বাংলার বাউল দর্শনের দু’টি খুব শক্তির জায়গা আছে- একটি সহজ জীবনযাপন প্রণালী অন্যটি যুথবদ্ধতা। খেয়াল করবেন, বাউল সাধুগুরুগণ খুব সহজসরল জীবনযাপনে অভ্যস্ত। আখড়া বাড়িতে সাধুসঙ্গ হয় যৌথ মিথস্ক্রিয়ার ভিত্তিতে। সেখানে কে আশরাফ আর কে আতরাফ, কে সাদা আর কে কালো, কে নারী কে পুরুষ সেটার ফারাক হয় না। মোটকথা মানুষে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত মিলনে বাউলদের বহমান জীবন কখনো জীর্ন হয়ে পরে না। বরং এক বিশাল অখণ্ডতার দিকে ধাবিত হয়। এই অমলিন জীবন প্রবাহই হয়তো বাউল তথা বাংলার মূল সুর।
বিপুল কর্পোরেট আর ভোগবাদী জীবনের প্রতি আমাদের আকর্ষণ যখন ক্রমশ বেড়েই চলেছে, বিভিন্ন ইজমের ঘেরাটোপে যখন আমাদের সহজিয়া চিন্তার ছত্রখান অবস্থা, তখন বাংলার এই বাউল দর্শনকে ভিত্তি করে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশেরই কিছু মানুষ; যাদের নাম ক্র্যাক— মূলত যারা চারুশিল্পের বিভিন্ন অনুষঙ্গের মাধ্যমে চর্চা করে সহজিয়া জীবনবোধের সহজসরল পথচলা। এই দার্শনিক চর্চার বাস্তবগ্রাহ্য রূপ দিতে গিয়ে তারা প্রতিবছর আয়োজন করে আসছে একটি আন্তর্জাতিক মাল্টিডিসিপ্লিনারি আর্ট ক্যাম্প— একেবারে সহজিয়া পদ্ধতিতে। ২০১৫ সালের ২৫-৩১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়া আর্ট ক্যাম্পটি ছিলো তাদের ৯ম আসর। উল্লেখ্য, এই আর্ট ক্যাম্পটি নিয়মিত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে প্রতিবছর ডিসেম্বর মাসের ২৫- ৩০ তারিখ, কুষ্টিয়া শহরের উপকণ্ঠে স্মরণ মৎসবীজ হ্যাচারীতে। বিভিন্ন ধরনের শিল্পী ও সাংস্কৃতিক কর্মীর উদ্যোগে, শিল্পী ও গবেষক শাওন আকন্দের নেতৃত্বে এবং শিল্পী দেলোয়ার হোসেনের সহোযোগিতায় কুষ্টিয়ায় এই আর্ট ক্যাম্পটির সূচনা হয় ২০০৭ সালে । বর্তমানে এটি ক্র্যাক ট্রাস্ট এর তত্ত্বাবধানে
ক্র্যাক ইন্টারন্যাশনাল আর্ট ক্যাম্প নামে কাজ করে চলেছে।

ক্র্যাক ইন্টারন্যাশনাল আর্ট ক্যাম্পে অংশগ্রহণকারী শিল্পীবৃন্দ
আর্ট ক্যাম্পের প্রচলিত যে ধরন তা থেকে কুষ্টিয়ার এই আর্ট ক্যাম্পটির প্রকৃতি ভিন্ন। জৌলুশপূর্ণ কর্পোরেট প্যাকেজের বাইরে এর অবস্থান। এখানে রয়েছে জীবনযাপন প্রক্রিয়ার সঙ্গে শিল্পের সমন্বয় সাধন করার এক নিরলস প্রচেষ্টা। ক্যাম্পের আয়োজকরা মনে করেন, শিল্প একটি জটিল প্রক্রিয়া এবং তা জীবনের অংশ। সংস্কৃতির প্রতিটি মাধ্যমের ভেতর রয়েছে নিবিড় আন্তঃসম্পর্ক। শিল্পীত অনুশীলনের অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করতে জ্ঞান ও সংস্কৃতির প্রতিটি ক্ষেত্রের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা জরুরি। তাই শুধুমাত্র চারুশিল্পীই নন থিয়েটার কর্মী, ফটোগ্রাফার, চলচ্চিত্র নির্মাতা, মনোবিজ্ঞানী, কবি, সাংবাদিক, অভিনেতা, সমাজবিজ্ঞানী কিংবা অন্য যে কোনো পেশার বা শাখার শিল্পাগ্রহী মানুষের জন্য এই ক্যাম্পের দরজা খোলা রাখা হয়েছে। তারাও এই আর্ট ক্যাম্পে অংশ নিতে পারবেন। নির্মাণ করতে পারেন তাদের নিজস্ব শিল্পজগৎ, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের তরুণ শিল্পীদের সাথে মিথষ্ক্রিয়ায় অংশ নিতে পারেন।
“কলোনিয়াল হ্যাংওভারে” আক্রান্ত চারুশিল্প চর্চার যে ধারা বাংলাদেশে বর্তমান তার বাইরে কাজ করার একটা উন্মুক্ত প্লাটফর্ম হিসেবে গত নয় বছর ধরে ধিরে ধিরে নিজেদের অবস্থান পাকা করেছে ক্র্যাক। জীবনের সাথে শিল্পের যে নিবিড় সংযোগ তাকে প্রাতিষ্ঠানিক কিংবা অপ্রাতিষ্ঠানিক লেবেলে সেঁটে ভাগ করা কিংবা লোকশিল্প বলে ভূমিজ শিল্পকে “আদার” করে দেখার বিরুদ্ধে ভীষণ সোচ্চার তারা। এখানে কাজ করা হয় মূলত পরিবেশবান্ধব স্থানীয় উপকরণ দিয়ে। ইনস্টলেশন আর্ট, পারফর্মীং আর্ট, ভিডিও আর্ট ইত্যাদি মাধ্যমে কাজ হয়ে থাকে এখানে। শিল্প নির্মাণের আগে ক্যাম্পে আগত শিল্পীদের ঘুরিয়ে দেখানো হয় কুষ্টিয়া অঞ্চল, পরিচিত করানো হয় এখানকার মানুষ ও সংস্কৃতির সাথে, যাতেকরে শিল্প শুধু শিল্পীর চিন্তার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে হয়ে ওঠে কুষ্টিয়া তথা বাংলাদেশের।

ক্যাম্প চলাকালীন প্রতিদিন রাতে শিল্পীরা আইডিয়া শেয়ার করেন, প্রশ্নোত্তর চালান, প্রেজেন্টেশন দেন
আয়োজনের নয় বছর
২০১৫ সালের ২৫-৩১ ডিসেম্বর হয়ে গেল ক্রাকের নবম আসর। বাংলাদেশ, শ্রীলংকা, নেপাল, ভারত ও তাইওয়ান থেকে অংশগ্রহনকারীরা এই আর্ট ক্যাম্পে যোগদান করেছিলেন। ভারতের কিউরেটর ও শিল্পী তপতী চৌধুরী এবার কিউরেটরিয়াল থিম নির্ধারন করেছিলেন ‘দেহতরী’।
বাংলার বাউল দর্শনে ‘তরী’ শব্দটি নশ্বর মানবদেহের প্রতীক হিসেবে পাওয়া যায়। এই ধারনারই বিভিন্ন অনুভবের প্রকাশ দেখা গিয়েছে ক্র্যাক আন্তর্জাতিক আর্ট ক্যাম্পের ৯ম আসরে। প্রথামাফিক সমাপনী দিন ক্যাম্পের শির্পকর্ম দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এবার শিল্পীদের কাজে স্থানীয় মানুষ এবং শিশুদের অংশগ্রহণ ছিল উল্লেখযোগ্য। ক্যাম্প এর প্রদর্শনী প্রায় ২ একর স্থান জুড়ে আয়োজিত হয়েছিল, যার মাঝে আছে ফসলের ক্ষেত, মাঠ, পুকুর, নানান ফলের গাছ, আধাপাকা ঘর ও উঠান।

পুকুর এই ক্যাম্পের অবিচ্ছেদ্য অংশ
ইতিহাস নির্মাণ প্রক্রিয়ায় গুজবের ভূমিকা নিয়ে রহিমপুর ঢিবি: একটি গুজব শিরোনামে একটি ইনস্টলেশন আর্ট নির্মাণ করেন শিল্পী রাজর্ষী দাসগুপ্ত, শ্রীময় রায় চৌধুরী, তপতী চৌধুরী ও ক্র্যাক পরিবারের সদস্যবৃন্দ। স্থান-কাল এর সম্পৃক্ততা, দর্শকের বিশ্বাস-কাঠামো, দৃষ্টিভঙ্গি ও লোকগল্প সৃষ্টির স্বতঃস্ফুর্ত ধারাকে এখানে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। নেপালের শিল্পী অনিল সুব্বা ও রিতেশ মহার্জন যৌথ ভাবে লুনা পোয়েটস নৌকায় দেহ (Body on the boat) ও অবমুক্তি (Release) শীর্ষক দু’টি পারফর্মেন্স আর্ট উপস্থিত করেন দর্শকদের সামনে। ছকে বাঁধাপরা জীবনে আত্ম-জিজ্ঞাসার অবস্থান নিয়ে নিজেকে খুঁজে দেখ শীর্ষক একটি ইনস্টলেশন ও পারফর্মেন্স আর্ট করেন শিল্পী রোকসানা আমিন (বাংলাদেশ)। কেরালা, ভারতের শিল্পী সুরেশ নায়ার এর ল্যান্ড আর্ট প্রকৃতির সাথে কথোপকথোন (Dialogue with nature) বৃহত পরিসরে দেহ ও প্রকৃতির সম্পর্ক সন্ধান করেছে। তাহমিনা হাফিজ লিসার (বাংলাদেশ) সাদা শীর্ষক ইনস্টলেশন ও পারফর্মেন্স আর্ট এ মৃত্যু ও জীবনের মাঝে টানাপোড়েনের গল্প উন্মোচিত হয়। চিরন্তন মুখার্জি (ভারত) ও আফসানা শারমিন ঝুমার (বাংলাদেশ) যৌথ পারফর্মেন্স আর্ট and there was a land before-এ অস্বস্তিমূলক অস্তিত্বের তীব্রতা দর্শকদের নাড়া দিয়েছিল। রাম মহার্জন (নেপাল) কাজ করেছেন স্মৃতিতে অস্তিত্বশীল মানুষদের নিয়ে, যেখানে শরীরী উপস্থিতি প্রতীক দিয়ে প্রতিস্থাপিত হয়েছে। মেহেদী মাসুদ (বাংলাদেশ) দেহতরী শীর্ষক ইনস্টলেশন আর্ট-এ জগৎকে অনুধাবন করার আপেক্ষিকতার প্রেক্ষাপটে দেহের অবস্থান সম্পর্কে প্রশ্ন করেছেন। জীবন যাত্রা (Journey of the life) শীর্ষক ইনস্টলেশন আর্ট-এ ইরান্দি চান্দিমা (শ্রীলংকা) দেহতরীর উপমিত উপস্থিতিকে দৃশ্যমান করেছেন পানিতে স্থির কাগজের নৌকায়।

প্রস্তুতি
জীবন-মৃত্যুর দোটানায় দর্শকদের সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করেছেন ভারতের শিল্পী চিরন্তন মুখার্জি তার
ডেড আর্টিস্ট অ্যান্ড রিদম ১৭২৩ (Dead artist and rhythm 1723) শীর্ষক পারফর্মেন্স আর্ট-এ ।
আলোক বৃক্ষ ইনস্টলেশন আর্টে সুমন মজুমদার (ভারত) পথিকের পথ খুঁজে ফেরা ও বাতিঘরের গল্পটি হাজির করেছেন।
দেহ তরিকা ছিল রায়হান রাফির (বাংলাদেশ) ইনস্টলেশন আর্ট, যেখানে দর্শকরাও অংশগ্রহণ করেছিলেন। বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে শুকনো ফেটে পড়া ফসলের মাঠের ফাটল ভরাট করে
ফিলিং দা ক্র্যাকস (Filling the cracks) শীর্ষক একটি ল্যান্ড আর্ট করেন শিল্পী রেনু বারিওয়াল (ভারত)। বাংলাদেশের শিল্পী ফারাহ নাজ মুন জীবন যাপনের যাত্রা ও গতিপথে পারষ্পরিক আন্তঃসম্পর্কের ভূমিকা উপস্থাপন করেছেন তার
সিনোপসিস অব মিস্ট্রি (Synopsis of mystery) শীর্ষক ইনস্টলেশন আর্ট এ। এর পাশাপাশি শিল্পী জ্যোতির্ময় সাহার সাথে যৌথ পারফর্মেন্স আর্টে তিনি মানুষের দেহের শ্রবণেন্দ্রিয় ও তার থেকে প্রাপ্ত তথ্য কিভাবে আমাদের চিন্তাকে প্রভাবিত করে সে সম্পর্কে উপস্থাপন করেছিলেন।
ভেসে যাওয়া শব্দগুচ্ছ (Floating sounds) পারফর্মেন্স আর্ট এ জ্যোতির্ময় সাহার সাথে সহযোগী হিসেবে ছিলেন মুনতাসিব রহমান আনান। শব্দ বাঙময়তা ছাড়াও আরো কিছু তৈরি করে কি না সেটা দর্শক-শ্রোতারা তাদের কাজে অনুভব করেছেন। দাহ্য অবশেষ দিয়ে চক্রাকারে ঘুর্নায়মান জীবনের প্রতিচ্ছবি রচনা করেছিলেন বাংলাদেশের শিল্পী শক্তি নোমান। শ্রীময় রায়চৌধুরী (ভারত) ও অনন্ত দাশের (বাংলাদেশ) যৌথ ইনস্টলেশন আর্ট
দোদুল্যমান জীবন (suspended life) দূর থেকে দর্শকদের মাঝে জীবনের নিশ্চয়তা-অনিশ্চয়তার দোলাচল নিয়ে ভাবিয়েছে।
ভেসে চলা জীবন (Life on the move) ইনস্টলেশন আর্ট এ তপতী চৌধুরী (ভারত) কে দেখা গিয়েছে ভেলায় ভাসামান জীবনের মোটিফ নিয়ে কাজ করতে।
ক্যাম্পে অবস্থানকালীন শিল্পীদের যে পারস্পারিক মিথষ্ক্রিয়া সেটি যেমন তাদের কাজকে প্রভাবিত করে তেমনি কিছু সময়ের জন্য জীবনকেও প্রভাবিত করে নিশ্চিতভাবে। বিভিন্ন দেশের, বিভিন্ন ভাষা ও সংস্কৃতি বলয়ের শিল্পীদের এই বুদ্ধিবৃত্তিক লেনদেন ক্রাক ক্যাম্পের বড় প্রাপ্তি।
২০১৬ সালে ক্র্যাক আর্ট ক্যাম্পের এক দশক পূর্তী হবে। আসুন ক্র্যাক ট্রাস্ট এবং ক্র্যাক আর্ট ক্যাম্পকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলি,
“বুক টান বুক টান টান করে দাঁড়াও...।”
ক্যাম্পের টুকিটাকি

স্থানীয় ঐতিহাসিক স্থাপনা ঘুরে দেখছেন শিল্পীরা, রবীন্দ্রকুঠিবাড়ি, কুষ্টিয়া

প্রস্তুতি

আড্ডা-১

আড্ডা-২

সুর-১

সুর-২
কয়েকটি শিল্পকর্ম

সাদা, শিল্পী তাহমিনা হাফিজ লিসা (বাংলাদেশ), ইনস্টলেশন ও পারফর্মেন্স আর্ট

রহিমপুর ঢিবি: একটি গুজব, শিল্পী রাজর্ষী দাসগুপ্ত, শ্রীময় রায়চৌধুরী, তপতী চৌধুরী এবং ক্র্যাক পরিবার (ভারত ও বাংলাদেশ), ইনস্টলেশন

জীবনযাত্রা, শিল্পী ইরান্দি চন্দ্রিমা (শ্রীলঙ্কা), ইনস্টলেশন

দেহ তরী, শিল্পী মেহেদী মাসুদ (বাংলাদেশ), ইনস্টলেশন
অনার্য তাপস
মন্তব্য
আচ্ছা, সচলে শিল্পকলা, চারুশিল্প, লোকসংস্কৃতি এইসব বিষয়ে ট্যাগের ব্যবস্থা নেই কেন?
ট্যাগ এর তালিকা (সাজেশন) আছে, কিন্তু যুক্ত করা যায় নিজেরটাও। যেমন, আপনি "ক্র্যাক ইন্টারন্যাশনাল আর্ট ক্যাম্প" টা যোগ করেছেন।
কাজগুলো ভালো লেগেছে। নিজে যাবার উপায় না থাকলেও আপনি যে আগদের ঘুরিয়ে আনলেন, সেটাই বা কম কি?
শুভেচ্ছা
থিমগুলো চমৎকার তো!
...............................................................
“আকাশে তো আমি রাখি নাই মোর উড়িবার ইতিহাস”
লেখাটি সুপাঠ্য ছিল।
আর্টগুলোর কিছুই বুঝিনি, আমারই সীমাবদ্ধতা।
তবে আইডিয়াটা চমৎকার লাগলো। এরকম কিছুযে হয় সেটাই জানা ছিলনা।
আচ্ছা এই কাজটার নাম ক্র্যাক কেন?
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
ক্র্যাক একটি দল। কয়েকজন তরুণ মিলে তৈরি করা একটা দল। ২০১৫ সালে এরা একটা ট্রাস্ট তৈরি করে “ক্র্যাক” ট্রাস্ট। এই ট্রাস্ট এখন এই আর্ট ক্যাম্পটি চালাচ্ছে। এই দলটি মনে করে, কর্পরেট দুনিয়া যা চায় তার বাইরে, একেবারে নেটিভ দর্শনের চর্চা হওয়া দরকার। এই চর্চাটা হওয়া দরকার স্থানীয় মানুষদের সহায়তায়। তাই ঢাকার বাইরে কুষ্টিয়ায় তারা এই ক্যাম্পটি আয়োজন করে। এই ক্যাম্পটি যেখানে অনুষ্ঠিত হয় সেটি একটি হ্যাচারি। এর মালিক দেলোয়ার হোসেন। তিনি কোন শর্ত ছাড়াই তার জায়গাটি ব্যবহার করতে দেন। আর মূল লেখায় আলোচনা হয়েছে এই আর্ট ক্যাম্পটি অনুষ্ঠীত হয় কিভাবে। প্রতিবছর ডিসেম্বর মাসের ২৫-৩০ তারিখ এই ক্যাম্পটি অনুষ্ঠিত হয়। ৩০ তারিখ ওপেন ডে তে সবার জন্য উন্মুক্ত। যেকেউ চাইলে সেদিন সেখানে যেতে পারে।
প্রথম দিকের বছরগুলোয় মনে হয়
Center for Research on Art and Culture —> CRAC
এই হিসাবে ক্র্যাক কথাটা চালু হয়েছিল। পরে ট্রাস্ট তৈরীর সময় CRAC-র শেষে (কুষ্টিয়ার?) K জুড়ে নেওয়া হয়ে থাকতে পারে।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
Center for Research on Art and Culture —> CRAC- এই গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি এখন বিলুপ্ত। কিন্তু যেহেতু CRAC- এটার দেখভাল করতো একসময় তাই নামটি রাখা হয়েছে, K জুড়ে দিয়ে। তবে বাংলায় তারা ক্র্যাক বলে। যার অর্থ পাগল (?)।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
নতুন মন্তব্য করুন