জিয়ার গণতন্ত্র তত্ত্ব এবং যাহা সত্য

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ০১/০১/২০১৬ - ১০:১৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১৯৭৫ সালের ১১ নভেম্বর মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানের দেয়া ভাষণের সাথে জেনারেল আইয়ুব খানের ১৯৫৮ সালের ৮ অক্টোবরের ভাষণটার অনেক মিল আছে। পাকিস্তানী সামরিক শাসকের মতো তিনি বলেছিলেন "আমি সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে দেশে সামরিক আইন জারি আছে। কিন্তু প্রয়োজনীয় সময়ের অতিরিক্ত সরকার সামরিক আইন বলবৎ না রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ... আমি পরিষ্কারভাবে বলে দিতে চাই যে রাজনীতির সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক নাই এবং আমার সরকার সম্পূর্ণ নির্দলীয় এবং অরাজনৈতিক" [১]। মেজর জেনারেল জিয়ার এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সামরিকতন্ত্রের দীর্ঘ এক অন্ধকার যুগে যাত্রা শুরু করেছিল। এই সময়টা ছিল মুক্তিযোদ্ধা হত্যা, রাজাকার পুনর্বাসন এবং ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার মূলমন্ত্রকে সংবিধান থেকে মুছে ফেলে বঙ্গবন্ধুবিহীন বাংলাদেশকে পাকিস্তানীকরণের ইতিহাস।

মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ছিলেন একাধারে প্রেসিডেন্ট, কমান্ডার-ইন-চিফ, চিফ অব স্টাফ এবং চিফ মার্শাল ল এডমিনিস্ট্রেটর। যে কোন সময় বিচারপতি নিয়োগ ও বরখাস্ত করার ক্ষমতা হতে শুরু করে উপদেষ্টা কাউন্সিলকে দেওয়া তার যে কোন আদেশ প্রচলিত আইনের বাধ্যবাধকতা মুক্ত ছিল। জিয়ার সিদ্ধান্ত বিদ্যমান আইনের সাথে সাংঘর্ষিক হলেও কোন মামলা করা সম্ভব ছিল না। এক কথায় তিনি সকল আইন কানুনের উর্ধ্বে ছিলেন [২]। সে সময়টায় দেশে সামরিক আইন জারী থাকার কারণে রাজনৈতিক দলগুলোর মিছিল-সমাবেশসহ সকল কর্মসূচীর উপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। আমরা বেগম খালেদা জিয়া সহ বিএনপি সংশ্লিষ্ট সবার মুখে বারবার শুনে আসছি "জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা"। কেমন ছিল "বহুদলীয় গণতন্ত্রের" নির্বাচনগুলো? কেমন ছিল "বহুদলীয় গণতন্ত্রের" সে দিনগুলো?

১৯৭৮ সালের ২১ এপ্রিল প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। প্রায় ৪০ দিন পর জুনের ৩ তারিখে নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে ঐ বছরের ১ মার্চ থেকে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়। সেদিন জিয়াউর রহমানের জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগদল) সহ ৬টি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট গঠিত হয় [৩]। মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ছিলেন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট প্রার্থী। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ৫টি দলের সমন্বয়ে গঠিত গণ ঐক্য জোটের প্রার্থী জেনারেল (অবঃ) এম এ জি ওসমানী [৪]। শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও নির্বাচন কমিশন থেকে ভোটার তালিকা বিক্রি হচ্ছিল ৬০ হাজার মার্কিন ডলারে। মাত্র ৪০ দিনের মধ্যে জেনারেল ওসমানীর পক্ষে নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহ করে পোষ্টার ছাপানো কিংবা ভোটার তালিকা কেনার সামর্থ্য ছিল না [৫]। নির্বাচনী প্রচারণার শুরু থেকেই জেনারেল ওসমানী বিভিন্ন অনিয়মের কথা বলছিলেন। সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে ছাপানো জিয়ার নির্বাচনী পোস্টারে পুরো দেশ ছেয়ে যায়। সরকারী গণমাধ্যমে ঢাকঢোল পিটিয়ে তার নির্বাচনী সমাবেশের খবর প্রচারিত হয়। এমনকি দেশের জেলা প্রশাসনগুলো নিজেরাই জিয়ার সমাবেশের লিফলেট ছাপিয়ে জনগণের মধ্যে বিতরনের দায়িত্ব নিয়েছিল [৬,৭ ]। ওসমানী অভিযোগ করেন গণমাধ্যমে তার বক্তব্য বিকৃতভাবে প্রচার হচ্ছে। এমনকি সরকার নিয়ন্ত্রিত পত্রিকায় তাকে নিয়ে একের পর এক ভিত্তিহীন রিপোর্ট প্রকাশিত হতে থাকে [৬, ৭ ]।

বাংলাদেশে বর্ষা শুরু হয় জুন মাসে। এটা নির্বাচন অনুষ্ঠানের উপযুক্ত সময় না। জিয়ার এতে কোন সমস্যা হয়নি, তিনি সরকারি হেলিকপ্টারে চড়ে পুরো দেশে জনসমাবেশ করতে থাকেন। অন্যদিকে জেনারেল ওসমানী জিপে চড়ে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। প্রবল বৃষ্টির কারণে তার পক্ষে গ্রামাঞ্চলে প্রচারণা চালানো খুব কঠিন হয়ে পড়েছিল [৭] । এই অবস্থায় গণ ঐক্য জোটের ৯০ দিনের জন্য নির্বাচন পেছানোর আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয় । নির্বাচন কাভার করতে আসা নিউইয়র্ক টাইমসের সাংবাদিক উইলিয়াম বর্ডার ১৯৭৮ সালের ৪ জুন প্রকাশিত রিপোর্টে প্রচুর জাল ভোট আর প্রতিপক্ষ এজেন্টদের নির্বাচনী কেন্দ্র থেকে বের করে দেবার কথা লেখেন [৭, ৮]। এই নির্বাচনে গণ ঐক্য জোটের ৪০ জন কর্মী নিহত হয়। সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা হামলা করে ২০০টির অধিক কেন্দ্র থেকে পোলিং এজেন্ট আর নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদের বের করে দেয় [৭, ৯]।

জিয়াউর রহমানের অধীনে অনুষ্ঠিত ১৯৭৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি হয়। ইতিপূর্বে এ নির্বাচনকে সামনে রেখে রেখে ঢাকার রমনা ময়দানে ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) গঠনের ঘোষণা দেয়া হয়। আবদুল মালেক উকিলের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ছিল নির্বাচনে বিএনপির প্রধান প্রতিপক্ষ। নির্বাচন পর্যবেক্ষন করতে আসা অনেকে বিপুল ভোট জালিয়াতি সত্ত্বে ও বিএনপির ভোটের পরিমাণ কম দেখে (৪১.২% ) অবাক হয়েছিলেন [১০]। নির্বাচনী অনিয়মের উদাহরন হিসাবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মেজর জেনারেল খলিলুর রহমানের কথা বলা যায়। তিনি নিজের আসনে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে ১২০০ ভোট বেশি পেয়ে জয়লাভ করেন। অথচ নির্বাচনের দুই দিন পর তাকে ২০০ ভোটে পরাজিত ঘোষণা করা হয় [১০] । মেজর খলিল ভোট পুনঃগণনার ব্যাপারটা সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। নির্বাচনের পর বিএনপি জোটের অন্যতম শরিক মুসলিম লীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট মুখ ফসকে সাংবাদিককে বলে ফেলেছিলেন অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেত [১০, ১১, ১২]।

এই ছিল বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তার অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের অবস্থা!

জিয়াউর রহমান একদিকে গণতন্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা (!) চালিয়ে যাচ্ছিলেন, অপরদিকে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মী ধরে দেশের জেলখানাগুলো ভরে ফেলেছিলেন। ১৯৭৭ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি দৈনিক ইত্তেফাকে প্রকাশিত রিপোর্টে লেখা হয়েছিল দেশের বিভিন্ন জেলে বন্দীর সংখ্যা ৩৬,৬৮৫ জন [৭, ১৩] । স্বাভাবিক অবস্থা থেকে অতিরিক্ত বন্দীতে কারাগারগুলোতে তিল ধারণের জায়গা ছিল না। বন্দীদের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছিল। একই বছর নভেম্বরে গার্ডিয়ান পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্টে সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছিল ৫৩ হাজার [৭, ১৪]। কিছুদিন আগে আমার হাতে জিয়ার শাসনামল নিয়ে তথ্যবহুল একটা বই এসেছে [১৫]। বইতে একজন বন্দীর ডায়েরিতে লেখা নির্যাতনের মর্মান্তিক বর্ননা পাওয়া যায়ঃ

২৭ মার্চ ১৯৭৬
কতক্ষণ অজ্ঞান ছিলাম জানতাম না। আঘাতের জায়গাগুলোতে তাজা রক্ত লেগে ছিল। একজন মেজর জানতে চেয়েছিল আমি ভার্সিটিতে মুজিবের পোস্টার লাগিয়েছিলাম কিনা। উত্তরে "না" শোনার পর মেজরটা বলল সত্যি কথা বললে সে আমাকে ছেড়ে দেবে। আমি বলছিলাম "আমি নির্দোষ"। এরপর কিছু সৈন্য এসে কাঠের দুইটা রোলার দিয়ে আমার অণ্ডকোষে চাপ দিচ্ছিল। আমার খুব পিপাসা পেয়েছিল। একজন গার্ডের কাছে পানি চাইলাম। সে পানির বদলে তার প্রস্রাব খেতে বলল।

২৯ মার্চ ১৯৭৬
পা বেঁধে আমাকে উপর থেকে ঝুলানো হয়। অনেক পেটানোর পর আমার নাক এবং মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে। আমি প্রাণপণে বাঁচতে চাইছিলাম। আমার অপরাধ কি? কারণ আমি দেশকে ভালোবেসেছিলাম? কারণ আমি বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসেছিলাম? বাংলাদেশ আর বঙ্গবন্ধুকে ভালবাসা যদি দোষের হয় তাহলে আমি দোষী। আমার মতো এমন আরো হাজার হাজার মানুষ আছে। আমাদের রক্ত দিয়ে লেখা হবে "জয় বাংলা", "জয় বঙ্গবন্ধু"।

ডায়েরিটাতে বন্দীদের নানাভাবে নির্যাতনের কথা লেখা আছে। উপর থেকে ঝুলিয়ে, পায়ুপথে বরফ ঢুকিয়ে, ক্ষতস্থানে লবন আর মরিচের গুড়া, নাকের ভিতরে গরম পানি ঢুকিয়ে দেয়া, দীর্ঘ সময় খেতে না দেওয়া, তীব্র আলোর নিচে জোরপুর্বক চোখ খোলা রাখা। এভাবে অত্যাচারের পর অচেতন অবস্থায় বন্দীদের রাস্তায় ফেলে আসা হত। উদ্দেশ্য ছিল এদের মাধ্যমে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক কর্মীদের সতর্ক করে দেওয়া। বন্দী নির্যাতনের কিছু রিপোর্ট ১৯৭৭ সালের সংবাদপত্রগুলোতে প্রকাশিত হয় [১৫, ১৬, ১৭ ]।

ইনি হলেন জিয়াউর রহমান যাকে নিয়ে মাসকারেনহাস লিখেছিলেন "সামরিক বাহিনীর লোকদের হত্যার হিসাবে জিয়াউর রহমান উপমহাদেশের যে কোন জেনারেলকে ছাড়িয়ে গেছেন" [১৮] । আর আমাদের মত যারা বেসামরিক সাধারণ মানুষ...! সে পরিসংখ্যান কি কারো জানা আছে?

তথ্যসূত্র

[১] বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট
[২] Willem van Schendel, History of Bangladesh, Page: 197, Cambridge University Press, 2009
[৩] বাংলাদেশের তারিখ, মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পেজ ১২০, মওলা ব্রাদার্স, ২০০৮
[৪] বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ওয়েবসাইট
[৫] M. Rashiduzzaman, Bangladesh in 1978: Search for a Political Party, Asian Survey, Page: 181-197, February 1979
[৬] The Statesman, June 21, 1978
[৭] Marcus Franda, Bangladesh: The First Decade, Page 226, South Asian Publishers Pvt Ltd, 1982
[৮] The New York Times, June 4, 1978
[৯] The Tribune, June 1, 1978
[১০] Marcus Franda, Bangladesh: The First Decade, Page 229, South Asian Publishers Pvt Ltd, 1982
[১১] Times of India, March 4, 1979
[১২] The Statesman, March 8, 1979
[১৩] Daily Ittefaq, February 19, 1977
[১৪] The Guardian, November 29, 1977
[১৫] Torture and Murder in Zia's Bangladesh, Page 11, Radical Asia Books London, 1979
[১৬] Daily Ittefaq, June 26, 1977
[১৭] Holiday, July 3, 1977
[১৮] Anthony Mascarenhas, Bangladesh: A Legacy of Blood, Page 121, Hodder and Stoughton, 1986

সৌমিত্র পালিত


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রচুর রেফারেন্স ব্যবহার করেছেন। অনেক ধন্যবাদ নববর্ষে এমন একটি পোস্ট উপহার দেয়ার জন্য।

রিপন

অতিথি লেখক এর ছবি

হাসি হ্যাপি নিউ ইয়ার!
সৌমিত্র

shameem এর ছবি

দিলেন তো বহুদলীয় গনতন্ত্রের জনকের বেলুন ফুটা করে! তাও বছরের প্রথম দিনে!
আহ!

অতিথি লেখক এর ছবি

হো হো হো

আহা রুবন এর ছবি

তথ্যবহুল লেখা। সমৃদ্ধ হলাম। কিন্ত আমার মনে প্রায়ই প্রশ্ন জাগে- একই ধরনের কর্মকাণ্ড করেছেন এরসাদ ও জিয়া, অথচ আমাদের বুদ্ধিবাজরা(বুদ্ধিজীবী) কোন কারণে খালি এরসাদ চাচারে গালপাড়ে?

অতিথি লেখক এর ছবি

আহা, বুদ্ধিবাজরা বুদ্ধি বিক্রি করে দু-চার আনা কামিয়ে থাকেন। "বিষবৃক্ষের দুইটা ফুল, জিয়া এরশাদে কত মিল" লিখলে উনারা না খেয়ে মরবেন তো।
____________
সৌমিত্র

এক লহমা এর ছবি

চলুক

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার ধারনা জিয়া লোকটার এইম ইন লাইফ ছিল যে কোন ভাবে প্রেসিডেন্ট হওয়া। একাত্তরে স্বাধীনতার যে ঘোষণাগুলো পাঠ করছিল তার একটায় সে নিজেকে প্রেসিডেন্ট বলে ফেলে। শ্রীনাথ রাঘবনের "১৯৭১- আ গ্লোবাল হিস্ট্রি অব দ্যা ক্রিয়েশান অব বাংলাদেশ" বইতে লেখা হয়েছে রাজনৈতিক নেতারা তাকে এ ধরনের ঘোষণা বন্ধ করতে বলেন। ১৯৭৬ সালের মে দিবসে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভায় "ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মবিরোধিতা না" বলা জিয়াউর রহমান ৫ম সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতাকে সরিয়ে দেয়।

রানা মেহের এর ছবি

কী দারুন একটা লেখা। এই তথ্যগুলোর বেশিরভাগই জানা ছিলনা।
অসংখ্য ধন্যবাদ লেখককে।

শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও নির্বাচন কমিশন থেকে ভোটার তালিকা বিক্রি হচ্ছিল ৬০ হাজার মার্কিন ডলারে। মাত্র ৪০ দিনের মধ্যে জেনারেল ওসমানীর পক্ষে নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহ করে পোষ্টার ছাপানো কিংবা ভোটার তালিকা কেনার সামর্থ্য ছিল না।

এও কি সম্ভব?!!!!

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার এ কথাগুলো আমার অনেক পছন্দের। ভালো থাকবেন।
______________
সৌমিত্র পালিত

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।