকীব খানের সুর ও সঙ্গীতায়োজনে নাফিস কামালের কণ্ঠে অনবদ্যরুপে ধরা দেয়।
“একটি টাকা রেখে দিলুম কাল সকালে
টিফিন করে তোমার মুখ আমি দেখতে যাবো…
আগামীকাল সকাল হবে ভালোবাসায়
নাশতা করে তোমাকে আমি দেখতে যাবো”… কবি নির্মলেন্দু গুণ (১৯৭০)
কবিতা আর গান মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। আর আমি মুগ্ধতায় টুইটুম্বুর হই… “বুকের কাছে একটি টাকা ঘুমিয়ে আছে…কাল সকালের জলের দামে শহীদ হবে…” আহা! কী সুন্দর সেই সুর।
কবি কাজী রোজী-র বিখ্যাত কবিতা “ডাকে না দেয়া চিঠি”।
মার্চের ছাব্বিশ এলে, ভেজানো কপাট দিই মেলে
স্মৃতির উঠোন খানি জুড়ে, মনে যে পড়ে-
শত্রুর বাংকারে মাইন রাখতে গিয়ে
ধরা পড়ে তুমি আর ফেরোনি…
মেধাবী মিউজিশিয়ান এস এম খালেদের সুরারোপ এবং আশিকউজ্জামান টুলুর অসম্ভব চমৎকার একটি গান। ২০০১ সালের দিকে প্রকাশিত হয় ‘প্রমিথিউস’ ব্যান্ডের ৭ম অ্যালবাম ‘স্মৃতির কপাট’। অ্যালবাম টাইটেল এবং টাইটেল সং দুটোই নেয়া হয় কবি কাজী রোজী’র “ডাকে না দেয়া চিঠি” থেকে। ঠিক এই কবিতাটিই বিপ্লব তার নিজস্ব সুর ও সঙ্গীতায়োজনে নতুন ঢঙ্গে সংকলন করে “স্মৃতির কপাট” অ্যালবামে। এবং সেখানে ‘ভেজানো কপাট’-এর পরিবর্তে স্মৃতির কপাট ব্যবহৃত হয়। দুটোই আমার কাছে ভালো লাগে। তবে, নাফিস কামাল-এর গায়কীর কারণেই হয়ত ভিন্ন একটা আবেদন এই গানটা তৈরী করেছে বলে মনে হয়, যেটা বিপ্লব পারেনি।
“আজ এই বিশ্ববিদ্যালয়, যেন এক নিঃস্ব চিত্রালয়”, “চিরকালের মা”, “জীবনের ফুটপাতে” গানগুলো সামাজিক, মানবিক ও সর্বোপরি তীব্র জীবনবোধ এবং উপলব্ধির স্বাক্ষর বহন করে।
এই অ্যালবামের অংশটুকু এই অ্যালবামে আমার সবচেয়ে প্রিয় গানটির কথা বলে শেষ করতে চাই। সৈয়দ কল্লোল এর কথা ও সুরে এবং আশিকউজ্জামান টুলুর সঙ্গীতায়োজনে অসম্ভব মেলোডিয়াস গান “যদি ভাবো”। যারা সানী জুবায়ের-এর ‘শুধু তোমার জন্য প্রতিদিন অজস্র কবিতা লিখি’ গানটি কিংবা প্রিন্স মাহমুদের কথা, সুর ও সঙ্গীতে হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল-এর গাওয়া ‘যদি কখনো অসহায় মনে হয় নিজেকে’ গানটি শুনেছেন তাদের বলি নাফিস কামালের “যদি ভাবো” গানটি ঠিক তেমনই একটি গান।
এলোমেলো অ্যালবামটি দেড় যুগেরই বেশী সময় ধরে আমার সঙ্গী। কিছু স্পেশাল অ্যালবামের তালিকায় এই অ্যালবামটি অন্যতম স্থান দখল করে আছে। এই অ্যালবামে কাজ করা প্রতিটি মানুষ সঙ্গীতাঙ্গনের আমার প্রিয় ব্যক্তিত্ব। ফোয়াদ নাসের বাবু, নকীব খান, লাকি আখন্দ, আশিকউজ্জামান টুলু এই চার কী-বোর্ডিস্ট আমার অলটাইম ফেভারিট। আর কাওসার আহমেদ চৌধুরী, উনাকে শব্দে ধারণ করার মত তেমন শব্দভান্ডার আমার নেই। এই অ্যালবামটা প্রিয় হবার পেছনে হয়ত এসব কিছুই প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে। তবুও এসব কিছু ছাপিয়ে “নাফিস কামাল”-কে আমি প্রমিজিং মনে হয়েছি এবং আমি এখনো সেটা বিশ্বাস করি।
এলোমেলো অ্যালবামটির প্রায় বছর খানেক পর প্রকাশিত হয় দ্বিতীয় সলো “অনুভবে একা”। অপ্রত্যাশিত এবং অদ্ভুত কারণে কাওসার আহমেদ চৌধুরীকে “অনুভবে একা” অ্যালবামে পাওয়া যায়নি। পাওয়া যায়নি “আশিকউজ্জামান টুলু”-র মত কম্পোজারকেও। তবে কাওসার আহমেদ চৌধুরীর স্থলাভিসিক্ত হয়েছিলেন ‘একদিন ঘুমভাঙ্গা শহরে-এল আর বি’, ‘আচ্ছা কেন মানুষগুলো-রেনেসাঁ’, ‘আজ যে শিশু-রেনেসাঁ’, ‘হৃদয় কাদা মাটির-রেনেসাঁ’ সহ এমন অসংখ্য জনপ্রিয় গানের স্রষ্টা প্রথিতযশা গীতিকার ‘শহীদ মাহমুদ জঙ্গী’। গান লিখেছেন মোহাম্মদ রফিকুজ্জামান, লিটন অধিকারী রিন্টু, সৈয়দ কল্লোল, গোলাম মোর্দেশ-এর মত গীতিকাররাও। লিরিসিস্ট হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন নাফিস কামাল নিজেও।
“এলোমেলো”-র মত “অনুভবে একা” অ্যালবামটা অতটা অনন্য অসাধারণ না হলেও স্বার্বিকভাবে বেশ ভালো একটা অ্যালবাম ছিলো এবং বর্তমান সঙ্গীতাঙ্গনের প্রেক্ষাপটের তুলনায় যেটা অনায়ানে রিমার্কেবল একটা অ্যালবাম হিসেবে পরিগণিত হত বলে আমার ধারণা।
ঠিক কোন অভিমানে কিংবা কী কারণে এই শিল্পী হারিয়ে গেলেন, আমি জানিনা।
তিনি গেয়েছিলেন
এক বিকেলে সেই মেয়েটি
ঈশারাতে বুঝিয়ে দিলো
ভাগ্য তার জন্মক্ষণে মুখের ভাষা কেড়ে নিলো
বুঝিয়ে সে চলে গেলো
ভোরে দেখি শুন্য বাড়ি, এলোমেলো, এলোমেলো
স্মৃতিগুলো তার কাঁদিয়ে গেলো…
নিজের গাওয়া গানের মতই তিনি আমাদের সঙ্গীতাঙ্গন থেকে হারিয়ে গেলেন।
-----------------------------------------------
মোখলেছুর রহমান সজল - ১লা নভেম্বার, ২০১৫
মন্তব্য
'এলোমেলো' গানটি প্রথম শুনি নাফিসের জন্মদিনে ওর বাসায় বসে। ক্যাসেট হিসেবে তা বাজারে বের হয় আরও অনেক পরে। ওই এ্যালবামের 'ভুল সময়ের ভুল' এখনও শুনি, লিরিকটা খুব প্রিয়।
জানিনা ও সচলায়তনে নিয়মিত কিনা, তাই পোস্টের লিঙ্ক বন্ধুকে ইনবক্স করে দিচ্ছি।
------------------------------------------------------------------------------
জিপসিরা ঘর বাঁধে না,
ভালবাসে নীল আকাশ
আপনার বন্ধু তিনি? কেন তিনি সঙ্গীত থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিলেন জানতে ইচ্ছে হয়। 'ভুল সময়ের ফুল' অসম্ভব চমৎকার একটি গান। ভালো থাকুন।
নতুন মন্তব্য করুন